২৮৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়

২৮৫৯-[২৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উৎপাদিত ঘাসের মূল্য আদায়ের জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানির মূল্য গ্রহণ করতে পারবে না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْمَنْهِىِّ عَنْهَا مِنَ الْبُيُوْعِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يُبَاع فضل المَاء ليباع بِهِ الْكلأ»

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে উল্লেখিত (لِيُبَاعَ بِهِ الْكَلَأُ) এর অর্থ হলোঃ কোনো একটি কূপের চারপাশে ঘাস রয়েছে এবং সেখানে উক্ত কূপ ছাড়া অন্য কোনো পানির ব্যবস্থা নেই। সেখানকার মেষ পালক বা রাখালদের এবং মেষ পালগুলোর পানি পান করার অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকলে মালিক কর্তৃক কূপের পানি পান করতে নিষেধ করা হারাম। কেননা যাতে তারা তৃষ্ণাজনিত কারণে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। আর তাদের পানি পান করা নিষেধ করলে মূলত তা মেষ চড়ানোই নিষেধ করা হবে। জুমহূর ‘উলামাগণ এমনই ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

আর সহীহ মুসলিম-এর বর্ণনায় হিলাল ইবনু আবূ মায়মূনাহ্ (রহঃ)-এর সূত্রে .... আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, ‘‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি বিক্রি করা যাবে না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানির মূল্য গ্রহণ যদি বৈধই হত, তবে পানি বিক্রি করাও তো জায়িয হত। আল্লাহ তা‘আলাই অধিক জানেন। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৩৫৩)