হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৩৭৩

পরিচ্ছেদঃ ৪২. ঋণ গ্রহীতার দরিদ্র হওয়া

রেওয়ায়ত ৮৯. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি দরিদ্র হইয়াছে এবং কোন ব্যক্তি তাহার মাল হুবহু তাহার নিকট পায় তবে সে অন্যের তুলনায় সেই মালের অধিক হকদার হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির নিকট কোন পণ্য বা খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করিয়াছে। অতঃপর ক্রেতা দরিদ্র হইয়া গিয়াছে, তবে বিক্রেতা তাহার পণ্যের হুবহু কিছু পাইলে সে এই পণ্য গ্রহণ করিবে। যদি ক্রেতা উহার কিছু অংশ বিক্রয় করিয়া থাকে এবং উহাকে পৃথক করিয়া দিয়া থাকে তবে পণ্যের মালিক অন্যান্য ঋণদাতা বা মহাজনদের অপেক্ষা এই পণ্যের অধিক হকদার হইবে। ক্রেতা কর্তৃক উহ্য হইতে কিছু অংশ পৃথক করার কারণে তাহার পণ্যের যাহা হুবহু সে পাইয়াছে তাহা আয়ত্তে আনিতে কোন বাধা হইবে না। আর যদি বিক্রেতা পণ্যের মূল্যের কিছু তলব করিয়াছে অতঃপর বিক্রেতা পণ্যের যে মূল্য গ্রহণ করিয়াছে উহা ফেরত দিতে এবং যে পণ্য পাওয়া গিয়াছে উহা আয়ত্তে আনিতে পছন্দ করে এবং যাহা আদায় হয় নাই তাহাতে অন্যান্য মহাজনের সমান হইয়া যায় তবে ইহা জায়েয আছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি কিছু পণ্য খরিদ করিল উহা পশম হউক বা অন্য কোন ব্যবসায়ের মাল বা এক টুকরা জমি। অতঃপর যে খরিদ করিয়াছে সে উহাতে নূতন কোন কাজ করিল, যেমন জমিতে ঘর বানাইল বা পশম দ্বারা কাপড় তৈয়ার করিল। অতঃপর যে খরিদ করিয়াছিল সে গরীব হইয়া গেল, জমিওয়ালা তাহাকে বলিল, আমি ঐ জমি এবং উহাতে যাহা নির্মাণ করা হইয়াছে তাহা সমস্তই লইয়া লইব, তবে ইহা তাহার জন্য বৈধ হইবে না বরং ঐ জমি এবং জমিতে যে ঘর ক্রেতা তৈয়ার করিয়াছিল উহার মূল্য নির্ণয় করিতে হইবে। অতঃপর দেখিতে হইবে ঐ জমির মূল্য কত পড়ে এবং ঘরের মূল্য কত হয়। অতঃপর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে উহাতে অংশীদার হইবে। জমির মালিকের জন্য হইবে তাহার জমির অংশ অনুযায়ী এবং ঋণগ্রস্তুদিগের জন্য হইবে নির্মিত গৃহাদির অংশ পরিমাণ।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইহার ব্যাখ্যা এই যে, যেমন ঐ জমি ও ঘরের একত্রে মূল্য হইবে এক হাজার পাঁচ শত দিরহাম। এমতাবস্থায় জমির মূল্য হইবে পাঁচ শত দিরহাম এবং ঘরের মূল্য হইবে এক হাজার দিরহাম। জমির মালিকের জন্য হইবে এক-তৃতীয়াংশ এবং ঋণগ্রস্তদিগের জন্য হইবে দুই-তৃতীয়াংশ।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ এইরূপেই পশম ইত্যাদির মূল্য ধরিত হইবে যদি খরিদ্দার ঋণগ্রস্ত হইয়া পড়ে আর মূল্য আদায় করিতে অপারক হয়।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ আর ঐ সমস্ত ব্যবসায়ের মাল যাহাতে খরিদ্দার কোন কাজ করে নাই বরং এমনি ঐ মালের যোগ্যতা তথা গুণাগুণ বৃদ্ধি পাইয়াছে আর উহার মূল্য বৃদ্ধি পাইয়াছে। এখন ঐ মালওয়ালা উহা পাইতে ইচ্ছা করিতেছে। কিন্তু খাতক উহা রাখিতে চাহিতেছে। এমতাবস্থায় ঋণদাতাদের ইচ্ছানুযায়ী তাহারা মালওয়ালাকে উহার মূল্যও দিয়া দিতে পারে, যে দামে উহা বিক্রয় হইয়াছিল। উহা হইতে কমাইতে পরিবে না বা তাহাকে তাহার মালও দিয়া দিতে পারে। আর যদি ঐ মালের মূল্য কমিয়া গিয়া থাকে তবে যে বিক্রয় করিয়াছে সে যদি ইচ্ছা করে তবে তাহার মাল লইয়া লইতে পারে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তি কোন দাসী বা কোন পশু খরিদ করিল এবং উহা তাহার নিকট বাচ্চা দিল অতঃপর ক্রেতা গরীব হইয়া গেল, ঐ দাসী বা পশু যে বাচ্চা প্রসব করিয়াছে উহা বিক্রেতার হইবে। যদি খাতকের উহ্য রাখিবার ইচ্ছা হয়, তবে তাহার পূর্ণ প্রাপ্য দিয়া উহা রাখিতে পারে।

بَاب مَا جَاءَ فِي إِفْلَاسِ الْغَرِيمِ

وَحَدَّثَنِي مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيُّمَا رَجُلٍ أَفْلَسَ فَأَدْرَكَ الرَّجُلُ مَالَهُ بِعَيْنِهِ فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ مِنْ غَيْرِهِ قَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ بَاعَ مِنْ رَجُلٍ مَتَاعًا فَأَفْلَسَ الْمُبْتَاعُ فَإِنَّ الْبَائِعَ إِذَا وَجَدَ شَيْئًا مِنْ مَتَاعِهِ بِعَيْنِهِ أَخَذَهُ وَإِنْ كَانَ الْمُشْتَرِي قَدْ بَاعَ بَعْضَهُ وَفَرَّقَهُ فَصَاحِبُ الْمَتَاعِ أَحَقُّ بِهِ مِنْ الْغُرَمَاءِ لَا يَمْنَعُهُ مَا فَرَّقَ الْمُبْتَاعُ مِنْهُ أَنْ يَأْخُذَ مَا وَجَدَ بِعَيْنِهِ فَإِنْ اقْتَضَى مِنْ ثَمَنِ الْمُبْتَاعِ شَيْئًا فَأَحَبَّ أَنْ يَرُدَّهُ وَيَقْبِضَ مَا وَجَدَ مِنْ مَتَاعِهِ وَيَكُونَ فِيمَا لَمْ يَجِدْ أُسْوَةَ الْغُرَمَاءِ فَذَلِكَ لَهُ قَالَ مَالِك وَمَنْ اشْتَرَى سِلْعَةً مِنْ السِّلَعِ غَزْلًا أَوْ مَتَاعًا أَوْ بُقْعَةً مِنْ الْأَرْضِ ثُمَّ أَحْدَثَ فِي ذَلِكَ الْمُشْتَرَى عَمَلًا بَنَى الْبُقْعَةَ دَارًا أَوْ نَسَجَ الْغَزْلَ ثَوْبًا ثُمَّ أَفْلَسَ الَّذِي ابْتَاعَ ذَلِكَ فَقَالَ رَبُّ الْبُقْعَةِ أَنَا آخُذُ الْبُقْعَةَ وَمَا فِيهَا مِنْ الْبُنْيَانِ إِنَّ ذَلِكَ لَيْسَ لَهُ وَلَكِنْ تُقَوَّمُ الْبُقْعَةُ وَمَا فِيهَا مِمَّا أَصْلَحَ الْمُشْتَرِي ثُمَّ يُنْظَرُ كَمْ ثَمَنُ الْبُقْعَةِ وَكَمْ ثَمَنُ الْبُنْيَانِ مِنْ تِلْكَ الْقِيمَةِ ثُمَّ يَكُونَانِ شَرِيكَيْنِ فِي ذَلِكَ لِصَاحِبِ الْبُقْعَةِ بِقَدْرِ حِصَّتِهِ وَيَكُونُ لِلْغُرَمَاءِ بِقَدْرِ حِصَّةِ الْبُنْيَانِ قَالَ مَالِك وَتَفْسِيرُ ذَلِكَ أَنْ تَكُونَ قِيمَةُ ذَلِكَ كُلِّهِ أَلْفَ دِرْهَمٍ وَخَمْسَ مِائَةِ دِرْهَمٍ فَتَكُونُ قِيمَةُ الْبُقْعَةِ خَمْسَ مِائَةِ دِرْهَمٍ وَقِيمَةُ الْبُنْيَانِ أَلْفَ دِرْهَمٍ فَيَكُونُ لِصَاحِبِ الْبُقْعَةِ الثُّلُثُ وَيَكُونُ لِلْغُرَمَاءِ الثُّلُثَانِ قَالَ مَالِك وَكَذَلِكَ الْغَزْلُ وَغَيْرُهُ مِمَّا أَشْبَهَهُ إِذَا دَخَلَهُ هَذَا وَلَحِقَ الْمُشْتَرِيَ دَيْنٌ لَا وَفَاءَ لَهُ عِنْدَهُ وَهَذَا الْعَمَلُ فِيهِ قَالَ مَالِك فَأَمَّا مَا بِيعَ مِنْ السِّلَعِ الَّتِي لَمْ يُحْدِثْ فِيهَا الْمُبْتَاعُ شَيْئًا إِلَّا أَنَّ تِلْكَ السِّلْعَةَ نَفَقَتْ وَارْتَفَعَ ثَمَنُهَا فَصَاحِبُهَا يَرْغَبُ فِيهَا وَالْغُرَمَاءُ يُرِيدُونَ إِمْسَاكَهَا فَإِنَّ الْغُرَمَاءَ يُخَيَّرُونَ بَيْنَ أَنْ يُعْطُوا رَبَّ السِّلْعَةِ الثَّمَنَ الَّذِي بَاعَهَا بِهِ وَلَا يُنَقِّصُوهُ شَيْئًا وَبَيْنَ أَنْ يُسَلِّمُوا إِلَيْهِ سِلْعَتَهُ وَإِنْ كَانَتْ السِّلْعَةُ قَدْ نَقَصَ ثَمَنُهَا فَالَّذِي بَاعَهَا بِالْخِيَارِ إِنْ شَاءَ أَنْ يَأْخُذَ سِلْعَتَهُ وَلَا تِبَاعَةَ لَهُ فِي شَيْءٍ مِنْ مَالِ غَرِيمِهِ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ شَاءَ أَنْ يَكُونَ غَرِيمًا مِنْ الْغُرَمَاءِ يُحَاصُّ بِحَقِّهِ وَلَا يَأْخُذُ سِلْعَتَهُ فَذَلِكَ لَهُ وَقَالَ مَالِك فِيمَنْ اشْتَرَى جَارِيَةً أَوْ دَابَّةً فَوَلَدَتْ عِنْدَهُ ثُمَّ أَفْلَسَ الْمُشْتَرِي فَإِنَّ الْجَارِيَةَ أَوْ الدَّابَّةَ وَوَلَدَهَا لِلْبَائِعِ إِلَّا أَنْ يَرْغَبَ الْغُرَمَاءُ فِي ذَلِكَ فَيُعْطُونَهُ حَقَّهُ كَامِلًا وَيُمْسِكُونَ ذَلِكَ


Malik related to me from Yahya ibn Said from Abu Bakr ibn Muhammad ibn Amr ibn Hazm from Umar ibn Abdal-Aziz from Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman ibn al-Harith ibn Hisham from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "If anyone goes bankrupt, and a man finds his own property intact with him, he is more entitled to it than anyone else."

Malik spoke about a man who sold a man wares, and the buyer went bankrupt. He said, "The seller takes whatever of his goods he finds. If the buyer has sold some of them and distributed them, the seller of the wares is more entitled to them than the creditors. What the buyer has distributed does not prevent the seller from taking whatever of it he finds. It is the seller's right if he has received any of the price from the buyer and he wants to return it to take what he finds of his wares, and in what he does not find, he is like the creditors."

Malik spoke about some one who bought spun wool or a plot of land, and then did some work on it, like building a house on the plot of land or weaving the spun wool into cloth. Then he went bankrupt after he had bought it, and the original owner of the plot said, "I will take the plot and whatever structure is on it." Malik said, "That structure is not his. However, the plot and what is in it that the buyer has improved is appraised. Then one sees what the price of the plot is and how much of that value is the price of the structure. They are partners in that. The owner of the plot has as much as his portion, and the creditors have the amount of the portion of the structure."

Malik said, "The explanation of that is that the value of it all is fifteen hundred dirhams. The value of the plot is five hundred dirhams, and the value of the building is one thousand dirhams. The owner of the plot has a third, and the creditors have two-thirds."

Malik said, "It is like that with spinning and other things of the same nature in these circumstances and the buyer has a debt which he cannot pay. This is the behaviour in such cases."

Malik said, "As for goods which have been sold and which the buyer does not improve, but those goods sell well and have gone up in price, so their owner wants them and the creditors also want to seize them, then the creditors choose between giving the owner of the goods the price for which he sold them and not giving him any loss and surrendering his goods to him.

"If the price of the goods has gone down, the one who sold them has a choice. If he likes, he can take his goods and he has no claim to any of his debtor's property, and that is his right. If he likes, he can be one of the creditors and take a portion of his due and not take his goods. That is up to him."

Malik said about someone who bought a slave-girl or animal and she gave birth in his possession and the buyer went bankrupt, "The slave-girl or the animal and the offspring belong to the seller unless the creditors desire it. In that case they give him his complete due and they take it."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ