১৪৪৬

পরিচ্ছেদঃ ২২. যে সন্তানকে পিতার সাথে মিলানো হইয়াছে তাহার মীরাসের ফয়সালা

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমার নিকট ইহা একটি সর্বসম্মত মাসআলা। কোন ব্যক্তি মারা যাওয়ার সময় কয়েকটি সন্তান রাখিয়া গেল। তাহাদের মধ্য হইতে কেহ বলিল, আমার পিতা বলিয়া গিয়াছেন অমুক ব্যক্তি আমার ছেলে। এই অবস্থায় একজনের সাক্ষ্যে পুত্রের সম্পর্ক প্রমাণিত হইবে না এবং সম্পত্তিও সে পাইবে না। তবে যে ছেলে স্বীকার করিয়াছে তাহার অংশ হইতে সে অংশ পাইবে।

মালিক (রহঃ) ইহার ব্যাখ্যায় বলিয়াছেন যে, এক ব্যক্তি দুই ছেলে রাখিয়া মারা গেল এবং ছয়শত দীনার রাখিয়া গেল। দুই ছেলে এখান হইতে তিনশত করিয়া পাইল। তাহার পর এক ছেলে বলিল আমাদের মৃত পিতা বলিয়াছিলেন যে, ঐ ব্যক্তি তাহার ছেলে। তখন সে স্বীকার করিল তাহার তিনশত দীনার হইতে একশত দীনার সেই ব্যক্তি পাইবে, কেননা, সে মৃত ব্যক্তির ছেলে হিসাবে এই অর্ধেক অংশ পাইবে। অর্থাৎ সে ছেলে প্রমাণিত হইলে দুইশত দীনার পাইত, এখন একশত দীনার পাইয়াছে। আর যদি দ্বিতীয় ছেলেও স্বীকার করে তবে তাহার নিকট হইতেও একশত পাইবে এবং তাহার হক পূর্ণ হইবে এবং তাহার বংশও মৃত ব্যক্তি হইতে প্রমাণিত হইল। তাহার আর একটি উদাহরণ এই : কোন স্ত্রীলোক তাহার পিতা অথবা স্বামীর ঋণের কথা স্বীকার করে আর অন্যান্য অংশীদার অস্বীকার করে, এ অবস্থায় সে নিজ অংশ অনুপাতে নিজ হইতে কর্জ আদায় করিবে। স্ত্রীলোকটি যদি এক-অষ্টমাংশ পায় তবে ঋণেরও এক-অষ্টমাংশ আদায় করিবে, আর যদি পিতার সম্পত্তি অর্ধেক পায় তবে ঋণেরও অর্ধাংশ আদায় করিবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি কোন পুরুষ ঋণের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয় যেমন স্ত্রীলোকটি স্বীকার করিয়াছে, যথা এই মৃতের নিকট তাহার এই পরিমাণ পাওনা আছে তবে ঋণদাতার নিকট হইতে কসম গ্রহণ করা হইবে এবং ঋণদাতার পূর্ণ কর্জ শোধ করা হইবে। কেননা এই ব্যাপার স্ত্রীলোকটির ব্যাপারের মতো নয়, কেননা পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। আর যদি কৰ্জদার কসম না করে, তবে যে স্বীকার করিয়াছে শুধু তাহার নিবাস হইতে কর্জদারকে দেওয়া হইবে তাহার হিস্যা অনুযায়ী।

بَاب الْقَضَاءِ فِي مِيرَاثِ الْوَلَدِ الْمُسْتَلْحَقِ

قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الرَّجُلِ يَهْلِكُ وَلَهُ بَنُونَ فَيَقُولُ أَحَدُهُمْ قَدْ أَقَرَّ أَبِي أَنَّ فُلَانًا ابْنُهُ إِنَّ ذَلِكَ النَّسَبَ لَا يَثْبُتُ بِشَهَادَةِ إِنْسَانٍ وَاحِدٍ وَلَا يَجُوزُ إِقْرَارُ الَّذِي أَقَرَّ إِلَّا عَلَى نَفْسِهِ فِي حِصَّتِهِ مِنْ مَالِ أَبِيهِ يُعْطَى الَّذِي شَهِدَ لَهُ قَدْرَ مَا يُصِيبُهُ مِنْ الْمَالِ الَّذِي بِيَدِهِ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ يَهْلِكَ الرَّجُلُ وَيَتْرُكَ ابْنَيْنِ لَهُ وَيَتْرُكَ سِتَّ مِائَةِ دِينَارٍ فَيَأْخُذُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا ثَلَاثَ مِائَةِ دِينَارٍ ثُمَّ يَشْهَدُ أَحَدُهُمَا أَنَّ أَبَاهُ الْهَالِكَ أَقَرَّ أَنَّ فُلَانًا ابْنُهُ فَيَكُونُ عَلَى الَّذِي شَهِدَ لِلَّذِي اسْتُلْحِقَ مِائَةُ دِينَارٍ وَذَلِكَ نِصْفُ مِيرَاثِ الْمُسْتَلْحَقِ لَوْ لَحِقَ وَلَوْ أَقَرَّ لَهُ الْآخَرُ أَخَذَ الْمِائَةَ الْأُخْرَى فَاسْتَكْمَلَ حَقَّهُ وَثَبَتَ نَسَبُهُ وَهُوَ أَيْضًا بِمَنْزِلَةِ الْمَرْأَةِ تُقِرُّ بِالدَّيْنِ عَلَى أَبِيهَا أَوْ عَلَى زَوْجِهَا وَيُنْكِرُ ذَلِكَ الْوَرَثَةُ فَعَلَيْهَا أَنْ تَدْفَعَ إِلَى الَّذِي أَقَرَّتْ لَهُ بِالدَّيْنِ قَدْرَ الَّذِي يُصِيبُهَا مِنْ ذَلِكَ الدَّيْنِ لَوْ ثَبَتَ عَلَى الْوَرَثَةِ كُلِّهِمْ إِنْ كَانَتْ امْرَأَةً وَرِثَتْ الثُّمُنَ دَفَعَتْ إِلَى الْغَرِيمِ ثُمُنَ دَيْنِهِ وَإِنْ كَانَتْ ابْنَةً وَرِثَتْ النِّصْفَ دَفَعَتْ إِلَى الْغَرِيمِ نِصْفَ دَيْنِهِ عَلَى حِسَابِ هَذَا يَدْفَعُ إِلَيْهِ مَنْ أَقَرَّ لَهُ مِنْ النِّسَاءِ قَالَ مَالِك وَإِنْ شَهِدَ رَجُلٌ عَلَى مِثْلِ مَا شَهِدَتْ بِهِ الْمَرْأَةُ أَنَّ لِفُلَانٍ عَلَى أَبِيهِ دَيْنًا أُحْلِفَ صَاحِبُ الدَّيْنِ مَعَ شَهَادَةِ شَاهِدِهِ وَأُعْطِيَ الْغَرِيمُ حَقَّهُ كُلَّهُ وَلَيْسَ هَذَا بِمَنْزِلَةِ الْمَرْأَةِ لِأَنَّ الرَّجُلَ تَجُوزُ شَهَادَتُهُ وَيَكُونُ عَلَى صَاحِبِ الدَّيْنِ مَعَ شَهَادَةِ شَاهِدِهِ أَنْ يَحْلِفَ وَيَأْخُذَ حَقَّهُ كُلَّهُ فَإِنْ لَمْ يَحْلِفْ أَخَذَ مِنْ مِيرَاثِ الَّذِي أَقَرَّ لَهُ قَدْرَ مَا يُصِيبُهُ مِنْ ذَلِكَ الدَّيْنِ لِأَنَّهُ أَقَرَّ بِحَقِّهِ وَأَنْكَرَ الْوَرَثَةُ وَجَازَ عَلَيْهِ إِقْرَارُهُ


Yahya said that he heard Malik say, "The way of doing things generally agreed upon in our community in the case of a man who dies and has sons and one of them claims, 'My father confirmed that so-and- so was his son,' is that the relationship is not established by the testimony of one man, and the confirmation of the one who confirmed it is only permitted as regards his own share in the division of his father's property. The one testified for is only given his due from the share of the testifier." Malik said, "An example of this is that a man dies leaving two sons, and 600 dinars. Each of them takes 300 dinars. Then one of them testifies that his deceased father confirmed that so-and-so was his son. The one who testifies is obliged to give 100 dinars to the one thus connected. This is half of the inheritance of the one thought to be related, had he been related. If the other confirms him, he takes the other 100 and so he completes his right and his relationship is established. His position is similar to that of a woman who confirms a debt against her father or her husband and the other heirs deny it. She must pay to the person whose debt she confirms, the amount according to her share of the full debt, had it been confirmed against all the heirs. If the woman inherits an eighth, she pays the creditor an eighth of his debt. If a daughter inherits a half, she pays the creditor half of his debt. Whichever women confirm him, pay him according to this. Malik said, "If a man's testimony is in agreement with what the woman testified to, that so- and-so had a debt against his father, the creditor is made to take an oath with one witness and he is given all his due. This is not the position with women because a man's testimony is allowed and the creditor must take an oath with the testimony of his witness, and take all his due. If he does not take an oath, he only takes from the inheritance of the one who confirmed him according to his share of the debt, because he confirmed his right and the other heirs denied it. It is permitted for him to confirm it."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ