পরিচ্ছেদঃ ৫৪: আল্লাহর ভয়ে এবং তাঁর সাক্ষাতের আনন্দে কান্না করার মাহাত্ম্য

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ وَيَخِرُّونَ لِلۡأَذۡقَانِ يَبۡكُونَ وَيَزِيدُهُمۡ خُشُوعٗا۩ ١٠٩ ﴾ [الاسراء: ١٠٩]

অর্থাৎ “তারা কাঁদতে কাঁদতে ভূমিতে লুটিয়ে (সিজদা) দেয় এবং এ (কুরআন) তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে।” (সূরা বানী ইস্রাঈল ১০৯ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ أَفَمِنۡ هَٰذَا ٱلۡحَدِيثِ تَعۡجَبُونَ ٥٩ وَتَضۡحَكُونَ وَلَا تَبۡكُونَ ٦٠ ﴾ [النجم: ٥٩، ٦٠]

অর্থাৎ “তোমরা কি এই কথায় বিস্ময়বোধ করছ? এবং হাসি-ঠাট্টা করছ! ক্রন্দন করছ না?” (সূরা নাজম ৫৯-৬০ আয়াত)


১/৪৫১। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ’’তুমি আমার সামনে কুরআন তিলাওয়াত কর।’’ উত্তরে আমি আরজ করলাম, ’আমি আপনার সামনে তিলাওয়াত করব, অথচ তা আপনার উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে?’ তিনি বললেন, ’’আমি অন্যের কাছ থেকে তা শুনতে ভালবাসি।’’ অতএব আমি সূরা ’নিসা’ তিলাওয়াত করলাম। পরিশেষে যখন আমি এ আয়াতে এসে পৌঁছলাম; যার অর্থ, ’’তখন তাদের কী অবস্থা হবে, যখন প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী (নবী) উপস্থিত করব এবং তোমাকেও তাদের সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব?’’ তখন তিনি আমাকে বললেন, ’’যথেষ্ট, এবার থাম।’’ আমি তাকিয়ে দেখলাম, তাঁর চক্ষু দু’টি থেকে অশ্রুধারা প্রবাহিত হচ্ছে। (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ فَضْلِ الْبُكَاءِ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ تَعَالٰى وَشَوْقًا إِلَيْهِ - (54)

وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ لِي النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم: «اِقْرَأْ عَليَّ القُرْآنَ » قُلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أَقرَأُ عَلَيْكَ، وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ ؟! قَالَ: «إِنِّي أُحِبُّ أَنْ أسْمَعَهُ مِنْ غَيرِي » فَقَرَأْتُ عَلَيْهِ سُورَةَ النِّسَاءِ، حَتَّى جِئْتُ إِلى هذِهِ الآيَةِ: ﴿ فكيف إذا جئنا من كل أمة بشهيد وجئنا بك على هؤلاء شهيداً ﴾ [النساء: ٤١] قَالَ: «حَسْبُكَ الآنَ » فَالَتَفَتُّ إِلَيْهِ فَإِذَا عَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن مسعود رضي الله عنه، قال: قال لي النبي صلى الله عليه وسلم: «اقرا علي القران » قلت: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، اقرا عليك، وعليك انزل ؟! قال: «اني احب ان اسمعه من غيري » فقرات عليه سورة النساء، حتى جىت الى هذه الاية: ﴿ فكيف اذا جىنا من كل امة بشهيد وجىنا بك على هولاء شهيدا ﴾ [النساء: ٤١] قال: «حسبك الان » فالتفت اليه فاذا عيناه تذرفان . متفق عليه

(54) Chapter: Excellence of Weeping out of Fear from Allah (swt)


Excellence of Weeping out of Fear from Allah (swt)

Allah, the Exalted, says:
"And they fall down on their faces weeping and it increases their humility.'' (17:109)
"Do you then wonder at this recitation (the Qur'an)? And you laugh at it and weep not". (53:59-60)

Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said to me: "Recite the Qur'an to me". I said, "O Messenger of Allah! Shall I recite the Qur'an to you, when it has been revealed to you?" He (ﷺ) replied, "I love to hear it recited by others". So I recited to him a portion from Surat An-Nisa'. When I reached the Ayah:

"How (will it be) then, when We bring from each nation a witness and We bring you (O Muhammad (ﷺ)) as a witness against these people?". (4:41)

He (ﷺ) said, "Enough for now". When I looked at him I saw his eyes were shedding tears.

[Al- Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith tells us that besides the recitation of the Noble Qur'an, a Muslim should also listen to it from others so that he can contemplate further on it. It also makes one weep when one listens to the Noble Qur'an.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৪: আল্লাহর ভয়ে এবং তাঁর সাক্ষাতের আনন্দে কান্না করার মাহাত্ম্য

২/৪৫২। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা এমন ভাষণ দিলেন যে, ওর মত (ভাষণ) কখনোও শুনিনি। (তাতে) তিনি বললেন, ’’যা আমি জানি তা যদি তোমরা জানতে, তাহলে তোমরা কম হাসতে এবং অধিক কাঁদতে।’’ (এ কথা শুনে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ তাঁদের চেহারা ঢেকে নিলেন এবং তাদের বিলাপের রোল আসতে লাগল। (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ فَضْلِ الْبُكَاءِ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ تَعَالٰى وَشَوْقًا إِلَيْهِ - (54)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: خَطَبَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم خُطبَةً مَا سَمِعْتُ مِثلَهَا قَطُّ، فَقَالَ: «لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أعْلَمُ، لَضحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلَبَكَيتُمْ كَثِيراً ». فَغَطَّى أصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَجُوهَهُمْ، وَلَهُمْ خَنِينٌ. مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن انس رضي الله عنه، قال: خطب رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم خطبة ما سمعت مثلها قط، فقال: «لو تعلمون ما اعلم، لضحكتم قليلا ولبكيتم كثيرا ». فغطى اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم وجوههم، ولهم خنين. متفق عليه

(54) Chapter: Excellence of Weeping out of Fear from Allah (swt)


Anas bin Malik (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) delivered a Khutbah to us the like of which I had never heard from him before. In the course of the Khutbah, he said: "If you knew what I know, you would laugh little and weep much". Thereupon those present covered their faces and began to sob.

[Al- Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith has been mentioned in this chapter for the reason that it furnishes positive proof of the fact that the Companions of the Prophet (PBUH) used to weep out of fear of Allah when they heard sermons and preachings. It induces us to follow them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৪: আল্লাহর ভয়ে এবং তাঁর সাক্ষাতের আনন্দে কান্না করার মাহাত্ম্য

৩/৪৫৩। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সে ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করেছে, যতক্ষণ না (দোহনকৃত) দুধ বাঁটে ফিরে যাবে। (অর্থাৎ দু’টোই অসম্ভব)। আর আল্লাহর রাস্তার ধুলো ও জাহান্নামের ধোঁয়া একত্রিত হবে না।’’ (তিরমিযী, হাসান সহীহ) [1]

بَابُ فَضْلِ الْبُكَاءِ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ تَعَالٰى وَشَوْقًا إِلَيْهِ - (54)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لاَ يَلِجُ النَّارَ رَجُلٌ بَكَى مِنْ خَشْيَةِ اللهِ حَتَّى يَعُودَ اللَّبَنُ في الضَّرْعِ، وَلاَ يَجْتَمِعُ غُبَارٌ في سَبِيلِ اللهِ وَدُخَانُ جَهَنَّمَ ». رواه الترمذي، وقال: حديثٌ حَسنٌ صحيحٌ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لا يلج النار رجل بكى من خشية الله حتى يعود اللبن في الضرع، ولا يجتمع غبار في سبيل الله ودخان جهنم ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح

(54) Chapter: Excellence of Weeping out of Fear from Allah (swt)


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "One who weeps out of fear of Allah, will not enter the Hell till milk returns back in the udder; and the dust raised on account of fighting in the path of Allah and the smoke of Hell will never exist together".

[At- Tirmidhi].

Commentary:
1. A person who has such a fear of Allah that he weeps on account of it, cannot be disobedient to Allah. Obviously, his life will generally be spent in obedience of Allah and strict abstinence from sins. It is very true to say that it is as impossible for such a person to go to Hell as the return of milk to the udders.

2. Similarly, Jihad is a highly meritorious act for a Muslim. A Mujahid, who fights for the sake of Allah, is perfectly safe from Hell because the dust that falls on this way on him, cannot mix with the smoke of Hell.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৪: আল্লাহর ভয়ে এবং তাঁর সাক্ষাতের আনন্দে কান্না করার মাহাত্ম্য

৪/৪৫৪। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ তা’আলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না; (তারা হল,) ন্যায় পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রনেতা), সেই যুবক যার যৌবন আল্লাহ তা’আলার ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদসমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে।) সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব ও ভালবাসা স্থাপন করে; যারা এই ভালবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন (তাদের মৃত্যু) হয়। সেই ব্যক্তি যাকে কোন কুলকামিনী সুন্দরী (ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে) আহবান করে, কিন্তু সে বলে, ’আমি আল্লাহকে ভয় করি।’ সেই ব্যক্তি যে দান করে গোপন করে; এমনকি তার ডান হাত যা প্রদান করে, তা তার বাম হাত পর্যন্তও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে; ফলে তার উভয় চোখে পানি বয়ে যায়।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

بَابُ فَضْلِ الْبُكَاءِ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ تَعَالٰى وَشَوْقًا إِلَيْهِ - (54)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم:« سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللهُ في ظِلِّهِ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إلاَّ ظِلُّهُ: إمَامٌ عَادِلٌ، وَشَابٌّ نَشَأ في عِبَادَةِ الله تَعَالَى، وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ بِالمَسَاجِدِ، وَرَجُلاَنِ تَحَابّا في اللهِ اجْتَمَعَا عَلَيهِ وتَفَرَّقَا عَلَيهِ، وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأةٌ ذَاتُ مَنصَبٍ وَجَمَالٍ، فَقَالَ: إنِّي أخَافُ الله، وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ، فَأخْفَاهَا حَتَّى لاَ تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ، وَرَجُلٌ ذَكَرَ الله خَالِياً فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ .

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم:« سبعة يظلهم الله في ظله يوم لا ظل الا ظله: امام عادل، وشاب نشا في عبادة الله تعالى، ورجل قلبه معلق بالمساجد، ورجلان تحابا في الله اجتمعا عليه وتفرقا عليه، ورجل دعته امراة ذات منصب وجمال، فقال: اني اخاف الله، ورجل تصدق بصدقة، فاخفاها حتى لا تعلم شماله ما تنفق يمينه، ورجل ذكر الله خاليا ففاضت عيناه ». متفق عليه .

(54) Chapter: Excellence of Weeping out of Fear from Allah (swt)


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Seven people Allah will give them His Shade on the Day when there would be no shade but the Shade of His Throne (i.e., on the Day of Resurrection): And they are: a just ruler; a youth who grew up with the worship of Allah; a person whose heart is attached to the mosques, two men who love and meet each other and depart from each other for the sake of Allah; a man whom an extremely beautiful woman seduces (for illicit relation), but he (rejects this offer and) says: 'I fear Allah'; a man who gives in charity and conceals it (to such an extent) that the left hand does not know what the right has given; and a man who remembers Allah in solitude and his eyes become tearful".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith has been included in this chapter for the reason that it highlights the merits of weeping for fear of Allah. The fear of Allah keeps one away from disobedience of Allah, the reward of which in the Hereafter is Jannah - a world which abounds in the Bounties and Pleasure of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৪: আল্লাহর ভয়ে এবং তাঁর সাক্ষাতের আনন্দে কান্না করার মাহাত্ম্য

৫/৪৫৫। আব্দুল্লাহ ইবনে শিখখীর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম এমতাবস্থায় যে, তিনি নামায পড়ছিলেন এবং তাঁর বুক থেকে চুলার হাঁড়ির (ফুটন্ত পানির) মত কান্নার অস্ফুট রোল শোনা যাচ্ছিল।’ (আবূ দাউদ, বিশুদ্ধ সূত্রে, শামায়েলে তিরমিযী বিশুদ্ধ সূত্রে) [1]

بَابُ فَضْلِ الْبُكَاءِ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ تَعَالٰى وَشَوْقًا إِلَيْهِ - (54)

وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ الشِّخِّيرِ رضي الله عنه، قَالَ: أَتَيتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي وَلِجَوْفِهِ أَزِيزٌ كَأَزِيزِ المِرْجَلِ مِنَ البُكَاءِ . حديث صحيح رواه أَبو داود والترمذي في الشمائل بإسناد صحيح

وعن عبد الله بن الشخير رضي الله عنه، قال: اتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وهو يصلي ولجوفه ازيز كازيز المرجل من البكاء . حديث صحيح رواه ابو داود والترمذي في الشماىل باسناد صحيح

(54) Chapter: Excellence of Weeping out of Fear from Allah (swt)


'Abdullah bin Ash-Shikhkhir (May Allah be pleased with him) reported:
I came to Messenger of Allah (ﷺ) when he was performing prayers. He was sobbing and his chest sounded like a boiling kettle.

[Abu Dawud and At-Tirmidhi].

Commentary: This Hadith tells us how the Prophet (PBUH) used to weep in prayer out of fear of Allah. To weep in the course of supplication and at the thought of one's appearance before Allah reflects piety.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৪: আল্লাহর ভয়ে এবং তাঁর সাক্ষাতের আনন্দে কান্না করার মাহাত্ম্য

৬/৪৫৬। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উবাই ইবনে কা’ব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-কে বললেন, ’’আল্লাহ আমাকে আদেশ করলেন যে, আমি তোমাকে ’সূরা লাম য়্যাকুনিল্লাযীনা কাফারু’ পড়ে শুনাই।’’ উবাই ইবন কা’ব বললেন, ’(আল্লাহ কি) আমার নাম নিয়েছেন?’ তিনি বললেন, ’’হ্যাঁ।’’ সুতরাং উবাই (খুশীতে) কেঁদে ফেললেন। অন্য এক বর্ণনায় আছে, উবাই কাঁদতে লাগলেন। (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ فَضْلِ الْبُكَاءِ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ تَعَالٰى وَشَوْقًا إِلَيْهِ - (54)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لأُبَي بنِ كَعبٍ رضي الله عنه: «إنَّ الله - عَزَّ وَجَلَّ - أَمَرَنِي أَنْ أقْرَأَ عَلَيْكَ: ﴿ لَمۡ يَكُنِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ ﴾ [البينة: ١] قَالَ: وَسَمَّانِي ؟ قَالَ: «نَعَمْ » فَبَكَى أُبَيٌّ . متفقٌ عَلَيْهِ . وَفِي رِوَايَةٍ: فَجَعَلَ أُبَيٌّ يَبْكِي .

وعن انس رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لابي بن كعب رضي الله عنه: «ان الله - عز وجل - امرني ان اقرا عليك: ﴿ لم يكن الذين كفروا ﴾ [البينة: ١] قال: وسماني ؟ قال: «نعم » فبكى ابي . متفق عليه . وفي رواية: فجعل ابي يبكي .

(54) Chapter: Excellence of Weeping out of Fear from Allah (swt)


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said to Ubayy bin Ka'b (May Allah be pleased with him), "Allah (SWT) has ordered me to recite to you Surat-Al-Baiyyinah (98): 'Those who disbelieve ..."

Ubayy (May Allah be pleased with him) asked, "Did He name me?" Messenger of Allah (ﷺ) replied in the affirmative. Whereupon Ubayy (May Allah be pleased with him) began to weep.

[Al-Bukhari and Muslim].


Commentary: This Hadith highlights the following:
1. The permissibility of crying out of joy when a certain bounty has been bestowed upon one, and out of fear that one fails to show gratefulness to the Bestower of the bounty (i.e., Allah).

2. The superiority of Ubayy bin Ka`b (May Allah be pleased with him) and the high position he occupies with regard to his recitation and memorization of the Qur'an.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৪: আল্লাহর ভয়ে এবং তাঁর সাক্ষাতের আনন্দে কান্না করার মাহাত্ম্য

৭/৪৫৭। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনাবসানের পর আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ’আনহু উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-কে বললেন, ’চলুন, আমরা উম্মে আইমানের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাই, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে যেতেন।’ সুতরাং যখন তাঁরা উম্মে আইমানের কাছে পৌঁছলেন, তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। অতঃপর তাঁরা তাঁকে বললেন, ’তুমি কাঁদছ কেন? তুমি কি জানো না যে, আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য (দুনিয়া থেকে) অধিক উত্তম?’ তিনি উত্তর দিলেন, ’আমি এ জন্য কান্না করছি না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য আল্লাহর নিকট যা রয়েছে তা অধিকতর উত্তম, সে কথা আমি জানি না। কিন্তু আমি এ জন্য কাঁদছি যে, আসমান হতে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেল।’ উম্মে আইমান (তাঁর এ দুঃখজনক কথা দ্বারা) ঐ দু’জনকে কাঁদতে বাধ্য করলেন। ফলে তাঁরাও তাঁর সাথে কাঁদতে লাগলেন। (মুসলিম) [1]

بَابُ فَضْلِ الْبُكَاءِ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ تَعَالٰى وَشَوْقًا إِلَيْهِ - (54)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ أَبُو بَكرٍ لِعُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: انْطَلِقْ بِنَا إِلَى أُمِّ أيْمَنَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا نَزُورُهَا كَمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَزُورُهَا، فَلَمَّا انْتَهَيَا إِلَيْهَا، بَكَتْ، فَقَالاَ لَهَا: مَا يُبْكِيكِ ؟ أمَا تَعْلَمِينَ أنَّ مَا عِنْدَ اللهِ خَيْرٌ لرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَتْ: مَا أبْكِي أَنْ لاَ أَكُونَ أَعْلَمُ أنَّ مَا عِنْدَ الله تَعَالَى خَيْرٌ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَلَكِنْ أبكي أنَّ الوَحْيَ قدِ انْقَطَعَ مِنَ السَّماءِ، فَهَيَّجَتْهُمَا عَلَى البُكَاءِ، فَجَعَلا يَبْكِيَانِ مَعَهَا . رواه مسلم

وعن انس رضي الله عنه، قال: قال ابو بكر لعمر رضي الله عنهما بعد وفاة رسول الله صلى الله عليه وسلم: انطلق بنا الى ام ايمن رضي الله عنها نزورها كما كان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يزورها، فلما انتهيا اليها، بكت، فقالا لها: ما يبكيك ؟ اما تعلمين ان ما عند الله خير لرسول الله صلى الله عليه وسلم، فقالت: ما ابكي ان لا اكون اعلم ان ما عند الله تعالى خير لرسول الله صلى الله عليه وسلم، ولكن ابكي ان الوحي قد انقطع من السماء، فهيجتهما على البكاء، فجعلا يبكيان معها . رواه مسلم

(54) Chapter: Excellence of Weeping out of Fear from Allah (swt)


Anas bin Malik (May Allah be pleased with him) reported:
After the death of Messenger of Allah (ﷺ), Abu Bakr said to 'Umar (May Allah be pleased with them): "Let us visit Umm Aiman (May Allah be pleased with him) as Messenger of Allah (ﷺ) used to visit her." As we came to her, she wept. They (Abu Bakr and 'Umar (May Allah be pleased with them) said to her, "What makes you weep? Do you not know that what Allah has in store for His Messenger (ﷺ) is better than (this worldly life)?" She said, "I weep not because I am ignorant of the fact that what is in store for Messenger of Allah (ﷺ) (in the Hereafter) is better than this world, but I weep because the Revelation has ceased to come." This reply moved both of them to tears and they began to weep along with her.

[Muslim].

Commentary: Here, this Hadith has been reproduced to furnish justification for weeping on the departure of virtuous people because their presence is a source of many blessings. With their departure from this world, people are deprived of many graces. Pious people are certainly very much grieved on their death.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৪: আল্লাহর ভয়ে এবং তাঁর সাক্ষাতের আনন্দে কান্না করার মাহাত্ম্য

৮/৪৫৮। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, যখন (মরণ রোগে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কষ্ট বেড়ে গেল, তখন তাঁকে (জামা’আত সহকারে) নামায পড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন, ’’তোমরা আবূ বকরকে নামায পড়াতে বল।’’ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, ’আবূ বকর নরম মনের মানুষ, কুরআন পড়লেই তিনি কান্না সামলাতে পারেন না।’ কিন্তু পুনরায় তিনি বললেন, ’’তাকে নামায পড়াতে বল।’’

আয়েশা থেকে অন্য এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন, আমি বললাম, ’আবূ বকর যখন আপনার জায়গায় দাঁড়াবেন, তখন তিনি কান্নার কারণে লোকদেরকে (কুরআন) শুনাতে পারবেন না।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ فَضْلِ الْبُكَاءِ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ تَعَالٰى وَشَوْقًا إِلَيْهِ - (54)

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: لَمَّا اشْتَدَّ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَجَعُهُ، قِيلَ لَهُ فِي الصَّلاَةِ، فَقَالَ: مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ فَقَالَت عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنهَا: إنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ، إِذَا قَرَأَ القُرْآنَ غَلَبَهُ البُكَاءُ، فَقَالَ: مُرُوهُ فَليُصَلِّ
وَفِي رِوَايَةٍ عَن عَائِشَةٍَ، رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَت: قُلتُ: إنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ مَقَامَكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ البُكَاءِ . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قال: لما اشتد برسول الله صلى الله عليه وسلم وجعه، قيل له في الصلاة، فقال: مروا ابا بكر فليصل بالناس فقالت عاىشة رضي الله عنها: ان ابا بكر رجل رقيق، اذا قرا القران غلبه البكاء، فقال: مروه فليصل وفي رواية عن عاىشة، رضي الله عنها، قالت: قلت: ان ابا بكر اذا قام مقامك لم يسمع الناس من البكاء . متفق عليه

(54) Chapter: Excellence of Weeping out of Fear from Allah (swt)


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
When the illness of Messenger of Allah (ﷺ) became serious, he was asked about the leading of Salat and he said, "Ask Abu Bakr to lead Salat." Whereupon, 'Aishah (May Allah be pleased with her) said; "Abu Bakr is very tender hearted. He is bound to be overcome by weeping when he recites the Qur'an." Messenger of Allah (ﷺ) repeated, "Ask him (Abu Bakr) to lead Salat".

In another narration: 'Aishah (May Allah be pleased with her) said: "When Abu Bakr stands in your place, he will not be able to recite the Noble Qur'an to the people on account of weeping."

[Al-Bukhari and Muslim].


Commentary:
1. This Hadith brings into prominence the distinction of Abu Bakr As-Siddiq (May Allah be pleased with him). It was because of this distinction that the Companions of the Prophet (PBUH) selected him as Khalifah (caliph) after the death of the Prophet (PBUH). On this occasion, `Umar (May Allah be pleased with him) said, "Should we not like him for our (worldly life) political leadership when the Prophet (PBUH) had chosen him for our Deen".

2. The justification for weeping at the time of the recitation of the Noble Qur'an. This was a special virtue of Abu Bakr As-Siddiq (May Allah be pleased with him) which was a mark of his perfect Faith.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৪: আল্লাহর ভয়ে এবং তাঁর সাক্ষাতের আনন্দে কান্না করার মাহাত্ম্য

৯/৪৫৯। ইব্রাহীম ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, একদিন আব্দুর রহমান ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর কাছে খাবার আনা হল, তখন তাঁর রোযা ছিল। তিনি বললেন, ’মুস’আব ইবনে ’উমাইর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু শহীদ হলেন। আর তিনি ছিলেন আমার চেয়ে ভাল লোক। (অথচ) তাঁকে কাফন দেওয়ার মত এমন একটি চাদর ভিন্ন অন্য কিছু পাওয়া গেল না, যা দিয়ে তাঁর মাথা ঢাকলে পা দু’টি বের হয়ে যাচ্ছিল এবং পা দু’টি ঢাকলে মাথা বের হয়ে যাচ্ছিল! তারপর আমাদের জন্য পৃথিবীর যে প্রাচুর্য দেওয়া হল, অথবা তিনি বললেন, ’আমাদেরকে পার্থিব সম্পদ যা দেওয়া হল, আমাদের আশংকা হয় যে, আমাদের সৎকর্মের (বিনিময়) আমাদের জন্য ত্বরান্বিত করা হয়েছে। অতঃপর তিনি কাঁদতে লাগলেন, এমনকি খাবারও পরিহার করলেন।’ (বুখারী) [1]

بَابُ فَضْلِ الْبُكَاءِ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ تَعَالٰى وَشَوْقًا إِلَيْهِ - (54)

وَعَن إِبرَاهِيمَ بنِ عَبدِ الرَّحمَانِ بنِ عَوفٍ: أَنَّ عَبدَ الرَّحمَانِ بنَ عَوفٍ رضي الله عنه أُتِيَ بِطَعَامٍ وَكَانَ صَائِماً، فَقَالَ: قُتِلَ مُصْعَبُ بنُ عُمَيْرٍ رضي الله عنه، وَهُوَ خَيْرٌ مِنِّي، فَلَمْ يُوجَدْ لَهُ مَا يُكَفَّنُ فِيهِ إِلاَّ بُرْدَةٌ إِنْ غُطِّيَ بِهَا رَأسُهُ بَدَتْ رِجْلاهُ ؛ وَإنْ غُطِّيَ بِهَا رِجْلاَهُ بَدَا رَأسُهُ، ثُمَّ بُسِطَ لَنَا مِنَ الدُّنْيَا مَا بُسِطَ - أَو قَالَ: أُعْطِينَا مِنَ الدُّنْيَا مَا أُعْطِينَا- قَدْ خَشِينا أنْ تَكُونَ حَسَنَاتُنَا عُجِّلَتْ لَنَا، ثُمَّ جَعَلَ يَبكِي حَتَّى تَرَكَ الطَّعَامَ . رواه البخاري

وعن ابراهيم بن عبد الرحمان بن عوف: ان عبد الرحمان بن عوف رضي الله عنه اتي بطعام وكان صاىما، فقال: قتل مصعب بن عمير رضي الله عنه، وهو خير مني، فلم يوجد له ما يكفن فيه الا بردة ان غطي بها راسه بدت رجلاه ؛ وان غطي بها رجلاه بدا راسه، ثم بسط لنا من الدنيا ما بسط - او قال: اعطينا من الدنيا ما اعطينا- قد خشينا ان تكون حسناتنا عجلت لنا، ثم جعل يبكي حتى ترك الطعام . رواه البخاري

(54) Chapter: Excellence of Weeping out of Fear from Allah (swt)


Ibrahim bin 'Abdur-Rahman bin 'Auf reported:
Food was brought to 'Abdur-Rahman bin 'Auf (May Allah be pleased with him) when he was observing Saum (fast) and he said: "Mus'ab bin 'Umair (May Allah be pleased with him) was martyred and he was better than me, but only one sheet was available to shroud him. It was so small that when his head was covered; his feet remained uncovered and if his feet were covered, his head remained uncovered. Then the bounties of this world have been bestowed upon us generously. I am afraid that the reward of our good deeds have been awarded to us in this world." On this he began to sob and left the food untouched.

[Al- Bukhari].

Commentary: This Hadith tells us about the hospitality of the Companions of the Prophet (PBUH) and the respect they had for each other.
Abdur-Rahman bin `Auf (May Allah be pleased with him) was one of the figures of `Al-Ashratul-Mubash-sharun bil Jannah (the ten Companions of the Prophet (PBUH) who were given the glad tidings of entering Jannah during their lifetime). For this reason, he is superior to Mus`ab bin `Umair (May Allah be pleased with him), but he acknowledged him superior on the consideration of his martyrdom and poverty through which he had passed. He holds Mus`ab bin `Umair (May Allah be pleased with him) better on the grounds that he had confronted the infidels in extremely difficult circumstances and sacrificed his life for the sake of Allah.

The second point which this Hadith brings out is the fear which Abdur-Rahman bin `Auf (May Allah be pleased with him) felt at the abundance of wealth and property, although he used to spend his wealth and riches in the way of Allah and Jihad. Today, the only purpose of our wealth is that we waste it either on foolish customs and ceremonies of marriage or construction of buildings and their decoration. It was this abundance of wealth of which the Companions of the Prophet (PBUH) were afraid. The Prophet (PBUH) had himself expressed great anxiety over it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৫৪: আল্লাহর ভয়ে এবং তাঁর সাক্ষাতের আনন্দে কান্না করার মাহাত্ম্য

১০/৪৬০। আবূ উমামাহ সুদাই ইবনে ’আজলান বাহেলী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহর নিকট দু’টি বিন্দু এবং দু’টি চিহ্ন অপেক্ষা কোনো বস্তু প্রিয় নয়।
(এক) ঐ অশ্রু বিন্দু যা আল্লাহর ভয়ে বের হয়
(দুই) ঐ রক্ত বিন্দু যা আল্লাহর পথে বইয়ে দেওয়া হয়।

পক্ষান্তরে দু’টি চিহ্ন হলঃ
(এক) ঐ চিহ্ন যা আল্লাহর পথে (জিহাদ করে) হয়
(দুই) আল্লাহর কোনো ফরয কাজ আদায় করে যে চিহ্ন (দাগ) পড়ে।’’ (তিরমিযী, হাসান) [1]

এ বিষয়ে আরো হাদীস রয়েছে। তার মধ্যে একটি ’ইরবায ইবনে সারিয়াহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর হাদীস, ’একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এমন মর্মস্পর্শী বক্তৃতা শুনালেন যে, তাতে অন্তর ভীত হল এবং চোখ দিয়ে অশ্রু বয়ে গেল।’ যা ১৬১ নম্বরে অতিবাহিত হয়েছে।

بَابُ فَضْلِ الْبُكَاءِ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ تَعَالٰى وَشَوْقًا إِلَيْهِ - (54)

وَعَن أَبي أُمَامَة صُدَيِّ بنِ عَجلاَنَ البَاهِلِي رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: لَيْسَ شَيْءٌ أحَبَّ إِلَى اللهِ تَعَالَى مِنْ قَطْرَتَيْنِ وَأثَرَيْنِ: قَطَرَةُ دُمُوعٍ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ، وَقَطَرَةُ دَمٍ تُهَرَاقُ في سَبيلِ اللهِ. وَأَمَّا الأَثَرَانِ: فَأَثَرٌ فِي سَبيلِ اللهِ تَعَالَى، وَأَثَرٌ فِي فَرِيضَةٍ مِنْ فَرَائِضِ الله تَعَالَى . رواه الترمذي، وقال: حديثٌ حسنٌ


حديث العْرباض بنِ ساريةَ . رضي اللَّه عنه ، قال : وعَظَنَا رسُول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم مَوْعِظَةً
وَجِلَتْ منها القُلُوبُ ، وذَرَفْت منْهَا العُيُونُ « . وقد سبق في باب النهي عن البدع

وعن ابي امامة صدي بن عجلان الباهلي رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ليس شيء احب الى الله تعالى من قطرتين واثرين: قطرة دموع من خشية الله، وقطرة دم تهراق في سبيل الله. واما الاثران: فاثر في سبيل الله تعالى، واثر في فريضة من فراىض الله تعالى . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن حديث العرباض بن سارية . رضي الله عنه ، قال : وعظنا رسول الله صلى االله عليه وسلم موعظة وجلت منها القلوب ، وذرفت منها العيون « . وقد سبق في باب النهي عن البدع

(54) Chapter: Excellence of Weeping out of Fear from Allah (swt)


Abu Umamah Sudaiy bin 'Ajlan Al-Bahili (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said: "Nothing is dearer to Allah than two drops and two marks: A drop of tears shed out of fear of Allah and a drop of blood shed in Allah's way. Regarding the two marks, they are: Marks left in the Cause of Allah and a mark left in observing one of the obligatory act of worship of Allah, the Exalted".

[At-Tirmidhi].

Commentary: This Hadith mentions the merits of the following:
1. Weeping out of fear of Allah.
2. The blood which flows in the way of Allah.
3. The marks of injuries which are left on the bodies of those who take part in Jihad.
4. The marks of wounds received in the performance of obligations.
The Ahadith on the subject are many.


Al-`Irbad bin Sariyah (May Allah be pleased with him) reported: One day Messenger of Allah (PBUH) delivered us a very eloquent Khutbah on account of which eyes shed tears and hearts became softened. [Abu Dawud and At-Tirmidhi].

Commentary: Even in the relevant chapter, the author has only given a reference of this Hadith and not its full text. This has, however, been stated in chapter 16, bearing the title "Observing the Sunnah and the manners of its obedience".


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে