১১৮৭

পরিচ্ছেদঃ

১১৮৭। তোমরা মানুষের চরিত্রে চরিত্রবান হও আর তাদের কর্মের বিরোধিতা কর।

হাদীসটি খুবই দুর্বল।

হাদীসটি ওকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (পৃঃ ৪৫৫-৪৫৬) মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদ ইবনে ওয়ালীদ হতে, তিনি আবু তওবা রাবী’ ইবনু নাফে হতে, তিনি ইয়াযীদ ইবনু রাবী’য়াহ হতে, তিনি আবুল আশ’য়াছ সন’য়ানী হতে, তিনি আবূ উসমান হতে, তিনি সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

ওকায়লী ইয়াযীদ ইবনু রাবী’য়াহ আর-রাহাবীর জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন এবং ইমাম বুখারী হতে তার সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেনঃ তার নিকট বহু মুনকার হাদীস রয়েছে।

আমি (আলবানী) বলছিঃ তার জীবনী আলোচনা করতে গিয়ে হাফিয যাহাবীও “আল-মীযান” গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ আবু দাউদ প্রমুখ বলেনঃ তিনি দুর্বল। আর নাসাঈ বলেনঃ তিনি মাতরূক।

কিন্তু "আল-মুস্তাদরাক" গ্রন্থে ইয়াযীদ ইবনু রাবীয়াকে পাল্টিয়ে রাবীয়াহ ইবনু ইয়াযীদ করে ফেলা হয়েছে এবং আবু যার (রাঃ)-এর মুসনাদের অন্তর্ভুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আমি (আলবানী) জানিনা এরূপ ঘটেছে গ্রন্থকার নাকি বর্ণনাকারী নাকি কপি কারকের পক্ষ থেকে।

তিনি (হাকিম) বলেছেনঃ হাদীসটি শাইখায়নের শর্তানুযায়ী সহীহ। কিন্তু হাফিয যাহাবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ ইবনু ইয়াযীদ (সঠিক হচ্ছে ইবনু রাবীয়াহ) থেকে বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেননি। আর নাসাঈ প্রমুখ বলেনঃ তিনি মাতরূক। (যদিও হাফিয যাহাবী হাকিমের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছেনঃ ইবনু ইয়াযীদ। কিন্তু আসলে ইবনু ইয়াযীদ হবে না, বরং হবে ইবনু রাবীয়াহ, কারণ ইবনু রাবীয়াহ হতেই বুখারী ও মুসলিম হাদীস বর্ণনা করেননি)।

আমি (আলবানী) বলছিঃ বর্ণনাকারীদের মধ্যে রাবীয়াহ ইবনু ইয়াযীদ একজন ব্যতীত দ্বিতীয় কেউ নেই, আর তিনি হচ্ছেন আবু শু’য়াইব ইয়াদী দেমাস্কী আল-কাসীর। তিনি ইয়াযীদ ইবনু রাবী’য়ার উপরের স্তরের। তিনি একাধিক সাহাবী থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর তার থেকে একদল তাবোঈ এবং তাবেঈ ব্যতীত অন্যরাও বর্ণনা করেছেন যাদের মধ্যে আলোচ্য ইয়াযীদ ইবনু রাবীয়াও রয়েছেন যেমনটি “আত-তাহযীব” গ্রন্থে এসেছে। তিনি (রাবীয়াহ ইবনু ইয়াযীদ) ১২৩ হিজরীতে মারা গেছেন, তিনি (ইবনু রাবীয়াহ্) রাবীয়াহ ইবনু ইয়াযীদের স্তরেরও নন। অতএব কিভাবে তার থেকে আবু তওবা রাবী’ ইবনু নাফে বর্ণনাকারী হতে পারেন যিনি মারা গেছেন ২৪১ হিজরীতে। কারণ উভয়ের মৃত্যুর সময়ের পার্থক্য আশি বছরের।

এ কারণে “আল-মুস্তাদরাক” গ্রন্থে যে পরিবর্তন করে রাবীয়াহ ইবনু ইয়াযীদ বলা হয়েছে তা ভুল হওয়ার ব্যাপারে আমি কোন সন্দেহ পোষণ করছি না।

আমি (আলবানী) এ ভুলটি যে হাকিম কর্তৃকই ঘটেছে এটাকে দূরবর্তী মনে করছি না। কারণ তার কিতাবের মধ্যে বহু সন্দেহযুক্ত বর্ণনা রয়েছে। যেগুলোর ব্যাপারে হাদীস ও বর্ণনাকারীদের সম্পর্কে পণ্ডিত ব্যক্তিগণ অবগত রয়েছেন। কেউ কেউ তার পক্ষ থেকে এরূপ ওযর পেশ করেছেন যে, তিনি তার কিতাবকে পুনরায় দেখার পূর্বেই মারা যান এ কারণেই ভুলগুলো রয়ে গেছে। আল্লাহই বেশী জানেন। অতএব আলোচ্য ভাষায় হাদীসটি উক্ত বর্ণনাকারীর কারণে দুর্বল।

خالقوا الناس بأخلاقهم، وخالفوهم بأعمالهم ضعيف - أخرجه العقيلي في " الضعفاء " (ص 455 - 456) : حدثنا محمد بن أحمد بن الوليد : حدثنا أبو توبة الربيع بن نافع: حدثنا يزيد بن ربيعة عن أبي الأشعث الصنعاني عن أبي عثمان عن ثوبان عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال " كيف أنتم إذا كنتم في قوم قد درست عهو دهم، ومرجت أماناتهم، وصاروا حثالة هكذا - وشبك بين أصابعه - قالوا: كيف نصنع يا رسول الله؟ قال: صبرا صبرا، خالقوا ... ". وقال " هذا يروى بغير هذا الإسناد، وخلاف هذا اللفظ من طريق صالح " ذكره في ترجمة يزيد بن ربيعة الرحبي هذا، وروى عن البخاري أنه قال: " عنده مناكير " قلت: وفي ترجمته أيضا أورد الحديث الذهبي في " الميزان " وقال: " وقال أبو داود وغيره: ضعيف، وقال النسائي: متروك " وقد انقلب اسمه في " المستدرك " إلى " ربيعة بن يزيد "، وجعله من مسند " أبي ذر " لا من مسند " ثوبان "! ولست أدري أذلك من المؤلف أم الراوي أم الناسخ فقد أخرجه (3/343) من طريقين عن عثمان بن سعيد الدارمي: حدثنا أبو توبة الربيع بن نافع: حدثنا ربيعة بن يزيد عن أبي الأشعث النهدي عن أبي ذر قال قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم " يا أبا ذر كيف أنت.. " الحديث. وقال " صحيح على شرط الشيخين ". وتعقبه الذهبي بقوله " ابن يزيد لم يخرجوا له، قال النسائي وغيره: متروك " وأقول: ليس في الرواة: ربيعة بن يزيد سوى واحد، وهو أبو شعيب الإيادي الدمشقي القصير، وهو أعلى طبقة من يزيد بن ربيعة الرحبي، فإنه روى عن غير واحد من الصحابة، وعنه جماعة من التابعين وغيرهم منهم يزيد بن ربيعة هذا كما في " التهذيب " مات سنة (123) ، فليس هو من هذه الطبقة، كيف والراوي عنه أبو توبة الربيع بن نافع، وقد مات سنة (241) فبينهما نحوثمانين سنة؟ ولذلك فأنا أقطع بأن ما في " المستدرك ": " ربيعة بن يزيد " خطأ لا أدري منشأه، ومن الغرائب قول الذهبي في تعقبه السابق: " ابن يزيد.. " وإنما هو يزيد بن ربيعة الرحبي، وهو الذي يصح فيه قول الذهبي " لم يخرجوا له.. " إلخ ومن طريقه رواه البزار والطبراني في " الأوسط " كما في " المجمع " (7/283) ولا أستبعد أن يكون هذا الخطأ من الحاكم نفسه، فإن له في كتابه هذا أوهاما كثيرة، يعرفها أهل العلم بالحديث ورواته، وقد اعتذر بعضهم له؛ بأنه مات قبل أن يبيض كتابه. والله أعلم وأما قول العقيلي فيما تقدم " هذا يروى بغير هذا الإسناد.. " فكأنه يعني ما روى حبيب بن أبي ثابت عن عبد الله بن باباه قال: قال عبد الله " خالطوا الناس وزايلوهم، وصافوهم بما تشتهو ن، فدينكم لا تكلمونه " أخرجه الطبراني في " الكبير " (3/46/1) والبيهقي في " الزهد الكبير " (21/2) قلت: وإسناده صحيح لولا عنعنة حبيب؛ فإنه مدلس وأورده الهيثمي في " المجمع " (7/280) هكذا موقوفا وقال " رواه الطبراني بإسنادين رجال أحدهما ثقات قلت: وعلقه البخاري في " الأدب " من " الصحيح " (10/436 - فتح) وقال الحافظ " وصله الطبراني من طريق عبد الله بن باباه عن ابن مسعود قال: ... وأخرجه ابن المبارك في " كتاب البر والصلة " من وجه آخر عن ابن مسعود، وعن عمر مثله لكن قال: وانظروا لا تكلموا دينكم وقال البيهقي عقبه " روي عن علي رضي الله عنه. وأسنده بعض الضعفاء عن عبد الله، وليس بشيء قلت: وقد أخرجه الدارمي (1/92) عن علي موقوفا بلفظ " خالطوا الناس بألسنتكم وأجسادكم، وزايلوهم بأعمالكم وقلوبكم، فإن للمرء ما اكتسب، وهو يوم القيامة مع من أحب قلت: وإسناده حسن والحديث عزاه في " الجامع الكبير " (2/17/2) و" المنتخب " (1/132) للعسكري في " الأمثال " عن ثوبان نعم قد صح الحديث مرفوعا بلفظ خالطوهم بأجسادكم، وزايلوهم بأعمالكم وهو مخرج في " الصحيحة " رقم (452)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ