লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১২৫১। যে তোমাকে (হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে) সত্যবাদী মনে করে তোমার সে ভাইয়ের নিকট একটি হাদীস বর্ণনা করা বড়ই খিয়ানাত করা হবে যদি তুমি সে হাদীস দ্বারা মিথ্যা বর্ণনা কর।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি ইমাম বুখারী "আল-আদাবুল মুফরাদ" গ্রন্থে (৩৯৩), আবু দাউদ (৪৯৭১), ইবনু আদী “আল-কামেল” গ্রন্থে (২/২০৪), আল-কাযাঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (কাফ ১/৫১), বাইহাকী (১০/১৯৯) ও “আশ-শুয়াব” গ্রন্থে (২/৪৯/১) আর ইবনু আসাকির "তারীখু দেমাস্ক" গ্রন্থে (৫/৩৪১/২) বাকিয়্যাহ ইবনুল ওয়ালীদ সূত্রে যুবারাহ ইবনু মালেক হাযরামী হতে, তিনি আব্দুর রহমান ইবনু জুবায়ের ইবনে নুফায়ের হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি সুফিয়ান ইবনু উসায়েদ হাযরামী হতে ... বর্ণনা করেছেন।
ইবনু আদী বলেনঃ এ হাদীসটি যুবারাহ হতে বাকিয়্যাহ ইবনুল ওয়ালীদ ব্যতীত অন্য কেউ বর্ণনা করেছেন বলে আমি জানি না। তার এ কথা আজব ধরনের। কারণ, মুহাম্মাদ ইবনু যুবারাহও তার পিতা যুবারাহ হতে বর্ণনা করেছেন, যেমনটি তিনি (ইবনু আদী) নিজেই উল্লেখ করেছেন। সম্ভবত তিনি (ইবনু আদী) ভুলে গেছেন নাকি অন্য কিছু?
এ হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে বর্ণনাকারী এ যুবারাহ। কারণ, তিনি মাজহুল (অপরিচিত) যেমনটি “আল-মীযান” ও “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে। এ হাদীসের সমস্যা বাকিয়্যাহ নয়, যেমনটি "ফায়যুল কাদীর" গ্রন্থে মুনযেরীর উদ্ধৃতিতে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। কারণ, বাকিয়্যাহ থেকে তাদলীসের ভয় করা হয়, কিন্তু তিনি ইবনু আদী, কাযাঈ ও ইবনু আসাকিরের বর্ণনায় হাদীসটি যে শ্রবণ করেছেন তা সুস্পষ্ট করেছেন। অতএব হাদীসটি তার তাদলীস থেকে নিরাপদ। আর মুহাম্মাদ ইবনু যুবারাহ তার মুতাবা’য়াতও করেছেন। কিন্তু এ মুহাম্মাদের জীবনী পাচ্ছি না।
ইমাম আহমাদ (৪/১৮৩), বাইহাকী ও আবু নুয়াইম “আল-মুসতাখরীজ” (১/৮/২) এবং "আল-হিলইয়্যাহ" গ্রন্থে (৬/৯৯) এ হাদীসটিকে উমার ইবনু হারণ বালখী সূত্রে সাওর ইবনু ইয়াযীদ হতে, তিনি শুরাইহ ইবনু জুবায়ের ইবনে নুফায়ের হাযরামী হতে ... বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এটিও সহীহ নয়। আবু নুয়াইম বলেনঃ সাওর হতে বর্ণনাকৃত হাদীসটি গরীব। এটিকে উমর ইবনু হারণ বালখী এককভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি (বালখী) মাতরূক যেমনটি হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব” গ্রন্থে বলেছেন। মানবী যে হাফিয ইরাকীর উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ ’তার সনদটি ভাল’ এ কথাটি আসলে ভাল নয়। কারণ এ বালখীকে ইবনু মা’ঈন প্রমুখ মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন, যেমনটি ২৮৮ নং হাদীসের ব্যাখ্যায় আলোচিত হয়েছে।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তিনি খুবই দুর্বল হওয়ার কারণে তার হাদীস সাক্ষীমূলক বর্ণনা হওয়ার যোগ্য নয়।
كبرت خيانة أن تحدث أخاك حديثا هو لك مصدق وأنت له كاذب ضعيف - أخرجه البخاري في " الأدب المفرد " (393) وأبو داود (4971) وابن عدي في الكامل " (204/2) والقضاعي في " مسند الشهاب " (ق 151) والبيهقي (10/199) وفي " الشعب " 0 2/49/1) وابن عساكر في " تاريخ دمشق " (5/341/2) من طريق بقية بن الوليد عن ضبارة بن مالك الحضرمي عن عبد الرحمن بن جبير بن نفير أن أباه حدثه أن سفيان بن أسيد الحضرمي حدثه أنه سمع النبي صلى الله عليه وسلم يقول: فذكره ثم ساقه ابن عدي من طريق محمد بن ضبارة بن مالك الحضرمي سمع أباه يحدث عن أبيه عن عبد الرحمن بن جبير به. وقال:" وهذا الحديث لا أعلمه يرويه غير بقية عن ضبارة كذا قال، وهو عجب، فقد رواه محمد بن ضبارة أيضا عن أبيه ضبارة كما ساقه هو فهل نسي أم ماذا؟ وعلة هذا الإسناد إنما هي ضبارة هذا فإنه مجهول كما في " الميزان و" التقريب "، وليست هي بقية بن الوليد كما أشار إلى ذلك في " فيض القدير نقلا عن المنذري، فإن بقية إنما يخشى منه التدليس، وقد صرح بالتحديث عند ابن عدي والقضاعي وابن عساكر، فأمنا بذلك شر تدليسه، وقد تابعه محمد بن ضبارة كما تقدم، ولكني لم أجد لمحمد هذا ترجمة ولا يقوي الحديث أن له شاهدا من حديث النواس بن سمعان مرفوعا به أخرجه الإمام أحمد (4/183) : حدثنا عمر بن هارون عن ثور بن يزيد عن شريح بن جبير بن نفير الحضرمي عنه ومن هذا الوجه أخرجه البيهقي أيضا وأبو نعيم في " المستخرج " (1/8/2) وفي " الحلية " (6/99) وقال: " غريب من حديث ثور، تفرد به عمر بن هارون البلخي قلت: وهو متروك كما قال الحافظ في " التقريب ". فقول الحافظ العراقي فيما نقله المناوي: " سنده جيد " ليس بجيد، كيف والبلخي هذا قد كذبه ابن معين وغيره كما تقدم في الحديث (288) قلت: فلشدة ضعفه لا يصلح أن يستشهد بحديثه. والله الموفق