পরিচ্ছেদঃ ৬৫: মরণকে স্মরণ এবং কামনা-বাসনা কম করার গুরুত্ব

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ كُلُّ نَفۡسٖ ذَآئِقَةُ ٱلۡمَوۡتِۗ وَإِنَّمَا تُوَفَّوۡنَ أُجُورَكُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۖ فَمَن زُحۡزِحَ عَنِ ٱلنَّارِ وَأُدۡخِلَ ٱلۡجَنَّةَ فَقَدۡ فَازَۗ وَمَا ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَآ إِلَّا مَتَٰعُ ٱلۡغُرُورِ ١٨٥ ﴾ [ال عمران: ١٨٥]

অর্থাৎ “জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর কিয়ামতের দিনই তোমাদের কর্মফল পূর্ণমাত্রায় প্রদান করা হবে। যাকে আগুন (জাহান্নাম) থেকে দূরে রাখা হবে এবং (যে) বেহেশ্তে প্রবেশলাভ করবে সেই হবে সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়।” (সূরা আলে ইমরান ১৮৫ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ وَمَا تَدۡرِي نَفۡسٞ مَّاذَا تَكۡسِبُ غَدٗاۖ وَمَا تَدۡرِي نَفۡسُۢ بِأَيِّ أَرۡضٖ تَمُوتُۚ ﴾ [لقمان: ٣٤]

অর্থাৎ “কেউ জানে না আগামী কাল সে কী অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন্ দেশে তার মৃত্যু ঘটবে।” (সূরা লুকমান ৩৪ আয়াত)

তিনি অন্যত্র বলেন,

﴿فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمۡ لَا يَسۡتَأۡخِرُونَ سَاعَةٗ وَلَا يَسۡتَقۡدِمُونَ﴾ [الاعراف: ٣٤]

অর্থাৎ “অতঃপর যখন তাদের সময় আসে, তখন তারা মুহূর্তকালও বিলম্ব অথবা অগ্রগামী করতে পারে না।” (সূরা নাহ্‌ল ৬১ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تُلۡهِكُمۡ أَمۡوَٰلُكُمۡ وَلَآ أَوۡلَٰدُكُمۡ عَن ذِكۡرِ ٱللَّهِۚ وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡخَٰسِرُونَ ٩ وَأَنفِقُواْ مِن مَّا رَزَقۡنَٰكُم مِّن قَبۡلِ أَن يَأۡتِيَ أَحَدَكُمُ ٱلۡمَوۡتُ فَيَقُولَ رَبِّ لَوۡلَآ أَخَّرۡتَنِيٓ إِلَىٰٓ أَجَلٖ قَرِيبٖ فَأَصَّدَّقَ وَأَكُن مِّنَ ٱلصَّٰلِحِينَ ١٠ وَلَن يُؤَخِّرَ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِذَا جَآءَ أَجَلُهَاۚ وَٱللَّهُ خَبِيرُۢ بِمَا تَعۡمَلُونَ ١١ ﴾ [المنافقون: ٩، ١١]

অর্থাৎ “হে মু’মিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পত্তি ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ হতে উদাসীন না করে, যারা উদাসীন হবে তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি তোমরা তা হতে ব্যয় কর তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে (অন্যথায় মৃত্যু আসলে সে বলবে,) ’হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আরো কিছু কালের জন্য অবকাশ দিলে আমি সাদকা করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।’ কিন্তু নির্ধারিত কাল যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কখনো কাউকেও অবকাশ দেবেন না। আর তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত।” (সূরা মুনাফিকূন ৯-১১ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَ أَحَدَهُمُ ٱلۡمَوۡتُ قَالَ رَبِّ ٱرۡجِعُونِ ٩٩ لَعَلِّيٓ أَعۡمَلُ صَٰلِحٗا فِيمَا تَرَكۡتُۚ كَلَّآۚ إِنَّهَا كَلِمَةٌ هُوَ قَآئِلُهَاۖ وَمِن وَرَآئِهِم بَرۡزَخٌ إِلَىٰ يَوۡمِ يُبۡعَثُونَ ١٠٠ فَإِذَا نُفِخَ فِي ٱلصُّورِ فَلَآ أَنسَابَ بَيۡنَهُمۡ يَوۡمَئِذٖ وَلَا يَتَسَآءَلُونَ ١٠١ فَمَن ثَقُلَتۡ مَوَٰزِينُهُۥ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ١٠٢ وَمَنۡ خَفَّتۡ مَوَٰزِينُهُۥ فَأُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ خَسِرُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ فِي جَهَنَّمَ خَٰلِدُونَ ١٠٣ تَلۡفَحُ وُجُوهَهُمُ ٱلنَّارُ وَهُمۡ فِيهَا كَٰلِحُونَ ١٠٤ أَلَمۡ تَكُنۡ ءَايَٰتِي تُتۡلَىٰ عَلَيۡكُمۡ فَكُنتُم بِهَا تُكَذِّبُونَ ١٠٥ قَالُواْ رَبَّنَا غَلَبَتۡ عَلَيۡنَا شِقۡوَتُنَا وَكُنَّا قَوۡمٗا ضَآلِّينَ ١٠٦ رَبَّنَآ أَخۡرِجۡنَا مِنۡهَا فَإِنۡ عُدۡنَا فَإِنَّا ظَٰلِمُونَ ١٠٧ قَالَ ٱخۡسَ‍ُٔواْ فِيهَا وَلَا تُكَلِّمُونِ ١٠٨ إِنَّهُۥ كَانَ فَرِيقٞ مِّنۡ عِبَادِي يَقُولُونَ رَبَّنَآ ءَامَنَّا فَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَا وَأَنتَ خَيۡرُ ٱلرَّٰحِمِينَ ١٠٩ فَٱتَّخَذۡتُمُوهُمۡ سِخۡرِيًّا حَتَّىٰٓ أَنسَوۡكُمۡ ذِكۡرِي وَكُنتُم مِّنۡهُمۡ تَضۡحَكُونَ ١١٠ إِنِّي جَزَيۡتُهُمُ ٱلۡيَوۡمَ بِمَا صَبَرُوٓاْ أَنَّهُمۡ هُمُ ٱلۡفَآئِزُونَ ١١١ قَٰلَ كَمۡ لَبِثۡتُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ عَدَدَ سِنِينَ ١١٢ قَالُواْ لَبِثۡنَا يَوۡمًا أَوۡ بَعۡضَ يَوۡمٖ فَسۡ‍َٔلِ ٱلۡعَآدِّينَ ١١٣ قَٰلَ إِن لَّبِثۡتُمۡ إِلَّا قَلِيلٗاۖ لَّوۡ أَنَّكُمۡ كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ١١٤ أَفَحَسِبۡتُمۡ أَنَّمَا خَلَقۡنَٰكُمۡ عَبَثٗا وَأَنَّكُمۡ إِلَيۡنَا لَا تُرۡجَعُونَ ١١٥ ﴾ [المؤمنون: ٩٩، ١١٥]

অর্থাৎ “যখন তাদের (অবিশ্বাসী ও পাপীদের) কারো মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন সে বলে, ’হে আমার প্রতিপালক! আমাকে পুনরায় (দুনিয়ায়) প্রেরণ কর। যাতে আমি আমার ছেড়ে আসা জীবনে সৎকর্ম করতে পারি।’ না এটা হবার নয়; এটা তো তার একটা উক্তি মাত্র; তাদের সামনে বারযাখ (যবনিকা) থাকবে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। যেদিন শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হবে সেদিন পরস্পরের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অপরের খোঁজ-খবর নিবে না। সুতরাং যাদের (নেকীর) পাল্লা ভারী হবে, তারাই হবে সফলকাম। আর যাদের (নেকীর) পাল্লা হাল্কা হবে, তারাই নিজেদের ক্ষতি করেছে; তারা জাহান্নামে স্থায়ী হবে। আগুন তাদের মুখমণ্ডল কে দগ্ধ করবে এবং তারা সেখানে থাকবে বীভৎস চেহারায়। তোমাদের নিকট কি আমার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হতো না? অথচ তোমরা সেগুলিকে মিথ্যা মনে করতে। তারা বলবে, ’হে আমাদের প্রতিপালক! দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পেয়ে বসেছিল এবং আমরা ছিলাম এক বিভ্রান্ত সম্প্রদায়। হে আমাদের প্রতিপালক! এই আগুন হতে আমাদেরকে উদ্ধার কর; অতঃপর আমরা যদি পুনরায় অবিশ্বাস করি তাহলে অবশ্যই আমরা সীমালংঘনকারী হব।’ আল্লাহ বলবেন, ’’তোমরা হীন অবস্থায় এখানেই থাক এবং আমার সাথে কোন কথা বলো না। আমার বান্দাদের মধ্যে একদল ছিল যারা বলত, ’হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা বিশ্বাস করেছি; সুতরাং তুমি আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও ও আমাদের উপর দয়া কর, তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ কিন্তু তাদেরকে নিয়ে তোমরা এতো ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতে যে, তা তোমাদেরকে আমার কথা ভুলিয়ে দিয়েছিল; তোমরা তো তাদেরকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টাই করতে। আমি আজ তাদেরকে তাদের ধৈর্যের কারণে এমনভাবে পুরস্কৃত করলাম যে, তারাই হল সফলকাম।’’ তিনি বলবেন, ’তোমরা পৃথিবীতে কত বছর অবস্থান করেছিলে?’ তারা বলবে, ’আমরা অবস্থান করেছিলাম এক দিন অথবা একদিনের কিছু অংশ, তুমি না হয় গণনাকারীদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখ।’ তিনি বলবেন, ’তোমরা অল্পকালই অবস্থান করেছিলে; যদি তোমরা জানতে। তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না?” সূরা মুমিনূন ৯৯-১১৫ আয়াত)

তিনি অন্যত্র বলেন,

أَلَمۡ يَأۡنِ لِلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَن تَخۡشَعَ قُلُوبُهُمۡ لِذِكۡرِ ٱللَّهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ ٱلۡحَقِّ وَلَا يَكُونُواْ كَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلُ فَطَالَ عَلَيۡهِمُ ٱلۡأَمَدُ فَقَسَتۡ قُلُوبُهُمۡۖ وَكَثِيرٞ مِّنۡهُمۡ فَٰسِقُونَ ١٦ ﴾ [الحديد: ١٦]

অর্থাৎ “যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে তাদের সময় কি আসেনি যে, আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তাদের হৃদয় ভক্তি-বিগলিত হবে? এবং পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাদের মত তারা হবে না? বহুকাল অতিক্রান্ত হয়ে গেলে যাদের অন্তর কঠিন হয়ে পড়েছিল। আর তাদের অধিকাংশই সত্যত্যাগী।” (সূরা হাদীদ ১৬ আয়াত)


এ প্রসঙ্গে আরো অনেক আয়াত রয়েছে। (হাদীস নিম্নরূপঃ)

১/৫৭৯। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) আমার দুই কাঁধ ধরে বললেন, ’’তুমি এ দুনিয়াতে একজন মুসাফির অথবা পথচারীর মত থাক।’’ আর ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলতেন, ’তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হলে আর ভোরের অপেক্ষা করো না এবং ভোরে উপনীত হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না। তোমার সুস্থতার অবস্থায় তোমার পীড়িত অবস্থার জন্য কিছু সঞ্চয় কর এবং জীবিত অবস্থায় তোমার মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ কর।’ (বুখারী, এটি ৪৭৫ নম্বরে গত হয়েছে।) [1]

بَابُ ذِكْرِ الْمَوْتِ وَقَصْرِ الْأَمَلِ - (65)

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: أَخَذَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِمَنْكِبَيَّ، فَقَالَ: «كُنْ في الدُّنْيَا كَأنَّكَ غَرِيبٌ، أَو عَابِرُ سَبيلٍ» . وَكَانَ ابنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، يَقُولُ: إِذَا أمْسَيتَ فَلاَ تَنْتَظِرِ الصَّبَاحَ، وَإِذَا أَصْبَحْتَ فَلاَ تَنْتَظِرِ المَسَاءَ، وَخُذْ مِنْ صِحَّتِكَ لِمَرَضِكَ، وَمِنْ حَيَاتِكَ لِمَوْتِكَ . رواه البخاري

وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قال: اخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بمنكبي، فقال: «كن في الدنيا كانك غريب، او عابر سبيل» . وكان ابن عمر رضي الله عنهما، يقول: اذا امسيت فلا تنتظر الصباح، واذا اصبحت فلا تنتظر المساء، وخذ من صحتك لمرضك، ومن حياتك لموتك . رواه البخاري

(65) Chapter: Remembrance of Death and Restraint of Wishes


Remembrance of Death and Restraint of Wishes

Allah, the Exalted, says:
"Everyone shall taste death. And only on the Day of Resurrection shall you be paid your wages in full. And whoever is removed away from the Fire and admitted to Jannah, he indeed is successful. The life of this world is only the enjoyment of deception (a deceiving thing).'' (3:185)

"No person knows what he will earn tomorrow, and no person knows in what land he will die...'' (31:34)

"...when their term comes, neither can they delay nor can they advance it an hour (or a moment).'' (16:61)

"O you who believe! Let not your properties or your children divert you from the remembrance of Allah. And whosoever does that, then they are the losers. And spend (in charity) of that with which We have provided you, before death comes to one of you, and he says: `My Rubb! If only You would give me respite for a little while (i.e., return to the worldly life), then I should give Sadaqah (i.e., Zakat) of my wealth, and be among the righteous [i.e., perform Hajj (pilgrimage to Makkah) and other good deeds].' And Allah grants respite to none when his appointed time (death) comes. And Allah is All-Aware of what you do.'' (63:9-11)

"Until, when death comes to one of them (those who join partners with Allah), he says: `My Rubb! Send me back. So that I may do good in that which I have left behind!' No! It is but a word that he speaks; and behind them is Barzakh (a barrier) until the Day when they will be resurrected. Then, when the Trumpet is blown,
there will be no kinship among them that Day, nor will they ask of one another. Then, those whose Scales (of good deeds) are heavy, they are the successful. And those whose Scales (of good deeds) are light, they are those who lose their ownselves, in Hell will they abide. The Fire will burn their faces, and therein they will grin, with displaced lips (disfigured). `Were not My Verses (this Qur'an) recited to you, and then you used to deny them?' They will say: `Our Rubb! Our wretchedness overcame us, and we were (an) erring people. `Our Rubb! Bring us out of this; if ever we return (to evil), then indeed we shall be Zalimun (polytheists, oppressors, unjust, wrong-doers, etc? He (Allah) will say: `Remain you in it with ignominy! And speak you not to Me!' Verily! There was a party of My slaves, who used to say: `Our Rubb! We believe, so forgive us, and have mercy on us, for you are the Best of all who show mercy!' `But you took them for a laughing stock, so much so that they made you forget My remembrance while you used to laugh at them! Verily! I have rewarded them this Day for their patience, they are indeed the ones that are successful. He (Allah) will say:
`What number of years did you stay on earth?' They will say: `We stayed a day or part of a day. Ask of those who keep account.' He (Allah) will say: `You stayed not but a little, if you had only known! Did you think that We had created you in play (without any purpose), and that you would not be brought back to Us?''' (23:99-
115)

"Has not the time come for the hearts of those who believe (in the Oneness of Allah - Islamic Monotheism) to be affected by Allah's Reminder (this Qur'an), and that which has been revealed of the truth, lest they become as those who received the Scripture [the Taurat (Torah) and the Injeel (Gospel)] before (i.e., Jews and Christians), and the term was prolonged for them and so their hearts were hardened? And many of them
were Fasiqun (the rebellious, the disobedient to Allah).'' (57:16)
------------
'Abdullah bin 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) took hold of my shoulders and said, "Be in the world like a stranger or a wayfarer." Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) used to say: When you survive till the evening do not expect to live until the morning; and when you survive till the morning do not expect to live until the evening. While in good health (do good deeds) before you fall sick; and while you are alive (do good deeds) before death strikes.

[Al- Bukhari].

Commentary: This Hadith has already been mentioned. Refer to the commentary on Hadith No. 479.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬৫: মরণকে স্মরণ এবং কামনা-বাসনা কম করার গুরুত্ব

২/৫৮০। উক্ত সাহাবী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে মুসলিমের নিকট অসিয়ত করার মত কোন কিছু আছে, তার জন্য দু’ রাত কাটানো জায়েয নয় এমন অবস্থা ছাড়া যে, তার অসিয়ত-নামা তার নিকট লিখিত (প্রস্তুত) থাকা উচিত।’’ (বুখারী-মুসলিম, শব্দগুলি বুখারীর)

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় তিন রাত কাটানোর কথা রয়েছে। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, ’আমি যখন থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ কথা বলতে শুনেছি, তখন থেকে আমার উপর এক রাতও পার হয়নি এমন অবস্থা ছাড়া যে আমার অসিয়ত-নামা আমার নিকট প্রস্তুত আছে।’ [1]

بَابُ ذِكْرِ الْمَوْتِ وَقَصْرِ الْأَمَلِ - (65)

وَعَنهُ: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ، لَهُ شَيْءٌ يُوصِي فِيهِ، يَبيتُ لَيْلَتَيْنِ إِلاَّ وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ ». متفقٌ عَلَيْهِ، هَذَا لفظ البخاري .
وفي روايةٍ لمسلمٍ: «يَبِيتُ ثَلاَثَ لَيَالٍ» قَالَ ابنُ عُمَرَ: مَا مَرَّتْ عَلَيَّ لَيْلَةٌ مُنْذُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ذَلِكَ إِلاَّ وَعِنْدِي وَصِيَّتِي

وعنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: ما حق امرى مسلم، له شيء يوصي فيه، يبيت ليلتين الا ووصيته مكتوبة عنده ». متفق عليه، هذا لفظ البخاري . وفي رواية لمسلم: «يبيت ثلاث ليال» قال ابن عمر: ما مرت علي ليلة منذ سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ذلك الا وعندي وصيتي

(65) Chapter: Remembrance of Death and Restraint of Wishes


'Abdullah bin 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "It is the duty of a Muslim who has something which is to be given as a bequest not to have it for two nights without executing a written will."

[Al-Bukhari and Muslim].

In the narration of Muslim it is narrated as 'three nights'. Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) said: Since I heard the Messenger of Allah say this, I have never spent a night without having my will with me.

Commentary: The emphasis of Messenger of Allah (PBUH) on the necessity of making a last will shows that man has no knowledge of the time of his death. It is necessary for the rich that they should keep with them a testament so as to leave their affairs settled after their death and to ward off any untoward situation with regard to the distribution of their property among their inheritors.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬৫: মরণকে স্মরণ এবং কামনা-বাসনা কম করার গুরুত্ব

৩/৫৮১। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকটি রেখা আঁকলেন এবং বললেন, ’’এটা হল মানুষ, (এটা তার আশা-আকাঙ্ক্ষা) আর এটা হল তার মৃত্যু, সে এ অবস্থার মধ্যেই থাকে; হঠাৎ নিকটবর্তী রেখা (অর্থাৎ মৃত্যু) এসে পড়ে।’’ (বুখারী) [1]

بَابُ ذِكْرِ الْمَوْتِ وَقَصْرِ الْأَمَلِ - (65)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: خَطَّ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم خُطُوطاً، فَقَالَ: هَذَا الإنْسَانُ، وَهَذَا أجَلُهُ، فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إذْ جَاءَ الخَطُّ الأَقْرَبُ رواه البخاري

وعن انس رضي الله عنه، قال: خط النبي صلى الله عليه وسلم خطوطا، فقال: هذا الانسان، وهذا اجله، فبينما هو كذلك اذ جاء الخط الاقرب رواه البخاري

(65) Chapter: Remembrance of Death and Restraint of Wishes


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) drew a few lines and said, "One of them represents man and another indicates death; and a man continues like this until the nearest line (i.e., death) overtakes him."

[Al-Bukhari].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬৫: মরণকে স্মরণ এবং কামনা-বাসনা কম করার গুরুত্ব

৪/৫৮২। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি চতুর্ভুজ আঁকলেন এবং এর মাঝখানে একটি রেখা টানলেন যেটি চতুর্ভুজের বাইরে চলে গেল। তারপর দু পাশ দিয়ে মাঝের রেখার সাথে ভিতরের দিকে কয়েকটা ছোট ছোট রেখা মেলালেন এবং বললেন, ’’এ মাঝামাঝি রেখাটা হল মানুষ। আর চতুর্ভুজটি হল তার মৃত্যু; যা তাকে ঘিরে রেখেছে। আর বাইরের দিকে বর্ধিত রেখাটি হল তার আশা-আকাঙ্ক্ষা। আর ছোট ছোট রেখাগুলো নানা রকম বিপদাপদ। যদি সে এর একটাকে এড়িয়ে যায়, তবে অন্যটা তাকে আক্রমণ করে। আর অন্যটাকেও যদি এড়িয়ে যায়, তবে পরবর্তী অন্য একটি তাকে আক্রমণ করে।’’ (বুখারী) [1]

بَابُ ذِكْرِ الْمَوْتِ وَقَصْرِ الْأَمَلِ - (65)

وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه، قَالَ: خَطَّ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم خَطّاً مُرَبَّعاً، وَخَطَّ خَطّاً في الوَسَطِ خَارِجَاً مِنْهُ، وَخَطَّ خُطَطاً صِغَاراً إِلَى هَذَا الَّذِي في الْوَسَطِ مِنْ جَانِبهِ الَّذِي في الوَسَط، فَقَالَ: « هَذَا الإنْسَانُ، وَهذَا أجَلُهُ مُحيطاً بِهِ ـ أَوْ قَدْ أحَاطَ بِهِ ـ وَهذَا الَّذِي هُوَ خَارِجٌ أمَلُهُ، وَهذِهِ الْخُطَطُ الصِّغَارُ الأَعْرَاضُ، فَإنْ أخْطَأَهُ هَذَا، نَهَشَهُ هَذَا، وَإنْ أخْطَأَهُ هَذَا، نَهَشَهُ هَذَا ». رواه البخاري

وعن ابن مسعود رضي الله عنه، قال: خط النبي صلى الله عليه وسلم خطا مربعا، وخط خطا في الوسط خارجا منه، وخط خططا صغارا الى هذا الذي في الوسط من جانبه الذي في الوسط، فقال: « هذا الانسان، وهذا اجله محيطا به ـ او قد احاط به ـ وهذا الذي هو خارج امله، وهذه الخطط الصغار الاعراض، فان اخطاه هذا، نهشه هذا، وان اخطاه هذا، نهشه هذا ». رواه البخاري

(65) Chapter: Remembrance of Death and Restraint of Wishes


Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) drew up a square and in the middle of it he drew a line, the end of which jutted out beyond the square. Further across the middle line, he drew a number of smaller lines. Then he (ﷺ) said, "The figure represents man and the encircling square is the death which is encompassing him. The middle line represents his desires and the smaller lines are vicissitudes of life. If one of those misses him, another distresses him, and if that one misses him, he falls victim to another."

[Al-Bukhari].

Commentary: This means that human life is perpetually exposed to mishaps. If man escapes one mishap, he comes across the other one. His life is spent in a continuous struggle against tackling the hostile situations. Besides, his life remains entangled in unending hopes and wishes which are never fulfilled and finally he slips into the iron-grip of death. To sum up, man is ever closer to the border line of death and not supposed to remain unprepared for it. There is no end to wishful thinking and, therefore, he should not adopt a careless attitude towards the inescapable death in the pursuit of illusory hopes. The best course for him is to remain ever-ready for his exit from the worldly stage.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬৫: মরণকে স্মরণ এবং কামনা-বাসনা কম করার গুরুত্ব

৫/৫৮৩। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেনঃ সাতটি জিনিস প্রকাশ পাওয়ার পূর্বেই তোমরা ভাল কাজের দিকে অগ্রসর হওঃ
(১) তোমরা কি এমন দারিদ্রতার জন্য অপেক্ষা করছো যা অমনোযোগী (অক্ষম) করে দেয়,
(২) অথবা এ রকম প্রাচুর্যের যা ধর্মদ্রোহী বানিয়ে ফেলে,
(৩) অথবা এমন রোগ-ব্যাধির যা (শারিরীক সামর্থ্যকে) ধ্বংস করে দেয়,
(৪) অথবা এমন বৃদ্ধাবস্থার যা জ্ঞান-বুদ্ধিকে বিনষ্ট করে দেয়,
(৫) অথবা এমন মৃত্যুর যা হঠাৎই উপস্থিত হয়,
(৬) কিংবা দাজ্জালের, যা অপেক্ষমান অনুপস্থিত বিষয়ের মধ্যে নিকৃষ্টতর,
(৭) অথবা কিয়ামতের যা অত্যন্ত বিভীষিকাময় ও তিক্তকর।
(তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন)[1]

بَابُ ذِكْرِ الْمَوْتِ وَقَصْرِ الْأَمَلِ - (65)

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رضي الله عنه أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: « بَادِرُوْا بِالأَعْمَالِ سَبْعاً، هَلْ تَنْتَظِرُوْنَ إلاَّ فَقْراً مُنْسِياً، أَوْ غِنَى مُطغِياً، أَوْ مَرَضاً مُفسِداً، أو هَرَماً مُفَنِّداً، أَو مَوْتاً مُجْهِزِاً، أَوْ الدَّجَّالَ، فَشَرُّ غَائِبٍ يُنْتَظَرُ،أَوِ السَّاعَةَ وَالسَّاعَةُ أَدْهَى وَأَمَرُّ ؟، » رواهُ الترمذي وقال: حديثٌ حسنٌ.

وعن ابي هريرة رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: « بادروا بالاعمال سبعا، هل تنتظرون الا فقرا منسيا، او غنى مطغيا، او مرضا مفسدا، او هرما مفندا، او موتا مجهزا، او الدجال، فشر غاىب ينتظر،او الساعة والساعة ادهى وامر ؟، » رواه الترمذي وقال: حديث حسن.

(65) Chapter: Remembrance of Death and Restraint of Wishes


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Hasten to do good deeds before you are overtaken by one of the seven afflictions." Then (giving a warning) he said, "Are you waiting for poverty which will make you unmindful of devotion, or prosperity which will make you corrupt, or a disease which will disable you, or senility which will make you mentally unstable, or sudden death which will take you all of a sudden, or Ad-Dajjal who is the worst expected, or the Hour; and the Hour will be most grievous and most bitter."

[At- Tirmidhi].

Commentary: The Hadith focuses on seven things which hold back man from the virtuous path. Taking in consideration the turning health and the brief span of life to his account, he is, therefore, apt to gather up good deedsfor the Hereafter because an untoward situation may confront him any moment and render him unable to do good things to his benefit in the otherworldly life.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬৫: মরণকে স্মরণ এবং কামনা-বাসনা কম করার গুরুত্ব

৬/৫৮৪। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আনন্দনাশক বস্তু অর্থাৎ মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ কর।’’ (তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [1]

بَابُ ذِكْرِ الْمَوْتِ وَقَصْرِ الْأَمَلِ - (65)

وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: أكْثِرُوا ذِكْرَ هَاذِمِ اللَّذَّاتِ يَعْنِي: المَوْتَ . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: اكثروا ذكر هاذم اللذات يعني: الموت . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن

(65) Chapter: Remembrance of Death and Restraint of Wishes


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Remember more often the destroyer of pleasures - death."

[At-Tirmidhi].

Commentary: Being heedful and talking about death checks man from being lost in the worldly pleasures and seductions. We are, therefore, supposed to remember death frequently and to avoid remaining indifferent to postdeath affairs and occurrences.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬৫: মরণকে স্মরণ এবং কামনা-বাসনা কম করার গুরুত্ব

৭/৫৮৫। উবাই ইবনে কা’ব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ পার হয়ে যেত, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে দাঁড়াতেন এবং বলতেন, ’’হে লোক সকল! আল্লাহকে স্মরণ কর। কম্পনকারী (প্রথম ফুৎকার) এবং তার সহগামী (দ্বিতীয় ফুৎকার) চলে এসেছে এবং মৃত্যুও তার ভয়াবহতা নিয়ে হাজির।’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি (আমার দো’আতে) আপনার উপর দরূদ বেশি পড়ি। অতএব আমি আপনার প্রতি দরূদ পড়ার জন্য (দো’আর) কতটা সময় নির্দিষ্ট করব?’ তিনি বললেন, ’’তুমি যতটা ইচ্ছা কর।’’ আমি বললাম, ’এক চতুর্থাংশ?’

তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’যতটা চাও। যদি তুমি বেশি কর, তবে তা তোমার জন্য উত্তম হবে।’’ আমি বললাম, ’অর্ধেক (সময়)?’ তিনি বললেন, ’’তুমি যা চাও; যদি বেশি কর, তাহলে তা ভাল হবে।’’ আমি বললাম, ’দুই তৃতীয়াংশ?’ তিনি বললেন, ’’তুমি যা চাও (তাই কর)। যদি বেশি কর, তবে তা তোমার জন্য উত্তম।’’ আমি বললাম, ’আমি আমার (দো’আর) সম্পূর্ণ সময় দরূদের জন্য নির্দিষ্ট করব!’ তিনি বললেন, ’’তাহলে তো (এ কাজ) তোমার দুশ্চিন্তা (দূর করার) জন্য যথেষ্ট হবে এবং তোমার পাপকে মোচন করা হবে।’’ (তিরমিযী, হাসান সূত্রে) [1]

بَابُ ذِكْرِ الْمَوْتِ وَقَصْرِ الْأَمَلِ - (65)

وَعَن أُبَيِّ بنِ كَعبٍ رضي الله عنه: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ قَامَ، فَقَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، اذْكُرُوا اللهَ، جَاءتِ الرَّاجِفَةُ، تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ، جَاءَ المَوْتُ بِمَا فِيهِ، جَاءَ المَوْتُ بِمَا فِيهِ » قُلْتُ: يَا رَسُول اللهِ، إنِّي أُكْثِرُ الصَّلاَةَ عَلَيْكَ، فَكَمْ أجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلاَتِي ؟ فَقَالَ: «مَا شِئْتَ» قُلْتُ: الرُّبُع، قَالَ: «مَا شِئْتَ، فَإنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ » قُلْتُ: فَالنِّصْف ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ، فَإنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ » قُلْتُ: فالثُّلُثَيْنِ ؟ قَالَ: «مَا شِئْتَ، فَإنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ» قُلْتُ: أجعَلُ لَكَ صَلاَتِي كُلَّهَا ؟ قَالَ: «إذاً تُكْفَى هَمَّكَ، وَيُغْفَر لَكَ ذَنْبُكَ ». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن »

وعن ابي بن كعب رضي الله عنه: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اذا ذهب ثلث الليل قام، فقال: «يا ايها الناس، اذكروا الله، جاءت الراجفة، تتبعها الرادفة، جاء الموت بما فيه، جاء الموت بما فيه » قلت: يا رسول الله، اني اكثر الصلاة عليك، فكم اجعل لك من صلاتي ؟ فقال: «ما شىت» قلت: الربع، قال: «ما شىت، فان زدت فهو خير لك » قلت: فالنصف ؟ قال: «ما شىت، فان زدت فهو خير لك » قلت: فالثلثين ؟ قال: «ما شىت، فان زدت فهو خير لك» قلت: اجعل لك صلاتي كلها ؟ قال: «اذا تكفى همك، ويغفر لك ذنبك ». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن »

(65) Chapter: Remembrance of Death and Restraint of Wishes


Ubayy bin Ka'b (May Allah be pleased with him) reported:
When one- third of the night would pass, Messenger of Allah (ﷺ) would get up and call out, "O people, remember Allah. The Rajifah (i.e., the first Blowing of the Trumpet which will shake the whole universe and thus cause all life to cease) has come, followed by Ar-Radifah (i.e., the second Blowing of the Trumpet which will restore life and thus mark the Resurrection Day). Death has approached with all that it comprises. Death has approached with all that it comprises." I said: "O Messenger of Allah (ﷺ), I frequently invoke Allah to elevate your rank. How much of my supplications should I devote to you?" He said, "You may devote as much as you wish." When I suggested a quarter, he said, "Do whatever you wish, but it will be better for you if you increase it." I suggested half, and he said, "Do whatever you wish, but it will be better for you if you increase." I suggested two- thirds, and he said, "Do whatever you wish but it will be better for you if you increase it." I said, "Shall I devote all my supplications invoking Allah to elevate your rank?" He said, "Then you will be freed from your worries and your sins will be forgiven."

[At- Tirmidhi].

Commentary: The Qur'an exactly corroborates what has been stated in this Hadith. There will be two soundings of the Trumpet. The first will throw the earth and mountains into tremendous convulsions, annihilating all life and disrupting the entire physical structure of the universe. The second - after an indefinite period of time known to Allah Alone - will mark the Resurrection Day and bring forth the whole scenario of the Last Judgement. Messenger of Allah (PBUH) has invited the attention of mankind to the horrendous ordeal awaiting it in the Last Hour. Besides, this Hadith urges the believers to send the maximum greetings to Messenger of Allah (PBUH). It also highlights the excellence of such an invocation. The Qur'an itself makes this demand to the believers:

"Allah sends His Salat (Graces, Honours, Blessings, Mercy) on the Prophet (Muhammad (PBUH)), and
also His angels (ask Allah to bless and forgive him). O you who believe! Send your Salat on (ask Allah to bless) him (Muhammad (PBUH)), and (you should) greet (salute) him with the Islamic way of greeting (salutation, i.e., As-salamu `alaikum).'' (33:56)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে