হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩২

পরিচ্ছেদঃ

৩২। আখেরাতের অধিবাসীদের জন্য দুনিয়া হারাম এবং দুনিয়ার অধিবাসীদের জন্য আখেরাত হারাম। দুনিয়া ও আখেরাতের উভয়টই হারাম আল্লাহর ওয়ালাদের জন্য।

হাদীসটি জাল।

হাদীসটি সে সব হাদীসের একটি যার দ্বারা সুয়ূতী তার “জামেউস সাগীর” গ্রন্থকে কালিমালিপ্ত করে বলেছেন যে, দাইলামী “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

মানবী তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ এ হাদীসের সনদে জাবালাত ইবনু সুলায়মান নামে এক বর্ণনাকারী রয়েছেন। যাহাবী তাকে “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ তার সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ সত্যিই যিনি এ হাদীস বর্ণনা করবেন তিনি নির্ভরযোগ্য হবেন না, বরং তিনি হবেন অত্যন্ত নিকৃষ্ট মিথ্যুক। কারণ এ হাদীসটি বাতিল তাতে কোন বিবেকবান মু’মিন সন্দেহ পোষণ করতে পারেন না। কীভাবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আখেরাতের অধিবাসী মুমিনদের উপর দুনিয়াকে হারাম করেন। যার উত্তম উত্তম বস্তু দ্বারা উপকৃত হওয়াকে তাদের জন্য স্বয়ং আল্লাহ হালাল করে দিয়েছেন তার (هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا) তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদের জন্য যমীনের সব কিছুকে সৃষ্টি করেছেন" (সূরা বাক্কারাহঃ ২৯) এ বাণী দ্বারা, তিনি আরো বলেছেনঃ

قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللَّهِ الَّتِي أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالطَّيِّبَاتِ مِنَ الرِّزْقِ قُلْ هِيَ لِلَّذِينَ آمَنُوا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا خَالِصَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ

“আপনি বলে দিন আল্লাহর অলংকারাজী, যা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং পানাহারের হালাল বস্তুগুলোকে কে হারাম করেছে। আপনি বলে দিন সে নেয়ামাতগুলো মুমিনদের জন্যেই পার্থিব জীবনে এবং বিশেষ করে কিয়ামত দিবসে..." (সূরা আল আরাফঃ ৩২)।

অতঃপর কীভাবে বলা সম্ভব যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া ও আখেরাতকে একসাথে হারাম করে দিয়েছেন আল্লাহ ভক্তদের উপর। অথচ আল্লাহ ভক্তরাই হচ্ছেন কুরআনের ভক্ত। যারা তাকে প্রতিষ্ঠা করে এবং তাঁর নির্দেশাবলীর উপর আমল করে। আর আখেরাত হয় জান্নাত নয়তোবা জাহান্নাম। আল্লাহ ভক্তদের উপর জাহান্নামকে আল্লাহ হারাম করে দিয়েছেন। এ সংবাদ তিনি নিজেই দিয়েছেন, যেমনিভাবে তিনি মুমিনদের জন্য জান্নাতকে ওয়াজিব করে দিয়েছেন। কীভাবে এ মিথ্যুক বলে যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আখেরাতকে তাদের উপর হারাম করে দিয়েছেন? অথচ এ আখেরাতেই রয়েছে জান্নাত, যা মুত্তাকীদের জন্য ওয়াদা করা হয়েছে।

আমার ধারণা এ হাদীসটির জালকারী হচ্ছেন একজন মূৰ্খ সূফী। তিনি এ দ্বারা মুসলিমদের মাঝে সূফী আকীদাহ ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন।

অতঃপর আমি দাইলামীর “মুসনাদ” গ্রন্থে এটির সনদ সম্পর্কে (২/১৪৮) অবহিত হয়েছি। তাতে (তিনজন) বর্ণনাকারী রয়েছেন, যাদেরকে আমি চিনি না। এ ছাড়াও এটি ইবনু যুরায়েজ হতে আন আন্ শব্দে বর্ণিত হয়েছে। তিনি মুদাল্লিস বর্ণনাকারী। [মুদাল্লিস-এর অর্থ দেখুন ৫৭ নং পৃষ্ঠায়।]

الدنيا حرام على أهل الآخرة، والآخرة حرام على أهل الدنيا، والدنيا والآخرة حرام على أهل الله موضوع - وهو من الأحاديث التي شوه بمثلها السيوطي " الجامع الصغير " وعزاه للديلمى في " مسند الفردوس " عن ابن عباس وقد تعقبه المناوي بقوله: وفيه جبلة بن سليمان أورده الذهبي في " الضعفاء " وقال: قال ابن معين: ليس بثقة قلت: حري بمن روى هذا الخبر أن يكون غير ثقة، بل هو كذاب أشر، فإنه خبر باطل لا يشك في ذلك مؤمن عاقل، إذ كيف يحرم رسول الله صلى الله عليه وسلم على المؤمنين أهل الآخرة ما أباحه الله تعالى لهم من التمتع بالدنيا وطيباتها كما في قوله عز وجل (هو الذي خلق لكم ما في الأرض جميعا) وقوله: (قل من حرم زينة الله التي أخرج لعباده والطيبات من الرزق، قل هي للذين آمنوا في الحياة الدنيا، خالصة يوم القيامة) ثم كيف يجوز أن يقال: إن رسول الله صلى الله عليه وسلم حرم الدنيا والآخرة معا على أهل الله تعالى وما أهل الله إلا أهل القرآن القائمين به والعاملين بأحكامه، وما الآخرة إلا جنة أو نار، فتحريم النار على أهل الله مما أخبر به الله تعالى، كما أنه تعالى أو جب الجنة للمؤمنين به، فكيف يقول هذا الكذاب أن رسول الله صلى الله عليه وسلم حرم عليهم الآخرة وفيها الجنة التي وعد المتقون، وفيها أعز شيء عليهم وهي رؤية الله تعالى كما قال سبحانه (وجوه يومئذ ناضرة إلى ربها ناظرة) وهل ذلك إلا في الآخرة؟ وقال صلى الله عليه وسلم: " إذا دخل أهل الجنة الجنة، يقول الله تعالى: تريدون شيئا أزيدكم؟ فيقولون: ألم تبيض وجوهنا، ألم تدخلنا الجنة وتنجينا من النار؟ قال: فيكشف الحجاب، فما أعطوا شيئا أحب إليهم من النظر إلى ربهم ثم تلا هذه الآية (للذين أحسنوا الحسنى وزيادة) " رواه مسلم وغيره والذي أراه إن واضع هذا الحديث هو رجل صوفى جاهل أراد أن يبث في المسلمين بعض عقائد المتصوفة الباطلة التي منها تحريم ما أحل الله بدعوى تهذيب النفس، كأن ما جاء به الشارع الحكيم غير كاف في ذلك حتى جاء هؤلاء يستدركون على خالقهم سبحانه وتعالى ومن شاء أن يطلع على ما أشرنا إليه من التحريم فليراجع كتاب " تلبيس إبليس " للحافظ أبي الفرج بن الجوزي ير العجب العجاب ثم وقفت على إسناد الديلمي في " مسنده " (2 / 148) فرأيته قد أخرجه من طريق عبد الملك بن عبد الغفار: حدثنا جعفر بن محمد الأبهري: حدثنا أبو سعيد القاسم ابن علقمة الأبهري: حدثنا الحسن بن على بن نصر الطوسي: حدثنا محمد بن حرب حدثنا جبلة بن سليمان عن ابن جريج عن عطاء عن ابن عباس مرفوعا أقول: فإن لم تكن العلة من جبلة أو عنعنة ابن جريج فهي من أحد الثلاثة الذين دون الطوسي فإني لم أعرفهم، والله أعلم


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ