পরিচ্ছেদঃ ৯৫: কোন ভাল জিনিসের সুসংবাদ ও তার জন্য মুবারকবাদ জানানো মুস্তাহাব

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ فَبَشِّرۡ عِبَادِ ١٧ ٱلَّذِينَ يَسۡتَمِعُونَ ٱلۡقَوۡلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحۡسَنَهُۥٓۚ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ هَدَىٰهُمُ ٱللَّهُۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمۡ أُوْلُواْ ٱلۡأَلۡبَٰبِ ١٨ ﴾ [الزمر: ١٧، ١٨]

অর্থাৎ “তাদের জন্য আছে সুসংবাদ। অতএব সুসংবাদ দাও আমার দাসদেরকে; যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে এবং যা উত্তম তার অনুসরণ করে। ওদেরকে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং ওরাই বুদ্ধিমান।” (সূরা যুমার ১৭-১৮ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ يُبَشِّرُهُمۡ رَبُّهُم بِرَحۡمَةٖ مِّنۡهُ وَرِضۡوَٰنٖ وَجَنَّٰتٖ لَّهُمۡ فِيهَا نَعِيمٞ مُّقِيمٌ ٢١ ﴾ [التوبة: ٢١]

অর্থাৎ “তাদের প্রতিপালক তাদেরকে নিজ দয়া ও সন্তোষের এবং জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন; যেখানে তাদের জন্য স্থায়ী সুখ-সমৃদ্ধি রয়েছে।” (সূরা তওবা ২১ আয়াত)

তিনি অন্যত্র বলেছেন,

﴿ وَأَبۡشِرُواْ بِٱلۡجَنَّةِ ٱلَّتِي كُنتُمۡ تُوعَدُونَ ﴾ [فصلت: ٣٠]

অর্থাৎ তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার সুসংবাদ নাও। (হা-মীম সিজদা ৩০ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেন,

﴿ فَبَشَّرۡنَٰهُ بِغُلَٰمٍ حَلِيمٖ ١٠١ ﴾ [الصافات: ١٠١]

অর্থাৎ “অতঃপর আমি তাকে এক ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম।” সূরা স্বা-ফফাত ১০১ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ وَلَقَدۡ جَآءَتۡ رُسُلُنَآ إِبۡرَٰهِيمَ بِٱلۡبُشۡرَىٰ ﴾ [هود: ٦٩]

অর্থাৎ “আর আমার প্রেরিত ফিরিশতারা ইব্রাহীমের নিকট সুসংবাদ নিয়ে আগমন করল।” (সূরা হূদ ৬৯ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ وَٱمۡرَأَتُهُۥ قَآئِمَةٞ فَضَحِكَتۡ فَبَشَّرۡنَٰهَا بِإِسۡحَٰقَ وَمِن وَرَآءِ إِسۡحَٰقَ يَعۡقُوبَ ٧١ ﴾ [هود: ٧١]

অর্থাৎ “সে সময় তার স্ত্রী দণ্ডায়মান ছিল, সে হেসে উঠল তখন আমি তাকে (ইব্রাহীমের স্ত্রীকে) সুসংবাদ দিলাম ইসহাকের এবং ইসহাকের পর ইয়াকূবের।” (সূরা হূদ ৭১ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ فَنَادَتۡهُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ وَهُوَ قَآئِمٞ يُصَلِّي فِي ٱلۡمِحۡرَابِ أَنَّ ٱللَّهَ يُبَشِّرُكَ بِيَحۡيَىٰ﴾ [ال عمران: ٣٩]

অর্থাৎ “যখন (যাকারিয়া) মিহরাবে নামাযে রত ছিলেন তখন ফেরেশ্তাগণ তাকে সম্বোধন করে বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে ইয়াহয়্যার সুসংবাদ দিচ্ছেন।” (আলে ইমরান ৩৯ আয়াত)

তিনি আরো বলেছেন,

﴿ إِذۡ قَالَتِ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ يَٰمَرۡيَمُ إِنَّ ٱللَّهَ يُبَشِّرُكِ بِكَلِمَةٖ مِّنۡهُ ٱسۡمُهُ ٱلۡمَسِيحُ ﴾ [ال عمران: ٤٥]

অর্থাৎ “(স্মরণ কর) যখন ফেরেশতাগণ বললেন, হে মারয়্যাম! নিশ্চয় আল্লাহ নিজের পক্ষ থেকে তোমাকে একটি কালেমা (দ্বারা সৃষ্টসন্তানে)র সুসংবাদ দিচ্ছেন; যার নাম হবে মসীহ।” (আলে ইমরান ৪৫ আয়াত)

এ ছাড়া এ মর্মে অনেক আয়াত রয়েছে, যা অনেকের জানা আছে। আর উক্ত বিষয়ে হাদীসও অনেক বেশী বিদ্যমান, যা বিশুদ্ধ গ্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছে বলে সুপ্রসিদ্ধ। তার মধ্যে কতিপয় নিম্নরূপঃ-


১/৭১৩। আবূ ইব্রাহীম মতান্তরে আবূ মুহাম্মাদ বা আবূ মু’আবিয়াহ ’আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ আওফা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদীজা রাদিয়াল্লাহু‘’আনহাকে জান্নাতে (তার জন্য) ফাঁপা মুক্তা নির্মিত একটি অট্টালিকার সুসংবাদ দান করলেন; যেখানে কোন হট্টগোল ও ক্লান্তি থাকবে না। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ اِسْتِحْبَابِ التَّبْشِيْرِ وَالتَّهْنِئَةِ بِالْخَيْرِ - (95)

عَن أَبي إِبرَاهِيمَ، وَيُقَالُ: أَبُو مُحَمَّدٍ، وَيُقَالُ: أَبُو مُعَاوِيَةَ عَبدِ اللهِ بنِ أَبي أَوفَى رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بَشَّرَ خَدِيجَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا بِبَيْتٍ في الجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ، لاَ صَخَبَ فِيهِ، وَلاَ نَصَبَ . متفقٌ عَلَيْهِ

عن ابي ابراهيم، ويقال: ابو محمد، ويقال: ابو معاوية عبد الله بن ابي اوفى رضي الله عنهما: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بشر خديجة رضي الله عنها ببيت في الجنة من قصب، لا صخب فيه، ولا نصب . متفق عليه

(95) Chapter: Excellence of Conveying Glad Tidings and Congratulations


Allah, the Exalted, says:
"So announce the good news to My slaves. Those who listen to the Word [good advice La ilaha illallah (none has the right to be worshipped but Allah) and Islamic Monotheism] and follow the best thereof (i.e., worship Allah Alone, repent to Him and avoid Taghut).'' (39: 17, 18)

"Their Rubb gives them glad tidings of a Mercy from Him, and that He is pleased (with them), and of Gardens (Jannah) for them wherein are everlasting delights.'' (9:21)

"But receive the glad tidings of Jannah which you have been promised! " (41:30)
"So we gave him the glad tidings of a forbearing boy.'' (37:101)
"And verily, there came Our messengers to Ibrahim (Abraham) with glad tidings.'' (11:69)
"And his wife was standing (there), and she laughed [either, because the messengers did not eat their food or for being glad for the destruction of the people of Lut (Lot)]. But We gave her glad tidings of Ishaq (Isaac), and after Ishaq, of Ya`qub (Jacob).'' (11:71)
"Then the angels called him, while he was standing in prayer in Al-Mihrab (a praying place or a private room), (saying): `Allah gives you glad tidings of Yahya (John).''' (3:39)
"(Remember) when the angels said: `O Maryam (Mary)! Verily, Allah gives you the glad tidings of a Word [`Be!'- and he was! i.e., `Isa (Jesus) the son of Maryam] from Him, his name will be the Messiah `Isa.'' (3:45)


'Abdullah bin Abu Aufa (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) gave glad tidings to Khadijah (May Allah be pleased with her) about a palace of hollowed pearls in Jannah, free from noise and toil.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith throws light on the excellence of Khadijah (May Allah be pleased with her) and also mentions the glad tidings given to her by Messenger of Allah (PBUH) about her blessful place in a heavenly abode in the Hereafter.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) The Book of Good Manners

পরিচ্ছেদঃ ৯৫: কোন ভাল জিনিসের সুসংবাদ ও তার জন্য মুবারকবাদ জানানো মুস্তাহাব

২/৭১৪। আবূ মূসা আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত তিনি নিজ বাড়িতে ওযূ করে বাইরে গেলেন। এবং তিনি (মনে মনে) বললেন যে, ’আজ আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্যে থাকব।’ সুতরাং তিনি মসজিদে গিয়ে আল্লাহর রাসূল রাদিয়াল্লাহু ’আনহু সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। সাহাবীগণ উত্তর দিলেন যে, ’তিনি এই দিকে গমন করেছেন।’ আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি তাঁর পশ্চাতে চলতে থাকলাম এবং তাঁর সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করতে থাকলাম। শেষ পর্যন্ত তিনি ’আরীস’ কুয়ার (সন্নিকটবর্তী একটি বাগানে) প্রবেশ করলেন। আমি (বাগানের) প্রবেশ দ্বারের পাশে বসে থাকলাম। শেষ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেশাব-পায়খানা সমাধা করে ওযূ করলেন। অতঃপর আমি উঠে তাঁর দিকে অগ্রসর হলাম। দেখলাম, তিনি ’আরীস’ কুয়ার পাড়ের মাঝখানে পায়ের নলা খুলে পা দুটো তাতে ঝুলিয়ে বসে আছেন।

আমি তাঁকে সালাম দিয়ে আবার ফিরে এসে প্রবেশ-পথে বসে রইলাম। আর মনে মনে বললাম যে, ’আজ আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের দ্বার রক্ষক হব।’ সুতরাং আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু এসে দরজায় ধাক্কা দিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ’আপনি কে?’ তিনি উত্তরে বললেন, ’আবূ বকর।’ আমি বললাম, ’একটু থামুন।’ তারপর আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে নিবেদন করলাম, ’হে আল্লাহ রাসূল! উনি আবূ বকর, প্রবেশ করার অনুমতি চাচ্ছেন।’ তিনি বললেন, ’’ওকে অনুমতি দাও। আর তার সাথে জান্নাতের সুসংবাদ জানিয়ে দাও।’’ সুতরাং আমি আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর নিকট এসে বললাম, ’প্রবেশ করুন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ জানাচ্ছেন।’ আবূ বকর প্রবেশ করলেন এবং কুয়ার পাড়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ডান দিকে পায়ের নলার কাপড় তুলে পা দুখানি কুয়াতে ঝুলিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মত বসে পড়লেন।

আমি পুনরায় দ্বার প্রান্তে ফিরে এসে বসে গেলাম। আমি মনে মনে বললাম, আমার ভাইকে ওযূ করা অবস্থায় ছেড়ে এসেছি; (ওযূর পরে) সে আমার পশ্চাতে আসবে। আল্লাহ যদি তার জন্য কল্যাণ চান, তাহলে তাকে (এখানে) আনবেন। হঠাৎ একটি লোক এসে দরজা নড়াল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ’কে?’ সে বলল, ’উমার ইবন খাত্তাব।’ আমি বললাম, ’একটু থামুন।’ অতঃপর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে নিবেদন করলাম যে, ’উনি উমার। প্রবেশ অনুমতি চাচ্ছেন।’ তিনি বললেন, ’’ওকে অনুমতি দাও এবং ওকেও জান্নাতের সুসংবাদ জানাও।’’ সুতরাং আমি উমারের নিকট এসে বললাম, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে প্রবেশ অনুমতি দিচ্ছেন এবং জান্নাতের শুভ সংবাদও জানাচ্ছেন।’ সুতরাং তিনি ভিতরে প্রবেশ করলেন এবং কুয়ার পাড়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাম পাশে কুয়ায় পা ঝুলিয়ে বসে পড়লেন।

আমি আবার সেখানে ফিরে এসে বসে পড়লাম। আর মনে মনে বলতে থাকলাম, আল্লাহ যদি আমার ভাইয়ের মঙ্গল চান, তাহলে অবশ্যই তাকে নিয়ে আসবেন। (ইত্যবসরে) হঠাৎ একটি লোক দরজা নড়াল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ’আপনি কে?’ সে বলল, ’আমি উসমান ইবনে আফ্ফান।’ আমি বললাম, ’একটু থামুন।’ তারপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে তাঁর সম্পর্কে অবহিত করলাম। তিনি বললেন, ’’ওকে অনুমতি দাও। আর জান্নাতের সুসংবাদ জানাও। তবে ওর জীবনে বিপর্যয় আছে।’’ আমি ফিরে এসে তাঁকে বললাম, ’প্রবেশ করুন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ জানাচ্ছেন। তবে আপনার বিপর্যয় আছে।’ সুতরাং তিনি সেখানে প্রবেশ করে দেখলেন যে, কুয়ার এক পাড় পূর্ণ হয়েছে ফলে তিনি তাঁদের সামনের অপর পাড়ে গিয়ে বসে গেলেন।

সাঈদ ইবনে মুসাইয়েব বলেন যে, ’এ ঘটনা দ্বারা আমি বুঝেছি যে, তাঁদের তিনজনের সমাধি একই স্থানে হবে। (আর উসমানের সমাধি অন্য জায়গায় হবে।)’ (বুখারী-মুসলিম)

এক বর্ণনায় এ সব শব্দাবলী বাড়তিভাবে এসেছে যে, (আবূ মূসা বলেন,) ’আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বার রক্ষার নির্দেশ দিলেন।’ আর তাতে এ কথাও আছে যে, যখন তিনি উসমান রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-কে সুসংবাদ (ও বিপর্যয়ের কথা) জানালেন, তখন তিনি ’আলহামদু লিল্লাহ’ পড়লেন এবং বললেন, ’আল্লাহুল মুস্তা’আন।’ অর্থাৎ আল্লাহই সাহায্যস্থল। (বুখারী-মুসলিম)

بَابُ اِسْتِحْبَابِ التَّبْشِيْرِ وَالتَّهْنِئَةِ بِالْخَيْرِ - (95)

وَعَن أَبي مُوسَى الأَشعَرِي رضي الله عنه: أَنَّهُ تَوَضَّأَ فِي بَيْتِهِ، ثُمَّ خَرَجَ، فَقَالَ: لأَلْزَمَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، وَلأَكُونَنَّ مَعَهُ يَوْمِي هَذَا، فَجَاءَ الْمَسْجِدَ، فَسَألَ عَنِ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالُوا وجَّهَ هاهُنَا، قَالَ: فَخَرَجْتُ عَلَى أثَرِهِ أسْألُ عَنْهُ، حَتَّى دَخَلَ بِئْرَ أَرِيسٍ، فَجَلَسْتُ عِندَ البَابِ حتَّى قَضَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم حَاجَتَهُ وَتَوَضَّأَ، فَقُمتُ إليهِ، فَإِذَا هُوَ قَد جَلَسَ عَلَى بِئرِ أَرِيسٍ وَتَوَسَّطَ قُفَّهَا، وَكشَفَ عَنْ سَاقَيهِ وَدَلاَّهُما في الْبِئرِ، فَسَلَّمتُ عَليهِ ثمَّ انصَرَفتُ، فَجَلَستُ عِندَ البَابِ، فَقُلْتُ: لأَكُونَنَّ بَوَّابَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْيَوْمَ، فَجَاءَ أَبُو بَكْرٍ رضي الله عنه فَدَفَعَ الْبَابَ، فَقُلتُ: مَنْ هَذَا ؟ فَقَالَ: أَبُو بَكْرٍ، فَقُلتُ: عَلَى رِسْلِكَ، ثُمَّ ذَهبْتُ، فَقُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، هَذَا أَبُو بَكْرٍ يَستَأْذِنُ، فَقَالَ: « ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالْجَنَّةِ». فَأقْبَلْتُ حَتَّى قُلْتُ لأَبي بَكْرٍ: اُدْخُلْ وَرَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يُبَشِّرُكَ بِالجَنَّةِ، فَدَخَلَ أَبُو بَكرٍ حَتَّى جَلَسَ عَنْ يَمِينِ النِّبيِّ صلى الله عليه وسلم مَعَهُ في القُفِّ، وَدَلَّى رِجْلَيْهِ في البِئْرِ كَمَا صَنَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، وَكَشَفَ عَنْ سَاقَيْهِ، ثُمَّ رَجَعْتُ وَجَلَسْتُ، وَقَدْ تَرَكْتُ أَخِي يَتَوَضَّأُ وَيَلْحَقُنِي، فَقُلتُ: إنْ يُرِدِ اللهُ بِفُلانٍ - يُريدُ أخَاهُ- خَيْراً يَأتِ بِهِ . فَإذَا إنْسَانٌ يُحَرِّكُ الْبَابَ، فَقُلتُ: مَنْ هَذَا ؟ فَقَالَ: عُمَرُ بنُ الخَطّابِ، فَقُلتُ: عَلَى رِسْلِكَ، ثُمَّ جِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَقُلْتُ: هَذَا عُمَرُ يَسْتَأذِنُ ؟ فَقَالَ: «اِئْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالجَنَّةِ » فَجِئْتُ عُمَرَ، فَقُلتُ: أَذِنَ وَيُبَشِّرُكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِالجَنَّةِ، فَدَخَلَ فَجَلَسَ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي القُفِّ عَنْ يَسَارِهِ وَدَلَّى رِجْلَيْهِ في البِئرِ، ثُمَّ رَجَعْتُ فَجَلَسْتُ، فَقُلتُ: إنْ يُرِدِ اللهُ بِفُلاَنٍ خَيْراً - يَعْنِي أخَاهُ- يَأْتِ بِهِ، فَجَاءَ إنْسَانٌ فَحَرَّكَ الْبَابَ . فَقُلتُ: مَنْ هَذَا ؟ فَقَالَ: عُثْمَانُ بنُ عَفَّانَ . فَقُلتُ: عَلَى رِسْلِكَ، وجِئْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فأخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: «اِئْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالجَنَّةِ مَعَ بَلْوَى تُصِيبُهُ» فَجِئْتُ، فَقُلتُ: اُدْخُلْ وَيُبَشِّرُكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِالجَنَّةِ مَعَ بَلْوَى تُصيبُكَ، فَدَخَلَ فَوجَدَ الْقُفَّ قَدْ مُلِئَ، فَجَلَسَ وِجَاهَهُمْ مِنَ الشِّقِّ الآخَرِ . قَالَ سَعيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ: فَأوَّلْتُهَا قُبُورَهُمْ . متفقٌ عَلَيْهِ.
وَزَادَ في رِوَايَةٍ: وَأَمَرَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِحِفظِ البَابِ. وَفِيهَا: أنَّ عُثْمانَ حِيْنَ بَشَّرَهُ حَمِدَ اللهَ تَعَالَى، ثُمَّ قَالَ: اللهُ المُسْتَعانُ .

وعن ابي موسى الاشعري رضي الله عنه: انه توضا في بيته، ثم خرج، فقال: لالزمن رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، ولاكونن معه يومي هذا، فجاء المسجد، فسال عن النبي صلى الله عليه وسلم، فقالوا وجه هاهنا، قال: فخرجت على اثره اسال عنه، حتى دخل بىر اريس، فجلست عند الباب حتى قضى رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم حاجته وتوضا، فقمت اليه، فاذا هو قد جلس على بىر اريس وتوسط قفها، وكشف عن ساقيه ودلاهما في البىر، فسلمت عليه ثم انصرفت، فجلست عند الباب، فقلت: لاكونن بواب رسول الله صلى الله عليه وسلم اليوم، فجاء ابو بكر رضي الله عنه فدفع الباب، فقلت: من هذا ؟ فقال: ابو بكر، فقلت: على رسلك، ثم ذهبت، فقلت: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، هذا ابو بكر يستاذن، فقال: « اىذن له وبشره بالجنة». فاقبلت حتى قلت لابي بكر: ادخل ورسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يبشرك بالجنة، فدخل ابو بكر حتى جلس عن يمين النبي صلى الله عليه وسلم معه في القف، ودلى رجليه في البىر كما صنع رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، وكشف عن ساقيه، ثم رجعت وجلست، وقد تركت اخي يتوضا ويلحقني، فقلت: ان يرد الله بفلان - يريد اخاه- خيرا يات به . فاذا انسان يحرك الباب، فقلت: من هذا ؟ فقال: عمر بن الخطاب، فقلت: على رسلك، ثم جىت الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فسلمت عليه وقلت: هذا عمر يستاذن ؟ فقال: «اىذن له وبشره بالجنة » فجىت عمر، فقلت: اذن ويبشرك رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بالجنة، فدخل فجلس مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في القف عن يساره ودلى رجليه في البىر، ثم رجعت فجلست، فقلت: ان يرد الله بفلان خيرا - يعني اخاه- يات به، فجاء انسان فحرك الباب . فقلت: من هذا ؟ فقال: عثمان بن عفان . فقلت: على رسلك، وجىت النبي صلى الله عليه وسلم فاخبرته، فقال: «اىذن له وبشره بالجنة مع بلوى تصيبه» فجىت، فقلت: ادخل ويبشرك رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بالجنة مع بلوى تصيبك، فدخل فوجد القف قد ملى، فجلس وجاههم من الشق الاخر . قال سعيد بن المسيب: فاولتها قبورهم . متفق عليه. وزاد في رواية: وامرني رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بحفظ الباب. وفيها: ان عثمان حين بشره حمد الله تعالى، ثم قال: الله المستعان .

(95) Chapter: Excellence of Conveying Glad Tidings and Congratulations


Abu Musa Al-Ash'ari (May Allah be pleased with him) reported:
One day, I performed my Wudu' in my house and then set forth with the determination that I would stick to Messenger of Allah (ﷺ) and spend the whole day with him. I came to the mosque and asked about him. The Companions told that he (ﷺ) had gone in a certain direction. Abu Musa added: I followed him inquiring until I came to Bi'r Aris (a well in the suburb of Al-Madinah). (There) I sat down at the door till he (ﷺ) had relieved himself and performed Wudu'. Then I went to him and saw him sitting on the platform of the well with his shanks uncovered and his legs dangling in the well. I greeted him and returned to the door of the garden, saying to myself, "I will be the doorkeeper of the Messenger of Allah today." Abu Bakr (May Allah be pleased with him) came and knocked at the door. I said; "Who is that?" He said: "Abu Bakr." I said, "Wait a moment." Then I went to the Messenger of Allah (ﷺ) and said, "O Messenger of Allah! Abu Bakr is at the door seeking permission to enter." He said, "Admit him and give him the glad tidings of Jannah." I returned and said to Abu Bakr (May Allah be pleased with him): "You may enter and Messenger of Allah (ﷺ) has given you the glad tidings of (entering) Jannah." Abu Bakr (May Allah be pleased with him) came in and sat down on the right side of Messenger of Allah (ﷺ) and suspended his legs into the well and uncovered his shanks, as the Messenger of Allah had done. I returned to the door and sat down. I had left my brother at home while he was performing Wudu' and intending to join me. I said to myself: "If Allah intends good for him (i.e., to be blessed to come at this time and receive the glad tidings of entering Jannah), He will bring him here." Someone knocked at the door and I said, "Who is it?" He said, "Umar bin Al-Khattab." I said, "Wait a moment." Then I proceeded towards Messenger of Allah (ﷺ). I greeted him and said, "Umar is at the door, seeking permission to enter. He said, "Let him in and give him the glad tidings of entering Jannah." I went back to 'Umar (May Allah be pleased with him) and said to him, "Messenger of Allah has given you permission as well as glad tidings of entering Jannah." He entered and sat down with Messenger of Allah (ﷺ) on his left side and dangled his feet into the well. I returned to the door and sat down and said to myself: "If Allah intends good for my brother, He will bring him here." Someone knocked at the door and I said, "Who is it?" He said, "Uthman bin 'Affan." I said, "Wait a moment." I went to Messenger of Allah (ﷺ) and informed him about his arrival. He said, "Let him in and give him glad tidings of entering Jannah together with a tribulation which he will have to face." I came back to him and said, "You may enter; and Messenger of Allah (ﷺ) gives you the glad tidings of entering Jannah together with a tribulation that will afflict you." He got in and saw that the elevated platform round the well was fully occupied. So he sat on opposite side. Sa'id bin Al- Musaiyab (May Allah be pleased with him) a subnarrator has reported: The order in which they sat down indicated the places of their burial.

[Al-Bukhari and Muslim].

Another narration adds: Abu Musa Al-Ash'ari (May Allah be pleased with him) said: The Prophet (ﷺ) ordered me to guard the door. When 'Uthman was told (about the misfortune) he praised Allah then said: "Allahu Musta'an (His help is to be sought)."

(The interpretation of Sa'id bin Al-Musaiyab is that the graves of Abu Bakr and 'Umar (May Allah be pleased with them) are by the side of the Prophet (ﷺ), in the same position they took when they sat next to the Prophet (ﷺ) while the grave of 'Uthman is away from their graves, in the public graveyard of Al-Madinah known as Baqi' Al-Gharqad).


Commentary: This Hadith brings four points under our consideration. First, in certain cases, a glad tiding is given about the future life. Second, the Prophet (PBUH) himself gave the good news to the first three Rightly-Guided Khulafa' (caliphs) that they would go to Jannah. Now only an inborn wretch can doubt their Faith. Third, the riot foretold by the Prophet (PBUH) with regard to `Uthman (May Allah be pleased with him) took place in the concluding days of his caliphate. Influenced by the wicked and baseless propaganda of a Jew, `Abdullah bin Saba', a splinter group blockaded `Uthman's house and finally put him to death. The incident reveals the Prophet's truthfulness. Fourth, things are also interpreted while one is awake, and the power of intuition is of course the basisof such a state. Yet, a vision is not necessarily commensurate with the external reality in all cases. However, the first two caliphs, as envisioned by Abu Musa Al-Ash`ari (May Allah be pleased with him), are eternally resting, along with the Prophet (PBUH), in `Aishah's room, while `Uthman (May Allah be pleased with him) is buried in the AlMadinan graveyard of Baqi` Al-Gharqad.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) The Book of Good Manners

পরিচ্ছেদঃ ৯৫: কোন ভাল জিনিসের সুসংবাদ ও তার জন্য মুবারকবাদ জানানো মুস্তাহাব

৩/৭১৫। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চারিপাশে বসেছিলাম। আমাদের সাথে আবূ বকর ও উমার (রাদিয়াল্লাহু ’আনহুমা) তথা অন্যান্য সাহাবীগণও ছিলেন। ইত্যবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝ থেকে উঠে (বাইরে) চলে গেলেন। যখন তিনি ফিরে আসতে দেরি করে দিলেন, তখন আমাদের আশংকা হল যে, আমাদের অনুপস্থিতিতে তিনি (শত্রু) কবলিত না হন। এ দুশ্চিন্তায় আমরা ঘাবড়ে গেলাম এবং উঠে পড়লাম। তাঁদের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। সুতরাং আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্ধানে বেরিয়ে পড়লাম। শেষ পর্যন্ত আমি আনসারদের বনূ নাজ্জারের একটি বাগানে পৌঁছে তার চতুর্দিকে ঘুরতে লাগলাম, যদি কোন (প্রবেশ) দরজা পাই। কিন্তু তার কোন (প্রবেশ) দরজা পেলাম না। হঠাৎ দেখলাম বাইরের একটি কুয়া থেকে সরু নালা ঐ বাগানের ভিতরে চলে গেছে। আমি সেখান দিয়ে জড়সড় হয়ে বাগানের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। (দেখলাম,) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে উপস্থিত।

তিনি বলে উঠলেন, ’’আবূ হুরাইরা?’’ আমি বললাম, ’জী হ্যাঁ, হে আল্লাহ রাসূল!’ তিনি বললেন, ’’কী ব্যাপার তোমার?’’ আমি বললাম, ’আপনি আমাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অকস্মাৎ উঠে বাইরে এলেন। তারপর আপনার ফিরতে দেরি দেখে আমরা এই দুশ্চিন্তায় আক্রান্ত হয়ে পড়ি যে, আমাদের অনুপস্থিতিতে হয়তো আপনি (শত্রু) কবলিত হয়ে পড়বেন। যার ফলে আমরা সকলে ঘাবড়ে উঠলাম। সর্বপ্রথম আমিই বিচলিত হয়ে উঠে এই বাগানে এসে জড়সড় হয়ে শিয়ালের মত ঢুকে পড়লাম। আর সব লোক আমার পিছনে আসছে।’ তিনি আমাকে সম্বোধন করে তাঁর জুতা জোড়া দিয়ে বললেন, ’’আবূ হুরাইরা! আমার এ জুতো জোড়া সঙ্গে নিয়ে যাও এবং এ বাগানের বাইরে ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পাঠকারী যে কোন ব্যক্তির সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে, তাকে জান্নাতের সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।’’

অতঃপর সুদীর্ঘ হাদীস তিনি বর্ণনা করেছেন। (মুসলিম) [1]

بَابُ اِسْتِحْبَابِ التَّبْشِيْرِ وَالتَّهْنِئَةِ بِالْخَيْرِ - (95)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كُنَّا قُعُوداً حَوْلَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَمَعَنَا أَبُو بَكرٍ وَعُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا في نَفَرٍ، فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مِنْ بَيْنِ أظْهُرِنَا فَأبْطَأَ عَلَيْنَا، وَخَشِينَا أنْ يُقْتَطَعَ دُونَنَا وَفَزِعْنَا فَقُمْنَا، فَكُنْتُ أَوَّلَ مَنْ فَزِعَ، فَخَرَجْتُ أبْتَغِي رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، حَتَّى أتَيْتُ حَائِطاً لِلأَنصَارِ لِبَني النَّجَارِ، فَدُرْتُ بِهِ هَلْ أجِدُ لَهُ بَاباً ؟ فَلَمْ أجِدْ ! فَإذَا رَبِيعٌ يَدْخُلُ في جَوْفِ حَائِطٍ مِنْ بِئْرٍ خَارِجَهُ ـ وَالرَّبِيعُ: الجَدْوَلُ الصَّغِيرُ ـ فَاحْتَفَرْتُ، فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: « أَبُو هُرَيْرَةَ ؟» فَقُلتُ: نَعَمْ، يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَا شأنُكَ؟ » قُلْتُ: كُنْتَ بَيْنَ أظْهُرِنَا فَقُمْتَ فَأبْطَأتَ عَلَيْنَا، فَخَشِينَا أنْ تُقْتَطَعَ دُونَنَا، فَفَزِعْنَا، فَكُنْتُ أوّلَ مَنْ فَزِعَ، فَأتَيْتُ هٰذَا الحَائِطَ، فَاحْتَفَرْتُ كَمَا يَحْتَفِرُ الثَّعْلَبُ، وَهَؤُلاَءِ النَّاسُ وَرَائِي . فَقَالَ: يَا أَبَا هُرَيرَةَ وَأعْطَانِي نَعْلَيْهِ، فَقَالَ: «اذْهَبْ بِنَعْلَيَّ هَاتَيْنِ، فَمَنْ لَقِيتَ مِنْ وَرَاءِ هَذَا الحَائِطِ يَشْهَدُ أنْ لاَ إلٰهَ إِلاَّ اللهُ مُسْتَيْقِنَاً بِهَا قَلْبُهُ، فَبَشِّرْهُ بِالجَنَّةِ ... » وَذَكَرَ الحديثَ بِطُوْلِهِ، رواه مسلم .

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: كنا قعودا حول رسول الله صلى الله عليه وسلم، ومعنا ابو بكر وعمر رضي الله عنهما في نفر، فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم من بين اظهرنا فابطا علينا، وخشينا ان يقتطع دوننا وفزعنا فقمنا، فكنت اول من فزع، فخرجت ابتغي رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، حتى اتيت حاىطا للانصار لبني النجار، فدرت به هل اجد له بابا ؟ فلم اجد ! فاذا ربيع يدخل في جوف حاىط من بىر خارجه ـ والربيع: الجدول الصغير ـ فاحتفرت، فدخلت على رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: « ابو هريرة ؟» فقلت: نعم، يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «ما شانك؟ » قلت: كنت بين اظهرنا فقمت فابطات علينا، فخشينا ان تقتطع دوننا، ففزعنا، فكنت اول من فزع، فاتيت هذا الحاىط، فاحتفرت كما يحتفر الثعلب، وهولاء الناس وراىي . فقال: يا ابا هريرة واعطاني نعليه، فقال: «اذهب بنعلي هاتين، فمن لقيت من وراء هذا الحاىط يشهد ان لا اله الا الله مستيقنا بها قلبه، فبشره بالجنة ... » وذكر الحديث بطوله، رواه مسلم .

(95) Chapter: Excellence of Conveying Glad Tidings and Congratulations


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
We were sitting in the company of the Messenger of Allah (ﷺ), and Abu Bakr and 'Umar (May Allah be pleased with them) were also present. All of a sudden the Messenger of Allah (ﷺ) got up and left us. When he was late to return to us we began to worry lest he should meet with trouble in our absence. I was the first to be alarmed and set out in search of him until I came to a garden belonging to Banu-Najjar (a section of the Ansar). I went round it looking for an entrance, but failed to find one. However, I saw a stream of water flowing into the garden from a well outside. I drew myself together like a fox and slinked into the place and reached the Messenger of Allah (ﷺ). He said, "Is it Abu Hurairah?" I replied in the affirmative. He asked, "What is the matter with you?" I replied, "You were sitting with us and then you left us and delayed for a time. Fearing you had met with some adversities we got alarmed. I was the first to be alarmed. So when I came to this garden, I squeezed myself like a fox and these people are coming behind me." He (the Prophet (ﷺ)) gave me his sandals and said, "O Abu Hurairah! Take these sandals of mine, and whoever you meet outside this garden testifying that La ilaha illallah (There is no true god except Allah), being assured of it in his heart, give him the glad tidings that he will enter Jannah." (Abu Hurairah then narrated the Hadith in full).

[Muslim].

Commentary: As explained earlier in detail, a believer will definitely go to Jannah, provided he/she sincerely believes in Allah without associating anyone with His Divinity, either he/she is very likely to be admitted to Jannah in the first stage, or otherwise after being chastised depending on his or her sins. His eternal abode will be in Jannah and not in Hell-fire, In sha' Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) The Book of Good Manners

পরিচ্ছেদঃ ৯৫: কোন ভাল জিনিসের সুসংবাদ ও তার জন্য মুবারকবাদ জানানো মুস্তাহাব

৪/৭১৬। ইবনে শিমাসাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমর ইবনে ’আস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর মরণোন্মুখ সময়ে আমরা তাঁর নিকটে উপস্থিত হলাম। তিনি অনেকক্ষণ ধরে কাঁদতে থাকলেন এবং দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এরূপ অবস্থা দেখে তাঁর এক ছেলে বলল, ’আব্বাজান! আপনাকে কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমুক জিনিসের সুসংবাদ দেননি? আপনাকে কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমুক জিনিসের সুসংবাদ দেননি?’ এ কথা শুনে তিনি তাঁর চেহারা সামনের দিকে করে বললেন, আমাদের সর্বোত্তম পুঁজি হল, এই সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। আমি তিনটি স্তর অতিক্রম করেছি। (এক) আমার চেয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি বড় বিদ্বেষী আর কেউ ছিল না। তাঁকে হত্যা করার ক্ষমতা অর্জন করাই ছিল আমার তৎকালীন সর্বাধিক প্রিয় বাসনা। যদি (দুর্ভাগ্যক্রমে) তখন মারা যেতাম, তাহলে নিঃসন্দেহে আমি জাহান্নামী হতাম।

(দুই) তারপর যখন আল্লাহ তা’আলা আমার অন্তরে ইসলাম প্রক্ষিপ্ত করলেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাযির হয়ে নিবেদন করলাম, ’আপনার ডান হাত প্রসারিত করুন। আমি আপনার হাতে বায়’আত করতে চাই।’ বস্তুত তিনি ডান হাত বাড়িয়ে দিলেন। কিন্তু আমি আমার হাত টেনে নিলাম। তিনি বললেন, ’’আমর! কী ব্যাপার?’’ আমি নিবেদন করলাম, ’একটি শর্ত আরোপ করতে চাই।’ তিনি বললেন, ’’শর্তটি কী?’’ আমি বললাম, ’আমাকে ক্ষমা করা হোক---শুধু এতটুকুই।’ তিনি বললেন, ’’তুমি কি জানো না যে, ইসলাম পূর্বের সমস্ত পাপরাশিকে মিটিয়ে দেয়, হিজরত পূর্বের সমস্ত পাপরাশিকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলে এবং হজ্জ্বও পূর্বের পাপসমূহ ধ্বংস করে দেয়?’’

তখন থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপেক্ষা অধিক প্রিয় মানুষ আর কেউ নেই। আর আমার দৃষ্টিতে তাঁর চেয়ে সম্মানীয় ব্যক্তি আর কেউ নেই। তাঁকে সম্মান ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার অবস্থা এরূপ ছিল যে, তাঁর দিকে নয়নভরে তাকাতে পারতাম না। যার ফলে আমাকে কেউ যদি প্রশ্ন করে যে, ’আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গঠনাকৃতি কিরূপ ছিল?’ তাহলে আমি তা বলতে পারব না। এ অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হয়ে যেত, তাহলে আশা ছিল যে, আমি জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।

(তিন) তারপর বহু দায়িত্বপূর্ণ বিষয়াদির খপ্পরে পড়লাম। জানি না, তাতে আমার অবস্থা কী? সুতরাং আমি মারা গেলে কোন মাতমকারিণী অথবা আগুন যেন অবশ্যই আমার (জানাযার) সাথে না থাকে। তারপর যখন আমাকে দাফন করবে, তখন যেন তোমরা আমার কবরে অল্প অল্প করে মাটি দেবে। অতঃপর একটি উট যবেহ করে তার মাংস বণ্টন করার সময় পরিমাণ আমার কবরের পাশে অপেক্ষা করবে। যাতে আমি তোমাদের সাহায্যে নিঃসঙ্গতা দূর করতে পারি এবং আমার প্রভুর প্রেরিত ফিরিশ্তাদের সঙ্গে কিরূপ বাক্-বিনিময় করি, তা দেখে নই। (মুসলিম)[1]

بَابُ اِسْتِحْبَابِ التَّبْشِيْرِ وَالتَّهْنِئَةِ بِالْخَيْرِ - (95)

وَعَنِ ابنِ شِمَاسَة، قَالَ: حَضَرْنَا عَمْرَو بنَ العَاصِ رضي الله عنه وَهُوَ في سِيَاقَةِ الْمَوْتِ، فَبَكَى طَوِيلاً، وَحَوَّلَ وَجْهَهُ إِلَى الجِدَارِ، فَجَعَلَ ابْنُهُ، يَقُولُ: يَا أبَتَاهُ، أمَا بَشَّرَكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بكَذَا ؟ أمَا بَشَّرَكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِكَذَا ؟ فَأقْبَلَ بِوَجْهِهِ، فَقَالَ: إنَّ أفْضَلَ مَا نُعِدُّ شَهَادَةُ أنْ لاَ إلٰهَ إِلاَّ الله، وَأنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إنِّي قَدْ كُنْتُ عَلَى أطْبَاقٍ ثَلاَثٍ: لَقَدْ رَأيْتُنِي وَمَا أحَدٌ أشَدُّ بُغضاً لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنِّي، وَلاَ أحَبَّ إليَّ مِنْ أنْ أكُونَ قدِ اسْتَمكَنتُ مِنْهُ فَقَتَلْتُهُ، فَلَوْ مُتُّ عَلَى تِلكَ الحَالِ لَكُنْتُ مِنْ أهْلِ النَّارِ، فَلَمَّا جَعَلَ اللهُ الإسلاَمَ في قَلْبِي أتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، فقُلْتُ: اُبسُطْ يَمِينَكَ فَلأُبَايِعُكَ، فَبَسَطَ يَمِينَهُ فَقَبَضْتُ يَدِي، فَقَالَ: « مَا لَكَ يَا عَمْرُو ؟ » قُلتُ: أَرَدتُ أنْ أشْتَرِطَ، قَالَ: « تَشْتَرِطُ مَاذا ؟ » قُلْتُ: أنْ يُغْفَرَ لِي، قَالَ: « أمَا عَلِمْتَ أن الإِسلاَمَ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ، وَأن الهِجْرَةَ تَهْدِمُ مَا كَانَ قَبلَهَا، وَأنَّ الحَجَّ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ ؟ ». وَمَا كَانَ أحدٌ أحَبَّ إليَّ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَلاَ أجَلَّ في عَينِي مِنْهُ وَمَا كُنْتُ أُطيقُ أَن أَملأُ عَينَيَّ مِنْهُ ؛ إِجلاَلاً لَهُ، وَلَو سُئِلتُ أَن أَصِفَهُ مَا أَطَقتُ، ِلأَنِّي لَمْ أَكُن أَملأُ عَينَيَّ مِنْهُ، وَلَو مُتُّ عَلَى تِلْكَ الحَالِ لَرجَوْتُ أَن أكُونَ مِنْ أهْلِ الجَنَّةِ، ثُمَّ وَلِينَا أشْيَاءَ مَا أدْرِي مَا حَالِي فِيهَا ؟ فَإِذَا أنَا مُتُّ فَلاَ تَصحَبَنِّي نَائِحَةٌ وَلاَ نَارٌ، فَإِذَا دَفَنْتُمُونِي، فَشُنُّوا عَليَّ التُّرَابَ شَنّاً، ثُمَّ أَقِيمُوا حَوْلَ قَبْرِي قَدْرَ مَا تُنْحَرُ جَزورٌ، وَيُقْسَمُ لَحْمُهَا، حَتَّى أَسْتَأنِسَ بِكُمْ، وَأنْظُرَ مَا أُرَاجعُ بِهِ رُسُلَ رَبّي . رواه مسلم .

وعن ابن شماسة، قال: حضرنا عمرو بن العاص رضي الله عنه وهو في سياقة الموت، فبكى طويلا، وحول وجهه الى الجدار، فجعل ابنه، يقول: يا ابتاه، اما بشرك رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بكذا ؟ اما بشرك رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بكذا ؟ فاقبل بوجهه، فقال: ان افضل ما نعد شهادة ان لا اله الا الله، وان محمدا رسول الله صلى الله عليه وسلم، اني قد كنت على اطباق ثلاث: لقد رايتني وما احد اشد بغضا لرسول الله صلى الله عليه وسلم مني، ولا احب الي من ان اكون قد استمكنت منه فقتلته، فلو مت على تلك الحال لكنت من اهل النار، فلما جعل الله الاسلام في قلبي اتيت النبي صلى الله عليه وسلم، فقلت: ابسط يمينك فلابايعك، فبسط يمينه فقبضت يدي، فقال: « ما لك يا عمرو ؟ » قلت: اردت ان اشترط، قال: « تشترط ماذا ؟ » قلت: ان يغفر لي، قال: « اما علمت ان الاسلام يهدم ما كان قبله، وان الهجرة تهدم ما كان قبلها، وان الحج يهدم ما كان قبله ؟ ». وما كان احد احب الي من رسول الله صلى الله عليه وسلم، ولا اجل في عيني منه وما كنت اطيق ان املا عيني منه ؛ اجلالا له، ولو سىلت ان اصفه ما اطقت، لاني لم اكن املا عيني منه، ولو مت على تلك الحال لرجوت ان اكون من اهل الجنة، ثم ولينا اشياء ما ادري ما حالي فيها ؟ فاذا انا مت فلا تصحبني ناىحة ولا نار، فاذا دفنتموني، فشنوا علي التراب شنا، ثم اقيموا حول قبري قدر ما تنحر جزور، ويقسم لحمها، حتى استانس بكم، وانظر ما اراجع به رسل ربي . رواه مسلم .

(95) Chapter: Excellence of Conveying Glad Tidings and Congratulations


Ibn Shumasah reported:
We visited 'Amr bin Al-'as (May Allah be pleased with him) when he was in his deathbed. He wept for a long time and turned his face towards the wall. His son said: "O father, did not the Messenger of Allah (ﷺ) give you the good news of such and such? Did he not give you glad tidings of such and such?" Then he ('Amr) turned his face towards us and said: "The best thing which you can count upon is the affirmation that: La ilaha illallah (there is no true god except Allah), and that Muhammad is the Messenger of Allah. I have passed through three phases. I remember when I hated none more than I hated the Messenger of Allah (ﷺ), and there was no other desire stronger in me than that of killing him. Had I died in that state, I would have definitely been one of the dwellers of Fire (Hell). When Allah instilled the love for Islam in my heart, I went to Messenger of Allah (ﷺ) and said, 'Extend your right hand, so that I pledge allegiance to you.' He (ﷺ) stretched out his right hand, but I withdrew my hand. He said, 'What is the matter, 'Amr?' I said, 'I wish to lay down same conditions.' He asked, 'What conditions do you wish to put forward?' I replied, 'To be granted forgiveness.' He said, 'Do you not know that (embracing) Islam wipes out all that has gone before it (previous misdeeds). Verily, emigration wipes out all the previous sins, and the Hajj (pilgrimage) wipes out all the previous sins.' Thereafter, no one was dearer to me than Messenger of Allah (ﷺ), and none was more respectable than him in my eyes. So bright was his splendour that I could not gather enough courage to look at his face for any length of time. If I were asked to describe his feature, I would not be able to do so because I have never caught a full glimpse of his face. Had I died in that state I could have hoped to be one of the dwellers of Jannah. Thereafter, we were made responsible for many things and in the light of which I am unable to know what is in store for me. When I die, no mourner, nor fire should accompany my bier. When you bury me, throw the earth gently over me and stand over my grave for the space of time within which a camel is slaughtered and its meat is distributed so that I may enjoy your intimacy, and in your presence ascertain what answer can I give to the Messengers of my Rubb (the angels in grave)."

[Muslim].


Commentary: This Hadith tells us about three phases of the life of `Amr bin Al-`as (May Allah be pleased with him), that is, pre-Islamic period, post-faith period and the governorship period. Of the last one, when he shouldered heavy responsibilities, he feared that he might have committed some lapses and for that he might be subjected to accountability before Allah. The Hadith invites our attention to the following points:
First, Amr's vehement hostility of pre-faith days was transformed into intense love for the Prophet (PBUH) upon embracing Islam. Second, the greatness of the Prophet (PBUH) was ingrained in the Companions' hearts. Third, the fear of error and the hope of Divine mercy may cause one to shed tears at the moment of death. Fourth, it is desirable on the part of relatives and friends to do something for the comfort of a dying person by giving him the glad tidings of Allah's Mercy. Fifth, Islam wipes out all previous sins, but afterwards, life should be led according to the dictates of true Faith. In the same way the minor sins are pardoned on account of Hijrah, and Hajj, but a sincere repentance with all its conditions is indispensable to the remission of major sins. Sixth, lamentation over a dead body is forbidden. Seventh, one may desirably make a will before death, particularly with regard to the anti-Shari`ah heresies and rites to which the bereaved people are likely to take recourse. Eighth, there is an affirmation of the orthodox belief that Munkir and Nakir (two angels) appear in the grave and question the dead person about his or her religious beliefs. Ninth, to stand over the grave and to pray for the salvation of the dead person is a desirable act, as the dead person enjoys the intimacy and the visit of the righteous to his grave. This Hadith, therefore, recommends believers to pray for the firmness of the dead person.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب) The Book of Good Manners
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে