১২৫২

পরিচ্ছেদঃ

১২৫২। প্রকৃত পাথর হচ্ছে বাইতুল মাকদিসের পাথর যা খেজুর গাছের উপর রয়েছে আর খেজুর গাছ জান্নাতের নদীগুলোর একটি নদীর উপরে রয়েছে। খেজুর গাছের নীচে ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়্যাহ্ এবং মারইয়্যাম বিনতু ইমরান কিয়ামত দিবস পর্যন্ত জান্নাতীদের জন্য মণি মুক্তার মালা গাঁথছে।

হাদীসটি বানোয়াট।

হাদীসটি ইবনু আসাকির (১৯/২৭৪/১) ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু মিখলাদ হতে, তিনি ইসমাঈল ইবনু আইয়্যাশ হতে, তিনি সালাবা ইবনু মুসলিম খাস’য়ামী হতে, তিনি সুয়ুদ ইবনু আবদির রহমান হতে, তিনি খালেদ ইবনু মি’দান হতে, তিনি ওবাদাহ ইবনুস সামেত (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি বলেনঃ খালদ হতে সু’য়ূদ ব্যতীত অন্যরা বর্ণনা করে এটিকে কাবের কথা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এটিই সঠিকের সাথে বেশী সাদৃশ্যপূর্ণ।

হাদীসটিকে হাফিয যাহাবী মুহাম্মাদ ইবনু মিখলাদ রুয়াইনী হিমসীর জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে উল্লেখ করে বলেছেনঃ হাদিসটিকে আবূ বকর মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ওয়াসেতী আল-খতীব "ফাযাইলু বাইতিল মাকদিস" গ্রন্থে ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ পর্যন্ত এক অন্ধকারাচ্ছন্ন সনদে বর্ণনা করেছেন, আর তিনি মুহাম্মাদ ইবনু মিখলাদ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি একজন সুস্পষ্ট মিথ্যুক।

হাফিয যাহাবী মুহাম্মাদ ইবনু মিখলাদের জীবনীতে বলেনঃ তিনি বাতিল হাদীস বর্ণনা করেছেন ...। তিনি তার দু’টি হাদীস উল্লেখ করেছেন এটি সে দু’টির একটি।

হাফিয ইবনু হাজার "আল-লিসান" গ্রন্থে বলেনঃ ইবনু আদী মুহাম্মাদ ইবনু মিখলাদ সম্পর্কে বলেনঃ তিনি যার থেকেই বর্ণনা করেছেন তার থেকেই বর্ণনা করার ক্ষেত্রে তিনি মুনকারুল হাদীস। দারাকুতনী “গারাইবু মালেক” গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস।

এ ছাড়া অন্য হাদীসের মধ্যে যে বলা হয়েছেঃ “আজওয়া (খেজুর) এবং পাথরটি জান্নাতী”- এ হাদীসটি দুর্বল ইযতিরাব সংঘটিত হওয়ার কারণে। যেমনটি আমি "ইরওয়াউল গালীল" গ্রন্থে (২৭৬৩) বর্ণনা করেছি।

الصخرة صخرة بيت المقدس على نخلة، والنخلة على نهر من أنهار الجنة، وتحت النخلة آسية امرأة فرعون، ومريم بنت عمران ينظمان سموط أهل الجنة إلى يوم القيامة موضوع - رواه ابن عساكر (19/274/1) عن إبراهيم بن محمد: نا محمد بن مخلد: نا إسماعيل بن عياش عن ثعلبة بن مسلم الخثعمي عن (شعوذ) بن عبد الرحمن عن خالد بن معدان عن عبادة بن الصامت مرفوعا. وقال: رواه غيره عن خالد، فجعله من قول كعب وهو أشبه ثم ساق إسناده بذلك والحديث ساقه الذهبي في ترجمة محمد بن مخلد الرعيني الحمصي وقال: رواه أبو بكر محمد بن أحمد الواسطي الخطيب في " فضائل بيت المقدس " بإسناد مظلم إلى إبراهيم بن محمد عن محمد بن مخلد وهو كذب ظاهر وقال في ترجمة محمد بن مخلد: " حدث بالأباطيل من ذلك ثم ساق له حديثين هذا أحدهما وقال ابن حجر في " اللسان ": " قال ابن عدي: منكر الحديث عن كل من روى عنه (1) ، وقال الدارقطني في غرائب مالك: متروك الحديث ولقد شددت الرحل إلى بيت المقدس لأول مرة بتاريخ (23/5/1385 هـ) حين اتفقت حكومتا الأردن وسوريا على السماح لرعاياهما بدخول أفراد كل منهما إلى الأقصى وزرت الصخرة للاطلاع فقط؛ فإنه لا فضيلة لها شرعا، خلافا لزعم الجماهير من الناس ومشايعة الحكومات لها، ورأيت مكتوبا على بابها من الداخل حديثا فيه أن الصخرة من الجنة، ولم يخطر في بالي آنئذ أن أسجله عندي لدراسته، وإن كان يغلب على الظن أنه موضوع كهذا وأما حديث " العجوة والصخرة من الجنة فهو ضعيف لاضطرابه كما بينته في " إرواء الغليل " رقم (2763) طبع المكتب الإسلامي


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ