পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৪১৮৬-[২৮] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে মার্রম্নয্ যাহরান নামক স্থানে ছিলাম, এ সময় আমরা কাবাস (পিলু বা বাবলা গাছের ফল) সংগ্রহ করছিলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমরা শুধুমাত্র কালোগুলোই চয়ন করো। কেননা এটাই উত্তম। (জাবির বলেনঃ) তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি বকরী চরাতেন? (কারণ তারাই তো বন-জঙ্গলের ফল সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা রাখে।) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ, এমন কোন নবীই নেই যিনি বকরী চরাননি।(বুখারী ও মুসলিম)[1]
الْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَرِّ الظَّهْرَانِ نَجْنِي الْكَبَاثَ فَقَالَ: «عَلَيْكُم بالأسْوَدِ مِنْهُ فإِنَّه أَطْيَبُ» فَقِيلَ: أَكُنْتَ تَرْعَى الْغَنَمَ؟ قَالَ: «نَعَمْ وهلْ منْ نبيٍّ إِلاَّ رعاها؟»
ব্যাখ্যাঃ (نَجْنِىْ الْكَبَاثَ) ‘‘আমরা কাবাস আহরণ করছিলাম’’ কাবাস বলা হয় পিলু বা বাবলা গাছের ফলকে যা মরুভূমিতে জন্মে।
(عَلَيْكُم بِالْأَسْوَدِ مِنْهُ) ‘‘তোমরা পিলু ফলের মধ্যে যা কালো রং এর তা সংগ্রহ কর।’’
(فإِنَّهٗ أَطْيَبُ) ‘‘কেননা তা খেতে অধিক সুস্বাদু এবং অধিক উপকারী।’’
(فَقِيلَ: أَكُنْتَ تَرْعَى الْغَنَمَ؟) ‘‘তখন তাকে বলা হলো আপনি কি ছাগল চরাতেন’’। যার ফলে আপনি পিলু ফলের ভালো-মন্দ সম্পর্কে অবহিত। কেননা ছাগলের রাখালেরা মরুভূমিতে অধিক যাতায়াতের কারণে তাতে পাওয়া গাছের ফলের গুণাগুণ সম্পর্ক অন্যদের তুলনায় অধিক জ্ঞানী হয়ে থাকে।
(قَالَ:نَعَمْ وَهَلْ مِنْ نَبِىٍّ إِلاَّ رَعَاهَا؟) ‘‘তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ। আর সকল নবীগণই ছাগল চড়িয়েছেন’’। ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার প্রতি লোভীদের মাঝে নুবুওয়াত দান করেননি, বরং ছাগলের রাখাল এবং পেশায় নম্র আচরণকারীদের মাঝেই নুবুওয়াত দেয়ার হিকমাত এই যে, এর ফলে তারা নম্র হৃদয়ের অধিকারী হয়। যাতে তারা দুর্বল লোকেদের সাথে নম্র আচরণকারী হয়।
(মিরক্বাতুল মাফাতীহ; শারহুন্ নাবাবী ১৪শ খন্ড, হাঃ ২০৫০)