লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ২৩. খাদ্যদ্রব্য বিক্রয়ের বিবিধ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৫৬. মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহারই সদৃশ নজীর হইতেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযাবানাকে নিষেধ করিয়াছেন, (অথচ) আরায়াতে উহার খেজুরের অনুমান করিয়া বিক্রয় করার অনুমতি দিয়াছেন। এই পার্থক্যের কারণ এই, মুযাবানাতে ক্রয়-বিক্রয় হইতেছে পরস্পর বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ ও ব্যবসা করার প্রয়াসের ধারায়। আর আরায়ায় বিক্রয় হইতেছে অনুগ্রহস্বরূপ, ইহাতে পরস্পর বুদ্ধি খাটানোর কোন প্রতিযোগিতা নাই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করিল দিরহামের এক-চতুর্থাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ কিংবা উহার যেকোন অংশের বিনিময়ে এই শর্তে যে, এই মূল্যের বিনিময়ে খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হইবে মেয়াদে। [উদাহরণস্বরূপ যেমন-এক মাস পর] ইহা সঙ্গত (জায়েয) নহে। আর কোন ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করিল দিরহামের এক অংশের বিনিময়ে মেয়াদে। তারপর সে (পূর্ণ) এক দিরহাম প্রদান করিল এবং তাহার দিরহামের যেইটুকু অবশিষ্ট রহিল উহার বিনিময়ে সে অন্য কোন সামগ্ৰী ক্রয় করিল, ইহাতে কোন দোষ নাই। কারণ সে দিরহামের অংশ যাহা তাহার জিম্মায় (ওয়াজিব) ছিল তাহা প্রদান করিয়াছে এবং অবশিষ্ট দিরহামের বিনিময়ে (অন্য) সামগ্ৰী ক্রয় করিয়াছ, ইহাতে কোন দোষ নাই অর্থাৎ ইহা জায়েয আছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি আর এক ব্যক্তির নিকট একটি দিরহাম রাখিল। অতঃপর সেই ব্যক্তির নিকট হইতে দিরহামের এক-তৃতীয়াংশ অথবা এক-চতুর্থাংশ কিংবা নির্দিষ্ট কোন অংশে নির্দিষ্ট কোন সামগ্ৰী খরিদ করিল, ইহাতে কোন দোষ নাই। পক্ষান্তরে যদি উহাতে মূল্য জ্ঞাত না থাকে এবং (দিরহামওয়ালা) ব্যক্তি বলিল, আমি প্রতিদিনকার যাহা মূল্য হইবে তাহার বিনিময়ে ক্রয় করিব। ইহা জায়েয হইবে না। কারণ ইহা (এক প্রকার) ধোঁকা, দাম একবার কমিবে, আবার একবার বাড়িবে। তাহারা উভয়ে কোন সুনির্দিষ্ট ক্রয়-বিক্রয় হইতে পরস্পর পৃথক হয় নাই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি আন্দাজ করিয়া খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করিয়াছে এবং উহা হইতে কোন কিছু বাদ বা আলাদা করে নাই। অতঃপর বিক্রিত বস্তু হইতে কিছুটা ক্রেতা হইতে খরিদ করিতে সে ইচ্ছা করিল, তবে বিক্রিত বস্তু হইতে কিছুটা ক্রেতা হইতে খরিদ করিয়া রাখা তাহার জন্য জায়েয নহে। কিন্তু কেবলমাত্র সেই পরিমাণ ক্রয় করা জায়েয যেই পরিমাণ সেই বস্তু হইতে বাদ করা বা পৃথক করিয়া রাখা তাহার জন্য জায়েয রহিয়াছে। আর সেই পরিমাণ হইতেছে এক-তৃতীয়াংশ বা উহা হইতে কম, এক-তৃতীয়াংশ হইতে বেশি হইলে তাহা মুযাবানার দিকে এবং মাকরূহ (বেচাকেনা)-এর দিকে যাইবে। কাজেই (বিক্রেতার জন্য) উহা হইতে কিছুটা ক্রয় করা সঙ্গত নহে কিন্তু যে পরিমাণ উহা হইতে পৃথক করা (বাদ দেওয়া) তাহার জন্য জায়েয আছে সেই পরিমাণ (ক্রয় করিতে পরিবে)। আর এক-তৃতীয়াংশ বা উহা হইতে কম ছাড়া পৃথক করা তাহার জন্য জায়েয নহে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে আমাদের মধ্যে কোন মতানৈক্য নাই।
بَاب جَامِعِ بَيْعِ الطَّعَامِ
قَالَ مَالِك وَمِمَّا يُشْبِهُ ذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ الْمُزَابَنَةِ وَأَرْخَصَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِخَرْصِهَا مِنْ التَّمْرِ وَإِنَّمَا فُرِقَ بَيْنَ ذَلِكَ أَنَّ بَيْعَ الْمُزَابَنَةِ بَيْعٌ عَلَى وَجْهِ الْمُكَايَسَةِ وَالتِّجَارَةِ وَأَنَّ بَيْعَ الْعَرَايَا عَلَى وَجْهِ الْمَعْرُوفِ لَا مُكَايَسَةَ فِيهِ قَالَ مَالِك وَلَا يَنْبَغِي أَنْ يَشْتَرِيَ رَجُلٌ طَعَامًا بِرُبُعٍ أَوْ ثُلُثٍ أَوْ كِسْرٍ مِنْ دِرْهَمٍ عَلَى أَنْ يُعْطَى بِذَلِكَ طَعَامًا إِلَى أَجَلٍ وَلَا بَأْسَ أَنْ يَبْتَاعَ الرَّجُلُ طَعَامًا بِكِسْرٍ مِنْ دِرْهَمٍ إِلَى أَجَلٍ ثُمَّ يُعْطَى دِرْهَمًا وَيَأْخُذُ بِمَا بَقِيَ لَهُ مِنْ دِرْهَمِهِ سِلْعَةً مِنْ السِّلَعِ لِأَنَّهُ أَعْطَى الْكِسْرَ الَّذِي عَلَيْهِ فِضَّةً وَأَخَذَ بِبَقِيَّةِ دِرْهَمِهِ سِلْعَةً فَهَذَا لَا بَأْسَ بِهِ قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ عِنْدَ الرَّجُلِ دِرْهَمًا ثُمَّ يَأْخُذُ مِنْهُ بِرُبُعٍ أَوْ بِثُلُثٍ أَوْ بِكِسْرٍ مَعْلُومٍ سِلْعَةً مَعْلُومَةً فَإِذَا لَمْ يَكُنْ فِي ذَلِكَ سِعْرٌ مَعْلُومٌ وَقَالَ الرَّجُلُ آخُذُ مِنْكَ بِسِعْرِ كُلِّ يَوْمٍ فَهَذَا لَا يَحِلُّ لِأَنَّهُ غَرَرٌ يَقِلُّ مَرَّةً وَيَكْثُرُ مَرَّةً وَلَمْ يَفْتَرِقَا عَلَى بَيْعٍ مَعْلُومٍ قَالَ مَالِك وَمَنْ بَاعَ طَعَامًا جِزَافًا وَلَمْ يَسْتَثْنِ مِنْهُ شَيْئًا ثُمَّ بَدَا لَهُ أَنْ يَشْتَرِيَ مِنْهُ شَيْئًا فَإِنَّهُ لَا يَصْلُحُ لَهُ أَنْ يَشْتَرِيَ مِنْهُ شَيْئًا إِلَّا مَا كَانَ يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَسْتَثْنِيَهُ مِنْهُ وَذَلِكَ الثُّلُثُ فَمَا دُونَهُ فَإِنْ زَادَ عَلَى الثُّلُثِ صَارَ ذَلِكَ إِلَى الْمُزَابَنَةِ وَإِلَى مَا يُكْرَهُ فَلَا يَنْبَغِي لَهُ أَنْ يَشْتَرِيَ مِنْهُ شَيْئًا إِلَّا مَا كَانَ يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَسْتَثْنِيَ مِنْهُ وَلَا يَجُوزُ لَهُ أَنْ يَسْتَثْنِيَ مِنْهُ إِلَّا الثُّلُثَ فَمَا دُونَهُ وَهَذَا الْأَمْرُ الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ عِنْدَنَا
Malik said, "Another example of that is that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade the sale called muzabana and granted an indulgence in the ariya for computing the equivalent in dates. It was distinguished between them that the muzabana-sale was based on shrewdness and trade, and the ariya sale was based on a favour rendered, and there was no shrewdness in it."
Malik said, "A man must not buy food for a fourth, a third, or a fraction of a dirham on the basis that he be given that food on credit. There is no harm in a man buying food for a fraction of a dirham on credit and then he gives a dirham and takes goods with what remains of his dirham because he gave the fraction he owed as silver, and took goods to make up the rest of his dirham. There is no harm in that transaction."
Malik said, "There is no harm in a man placing a dirham with another man and then taking from him known goods for a fourth, third, or a known fraction. If there was not a known price on the goods and the man said, 'I will take them from you for the price of each day,' this is not halal because there is uncertainty. It might be less one time, and more another time, and they would not part with a known sale."
Malik said, "If someone sells some food without measuring precisely and does not exclude any of it from the sale and then it occurs to him to buy some of it, it is not good for him to buy any of it except what it would be permitted for him to exclude from it. That is a third or less. If it is more than a third, it becomes muzabana and is disapproved. He must only purchase from what he would be permitted to exclude, and he is only permitted to exclude a third or less than that. This is the way of doing things in which there is no dispute with us."