২৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৩২: দুর্বল, গরীব ও খ্যাতিহীন মুসলিমদের মাহাত্ম্য

৮/২৬৪। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (নবজাত শিশুদের মধ্যে) দোলনায় তিনজনই মাত্র কথা বলেছে; মারয়্যামের পুত্র ঈসা, আর (বনী ইস্রাঈলের) জুরাইজের (পবিত্রতার সাক্ষী) শিশু। জুরাইজ ইবাদতগুযার মানুষ ছিল এবং সে একটি উপাসনালয় (আশ্রম) বানিয়েছিল। একদা সে সেখানে নামায পড়ছিল। এমন সময় তার মা তার নিকট এসে তাকে ডাকলে সে (মনে মনে) বলল, ’হে প্রভু! আমার মা ও আমার নামায (দুটই গুরুত্বপূর্ণ; কোনটিকে প্রাধান্য দই, তার সুমতি দাও)।’

সুতরাং সে নামাযে মশগুল থাকল। আর তার মা ফিরে গেল। পরবর্তী দিনে সে নামাযে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় আবার তার মা এসে ডাক দিল, ’জুরাইজ!’ সে (মনে মনে) বলল, ’হে প্রভু! আমার মা ও আমার নামায (এখন কী করি?)’ সুতরাং সে নামাযে মশগুল থাকল। তার পরবর্তী দিনে সে নামাযে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় আবার তার মা এসে ডাক দিল, ’জুরাইজ!’ সে (মনে মনে) বলল, ’হে প্রভু! আমার মা ও আমার নামায (এখন কী করি?)’ সুতরাং সে নামাযে মশগুল থাকল। তখন (তিন তিন দিন সাড়া না পেয়ে তার মা তাকে বদদো’আ দিয়ে) বলল, ’হে আল্লাহ! বেশ্যাদের মুখ না দেখা পর্যন্ত তুমি ওর মরণ দিও না।’

বনী ইস্রাঈল জুরাইজ ও তার ইবাদতের কথা চর্চা করতে লাগল। এক বেশ্যা মহিলা ছিল, যার দৃষ্টান্তমূলক রূপ-সৌন্দর্য ছিল। সে বলল, ’তোমরা চাইলে আমি ওকে ফিতনায় ফেলতে পারি।’ সুতরাং সে নিজেকে তার কাছে পেশ করল। কিন্তু জুরাইজ তার প্রতি ভ্রূক্ষেপ করল না। পরিশেষে সে এক রাখালের কাছে এল, যে জুরাইজের আশ্রমে আশ্রয় নিত। সে দেহ সমর্পণ করলে রাখাল তার সাথে ব্যভিচার করল এবং বেশ্যা তাতে গর্ভবতী হয়ে গেল। অতঃপর সে যখন সন্তান ভূমিষ্ঠ করল, তখন (লোকেদের জিজ্ঞাসার উত্তরে) বলল, ’এটি জুরাইজের সন্তান।’

সুতরাং লোকেরা জুরাইজের কাছে এসে তাকে আশ্রম হতে বেরিয়ে আসতে বলল। (সে বেরিয়ে এলে) তারা তার আশ্রম ভেঙ্গে দিল এবং তাকে মারতে লাগল। জুরাইজ বলল, ’ কী ব্যাপার তোমাদের? (এ শাস্তি কিসের?)’ লোকেরা বলল, ’তুমি এই বেশ্যার সাথে ব্যভিচার করেছ এবং তার ফলে সে সন্তান জন্ম দিয়েছে।’ সে বলল, ’সন্তানটি কোথায়?’ অতঃপর লোকেরা শিশুটিকে নিয়ে এলে সে বলল, ’আমাকে নামায পড়তে দাও।’ সুতরাং সে নামায পড়ে শিশুটির কাছে এসে তার পেটে খোঁচা মেরে জিজ্ঞাসা করল, ’ওহে শিশু! তোমার পিতা কে?’ সে জবাব দিল, ’অমুক রাখাল।’

অতএব লোকেরা (তাদের ভুল বুঝে এবং এই অলোকিক ঘটনা দেখে) জুরাইজের কাছে এসে তাকে চুমা দিতে ও স্পর্শ করতে লাগল। তারা বলল, ’আমরা তোমার আশ্রমকে স্বর্ণ দিয়ে বানিয়ে দেব।’ সে বলল, ’না, মাটি দিয়েই তৈরী করে দাও, যেমন পূর্বে ছিল।’ সুতরাং তারা তাই করল। (তৃতীয় শিশুর ঘটনা হচ্ছে বনী ইস্রাঈলের) এক শিশু তার মায়ের দুধ পান করছিল। এমন সময় তার পাশ দিয়ে উৎকৃষ্ট সওয়ারীতে আরোহী এক সুদর্শন পুরুষ চলে গেল। তার মা দো’আ করে বলল, ’হে আল্লাহ! আমার ছেলেটিকে ওর মত করো।’ শিশুটি তখনি মায়ের দুধ ছেড়ে দিয়ে সেই আরোহীর দিকে ফিরে তাকিয়ে বলল, ’হে আল্লাহ আমাকে ওর মত করো না।’ তারপর মায়ের দুধের দিকে ফিরে দুধ চুষতে লাগল।

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের তর্জনী আঙ্গুলকে নিজ মুখে চুষে শিশুটির দুধ পান দেখাতে লাগলেন। আমি যেন তা এখনো দেখতে পাচ্ছি। পুনরায় (তাদের) পাশ দিয়ে একটি দাসীকে লোকেরা মারতে মারতে নিয়ে যাচ্ছিল। তারা বলছিল, ’তুই ব্যভিচার করেছিস, চুরি করেছিস!’ আর দাসীটি বলছিল, ’হাসবিয়াল্লাহু অনি’মাল অকীল।’ (আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট ও তিনই উত্তম কর্মবিধায়ক।)

তা দেখে মহিলাটি দো’আ করল, ’হে আল্লাহ! তুমি আমার ছেলেকে ওর মত করো না।’ ছেলেটি সাথে সাথে মায়ের দুধ ছেড়ে দাসীটির দিকে তাকিয়ে বলল, ’হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ওর মত করো।’ অতঃপর মা-বেটায় কথোপকথন করল। মা বলল, ’একটি সুন্দর আকৃতির লোক পার হলে আমি বললাম, হে আল্লাহ! তুমি আমার ছেলেকে ওর মত করো। তখন তুমি বললে, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ওর মত করো না। আবার ওরা ঐ দাসীকে নিয়ে পার হলে আমি বললাম, হে আল্লাহ! তুমি আমার ছেলেকে ওর মত করো না। কিন্তু তুমি বললে, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ওর মত করো! (এর কারণ কী?)’

শিশুটি বলল, ’(তুমি বাহির দেখে বলেছ, আর আমি ভিতর দেখে বলেছি।) ঐ লোকটি স্বৈরাচারী, তাই আমি বললাম, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ওর মত করো না। আর ঐ দাসীটির জন্য ওরা বলছে, তুই ব্যভিচার করেছিস, চুরি করেছিস, অথচ ও এ সব কিছুই করেনি। তাই আমি বললাম, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ওর মত করো।’ (বুখারী) [1]

(32) - بَابُ فَضْلِ ضِعْفَةِ الْمُسْلِمِيْنَ وَالْفُقَرَاءِ وَالْخَامِلِيْنَ

وعن أَبي هريرة رضي اللَّه عنه عن النبي صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قال : » لَمْ يَتَكَلَّمْ فِي المَهْدِ إِلاَّ ثَلاثَةٌ :عِيسى ابْنُ مرْيَمَ ، وصَاحِب جُرَيْجٍ ، وآَانَ جُرَيْجٌ رَجُلاً عَابِداً ، فَاتَّخَذَ صَوْمَعةً فكانَ فِيهَا ، فَأَتَتْهُ أُمُّهُ وَهَويُصلي فَقَالَتْ : يا جُرَيْجُ ، فقال : يَارَبِّ أُمِّي وَصَلاتِي فَأَقْبلَ عَلَى صلاتِهِ فَانْصرفَتْ فَلَمَّا آَانَ مِنَ الْغَدِ أَتَتْهُوهُو يُصَلِّي ، فقَالَتْ : يَا جُرَيْجُ ، فقال : أَيْ رَبِّ أُمِّي وَصَلاتِي . فَأَقْبَلَ عَلَى صَلاتِهِ ، فَلَمَّا آَانَ مِنَ الْغَد أَتَتْهُوَهُو يُصَلِّي فَقَالَتْ : يَا جُرَيْجُ فقال : أَيْ رَبِّ أُمِّي وَصَلاتِي ، فَأَقْبَلَ عَلَى صَلاتِهِ ، فَقَالَتْ : اللَّهُمَّ لا تُمِتْه حَتَّىينْظُرَ إِلَى وُجُوه المومِسَاتِ . فَتَذَاآَّرَ بَنُو إِسْرائِيلَ جُريْجاً وَعِبَادَتهُ ، وَآَانَتِ امْرَأَةٌ بغِيٌّ يُتَمَثَّلُ بِحُسْنِهَا ، فَقَالَتْ: إِنْ شِئْتُمْ لأَفْتِنَنَّهُ ، فتعرَّضَتْ لَهُ ، فَلَمْ يلْتَفِتْ إِلَيْهَا ، فَأَتتْ رَاعِياً آَانَ يَأَوي إِلَى صوْمعَتِهِ ، فَأَمْكنَتْهُ مِنْ نفسهافَوقَع علَيْهَا . فَحملَتْ ، فَلَمَّا وَلدتْ قَالَتْ : هُوَ جُرَيْجٌ ، فَأَتَوْهُ فاسْتنزلُوه وهدَمُوا صوْمعَتَهُ ، وَجَعَلُوا يَضْرِبُونهُ، فقال : ما شَأْنُكُمْ ؟ قالوا: زَنَيْتَ بِهذِهِ الْبغِيِّ فَولَدتْ مِنْك . قال : أَيْنَ الصَّبِيُّ ؟ فَجاءَوا بِهِ فقال : دَعُونِي حَتَّىأُصَلِّي فَصلىَّ ، فَلَمَّا انْصَرَفَ أَتَى الصَّبِيَّ فَطَعنَ فِي بطْنِهِ وقالَ : يا غُلامُ مَنْ أَبُوكَ ؟ قال : فُلانٌ الرَّاعِي ،فَأَقْبلُوا علَى جُرَيْجُ يُقَبِّلُونَهُ وَيَتَمَسَّحُونَ بِهِ وقَالُوا : نَبْنِي لَكَ صوْمَعَتَكَ مِنْ ذَهَبٍ قال : لا، أَعيدُوهَا مِنْ طِينٍآَمَا آَانَتْ ، فَفَعَلُوا . وَبيْنَا صَبِيٌّ يرْضعُ مِنْ أُمِّهِ ، فَمَرَّ رَجُلٌ رَاآِبٌ عَلَى دابَّةٍ فَارِهَةٍ وَشَارةٍ حَسَنَةٍ فَقالت أُمُّهُ :اللَّهُمَّ اجْعَل ابْنِي مثْلَ هَذَا ، فَتَرَكَ الثَّدْيَ وَأَقْبَلَ إِلَيْهِ فَنَظَرَ إِلَيْهِ فقال : اللَّهُمَّ لا تَجْعَلْنِي مِثْلهُ ، ثُمَّ أَقَبَلَ عَلَى ثَدْيِهِفَجَعْلَ يَرْتَضِعُ« فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم وَهُوَ يحْكِي ارْتِضَاعَهُ بِأُصْبُعِه السَّبَّابةِ فِيفِيهِ ، فَجَعلَ يَمُصُّهَا، قال : » وَمَرُّوا بِجَارِيَةٍ وَهُمْ يَضْرِبُونَهَا، وَيَقُولُونَ : زَنَيْتِ سَرَقْتِ ، وَهِي تَقُولُ : حَسْبِيَاللَّهُ وَنِعْمَ الْوآِيلُ . فقالت أُمُّهُ : اللَّهُمَّ لا تَجْعَلْ ابْنِي مِثْلَهَا ، فَتَركَ الرِّضَاعَ وَنَظَرَ إِلَيْهَا فقال : اللَّهُمَّ اجْعَلْنِيمِثْلَهَا ، فَهُنالِكَ تَرَاجَعَا الحَدِيثِ فقالَت : مَرَّ رَجُلٌ حَسنُ الهَيْئَةِ فَقُلْتُ : اللَّهُمَّ اجْعَلْ ابْنِي مِثْلَهُ فَقُلْتَ : اللَّهُمَّ لاتَجْعَلنِي مِثْلَهُ ، وَمَرُّوا بِهَذِهِ الأَمَةِ وَهُم يَضْربُونَهُا وَيَقُولُونَ : زَنَيْتِ سَرَقْتِ ، فَقُلْتُ : اللَّهُمَّ لا تَجْعَلْ ابْنِي مِثْلَهَافَقُلْتَ : اللَّهُمَّ اجعَلْنِي مِثْلَهَا ؟، قَالَ : إِنَّ ذلِكَ الرَّجُلَ آَانَ جَبَّاراً فَقُلت : اللَّهُمَّ لا تجْعَلْنِي مِثْلَهُ ، وإِنَّ هَذِهِيَقُولُونَ لها زَنَيْتِ ، وَلَمْ تَزْنِ ، وَسَرقْت ، وَلَمْ تَسْرِقْ ، فَقُلْتُ : اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِثْلَهَا « متفق عليه.«والمُومِسَاتُ « : بضَمِّ الميم الأُولَى ، وإِسكان الواو وآسر الميم الثانيةِ وبالسين المهملَةِ وهُنَّ الزَّوانِي .والمُومِسةُ : الزانية . وقوله : » دابَّةً فَارِهَة « بِالْفَاءِ : أَي حاذِقَةٌ نَفِيسةٌ . »الشَّارَةُ « بِالشِّينِ المعْجمةِوتَخْفيفِ الرَّاءِ : وَهِي الجمالُ الظَّاهِرُ فِي الهيْئَةِ والملْبسِ . ومعْنى وصل » ترَاجعا الحدِيث « أَيْ : حدَّثَتِالصَّبِي وحدَّثَهَا ، واللَّه أعلم .

وعن ابي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى االله عليه وسلم قال : » لم يتكلم في المهد الا ثلاثة :عيسى ابن مريم ، وصاحب جريج ، واان جريج رجلا عابدا ، فاتخذ صومعة فكان فيها ، فاتته امه وهويصلي فقالت : يا جريج ، فقال : يارب امي وصلاتي فاقبل على صلاته فانصرفت فلما اان من الغد اتتهوهو يصلي ، فقالت : يا جريج ، فقال : اي رب امي وصلاتي . فاقبل على صلاته ، فلما اان من الغد اتتهوهو يصلي فقالت : يا جريج فقال : اي رب امي وصلاتي ، فاقبل على صلاته ، فقالت : اللهم لا تمته حتىينظر الى وجوه المومسات . فتذاار بنو اسراىيل جريجا وعبادته ، واانت امراة بغي يتمثل بحسنها ، فقالت: ان شىتم لافتننه ، فتعرضت له ، فلم يلتفت اليها ، فاتت راعيا اان ياوي الى صومعته ، فامكنته من نفسهافوقع عليها . فحملت ، فلما ولدت قالت : هو جريج ، فاتوه فاستنزلوه وهدموا صومعته ، وجعلوا يضربونه، فقال : ما شانكم ؟ قالوا: زنيت بهذه البغي فولدت منك . قال : اين الصبي ؟ فجاءوا به فقال : دعوني حتىاصلي فصلى ، فلما انصرف اتى الصبي فطعن في بطنه وقال : يا غلام من ابوك ؟ قال : فلان الراعي ،فاقبلوا على جريج يقبلونه ويتمسحون به وقالوا : نبني لك صومعتك من ذهب قال : لا، اعيدوها من طيناما اانت ، ففعلوا . وبينا صبي يرضع من امه ، فمر رجل رااب على دابة فارهة وشارة حسنة فقالت امه :اللهم اجعل ابني مثل هذا ، فترك الثدي واقبل اليه فنظر اليه فقال : اللهم لا تجعلني مثله ، ثم اقبل على ثديهفجعل يرتضع« فكاني انظر الى رسول الله صلى االله عليه وسلم وهو يحكي ارتضاعه باصبعه السبابة فيفيه ، فجعل يمصها، قال : » ومروا بجارية وهم يضربونها، ويقولون : زنيت سرقت ، وهي تقول : حسبيالله ونعم الوايل . فقالت امه : اللهم لا تجعل ابني مثلها ، فترك الرضاع ونظر اليها فقال : اللهم اجعلنيمثلها ، فهنالك تراجعا الحديث فقالت : مر رجل حسن الهيىة فقلت : اللهم اجعل ابني مثله فقلت : اللهم لاتجعلني مثله ، ومروا بهذه الامة وهم يضربونها ويقولون : زنيت سرقت ، فقلت : اللهم لا تجعل ابني مثلهافقلت : اللهم اجعلني مثلها ؟، قال : ان ذلك الرجل اان جبارا فقلت : اللهم لا تجعلني مثله ، وان هذهيقولون لها زنيت ، ولم تزن ، وسرقت ، ولم تسرق ، فقلت : اللهم اجعلني مثلها « متفق عليه.«والمومسات « : بضم الميم الاولى ، واسكان الواو واسر الميم الثانية وبالسين المهملة وهن الزواني .والمومسة : الزانية . وقوله : » دابة فارهة « بالفاء : اي حاذقة نفيسة . »الشارة « بالشين المعجمةوتخفيف الراء : وهي الجمال الظاهر في الهيىة والملبس . ومعنى وصل » تراجعا الحديث « اي : حدثتالصبي وحدثها ، والله اعلم .

(32) Chapter: Superiority of Poor, Weak and unrenowned Muslims


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "None spoke in the cradle but only three (persons), Isa (Jesus) son of Maryam (Mary), the second one was the companion of Juraij who was a pious person. Juraij took a secluded monastery for worship and confined himself in it. His mother came to him as he was busy in prayer and she called: 'Juraij.' He said: 'My Rubb, my mother (is calling me while I am engaged in) my prayer.' He continued with the prayer. She returned and she came on the next day and he was (still) busy in prayer. She called: 'Juraij.' And he said: 'My Rubb, my mother (is calling me while I am engaged) in prayer, and he continued with the prayer,' and she returned. Then on the next day she again came while he was busy in prayer and called: 'Juraij.' And he said: 'My Rubb, my mother (is calling me while I am engaged) in my prayer.' And he continued with the prayer. She said: 'My Rubb, don't let him die until he has seen the faces of the prostitutes.' The story of Juraij and that of his meditation and prayer spread amongst Banu Israel. There was a prostitute who had been a beauty personified. She said (to the people): 'If you like, I can lure him to evil.' She presented herself to him but he paid no heed (to her). She came to a shepherd who lived near the temple and she offered herself to him. He (the shepherd) had sexual intercourse with her and so she became pregnant. When she gave birth to a baby she said: 'This is from Juraij.' So they came and asked Juraij to get down and demolished the temple and began to beat him. He asked them what the matter was. They said: 'You have committed fornication with this prostitute and she has given birth to a baby from you.' He said: 'Where is the baby?' They brought him (the baby) and then he said: 'Just leave me so that I should perform prayer.' He performed prayer and when he finished, he lifted the baby in his stomach and asked him: 'O boy, who is your father?' The baby answered: 'He is such and such a shepherd.' So, the people turned towards Juraij, kissed him and touched him (for seeking blessing) and said: 'We are prepared to construct your temple with gold.' He said, 'No just, rebuild it with mud as it had been,' and so they did". (The Prophet (ﷺ) continued:) "Then there was a baby who was sucking at his mother's breast when a person dressed in fine garment came on a priceless riding animal's back. His mother said: 'O Allah, make my child like this one.' He (the babe) left sucking and looked at him, and said: 'O Allah, don't make me like him.' He then returned to the breast and resumed sucking." He (Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said: As though I can see Messenger of Allah (ﷺ) as he is illustrating the scene of his sucking milk with his forefinger in his mouth and sucking that. He (Abu Hurairah (May Allah be pleased with him)) further reported Messenger of Allah (ﷺ) as saying, "There happened to pass by them a slave girl who was being beaten and they were saying: 'You have committed fornication and theft.' She was saying: 'Allah is enough for me and He is my Good Protector, and his mother said: 'O Allah, don't make my child like her.' He left sucking looked at her and said: 'O Allah! Make me like her.' It was followed by a conversation between the mother and the child. She said: 'A good looking man happened to pass by and I said: O Allah, make my child like him, and you said: O Allah, don't make me like him, and there passed a girl while they were beating her and saying: You committed fornication and theft, and I said: O Allah, don't make my child like her, and you said: O Allah, make me like her.' The child said: 'That man was a tyrant, and I said: O Allah don't make me like him; and they were saying about the girl: You committed fornication, whereas in fact she had not committed that and they were saying: You have committed theft, whereas she had not committed theft, so I said: O Allah, make me like her".

[Al- Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith tells us of three babies who spoke in the cradle. All the three babies were from Banu Israel and their story is mentioned in Sahih Muslim in the story of Ashab-ul-Ukhdud. This Hadith proves the following points:

1. When a person is called by his parents while he is engaged in voluntary prayer, he should give priority to the call of parents.

2. A true Muslim has to pass sometimes through great trials. He must face them with patience and steadfastness because ultimately Almighty Allah helps the true believers.

3. One must avoid copying haughty people no matter how attractive their appearance is. One should try to emulate the virtuous people because true success lies in their conduct.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات)