পরিচ্ছেদঃ সালাত আদায় করা ফরয হওয়ার পর যদি কোন ব্যক্তি আদায় না করলে, এমনকি সেই সালাতের সময় চলে যায়, এর মাধ্যমে সেই ব্যক্তি এমন কাফির হয়ে যাবে না যে, তার সম্পদ মুসলিমের নিকট ফাই (কাফিরদের থেকে যুদ্ধবিহীন প্রাপ্ত) সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে- এই ব্যাপারে পঞ্চম হাদীস
১৪৫৭. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে বিশ্রামের জন্য শেষরাত্রে যাত্রা বিরতি দেই। অতঃপর আমরা কেউ জাগ্রত হতে পারি নাই যতক্ষণ না সূর্যের তাপ আমাদের শরীরে লাগে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “প্রত্যেকেই যেন তার বাহন নেয় অতঃপর এই জায়গা ত্যাগ করে।” তারপর তিনি পানি আনতে বলেন এবং ওযূ করেন ও দুই রাকাআত (ফজরের সুন্নত) সালাত আদায় করেন। তারপর সালাতের ইকামত দেওয়া হয়।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক সালাতের জন্য নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্বে আদায় করা এমনকি তিনি ঐ উপত্যকা থেকে বের হয়ে চলে যান- এই হাদীসে বিশুদ্ধ দলীল রয়েছে এই মর্মে যে, কোন ব্যক্তি যদি সালাত তরক করে এমনকি সালাতের সময় চলে যায়, তবে এর মাধ্যমে কাফের হয়ে যাবে না। কেননা যদি তাই হতো তবে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদেরকে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সাথে সাথেই সেখানে সালাত আদায় করার নির্দেশ দিতেন; তাদের সেই ঘুমানোর জায়গা ত্যাগ করার নির্দেশ দিতেন না। অথচ ফরয পালন করা তাঁদের জন্য অবধারিত ছিল এবং তা আদায়ের সময়ও অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান: ১৪৫৭)
ذِكْرُ خَبَرٍ خَامِسٍ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ تَارِكَ الصَّلَاةِ بَعْدَ أَنْ وَجَبَ عَلَيْهِ أَدَاؤُهَا وَإِنْ ذَهَبَ وَقْتُهَا لَا يَكُونُ كَافِرًا كُفْرًا يَكُونُ مَالُهُ بِهِ فَيْئًا لِلْمُسْلِمِينَ
1457 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ أَبِي حَازِمٍ: عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: عرَّسنا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَلَمْ نَسْتَيْقِظْ حَتَّى آذَتْنَا الشَّمْسُ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(لِيَأْخُذْ كُلُّ رَجُلٍ مِنْكُمْ رَاحِلَتَهُ ثُمَّ يَتَنَحَّى عَنْ هَذَا الْمَنْزِلِ) ثُمَّ دَعَا بِالْمَاءِ فَتَوَضَّأَ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ أُقِيمَتِ الصلاة.
الراوي : أبو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1457 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
قال أبوحاتم: فِي تَأْخِيرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ عَنِ الْوَقْتِ الَّذِي أَثْبَتَهُ إِلَى أَنْ خَرَجَ مِنَ الْوَادِي دَلِيلٌ صَحِيحٌ عَلَى أَنَّ تَارِكَ الصَّلَاةِ إِلَى أَنْ يَخْرُجَ وَقْتُهَا لَا يَكُونُ كَافِرًا إِذْ لَوْ كَانَ كَذَلِكَ لَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَدَاءِ الصَّلَاةِ فِي وَقْتِ انْتِبَاهِهِمْ مِنْ مَنَامِهِمْ وَلَمْ يَأْمُرْهُمْ بِالتَّنَحِّي عَنِ الْمَنْزِلِ الَّذِي نَامُوا فِيهِ وَالْفَرْضُ لَازِمٌ لَهُمْ قَدْ جَازَ وَقْتُهُ