লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
২৫। আয়িশা (রাঃ) জানানঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর ফাতিমা (রাঃ) আবু বাকর (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিত্যক্ত সেই সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ ভাগ করে দিতে অনুরোধ করলেন, যা আল্লাহ তা’আলা তাকে দিয়েছেন। আবু বাকর (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের (অর্থাৎ নবীদের) সম্পত্তির কোন উত্তরাধিকারী থাকে না। আমরা যে সম্পত্তি রেখে যাই, তা সাদাকা মাত্র। এতে ফাতিমা (রাঃ) রেগে গেলেন। অতঃপর আবু বকর (রাঃ) এর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন এবং ফাতিমার মৃত্যু অবধি তিনি এই সম্পর্কচ্ছেদ অব্যাহত রাখলেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের পর ফাতিমা (রাঃ) ছয় মাস বেঁচে ছিলেন। ফাতিমা (রাঃ) আবু বাকরের নিকট খাইবার ও ফাদাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিত্যক্ত সম্পত্তি ও মদীনায় তাঁর সাদাকাস্বরূপ রেখে যাওয়া সম্পত্তির প্রাপ্য অংশ চাইলেন। আবু বাকর (রাঃ) তা দিতে অস্বীকার করলেন এবং বললেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছুই করতেন, আমি তার কিছুই করতে বাদ রাখবো না। বাদ রাখলে আমার আশঙ্কা যে, আমি বিপথগামী হয়ে যাবো।
অবশ্য মদীনায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাদাকাস্বরূপ যে সম্পত্তি রেখে গিয়েছিলেন, উমার (রাঃ) সে সম্পত্তিকে আলী (রাঃ) ও আব্বাস (রাঃ) এর দায়িত্বে সমর্পণ করেন। পরে আলী (রাঃ) তার ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। আর খাইবার ও ফাদাকের সম্পত্তি উমার (রাঃ) নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে দেন এবং বলেনঃ এ দুটো সম্পত্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাদাকা। এ দুটো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিজের ও তাঁর স্থলাভিষিক্তের অধিকারভুক্ত ছিল। যিনি শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন, তিনিই এ দুটোর তত্ত্বাবধায়ক থাকবেন। আজও পর্যন্ত এ দুটো সম্পত্তি সেইভাবেই রয়েছে।[১]
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَخْبَرَتْهُ: أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَتْ أَبَا بَكْرٍ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَقْسِمَ لَهَا مِيرَاثَهَا مِمَّا تَرَكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا أَفَاءَ اللهُ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهَا أَبُو بَكْرٍ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ "، فَغَضِبَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلامُ، فَهَجَرَتْ أَبَا بَكْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، فَلَمْ تَزَلْ مُهَاجِرَتَهُ حَتَّى تُوُفِّيَتْ، قَالَ: وَعَاشَتْ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّةَ أَشْهُرٍ. قَالَ: وَكَانَتْ فَاطِمَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا تَسْأَلُ أَبَا بَكْرٍ نَصِيبَهَا مِمَّا تَرَكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَيْبَرَ وَفَدَكَ، وَصَدَقَتِهِ بِالْمَدِينَةِ، فَأَبَى أَبُو بَكْرٍ عَلَيْهَا ذَلِكَ وَقَالَ: لَسْتُ تَارِكًا شَيْئًا كَانَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْمَلُ بِهِ إِلَّا عَمِلْتُ بِهِ، إِنِّي أَخْشَى إِنْ تَرَكْتُ شَيْئًا مِنْ أَمْرِهِ أَنْ أَزِيغَ. فَأَمَّا صَدَقَتُهُ بِالْمَدِينَةِ فَدَفَعَهَا عُمَرُ إِلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ، فَغَلَبَهُ عَلَيْهَا عَلِيٌّ، وَأَمَّا خَيْبَرُ وَفَدَكُ فَأَمْسَكَهُمَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، وَقَالَ: هُمَا صَدَقَةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَانَتَا لِحُقُوقِهِ الَّتِي تَعْرُوهُ، وَنَوَائِبِهِ، وَأَمْرُهُمَا إِلَى مَنْ وَلِيَ الْأَمْرَ. قَالَ: فَهُمَا عَلَى ذَلِكَ الْيَوْمَ إسناده صحيح على شرط الشيخين يعقوب: هو ابن ابراهم بن سعد بن إبراهيم بن عبد الرحمن بن عوف الزهري، وصالح: هو ابن كيسان وأخرجه مسلم (1759) ، وأبو داود (2970) ، وأبو يعلى (43) من طريق يعقوب بن إبراهيم، بهذا الإسناد وأخرجه البخاري (3092) ، والبيهقي 6 / 300 من طريق عبد العزيز بن عبد الله الأويسي، عن إبراهيم بن سعد، به. وقد تقدم برقم (9)