পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ إِنَّمَا مَثَلُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا كَمَآءٍ أَنزَلۡنَٰهُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ فَٱخۡتَلَطَ بِهِۦ نَبَاتُ ٱلۡأَرۡضِ مِمَّا يَأۡكُلُ ٱلنَّاسُ وَٱلۡأَنۡعَٰمُ حَتَّىٰٓ إِذَآ أَخَذَتِ ٱلۡأَرۡضُ زُخۡرُفَهَا وَٱزَّيَّنَتۡ وَظَنَّ أَهۡلُهَآ أَنَّهُمۡ قَٰدِرُونَ عَلَيۡهَآ أَتَىٰهَآ أَمۡرُنَا لَيۡلًا أَوۡ نَهَارٗا فَجَعَلۡنَٰهَا حَصِيدٗا كَأَن لَّمۡ تَغۡنَ بِٱلۡأَمۡسِۚ كَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ ٱلۡأٓيَٰتِ لِقَوۡمٖ يَتَفَكَّرُونَ ٢٤ ﴾ [يونس: ٢٤]

অর্থাৎ“ বস্তুত পার্থিব জীবনের দৃষ্টান্ত তো বৃষ্টির মত, যা আমি আসমান হতে বর্ষণ করি। অতঃপর তার দ্বারা উৎপন্ন হয় ভূপৃষ্ঠের উদ্ভিদগুলো অতিশয় ঘন হয়ে, যা হতে মানুষ ও পশুরা ভক্ষণ করে। অতঃপর যখন ভূমি তার শোভা ধারণ করে ও নয়নাভিরাম হয়ে ওঠে এবং তার মালিকরা মনে করে যে, তারা এখন তার পূর্ণ অধিকারী, তখন দিনে অথবা রাতে তার উপর আমার (আযাবের) আদেশ এসে পড়ে, সুতরাং আমি তা এমনভাবে নিশ্চিহ্ন করে দই, যেন গতকাল তার অস্তিত্বই ছিল না। এরূপেই আয়াতগুলোকে আমি চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য বিশদরূপে বর্ণনা করে থাকি।” (সূরা ইউনুস ২৪ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ وَٱضۡرِبۡ لَهُم مَّثَلَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا كَمَآءٍ أَنزَلۡنَٰهُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ فَٱخۡتَلَطَ بِهِۦ نَبَاتُ ٱلۡأَرۡضِ فَأَصۡبَحَ هَشِيمٗا تَذۡرُوهُ ٱلرِّيَٰحُۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ مُّقۡتَدِرًا ٤٥ ٱلۡمَالُ وَٱلۡبَنُونَ زِينَةُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ وَٱلۡبَٰقِيَٰتُ ٱلصَّٰلِحَٰتُ خَيۡرٌ عِندَ رَبِّكَ ثَوَابٗا وَخَيۡرٌ أَمَلٗا ٤٦ ﴾ [الكهف: ٤٥، ٤٦]

অর্থাৎ “তাদের কাছে পেশ কর উপমা পার্থিব জীবনের; এটা পানির ন্যায় যা আমি বর্ষণ করি আকাশ হতে, যার দ্বারা ভূমির উদ্ভিদ ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে উদগ্ত হয়। অতঃপর তা বিশুষ্ক হয়ে এমন চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় যে, বাতাস ওকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। আর আল্লাহ সর্ব বিষয়ে শক্তিমান। ধনৈশবর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা। আর সৎকার্য, যার ফল স্থায়ী, ওটা তোমার প্রতিপালকের নিকট পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং আশা প্রাপ্তির ব্যাপারেও উৎকৃষ্ট।” (সূরা কাহফ ৪৫-৪৬ আয়াত)

আরো অন্য জায়গায় তিনি বলেছেন,

﴿ ٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّمَا ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَا لَعِبٞ وَلَهۡوٞ وَزِينَةٞ وَتَفَاخُرُۢ بَيۡنَكُمۡ وَتَكَاثُرٞ فِي ٱلۡأَمۡوَٰلِ وَٱلۡأَوۡلَٰدِۖ كَمَثَلِ غَيۡثٍ أَعۡجَبَ ٱلۡكُفَّارَ نَبَاتُهُۥ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَىٰهُ مُصۡفَرّٗا ثُمَّ يَكُونُ حُطَٰمٗاۖ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ عَذَابٞ شَدِيدٞ وَمَغۡفِرَةٞ مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٞۚ وَمَا ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَآ إِلَّا مَتَٰعُ ٱلۡغُرُورِ ٢٠ ﴾ [الحديد: ٢٠]

অর্থাৎ “তোমরা জেনে রেখো যে, পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া-কৌতুক, জাঁকজমক, পারস্পরিক অহংকার প্রকাশ, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে প্রাচুর্য লাভের প্রতিযোগিতা ব্যতীত আর কিছুই নয়। এর উপমা বৃষ্টি; যার দ্বারা উৎপন্ন ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তা পীতবর্ণ দেখতে পাও, অবশেষে তা টুকরা-টুকরা (খড়-কুটায়) পরিণত হয় এবং আখেরাতে রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়।” (সূরা হাদীদ ২০ আয়াত)

অন্যত্র আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ ٱلشَّهَوَٰتِ مِنَ ٱلنِّسَآءِ وَٱلۡبَنِينَ وَٱلۡقَنَٰطِيرِ ٱلۡمُقَنطَرَةِ مِنَ ٱلذَّهَبِ وَٱلۡفِضَّةِ وَٱلۡخَيۡلِ ٱلۡمُسَوَّمَةِ وَٱلۡأَنۡعَٰمِ وَٱلۡحَرۡثِۗ ذَٰلِكَ مَتَٰعُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ وَٱللَّهُ عِندَهُۥ حُسۡنُ ٱلۡمَ‍َٔابِ ١٤ ﴾ [ال عمران: ١٤]

অর্থাৎ “নারী, সন্তান-সন্ততি, জমাকৃত সোনা-রূপার ভান্ডার, পছন্দসই (চিহ্নিত) ঘোড়া, চতুষ্পদ জন্তু ও ক্ষেত-খামারের প্রতি আসক্তি মানুষের নিকট লোভনীয় করা হয়েছে। এ সব ইহজীবনের ভোগ্য বস্তু। আর আল্লাহর নিকটেই উত্তম আশ্রয়স্থল রয়েছে।” (আলে ইমরান ১৪)

তিনি আরো বলেন,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّ وَعۡدَ ٱللَّهِ حَقّٞۖ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُم بِٱللَّهِ ٱلۡغَرُورُ ٥ ﴾ [فاطر: ٥]

অর্থাৎ “হে মানুষ! আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং পার্থিব জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে প্রতারিত না করে এবং কোন প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই আল্লাহ সম্পর্কে তোমাদেরকে প্রবঞ্চিত না করে।” (সূরা ফাত্বির ৫ আয়াত)

আল্লাহ তা’আলা অন্য জায়গায় বলেন,

﴿ أَلۡهَىٰكُمُ ٱلتَّكَاثُرُ ١ حَتَّىٰ زُرۡتُمُ ٱلۡمَقَابِرَ ٢ كَلَّا سَوۡفَ تَعۡلَمُونَ ٣ ثُمَّ كَلَّا سَوۡفَ تَعۡلَمُونَ ٤ كَلَّا لَوۡ تَعۡلَمُونَ عِلۡمَ ٱلۡيَقِينِ ٥ ﴾ [التكاثر: ١، ٥]

অর্থাৎ “প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। যতক্ষণ না তোমরা (মরে) কবরে উপস্থিত হও। কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। আবার বলি, কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। সত্যই, তোমাদের নিশ্চিত জ্ঞান থাকলে অবশ্যই তোমরা জানতে (ঐ প্রতিযোগিতার পরিণাম)।” (সূরা তাকাসুর ১-৫ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿وَمَا هَٰذِهِ ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَآ إِلَّا لَهۡوٞ وَلَعِبٞۚ وَإِنَّ ٱلدَّارَ ٱلۡأٓخِرَةَ لَهِيَ ٱلۡحَيَوَانُۚ لَوۡ كَانُواْ يَعۡلَمُونَ ٦٤﴾ [العنكبوت: ٦٤]

অর্থাৎ “এ পার্থিব জীবন তো খেল-তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। আর পারলোকিক জীবনই তো প্রকৃত জীবন; যদি ওরা জানত।” (সূরা আনকাবূত ৬৪ আয়াত)


এ মর্মে প্রচুর আয়াত রয়েছে এবং হাদীসও অগণিত। তার মধ্যে কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করছিঃ-

১/৪৬১। ’আমর ইবনে ’আউফ আনসারী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আবূ উবাইদাহ ইবনে জার্রাহকে জিযিয়া (ট্যাক্স) আদায় করার জন্য বাহরাইন পাঠালেন। অতঃপর তিনি বাহরাইন থেকে (প্রচুর) মাল নিয়ে এলেন। আনসারগণ তাঁর আগমনের সংবাদ শুনে ফজরের নামাযে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে শরীক হলেন। যখন তিনি নামায পড়ে (নিজ বাড়ি) ফিরে যেতে লাগলেন, তখন তারা তাঁর সামনে এলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দেখে হেসে বললেন, ’’আমার মনে হয়, তোমরা আবূ উবাইদাহ বাহরাইন থেকে কিছু (মাল) নিয়ে এসেছে, তা শুনেছ।’’ তারা বলল, ’জী হ্যাঁ।’

তিনি বললেন, ’’সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং তোমরা সেই আশা রাখ, যা তোমাদেরকে আনন্দিত করবে। তবে আল্লাহর কসম! তোমাদের উপর দারিদ্র্য আসবে আমি এ আশংকা করছি না। বরং আশংকা করছি যে, তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের ন্যায় তোমাদেরও পার্থিব জীবনে প্রশস্ততা আসবে। আর তাতে তোমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, যেমন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। অতঃপর তা তোমাদেরকে ধ্বংস করে দেবে, যেমন তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

عَن عَمرِو بنِ عَوفٍ الأنصَارِي رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيدَةَ بنَ الجَرَّاحِ رضي الله عنه إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأتِي بِجِزْيَتِهَا، فَقَدِمَ بمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ، فَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بقُدُومِ أَبي عُبيْدَةَ، فَوَافَوْا صَلاَةَ الفَجْرِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، انْصَرفَ، فَتَعَرَّضُوا لَهُ، فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم حِيْنَ رَآهُمْ، ثُمَّ قَالَ: أظُنُّكُمْ سَمعتُمْ أنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدِمَ بِشَيْءٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ ؟ فَقَالُوا: أَجَل، يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: أبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ، فَوَالله مَا الفَقْرَ أخْشَى عَلَيْكُمْ، وَلَكِنِّي أخْشَى أنْ تُبْسَط الدُّنْيَا عَلَيْكُمْ كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا، فَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أهْلَكَتْهُمْ . متفقٌ عَلَيْهِ

عن عمرو بن عوف الانصاري رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بعث ابا عبيدة بن الجراح رضي الله عنه الى البحرين ياتي بجزيتها، فقدم بمال من البحرين، فسمعت الانصار بقدوم ابي عبيدة، فوافوا صلاة الفجر مع رسول الله صلى الله عليه وسلم، فلما صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، انصرف، فتعرضوا له، فتبسم رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم حين راهم، ثم قال: اظنكم سمعتم ان ابا عبيدة قدم بشيء من البحرين ؟ فقالوا: اجل، يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: ابشروا واملوا ما يسركم، فوالله ما الفقر اخشى عليكم، ولكني اخشى ان تبسط الدنيا عليكم كما بسطت على من كان قبلكم، فتنافسوها كما تنافسوها، فتهلككم كما اهلكتهم . متفق عليه

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life Allah, the Exalted, says:

"Verily, the likeness of (this) worldly life is as the water (rain) which We send down from the sky; so by it arises the intermingled produce of the earth of which men and cattle eat: until when the earth is clad in its adornments and is beautified, and its people think that they have all the powers of disposal over it, Our Command reaches it by night or by day and We make it like a clean-mown harvest, as if it had not flourished yesterday! Thus, do We explain the Ayat (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, laws, etc.) in detail for the people who reflect.'' (10:24)

"And put forward to them the example of the life of this world: it is like the water (rain) which We send down from the sky, and the vegetation of the earth mingles with it, and becomes fresh and green. But (later) it becomes dry and broken pieces, which the winds scatter. And Allah is Able to do everything. Wealth and children are the adornment of the life of this world. But the good righteous deeds that last, are better with your Rubb for rewards and better in respect of hope.'' (18:45,46)

"Know that the life of this world is only play and amusement, pomp and mutual boasting among you, and rivalry in respect of wealth and children. (It is) as the likeness of vegetation after rain, thereof the growth is pleasing to the tiller; afterwards it dries up and you see it turning yellow; then it becomes straw. But in the Hereafter (there is) a severe torment (for the disbelievers-evildoers), and (there is) forgiveness from Allah and (His) Good Pleasure (for the believers-gooddoers). And the life of this world is only a deceiving enjoyment". (57:20).

"Beautified for men is the love of things they covet; women, children, much of gold and silver (wealth), branded beautiful horses, cattle and well-tilled land. This is the pleasure of the present world's life; but Allah has the excellent return (Jannah with flowing rivers) with Him.'' (3:14).

15. Say, "Shall I inform you of [something] better than that? For those who fear Allah will be gardens in the presence of their Lord beneath which rivers flow, wherein they abide eternally, and purified spouses and approval from Allah. And Allah is Seeing [i.e., aware] of [His] servants

"O mankind! Verily, the Promise of Allah is true. So let not this present life deceive you, and let not the chief deceiver (Satan) deceive you about Allah.'' (35:5). Competition in [worldly] increase diverted you
2. Until you visited the graveyards
3. No! but You are going to know.
4. Then no! but You shall surely will know.5. No! If you only know with utmost of certainty
6. You will surely see the Hellfire.
7. Then you will surely see it with the eye of certainty.
8. Then you will surely be asked that Day about the grace.

"And this life of the world is only amusement and play! Verily, the home of the Hereafter is the real life if they but knew". (29:64).


'Amr bin 'Auf Al-Ansari (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) sent Abu 'Ubaidah bin Al-Jarrah (May Allah be pleased with him) to Bahrain to collect (Jizyah). So he returned from Bahrain with wealth. The Ansar got news of it and joined with the Prophet (ﷺ) in the Fajr prayer. When the Prophet (ﷺ) concluded the prayer, they stood in his way. When he saw them, he smiled and said, "I think you have heard about the arrival of Abu 'Ubaidah with something from Bahrain". They said, "Yes! O Messenger of Allah!". He (ﷺ) said, "Rejoice and hope for that which will please you. By Allah, it is not poverty that I fear for you, but I fear that this world will be opened up with its wealth for you as it was opened to those before you; and you vie with one another over it as they did and eventually it will ruin you as it ruined them".

[Muslim].

Commentary: We learn from this Hadith that, from the religious angle, poverty of an individual or nation is not as dangerous as its affluence. For this reason, the Prophet (PBUH) cautioned his Ummah against the consequences of abundance of wealth and warned his followers to save themselves from its evils. We witness today that all his fears have come true. The excess of wealth has made the majority of rich extremely careless about their religious obligations. It is this negligence and evasion from religion about which the Prophet (PBUH) had expressed grave fear.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু ‘আওফ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

২/৪৬২। আবূ সাইদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে বসলেন এবং আমরা তাঁর আশেপাশে বসলাম। অতঃপর তিনি বললেন, ’’আমি তোমাদের উপর যার আশঙ্কা করছি তা হল এই যে, তোমাদের উপর দুনিয়ার শোভা ও সৌন্দর্য (এর দরজা) খুলে দেওয়া হবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَن أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، قَالَ: جَلَسَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ، وَجَلَسْنَا حَوْلَهُ، فَقَالَ: «إنَّ ممَّا أخَافُ عَلَيْكُمْ مِنْ بَعْدِي مَا يُفْتَحُ عَلَيْكُمْ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا وَزِينَتِهَا». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه، قال: جلس رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم على المنبر، وجلسنا حوله، فقال: «ان مما اخاف عليكم من بعدي ما يفتح عليكم من زهرة الدنيا وزينتها». متفق عليه

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) sat on the pulpit and we sat around him. He said: "What I am concerned most is the flourishment and the beauty of this world will be available to you".

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

৩/৪৬৩। আবূ সাইদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ শ্যামল এবং আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন। অতঃপর তিনি দেখবেন যে, তোমরা কিভাবে কাজ কর। অতএব তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে।’’ (মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَنهُ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: إنَّ الدُّنْيَا حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ وَإنَّ الله تَعَالَى مُسْتَخْلِفُكُمْ فِيهَا، فَيَنْظُرُ كَيْفَ تَعْمَلُونَ، فَاتَّقُوا الدُّنْيَا وَاتَّقُوا النِّسَاءَ ». رواه مسلم

وعنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: ان الدنيا حلوة خضرة وان الله تعالى مستخلفكم فيها، فينظر كيف تعملون، فاتقوا الدنيا واتقوا النساء ». رواه مسلم

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said: "The world is sweet and green (alluring); and verily, Allah is making you to succeed each other, generations after generations in it in order to see how you act. So beware of this world and beware of women".

[Muslim].

Commentary: This Hadith has already been mentioned under chapter 6, "Piety". The stress that it lays on guarding against the evil of women shows how grave a mischief woman is for man. The warning it contains is intended to alert men against the cunning and deceit of women and induces them to take preventive measures prescribed by the Shari`ah in this behalf. Those who disregard the injunctions of Shari`ah in this respect generally become a victim of the seduction, wiles and guiles of women. May Allah save us from their amorous ways.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

৪/৪৬৪। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’হে আল্লাহ! আখেরাতের জীবনই প্রকৃত জীবন।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: اَللهم لاَ عَيْشَ إِلاَّ عَيْشَ الآخِرَةِ . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن انس رضي الله عنه: ان النبي صلى الله عليه وسلم، قال: اللهم لا عيش الا عيش الاخرة . متفق عليه

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said: "O Allah, there is no true life but the life of the Hereafter".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: The saying of the Prophet (PBUH) quoted in this Hadith relates to two different occasions. Firstly, to the Ghazwah of Al-Khandaq (the battle of the Trench) when Muslims were engaged in digging the trench under very difficult circumstances. It was intended to impress upon them the need for patience and boost their morale. They were made to understand that they should not be perplexed by the strenuous period they were passing through because these were transitory and temporary phases of life after which lay the everlasting life, the real life that was not only permanent but also full of perpetual luxuries.

Secondly, to the occasion of Hajjat-ul-Wada` (last Hajj performed by the Prophet (PBUH)) when he saw around him a large crowd of Muslims. Then he warned them against becoming proud or overjoyed by their strength and power. The grandeur and majesty being witnessed by them would come to an end. The real life was of Al-'akhirah (Hereafter) and they should do their utmost to reform it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

৫/৪৬৫। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির অনুসরণ করে (সঙ্গে যায়)। দাফনের পর দু’টি ফিরে আসে, আর একটি তার সাথেই থেকে যায়। সে তিনটি হল তার পরিবারবর্গ, তার মাল ও তার আমল। দাফনের পর তার পরিবারবর্গ ও মাল ফিরে আসে। আর তার আমল তার সাথেই থেকে যায়।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَنهُ، عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «يَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلاَثَةٌ: أهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ: فَيَرْجِعُ اثْنَانِ، وَيَبْقَى وَاحِدٌ: يَرْجِعُ أهْلُهُ وَمَالُهُ وَيبْقَى عَمَلُهُ ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «يتبع الميت ثلاثة: اهله وماله وعمله: فيرجع اثنان، ويبقى واحد: يرجع اهله وماله ويبقى عمله ». متفق عليه

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said: "Three (things) follow a dead person: Members of his family, his property and his deeds. Two of them return; and one remains with him. The people and his wealth return; his deeds remain with him".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith has a warning for the Muslims that they should adopt the way of piety and fear (of Allah), not of sin and impiety because those are actions which will go with him to the grave and which decide his fate in the life after death. If he carries with him good deeds, he will have a comfortable sojourn in Barzakh (the intervening stage between death and Resurrection). On the contrary, if the record of his life is devoid of good deeds, all the wealth that he leaves behind, even if it is beyond calculation, will be of no avail to him because what he will be having with him will be the bad deeds which he performed during his life. These bad deeds will be a constant source of torture for him during his stay in Barzakh.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

৬/৪৬৬। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’কিয়ামতের দিন জাহান্নামীদের মধ্য হতে এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হবে, যে দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী ও বিলাসী ছিল। অতঃপর তাকে জাহান্নামে একবার (মাত্র) চুবানো হবে, তারপর তাকে বলা হবে, ’হে আদম সন্তান! তুমি কি কখনো ভাল জিনিস দেখেছ? তোমার নিকটে কি কখনো সুখ-সামগ্রী এসেছে?’ সে বলবে, ’না। আল্লাহর কসম! হে প্রভু!’। আর জান্নাতীদের মধ্য হতে এমন এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হবে, যে দুনিয়ার সবচেয়ে দুখী ও অভাবী ছিল। তাকে জান্নাতে (মাত্র একবার) চুবানোর পর বলা হবে, ’হে আদম সন্তান! তুমি কি (দুনিয়াতে) কখনো কষ্ট দেখছ? তোমার উপরে কি কখনো বিপদ গেছে?’ সে বলবে, ’না। আল্লাহর কসম! আমার উপর কোনদিন কষ্ট আসেনি এবং আমি কখনো কোন বিপদও দেখিনি।’’ (মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «يُؤْتَى بِأنْعَمِ أهْلِ الدُّنْيَا مِنْ أهْلِ النَّارِ يَوْمَ القِيَامَةِ، فَيُصْبَغُ فِي النَّارِ صَبْغَةً، ثُمَّ يُقَالُ: يَا ابْنَ آدَمَ، هَلْ رَأيْتَ خَيْراً قَطُّ ؟ هَلْ مَرَّ بِكَ نَعِيمٌ قَطُّ ؟ فَيَقُولُ: لاَ وَاللهِ يَا رَبِّ، وَيُؤْتَى بِأشَدِّ النَّاسِ بُؤسَاً في الدُّنْيَا مِنْ أهْلِ الجَنَّةِ، فَيُصْبَغُ صَبْغَةً في الجَنَّةِ، فَيُقَالُ لَهُ: يَا ابْنَ آدَمَ، هَلْ رَأيْتَ بُؤساً قَطُّ ؟ هَلْ مَرَّ بِكَ شِدَّةٌ قَطُّ ؟ فيَقُولُ: لاَ وَاللهِ، مَا مَرَّ بِي بُؤْسٌ قَطُّ، وَلاَ رَأيْتُ شِدَّةً قَطُّ ». رواه مسلم

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «يوتى بانعم اهل الدنيا من اهل النار يوم القيامة، فيصبغ في النار صبغة، ثم يقال: يا ابن ادم، هل رايت خيرا قط ؟ هل مر بك نعيم قط ؟ فيقول: لا والله يا رب، ويوتى باشد الناس بوسا في الدنيا من اهل الجنة، فيصبغ صبغة في الجنة، فيقال له: يا ابن ادم، هل رايت بوسا قط ؟ هل مر بك شدة قط ؟ فيقول: لا والله، ما مر بي بوس قط، ولا رايت شدة قط ». رواه مسلم

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Anas bin Malik (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Among the inmates of Hell, a person who had led the most luxurious life in this world will be brought up on the Day of Resurrection and dipped in the Fire and will be asked: 'O son of Adam! Did you ever experience any comfort? Did you happen to get any luxury?' He will reply: 'By Allah, no, my Rubb.' And then one of the people of Jannah who had experienced extreme misery in the life of this world will be dipped in Jannah. Then he will be asked: 'O son of Adam! Did you ever experience any misery? Did you ever encounter difficulty?' He will say: "By Allah, no my Rubb, I neither experienced misery nor passed through hardship".

[Muslim].

Commentary: This Hadith also induces one to work for the life of the Hereafter, as the amenities of this world which one strives hard to attain, and for which one violates the injunctions of Shari`ah, will be forgotten with a glimpse of the Hell-fire. Therefore, the sensible course is that one should adopt a way of life which is full of true faith and good deeds so that one becomes eligible for the eternal blessings and joys of the life of the Hereafter.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

৭/৪৬৭। মুস্তাওরিদ ইবনে শাদ্দাদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আখেরাতের মুকাবেলায় দুনিয়ার দৃষ্টান্ত ঐরূপ, যেমন তোমাদের কেউ সমুদ্রে আঙ্গুল ডুবায় এবং (তা বের করে) দেখে যে, আঙ্গুলটি সমুদ্রের কতটুকু পানি নিয়ে ফিরছে।’’ (মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَنِ المُسْتَوْرِدِ بنِ شَدَّادٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم:« مَا الدُّنْيَا في الآخِرَةِ إِلاَّ مِثْلُ مَا يَجْعَلُ أَحَدُكُمْ أُصْبُعَهُ في اليَمِّ، فَلْيَنْظُرْ بِمَ يَرْجِعُ ». رواه مسلم

وعن المستورد بن شداد رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم:« ما الدنيا في الاخرة الا مثل ما يجعل احدكم اصبعه في اليم، فلينظر بم يرجع ». رواه مسلم

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Al-Mustaurad bin Shaddad (May allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "This world (i.e., its pleasures and duration) in comparison with the Hereafter is (similar to the amount of water) one gets when he puts his finger in the sea. Let him then see what it returns with".

[Muslim].

Commentary: This Hadith shows the value of the Hereafter and its blessings compared to the worldly life. The proportion between the two is that the former is like an ocean while the latter is like the proportion of water left on one's finger when dipped in the sea!.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

৮/৪৬৮। জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাজারের পাশ দিয়ে গেলেন। এমতাবস্থায় যে, তাঁর দুই পাশে লোকজন ছিল। অতঃপর তিনি ছোট কানবিশিষ্ট একটি মৃত ছাগল ছানার পাশ দিয়ে গেলেন। তিনি তার কান ধরে বললেন, ’’তোমাদের কেউ কি এক দিরহামের পরিবর্তে এটাকে নেওয়া পছন্দ করবে?’’ তাঁরা বললেন, ’আমরা কোনো জিনিসের বিনিময়ে এটা নেওয়া পছন্দ করব না এবং আমরা এটা নিয়ে করবই বা কি?’ তিনি বললেন, ’’তোমরা কি পছন্দ কর যে, (বিনামূল্যে) এটা তোমাদের হোক?’’ তাঁরা বললেন, ’আল্লাহর কসম! যদি এটা জীবিত থাকত তবুও সে ছোট কানের কারণে দোষযুক্ত ছিল। এখন তো সে মৃত (সেহেতু একে কে নেবে)?’ তিনি বললেন, ’’আল্লাহর কসম! তোমাদের নিকট এই মৃত ছাগল ছানাটা যতটা নিকৃষ্ট, দুনিয়া আল্লাহর নিকট তার চেয়ে বেশি নিকৃষ্ট।’’ (মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَن جَابِرٍ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِالسُّوقِ وَالنَّاسُ كَنَفَتَيْهِ، فَمَرَّ بِجَدْيٍ أَسَكَّ مَيِّتٍ، فَتَنَاوَلَهُ فَأَخَذَ بِأُذُنِهِ، ثُمَّ قَالَ: «أَيُّكُم يُحِبُّ أنْ يَكُونَ هَذَا لَهُ بِدرْهَم ؟ فَقَالُوا: مَا نُحِبُّ أنَّهُ لَنَا بِشَيْءٍ وَمَا نَصْنَعُ بِهِ ؟ ثُمَّ قَالَ: أَتُحِبُّونَ أَنَّهُ لَكُمْ ؟ قَالُوا: وَاللهِ لَوْ كَانَ حَيّاً كَانَ عَيْباً، إنَّهُ أسَكُّ فَكَيْفَ وَهُوَ ميِّتٌ ! فَقَالَ: فوَاللهِ للدُّنْيَا أهْوَنُ عَلَى اللهِ مِنْ هَذَا عَلَيْكُمْ . رواه مسلم

وعن جابر رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مر بالسوق والناس كنفتيه، فمر بجدي اسك ميت، فتناوله فاخذ باذنه، ثم قال: «ايكم يحب ان يكون هذا له بدرهم ؟ فقالوا: ما نحب انه لنا بشيء وما نصنع به ؟ ثم قال: اتحبون انه لكم ؟ قالوا: والله لو كان حيا كان عيبا، انه اسك فكيف وهو ميت ! فقال: فوالله للدنيا اهون على الله من هذا عليكم . رواه مسلم

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Jabir bin 'Abdullah (May allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) was passing through the bazaar with his Companions on his both sides, when he saw a dead skinny lamb. He held its ear and said, "Who of you would like to have it for a dirham". They replied, "We do not like to get it for nothing, and what shall we do with it?". Then he (ﷺ) asked, "Would you like to have it for nothing?". They replied, "Had it been alive, it would have been defective because it is skinny; but when dead it is of no use". Messenger of Allah (ﷺ) said, "Truly, the world is more contemptible to Allah than this (the dead lamb) is to you".

[Muslim].

Commentary: This Hadith also shows the futility of this world for which one struggles so madly throughout his life. It is also an indication that the Prophet (PBUH) used to seize the right opportunities to guide and teach his followers.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

৮/৪৬৯। আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (একবার) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মদ্বীনার কালো পাথুরে যমীনে হাঁটছিলাম। উহুদ পাহাড় আমাদের সামনে পড়ল। তিনি বললেন, ’’হে আবূ যার্র! এতে আমি খুশী নই যে, আমার নিকট এই উহুদ পাহাড় সমান স্বর্ণ থাকবে, এ অবস্থায় তিনদিন অতিবাহিত হবে অথচ তার মধ্য হতে একটি দ্বীনারও আমার কাছে অবশিষ্ট থাকবে। অবশ্য তা থাকবে যা আমি ঋণ আদায়ের জন্য বাকী রাখব অথবা আল্লাহর বান্দাদের মাঝে এইভাবে এইভাবে এইভাবে ডানে, বামে ও পিছনে খরচ করব।’’

অতঃপর (কিছু আগে) চলে তিনি বললেন, ’’প্রাচুর্যের অধিকারীরাই কিয়ামতের দিন নিঃস্ব হবে। অবশ্য সে নয় যে সম্পদকে (ফোয়ারার মত) এইভাবে এইভাবে এইভাবে ডানে, বামে ও পিছনে ব্যয় করে। কিন্তু এ রকম লোকের সংখ্যা নেহাতই কম।’’

তারপর তিনি আমাকে বললেন, ’’তুমি এখানে বসে থাক, যতক্ষণ না আমি তোমার কাছে (ফিরে) আসছি।’’ এরপর তিনি রাতের অন্ধকারে চলতে লাগলেন, এমনকি শেষ পর্যন্ত তিনি অদৃশ্য হয়ে গেলেন। হঠাৎ আমি এক জোর শব্দ শুনলাম। আমি ভয় পেলাম যে, কোনো শত্রু হয়তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে পড়েছে।

সুতরাং আমি তাঁর নিকট যাওয়ার ইচ্ছা করলাম, কিন্তু তাঁর কথা আমার স্মরণ হল, ’’তুমি এখানে বসে থাক, যতক্ষণ না আমি তোমার কাছে (ফিরে) এসেছি।’’ সুতরাং আমি তাঁর ফিরে না আসা পর্যন্ত বসে থাকলাম। (তিনি ফিরে এলে) আমি বললাম, ’আমি এক জোর শব্দ শুনলাম, যাতে আমি ভয় পেলাম।’ সুতরাং যা শুনলাম আমি তা তাঁর কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, ’’তুমি শব্দ শুনেছিলে?’’ আমি বললাম, ’জী হ্যাঁ!’ তিনি বললেন, ’’তিনি জিব্রাঈল ছিলেন। তিনি আমার কাছে এসে বললেন, ’আপনার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করে মরবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ আমি বললাম, ’যদিও সে ব্যভিচার করে ও চুরি করে তবুও কি?’ তিনি বললেন, ’যদিও সে ব্যভিচার করে ও চুরি করে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَن أَبي ذَرٍّ رضي الله عنه، قَالَ: كُنْتُ أَمْشِي مَعَ النَّبي صلى الله عليه وسلم فِي حَرَّةٍ بِالمَدِينَةِ، فَاسْتَقْبَلَنَا أُحُدٌ، فقال:« يَا أَبَا ذَرٍّ » قُلتُ: لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ: «مَا يَسُرُّنِي أنَّ عِنْدِي مِثْلَ أُحُدٍ هَذَا ذَهَباً تَمْضِي عَلَيَّ ثَلاَثَةُ أيّامٍ وَعِنْدِي مِنْهُ دِينَارٌ، إِلاَّ شَيْءٌ أرْصُدُهُ لِدَيْنٍ، إِلاَّ أنْ أقُولَ بِهِ في عِبَادِ الله هَكَذَا وَهَكَذَا وَهكَذَا» عَن يَمِينِهِ وَعَن شِمَالِهِ وَمِنْ خَلْفِهِ، ثُمَّ سَارَ، فَقَالَ: «إنَّ الأَكْثَرينَ هُمُ الأَقَلُّونَ يَوْمَ القِيَامَةِ إِلاَّ مَنْ قَالَ بالمَالِ هكَذَا وَهكَذَا وَهكَذَا » عَن يَمِينِهِ وَعَن شِمَالِهِ وِمنْ خَلْفِهِ «وَقَلِيلٌ مَاهُمُ». ثُمَّ قَالَ لِي: «مَكَانَكَ لاَ تَبْرَحْ حَتَّى آتِيكَ» ثُمَّ انْطَلَقَ في سَوادِ اللَّيْلِ حَتَّى تَوَارَى، فَسَمِعْتُ صَوتاً، قَدِ ارْتَفَع، فَتَخَوَّفْتُ أنْ يَكُونَ أحَدٌ عَرَضَ لِلنَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، فَأرَدْتُ أنْ آتِيهِ فَذَكَرتُ قَوْلَه: «لا تَبْرَحْ حَتَّى آتِيَكَ » فَلَم أبْرَحْ حَتَّى أتَانِي، فَقُلْتُ: لَقَدْ سَمِعْتُ صَوتاً تَخَوَّفْتُ مِنْهُ، فَذَكَرْتُ لَهُ، فَقَالَ: «وَهَلْ سَمِعْتَهُ ؟ » قُلتُ: نَعَمْ، قَالَ: «ذَاكَ جِبريلُ أتَانِي فَقَالَ: مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِكَ لاَ يُشْرِكُ بِاللهِ شَيْئاً دَخَلَ الْجَنَّةَ »، قلت: وَإنْ زَنَى وَإنْ سَرَقَ ؟ قَالَ:« وَإنْ زَنَى وَإنْ سَرَقَ ». متفقٌ عَلَيْهِ، وهذا لفظ البخاري

وعن ابي ذر رضي الله عنه، قال: كنت امشي مع النبي صلى الله عليه وسلم في حرة بالمدينة، فاستقبلنا احد، فقال:« يا ابا ذر » قلت: لبيك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم . فقال: «ما يسرني ان عندي مثل احد هذا ذهبا تمضي علي ثلاثة ايام وعندي منه دينار، الا شيء ارصده لدين، الا ان اقول به في عباد الله هكذا وهكذا وهكذا» عن يمينه وعن شماله ومن خلفه، ثم سار، فقال: «ان الاكثرين هم الاقلون يوم القيامة الا من قال بالمال هكذا وهكذا وهكذا » عن يمينه وعن شماله ومن خلفه «وقليل ماهم». ثم قال لي: «مكانك لا تبرح حتى اتيك» ثم انطلق في سواد الليل حتى توارى، فسمعت صوتا، قد ارتفع، فتخوفت ان يكون احد عرض للنبي صلى الله عليه وسلم، فاردت ان اتيه فذكرت قوله: «لا تبرح حتى اتيك » فلم ابرح حتى اتاني، فقلت: لقد سمعت صوتا تخوفت منه، فذكرت له، فقال: «وهل سمعته ؟ » قلت: نعم، قال: «ذاك جبريل اتاني فقال: من مات من امتك لا يشرك بالله شيىا دخل الجنة »، قلت: وان زنى وان سرق ؟ قال:« وان زنى وان سرق ». متفق عليه، وهذا لفظ البخاري

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Abu Dharr (May allah be pleased with him) reported:
I was walking with the Prophet on the stony ground in Al-Madinah in the afternoon when Uhud Mount came into sight. Messenger of Allah (ﷺ) said, "O Abu Dharr!" I said, "O Messenger of Allah, here I am responding to you". He said, "If I had as much gold as the weight of Uhud, it would not please me to have a single dinar out of it with me after the passage of three days, but I would hold back something for the repayment of a debt. I would distribute it among the slaves of Allah like this and like this and like this." And he (ﷺ) pointed in front of him, and on his right side and on his left side. We then walked a little further and he (ﷺ) said: "The rich would be poor on the Day of Resurrection, except he who spent like this and like this and like this,". and he pointed as he did the first time. "But such persons are few". Then he said, "Stay where you are till I come back to you". He (the Prophet (ﷺ)) walked ahead a little further in the darkness of the night and disappeared from my sight. I heard a loud voice. I said (to myself): "The Messenger of Allah might have met (mishap or an enemy)". I wished I could go after him but I remembered his commanding me to stay till he came back. So I waited for him; and when he came, I made mention of what I had heard. He asked, "Did you hear it?". I said, "Yes". Then he said, "It was Jibril (Gabriel), who came to me and said: 'He who dies among your Ummah without having associated anything with Allah (in worship) will enter Jannah.' I said: 'Even if he committed illicit sexual intercourse or steals?' He (Jibril) said: 'Even if he has committed illicit sexual intercourse or steals".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: The last portion of this Hadith means that a Muslim, having firm faith in the Oneness of Allah, will go to Jannah even if he has committed major sins in his life. If Allah wills, he will be sent straight to Jannah, or he will be sent there after suffering punishment in Hell for sometime. Some scholars have associated this Hadith with such persons who make repentance at the time when they are close to death and then they do not get time to do good or bad deeds. Almighty Allah will pardon even their major sins without giving them any punishment.
This Hadith also tells us that it is permissible, rather essential, to reserve some money for the payment of loan because its repayment is far more important than giving (voluntary alms). It also mentions the piety of the Prophet (PBUH) and his passion for spending in the way of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

১০/৪৭০। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’যদি আমার নিকট উহুদ পাহাড় সমান সোনা থাকত, তাহলে আমি এতে আনন্দিত হতাম যে, ঋণ পরিশোধের পরিমাণ মত বাকী রেখে অবশিষ্ট সবটাই তিন দিন অতিবাহিত না হতেই আল্লাহর পথে খরচ করে ফেলি।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «لَوْ كَانَ لِي مِثْلُ أُحُدٍ ذَهَباً، لَسَرَّنِي أنْ لاَ تَمُرَّ عَلَيَّ ثَلاَثُ لَيالٍ وَعِنْدِي مِنْهُ شَيْءٌ إِلاَّ شَيْءٌ أرْصُدُهُ لِدَيْنٍ ». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «لو كان لي مثل احد ذهبا، لسرني ان لا تمر علي ثلاث ليال وعندي منه شيء الا شيء ارصده لدين ». متفق عليه

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Abu Hurairah (May allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said: "If I had gold equal to Mount Uhud (in weight), it would not please me to pass three nights and I have a thing of it left with me, except what I retain for repayment of a debt".

[Al- Bukhari and Muslim].

Commentary: The words of the Prophet (PBUH) speak eloquently for his matchless piety and prove that he did not like to keep worldly goods with him. This Hadith also shows that expression of a pious desire is permissible.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

১১/৪৭১। উক্ত সাহাবী (আবূ হুরায়রা) রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’(দুনিয়ার ধন-দৌলত ইত্যাদির দিক দিয়ে) তোমাদের মধ্যে যে নীচে তোমরা তার দিকে তাকাও এবং যে তোমাদের উপরে তার দিকে তাকায়ো না। যেহেতু সেটাই হবে উৎকৃষ্ট পন্থা যে, তোমাদের প্রতি যে আল্লাহর নিয়ামত রয়েছে তা তুচ্ছ মনে করবে না।’’ (বুখারী ও মুসলিম, শব্দগুলি মুসলিমের) [1]

বুখারীর বর্ণনায় আছে, ’’তোমাদের কেউ যখন এমন ব্যক্তির দিকে তাকায়, যাকে সম্পদে ও দৈহিক গঠনে তার থেকে বেশি শ্রেষ্ঠত্ব দেওয়া হয়েছে, তখন সে যেন এমন ব্যক্তির দিকে তাকায়, যে এ বিষয়ে তার চেয়ে নিম্নস্তরের।’’

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: انْظُرُوا إِلَى مَنْ هُوَ أسْفَلَ مِنْكُمْ وَلاَ تَنْظُرُوا إِلَى مَنْ هُوَ فَوْقَكُمْ ؛ فَهُوَ أجْدَرُ أنْ لاَ تَزْدَرُوا نِعْمَةَ الله عَلَيْكُمْ. متفقٌ عَلَيْهِ، وهذا لفظ مسلم
وَفِي رِوَايَةِ البُخَارِي: إِذَا نَظَرَ أَحَدُكُمْ إِلَى مَنْ فُضِّلَ عَلَيْهِ في المَالِ وَالخَلْقِ، فَلْيَنْظُرْ إِلَى مَنْ هُوَ أسْفَل مِنْهُ

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: انظروا الى من هو اسفل منكم ولا تنظروا الى من هو فوقكم ؛ فهو اجدر ان لا تزدروا نعمة الله عليكم. متفق عليه، وهذا لفظ مسلم وفي رواية البخاري: اذا نظر احدكم الى من فضل عليه في المال والخلق، فلينظر الى من هو اسفل منه

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Abu Hurairah (May allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Look at those who are inferior to you and do not look at those who are superior to you, for this will keep you from belittling Allah's Favour to you."

[Al-Bukhari and Muslim].

This is the wording in Sahih Muslim. The narration in Al-Bukhari is: Messenger of Allah (ﷺ) said: "When one of you looks at someone who is superior to him in property and appearance, he should look at someone who is inferior to him".

Commentary: By looking at the worldly goods and riches of others, a person gradually becomes unthankful for the blessings which Allah has bestowed on him. The best remedy for this "disease" is that which has been prescribed by Messenger of Allah (PBUH) in this Hadith. The remedy is that one should look at the people who have lesser worldly goods and riches than one's own. If a person has a small house of his own which can protect him from the harshness of weather, then he has no need to see enviously towards sky-high buildings and palatial houses of others.
He should look at the homeless people who spend their nights on footpaths and live in huts which in rain leak like sieve and are swept away by a wave of flood water, etc. But from a religious angle, one should see towards those who are more fearful of Allah and observe their Salat meticulously so that one becomes more fond of obedience of Allah, has a greater fear of Him and devotes more time to prayer and devotion. This dispensation is also given in other Ahadith.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

১২/৪৭২। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’ধ্বংস হোক দ্বীনারের গোলাম, দিরহামের গোলাম ও উত্তম পোশাক-আশাক ও উত্তম চাদরের গোলাম (দুনিয়াদার)! যদি তাকে দেওয়া হয়, তাহলে সে সন্তুষ্ট হয়। আর না দেওয়া হলে অসন্তুষ্ট হয়।’’(বুখারী) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَنهُ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «تَعِسَ عَبْدُ الدِّينَارِ، وَالدِّرْهَمِ، وَالقَطِيفَةِ، وَالخَمِيصَةِ، إنْ أُعْطِيَ رَضِيَ، وَإنْ لَمْ يُعْطَ لَمْ يَرْضَ ». رواه البخاري

وعنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «تعس عبد الدينار، والدرهم، والقطيفة، والخميصة، ان اعطي رضي، وان لم يعط لم يرض ». رواه البخاري

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Abu Hurairah (May allah be pleased with ihm) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "May he be miserable, the worshipper of the dinar and dirham, and the worshipper of the striped silk cloak. If he is given anything, he is satisfied; but if not, he is unsatisfied".

[Al-Bukhari]

Commentary: "A slave of dinar and dirham and silk cloaks (clothes)" here means a person who prefers these things to the Divine injunctions and commands and strives day and night to amass worldly goods. Instead of worshipping Allah, he worships such things and is thus guilty of worship of others besides Allah, a condition which causes his ruin.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

১৩/৪৭৩। উক্ত সাহাবী (আবূ হুরাইরাহ) রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমি সত্তরজন (আহলে সুফ্ফাকে) এই অবস্থায় দেখেছি, তাদের কারো কাছে (গা ঢাকার) জন্য চাদর ছিল না, কারো কাছে লুঙ্গী ছিল এবং কারো কাছে চাদর, (এক সঙ্গে দু’টি বস্ত্রই কারো কাছে ছিল না) তারা তা গর্দানে বেঁধে নিতেন। অতঃপর সেই বস্ত্র কারো পায়ের অর্ধগোছা পর্যন্ত হত এবং কারো পায়ের গাঁট পর্যন্ত। সুতরাং তাঁরা তা হাত দিয়ে জমা করে ধরে রাখতেন, যেন লজ্জাস্থান দেখা না যায়!’ (বুখারী) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَنهُ رضي الله عنه، قَالَ: لَقَدْ رَأيْتُ سَبعِينَ مِنْ أهْلِ الصُّفَّةِ، مَا مِنهُمْ رَجُلٌ عَلَيْهِ رِدَاءٌ: إمَّا إزارٌ، وَإمَّا كِسَاءٌ، قَدْ رَبَطُوا في أعنَاقِهِمْ، فَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ نِصْفَ السَّاقَيْن، وَمِنْهَا مَا يَبْلُغُ الكَعْبَيْنِ، فَيَجْمَعُهُ بِيَدِهِ كَراهِيَةَ أنْ تُرَى عَوْرَتُهُ . رواه البخاري

وعنه رضي الله عنه، قال: لقد رايت سبعين من اهل الصفة، ما منهم رجل عليه رداء: اما ازار، واما كساء، قد ربطوا في اعناقهم، فمنها ما يبلغ نصف الساقين، ومنها ما يبلغ الكعبين، فيجمعه بيده كراهية ان ترى عورته . رواه البخاري

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Abu Hurairah (May allah be pleased with him) reported:
I saw seventy of the people of the Suffah and none of them had a cloak. They had either a lower garment or a blanket which they suspended from their necks. Some (cloaks) reached halfway down to the legs and some to the ankles; and the man would manage to keep it in his hand to avoid exposing his private parts.

[Al- Bukhari].

Commentary: The term "people of the Suffah" mentioned in the Hadith refers to those Companions of the Prophet (PBUH) who were poor. They used to resort to "the Suffah", a shady place at the back of the Prophet's Mosque (in Al-Madinah).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

১৪/৪৭৪। উক্ত রাবী  (আবূ হুরাইরাহ) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’দুনিয়া মু’মিনের জন্য জেলখানা এবং কাফেরের জন্য জান্নাত।’’ (মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَنهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ، وَجَنَّةُ الكَافِرِ ». رواه مسلم

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «الدنيا سجن المومن، وجنة الكافر ». رواه مسلم

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Abu Hurairah (May allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said: "The world is the believer's prison and the infidel's Jannah".

[Muslim].

Commentary: As compared with the pleasures and luxuries, which are in store for a true believer in Jannah in the Hereafter, this world is a prison; and against the ceaseless torture that awaits the Kuffar (disbelievers) in Hell, this world is a Jannah for them. It can also mean that the way a Muslim saves himself in life from lusts and desires and leads a pious life with fear of Allah, this world is a prison for him because he is fettered in the chains of rules and regulations, while a Kafir (disbeliever) is free from all kinds of restrictions and is completely given to lusts and desires, and this is how this world is a Jannah for him. The purpose of this Hadith is to induce Muslims for the preparation of Al-akhirah (the Hereafter) and prevent them from unlawful luxuries of this world.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

১৫/৪৭৫। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) আমার দুই কাঁধ ধরে বললেন, ’’তুমি এ দুনিয়াতে একজন মুসাফির অথবা পথচারীর মত থাক।’’ আর ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলতেন, ’তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হলে আর ভোরের অপেক্ষা করো না এবং ভোরে উপনীত হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না। তোমার সুস্থতার অবস্থায় তোমার পীড়িত অবস্থার জন্য কিছু সঞ্চয় কর এবং জীবিত অবস্থায় তোমার মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ কর।’ (বুখারী) [1]


* এই হাদীসের ব্যাখ্যায় আলেমগণ বলেন, দুনিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ো না এবং তাকে নিজের আসল ঠিকানা বানিয়ে নিও না। মনে মনে এ ধারণা করো না যে, তুমি তাতে দীর্ঘজীবী হবে। তুমি তার প্রতি যত্নবান হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করো না। তার সাথে তোমার সম্পর্ক হবে ততটুক, যতটুক একজন প্রবাসী তার প্রবাসের সাথে রেখে থাকে। তাতে সেই বিষয়-বস্তু নিয়ে বিভোর হয়ে যেও না, যে বিষয়-বস্তু নিয়ে সেই প্রবাসী ব্যক্তি হয় না, যে স্বদেশে নিজের পরিবারের নিকট ফিরে যেতে চায়। আর আল্লাহই তওফীক দাতা।

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: أَخَذَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِمَنْكِبَيَّ، فَقَالَ: «كُنْ في الدُّنْيَا كَأنَّكَ غَرِيبٌ، أَو عَابِرُ سَبيلٍ» . وَكَانَ ابنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، يَقُولُ: إِذَا أمْسَيتَ فَلاَ تَنْتَظِرِ الصَّبَاحَ، وَإِذَا أَصْبَحْتَ فَلاَ تَنْتَظِرِ المَسَاءَ، وَخُذْ مِنْ صِحَّتِكَ لِمَرَضِكَ، وَمِنْ حَيَاتِكَ لِمَوْتِكَ . رواه البخاري

وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قال: اخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بمنكبي، فقال: «كن في الدنيا كانك غريب، او عابر سبيل» . وكان ابن عمر رضي الله عنهما، يقول: اذا امسيت فلا تنتظر الصباح، واذا اصبحت فلا تنتظر المساء، وخذ من صحتك لمرضك، ومن حياتك لموتك . رواه البخاري

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


'Abdullah bin 'Umar (May allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) took hold of my shoulders and said, "Be in the world like a stranger or a wayfarer".

Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) used to say: "When you survive till the evening, do not expect to live until the morning; and when you survive until the morning, do not expect to live until the evening; (do good deeds) when you are in good health before you fall sick, and (do good deeds) as long as you are alive before death strikes".

[Al- Bukhari].

Commentary: A person who will consider this world as a temporary stage, will certainly not like that his clothes be entangled in thorny bushes of this world. The greatest fault of man is that he does not understand this status of the world. In spite of the fact that he is not sure of a moment's life here, he occupies himself in amassing goods and riches which would last for a hundred years.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

১৬/৪৭৬। আবুল আব্বাস সাহল ইবনে সা’দ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে এমন কর্ম বলে দিন, আমি তা করলে যেন আল্লাহ আমাকে ভালবাসেন এবং লোকেরাও আমাকে ভালবাসে।’ তিনি বললেন, ’’দুনিয়ার প্রতি বিতৃষ্ণা আনো, তাহলে আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন। আর লোকদের ধন-সম্পদের প্রতি বিতৃষ্ণা আনো, তাহলে লোকেরা তোমাকে ভালবাসবে।’’

(ইবনে মাজাহ প্রমুখ, হাসান সূত্রে, সিলসিলাহ সহীহাহ ৯৪৪নং) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَن أَبي العَبَّاسِ سَهلِ بنِ سَعدٍ السَّاعِدِي رضي الله عنه، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: يَا رَسُولَ الله، دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ إِذَا عَمِلْتُهُ أحَبَّنِي اللهُ وَأحَبَّنِي النَّاسُ، فَقَالَ: «ازْهَدْ في الدُّنْيَا يُحِبّك اللهُ، وَازْهَدْ فِيمَا عِنْدَ النَّاسِ يُحِبّك النَّاسُ ». حديث حسن رواه ابن ماجه وغيره بأسانيد حسنة

وعن ابي العباس سهل بن سعد الساعدي رضي الله عنه، قال: جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: يا رسول الله، دلني على عمل اذا عملته احبني الله واحبني الناس، فقال: «ازهد في الدنيا يحبك الله، وازهد فيما عند الناس يحبك الناس ». حديث حسن رواه ابن ماجه وغيره باسانيد حسنة

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Sahl bin Sa'd As-Sa'idi (May Allah be pleased with him) reported:
A man came to the Prophet (ﷺ) and said, "O Messenger of Allah, guide me to such an action which, if I do Allah will love me and the people will also love me." He (ﷺ) said, "Have no desire for this world, Allah will love you; and have no desire for what people possess, and the people will love you."

[Ibn Majah]

Commentary: "Zuhd'' (ascetism) does not mean renunciation of the world and obligations of life. What it really means is that one should be contented with what he possess and rid himself of greed. Islam neither permits renunciation of the world nor does it condemn genuine struggle to acquire wealth and riches. Therefore, involvement in worldly affairs and struggle for lawful means of livelihood are not against Zuhd. A person who is contented with the lawful means of income is a distinguished person as all his activities are exalted to the level of worship. Similarly, unconcern with the wealth and riches of others and ignoring them is a part of Zuhd and contentment. One additional advantage of it is that such a person wins the love and respect of the people because he
who begs people, rather than Allah, has to suffer disgrace and is disliked by the people. The case of begging from Allah is just the opposite. The more a person begs Him, the more pleased He will be with him. In fact, He is displeased if someone does not beg Him. This has been exquisitely stated in an Arabic verse, the meaning of which is:
"Do not stretch your hands before anyone for your needs, but beg from Him (Allah) whose door is always open"."If a person does not beg Him (Allah), He is displeased, while if one begs someone He becomes furious".


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

১৭/৪৭৭। নু’মান ইবনে বাশীর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, উমার ইবনুল খাত্ত্বাব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু (পূর্বেকার তুলনায় বর্তমানে) লোকেরা যে দুনিয়ার (ধন-সম্পদ) অধিক জমা করে ফেলেছে সে কথা উল্লেখ করে বললেন, ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি সারা দিন ক্ষুধায় থাকার ফলে পেটের উপর ঝুঁকে থাকতেন (যেন ক্ষুধার জ্বালা কম অনুভব হয়)। তিনি পেট ভরার জন্য নিকৃষ্ট মানের খুরমাও পেতেন না।’ (মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: ذَكَرَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ رضي الله عنه، مَا أَصَابَ النَّاسُ مِنَ الدُّنْيَا، فَقَالَ: لَقَدْ رَأيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَظَلُّ الْيَوْمَ يَلْتَوِي مَا يَجِدُ مِنَ الدَّقَلِ مَا يَمْلأ بِهِ بَطْنَهُ. رواه مسلم

وعن النعمان بن بشير رضي الله عنهما، قال: ذكر عمر بن الخطاب رضي الله عنه، ما اصاب الناس من الدنيا، فقال: لقد رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يظل اليوم يلتوي ما يجد من الدقل ما يملا به بطنه. رواه مسلم

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


An-Nu'man bin Bashir (May Allah be pleased with them) reported:
'Umar bin Al-Khattab (May Allah be pleased with him) spoke at length regarding the worldly prosperity that people had achieved and said: "I saw that the Messenger of Allah (ﷺ) would pass his days in hunger and could not get even degraded dates to fill his stomach".

[Muslim].

Commentary: During the reign of `Umar (May Allah be pleased with him), when people became more prosperous on account of frequent victories, he asked them to remember the early period of Islam in which they were poor and faced very difficult circumstances, to the extent that even the Prophet (PBUH) was placed in the situation mentioned in this Hadith. The purpose of mentioning it was to warn the people against the evils of abundance of wealth and luxuries. They were exhorted to beware of the love of the world which could make them forget about Al-akhirah (Afterlife).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

১৮/৪৭৮। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, ’রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেন যে, তখন একটা প্রাণীর খেয়ে বাঁচার মত কিছু খাদ্য আমার ঘরে ছিল না। তবে আমার তাকের মধ্যে যৎসামান্য যব ছিল। এ থেকে বেশ কিছুদিন আমি খেলাম। কিন্তু যখন একদিন মেপে নিলাম, সেদিনই তা শেষ হয়ে গেল।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ الله عَنهَا، قَالَتْ: تُوُفِّي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، وَمَا فِي بَيْتِي مِنْ شَيْءٍ يَأكُلُهُ ذُو كَبِدٍ إِلاَّ شَطْرُ شَعِيرٍ فِي رَفٍّ لِي، فَأكَلْتُ مِنْهُ حَتَّى طَالَ عَلَيَّ، فَكِلْتُهُ فَفَنِيَ . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن عاىشة رضي الله عنها، قالت: توفي رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، وما في بيتي من شيء ياكله ذو كبد الا شطر شعير في رف لي، فاكلت منه حتى طال علي، فكلته ففني . متفق عليه

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) died when my house was void of any edible thing except for a small quantity of barley I had on a shelf and from which I kept eating it for a long time. Then when I measured what was left of it, it soon finished.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: During the last days of the Prophet (PBUH) the financial position of the Muslims had largely improved due to the spoils of war and he could have lived a comfortable life if he liked, but he stuck to the same austere life which he had led earlier. In this Hadith, `Aishah (May Allah be pleased with her) has related an account of the extremely austere and pious life of the Prophet (PBUH) although her house was the house of his most beloved wife.

This Hadith also tells us that in spite of his profound love for `Aishah (May Allah be pleased with him), the Prophet (PBUH) did not accord her any preferential treatment. He treated all his wives equally. Thus, this Hadith has a lesson for `Ulama' and their families that they should not look towards worldly riches and the amenities enjoyed by them but keep in view the life of the Prophet (PBUH) and his wives and learn to keep themselves contented with minimum income.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

১৯/৪৭৯। উম্মুল মু’মিনীন জুয়াইরিয়্যাহ বিনতে হারেসের ভাই ’আমর ইবনে হারেস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মৃত্যুর সময় কোনো দ্বীনার, দিরহাম, ক্রীতদাস, ক্রীতদাসী এবং কোনো জিনিসই ছেড়ে যাননি। তবে তিনি ঐ সাদা খচ্চরটি ছেড়ে গেছেন, যার উপর তিনি সওয়ার হতেন এবং তাঁর হাতিয়ার ও কিছু জমি; যা তিনি মুসাফিরদের জন্য সাদকাহ করে গেছেন।’ (বুখারী) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَن عَمرِو بنِ الحَارِثِ أَخِي جُوَيْرِيَّةَ بِنتِ الحَارِثِ أُمِّ المُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: مَا تَرَكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عِنْدَ مَوْتِهِ دِينَاراً، وَلاَ دِرْهَماً، وَلاَ عَبْداً، وَلاَ أَمَةً، وَلاَ شَيْئاً إِلاَّ بَغْلَتَهُ الْبَيضَاءَ الَّتي كَانَ يَرْكَبُهَا، وَسِلاَحَهُ، وَأرْضاً جَعَلَهَا لاِبْنِ السَّبِيلِ صَدَقَةً . رواه البخاري

وعن عمرو بن الحارث اخي جويرية بنت الحارث ام المومنين، رضي الله عنهما، قال: ما ترك رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عند موته دينارا، ولا درهما، ولا عبدا، ولا امة، ولا شيىا الا بغلته البيضاء التي كان يركبها، وسلاحه، وارضا جعلها لابن السبيل صدقة . رواه البخاري

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


'Amr bin Al-Harith (May Allah be pleased with him) the brother of Juwairiyah (May Allah be pleased with her), the Mother of believers) reported:
(When he died) Messenger of Allah (ﷺ) left neither a dinar nor a dirham nor a male slave nor a female slave, nor anything else except his white riding mule, his weapons and his land which he had given in charity to wayfarers.

[Al- Bukhari].

Commentary: Banu Al-Mustaliq Battle took place in the year 5 A.H. Men and women who were made captives in it, included Jawairiyah, and she came to the share of the Prophet (PBUH). She embraced Islam and the Prophet (PBUH) married her. When the Companions of the Prophet (PBUH) learnt about it they released all the prisoners of Banu Mustaliq, who were about one hundred, in consideration of their being in-laws of the Noble Prophet (PBUH). Weapons here means lance and sword while land signifies that portion of land which the Prophet (PBUH) had got as his share from Fadak, and Khaibar and Al-Qura Valley, etc. He gave it in Sadaqah saying that he was from the class of the Prophets of Allah who have no descendants. Whatever is left by them is Sadaqah (charity). At the time of his death, the Prophet (PBUH) did not have any male or female slave whom he had not set free.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত

২০/৪৮০। খাববাব ইবনে আরাত্ত্ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, ’আমরা আল্লাহর চেহারা (সন্তুষ্টি) লাভের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে (মদ্বীনা) হিজরত করলাম। যার সওয়াব আল্লাহর নিকট আমাদের প্রাপ্য। এরপর আমাদের কেউ এ সওয়াব দুনিয়াতে ভোগ করার পূর্বেই বিদায় নিলেন। এর মধ্যে মুস’আব ইবনে উমাইর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু; তিনি উহুদ যুদ্ধে শহীদ হলেন এবং শুধুমাত্র একখানা পশমের রঙিন চাদর রেখে গেলেন। আমরা (কাফনের জন্য) তা দিয়ে তাঁর মাথা ঢাকলে তাঁর পা বেরিয়ে গেল। আর পা ঢাকলে তাঁর মাথা বেরিয়ে গেল। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যে, ’’তা দিয়ে ওর মাথাটা ঢেকে দাও এবং পায়ের উপর ’ইযখির’ ঘাস বিছিয়ে দাও।’’ আর আমাদের মধ্যে এমনও লোক রয়েছেন, যাঁদের ফল পেকে গেছে। আর তাঁরা তা সংগ্রহ করছেন।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر

وَعَن خَبَّابِ بنِ الأَرَتِّ رضي الله عنه، قَالَ: هَاجَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَلْتَمِسُ وَجْهَ اللهِ تَعَالَى، فَوَقَعَ أجْرُنَا عَلَى اللهِ، فَمِنَّا مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَأكُل مِنْ أجْرِهِ شَيْئاً، مِنْهُمْ: مُصْعَبُ بن عُمَيْرٍ رضي الله عنه، قُتِلَ يَوْمَ أُحُد، وَتَرَكَ نَمِرَةً، فَكُنَّا إِذَا غَطَّيْنَا بِهَا رَأْسَهُ، بَدَتْ رِجْلاَهُ، وَإِذَا غَطَّيْنَا بِهَا رِجْلَيْهِ، بَدَا رَأسُهُ، فَأمَرَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، أنْ نُغَطِّي رَأسَهُ، وَنَجْعَلُ عَلَى رِجْلَيْهِ شَيْئاً مِنَ الإذْخِرِ، وَمِنَّا مَنْ أيْنَعَتْ لَهُ ثَمَرَتُهُ، فَهُوَ يَهْدِبُهَا . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن خباب بن الارت رضي الله عنه، قال: هاجرنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم نلتمس وجه الله تعالى، فوقع اجرنا على الله، فمنا من مات ولم ياكل من اجره شيىا، منهم: مصعب بن عمير رضي الله عنه، قتل يوم احد، وترك نمرة، فكنا اذا غطينا بها راسه، بدت رجلاه، واذا غطينا بها رجليه، بدا راسه، فامرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، ان نغطي راسه، ونجعل على رجليه شيىا من الاذخر، ومنا من اينعت له ثمرته، فهو يهدبها . متفق عليه

(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life


Al-Khabbab bin Al-Aratt (May Allah be pleased with him) reported:
We emigrated with Messenger of Allah (ﷺ) seeking the pleasure of Allah and expecting our reward from Him. Some of us died without enjoying anything of it. Among them was Mus'ab bin 'Umair (May Allah be pleased with him), who was killed in the battle of Uhud, leaving only a small coloured sheet of wool (which we used as his shroud). When we covered his head with it, his feet were exposed, and when we covered his feet with it, his head was uncovered. So the Prophet (ﷺ) told us to cover his head and to put some Idhkhir (i.e., fragrant grass) over his feet. Others among us enjoy prosperity.

[Al-Bukhari and Muslim].


Commentary: This Hadith tells us about the distinction of Hijrah (emigration) and Jihad and their reward. In this world this reward is given to those Mujahidun of Islam who gain victory and will also be given to them in Alakhirah (Hereafter). As for those Mujahidun who get martyred on the battlefield, they will get all their rewards on the Day of Resurrection.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »