৮৫০

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. মুহরিম ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করিলে তাহার কুরবানী

রেওয়ায়ত ১৫৫. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ)-এর নিকট শুনিয়াছেন- তিনি সমবেত লোকদেরকে লক্ষ করিয়া বলিতেছিলেনঃ ইহরাম অবস্থায় যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করে তাহার সম্পর্কে তোমরা কি বল? উপস্থিত সকলেই চুপ হইয়া রহিলেন। শেষে সাঈদ (রহঃ) নিজেই বলিলেনঃ এক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করিয়াছিল। পরে সে এই সম্পর্কে মাসআলা জিজ্ঞাসার জন্য এক ব্যক্তিকে মদীনায় প্রেরণ করে। কেউ কেউ জবাব দিলেনঃ স্বামী-স্ত্রী এক বৎসর পর্যন্ত উভয়েই আলাদা হইয়া থাকিবে।

কিন্তু সাঈদ (রহঃ) বললেনঃ এই বৎসর তাহারা হজ্জে অবশিষ্ট কাজসমূহ পুরা করবে। পরের বৎসর জীবিত থাকিলে পুনরায় হজ্জ করিবে এবং কুরবানী দিবে। প্রথম হজ্জের ইহরাম যে স্থান হইতে বাঁধিয়াছিল এই হজ্জের ইহরামও সেই স্থান হইতে বাঁধিবে। আর কাযা হজ্জ করিতে যখন আসিবে তখন উভয়েই তাহারা হজ্জ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আলাদা আলাদা থাকিবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ উভয়কেই এক একটি করিয়া কুরবানী করিতে হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আরাফাতে অবস্থানের পর এবং প্রস্তর নিক্ষেপের পূর্বে যদি কেউ স্ত্রী সহবাস করে তবে তাহার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হইবে এবং আগামী বৎসর পুনরায় তাহাকে হজ্জ করিতে হইবে। রমিয়ে হাজর বা প্রস্তর নিক্ষেপের পর যদি স্ত্রী সহবাস করে, তবে তাহাকে একটি উমরা এবং একটি কুরবানী করিতে হইবে। পরেরবার পুনরায় হজ্জ করিতে হইবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ স্খলন না হইয়া শুধু পুরুষাঙ্গ প্রবিষ্ট হইলেও হজ্জ ও উমরা বিনষ্ট হইয়া যাইবে এবং হাদয়ী ওয়াজিব হইবে। প্রবিষ্ট না হইয়াও যদি রতিলীলায় স্খলন হইয়া যায় তবুও হজ্জ বিনষ্ট হইয়া যাইবে।

আর কল্পনা করার দরুন যদি কাহারও স্বলন হইয়া যায় তবে ইহাতে কিছুই ওয়াজিব হইবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কেউ স্ত্রীকে চুমা খাইলে স্খলন না হইলেও তাহার উপর কুরবানী ওয়াজিব হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন মুহরিম মহিলার স্বামী যদি তাহার সম্মতিক্রমে তাহার সঙ্গে হজ্জ ও উমরার মধ্যে কয়েকবার সহবাস করে তবে ঐ মহিলাকে পরের বৎসর এই হজ্জের কায আদায় করিতে হইবে এবং কুরবানী দিতে হইবে। আর এইরূপ সহবাস উমরার মধ্যে হইলেও অতি সত্বর উমরা কাযা করিতে হইবে ও কুরবানী দিতে হইবে।

بَاب هَدْيِ الْمُحْرِمِ إِذَا أَصَابَ أَهْلَهُ

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ مَا تَرَوْنَ فِي رَجُلٍ وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَلَمْ يَقُلْ لَهُ الْقَوْمُ شَيْئًا فَقَالَ سَعِيدٌ إِنَّ رَجُلًا وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ وَهُوَ مُحْرِمٌ فَبَعَثَ إِلَى الْمَدِينَةِ يَسْأَلُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ يُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا إِلَى عَامٍ قَابِلٍ فَقَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ لِيَنْفُذَا لِوَجْهِهِمَا فَلْيُتِمَّا حَجَّهُمَا الَّذِي أَفْسَدَاهُ فَإِذَا فَرَغَا رَجَعَا فَإِنْ أَدْرَكَهُمَا حَجٌّ قَابِلٌ فَعَلَيْهِمَا الْحَجُّ وَالْهَدْيُ وَيُهِلَّانِ مِنْ حَيْثُ أَهَلَّا بِحَجِّهِمَا الَّذِي أَفْسَدَاهُ وَيَتَفَرَّقَانِ حَتَّى يَقْضِيَا حَجَّهُمَا قَالَ مَالِك يُهْدِيَانِ جَمِيعًا بَدَنَةً بَدَنَةً
قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ وَقَعَ بِامْرَأَتِهِ فِي الْحَجِّ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَنْ يَدْفَعَ مِنْ عَرَفَةَ وَيَرْمِيَ الْجَمْرَةَ إِنَّهُ يَجِبُ عَلَيْهِ الْهَدْيُ وَحَجُّ قَابِلٍ قَالَ فَإِنْ كَانَتْ إِصَابَتُهُ أَهْلَهُ بَعْدَ رَمْيِ الْجَمْرَةِ فَإِنَّمَا عَلَيْهِ أَنْ يَعْتَمِرَ وَيُهْدِيَ وَلَيْسَ عَلَيْهِ حَجُّ قَابِلٍ قَالَ مَالِك وَالَّذِي يُفْسِدُ الْحَجَّ أَوْ الْعُمْرَةَ حَتَّى يَجِبَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ الْهَدْيُ فِي الْحَجِّ أَوْ الْعُمْرَةِ الْتِقَاءُ الْخِتَانَيْنِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَاءٌ دَافِقٌ قَالَ وَيُوجِبُ ذَلِكَ أَيْضًا الْمَاءُ الدَّافِقُ إِذَا كَانَ مِنْ مُبَاشَرَةٍ فَأَمَّا رَجُلٌ ذَكَرَ شَيْئًا حَتَّى خَرَجَ مِنْهُ مَاءٌ دَافِقٌ فَلَا أَرَى عَلَيْهِ شَيْئًا وَلَوْ أَنَّ رَجُلًا قَبَّلَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَكُنْ مِنْ ذَلِكَ مَاءٌ دَافِقٌ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ فِي الْقُبْلَةِ إِلَّا الْهَدْيُ وَلَيْسَ عَلَى الْمَرْأَةِ الَّتِي يُصِيبُهَا زَوْجُهَا وَهِيَ مُحْرِمَةٌ مِرَارًا فِي الْحَجِّ أَوْ الْعُمْرَةِ وَهِيَ لَهُ فِي ذَلِكَ مُطَاوِعَةٌ إِلَّا الْهَدْيُ وَحَجُّ قَابِلٍ إِنْ أَصَابَهَا فِي الْحَجِّ وَإِنْ كَانَ أَصَابَهَا فِي الْعُمْرَةِ فَإِنَّمَا عَلَيْهَا قَضَاءُ الْعُمْرَةِ الَّتِي أَفْسَدَتْ وَالْهَدْيُ

وحدثني عن مالك عن يحيى بن سعيد انه سمع سعيد بن المسيب يقول ما ترون في رجل وقع بامراته وهو محرم فلم يقل له القوم شيىا فقال سعيد ان رجلا وقع بامراته وهو محرم فبعث الى المدينة يسال عن ذلك فقال بعض الناس يفرق بينهما الى عام قابل فقال سعيد بن المسيب لينفذا لوجههما فليتما حجهما الذي افسداه فاذا فرغا رجعا فان ادركهما حج قابل فعليهما الحج والهدي ويهلان من حيث اهلا بحجهما الذي افسداه ويتفرقان حتى يقضيا حجهما قال مالك يهديان جميعا بدنة بدنة قال مالك في رجل وقع بامراته في الحج ما بينه وبين ان يدفع من عرفة ويرمي الجمرة انه يجب عليه الهدي وحج قابل قال فان كانت اصابته اهله بعد رمي الجمرة فانما عليه ان يعتمر ويهدي وليس عليه حج قابل قال مالك والذي يفسد الحج او العمرة حتى يجب عليه في ذلك الهدي في الحج او العمرة التقاء الختانين وان لم يكن ماء دافق قال ويوجب ذلك ايضا الماء الدافق اذا كان من مباشرة فاما رجل ذكر شيىا حتى خرج منه ماء دافق فلا ارى عليه شيىا ولو ان رجلا قبل امراته ولم يكن من ذلك ماء دافق لم يكن عليه في القبلة الا الهدي وليس على المراة التي يصيبها زوجها وهي محرمة مرارا في الحج او العمرة وهي له في ذلك مطاوعة الا الهدي وحج قابل ان اصابها في الحج وان كان اصابها في العمرة فانما عليها قضاء العمرة التي افسدت والهدي


Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that he heard Said ibn al-Musayyab asking a group of people, "What do you think about someone who has intercourse with his wife while he is in ihram?" and none of them answered him. Said said, "There is a man who has had intercourse with his wife while in ihram who has sent a message to Madina asking about it." Some of them said, "They should be kept apart until a future year," and Said ibn al-Musayyab said, "They should carry on and complete the hajj which they have spoiled, and then return home when they have finished. If another hajj comes upon them, they must do hajj and sacrifice an animal. They should go into ihram at the same place where they went into ihram for the hajj that they spoiled, and they should keep apart until they have finished their hajj."

Malik said, "They should both sacrifice an animal."

Malik said, about a man who had intercourse with his wife during hajj after he had come down from Arafa but before he had stoned the Jamra, "He must sacrifice an animal and do hajj again in another year. If, however, he had intercourse with his wife after he stoned the Jamra, he only has to do an umra and sacrifice an animal and he does not have to do another hajj."

Malik said, "What spoils a hajj or an umra and makes sacrificing an animal and repeating the hajj necessary is the meeting of the two circumcised parts, even if there is no emission. It is also made necessary by an emission if it is the result of bodily contact. I do not think that a man who remembers something and has an emission owes anything, and if a man were to kiss his wife and no emission were to occur from that, he would only have to sacrifice an animal. A woman in ihram who has intercourse with her husband several times during hajj or umra out of obedience to him only has to do another hajj and sacrifice an animal. That is if her husband has intercourse with her while she is doing hajj. If he has intercourse with her while she is doing umra, she must repeat the umra she has spoiled and sacrifice an animal."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুয়াত্তা মালিক
২০. হজ্জ (كتاب الحج)