পরিচ্ছেদঃ ৭৭: শরীয়তের নির্দেশাবলী লংঘন করতে দেখলে ক্রোধান্বিত হওয়া এবং আল্লাহর দ্বীনের সংরক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতার বিবরণ

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ ذَٰلِكَۖ وَمَن يُعَظِّمۡ حُرُمَٰتِ ٱللَّهِ فَهُوَ خَيۡرٞ لَّهُۥ عِندَ رَبِّهِۦۗ﴾ [الحج: ٣٠]

অর্থাৎ “কেউ আল্লাহর নিষিদ্ধ (স্থান বা) বিধানসমূহের সম্মান করলে তার প্রতিপালকের নিকট তার জন্য এটাই উত্তম।” (সূরা হাজ্জ্ব ৩০ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেন,

﴿ إِن تَنصُرُواْ ٱللَّهَ يَنصُرۡكُمۡ وَيُثَبِّتۡ أَقۡدَامَكُمۡ ٧ ﴾ [محمد: ٧]

অর্থাৎ “যদি তোমরা আল্লাহর (দ্বীনের) সাহায্য কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন, এবং তোমাদের পা দৃঢ়-প্রতিষ্ঠিত রাখবেন।” (সূরা মুহাম্মাদ ৭ আয়াত)


১/৬৫৪। আবূ মাসঊদ উক্বাহ ইবনে আমর বাদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ’অমুক ব্যক্তি লম্বা নামায পড়ায়, তার জন্য আমি ফজরের নামায থেকে পিছনে থাকি।’ অতঃপর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কোন ভাষণে সেদিনকার থেকে বেশী রাগান্বিত হতে দেখিনি। তিনি বললেন, ’’হে লোক সকল! তোমাদের মধ্যে কিছু লোক লোকদের মধ্যে ঘৃণা সৃষ্টি করছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ লোকদের ইমামতি করবে, সে যেন সংক্ষেপে নামায পড়ায়। কারণ তার পিছনে বৃদ্ধ, শিশু এবং এমনও লোক রয়েছে যার কোন প্রয়োজন আছে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الْغَضَبِ إِذَا انْتُهِكَتْ حُرُمَاتُ الشَّرْعِ وَالْاِنْتِصَارِ لِدِيْنَ اللهِ تَعَالٰى - (77)

وَعَن أَبي مَسعُودٍ عُقْبَةَ بنِ عَمْرٍو البَدْرِي رضي الله عنه، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: إنِّي لأَتَأخَّرُ عَن صَلاةِ الصُّبْحِ مِنْ أَجْلِ فُلاَنٍ مِمَّا يُطِيلُ بِنَا ! فَمَا رَأيْتُ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم غَضِبَ في مَوْعِظَةٍ قَطُّ أشَدَّ مِمَّا غَضِبَ يَوْمَئذٍ ؛ فَقَالَ: « يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إنَّ مِنْكُمْ مُنَفِّرِينَ، فَأيُّكُمْ أمَّ النَّاسَ فَلْيُوجِزْ ؛ فَإنَّ مِنْ وَرَائِهِ الكَبِيرَ وَالصَّغِيرَ وَذَا الحَاجَةِ ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي مسعود عقبة بن عمرو البدري رضي الله عنه، قال: جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: اني لاتاخر عن صلاة الصبح من اجل فلان مما يطيل بنا ! فما رايت النبي صلى الله عليه وسلم غضب في موعظة قط اشد مما غضب يومىذ ؛ فقال: « يا ايها الناس، ان منكم منفرين، فايكم ام الناس فليوجز ؛ فان من وراىه الكبير والصغير وذا الحاجة ». متفق عليه

(77) Chapter: Indignation against the Transgression of Divine Laws


Allah, the Exalted, says:
"And whoever honours the sacred things of Allah, then that is better for him with his Rubb...'' (22:30)
"If you help (in the Cause of) Allah, He will help you, and make your foothold firm.'' (47:7)

Abu Mas'ud 'Uqbah bin 'Amr Al-Badri (May Allah be pleased with him) reported:
A man came to the Prophet (ﷺ) and said: "I join the morning Salat late because of so-and-so who leads it and prolongs it." (Abu Mas'ud said): I have never seen the Prophet (ﷺ) so angry while giving a speech as he was on that day. He (ﷺ) said, "Some of you create hatred among the people against faith. Whoever leads Salat (the prayer), should make it brief because the congregation includes old men and youngsters and those who have some urgent work to do."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: First, there is allowance for a genuine complaint regarding some public inconvenience. Second, a believer is supposed to be passionately uncompromising on religious precepts. Third, the Imam should refrain from
prolonging Salat (prayer) and be considerate of the congregation standing behind him. But a brief recitation of the Qur'an or prayer does not imply a disregard of the example of the Prophet and the adjustment of different postures in Salat. In no way should it be a hasty and heedless Salat as unfortunately offered by a majority of men. They are scarcely regardful of the example of the Prophet in offering Salat. What a pity! Fourth, one may be exempted from offering congregational Salat for a valid religious excuse. fifth, the Imam should eschew an attitude which may foment people's aversion to worship.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭৭: শরীয়তের নির্দেশাবলী লংঘন করতে দেখলে ক্রোধান্বিত হওয়া এবং আল্লাহর দ্বীনের সংরক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতার বিবরণ

২/৬৫৫। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সফর থেকে (বাড়ী) ফিরলেন। সে সময় আমি ঘরের সামনে তাকে একটি পর্দা ঝুলিয়ে রেখেছিলাম, যাতে অনেক ছবি ছিল। অতঃপর যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা দেখলেন তখন ছিঁড়ে ফেলে দিলেন। (রাগে) তাঁর চেহারা (লাল)বর্ণ হয়ে গেল। অতঃপর তিনি বললেন, ’’হে আয়েশা! কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সর্বাধিক কঠিন শাস্তি তাদের হবে, যারা আল্লাহর সৃষ্ট জীবের মত আকৃতি (অঙ্কণ বা নির্মাণ) করে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الْغَضَبِ إِذَا انْتُهِكَتْ حُرُمَاتُ الشَّرْعِ وَالْاِنْتِصَارِ لِدِيْنَ اللهِ تَعَالٰى - (77)

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَت: قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مِنْ سَفرٍ، وَقَدْ سَتَرْتُ سَهْوَةً لِي بِقِرَامٍ فِيهِ تَمَاثِيلُ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم هَتَكَهُ وَتَلَوَّنَ وَجهُهُ، وَقَالَ: « يَا عَائِشَةُ، أشَدُّ النَّاسِ عَذَاباً عِنْدَ اللهِ يَوْمَ القيَامَةِ الَّذِينَ يُضَاهُونَ بخَلْقِ اللهِ ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن عاىشة رضي الله عنها، قالت: قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم من سفر، وقد سترت سهوة لي بقرام فيه تماثيل، فلما راه رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم هتكه وتلون وجهه، وقال: « يا عاىشة، اشد الناس عذابا عند الله يوم القيامة الذين يضاهون بخلق الله ». متفق عليه

(77) Chapter: Indignation against the Transgression of Divine Laws


'Aishah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) returned once from a journey, and saw a curtain which I had hung along a platform with some pictures on it. The colour of his face changed. He tore it up and said, "O 'Aishah, the most tormented people on the Day of Resurrection are those who contend with Allah in terms of creation."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Here, too, we are told that lapses in religious matters may be resented vehemently. The Shari`ah condemns both the making of human portraits and their decoration in homes and, if displayed as sacred objects, they may be read as polytheistic manifestation. Besides, orthodox `Ulama' and researchers are of the opinion that making or keeping of any type of picture is forbidden and unlawful. The rule equally applies to a hand-made picture and a camera photograph, provided it is that of an animate object. Yet, making or keeping pictures of inanimate objects, both of mineral and vegetable kingdoms, is permissible. However, one is at liberty to get oneself photographed in an unavoidable situation. For instance, photographs are indispensable to passports, identity cards and similar other necessities of modern times in which man is helpless and we can not assert that he is inclined to satisfy his taste or to get himself photographed as a token of permissibility. Indeed, it is the requirement of international law. So, up to this extent he will not be called to account. Yet, he cannot be justified in overstepping this limit.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭৭: শরীয়তের নির্দেশাবলী লংঘন করতে দেখলে ক্রোধান্বিত হওয়া এবং আল্লাহর দ্বীনের সংরক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতার বিবরণ

৩/৬৫৬। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকেই বর্ণিত, যে মাখযূমী মহিলাটি চুরি করেছিল তার ব্যাপারটি কুরায়েশদেরকে চিন্তান্বিত করে তুলেছিল। সুতরাং তারা বলল, ’এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয় উসামাহ ইবন যায়দ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু ছাড়া আর কে সাহস করতে পারবে?’ ফলে উসামাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু তাঁর সাথে কথা বললেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’আল্লাহর নির্ধারিত দণ্ডবিধির ব্যাপারে তুমি সুপারিশ করছ?’’ অতঃপর তিনি দাঁড়ালেন এবং ভাষণ দিলেন। তাতে তিনি বললেন, ’’তোমাদের পূর্বেকার লোকেরা এ জন্যই ধ্বংস হয়েছে যে, তাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি চুরি করলে তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যখন তাদের মধ্যে কোন দুর্বল ব্যক্তি চুরি করত, তখন তারা তাকে শাস্তি প্রদান করত। আল্লাহর কসম! যদি মুহাম্মাদের কন্যা ফাতেমা চুরি করত, তাহলে আমি তারও হাত কেটে দিতাম।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الْغَضَبِ إِذَا انْتُهِكَتْ حُرُمَاتُ الشَّرْعِ وَالْاِنْتِصَارِ لِدِيْنَ اللهِ تَعَالٰى - (77)

وَعَنهَا: أَنَّ قُرَيْشاً أهَمَّهُمْ شَأنُ المَرأَةِ المَخزُومِيَّةِ الَّتي سَرَقَتْ، فَقَالُوا: مَنْ يُكَلِّمُ فِيهَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ؟ فَقَالُوا: مَنْ يَجْتَرِئُ عَلَيْهِ إِلاَّ أُسَامَةُ بنُ زَيْدٍ حِبُّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ فَكَلَّمَهُ أُسَامَةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « أتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللهِ تَعَالَى ؟! » ثُمَّ قامَ فَاخْتَطَبَ، ثُمَّ قَالَ: « إنَّمَا أهْلَك مَنْ قَبْلَكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ، وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الضَّعِيفُ أقامُوا عَلَيْهِ الحَدَّ، وَايْمُ الله، لَوْ أَنَّ فَاطمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعتُ يَدَهَا ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعنها: ان قريشا اهمهم شان المراة المخزومية التي سرقت، فقالوا: من يكلم فيها رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ؟ فقالوا: من يجترى عليه الا اسامة بن زيد حب رسول الله صلى الله عليه وسلم ؟ فكلمه اسامة، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « اتشفع في حد من حدود الله تعالى ؟! » ثم قام فاختطب، ثم قال: « انما اهلك من قبلكم انهم كانوا اذا سرق فيهم الشريف تركوه، واذا سرق فيهم الضعيف اقاموا عليه الحد، وايم الله، لو ان فاطمة بنت محمد سرقت لقطعت يدها ». متفق عليه

(77) Chapter: Indignation against the Transgression of Divine Laws


'Aishah (May Allah be pleased with him) reported:
The Quraish were much worried about the case of a Makhzumiyah woman who had committed theft and wondered who should intercede for her with Messenger of Allah (ﷺ) (so that she would not get punished for her crime). Some said Usamah bin Zaid (May Allah be pleased with him) was his beloved and so he may dare do so. So Usamah(May Allah be pleased with him) spoke to him about that matter and the Prophet (ﷺ) said to him, "Do you intercede when one of the legal punishments ordained by Allah has been voilated?" Then he got up and addressed the people saying, "The people before you were ruined because when a noble person amongst them committed theft, they would leave him, but if a weak person amongst them committed theft, they would execute the legal punishment on him. By Allah, were Fatimah, the daughter of Muhammad, to commit the theft, I would have cut off her hand."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: The example of Allah's Messenger (PBUH) clearly tells us that no intercession is allowed for a person who transgresses the limits set by Allah. And if anybody has the audacity to do so, the deciding authority is presumed to be impervious to his solicitation. Nor should the criminal's social status or family influence, if any, obstruct the administration of justice. The law and retribution rise above all discrimination and social hierarchy. Any contravention in this regard is enough to incur Divine wrath.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৭৭: শরীয়তের নির্দেশাবলী লংঘন করতে দেখলে ক্রোধান্বিত হওয়া এবং আল্লাহর দ্বীনের সংরক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতার বিবরণ

৪/৬৫৭। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার (দিকের দেওয়ালে) থুতু দেখতে পেলেন এটা তাঁর প্রতি খুব ভারী মনে হল; এমনকি তাঁর চেহারায় সে চিহ্ন দেখা গেল। ফলে দাঁড়ালেন এবং তিনি তা নিজ হাত দ্বারা ঘষে তুলে ফেললেন। তারপর বললেন, ’’তোমাদের কেউ যখন নামাযে দাঁড়ায়, তখন সে তার প্রতিপালকের সাথে কানে কানে (ফিসফিস করে কথা) বলে। আর তার প্রতিপালক তার ও কেবলার মধ্যস্থলে থাকেন। সুতরাং তোমাদের কেউ যেন কেবলার দিকে থুতু না ফেলে; বরং তার বামে অথবা পদতলে ফেলে। অতঃপর তিনি তাঁর চাদরের এক প্রান্ত ধরে তাতে থুতু নিক্ষেপ করলেন। তারপর তিনি তার এক অংশকে আর এক অংশের সাথে রগড়ে দিয়ে বললেন, কিংবা এইরূপ করে।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]


* বাম দিকে অথবা পায়ের নিচে থুতু ফেলার নির্দেশ তখন পালনীয়, যখন নামায মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও (মাটিতে) হবে। পক্ষান্তরে নামায মসজিদে হলে কাপড়ে (অথবা টিসুতেই) থুতু (শ্লেষ্মা ইত্যাদি) ফেলতে হবে।

بَابُ الْغَضَبِ إِذَا انْتُهِكَتْ حُرُمَاتُ الشَّرْعِ وَالْاِنْتِصَارِ لِدِيْنَ اللهِ تَعَالٰى - (77)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأى نُخَامَةً فِي القِبلَةِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِ حَتَّى رُؤِيَ في وَجْهِهِ ؛ فَقَامَ فَحَكَّهُ بِيَدِهِ، فَقَالَ: « إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ فِي صَلاَتِهِ فَإِنَّهُ يُنَاجِي رَبَّهُ، وَإنَّ رَبَّهُ بَيْنَهُ وَبيْنَ القِبلَةِ، فَلاَ يَبْزُقَنَّ أحَدُكُمْ قِبَلَ الْقِبْلَةِ، وَلَكِنْ عَنْ يَسَارِهِ، أَوْ تَحْتَ قَدَمِهِ » ثُمَّ أخَذَ طَرَفَ رِدَائِهِ فَبَصَقَ فِيهِ، ثُمَّ رَدَّ بَعْضَهُ عَلَى بَعْضٍ، فَقَالَ: « أَوْ يَفْعَلُ هَكَذَا ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن انس رضي الله عنه: ان النبي صلى الله عليه وسلم راى نخامة في القبلة، فشق ذلك عليه حتى روي في وجهه ؛ فقام فحكه بيده، فقال: « ان احدكم اذا قام في صلاته فانه يناجي ربه، وان ربه بينه وبين القبلة، فلا يبزقن احدكم قبل القبلة، ولكن عن يساره، او تحت قدمه » ثم اخذ طرف رداىه فبصق فيه، ثم رد بعضه على بعض، فقال: « او يفعل هكذا ». متفق عليه

(77) Chapter: Indignation against the Transgression of Divine Laws


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) noticed spittle in the mosque in the direction of the Qiblah. The signs of disgust were perceived on his face. Then, he stood up and scraped it away with his own hand and said, "When you stand in Salat, you hold communion with your Rubb and He is between you and the Qiblah. Let no one therefore cast out his spittle in that direction, but only to his left or under his foot." Then he caught hold a corner of his sheet, spat into it and folded it up and said, "Or he should do like this."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Worshippers are under obligation to observe certain manners in the mosque with the most important being abstinence from spitting towards Qiblah (Ka`bah). Instead the method pointed out in the Hadith may be put in effect right during Salat (prayer). Yet one, if not offering Salat, can turn to the mosque's washing-place where a channel exists for the outflow of unclean water, etc. Obviously, it is a better substitute for a pocket-handkerchief or sheet which should be used when necessary. Second, this Hadith tells us that every effort should be made to keep the place of worship neat and clean, and if anyone finds some dirt in the mosque, he should immediately remove it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে