পরিচ্ছেদঃ ৭৮: প্রজাদের সাথে শাসকদের কোমল ব্যবহার করা, তাদের মঙ্গল কামনা করা, তাদের প্রতি স্নেহপরবশ হওয়ার আদেশ এবং প্রজাদেরকে ধোঁকা দেওয়া, তাদের প্রতি কঠোর হওয়া, তাদের সবার্থ উপেক্ষা করা, তাদের ও তাদের প্রয়োজন সম্বন্ধে উদাসীন হওয়া নিষিদ্ধ

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ وَٱخۡفِضۡ جَنَاحَكَ لِمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٢١٥ ﴾ [الشعراء: ٢١٥]

অর্থাৎ “তোমার অনুসারী বিশ্বাসীদের প্রতি তুমি সদয় হও।” (সূরা শুআরা ২১৫ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেন,

﴿إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُ بِٱلۡعَدۡلِ وَٱلۡإِحۡسَٰنِ وَإِيتَآيِٕ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَيَنۡهَىٰ عَنِ ٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِ وَٱلۡبَغۡيِۚ يَعِظُكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ ٩٠ ﴾ [النحل: ٩٠]

অর্থাৎ “নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎকার্য ও সীমালংঘন করা হতে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন; যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।” (সূরা নাহ্‌ল ৯০ আয়াত)


১/৬৫৮। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’প্রতিটি মানুষই দায়িত্বশীল, সুতরাং প্রত্যেকে অবশ্যই তার অধীনস্থদের দায়িত্বশীলতা বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। দেশের শাসক জনগণের দায়িত্বশীল, সে তার দায়িত্বশীলতা ব্যাপারে জবাবদিহী করবে। পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল, অতএব সে তার দায়িত্বশীলতা বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। স্ত্রী তার স্বামীগৃহের দায়িত্বশীলা, কাজেই সে তার দায়িত্বশীলতা বিষয়ে জিজ্ঞাসিতা হবে। দাস তার প্রভুর সম্পদের দায়িত্বশীল, সে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ অধীনস্থের দায়িত্বশীলতা ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ أَمْرِ وُلَاةِ الْأَمْرِ بِالرِّفْقِ بِرِعَايَاهُمْ وَنَصِيْحَتِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَالنَّهْيِ عَنْ غَشِّهِمْ وَالتَّشْدِيْدِ عَلَيْهِمْ وَإِهْمَالِ مَصَالِحِهِمْ وَالْغَفْلَةِ عَنْهُمْ وَعَنْ حَوَائِجِهِمْ - (78)

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: « كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَكُلُّكُمْ مَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتهِ: الإمَامُ رَاعٍ وَمَسؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالرَّجُلُ رَاعٍ في أهلِهِ وَمَسؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَالمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ في بَيْتِ زَوْجِهَا وَمَسْؤُولَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا، وَالخَادِمُ رَاعٍ في مال سيِّدِهِ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، وَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَمَسْؤُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ » متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: « كلكم راع، وكلكم مسوول عن رعيته: الامام راع ومسوول عن رعيته، والرجل راع في اهله ومسوول عن رعيته، والمراة راعية في بيت زوجها ومسوولة عن رعيتها، والخادم راع في مال سيده ومسوول عن رعيته، وكلكم راع ومسوول عن رعيته » متفق عليه

(78) Chapter: Obligation of Rulers to show Kindness to their Subjects


Allah, the Exalted, says:
"And be kind and humble to the believers who follow you.'' (26:215)
"Verily, Allah enjoins Al-`Adl (justice) and Al-Ihsan (performing duties in a perfect manner), and giving (help) to kith and kin, and forbids Al-Fahsha' evil deeds and Al-Munkar (all that is prohibited) and Al-Baghy (oppression). He admonishes you, that you may take heed.'' (16:90)


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying, "All of you are guardians and are responsible for your wards. The ruler is a guardian and responsible for his subjects; the man is a guardian and responsible for his family; the woman is a guardian and is responsible for her husbands house and his offspring; and so all of you are guardians and are responsible for your wards."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith has already been mentioned in the chapter pertaining to the duties of a wife to her husband. Its repetition in this chapter is meant to remind rulers that if they are negligent of the duties devolved upon their shoulders, they will be wrongdoers to Allah and put to reckoning on the Day of Resurrection.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭৮: প্রজাদের সাথে শাসকদের কোমল ব্যবহার করা, তাদের মঙ্গল কামনা করা, তাদের প্রতি স্নেহপরবশ হওয়ার আদেশ এবং প্রজাদেরকে ধোঁকা দেওয়া, তাদের প্রতি কঠোর হওয়া, তাদের সবার্থ উপেক্ষা করা, তাদের ও তাদের প্রয়োজন সম্বন্ধে উদাসীন হওয়া নিষিদ্ধ

২/৬৫৯। আবূ য়্যা’লা মা’ক্বিল ইবনে য়্যাসার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’কোনো বান্দাকে আল্লাহ কোন প্রজার উপর শাসক বানালে, যেদিন সে মরবে সেদিন যদি সে প্রজার প্রতি ধোঁকাবাজি করে মরে, তাহলে আল্লাহ তার প্রতি জান্নাত হারাম করে দেবেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’অতঃপর সে (শাসক) তার হিতাকাঙ্ক্ষিতার সাথে তাদের অধিকারসমূহ রক্ষা করল না, সে জান্নাতের সুগন্ধটুকুও পাবে না।’’

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’যে কোনো আমীর মুসলিমদের দেখাশুনার দায়িত্ব নিল, অতঃপর সে তাদের (সমস্যা দূর করার) চেষ্টা করল না এবং তাদের হিতাকাঙ্ক্ষী হল না, সে তাদের সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’’

بَابُ أَمْرِ وُلَاةِ الْأَمْرِ بِالرِّفْقِ بِرِعَايَاهُمْ وَنَصِيْحَتِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَالنَّهْيِ عَنْ غَشِّهِمْ وَالتَّشْدِيْدِ عَلَيْهِمْ وَإِهْمَالِ مَصَالِحِهِمْ وَالْغَفْلَةِ عَنْهُمْ وَعَنْ حَوَائِجِهِمْ - (78)

وَعَن أَبي يَعلَى مَعْقِل بنِ يَسارٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «مَا مِنْ عَبْدٍ يَستَرْعِيهِ اللهُ رَعِيَّةً، يَمُوتُ يَوْمَ يَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لِرَعِيَّتِهِ، إِلاَّ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ الجَنَّة ». متفقٌ عليه
وَفِي رِوَايَةٍ: فَلَمْ يَحُطْهَا بِنُصْحِهِ لَمْ يَجِدْ رَائِحَةَ الجَنَّة
وَفي رِوَايَةٍ لِمُسلِمٍ: مَا مِنْ أميرٍ يَلِي أُمُورَ المُسْلِمينَ، ثُمَّ لاَ يَجْهَدُ لَهُمْ وَيَنْصَحُ لَهُمْ، إِلاَّ لَمْ يَدْخُلْ مَعَهُمُ الْجَنَّةَ

وعن ابي يعلى معقل بن يسار رضي الله عنه، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: «ما من عبد يسترعيه الله رعية، يموت يوم يموت وهو غاش لرعيته، الا حرم الله عليه الجنة ». متفق عليه وفي رواية: فلم يحطها بنصحه لم يجد راىحة الجنة وفي رواية لمسلم: ما من امير يلي امور المسلمين، ثم لا يجهد لهم وينصح لهم، الا لم يدخل معهم الجنة

(78) Chapter: Obligation of Rulers to show Kindness to their Subjects


Abu Ya'la Ma'qil bin Yasar (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Any slave whom Allah makes him in charge of subjects and he dies while he is not sincere to them, Allah will make Jannah unlawful for him."

[Al-Bukhari and Muslim].

Another narration is: Allah's Messenger (ﷺ) said, "He who does not look after his subjects with goodwill and sincerity, will be deprived of the fragrance of Jannah."

A narration in Muslim is: Messenger of Allah (ﷺ) said, "A ruler who, having control over the affairs of the Muslims, does not strive diligently for their betterment and does not serve them sincerely, will not enter Jannah with them."

Commentary: Here the attention of rulers has been invited to their obligations. They are told that their designation is very important because they are responsible for tackling the problems and affairs of millions of people. If their single-minded devotion, determined efforts and heartfelt feelings of well-wishing will not go to solving these problems, they will be deemed guilty by Allah. Rulers are, therefore, warned, lest power should go to their head and make them unheedful of people's problems, rights and concerns. Instead being fully conscious of their accountability to Allah (SWT) they are apt to make full efforts to provide justice and peace to people. By "forbid from entering Jannah'' means they will not enter it with the first successful people until they get punished for their wrongdoings. If however, they were treacherous to their subjects while regarding this injustice lawful, thus disobeying Allah and His Commands, they will stay in Hell forever because this way they have made permissible and lawful what Allah has forbidden.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭৮: প্রজাদের সাথে শাসকদের কোমল ব্যবহার করা, তাদের মঙ্গল কামনা করা, তাদের প্রতি স্নেহপরবশ হওয়ার আদেশ এবং প্রজাদেরকে ধোঁকা দেওয়া, তাদের প্রতি কঠোর হওয়া, তাদের সবার্থ উপেক্ষা করা, তাদের ও তাদের প্রয়োজন সম্বন্ধে উদাসীন হওয়া নিষিদ্ধ

৩/৬৬০। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ’আনহা বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমার এই ঘরে বলতে শুনেছি, ’’হে আল্লাহ! যে কেউ আমার উম্মতের কোন কাজের কিছু দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে কষ্টে ফেলবে, তুমি তাকে কষ্টে ফেলো। আর যে কেউ আমার উম্মতের কোন কাজের কিছু দায়িত্ব নিয়ে তাদের সাথে নম্রতা করবে, তুমি তার সাথে নম্রতা করো।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ أَمْرِ وُلَاةِ الْأَمْرِ بِالرِّفْقِ بِرِعَايَاهُمْ وَنَصِيْحَتِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَالنَّهْيِ عَنْ غَشِّهِمْ وَالتَّشْدِيْدِ عَلَيْهِمْ وَإِهْمَالِ مَصَالِحِهِمْ وَالْغَفْلَةِ عَنْهُمْ وَعَنْ حَوَائِجِهِمْ - (78)

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ فِي بَيْتِي هَذَا: «اَللهم مَنْ وَلِيَ مِنْ أمْرِ أُمَّتِي شَيْئاً فَشَقَّ عَلَيْهِمْ، فَاشْقُقْ عَلَيْهِ، وَمَنْ وَلِيَ مِنْ أَمْرِ أُمَّتِي شَيْئاً فَرَفَقَ بِهِمْ، فَارفُقْ بِهِ». رواه مسلم

وعن عاىشة رضي الله عنها، قالت: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول في بيتي هذا: «اللهم من ولي من امر امتي شيىا فشق عليهم، فاشقق عليه، ومن ولي من امر امتي شيىا فرفق بهم، فارفق به». رواه مسلم

(78) Chapter: Obligation of Rulers to show Kindness to their Subjects


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
I heard the the Messenger of Allah (ﷺ) supplicating in my house: "O Allah! Treat harshly those who rule over my Ummah with harshness, and treat gently those who rule over my Ummah with gentleness."

[Muslim].

Commentary: How fortunate is a ruler who establishes his claim to the special benediction of Messenger of Allah (PBUH) by providing justice to people! On the other hand, how unfortunate is that ruler who incurs the Prophetic imprecations by doing injustice to people! This Hadith is suggestive of a rulership based on justice and lays emphasis on refraining injustice and atrocity.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭৮: প্রজাদের সাথে শাসকদের কোমল ব্যবহার করা, তাদের মঙ্গল কামনা করা, তাদের প্রতি স্নেহপরবশ হওয়ার আদেশ এবং প্রজাদেরকে ধোঁকা দেওয়া, তাদের প্রতি কঠোর হওয়া, তাদের সবার্থ উপেক্ষা করা, তাদের ও তাদের প্রয়োজন সম্বন্ধে উদাসীন হওয়া নিষিদ্ধ

৪/৬৬১। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’বানী ইস্রাঈলদের (দ্বীন ও দুনিয়া উভয়ের কাজ) পরিচালনা করতেন নবীগণ। যখনই কোন নবী মারা যেতেন, তখনই অন্য আর এক নবী তাঁর প্রতিনিধি হতেন। (জেনে রাখ) আমার পর কোন নবী নেই, বরং আমার পর অধিক সংখ্যায় খলীফা হবে।’’ সাহাবীগণ বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদেরকে কী নির্দেশ দিচ্ছেন?’ তিনি বললেন, ’’যার নিকট প্রথমে বায়’আত করবে, তা পালন করবে। তারপর যার নিকট বায়’আত করবে, তা পালন করবে। অতঃপর তাদের অধিকার আদায় করবে এবং তোমাদের অধিকার আল্লাহর কাছে চেয়ে নেবে। কারণ, মহান আল্লাহ তাদেরকে প্রজাপালনের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ أَمْرِ وُلَاةِ الْأَمْرِ بِالرِّفْقِ بِرِعَايَاهُمْ وَنَصِيْحَتِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَالنَّهْيِ عَنْ غَشِّهِمْ وَالتَّشْدِيْدِ عَلَيْهِمْ وَإِهْمَالِ مَصَالِحِهِمْ وَالْغَفْلَةِ عَنْهُمْ وَعَنْ حَوَائِجِهِمْ - (78)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « كَانَتْ بَنُو إسرَائِيلَ تَسُوسُهُم الأَنبِيَاء، كُلَّمَا هَلَكَ نَبِيٌّ خَلَفَهُ نَبيٌّ، وَإنَّهُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي، وَسَيكُونُ بَعْدِي خُلفَاءُ فَيَكثُرُونَ»، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَمَا تَأْمُرُنَا ؟ قَالَ: « أَوْفُوا بِبَيْعَةِ الأَوَّلِ فَالأَوَّلِ، ثُمَّ أَعْطُوهُمْ حَقَّهُمْ، وَاسْأَلُوا اللهَ الَّذِي لَكُمْ، فَإنَّ اللهَ سَائِلُهُمْ عَمَّا اسْتَرْعَاهُمْ ». متفقٌ عليه

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « كانت بنو اسراىيل تسوسهم الانبياء، كلما هلك نبي خلفه نبي، وانه لا نبي بعدي، وسيكون بعدي خلفاء فيكثرون»، قالوا: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، فما تامرنا ؟ قال: « اوفوا ببيعة الاول فالاول، ثم اعطوهم حقهم، واسالوا الله الذي لكم، فان الله ساىلهم عما استرعاهم ». متفق عليه

(78) Chapter: Obligation of Rulers to show Kindness to their Subjects


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "The Banu Isra'il were ruled by the Prophets. When one Prophet died, another succeeded him. There will be no Prophet after me. Caliphs will come after me, and they will be many." The Companions said: "O Messenger of Allah, what do you command us to do?" He said, "Fulfill the pledge of allegiance to which is sworn first (then swear allegiance to the others). Concede to them their due rights and ask Allah that which is due to you. Allah will call them to account in respect of the subjects whom He had entrusted to them."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: The political conduct of the Prophets means that rulership and government affairs were also assigned to them, that is, both religious and worldly affairs lay in their custody. There was no dichotomy between the two, they formed a single unit. This also characterized the period of the Rightly-Guided Caliphs and the short spell that followed it in the history of Islam. This explains why after the death of one Prophet came another Prophet and became his successor. Second, the Hadith also settles the issue of the finality of Prophethood once for all. "No Prophet will succeed me except the caliphs'', said the Prophet (PBUH). In the case of many claimants to caliphate, he also gave a ruling, that is, people should primarily fulfill their allegiance pledged to the first caliph and keep away from caring for another claimant to caliphate. Third, the Prophet (PBUH) focused, on the lapses of rulers but without being suggestive of a rebellion and public demonstrations against them. Instead he teaches us to obey them in the administrative sphere and also to turn to Allah (SWT) and seek His Mercy and Blessing as long as they rule by the Law of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭৮: প্রজাদের সাথে শাসকদের কোমল ব্যবহার করা, তাদের মঙ্গল কামনা করা, তাদের প্রতি স্নেহপরবশ হওয়ার আদেশ এবং প্রজাদেরকে ধোঁকা দেওয়া, তাদের প্রতি কঠোর হওয়া, তাদের সবার্থ উপেক্ষা করা, তাদের ও তাদের প্রয়োজন সম্বন্ধে উদাসীন হওয়া নিষিদ্ধ

৫/৬৬২। ’আয়েয ইবনে ’আমর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদের নিকট গেলেন। অতঃপর তিনি তাকে বললেন, ’হে বৎস! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’নিশ্চয় নিকৃষ্টতম শাসক সে, যে প্রজাদের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করে।’’ সুতরাং তুমি তাদের দলভুক্ত হওয়া থেকে দূরে থাকো।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ أَمْرِ وُلَاةِ الْأَمْرِ بِالرِّفْقِ بِرِعَايَاهُمْ وَنَصِيْحَتِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَالنَّهْيِ عَنْ غَشِّهِمْ وَالتَّشْدِيْدِ عَلَيْهِمْ وَإِهْمَالِ مَصَالِحِهِمْ وَالْغَفْلَةِ عَنْهُمْ وَعَنْ حَوَائِجِهِمْ - (78)

وَعَن عَائِذِ بنِ عَمرٍو رضي الله عنه: أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عُبَيْدِ اللهِ بنِ زِيَادٍ، فَقَالَ لَهُ: أيْ بُنَيَّ، إنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: « إنَّ شَرَّ الرِّعَاءِ الحُطَمَةُ» فإيَاكَ أن تَكُونَ مِنْهُمْ . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن عاىذ بن عمرو رضي الله عنه: انه دخل على عبيد الله بن زياد، فقال له: اي بني، اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: « ان شر الرعاء الحطمة» فاياك ان تكون منهم . متفق عليه

(78) Chapter: Obligation of Rulers to show Kindness to their Subjects


'Aidh bin 'Amr (May Allah be pleased with him) reported:
I visited 'Ubaidullah bin Ziyad and said to him: "Dear son, I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying, 'The worst of rulers are those who treat their subjects harshly. Beware, lest you should be one of them."'

[Al-Bukhari].

Commentary: There is a typical, brutish sheep-herder who severely drives his flock and flogs them mercilessly. As a result of which the timid animals get upon one another. In the Hadith, this word has been brought in for a tyrant ruler who subjects people to oppression and treats them unkindly. It implies a strong warning and intimidation to cruel rulers.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭৮: প্রজাদের সাথে শাসকদের কোমল ব্যবহার করা, তাদের মঙ্গল কামনা করা, তাদের প্রতি স্নেহপরবশ হওয়ার আদেশ এবং প্রজাদেরকে ধোঁকা দেওয়া, তাদের প্রতি কঠোর হওয়া, তাদের সবার্থ উপেক্ষা করা, তাদের ও তাদের প্রয়োজন সম্বন্ধে উদাসীন হওয়া নিষিদ্ধ

৬/৬৬৩। আবূ মারয়্যাম আযদী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু মু’আবিয়াহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-কে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’যে ব্যক্তিকে আল্লাহ মুসলিমদের কোনো (রাজ) কার্যে নিযুক্ত করলেন, অতঃপর সে তাদের অভাব-অভিযোগ, প্রয়োজন ও অনটন থেকে পর্দা বা বাধা সৃষ্টি করলো, কিয়ামতের দিন আল্লাহ সে ব্যক্তির অভাব-অভিযোগ, প্রয়োজন ও অনটন থেকে পর্দা বা বাধা প্রদান করবেন।’’ (তা পূরণ করবেন না।) (আবূ দাউদ, তিরমিযী) [1]

بَابُ أَمْرِ وُلَاةِ الْأَمْرِ بِالرِّفْقِ بِرِعَايَاهُمْ وَنَصِيْحَتِهِمْ وَالشَّفْقَةِ عَلَيْهِمْ وَالنَّهْيِ عَنْ غَشِّهِمْ وَالتَّشْدِيْدِ عَلَيْهِمْ وَإِهْمَالِ مَصَالِحِهِمْ وَالْغَفْلَةِ عَنْهُمْ وَعَنْ حَوَائِجِهِمْ - (78)

وَعَن أَبي مَريَمَ الأَزدِيِّ رضي الله عنه: أنّه قَالَ لِمُعَاوِيَةَ رضي الله عنه: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: مَنْ وَلاَّهُ اللهُ شَيْئاً مِنْ أُمُورِ المُسْلِمِينَ، فَاحْتَجَبَ دُونَ حَاجَتِهِمْ وَخَلَّتِهِمْ وَفَقْرِهِمْ، احْتَجَبَ اللهُ دُونَ حَاجَتِهِ وَخَلَّتِهِ وَفَقْرِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ . فَجَعَلَ مُعَاوِيَةُ رَجُلاً عَلَى حَوَائِجِ النَّاسِ . رواه أَبُو داود والترمذي

وعن ابي مريم الازدي رضي الله عنه: انه قال لمعاوية رضي الله عنه: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: من ولاه الله شيىا من امور المسلمين، فاحتجب دون حاجتهم وخلتهم وفقرهم، احتجب الله دون حاجته وخلته وفقره يوم القيامة . فجعل معاوية رجلا على حواىج الناس . رواه ابو داود والترمذي

(78) Chapter: Obligation of Rulers to show Kindness to their Subjects


Abu Maryam Al-Azdi (May Allah be pleased with him) reported:
I said to Mu'awiyah (bin Abu Sufyan) (May Allah be pleased with them): I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying, "If Allah invests to someone the affairs of the Muslims and he (i.e., the ruler) ignores their rights, denies their access to him and neglects their needs, Allah will not answer his prayer or realize his hopes and will act towards him with indifference on the Day of Resurrection." So Mu'awiyah appointed a person to keep a vigil on the necessities of the people and to fulfill them.

[Abu Dawud and At- Tirmidhi].

Commentary: The Hadith warns such a ruler who is heedless of the problems and affairs of the needy and who keeps them away from him. On the Last Day, Allah, too, will be indifferent to him. Indeed, a stern warning is given to such rulers who have no direct contact with the needy people and who keep their doors shut to them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে