লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ওয়াজেব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য
(১৯২০) মুআয (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’কোন মুসলিম যদি আল্লাহর রাহে এতটুকু সময় যুদ্ধ করে যতটুকু দু’বার উটনী দোহাবার মাঝে হয়, তাহলে তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। আর যে মুজাহিদকে আল্লাহর পথে কোন ক্ষত বা আঁচড় পৌঁছে, সে ক্ষত বা আঁচড় কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে, তা হতে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশী রক্তধারা প্রবাহিত হবে। (দৃশ্যতঃ) তার রং হবে জাফরান, আর তার গন্ধ হবে কস্ত্তরীর মত।’’ (আবূ দাঊদ ২৫৪৩, তিরমিযী ১৬৫৭, হাসান সহীহ)
অন্য শব্দে, ’’যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় দুইবার উটের দুচদ্ধ দোহন করার মধ্যবর্তী বিরতির সময়কাল পরিমাণ জিহাদ করে, তার পক্ষে জান্নাত অনিবার্য হয়ে যায়। যে ব্যক্তি সত্যনিষ্ঠার সাথে আল্লাহর নিকট তাঁর পথে শহীদী মত্যু প্রার্থনা (কামনা) করে, অতঃপর যদি সে (সাধারণ মরণে) মারা যায় অথবা খুন হয়ে যায়, তবুও সে শহীদের মতই সওয়াবের অধিকারী হয়। যে ব্যক্তির (দেহ) আল্লাহর রাস্তায় একটিবারও জখম হয় অথবা আঘাতে ক্ষত হয় (সে ব্যক্তির) ঐ জখম (বা ক্ষত) পূর্বের চেয়ে অধিক রক্তের ফিন্কি নিয়ে কিয়ামতে উপস্থিত হবে; যার রঙ হবে জাফরানের এবং গন্ধ হবে কস্ত্তরীর। আর আল্লাহর রাস্তায় (থাকা অবস্থায়) যে ব্যক্তির দেহে কোন ঘা বা ফোঁড়া বের হয়, (সেই ব্যক্তির দেহের) ঐ ঘায়ের উপর শহীদদের শীল-মোহর হবে।’’ (আহমাদ, আবু দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে হিব্বান, সহীহুল জামে ৬৪১৬)
وَعَن مُعَاذٍ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللهِ مِن رَجُلٍ مُسْلِمٍ فُوَاقَ نَاقَةٍ وَجَبَتْ لَهُ الجَنَّةُ وَمَنْ جُرِحَ جُرْحاً فِي سَبِيلِ اللهِ أَوْ نُكِبَ نَكْبَةً فَإِنَّهَا تَجِيءُ يَوْمَ القِيَامَةِ كَأَغْزَرِ مَا كَانَتْ : لَونُها الزَّعْفَرَانُ وَرِيحُهَا كَالمِسْكِ رواه أَبُو داود والترمذي، وقال حديث حسن