পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬১-[৫৩] ফারওয়াহ্ ইবনু নাওফাল (রহঃ) তার পিতা নাওফাল হতে বর্ণনা করেছেন, একদিন নাওফাল (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! এমন একটি বিষয় আমাকে শিখিয়ে দিন যা আমি ঘুমাতে গিয়ে পড়তে পারি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সূরা ’’কুল ইয়া- আইয়্যুহাল কা-ফিরূন’’ পড়ো। কেননা এ সূরা শির্ক হতে পবিত্র। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ, দারিমী)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ أَبِيهِ: أَنَّهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي شَيْئًا أَقُولُهُ إِذَا أَوَيْتُ إِلَى فِرَاشِي. فَقَالَ: «اقْرَأْ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ) فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد والدارمي
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসের বর্ণনাকারী ফারওয়াহ্ একজন নির্ভরযোগ্য তাবি‘ঈ ছিলেন। তিনি মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর খিলাফাতকালে ৫৪ হিঃ শহীদ হন। এ বর্ণনাটি তিরমিযী, আহমাদ, দারিমী, হাকিম, ইবনুস্ সুন্নী প্রভৃতি হাদীস গ্রন্থে রয়েছে। কোন কোন বর্ণনায় বলা আছে, তুমি এ সূরাটি শেষ করেই ঘুমাবে। এ সূরাটি শির্ক থেকে নিষ্কৃতির সূরা। এটি তাওহীদের পক্ষে খুবই উপকারী। ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন, এতে শির্ক থেকে অব্যাহতির কথা রয়েছে, কেননা মুশরিকগণ যার পূঁজা ও উপাসনা করে থাকে, (মু’মিনদের) তা থেকে দায় মুক্তির ঘোষণা রয়েছে।