১৫৪

পরিচ্ছেদঃ ১৪: ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

৯/১৫৪। আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনু ’আস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমার ব্যাপারে সংবাদ দেওয়া হল যে, আমি বলছি, ’আল্লাহর কসম! আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন দিনে রোযা রাখব এবং রাতে নফল নামায পড়ব।’ সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ’’তুমি এ কথা বলছ?’’ আমি তাঁকে বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! নিঃসন্দেহে আমি এ কথা বলেছি, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক।’ তিনি বললেন, ’’তুমি এর সাধ্য রাখ না। অতএব তুমি রোযা রাখ এবং (কখনো) ছেড়েও দাও। অনুরূপ (রাতের কিছু অংশে) ঘুমাও এবং (কিছু অংশে) নফল নামায পড় ও মাসে তিন দিন রোযা রাখ। কারণ, নেকীর প্রতিদান দশগুণ রয়েছে। তোমার এই রোযা জীবনভর রোযা রাখার মত হয়ে যাবে।’’ আমি বললাম, ’আমি এর অধিক করার শক্তি রাখি।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি একদিন রোযা রাখ, আর দু’দিন রোযা ত্যাগ কর।’’ আমি বললাম, ’আমি এর বেশী করার শক্তি রাখি।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে একদিন রোযা রাখ, আর একদিন রোযা ছাড়। এ হল দাঊদ ’আলাইহিস সালাম-এর রোযা। আর এ হল ভারসাম্যপূর্ণ রোযা।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, ’’এটা সর্বোত্তম রোযা।’’ কিন্তু আমি বললাম, ’আমি এর চেয়ে বেশী (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) রাখার ক্ষমতা রাখি।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’এর চেয়ে উত্তম রোযা আর নেই।’’ (আব্দুল্লাহ বলেন,) ’যদি আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ অনুযায়ী (প্রত্যেক মাসে) তিন দিন রোযা রাখার পদ্ধতি গ্রহণ করতাম, তাহলে তা আমার নিকট আমার পরিবার ও সম্পদ অপেক্ষা প্রিয় হত।’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন,) ’’আমি কি এই সংবাদ পাইনি যে, তুমি দিনে রোযা রাখছ এবং রাতে নফল নামায পড়ছ?’’ আমি বললাম, ’সম্পূর্ণ সত্য, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ’’পুনরায় এ কাজ করো না। তুমি রোযাও রাখ এবং (কখনো) ছেড়েও দাও। নিদ্রাও যাও এবং নামাযও পড়। কারণ তোমার উপর তোমার দেহের অধিকার আছে। তোমার উপর তোমার চক্ষুদ্বয়ের অধিকার আছে। তোমার উপর তোমার স্ত্রীর অধিকার আছে এবং তোমার উপর তোমার অতিথির অধিকার আছে। তোমার জন্য প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোযা রাখা যথেষ্ট। কেননা, প্রত্যেক নেকীর পরিবর্তে তোমার জন্য দশটি নেকী রয়েছে আর এটা জীবনভর রোযা রাখার মত।’’ কিন্তু আমি কঠোরতা অবলম্বন করলাম। যার ফলে আমার উপর কঠিন করে দেওয়া হল। আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি সামর্থ্য রাখি।’ তিনি বললেন, ’’তুমি আল্লাহর নবী দাউদ ’আলাইহিস সালাম-এর রোযা রাখ এবং তার চেয়ে বেশী করো না।’’ আমি বললাম, ’দাউদের রোযা কেমন ছিল?’ তিনি বললেন, ’’অর্ধেক জীবন।’’ অতঃপর আব্দুল্লাহ বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর বলতেন, ’হায়! যদি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুমতি গ্রহণ করতাম (তাহলে কতই না ভাল হত)!’

আর এক বর্ণনায় আছে, (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন,) ’’আমি সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি সর্বদা রোযা রাখছ এবং প্রত্যহ রাতে কুরআন (খতম) পড়ছ।’’ আমি বললাম, ’(সংবাদ) সত্যই, হে আল্লাহর রাসূল! কিন্তু এতে আমার উদ্দেশ্য ভাল ছাড়া অন্য কিছু নয়।’ তিনি বললেন, ’’তুমি আল্লাহর নবী দাউদের রোযা রাখ। কারণ, তিনি লোকের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ইবাদতগুযার ছিলেন। আর প্রত্যেক মাসে (একবার কুরআন খতম) পড়।’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর নবী! আমি এর অধিক করার শক্তি রাখি।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি কুড়ি দিনে (কুরআন খতম) পড়।’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর নবী! আমি এর থেকে বেশী করার সামর্থ্য রাখি।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি প্রত্যেক দশদিনে (কুরআন খতম) পড়।’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর নবী! আমি এর চেয়েও বেশী ক্ষমতা রাখি।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি প্রত্যেক সাতদিনে (খতম) পড় এবং এর বেশী করো না (অর্থাৎ এর চাইতে কম সময়ে কুরআন খতম করো না।)’’ কিন্তু আমি কঠোরতা অবলম্বন করলাম। যার ফলে আমার উপর কঠিন করে দেওয়া হল। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছিলেন, ’’তুমি জান না, সম্ভবতঃ তোমার বয়স সুদীর্ঘ হবে।’’ আব্দুল্লাহ বলেন, সুতরাং আমি ঐ বয়সে পৌঁছে গেলাম, যার কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছিলেন। অবশেষে আমি যখন বৃদ্ধ হয়ে গেলাম, তখন আমি আকাঙ্ক্ষা করলাম, হায়! যদি আমি আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুমতি গ্রহণ করে নিতাম।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন,) ’’আর তোমার উপর তোমার সন্তানের অধিকার আছে---।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’তার কোন রোযা নেই (অর্থাৎ রোযা বিফল যাবে) সে সর্বদা রোযা রাখে।’’ এ কথা তিনবার বললেন।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’আল্লাহর নিকট প্রিয়তম রোযা হচ্ছে দাউদ ’আলাইহিস সালাম-এর রোযা এবং আল্লাহর নিকট প্রিয়তম নামায হচ্ছে দাউদ ’আলাইহিস সালাম-এর নামায। তিনি মধ্য রাতে শুতেন এবং তার তৃতীয় অংশে নামায পড়তেন এবং তার ষষ্ঠ অংশে ঘুমাতেন। তিনি একদিন রোযা রাখতেন ও একদিন রোযা ছাড়তেন। আর যখন শত্রুর সামনা-সামনি হতেন তখন (রণভূমি হতে) পলায়ন করতেন না।’’

আরোও এক বর্ণনায় আছে, (আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর) বলেন, আমার পিতা আমার বিবাহ এক উচ্চ বংশের মহিলার সঙ্গে দিয়েছিলেন। তিনি পুত্রবধুর প্রতি খুবই লক্ষ্য রাখতেন। তিনি তাকে তার স্বামী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। সে বলত, ’এত ভালো লোক যে, সে কদাচ আমার বিছানায় পা রাখেনি এবং যখন থেকে আমি তার কাছে এসেছি, সে কোনদিন আবৃত জিনিস স্পর্শ করেনি (অর্থাৎ মিলনের ইচ্ছাও ব্যক্ত করেনি।)’ যখন এই আচরণ অতি লম্বা হয়ে গেল, তখন তিনি (আব্দুল্লাহর পিতা) এ কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালেন। অতঃপর তিনি বললেন, ’’তাকে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বল।’’ সুতরাং পরবর্তীতে আমি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। অতঃপর তিনি বললেন, ’’তুমি কিভাবে রোযা রাখ?’’ আমি বললাম, ’প্রত্যেক দিন।’ তিনি বললেন, ’’কিভাবে কুরআন খতম কর?’’ আমি বললাম, ’প্রত্যেক রাতে।’ অতঃপর তিনি ঐ কথাগুলি বর্ণনা করলেন, যা পূর্বে গত হয়েছে। তিনি (আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর) তাঁর পরিবারের কাউকে (কুরআনের) ঐ সপ্তম অংশ পড়ে শুনাতেন, যা তিনি (রাতের নফল নামাযে) পড়তেন। দিনের বেলায় তিনি তা পুনঃ পড়ে নিতেন, যাতে তার তার উপর সহজ হয়। আর যখন তিনি শক্তিমান হতে চাইতেন তখন কয়েকদিন রোযা ভাঙ্গতেন আর গুণে রাখতেন, তারপর সে দিনগুলোর অনুপাতে রোযা রাখতেন, যাতে করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যে অবস্থার উপর ছেড়েছেন সে অবস্থার ব্যতিক্রম হয় এমন অপছন্দনীয় কাজ সংঘটিত না হয়। এ বর্ণনাগুলো সবই সহীহ বর্ণনা; যার বেশিরভাগই বুখারী ও মুসলিমে এসেছে অথবা এ দুটির একটিতে আছে।[1]

(14) - باب في الاقتصاد في العبادة

وعن أبي محمد عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما قال‏:‏ أخبر النبي صلى الله عليه وسلم أني أقول‏:‏ والله لأصومن النهار، ولأقومن الليل ماعشت، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ أنت الذي تقول ذلك‏؟‏ فقلت له‏:‏ قد قلته بأبى أنت وأمى يا رسول الله‏.‏ قال‏:‏‏"‏فإنك لا تستطيع ذلك؛ فصم وأفطر، ونم وقم، وصم من الشهر ثلاثة أيام فإن الحسنة بعشر أمثالها، وذلك مثل صيام الدهر‏"‏ قلت‏:‏ فإنى أطيق أفضل من ذلك قال‏:‏ فصم يوما وأفطر يومين، قلت‏:‏ فإنى أطيق أفضل من ذلك، قال‏:‏ ‏"‏فصم يوماً وأفطر يوماً، فذلك صيام داود صلى الله عليه وسلم، وهو أعدل الصيام‏"‏‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏وهو أفضل الصيام‏"‏ فقلت ‏:‏ فإني أطيق أفضل من ذلك‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم‏:‏ ‏"‏ لا أفضل من ذلك‏"‏ ولأن أكون قبلت الثلاثة الأيام التي قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أحب إلي من أهلي وما لي‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏ألم أخبر أنك تصوم النهار وتقوم الليل‏؟‏‏"‏ قلت ‏:‏ بلى يا رسول الله قال‏:‏ ‏"‏فلا تفعل‏:‏ صم وأفطر ، ونم وقم فإن لجسدك عليك حقاً، وإن لعينيك عليك حقاً، وإن لزوجك عليك حقاً، وإن لزورك عليك حقاً، وإن بحسبك أن تصوم في كل شهر ثلاثة أيام ، فإن لك بكل حسنة عشر أمثالها، فإن ذلك صيام الدهر‏"‏ فشددت فشدد علي، قلت‏:‏ يا رسول الله إني أجد قوة، قال‏:‏ ‏"‏صم صيام نبي الله داود ولا تزد عليه‏"‏ قلت‏:‏ وما كان صيام داود‏؟‏ قال‏:‏ ‏"‏نصف الدهر‏"‏ فكان عبد الله يقول بعدما كبر‏:‏ يا ليتني قبلت رخصة رسول الله صلى الله عليه وسلم‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏ ألم أخبر أنك تصوم الدهر، وتقرأ القرآن كل ليلةٍ‏؟‏‍‍‍‍‍‍‏"‏ فقلت‏:‏ بلى يا رسول الله، ولم أرد بذلك إلا الخير قال‏:‏ ‏"‏فصم صوم نبي الله داود، فإنه كان أعبد الناس، واقرأِ القرآن كل شهرٍ‏"‏ قلت‏:‏ يا نبي الله إني أطيق أفضل من ذلك‏؟‏ قال‏:‏ ‏"‏فاقرأه في كل عشرين‏"‏ قلت‏:‏ يا نبي الله إني أطيق أفضل من ذلك‏؟‏ قال‏:‏ ‏"‏فاقرأه في كل عشر‏"‏ قلت يا نبي الله إني أطيق أفضل من ذلك‏؟‏ قال‏:‏ ‏"‏فاقرأه في كل سبع ولا تزد على ذلك‏"‏‏.‏ فشددت فشدد علي ، وقال لي النبي صلى الله عليه وسلم‏:‏ ‏"‏إنك لا تدري لعلك يطول بك عمر‏"‏ قال‏:‏ فصرت إلى الذي قال لي النبي صلى الله عليه وسلم، فلما كبرت وددت أني كنت قبلت رخصة نبي الله صلى الله عليه وسلم‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏ وإن لولدك عليك حقاً‏"‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏ لا صام من صام الأبد‏"‏ ثلاثاً‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏أحب الصيام إلى الله تعالى صيام داود، وأحب الصلاة إلى الله تعالى صلاة داود‏:‏ كان ينام نصف الليل، ويقوم ثلثه، وينام سدسه، وكان يصوم يوما ويفطر يوماً، ولا يفر إذا لاقى‏"‏‏.‏ وفي رواية‏:‏ أنكحني أبي امرأة ذات حسب، وكان يتعاهد كنته-أي ‏:‏ امرأة ولده- فيسألها عن بعلها، فتقول له ‏:‏ نعم الرجل من رجل لم ييطأ لنا فراشاً ولم يفتش لنا كنفاً منذ أتيناه‏.‏ فلما طال ذلك عليه ذكر ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم‏.‏ فقال‏:‏ ‏"‏القنى به‏"‏ فلقيته بعد ذلك فقال‏:‏ ‏"‏كيف تصوم‏؟‏‏"‏ قلت كل يوم، قال‏:‏ ‏"‏وكيف تختم‏؟‏‏"‏ قلت‏:‏ كل ليلةٍ، وذكر نحون ما سبق ، وكان يقرأ على بعض أهله السبع الذي يقرؤه، يعرضه من النهار ليكون أخف عليه بالليل، وإذا أراد أن يتقوى أفطر أياماً وأحصى وصام مثلهن كراهية أن يترك شيئاً فارق عليه النبي صلى الله عليه وسلم‏.‏ كل هذه الروايات صحيحة معظمها في الصحيحين وقليل منها في أحدهما‏.‏ ‏.‏

(14) Chapter: Moderation in Worship


'Abdullah bin 'Amr bin Al-'as (May Allah be pleased with them) reported: The Prophet (ﷺ) was informed that I said that I would perform prayers the whole night and observe fasting every day as long as I live. Messenger of Allah (ﷺ) said, "Is it you who said this?" I said to him, "O Messenger of Allah! I ransom you with my parents, it is I who said that." Messenger of Allah (ﷺ) said, "You will not be able to do that. Observe fast and break it; sleep and get up for prayer, and observe fast for three days during the month; for every good is multiplied ten times and that will be equal to fasting the whole year." I said, "O Messenger of Allah! I can do more than that." He said, "Observe fast one day and leave off the next two days." I said, "O Messenger of Allah! I have strength to do more than that." Messenger of Allah (ﷺ) said, "Observe fast every other day, and that is the fasting of Dawud (ﷺ) and that is the most moderate fasting". According to another narration: Messenger of Allah (ﷺ) said, "That is the best fasting." I said, "But I am capable of doing more than this". Thereupon, Messenger of Allah (ﷺ) said, "There is nothing better than this." 'Abdullah bin 'Amr (May Allah be pleased with them) said (when he grew old): "Had I accepted the three days (fasting during every month) as the Messenger of Allah had said, it would have been dearer to me than my family and my property". In another narration 'Abdullah is reported to have said: Messenger of Allah (ﷺ) said to me, "O 'Abdullah! Have I not been informed that you observe fast during the day and offer prayer all the night." I replied, "Yes, O Messenger of Allah!" Messenger of Allah (ﷺ) said, "Don't do that. Observe fast for few days and then leave off for few days, perform prayers and also sleep at night, as your body has a right upon you, and your eyes have a right upon you; and your wife has a right upon you; your visitors have a right upon you. It is sufficient for you to observe fast three days in a month, as the reward of good deeds is multiplied ten times, so it will be like fasting the whole year." I insisted (on fasting) and so I was given a hard instruction. I said, "O Messenger of Allah! I have strength." Messenger of Allah (ﷺ) said, "Observe fast like the fasting of Prophet Dawud (ﷺ); and do not fast more than that." I said: "How was the fasting of Prophet Dawud?" He (ﷺ) said, "Half of the year (i.e., he used to fast on every alternate day)." Afterwards when 'Abdullah (May Allah be pleased with him) grew old, he used to say: "Would that I had availed myself of the concession granted to me by Messenger of Allah." In another narration 'Abdullah is reported to have said: Messenger of Allah (ﷺ) said, "I have been informed that you observe fast continuously and recite (the whole of the Qur'an) every night." I said, "Messenger of Allah! It is right, but I covet thereby nothing but good," whereupon he (ﷺ) said, "Then observe fasts like the fasting of Prophet Dawud (ﷺ) as he was the most ardent worshipper of Allah; recite the Qur'an once every month." I said, "O Prophet of Allah! I am capable of doing more than that." He said, "Then recite it (the complete Qur'an) in every twenty days." I said, "O Prophet of Allah I am capable of reciting more than that." He said, "Then recite it once in every ten days." I said, "O Prophet of Allah! I am capable of reciting more than that." He said, "Then recite it once in every seven days, but not recite more than that." The Prophet of Allah also said to me, "You do not know, you may have a longer life". When I grew old I wished I had availed myself of the concession (granted to me by) the Prophet of Allah. In another narration 'Abdullah is reported to have said: Messenger of Allah (ﷺ) said, "The best fasting with Allah is that of (Prophet) Dawud, and the best prayer with Allah is that of Dawud (ﷺ) for he would sleep half of the night and stand for prayer for the third of it and (then) would sleep sixth part of it; he observed fast one day and leave off the other. He would not flee on meeting the enemy". In another narration 'Abdullah is reported to have said: My father helped me marry a noble woman and he used to inquire of his daughter-in-law regarding her husband. She would say: "He is, indeed, a fine man. Since I have come to him, he has neither stepped on my bed nor he has had sexual intercourse with me". When this state of affairs lasted for some time, my father mentioned the matter to Messenger of Allah (ﷺ) who directed my father saying, "Send him to me". I went to him accordingly. He asked me, "How often do you observe fast?" I replied; "Daily". He asked me, "How long do you take in reading the Noble Qur'an completely." I said, "Once every night". Then he narrated the whole story. He (in his old age) would recite one seventh of his nightly recitation to some members of his family during the day to lighten his task at night. Whenever he wished to have a relief from his fast on alternate days, he would give up fasting for a few days and make up deficiency later by observing the number of fasts he had missed. He would not give up the number of fasts altogether because he did not like to abandon what he had settled with Messenger of Allah (ﷺ).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ