পরিচ্ছেদঃ ৭৯: ন্যায়পরায়ণ শাসকের মাহাত্ম্য

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُ بِٱلۡعَدۡلِ وَٱلۡإِحۡسَٰنِ ﴾ [النحل: ٩٠]

অর্থাৎ “নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা ও সদাচরণের নির্দেশ দেন---।” (সূরা নাহ্‌ল ৯০ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেন,

﴿ وَأَقۡسِطُوٓاْۖ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُقۡسِطِينَ﴾ [الحجرات: ٩]

অর্থাৎ “সুবিচার কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন।” (সূরা হুজুরাত ৩৮১ আয়াত)


১/৬৬৪। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ তা’আলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না; (তারা হল,) ন্যায় পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রনেতা), সেই যুবক যার যৌবন আল্লাহ আয্যা অজাল্লার ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদসমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে।) সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা স্থাপন করে; যারা এই ভালোবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালোবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন (তাদের মৃত্যু) হয়। সেই ব্যক্তি যাকে কোন কুলকামিনী সুন্দরী (অবৈধ যৌন-মিলনের উদ্দেশ্যে) আহবান করে, কিন্তু সে বলে, ’আমি আল্লাহকে ভয় করি।’ সেই ব্যক্তি যে দান করে গোপন করে; এমনকি তার ডান হাত যা প্রদান করে, তা তার বাম হাত পর্যন্তও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে; ফলে তার উভয় চোখে পানি বয়ে যায়।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

بَابُ الْوَالِي الْعَادِلِ - (79)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عن النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللهُ في ظِلِّهِ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إلاَّ ظِلُّهُ: إمَامٌ عَادِلٌ، وَشَابٌّ نَشَأ في عِبَادَةِ الله - عز وجل -، وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ بِالمَسَاجِدِ، وَرَجُلاَنِ تَحَابّا في اللهِ اجْتَمَعَا عَلَيهِ وتَفَرَّقَا عَلَيهِ، وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأةٌ ذَاتُ مَنصَبٍ وَجَمَالٍ، فَقَالَ: إنِّي أخَافُ الله، وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ، فَأخْفَاهَا حَتَّى لاَ تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ، وَرَجُلٌ ذَكَرَ الله خَالِياً فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ .

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: سبعة يظلهم الله في ظله يوم لا ظل الا ظله: امام عادل، وشاب نشا في عبادة الله - عز وجل -، ورجل قلبه معلق بالمساجد، ورجلان تحابا في الله اجتمعا عليه وتفرقا عليه، ورجل دعته امراة ذات منصب وجمال، فقال: اني اخاف الله، ورجل تصدق بصدقة، فاخفاها حتى لا تعلم شماله ما تنفق يمينه، ورجل ذكر الله خاليا ففاضت عيناه ». متفق عليه .

(79) Chapter: The Just Ruler


Allah, the Exalted, says:
"Verily, Allah enjoins Al-`Adl (justice) and Al-Ihsan (performing duties in a perfect manner).'' (16:90)
"And be equitable. Verily! Allah loves those who are the equitable.'' (49:9)

Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Seven are (the persons) whom Allah will give protection with His Shade* on the Day when there will be no shade except His Shade (i.e., on the Day of Resurrection), and they are: A just ruler; a youth who grew up with the worship of Allah; a person whose heart is attached to the mosque; two persons who love and meet each other and depart from each other for the sake of Allah; a man whom a beautiful and high ranking woman seduces (for illicit relation), but he (rejects this offer by saying): 'I fear Allah'; a person who gives a charity and conceals it (to such an extent) that the left hand might not know what the right has given; and a person who remembers Allah in solitude and his eyes well up."

[Al-Bukhari and Muslim].

* The Shade of Allah to which this Hadith refers to is the shade of His Throne.


Commentary: This Hadith has already been described in the chapter about the excellence of the love of Allah.
Here, it has been carried forward in view of its relevance with the just ruler's excellence. Refer to the commentary on Hadith No. 379.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭৯: ন্যায়পরায়ণ শাসকের মাহাত্ম্য

২/৬৬৫। ’আব্দুল্লাহ ইবনে ’আমর ইবনুল ’আস (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় ন্যায় বিচারকরা আল্লাহর নিকট জ্যোতির মিম্বরের উপর অবস্থান করবে। যারা তাদের বিচারে এবং তাদের গৃহবাসীদের মধ্যে ও যে সমস্ত কাজে তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছে, তাতে তারা ইনসাফ করে’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الْوَالِي الْعَادِلِ - (79)

وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «إنَّ المُقْسِطِينَ عِنْدَ اللهِ عَلَى مَنَابِرَ مِنْ نُورٍ: الَّذِينَ يَعْدِلُونَ في حُكْمِهِمْ وأَهْلِيْهِم وَمَا وَلُوْا ». رواه مسلم

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «ان المقسطين عند الله على منابر من نور: الذين يعدلون في حكمهم واهليهم وما ولوا ». رواه مسلم

(79) Chapter: The Just Ruler


'Abdullah bin 'Amr bin Al-'as (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The just will be seated upon pulpits of light." Those who are fair with regards to their judgement and their family and those who are under them."

[Muslim].

Commentary: How will be the likeness of the pulpits of light? Although we are not aware of their reality, yet we are supposed to have faith in them. We must also believe that these people (just rulers) will be under the shade of the Throne or the Divine mercy, while people will be drenched in their sweat depending on their deeds. The Hadith throws light on the excellence of justice and the high rank of those who do justice.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭৯: ন্যায়পরায়ণ শাসকের মাহাত্ম্য

৩/৬৬৬। আওফ ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট শাসকবৃন্দ তারা, যাদেরকে তোমরা ভালবাস এবং তারাও তোমাদেরকে ভালবাসে, তোমরা তাদের জন্য দো’আ কর এবং তারাও তোমাদের জন্য দো’আ করে। আর তোমাদের নিকৃষ্টতম শাসকবৃন্দ তারা, যাদেরকে তোমরা ঘৃণা কর এবং তারাও তোমাদেরকে ঘৃণা করে, তোমরা তাদেরকে অভিশাপ কর এবং তারাও তোমাদেরকে অভিশাপ করে।’’ (বর্ণনাকারী) বলেন, আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব না?’ তিনি বললেন, ’’না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে নামায প্রতিষ্ঠা করবে। না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে নামায প্রতিষ্ঠা করবে।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الْوَالِي الْعَادِلِ - (79)

وَعَن عَوفِ بنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: خِيَارُ أَئِمَّتِكُمُ الَّذِينَ تُحِبُّونَهُمْ وَيُحِبُّونَكُمْ، وَتُصَلُّونَ عَلَيْهِمْ وَيُصَلُّونَ عَلَيْكُمْ . وشِرَارُ أئِمَّتِكُم الَّذِينَ تُبْغِضُونَهُمْ وَيُبْغِضُونَكُمْ، وَتَلعَنُونَهُمْ وَيَلْعَنُونَكُمْ، قَالَ: قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أفَلاَ نُنَابِذُهُم ؟ قَالَ: لاَ، مَا أقَامُوا فِيْكُمُ الصَّلاَةَ . لاَ، مَا أقَامُوا فِيكُمُ الصَّلاَةَ . رواه مسلم

وعن عوف بن مالك رضي الله عنه، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: خيار اىمتكم الذين تحبونهم ويحبونكم، وتصلون عليهم ويصلون عليكم . وشرار اىمتكم الذين تبغضونهم ويبغضونكم، وتلعنونهم ويلعنونكم، قال: قلنا: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، افلا ننابذهم ؟ قال: لا، ما اقاموا فيكم الصلاة . لا، ما اقاموا فيكم الصلاة . رواه مسلم

(79) Chapter: The Just Ruler


'Auf bin Malik (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "The best of your rulers are those whom you love and who love you, and those who supplicate Allah in your favour and you supplicate Allah in their favour. The worst of your rulers are those whom you hate and who hate you; and whom you curse and who curse you." It was asked (by those who were present): "Should not we oppose them?" He said, "No, as long as they establish Salat; as long as they establish Salat in your midst."

[Muslim].

Commentary: The Hadith identifies two categories of rulers. First, those rulers who are well-wishers of people and provide them with justice. These are the best rulers for whom people also pray. Second, the worst rulers who areonly concerned with their rule and interests and take no interest in providing justice to people and removing their difficulties. In fact, rulers are advised to adhere to justice, uprightness and equity as this can endear them to Allah as well as to people. Moreover, we are told that rebellion against rulers is disallowed till they commit a flagrant act of disbelief and stop abiding by the duties of Islam, particularly Salat (prayer).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭৯: ন্যায়পরায়ণ শাসকের মাহাত্ম্য

৪/৬৬৭। ’ইয়াদ্ব ইবনে হিমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’জান্নাতী তিন প্রকার।
(১) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ, যাকে ভাল কাজ করার তওফীক দেওয়া হয়েছে।
(২) ঐ ব্যক্তি যে প্রত্যেক আত্মীয়-স্বজন ও মুসলিমের প্রতি দয়ালু ও নরম-হৃদয় এবং
(৩) সেই ব্যক্তি যে বহু সন্তানের (গরীব) পিতা হওয়া সত্ত্বেও হারাম ও ভিক্ষাবৃত্তি থেকে দূরে থাকে। (মুসলিম) [1]

بَابُ الْوَالِي الْعَادِلِ - (79)

وَعَن عِياضِ بن حِمارٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: « أهلُ الجَنَّةِ ثَلاَثَةٌ: ذُو سُلطَانٍ مُقْسِطٌ مُوَفَّقٌ، وَرَجُلٌ رَحيمٌ رَقِيقُ القَلْبِ لكُلِّ ذي قُرْبَى ومُسْلِمٍ، وعَفِيفٌ مُتَعَفِّفٌ ذُو عِيالٍ». رواه مسلم

وعن عياض بن حمار رضي الله عنه، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: « اهل الجنة ثلاثة: ذو سلطان مقسط موفق، ورجل رحيم رقيق القلب لكل ذي قربى ومسلم، وعفيف متعفف ذو عيال». رواه مسلم

(79) Chapter: The Just Ruler


'Iyad bin Himar (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "The people of Jannah will be of three kinds: A just successful ruler, a man who shows mercy to his relatives, and a pious believer who has a large family and refrains from begging."

[Muslim].

Commentary: All the three qualities mentioned in the Hadith particularly characterize the men of Faith and will cause their entry to Jannah. Every believer is expected to strive for being invested with these good qualities.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে