পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

মহান আল্লাহ বলেন,

(وَمَآ أَنفَقۡتُم مِّن شَيۡءٖ فَهُوَ يُخۡلِفُهُ) [سبا: ٣٩]

অর্থাৎ “তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার বিনিময় দেবেন।” (সূরা সাবা’ ৩৯ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ وَمَا تُنفِقُواْ مِنۡ خَيۡرٖ فَلِأَنفُسِكُمۡۚ وَمَا تُنفِقُونَ إِلَّا ٱبۡتِغَآءَ وَجۡهِ ٱللَّهِۚ وَمَا تُنفِقُواْ مِنۡ خَيۡرٖ يُوَفَّ إِلَيۡكُمۡ وَأَنتُمۡ لَا تُظۡلَمُونَ﴾ [البقرة: ٢٧٢]

অর্থাৎ “তোমরা যা কিছু ধন-সম্পদ দান কর, তা নিজেদের উপকারের জন্যই। আল্লাহর সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে তোমরা দান করো না। আর তোমরা যা দান কর, তার পুরস্কার পূর্ণভাবে প্রদান করা হবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।” (সূরা বাক্বারাহ ২৭২ আয়াত)

তিনি অন্যত্র বলেন,

﴿وَمَا تُنفِقُواْ مِنۡ خَيۡرٖ فَإِنَّ ٱللَّهَ بِهِۦ عَلِيمٌ﴾ [البقرة: ٢٧٣]

অর্থাৎ “আর তোমরা যা কিছু ধন-সম্পদ দান কর, আল্লাহ তা সবিশেষ অবহিত।” (সূরা বাকারাহ ২৭৩ আয়াত)


২/৫৪৯। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’কেবলমাত্র দু’টি বিষয়ে ঈর্ষা করা যায় (১) ঐ ব্যক্তির প্রতি যাকে মহান আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন, অতঃপর তাকে হক পথে অকাতরে দান করার ক্ষমতা দান করেছেন এবং (২) ঐ ব্যক্তির প্রতি যাকে মহান আল্লাহ হিকমত দান করেছেন, অতঃপর সে তার দ্বারা ফায়সালা করে ও তা শিক্ষা দেয়।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

* হাদীসের অর্থ হল, উক্ত দুই প্রকার মানুষ ছাড়া অন্য কারো প্রতি ঈর্ষা করা বৈধ নয়।

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وعن ابن مسعود رضي الله عنه، عن النبيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «لا حَسَدَ إِلاَّ في اثْنَتَيْنِ: رَجُلٌ آتَاهُ اللهُ مَالاً، فَسَلَّطَهُ عَلَى هَلَكَتِهِ في الحَقّ، وَرَجُلٌ آتَاهُ اللهُ حِكْمَةً، فَهُوَ يَقْضِي بِهَا ويُعَلِّمُهَا » متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن مسعود رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «لا حسد الا في اثنتين: رجل اتاه الله مالا، فسلطه على هلكته في الحق، ورجل اتاه الله حكمة، فهو يقضي بها ويعلمها » متفق عليه

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Allah, the Exalted, says:
"And whatsoever you spend of anything (in Allah's Cause), He will replace it.'' (34:39)

"And whatever you spend in good, it is for yourselves, when you spend not except seeking Allah's Countenance. And whatever you spend in good, it will be repaid to you in full, and you shall not be wronged.'' (2:272)

"And whatever you spend in good, surely Allah knows it well.'' (2:273)

Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Envy is permitted only in two cases: A man whom Allah gives wealth, and he disposes of it rightfully, and a man to whom Allah gives knowledge which he applies and teaches it."

[Al- Bukhari and Muslim].


Commentary: Envy in the Hadith means "Ghibtah'' the equivalent of which does not exist in English language. What it means is that you wish to enjoy things which others have, such as wealth and knowledge, without wishing that they should be deprived of them to your exclusive benefit. Envy is a corrosive disease of moral nature which snatches away man's peace of mind. It means resentment at the condition of a man enjoying some Divine favour,
and to wish it to be finished. It is forbidden because it wipes out one's good deeds. But there is no harm in being enviable of somebody. It has some positive connotation in the sense that you admire Allah's Blessing over a person and wish to be favoured with it too. This Hadith interprets envy as a "Ghibtah'' but not in the absolute sense because it is condemnable.

This Hadith, however, points out in unambiguous terms the excellence of a rich man who not only spends the Gifts of Allah (SWT) on his own person but also allocates a portion of it to the poor and the needy as well as to the propagation of religion. It further throws light on the excellence of a man who is well-grounded in theological doctrine and suggests solutions to people's problems in the light of the Qur'an and the Hadith and also imparts the religious knowledge to others. Everybody should aspire, apart from affluence, for an excessive fervour of spending in the way of Allah. Moreover, the quest of Islamic disciplines and their underlying rationale should remain at the centre of his heart, so that he may inherit the legacy of the Prophets, doing full justice to it as well. None can do it but with the Blessing of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

২/৫৫০। উক্ত রাবী (ইবনে মাসঊদ) থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে প্রশ্ন করলেন, ’’তোমাদের মধ্যে এমন ব্যক্তি কে আছে, যে নিজের সম্পদের চেয়ে তার ওয়ারেসের সম্পদকে বেশি প্রিয় মনে করে?’’ তাঁরা জবাব দিলেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে এমন কোন ব্যক্তি কেউ নেই, যে তার নিজের সম্পদকে বেশি প্রিয় মনে করে না।’ তখন তিনি বললেন, ’’নিশ্চয়ই মানুষের নিজের সম্পদ তাই, যা সে আগে পাঠিয়েছে। আর এ ছাড়া যে মাল বাকী থাকবে, তা হল ওয়ারিসের মাল।’’ (বুখারী) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «أيُّكُم مَالُ وَارِثِهِ أحبُّ إِلَيْهِ مِنْ مَالِهِ ؟ » قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، مَا مِنَّا أحَدٌ إِلاَّ مَالُهُ أحَبُّ إِلَيْهِ . قَالَ: «فإنَّ مَالَهُ مَا قَدَّمَ وَمَالَ وَارِثِهِ مَا أخَّرَ ». رواه البخاري

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «ايكم مال وارثه احب اليه من ماله ؟ » قالوا: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، ما منا احد الا ماله احب اليه . قال: «فان ماله ما قدم ومال وارثه ما اخر ». رواه البخاري

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) asked, "Who of you loves the wealth of his heir more than his own wealth?" The Companions said: "O Messenger of Allah! There is none of us but loves his own wealth more." He (ﷺ) said, "His wealth is that which he has sent forward, but that which he retains belongs to his heir."

[Al-Bukhari].

Commentary: This Hadith spotlights in a wise fashion the significance and perception of spending in the way of Allah. The real wealth of man is that which he spends in His way and the channels He approves. Only this wealth will stand him in good stead on the Day of Resurrection. Otherwise, what apart from it, will be personally used up by him in the worldly life, and what he leaves behind will fall to the lot of his heirs. It implies that if Allah has
bestowed worldly riches upon a man, he should spend them to the maximum in the way to Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

৩/৫৫১। আদী ইবনে হাতেম রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো; যদিও খেজুরের এক টুকরো সাদকাহ করে হয়!’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

عَن عَدِي بنِ حَاتمٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعتُ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ ». مُتَّفَقٌ عليه

عن عدي بن حاتم رضي الله عنه، قال: سمعت النبي صلى الله عليه وسلم، يقول: «اتقوا النار ولو بشق تمرة ». متفق عليه

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


'Adi bin Hatim (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Protect yourself from Hell-fire even by giving a piece of date as charity."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith has already been mentioned previously. It tells us that, according to one's resource capacity, one can win the pleasure of Allah even by spending a small quantity of wealth in His way.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আদী ইবনু হাতিম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

৪/৫৫২। জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন কোনো জিনিসই চাওয়া হয়নি, যা জবাব দিয়ে তিনি ’না’ বলেছেন। (অর্থাৎ কোনো কিছু তাঁর কাছে চাওয়া হলে তিনি তা দিতে কখনো নিষেধ করেন নি) (বুখারী ও মুসলিম) [1]‎‎‎‎‎‎

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَن جَابرٍ رضي الله عنه، قَالَ: مَا سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم شَيْئاً قَطُّ، فَقَالَ: لاَ . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن جابر رضي الله عنه، قال: ما سىل رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم شيىا قط، فقال: لا . متفق عليه

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) never said 'no' to anyone who asked him for anything.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith illustrates the refined morals, sublimity of soul and the generosity of the Prophet (PBUH). Had somebody asked him of something, provided it was in his possession, he would never say `no' to him.
He would also on occasions resort to borrowing to meet the want of a needy person. If the borrowing were not possible, he would promise to fulfill his need.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

৫/৫৫৩। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’প্রতিদিন সকালে দু’জন ফিরিশতা অবতরণ করেন। তাঁদের একজন বলেন, ’হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের বিনিময় দিন।’ আর অপরজন বলেন, ’হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস দিন।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم:« مَا مِنْ يَوْمٍ يُصبِحُ العِبَادُ فِيهِ إِلاَّ مَلَكَانِ يَنْزِلاَنِ، فَيَقُولُ أحَدُهُمَا: اَللهم أعْطِ مُنْفِقاً خَلَفاً، وَيَقُولُ الآخَرُ: اَللهم أعْطِ مُمْسِكاً تَلَفاً». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم:« ما من يوم يصبح العباد فيه الا ملكان ينزلان، فيقول احدهما: اللهم اعط منفقا خلفا، ويقول الاخر: اللهم اعط ممسكا تلفا». متفق عليه

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Everyday two angels descend and one of them says, 'O Allah! Compensate (more) to the person who gives (in charity)'; while the other one says, 'O Allah! Destroy the one who withholds (charity, etc)".

[Al-Bukhari ].


Commentary: The spending for which there is good news of Divine blessing may be said as expenses on household and guests, etc., as well as voluntary and obligatory charity. And the miserliness which incurs imprecation is restraining from paying Zakat, giving alms and not spending on what is commendable. Destruction may imply the destruction of wealth or that of the miser himself. Only Allah knows better!


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

৬/৫৫৪। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’হে আদম সন্তান! তুমি (অভাবীকে) দান কর, আল্লাহ তোমাকে দান করবেন।’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَنهُ: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «قَالَ الله تَعَالَى: أنفِق يَا ابْنَ آدَمَ يُنْفَقْ عَلَيْكَ ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «قال الله تعالى: انفق يا ابن ادم ينفق عليك ». متفق عليه

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah, the Exalted, says, 'Spend, O son of Adam, you will also be spent upon."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: According to the Hadith, one who spends in the way of Allah, will be duly paid. It means that Allah will enhance the provision of such a man and grant him the best recompense.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

৭/৫৫৫। ’আব্দুল্লাহ ইবনে ’আমর ইবনে ’আস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, ’ইসলামের কোন্ কাজটি উত্তম?’ তিনি জবাব দিলেন, ’’তুমি অন্নদান করবে এবং পরিচিত ও অপরিচিত সবাইকে সালাম দেবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنَّ رَجُلاً سَألَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: أيُّ الإِسلاَمِ خَيْرٌ ؟ قَالَ:« تُطْعِمُ الطَّعَامَ، وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما: ان رجلا سال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: اي الاسلام خير ؟ قال:« تطعم الطعام، وتقرا السلام على من عرفت ومن لم تعرف ». متفق عليه

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


'Abdullah bin 'Amr bin Al-'as (May Allah be pleased with them) reported:
A man asked Messenger of Allah (ﷺ), "Which act in Islam is the best?" He (ﷺ) replied, "To feed (the poor and the needy) and to greet those whom you know and those you do not know."

[Al-Bukhari and Muslim].

[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: The provision of food to somebody may signify almsgiving or offering or an act of hospitality. It may also be interpreted as meeting the want of a needy person: If he is hungry, he should be fed; if he lacks clothes,
the same should be given to him; if he is sick, medicine should be provided to him; and if he is under debt, he should be helped to pay off his debt, and so on. As for greeting (saying `As-Salamu `alaikum'), it is meant to be popularized
because it brings hearts closer to each other and is an antidote to hatred and hostility.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

৮/৫৫৬। উক্ত রাবী (আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’চল্লিশটি সৎকর্ম আছে, তার মধ্যে উচ্চতম হল, দুধ পানের জন্য (কোন দরিদ্রকে) ছাগল সাময়িকভাবে দান করা। যে কোন আমলকারী এর মধ্য হতে যে কোন একটি সৎকর্মের উপর প্রতিদানের আশা করে ও তার প্রতিশ্রুত পুরস্কারকে সত্য জেনে আমল করবে, তাকে আল্লাহ তার বিনিময়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’’ (বুখারী, ১৪২ নম্বরেও গত হয়েছে।) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم:«أرْبَعُونَ خَصْلَةً: أعْلاَهَا مَنيحَةُ العَنْزِ، مَا مِنْ عَامِلٍ يَعْمَلُ بِخَصْلَة مِنْهَا ؛ رَجَاءَ ثَوَابِهَا وتَصْدِيقَ مَوْعُودِهَا، إلاَّ أدْخَلَهُ اللهُ بِهَا الجَنَّةَ». رواه البخاري

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:«اربعون خصلة: اعلاها منيحة العنز، ما من عامل يعمل بخصلة منها ؛ رجاء ثوابها وتصديق موعودها، الا ادخله الله بها الجنة». رواه البخاري

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


'Abdullah bin 'Amr bin Al-'as (May Allah be pleased with him) reported:
the Messenger of Allah (ﷺ) said, "There are forty kinds of virtue, the highest of which is to gift a (milch) she goat. He who practises any of these virtues, expecting its reward (from Allah) and believing on the verity of the promise made for it, will enter Jannah."

[Al-Bukhari].

Commentary: The Hadith speaks of the returnable gift of a mammal like a goat or she-camel which should be gifted to somebody for the provision of milk or wool. It is also a benevolent act and good trait of character. The forty qualities of character, as mentioned in this Hadith, have been enumerated by some `Ulama' in their own
respective ways. But Al-Hafiz Ibn Hajar Al-Asqalani says that the Prophet (PBUH) did not name these qualities, and that perhaps the reason behind this is that no one should disparage or underestimate a good act, no matter how small it may be, because this could lead to doing without this good act altogether.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

৯/৫৫৭। আবূ উমামাহ সুদাই ইবন আজলান রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’হে আদম সন্তান! প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাল (আল্লাহর পথে) খরচ করা তোমার জন্য মঙ্গল এবং তা আটকে রাখা তোমার জন্য অমঙ্গল। আর প্রয়োজন মত মালে তুমি নিন্দিত হবে না। প্রথমে তাদেরকে দাও, যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে। আর উপরের (উপুড়) হাত নিচের (চিৎ) হাত অপেক্ষা উত্তম।’’ (মুসলিম)[1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَن أَبي أُمَامَة صُدّيِّ بنِ عَجْلانَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «يَا ابْنَ آدَمَ، إنَّكَ أن تَبْذُلَ الفَضلَ خَيْرٌ لَكَ، وَأن تُمْسِكَه شَرٌّ لَكَ، وَلاَ تُلاَمُ عَلَى كَفَافٍ، وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ، وَاليَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى ». رواه مسلم

وعن ابي امامة صدي بن عجلان رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «يا ابن ادم، انك ان تبذل الفضل خير لك، وان تمسكه شر لك، ولا تلام على كفاف، وابدا بمن تعول، واليد العليا خير من اليد السفلى ». رواه مسلم

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Abu Umamah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "O son of Adam, if you spend the surplus, it will be better for you; and if you retain it, it will be bad for you. You will not be reprimanded for keeping what is enough for your need. Begin with those who are your dependents, and the upper hand (i.e., the one that spends in the way of Allah) is better than the lower hand (i.e., the one that receives charity.)"

[Muslim].

Commentary: A similar Hadith reported by At-Tirmidhi has already been mentioned. Read the commentary on (Hadith No. 510).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

১০/৫৫৮। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, ইসলামের স্বার্থে (অর্থাৎ নও মুসলিমের পক্ষ থেকে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যা চাওয়া হত, তিনি তা-ই দিতেন। (একবার) তাঁর নিকট এক ব্যক্তি এল। তিনি তাকে দুই পাহাড়ের মধ্যস্থলের সমস্ত বকরীগুলো দিয়ে দিলেন। অতঃপর সে তার সম্প্রদায়ের নিকট গিয়ে বলল, ’হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা ইসলাম গ্রহণ কর। কেননা, মুহাম্মাদ ঐ ব্যক্তির মত দান করেন, যার দরিদ্রতার ভয় নেই।’ যদিও কোন ব্যক্তি কেবলমাত্র দুনিয়া অর্জন করার জন্য ইসলাম গ্রহণ করত, কিন্তু কিছুদিন পরেই ইসলাম তার নিকট দুনিয়া এবং তার মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছু থেকে প্রিয় হয়ে যেত। (মুসলিম) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: مَا سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَلَى الإسْلاَمِ شَيْئاً إِلاَّ أعْطَاهُ، وَلَقَدْ جَاءَهُ رَجُلٌ فَأعْطَاهُ غَنَماً بَيْنَ جَبَلَيْنِ، فَرجَعَ إِلَى قَوْمِهِ فَقَالَ: يَا قَوْمِ، أسْلِمُوا فإِنَّ مُحَمَّداً يُعطِي عَطَاءَ مَن لاَ يَخْشَى الفَقْر، وَإنْ كَانَ الرَّجُلُ لَيُسْلِمُ مَا يُريدُ إِلاَّ الدُّنْيَا، فَمَا يَلْبَثُ إِلاَّ يَسِيراً حَتَّى يَكُونَ الإسْلاَمُ أحَبَّ إِلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا عَلَيْهَا . رواه مسلم

وعن انس رضي الله عنه، قال: ما سىل رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم على الاسلام شيىا الا اعطاه، ولقد جاءه رجل فاعطاه غنما بين جبلين، فرجع الى قومه فقال: يا قوم، اسلموا فان محمدا يعطي عطاء من لا يخشى الفقر، وان كان الرجل ليسلم ما يريد الا الدنيا، فما يلبث الا يسيرا حتى يكون الاسلام احب اليه من الدنيا وما عليها . رواه مسلم

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) was asked a thing by one who is about to accept Islam but he would give it. A man came to the Prophet (ﷺ) and he gave him a herd of sheep scattered between two mountains. When he returned to his people, he said to them: "O my people! Embrace Islam because Muhammad gives like one who has no fear of poverty." Some people would embrace Islam only for worldly gains, but soon Islam becomes dearer to them than the world with all what it contains.

[Muslim].

Commentary: In this Hadith, there is a provision of giving economic aid to converts to win over their hearts so that their loyalty to Islam is firmly established. The result of this sensible policy was that if somebody had embraced Islam for the sake of gaining material gains, this sentiment, in due course of time, would be stripped off from his heart, and finally he would turn into a sincere Muslim. In view of its rationale, Allah has termed the policy of reconciling hearts, to Islam as a Zakat expenditure. In other words, an allocated sum of the Zakat fund can be expended on this head as well. Some scholars argue that it is now no more permissible to spend on this head. But to be accurate, expending out of the Zakat fund on this head is valid for all times. If a measure is adequately taken on an institutional basis to make the hearts of converts incline to Islam, we can witness its benefits even today.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

১১/৫৫৯। উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু মাল বণ্টন করলেন। অতঃপর আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! অন্য লোকেরা এদের চেয়ে এ মালের বেশি হকদার ছিল।’ তিনি বললেন, ’’এরা আমাকে দু’টি কথার মধ্যে একটা না একটা গ্রহণ করতে বাধ্য করছে। হয় তারা আমার নিকট অভদ্রতার সাথে চাইবে (আর আমাকে তা সহ্য করে তাদেরকে দিতে হবে) অথবা তারা আমাকে কৃপণ আখ্যায়িত করবে। অথচ, আমি কৃপণ নই।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَن عُمَرَ رضي الله عنه، قَالَ: قَسَمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَسْماً، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، لَغَيْرُ هؤلاَءِ كَانُوا أحَقَّ بِهِ مِنْهُمْ؟ فَقَالَ:« إنَّهُمْ خَيَّرُونِي أنْ يَسأَلُوني بِالفُحْشِ، أَوْ يُبَخِّلُونِي، وَلَسْتُ بِبَاخِلٍ ». رواه مسلم

وعن عمر رضي الله عنه، قال: قسم رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قسما، فقلت: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، لغير هولاء كانوا احق به منهم؟ فقال:« انهم خيروني ان يسالوني بالفحش، او يبخلوني، ولست بباخل ». رواه مسلم

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


'Umar (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) distributed some wealth and I said to him, "O Messenger of Allah! Do you not think that there are other people who are more deserving than these whom you gave." He (ﷺ) said, "They had, in fact, left no alternative for me except either they should beg of me importunately or they would regard me as a miser; but I am not a miser."

[Muslim].

Commentary: Here also, we hear about the same converts who were still ignorant of Islam and the status of Prophethood. Owing to this ignorance and weak faith, they could adopt such attitude as would have been inappropriate or would have caused lack of courtesy towards the Prophet (PBUH). This brought him to giving preference to them with regard to the distribution of offerings so as to guard them against the sway of the weakness referred to. This reflects the Prophet's generosity and his accommodating sense as well as the care which he took to win over the hearts as mentioned earlier. The purpose behind it was to help increase Faith in their hearts and make them rise above mundane interests as sincere Muslims.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

১২/৫৬০। জুবাইর ইবনে মুত্বইম রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, তিনি হুনাইনের যুদ্ধ থেকে ফিরার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আসছিলেন। (পথিমধ্যে) কতিপয় বেদুঈন তাঁর নিকট অনুনয়-বিনয় করে চাইতে আরম্ভ করল, এমন কি শেষ পর্যন্ত তারা তাঁকে বাধ্য করে একটি বাবলা গাছের কাছে নিয়ে গেল। যার ফলে তাঁর চাদর (গাছের কাঁটায়) আটকে গেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেমে গেলেন এবং বললেন, ’’তোমরা আমাকে আমার চাদরখানি দাও। যদি আমার নিকট এসব (অসংখ্য) কাঁটা গাছের সমান উঁট থাকত, তাহলে আমি তা তোমাদের মধ্যে বণ্টন করে দিতাম। অতঃপর তোমরা আমাকে কৃপণ, মিথ্যুক বা কাপুরুষ পেতে না।’’ (বুখারী) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَن جُبَيرِ بنِ مُطعِمٍ رضي الله عنه، قَالَ: بَيْنَمَا هُوَ يَسِيرُ مَعَ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم مَقْفَلَهُ مِنْ حُنَيْن، فَعَلِقَهُ الأعْرَابُ يَسْألُونَهُ، حَتَّى اضْطَرُّوهُ إِلَى سَمُرَةٍ، فَخَطِفَت رِدَاءَهُ، فَوَقَفَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: « أعْطُونِي رِدَائي، فَلَوْ كَانَ لِي عَدَدُ هذِهِ العِضَاهِ نَعَماً، لَقَسَمْتُهُ بَينَكُمْ، ثُمَّ لاَ تَجِدُونِي بَخِيلاً وَلاَ كَذّاباً وَلاَ جَبَاناً ». رواه البخاري

وعن جبير بن مطعم رضي الله عنه، قال: بينما هو يسير مع النبي صلى الله عليه وسلم مقفله من حنين، فعلقه الاعراب يسالونه، حتى اضطروه الى سمرة، فخطفت رداءه، فوقف النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: « اعطوني رداىي، فلو كان لي عدد هذه العضاه نعما، لقسمته بينكم، ثم لا تجدوني بخيلا ولا كذابا ولا جبانا ». رواه البخاري

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Jubair bin Mut'im (May Allah be pleased with him) reported:
While I was walking with the Prophet (ﷺ) on his return from the battle of Hunain, a few bedouins caught hold of him and began to demand their shares. They forced him to a tree and someone snatched away his cloak (which got entangled in that thorny tree). The Prophet (ﷺ) said, "Give my cloak back to me. Were I to have camels equal to the number of these trees, I would have distributed them all among you, and you would not have found me a miser, or a liar, or a coward."

[Al-Bukhari].

Commentary: This Hadith also throws light on the issue of distribution of charities for winning over hearts; besides, it depicts the sublime morals of the Prophet (PBUH) as to how he tolerated the harshness and discourtesy of bedouins with patience and humbleness. It also reveals that negative attributes like stinginess, falsehood and cowardice should not be attributed to Imam (religious leader).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

১৩/৫৬১। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সাদকাহ করলে মাল কমে যায় না এবং ক্ষমা করার বিনিময়ে আল্লাহ তা’আলা (ক্ষমাকারীর) সম্মান বৃদ্ধি করেন। আর কেউ আল্লাহর (সন্তুষ্টির) জন্য বিনয়ী হলে, আল্লাহ আয্যা অজাল্ল তাকে উচ্চ করেন।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَا نَقَصَتْ صَدَقَةٌ مِنْ مَالٍ، وَمَا زَادَ اللهُ عَبْداً بِعَفْوٍ إِلاَّ عِزّاً، وَمَا تَواضَعَ أحَدٌ للهِ إِلاَّ رَفَعَهُ اللهُ - عز وجل ». رواه مسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «ما نقصت صدقة من مال، وما زاد الله عبدا بعفو الا عزا، وما تواضع احد لله الا رفعه الله - عز وجل ». رواه مسلم

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Wealth is not diminished by giving (in charity). Allah augments the honour of one who forgives; and one who displays humbleness towards another seeking the pleasure of Allah, Allah exalts him in ranks."

[Muslim].

Commentary: This Hadith has described three facts. First, Sadaqah does not diminish wealth because Allah blesses the rest of it and thus recompenses it. Besides, the loss of wealth of the almsgiver will certainly be rewarded on the Day of Resurrection. Second, man thinks that a conciliatory or forgiving attitude will weaken his position in the eyes of others. He erroneously takes it as his disparagement and insult. However, this Hadith reveals the reality that by this way, Allah (SWT) raises his image and he is not belittled at all, because a forgiving gesture will enhance his esteem in the hearts of people, and in the Hereafter, Divine reward for it will definitely lead to his elevation. Third, if somebody displays affability and humbleness in his behaviour, Allah (SWT) will project his prestige and dignity into the hearts of others or bless him in the Hereafter.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

১৪/৫৬২। আবূ কাবশাহ ’আমর ইবনে সা’দ আনসারী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ’’আমি তিনটি জিনিসের ব্যাপারে শপথ করছি এবং তোমাদেরকে একটি হাদীস বলছি তা স্মরণ রাখোঃ
(১) কোন বান্দার মাল সাদকাহ করলে কমে যায় না।

(২) কোন বান্দার উপর কোন প্রকার অত্যাচার করা হলে এবং সে তার উপর ধৈর্য-ধারণ করলে আল্লাহ নিশ্চয় তার সম্মান বাড়িয়ে দেন, আর
(৩) কোন বান্দা যাচ্ঞার দুয়ার উদ্ঘাটন করলে আল্লাহ তার জন্য দরিদ্রতার দরজা উদ্ঘাটন করে দেন।’’ অথবা এই রকম অন্য শব্দ তিনি ব্যবহার করলেন। ’’আর তোমাদেরকে একটি হাদীস বলছি তা স্মরণ রাখো।’’ তিনি বললেন, ’’দুনিয়ায় চার প্রকার লোক আছে;

(১) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ ধন ও (ইসলামী) জ্ঞান দান করেছেন। অতঃপর সে তাতে আল্লাহকে ভয় করে এবং তার মাধ্যমে নিজ আত্মীয়তা বজায় রাখে। আর তাতে যে আল্লাহর হক রয়েছে তা সে জানে। অতএব সে (আল্লাহর কাছে) সবচেয়ে উৎকৃষ্ট স্তরে অবস্থান করবে।

(২) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ (ইসলামী) জ্ঞান দান করেছেন; কিন্তু মাল দান করেননি। সে নিয়তে সত্যনিষ্ঠ, সে বলে যদি আমার মাল থাকত, তাহলে আমি (পূর্বোক্ত) অমুকের মত কাজ করতাম। সুতরাং সে নিয়ত অনুসারে বিনিময় পাবে; এদের উভয়ের প্রতিদান সমান।

(৩) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ মাল দান করেছেন; কিন্তু (ইসলামী) জ্ঞান দান করেননি। সুতরাং সে না জেনে অবৈধরূপে নির্বিচারে মাল খরচ করে; সে তাতে আল্লাহকে ভয় করে না, তার মাধ্যমে নিজ আত্মীয়তা বজায় রাখে না এবং তাতে যে আল্লাহর হক রয়েছে তাও সে জানে না। অতএব সে (আল্লাহর কাছে) সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্তরে অবস্থান করবে। আর

(৪) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ ধন ও (ইসলামী) জ্ঞান কিছুই দান করেননি। কিন্তু সে বলে, যদি আমার নিকট মাল থাকত, তাহলে আমিও (পূর্বোক্ত) অমুকের মত কাজ করতাম। সুতরাং সে নিয়ত অনুসারে বিনিময় পাবে; এদের উভয়ের পাপ সমান।’’ (তিরমিযী হাসান সহীহ সূত্রে) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَن أَبي كَبشَةَ عَمرِو بنِ سَعدٍ الأنمَارِي رضي الله عنه: أنّه سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «ثَلاَثَةٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ، وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثاً فَاحْفَظُوهُ: مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ، وَلاَ ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلَمَةً صَبَرَ عَلَيْهَا إِلاَّ زَادَهُ اللهُ عِزّاً، وَلاَ فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسألَةٍ إِلاَّ فَتَحَ اللهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقرٍ» - أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا- «وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثاً فَاحْفَظُوهُ» قَالَ: «إنَّمَا الدُّنْيَا لأرْبَعَةِ نَفَرٍ: عَبْدٍ رَزَقَهُ اللهُ مَالاً وَعِلماً، فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ، وَيَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ، وَيَعْلَمُ للهِ فِيهِ حَقَّاً، فَهَذَا بِأَفضَلِ المَنَازِلِ . وَعَبْدٍ رَزَقهُ اللهُ عِلْماً، وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالاً، فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّةِ، يَقُولُ: لَوْ أنَّ لِي مَالاً لَعَمِلتُ بِعَمَلِ فُلانٍ، فَهُوَ بنيَّتِهِ، فأجْرُهُمَا سَوَاءٌ . وَعَبْدٍ رَزَقَهُ الله مَالاً، وَلَمَ يَرْزُقْهُ عِلْماً، فَهُوَ يَخبطُ في مَالِهِ بغَيرِ عِلْمٍ، لاَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ، وَلاَ يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ، وَلاَ يَعْلَمُ للهِ فِيهِ حَقّاً، فَهذَا بِأَخْبَثِ المَنَازِلِ . وَعَبْدٍ لَمْ يَرْزُقْهُ اللهُ مَالاً وَلاَ عِلْماً، فَهُوَ يَقُولُ: لَوْ أنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ فِيهِ بعَمَلِ فُلاَنٍ، فَهُوَ بنِيَّتِهِ، فَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

وعن ابي كبشة عمرو بن سعد الانماري رضي الله عنه: انه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: «ثلاثة اقسم عليهن، واحدثكم حديثا فاحفظوه: ما نقص مال عبد من صدقة، ولا ظلم عبد مظلمة صبر عليها الا زاده الله عزا، ولا فتح عبد باب مسالة الا فتح الله عليه باب فقر» - او كلمة نحوها- «واحدثكم حديثا فاحفظوه» قال: «انما الدنيا لاربعة نفر: عبد رزقه الله مالا وعلما، فهو يتقي فيه ربه، ويصل فيه رحمه، ويعلم لله فيه حقا، فهذا بافضل المنازل . وعبد رزقه الله علما، ولم يرزقه مالا، فهو صادق النية، يقول: لو ان لي مالا لعملت بعمل فلان، فهو بنيته، فاجرهما سواء . وعبد رزقه الله مالا، ولم يرزقه علما، فهو يخبط في ماله بغير علم، لا يتقي فيه ربه، ولا يصل فيه رحمه، ولا يعلم لله فيه حقا، فهذا باخبث المنازل . وعبد لم يرزقه الله مالا ولا علما، فهو يقول: لو ان لي مالا لعملت فيه بعمل فلان، فهو بنيته، فوزرهما سواء». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Abu Kabshah 'Amr bin Sa'd (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "I swear by Allah for three (qualities) which I am going to tell you about. Remember them well:

(1) The wealth of a man will not diminish by Sadaqah (charity).

(2) Allah augments the honour of a man who endures an oppression patiently.

(3) He who opens a gate of begging, Allah opens a gate of poverty (or he said a word similar to it)."

He (ﷺ) also said, "Remember well what I am going to tell you: The world is for four kinds of people. (1) One upon whom Allah has bestowed wealth and knowledge and so he fears his Rubb in respect to them, joins the ties of blood relationship and acknowledges the Rights of Allah on him (and fulfills them); this type will have the best position (in Jannah). (2) One upon whom Allah has conferred knowledge but no wealth, and he is sincere in his intention and says: 'Had I possessed wealth, I would have acted like so-and-so.' If that is his intention, his reward is the same as that of the other. (3) One whom Allah has given wealth but no knowledge and he squanders his wealth ignorantly, does not fear Allah in respect to it, does not discharge the obligations of kinship and does not acknowledge the Rights of Allah. Such a person will be in the worst position (in the Hereafter). (4) One upon whom Allah has bestowed neither wealth nor knowledge and he says: 'Had I possessed wealth, I would have acted like so-and-so (i.e., he would squander his wealth).' If this is his intention, both will have equal sin."

[At- Tirmidhi].


Commentary: This Hadith highlights the following points:
1. Those who forgive people and pardon them will be granted honour and elevation both in this life and in the Hereafter.

2. Those who have sufficient means to live on and still beg of people out of greed, will be afflicted with poverty.

3. The Hadith also urges us to acquire religious knowledge, and also the practise of this knowledge along with the intention to please Allah Alone.

4. The Hadith also criticizes ignorance of religious teachings and ignorant people, for ignorance can easily lead one to commit forbidden acts.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ কাবশাহ্ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

১৫/৫৬৩। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, একদা তাঁরা একটি ছাগল জবাই করলেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’ছাগলটির কতটা (মাংস) অবশিষ্ট আছে?’’ (আয়েশা) বললেন, ’কেবলমাত্র কাঁধের মাংস ছাড়া তার কিছুই বাকী নেই।’ তিনি বললেন, ’’(বরং) কাঁধের মাংস ছাড়া সবটাই বাকী আছে।’’ (তিরমিযী, বিশুদ্ধ সূত্রে) [1]

* অর্থাৎ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বললেন, ’তার সবটুকু মাংসই সাদকা করে দেওয়া হয়েছে এবং কেবলমাত্র কাঁধের মাংস বাকী রয়ে গেছে।’ উত্তরে তিনি বললেন, ’’কাঁধের মাংস ছাড়া সবই আখেরাতে আমাদের জন্য বাকী আছে।’’ (আসলে যা দান করা হয়, তাই বাকী থাকে।)

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا: أنَّهُمْ ذَبَحُوا شَاةً، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم:«مَا بَقِيَ مِنْهَا ؟ قَالَت: مَا بَقِيَ مِنْهَا إِلاَّ كَتِفُها. قَالَ: بَقِيَ كُلُّهَا غَيْرُ كَتِفِهَا ». رواه الترمذي، وقال: حديث صحيح »

وعن عاىشة رضي الله عنها: انهم ذبحوا شاة، فقال النبي صلى الله عليه وسلم:«ما بقي منها ؟ قالت: ما بقي منها الا كتفها. قال: بقي كلها غير كتفها ». رواه الترمذي، وقال: حديث صحيح »

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) had slaughtered a sheep and distributed major portions of its meat. Then he (ﷺ) asked, "Is there anything left?" She replied, "Nothing, except the shoulder." Thereupon he said, "All of it is left except its shoulder."

[At-Tirmidhi].

Commentary: This Hadith reveals a truth to man that he should not eat up anything and everything all alone, rather in this regard he is supposed to take the maximum care for the distribution of alms and charity so that it may stand him in good stead in the Hereafter. What one has given in charity will by no means be wasted, for he will
doubtlessly find its reward with Allah on the Day of Resurrection.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

১৬/৫৬৪। আসমা বিনতে আবূ বকর (রাদিয়াল্লাহু ’আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ’’তুমি সম্পদ বেঁধে (জমা করে) রেখো না, এরূপ করলে তোমার নিকট (আসা থেকে) তা বেঁধে রাখা হবে।’’ অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’খরচ কর, অথবা ছেড়ে দাও, অথবা প্রবাহমান কর, গুনে গুনে রেখো না, এরূপ করলে আল্লাহও তোমাকে গুনে গুনে দেবেন। আর তুমি জমা করে রেখো না, এরূপ করলে আল্লাহও তোমার প্রতি (খরচ না করে) জমা করে রাখবেন।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَن أَسمَاءَ بِنتِ أَبي بَكرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَت: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لاَ تُوكِي فَيُوكَى عَلَيْكِ». وَفِي رِوَايَةٍ: «أنفقي أَوِ انْفَحِي، أَوْ انْضَحِي، وَلاَ تُحصِي فَيُحْصِي اللهُ عَلَيْكِ، وَلاَ تُوعي فَيُوعي اللهُ عَلَيْكِ ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن اسماء بنت ابي بكر الصديق رضي الله عنهما، قالت: قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لا توكي فيوكى عليك». وفي رواية: «انفقي او انفحي، او انضحي، ولا تحصي فيحصي الله عليك، ولا توعي فيوعي الله عليك ». متفق عليه

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Asma' bint Abu Bakr (May Allah be pleased with her) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said to me, "Do not hoard; otherwise, Allah will withhold from you."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Herein is enshrined a Divine principle; His Retribution is determined by the kind of things done by man. A proverb may be quoted to this effect, "As you sow, so shall you reap''. If we spend a lot in the way of Allah, He will also recompense us a lot. And if we stint spending in His way, He will dispense sustenance to us with restrain, too. If we accumulate wealth in a miserly fashion and avoid spending it in the way of Allah, He will also restrain the flow of His bounty to us. To sum up, the Hadith inspires us to generously spend money in the way of Allah and also sternly warns us of the consequences of stinginess and parsimony.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

১৭/৫৬৫। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ’’কৃপণ ও দানশীলের দৃষ্টান্ত এমন দুই ব্যক্তির মত, যাদের পরিধানে দু’টি লোহার বর্ম রয়েছে। যা তাদের বুক থেকে টুঁটি পর্যন্ত বিস্তৃত। সুতরাং দানশীল যখন দান করে, তখনই সেই বর্ম তার সারা দেহে বিস্তৃত হয়ে যায়, এমনকি (তার ফলে) তা তার আঙ্গুলগুলোকেও ঢেকে ফেলে এবং তার পদচিহ্ন (পাপ বা ত্রুটি) মুছে দেয়। পক্ষান্তরে কৃপণ যখনই কিছু দান করার ইচ্ছা করে, তখনই বর্মের প্রতিটি আংটা যথাস্থানে এঁটে যায়। সে তা প্রশস্ত করতে চাইলেও তা প্রশস্ত হয় না।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّه سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «مَثَل البَخِيلِ وَالمُنْفِقِ، كَمَثَلِ رَجُلَيْنِ عَلَيْهِمَا جُنَّتَانِ مِنْ حَدِيدٍ مِنْ ثُدِيِّهِمَا إِلَى تَرَاقِيهِمَا، فَأَمَّا المُنْفِقُ فَلاَ يُنْفِقُ إِلاَّ سَبَغَتْ - أَوْ وَفَرَتْ - عَلَى جِلْدِهِ حَتَّى تُخْفِيَ بَنَانَهُ، وَتَعْفُو أثرَهُ، وأمَّا البَخِيلُ، فَلاَ يُرِيدُ أَنْ يُنْفِقَ شَيْئاً إِلاَّ لَزِقَتْ كُلُّ حَلْقَةٍ مَكَانَهَا، فَهُوَ يُوسِّعُهَا فَلاَ تَتَّسِعُ ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه: انه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: «مثل البخيل والمنفق، كمثل رجلين عليهما جنتان من حديد من ثديهما الى تراقيهما، فاما المنفق فلا ينفق الا سبغت - او وفرت - على جلده حتى تخفي بنانه، وتعفو اثره، واما البخيل، فلا يريد ان ينفق شيىا الا لزقت كل حلقة مكانها، فهو يوسعها فلا تتسع ». متفق عليه

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying: "The case of a miserly man and a generous man who gives in charity is similar to that of two persons who are clad in armour from their breasts up to their collar bones. When the generous man gives in charity, his armour expands so much as to cover his fingertips and toes. When the miser intends to spend something the armour contracts and every ring of it sticks to the place where it is (sinks into his flesh). He tries to loosen it but it does not expand."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: The Hadith metaphorically highlights the significance of giving in charity, saying it covers up a man's sins in such way as a full coat of mail, reaching his feet, conceals his whole body. Aside from it, there is a good news for the almsgiver that his wealth will receive Divine blessing and he will be safe from trials and tribulations. Whereas a miser faces a warning that his sins and defects will be made known to people and not concealed from them, and he will remain the target of miseries. We are further told that when a generous man intends to give charity, his chest expands for it and he happily gives vent to his generosity. On the other hand, when a niggardly man intends to spend money in charity, his chest contracts and he withholds his giving hand. To
conclude, this Hadith brings good news to generous people, and a warning to misers.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

১৮/৫৬৬। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরাহ) রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি (তার) বৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ থেকে একটি খেজুর পরিমাণও কিছু দান করে---আর আল্লাহ তো বৈধ অর্থ ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণই করেন না---সে ব্যক্তির ঐ দানকে আল্লাহ ডান হাতে গ্রহণ করেন। অতঃপর তা ঐ ব্যক্তির জন্য লালন-পালন করেন; যেমন তোমাদের কেউ তার অশ্ব-শাবককে লালন-পালন করে থাকে। পরিশেষে তা পাহাড়ের মত হয়ে যায়।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَنْ تَصَدَّقَ بعَدلِ تَمْرَةٍ مِنْ كَسْبٍ طَيِّبٍ، وَلاَ يَقْبَلُ اللهُ إِلاَّ الطَّيبَ، فَإنَّ اللهَ يَقْبَلُهَا بِيَمِينِهِ، ثُمَّ يُرَبِّيهَا لِصَاحِبِهَا كَمَا يُرَبِّي أحَدُكُمْ فَلُوَّهُ حَتَّى تَكُونَ مِثْلَ الجَبَلِ ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «من تصدق بعدل تمرة من كسب طيب، ولا يقبل الله الا الطيب، فان الله يقبلها بيمينه، ثم يربيها لصاحبها كما يربي احدكم فلوه حتى تكون مثل الجبل ». متفق عليه

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who gives in charity the value of a date which he legally earned, and Allah accepts only that which is pure, Allah accepts it with His Right Hand and fosters it for him, as one of you fosters his mare, until it becomes like a mountain."

[Al- Bukhari and Muslim].

Commentary: Here is an Attribute of Allah, His Hand, has been mentioned. We are supposed to believe in it without interpretation or comparison; that is to say that Allah has Hands as befit His Glory. We cannot compare his essential attributes to anything, nor can we describe them. It is evident from this Hadith that Allah increases the reward of charity which is given from lawfully-earned money until it becomes like a mountain in greatness.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ

১৯/৫৬৭। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’এক ব্যক্তি বৃক্ষহীন প্রান্তরে মেঘ থেকে শব্দ শুনতে পেল, ’অমুকের বাগানে বৃষ্টি বর্ষণ কর।’ অতঃপর সেই মেঘ সরে গিয়ে কালো পাথুরে এক ভূমিতে বর্ষণ করল। তারপর (সেখানকার) নালাসমূহের মধ্যে একটি নালা সম্পূর্ণ পানি নিজের মধ্যে জমা করে নিল। লোকটি সেই পানির অনুসরণ করে কিছু দূর গিয়ে দেখল, একটি লোক কোদাল দ্বারা নিজ বাগানের দিকে পানি ঘুরাচ্ছে। সে তাকে জিজ্ঞাসা করল, ’তোমার নাম কি ভাই?’ বলল, ’অমুক।’ এটি ছিল সেই নাম, যে নাম মেঘের আড়ালে সে শুনেছিল।

বাগান-ওয়ালা বলল, ’ওহে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমার নাম কেন জিজ্ঞাসা করলে?’ লোকটি বলল, ’আমি মেঘের আড়াল থেকে তোমার নাম ধরে তোমার বাগানে বৃষ্টি বর্ষণ করতে আদেশ শুনলাম। তুমি কি এমন কাজ কর?’ বাগান-ওয়ালা বলল, ’এ কথা যখন বললে, তখন বলতে হয়; আমি এই বাগানের উৎপন্ন ফল-ফসলকে ভেবে-চিন্তে তিন ভাগে ভাগ করি। অতঃপর তার এক ভাগ দান করি, এক ভাগ আমি আমার পরিজন সহ খেয়ে থাকি এবং বাকী এক ভাগ বাগানের চাষ-খাতে ব্যয় করি।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)

وَعَنهُ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «بَيْنَمَا رَجُلٌ يَمْشِي بِفَلاَةٍ مِنَ الأَرْضِ، فَسَمِعَ صَوْتاً في سَحَابَةٍ، اِسقِ حَدِيقَةَ فُلانٍ، فَتَنَحَّى ذَلِكَ السَّحَابُ فَأفْرَغَ مَاءَهُ فِي حَرَّةٍ، فإِذَا شَرْجَةٌ مِنْ تِلْكَ الشِّرَاجِ قَدِ اسْتَوْعَبَت ذَلِكَ الماءَ كُلَّهُ، فَتَتَبَّعَ المَاءَ، فإذَا رَجُلٌ قَائمٌ في حَدِيقَتِهِ يُحَوِّلُ الماءَ بِمِسحَاتِهِ، فَقَالَ لَهُ: يَا عَبْدَ اللهِ، مَا اسمُكَ ؟ قال: فُلانٌ لِلاِسمِ الَّذِي سَمِعَ في السَّحَابَةِ، فَقَالَ لَهُ: يَا عَبدَ اللهِ، لِمَ تَسْألُنِي عَنِ اسْمِي؟ فَقَالَ: إنِّي سَمِعْتُ صَوتْاً فِي السَّحَابِ الَّذِي هَذَا مَاؤُهُ، يَقُولُ: اِسْقِ حَدِيقَةَ فُلاَنٍ لاِسمِكَ، فَمَا تَصْنَعُ فِيهَا، فَقَالَ: أمَا إِذ قُلتَ هَذَا، فَإنِّي أنْظُرُ إِلَى مَا يَخْرُجُ مِنْهَا، فَأتَصَدَّقُ بِثُلُثِهِ، وَآكُلُ أنَا وَعِيَالِي ثُلُثاً، وَأردُّ فِيهَا ثُلُثَهُ . رواه مسلم

وعنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «بينما رجل يمشي بفلاة من الارض، فسمع صوتا في سحابة، اسق حديقة فلان، فتنحى ذلك السحاب فافرغ ماءه في حرة، فاذا شرجة من تلك الشراج قد استوعبت ذلك الماء كله، فتتبع الماء، فاذا رجل قاىم في حديقته يحول الماء بمسحاته، فقال له: يا عبد الله، ما اسمك ؟ قال: فلان للاسم الذي سمع في السحابة، فقال له: يا عبد الله، لم تسالني عن اسمي؟ فقال: اني سمعت صوتا في السحاب الذي هذا ماوه، يقول: اسق حديقة فلان لاسمك، فما تصنع فيها، فقال: اما اذ قلت هذا، فاني انظر الى ما يخرج منها، فاتصدق بثلثه، واكل انا وعيالي ثلثا، وارد فيها ثلثه . رواه مسلم

(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "While a man was walking through a barren land, he heard a voice coming out of a cloud saying: 'Irrigate the garden of so-and- so.' Thereupon the cloud drifted in a certain direction and discharged its water over a rocky plain. The streamlets flowed into a channel. This man followed the channel until it reached a garden and he saw the owner of the garden standing in its center, working with his spade spreading the water (changing the course of the water). He asked him: "O slave of Allah, what is your name?" He told his name, which was the same that he heard from the cloud. The owner of the garden then asked him: "O slave of Allah, why did you ask my name?" He replied: "I heard a voice from a cloud which poured down this water saying: 'Irrigate the garden of so-and-so.' I would like to know what do you do with it." He said: "Now that you asked me, I will tell you. I estimate the produce of the garden and distribute one-third of it in charity, I spend one-third on myself and my family and invest one-third back into the garden."

[Muslim].

Commentary: This Hadith, besides the virtue of alms and charity, touches upon the theme of clairvoyance and miracles. It is something supernormal that a man should hear a voice from the cloud. Yet such supernatural phenomenon signify only the Omnipotence of Allah. Nobody is presumed to claim that he can demonstrate at will something unusual by virtue of his clairvoyant and miraculous power. There are indeed some people who lay such a claim and thereby swindle away the money of gullible souls and lead them astray.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে