৫৯১৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা

৫৯১৪-[৪৭] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি কোন এক যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সাথে শরীক ছিলাম। আর আমি এমন একটি উটের উপর আরোহণ করে ছিলাম যা সেচের পানি বহন করতে করতে একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। চলবার শক্তি ছিল না। পিছন হতে নবী (সা.) এসে আমার সাথে মিলিত হয়ে বললেন, তোমার উটের কি হয়েছে? আমি বললাম, তা পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) উটটির পিছনে গেলেন এবং তাকে ধমক দিয়ে তার জন্য দু’আ করলেন। তারপর তা সর্বদা অন্যান্য উটের আগে আগেই চলতে লাগল। পরে আবার তিনি (সা.) আমাকে প্রশ্ন করলেন, তোমার উটের খবর কি? আমি বললাম, আপনার দুআর বরকতে এখন খুব ভালো। তিনি বললেন, তুমি কি এক উকিয়্যার বিনিময়ে আমার কাছে বিক্রয় করবে? তখন আমি এই শর্তে বিক্রয় করলাম যে, মদীনাহ্ পৌছা পর্যন্ত আমি তার পিঠে আরোহী হব। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন মদীনায় আগমন করলেন, তখন আমি প্রাতঃকালে উটটি নিয়ে তাঁর কাছে উপস্থিত হলে তিনি আমাকে উটের মূল্য প্রদান করলেন এবং উটটিও আমাকে ফেরত দিয়ে দিলেন। (বুখারী মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب فِي المعجزا)

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنا على نَاضِح لنا قَدْ أَعْيَا فَلَا يَكَادُ يَسِيرُ فَتَلَاحَقَ بِيَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لي مَا لبعيرك قلت: قدعيي فَتَخَلَّفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فزجره ودعا لَهُ فَمَا زَالَ بَيْنَ يَدَيِ الْإِبِلِ قُدَّامَهَا يسير فَقَالَ لي كَيفَ ترى بعيرك قَالَ قُلْتُ بِخَيْرٍ قَدْ أَصَابَتْهُ بَرَكَتُكَ قَالَ أَفَتَبِيعُنِيهِ بِوُقِيَّةٍ. فَبِعْتُهُ عَلَى أَنَّ لِي فَقَارَ ظَهْرِهِ حَتَّى الْمَدِينَةِ فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ غَدَوْتُ عَلَيْهِ بِالْبَعِيرِ فَأَعْطَانِي ثمنَهُ وردَّهُ عَليّ. مُتَّفق عَلَيْهِ متفق علیہ ، رواہ البخاری (2967) و مسلم (110 / 715)، (4100) ۔ (مُتَّفق عَلَيْهِ)

ব্যাখ্যা: হাদীসে বলা হয়েছে, (أَفَتَبِيعُنِيهِ بِوُقِيَّةٍ) অর্থাৎ তুমি কি তা আমার কাছে এক উক্বিয়্যাহ্ বিক্রি করবে?
মিরকাত প্রণেতা বলেন, এক উক্বিয়্যাহ্ মানে হলো চল্লিশ দিরহাম। উক্ত হাদীসে সাহাবী তার ঘোড়ার ব্যাপারে কিছুটা প্রশংসা করে বলেছেন, তা এখন ভালো চলছে।
ইবনু মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: এখান থেকে বুঝা যায় যে, বিক্রয় করার লক্ষ্যে কোন বস্তুর মাঝে থাকা গুণ বর্ণনা করা বৈধ।
(فَأَعْطَانِي ثمنَهُ وردَّهُ) অর্থাৎ তারপর তিনি আমাকে তার মূল্য পরিশোধ করে দিলেন। সাথে সেই উটটিও ফিরিয়ে দিলেন।
ইবনু হাজার আল আসক্বালানী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, সাহাবী এ কথাটি রূপকভাবে বলেছেন। কেননা লেনদেন মূলত হয়েছে বিলাল (রাঃ)-এর মাধ্যমে। যেহেতু রাসূল (সা.) তাকে এই লেনদেন করার জন্য আদেশ করেছিলেন। তাই প্রকৃত লেনদেনকারী মূলত রাসূল (সা.)। আর সাহাবী এখানে সেটিই উল্লেখ করেছেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)