৪৫৭৭

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

সুরা ’আবাসা

عَبَسَ وَتَوَلَّى كَلَحَ وَأَعْرَضَ وَقَالَ غَيْرُهُ مُطَهَّرَةٍ لَا يَمَسُّهَا إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ وَهُمْ الْمَلَائِكَةُ وَهَذَا مِثْلُ قَوْلِهِ فَالْمُدَبِّرَاتِ أَمْرًا جَعَلَ الْمَلَائِكَةَ وَالصُّحُفَ مُطَهَّرَةً لِأَنَّ الصُّحُفَ يَقَعُ عَلَيْهَا التَّطْهِيرُ فَجُعِلَ التَّطْهِيرُ لِمَنْ حَمَلَهَا أَيْضًا سَفَرَةٍ الْمَلَائِكَةُ وَاحِدُهُمْ سَافِرٌ سَفَرْتُ أَصْلَحْتُ بَيْنَهُمْ وَجُعِلَتْ الْمَلَائِكَةُ إِذَا نَزَلَتْ بِوَحْيِ اللَّهِ وَتَأْدِيَتِهِ كَالسَّفِيرِ الَّذِي يُصْلِحُ بَيْنَ الْقَوْمِ وَقَالَ غَيْرُهُ تَصَدَّى تَغَافَلَ عَنْهُ وَقَالَ مُجَاهِدٌ لَمَّا يَقْضِ لَا يَقْضِي أَحَدٌ مَا أُمِرَ بِهِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ تَرْهَقُهَا تَغْشَاهَا شِدَّةٌ مُسْفِرَةٌ مُشْرِقَةٌ بِأَيْدِي سَفَرَةٍ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَتَبَةٍ أَسْفَارًا كُتُبًا تَلَهَّى تَشَاغَلَ يُقَالُ وَاحِدُ الْأَسْفَارِ سِفْرٌ

عَبَسَ সে ভ্রূকুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল। مُطَهَّرَة অর্থ যারা পূত-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ তা স্পর্শ করে না। এখানে পূত-পবিত্র বলে মালাইকাকে বোঝানো হয়েছে। উল্লিখিত আয়াতটি আল্লাহর বাণীঃ فَالْمُدَبِّرَاتِ أَمْرًا এর অনুরূপ। পূর্বের আয়াতে মালাক এবং সহীফা উভয়কেই مُطَهَّرَةً বলা হয়েছে। অথচ التَّطْهِيْرُ এর সম্পর্ক মূলতঃ সহীফার সঙ্গে, মালায়িকার সঙ্গে নয়। তবে মালাক যেহেতু উক্ত সহীফার হামিল ও বাহক, এই হিসাবে মালাককেও مُطَهَّرَةً বলা হয়েছে। سَفَرَةٍ অর্থ মালাক (ফেরেশতা)। এর এক বচন হচ্ছে سَافِرٌ।سَفَرْتُ أَصْلَحْتُ بَيْنَهُمْ আমি তাদের বিবাদ মিটিয়ে দিয়েছি। ওয়াহী অবতীর্ণ করত তা নবীদের (নবীদের) পর্যন্ত পৌঁছানোর দায়িত্ব অর্পণ করে আল্লাহ্ রাববুল আলামীন মালাকগণকে السَّفِيْرِ (দূত) সদৃশ ঘোষণা করেছেন যিনি কওমের পরস্পর বিবাদ মীমাংসা করেন। অন্যান্য মুফাস্সির বলেছেন, تَصَدَّى সে এর থেকে অমনোযোগিতা প্রকাশ করেছে। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, لمَاَّ يَقْضِيْ তিনি তাকে যা আদেশ করেছেন, সে এখনও তা পুরাপুরি করেনি। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, تَرْهَقُهَا মানে সেগুলোকে আচ্ছন্ন করবে এক মহাবিপদ। مُسْفِرَةٌ উজ্জ্বল। بِأَيْدِيْ سَفَرَةٍ লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতা। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) আরো বলেন, أَسْفَارًا কিতাবসমূহ। تَلَهَّى তুমি ব্যস্ত হলে। বলা হয়أَسْفَارِ এর একবচন سِفْرٌ।


৪৫৭৭। আদম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, কুর’আনের হাফেজ পাঠক লিপিকর সম্মানিত ফেরেশতার মত। অতি কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যাক্তি বারবার কুর’আন তিলাওয়াত করে, সে দ্বিগুণ পুরস্কার পাবে।

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ سَمِعْتُ زُرَارَةَ بْنَ أَوْفَى، يُحَدِّثُ عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَثَلُ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَهْوَ حَافِظٌ لَهُ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ، وَمَثَلُ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَهْوَ يَتَعَاهَدُهُ وَهْوَ عَلَيْهِ شَدِيدٌ، فَلَهُ أَجْرَانِ ‏"‏‏.‏


Narrated Aisha: The Prophet (ﷺ) said, "Such a person as recites the Qur'an and masters it by heart, will be with the noble righteous scribes (in Heaven). And such a person exerts himself to learn the Qur'an by heart, and recites it with great difficulty, will have a double reward."