পরিচ্ছেদঃ ৪৯: লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে।

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ فَإِن تَابُواْ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُاْ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّواْ سَبِيلَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٥ ﴾ [التوبة: ٥]

অর্থাৎ “কিন্তু যদি তারা তওবা করে, যথাযথ নামায পড়ে ও যাকাত প্রদান করে, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও।” (সূরা তওবাহ ৫ আয়াত)


১/৩৯৫। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’আমাকে লোকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে; যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। আর তারা নামায প্রতিষ্ঠা করবে ও যাকাত প্রদান করবে। যখন তারা এ কাজগুলো সম্পাদন করবে, তখন তারা আমার নিকট থেকে তাদের রক্ত (জান) এবং মাল বাঁচিয়ে নেবে; কিন্তু ইসলামের হক ব্যতীত (অর্থাৎ সে যদি কাউকে হত্যা করে, তবে তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তাকে হত্যা করা হবে।) আর তাদের হিসাব আল্লাহর উপর ন্যস্ত হবে।’’[1] (বুখারী ও মুসলিম)

بَابُ إِجْرَاءِ أَحْكَامِ النَّاسِ عَلَى الظَّاهِرِ وَسَرَائِرِهِمْ إِلَى اللهِ تَعَالٰى - (49)

وَعنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: »أُمِرْتُ أنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أنْ لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله، وَأنَّ مُحَمَّداً رَسُولُ الله، وَيُقيمُوا الصَّلاةَ، وَيُؤتُوا الزَّكَاةَ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءهُمْ وَأمْوَالَهُمْ إلاَّ بحَقِّ الإسْلاَمِ، وَحِسَابُهُمْ عَلَى الله تَعَالَى». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ابن عمر رضي الله عنهما: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: »امرت ان اقاتل الناس حتى يشهدوا ان لا اله الا الله، وان محمدا رسول الله، ويقيموا الصلاة، ويوتوا الزكاة، فاذا فعلوا ذلك عصموا مني دماءهم واموالهم الا بحق الاسلام، وحسابهم على الله تعالى». متفق عليه

(49) Chapter: Making Judgment of people keeping in view their evident actions and leaving their hidden Actions to Allah (swt)


Allah, the Exalted, says:
"But if they repent and perform As-Salat (Iqamat-As-Salat), and give Zakat, then leave their way free. Verily, Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.'' (9:5)
----
'Abdullah bin 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "I have been commanded (by Allah) to fight people until they testify that there is no true god except Allah, and that Muhammad is the Messenger of Allah, and perform Salat and pay Zakat. If they do so, they will have protection of their blood and property from me except when justified by Islam, and then account is left to Allah".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith brings out the following three points:
1. The objective of Jihad. This objective warrants that one must struggle against Kufr (disbelief) and Shirk (polytheism) and the worship of falsehood in all its forms. Jihad has to continue until this objective is achieved. This contention is supported by a Hadith, to the effect that Jihad will continue till the Day of Resurrection. In this Hadith the word (An-Nas) translated above as "people" stands for the polytheists and idolaters. The reason being that other Nasus (pl. of Nass, meaning `text') confirm the exemption of Ahl-ul-Kitab (people of the Scriptures) from it subject to the condition that they agree to pay Jizyah (dues imposed by Islam on the people of the Book living under the
protection of an Islamic state) and submit to the Muslim rule. The Arab pagans have only the choice to either embrace Islam or face war. In the latter case, it is incumbent on the Mulsims to wage Jihad against them to wipe out Kufr and Shirk and raise the banner of Tauhid everywhere.

This Hadith strongly refutes the people who distort the Islamic concept of Jihad and hold that Islam preaches defensive war only. It is an apologetic approach because defensive war has to be fought in any case by every nation and country. Thus, it is a compulsion and needs no justification. The real distinction of Islam lies in its enjoining Muslims to wage war for upholding the truth beside fighting for their own defense. The domination of Kufr, Shirk and falsehood is darkness, heresy and tyranny, and the objective of Islam is to purge the world of all these evils. It aims at liberating man from the worship of man, set them on the path of worship of Allah, and to provide a just and equitable society to mankind. Wherever in the world there is tyranny, ignorance and heresy, Muslims are bound to
fight such evils and finish them by means of Jihad. There is also a third form of Jihad which is waged against countries where Muslims are victims of aggression, suppression and cruelties of the non-Muslims. It is incumbent upon Muslims to liberate their brethren in Faith from the clutches of the non-Muslims by means of Jihad. So long Muslims performed this obligation with a sense of duty, Islam and its followers were dominant in the world and ever since they have ignored this obligation, both are in subjugation and disgrace. In other words, the secret of power and stability of Muslims lies in Jihad. Muslims need to understand this secret like their ancestors.

2. Life and property of every person is secured after his joining the fold of Islam. He will, however, be subject to the law of Islam, one of which is payment of Zakat. If he murders any Muslim, he will also be killed in return, unless the heirs of the victim pardon the murderer or accept blood-money (Diyah) for it.

3. When a person embraces Islam, the laws of Shari`ah apply to him according to his apparent condition only. His heart will not be probed for this purpose. In case, he is not sincere or he has some design in joining the fold of Islam, no action will be taken against him until guilt is fully proved. What he has in his heart will be left to Allah Who will pass judgement on his intention on the Day of Resurrection. This Hadith is related to this chapter for its third point. In their debate on this point, some `Ulama' have contended that such people who believe in Tauhid and obey the injunctions of Shari`ah are not to be declared as infidels.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪৯: লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে।

২/৩৯৬। আবূ আব্দুল্লাহ ত্বারেক ইবনু আশয়্যাম রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’যে ব্যক্তি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্যকে অস্বীকার করল, তার মাল ও রক্ত হারাম হয়ে গেল ও তার (অন্তরের) হিসাব আল্লাহর দায়িত্বে।’’(মুসলিম) [1]

بَابُ إِجْرَاءِ أَحْكَامِ النَّاسِ عَلَى الظَّاهِرِ وَسَرَائِرِهِمْ إِلَى اللهِ تَعَالٰى - (49)

وَعَن أَبي عَبدِ اللهِ طَارِقِ بنِ أَشْيَمَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «مَنْ قَالَ لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله، وَكَفَرَ بما يُعْبَدُ مِنْ دُونِ اللهِ، حَرُمَ مَالُهُ وَدَمُهُ، وَحِسَابُهُ عَلَى الله تَعَالَى ». رواه مسلم

وعن ابي عبد الله طارق بن اشيم رضي الله عنه، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: «من قال لا اله الا الله، وكفر بما يعبد من دون الله، حرم ماله ودمه، وحسابه على الله تعالى ». رواه مسلم

(49) Chapter: Making Judgment of people keeping in view their evident actions and leaving their hidden Actions to Allah (swt)


Abu Abdullah bin Tariq bin Ashyam (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who professes La ilaha illallah (There is no true god except Allah), and denies of everything which the people worship besides Allah, his property and blood become inviolable, and it is for Allah to call him to account".

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪৯: লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে।

৩/৩৯৭। আবূ মা’বাদ মিকদাদ ইবনু আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললাম, ’’আপনি বলুন, যদি আমি কোন কাফেরের সম্মুখীন হই এবং পরস্পরের মধ্যে লড়ি, অতঃপর সে তরবারি দিয়ে আমার হাত কেটে দেয়, তারপর আমার (পাল্টা) আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সে একটি গাছের আশ্রয় নিয়ে বলে, ’আমি আল্লাহর ওয়াস্তে ইসলাম গ্রহণ করলাম।’ তার এ কথা বলার পর হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি তাকে হত্যা করব?’’

তিনি বললেন, ’’তাকে হত্যা করো না।’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! সে আমার একটি হাত কেটে ফেলবে। কাটার পর সে ঐ কথা বলবে তাও?’ তিনি বললেন, ’’তুমি তাকে হত্যা করো না। যদি তুমি তাকে হত্যা কর, তাহলে (মনে রাখ) সে তোমার সেই মর্যাদা পেয়ে যাবে, যাতে তুমি তাকে হত্যা করার পূর্বে ছিলে। আর তুমি তার ঐ কথা বলার পূর্বের অবস্থায় উপনীত হবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ إِجْرَاءِ أَحْكَامِ النَّاسِ عَلَى الظَّاهِرِ وَسَرَائِرِهِمْ إِلَى اللهِ تَعَالٰى - (49)

وَعَن أَبي مَعبَدٍ المِقدَادِ بنِ الأسْوَدِ رضي الله عنه، قَالَ: قُلْتُ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أرَأيْتَ إنْ لَقِيتُ رَجُلاً مِنَ الكُفَّارِ، فَاقْتتَلْنَا، فَضَرَبَ إحْدَى يَدَيَّ بِالسَّيْفِ، فَقَطَعَها، ثُمَّ لاَذَ مِنِّي بِشَجَرَةٍ، فَقَالَ: أسْلَمْتُ لِلّهِ، أَأَقْتُلُهُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ أنْ قَالَهَا ؟ فَقَالَ: «لاَ تَقْتُلهُ » فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَطَعَ إحْدَى يَدَيَّ، ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ بَعْدَ مَا قَطَعَهَا ؟! فَقَالَ: لا تَقتُلْهُ، فإنْ قَتَلْتَهُ فَإنَّهُ بِمَنْزِلَتِكَ قَبْلَ أنْ تَقْتُلَهُ، وَإنَّكَ بِمَنْزِلَتِهِ قَبْلَ أنْ يَقُولَ كَلِمَتَهُ الَّتِي قَالَ - مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ابي معبد المقداد بن الاسود رضي الله عنه، قال: قلت لرسول الله صلى الله عليه وسلم: ارايت ان لقيت رجلا من الكفار، فاقتتلنا، فضرب احدى يدي بالسيف، فقطعها، ثم لاذ مني بشجرة، فقال: اسلمت لله، ااقتله يا رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد ان قالها ؟ فقال: «لا تقتله » فقلت: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، قطع احدى يدي، ثم قال ذلك بعد ما قطعها ؟! فقال: لا تقتله، فان قتلته فانه بمنزلتك قبل ان تقتله، وانك بمنزلته قبل ان يقول كلمته التي قال - متفق عليه

(49) Chapter: Making Judgment of people keeping in view their evident actions and leaving their hidden Actions to Allah (swt)


Al-Miqdad bin Al-Aswad (May Allah be pleased with him) reported:
I said, "Tell me, O Messenger of Allah, if I meet an infidel, and we fight together, and he cuts off my hands with his sword, then hides from me behind a tree and (then) says he has submitted himself to Allah. Shall I kill him after he has said it?" He (ﷺ) replied, "Do not kill him." I submitted, "But O Messenger of Allah, he cut off one of my hands and only then he said it." Messenger of Allah (ﷺ) then replied, "Do not kill him, for if you do so, he will be in the position in which you were before you killed him (i.e., he will be considered a Muslim and thus his life will be inviolable), and you will be in the position in which he was before he made his testimony (i.e., your life will not be inviolable, for his heirs can ask for Qisas)".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith tells us that injunctions of Islam will be enforced on a person according to his apparent condition not his insight. The reason being that nobody is capable of knowing the insight of others. When a person professes Islam, we have to accept him a Muslim; and it will be our duty to protect his life and property. If, in spite of knowing that his life and property are sacred, a Muslim murders him, then it will be quite fair for the heirs of the victim to have Qisas for the murder. If the murderer poses ignorance or takes shelter of some reason, then he will be liable for Diyah only. The Prophet (PBUH) arranged payment of Diyah to the heirs of the victim in the case mentioned in this Hadith because some of the Companions of the Prophet (PBUH) had advanced the argument that the murderer had slain the victim on the presumption that he had professed Islam just to save his life.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪৯: লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে।

৪/৩৯৮। উসামা ইবনু যায়দ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে জুহাইনা গোত্রের এক শাখা হুরাকার দিকে পাঠালেন। অতঃপর আমরা সকাল সকাল পানির ঝর্নার নিকট তাদের উপর আক্রমণ করলাম। (যুদ্ধ চলাকালীন) আমি ও একজন আনসারী তাদের এক ব্যক্তির পিছনে ধাওয়া করলাম। যখন আমরা তাকে ঘিরে ফেললাম, তখন সে ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল। আনসারী থেমে গেলেন, কিন্তু আমি তাকে আমার বল্লম দিয়ে গেঁথে দিলাম। এমনকি শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করে ফেললাম। অতঃপর যখন আমরা মদ্বীনা পৌঁছলাম, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ খবর পৌঁছল।

তিনি বললেন, ’’হে উসামা! তার ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পরেও কি তুমি তাকে হত্যা করেছ?’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! সে প্রাণ বাঁচানোর জন্য এরূপ করেছে।’ পুনরায় তিনি বললেন, ’’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার পরও তুমি তাকে খুন করেছ?’’ তিনি আমার সামনে এ কথা বারবার বলতে থাকলেন। এমনকি আমি আকাঙ্ক্ষা করলাম যে, যদি আজকের পূর্বে আমি ইসলাম গ্রহণ না করতাম (অর্থাৎ এখন আমি মুসলিম হতাম)। (বুখারী ও মুসলিম) [1]

অন্য এক বর্ণনায় আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’সে কি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলেছে এবং তুমি তাকে হত্যা করেছ?’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! সে কেবলমাত্র অস্ত্রের ভয়ে এই (কলেমা) বলেছে।’ তিনি বললেন, ’’তুমি কি তার অন্তর চিরে দেখেছিলে যে, সে এ (কলেমা) অন্তর থেকে বলেছিল কি না?’’ অতঃপর একথা পুনঃ পুনঃ বলতে থাকলেন। এমনকি আমি আকাঙ্ক্ষা করলাম যে, যদি আমি আজ মুসলিম হতাম।

بَابُ إِجْرَاءِ أَحْكَامِ النَّاسِ عَلَى الظَّاهِرِ وَسَرَائِرِهِمْ إِلَى اللهِ تَعَالٰى - (49)

وَعَن أُسَامَةَ بنِ زَيدٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا، قَالَ: بَعَثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِلَى الْحُرَقَةِ مِنْ جُهَيْنَةَ فَصَبَّحْنَا القَوْمَ عَلَى مِيَاهِهِمْ، وَلَحِقْتُ أنَا وَرَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ رَجُلاً مِنْهُمْ، فَلَمَّا غَشَيْنَاهُ، قَالَ: لاَ إِلٰهَ إلاَّ الله، فَكفَّ عَنْهُ الأَنْصَارِي، وطَعَنْتُهُ برُمْحِي حَتَّى قَتَلْتُهُ، فَلَمَّا قَدِمْنَا المَدِينَةَ، بَلَغَ ذلِكَ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي: «يَا أُسَامَة، أقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ ؟! » قُلْتُ: يَا رَسُولَ الله، إِنَّمَا كَانَ مُتَعَوِّذاً، فَقَالَ: «أقَتَلْتَهُ بَعْدَ مَا قَالَ لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ ؟! » فَمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا عَلَيَّ حَتَّى تَمنْيَّتُ أنِّي لَمْ أكُنْ أسْلَمْتُ قَبْلَ ذلِكَ اليَوْمِ . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وفي رواية: فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: أقالَ: لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَقَتَلْتَهُ ؟! قُلْتُ: يَا رَسُولَ الله، إِنَّمَا قَالَهَا خَوْفاً مِن السِّلاحِ، قَالَ: « أَفَلاَ شَقَقْتَ عَنْ قَلْبِهِ حَتَّى تَعْلَمَ أَقَالَهَا أمْ لاَ ؟! فمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا حَتَّى تَمَنَّيْتُ أنِّي أسْلَمْتُ يَوْمَئذٍ.

وعن اسامة بن زيد رضي الله عنهما، قال: بعثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم الى الحرقة من جهينة فصبحنا القوم على مياههم، ولحقت انا ورجل من الانصار رجلا منهم، فلما غشيناه، قال: لا اله الا الله، فكف عنه الانصاري، وطعنته برمحي حتى قتلته، فلما قدمنا المدينة، بلغ ذلك النبي صلى الله عليه وسلم فقال لي: «يا اسامة، اقتلته بعد ما قال لا اله الا الله ؟! » قلت: يا رسول الله، انما كان متعوذا، فقال: «اقتلته بعد ما قال لا اله الا الله ؟! » فما زال يكررها علي حتى تمنيت اني لم اكن اسلمت قبل ذلك اليوم . متفق عليه وفي رواية: فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: اقال: لا اله الا الله وقتلته ؟! قلت: يا رسول الله، انما قالها خوفا من السلاح، قال: « افلا شققت عن قلبه حتى تعلم اقالها ام لا ؟! فما زال يكررها حتى تمنيت اني اسلمت يومىذ.

(49) Chapter: Making Judgment of people keeping in view their evident actions and leaving their hidden Actions to Allah (swt)


Usamah bin Zaid (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) sent us to Huraqat, a tribe of Juhainah. We attacked that tribe early in the morning and defeated them, (then) a man from the Ansar and I caught hold of a man (of the defeated tribe). When we overcame him, he said: 'La ilaha illallah (There is no true god except Allah).' At that moment, the Ansari spared him, but I attacked him with my spear and killed him. By the time we went back to Al-Madinah, news had already reached Messenger of Allah (ﷺ). He said to me, "O Usamah, did you kill him after he professed La ilaha illallah (There is no true god except Allah)?" I said, "O Messenger of Allah! He professed it only to save his life." Messenger of Allah (ﷺ) repeated, "Did you kill him after he had professed La ilaha illallah?" He went on repeating this to me until I wished I had not embraced Islam before that day (so that I would have not committed this sin).

[Al-Bukhari and Muslim].

Another narration is: Messenger of Allah (ﷺ) said, "Did you kill him in spite of his professing La ilaha illallah?" I said, "O Messenger of Allah! He said out of fear of our arms." He (ﷺ) said, "Why did you not cut his heart open to find out whether he had done so sincerely or not?" He continued repeating it until I wished that I had embraced Islam only that day.

Commentary: The relevance of this Hadith with the present chapter is evident from the fact that it stresses that injunctions of Islam will be enforced on every Muslim according to his apparent condition. It is a very wise course indeed for the reason that it has closed the door of retaliation; otherwise, everyone could kill his enemy on the
pretext that the victim was not sincere in his profession of Islam. In order to rule out the possibility of any such mischief, probing into the true condition of the heart is ruled out. A Muslim has to be treated according to his apparent condition only.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪৯: লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে।

৫/৩৯৯। জুনদুব ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিম মুজাহিদ্বীনের একটি দল এক মুশরিক সম্প্রদায়ের দিকে পাঠালেন। তাদের পরস্পরের মধ্যে মুকাবেলা হল। মুশরিকদের মধ্যে একটি লোক ছিল সে যখন কোনো মুসলিমকে হত্যা করার ইচ্ছা করত, তখন সুযোগ পেয়ে তাঁকে হত্যা করে দিত। (এ অবস্থা দেখে) একজন মুসলিম (তাকে খুন করার জন্য) তার অমনোযোগিতার সুযোগ গ্রহণ করলেন। আমরা পরস্পরের মধ্যে বলাবলি করছিলাম যে, উনি হলেন উসামা ইবনু যায়দ। (অতঃপর যখন সুযোগ পেয়ে) উসামা তরবারি উত্তোলন করলেন, তখন সে বলল, ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। কিন্তু তিনি তাকে হত্যা করে দিলেন। অতঃপর (মুসলিমদের যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সংবাদ নিয়ে) সুসংবাদবাহী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এল। তিনি তাকে (যুদ্ধের ব্যাপারে) জিজ্ঞাসা করলেন। সে তাঁকে (সমস্ত) সংবাদ দিল।

এমনকি শেষ পর্যন্ত সে ঐ ব্যক্তিরও খবর অবহিত করল। তিনি উসামাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে বললেন, ’’তুমি কেন তাকে হত্যা করেছ?’’ উসামা বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! সে মুসলিমদেরকে খুবই কষ্ট দিয়েছে এবং অমুক অমুককে হত্যাও করেছে।’ উসামা কিছু লোকের নামও নিলেন। ’(এ দেখে) আমি তার উপর হামলা করলাম। অতঃপর সে যখন তরবারি দেখল, তখন বলল, ’’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তুমি তাকে হত্যা করে দিয়েছ?’’ তিনি বললেন, ’জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ’’কিয়ামতের দিন যখন ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আসবে, তখন তুমি কী করবে?’’ উসামা বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার জন্য (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’ তিনি বললেন, ’’কিয়ামতের দিন যখন ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আসবে, তখন তুমি কী করবে?’’ (তিনি বারংবার একথা বলতে থাকলেন এবং) এর চেয়ে বেশী কিছু বললেন না, ’’কিয়ামতের দিন যখন ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আসবে, তখন তুমি কী করবে?’’(মুসলিম)[1]

بَابُ إِجْرَاءِ أَحْكَامِ النَّاسِ عَلَى الظَّاهِرِ وَسَرَائِرِهِمْ إِلَى اللهِ تَعَالٰى - (49)

وَعَن جُندُبِ بنِ عَبدِ اللهِ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بَعَثَ بَعْثاً مِنَ المُسْلِمينَ إِلَى قَومٍ مِنَ المُشرِكينَ، وَأنَّهُمْ التَقَوْا، فَكَانَ رَجُلٌ مِنَ المُشْركينَ إِذَا شَاءَ أنْ يَقْصِدَ إِلَى رَجُل مِنَ المُسْلِمينَ قَصَدَ لَهُ فَقَتَلَهُ، وَأنَّ رَجُلاً مِنَ المُسْلِمِينَ قَصَدَ غَفْلَتَهُ . وَكُنَّا نَتَحَدَّثُ أنَّهُ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، فَلَمَّا رَفَعَ عَلَيهِ السَّيفَ، قَالَ: لا إِلٰهَ إلاَّ اللهُ، فَقَتَلهُ، فَجَاءَ البَشيرُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَسَألَهُ وَأخبَرَهُ، حَتَّى أخْبَرَهُ خَبَرَ الرَّجُلِ كَيْفَ صَنَعَ، فَدَعَاهُ فَسَألَهُ، فَقَالَ: «لِمَ قَتَلْتَهُ ؟ » فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أوْجَعَ في المُسلِمِينَ، وَقَتَلَ فُلاَناً وَفُلاَناً، وَسَمَّى لَهُ نَفَراً، وَإنِّي حَمَلْتُ عَلَيهِ، فَلَمَّا رَأى السَّيفَ، قَالَ: لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ . قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: أقَتَلْتَهُ ؟ قَالَ: نَعَمْ . قَالَ: «فَكَيفَ تَصْنَعُ بلاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ، إِذَا جَاءتْ يَوْمَ القِيَامَةِ ؟ » قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، اسْتَغْفِرْ لِي . قَالَ: وكَيفَ تَصْنَعُ بِلاَ إِلٰهَ إلاَّ الله إِذَا جَاءَتْ يَوْمَ القِيَامَةِ ؟ فَجَعَلَ لاَ يَزِيدُ عَلَى أنْ يَقُولَ: «كَيفَ تَصْنَعُ بِلاَ إِلٰهَ إلاَّ الله إِذَا جَاءتْ يَوْمَ القِيَامَةِ . رواه مسلم

وعن جندب بن عبد الله رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بعث بعثا من المسلمين الى قوم من المشركين، وانهم التقوا، فكان رجل من المشركين اذا شاء ان يقصد الى رجل من المسلمين قصد له فقتله، وان رجلا من المسلمين قصد غفلته . وكنا نتحدث انه اسامة بن زيد، فلما رفع عليه السيف، قال: لا اله الا الله، فقتله، فجاء البشير الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فساله واخبره، حتى اخبره خبر الرجل كيف صنع، فدعاه فساله، فقال: «لم قتلته ؟ » فقال: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، اوجع في المسلمين، وقتل فلانا وفلانا، وسمى له نفرا، واني حملت عليه، فلما راى السيف، قال: لا اله الا الله . قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: اقتلته ؟ قال: نعم . قال: «فكيف تصنع بلا اله الا الله، اذا جاءت يوم القيامة ؟ » قال: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، استغفر لي . قال: وكيف تصنع بلا اله الا الله اذا جاءت يوم القيامة ؟ فجعل لا يزيد على ان يقول: «كيف تصنع بلا اله الا الله اذا جاءت يوم القيامة . رواه مسلم

(49) Chapter: Making Judgment of people keeping in view their evident actions and leaving their hidden Actions to Allah (swt)


Jundub bin 'Abdullah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) dispatched a contingent of the Muslims to a tribe of the polytheists. The two sides met (in combat) at one place. A man among the polytheists was so dashing that, whenever he intended to kill a man from Muslims, he killed him. Amongst the Muslims, too, was a man looking forward to (an opportunity of) his (polytheist's) unmindfulness. He (the narrator) said: We talked that he was Usamah bin Zaid (May Allah be pleased with him). When he raised his sword, he (the soldier of the polytheists) uttered: "La ilaha illallah (There is no true god except Allah)." But he (Usamah bin Zaid) killed him. When the good news of victory reached Messenger of Allah (ﷺ) he asked him (about the events of the battle), and he informed him about the man (Usamah) and what he had done. He (Messenger of Allah (ﷺ)) sent for him and asked him why he had killed him. He (Usamah) said, "O Messenger of Allah, he struck the Muslims and killed such and such of them." And he named some of them. (He continued): "I attacked him and when he saw the sword he said: 'La ilaha illallah."' Messenger of Allah (ﷺ) said, "Did you kill him?" He (Usamah) replied in the affirmative. The Messenger of Allah then remarked, "What would you do with regard to (the utterance): La ilaha illallah, when it comes (before you) on the Day of Resurrection?" He (Usamah) said, "O Messenger of Allah! Beg forgiveness for me". He (the Prophet (ﷺ)) said, "What would you do with regard to (the utterance): La ilaha illallah, when it comes (before you) on the Day of Resurrection?" He (Messenger of Allah (ﷺ)) added nothing to it but kept repeating, "What would you do with regard to (the utterance): La ilaha illallah, when it comes (before you) on the Day of Resurrection?".

[Muslim].

Commentary: This Hadith mentions the incident which has been quoted in the preceding one. There is only a slight variation in the wording of the two. This Hadith is reported by Muslim under the chapter "The prohibition of killing a Kafir (disbeliever) after having testified that none has the right to be worshipped but Allah".


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪৯: লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরীণ অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে।

৬/৪০০। আব্দুল্লাহ ইবনু উত্‌বাহ্‌ ইবনু মাসঊদ বলেন, আমি উমার ইবনু খাত্তাবকে বলতে শুনেছি, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কিছু লোককে অহী দ্বারা পাকড়াও করা হত। কিন্তু অহী এখন বন্ধ হয়ে গেছে। (সুতরাং) এখন আমরা তোমাদের বাহ্যিক কার্যকলাপ দেখে তোমাদেরকে পাকড়াও করব। অতঃপর যে ব্যক্তি আমাদের জন্য ভাল কাজ প্রকাশ করবে, তাকে আমরা নিরাপত্তা দেব এবং তাকে আমরা নিকটে করব। আর তাদের অন্তরের অবস্থার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আল্লাহই তার অন্তরের হিসাব নেবেন। আর যে ব্যক্তি আমাদের জন্য মন্দ কাজ প্রকাশ করবে, তাকে আমরা নিরাপত্তা দেব না এবং তাকে সত্যবাদীও মনে করব না; যদিও সে বলে আমার ভিতর (নিয়ত) ভাল।’ (বুখারী) [1]

بَابُ إِجْرَاءِ أَحْكَامِ النَّاسِ عَلَى الظَّاهِرِ وَسَرَائِرِهِمْ إِلَى اللهِ تَعَالٰى - (49)

وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عُتبَةَ بنِ مَسعُودٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بنَ الخَطَّابِ رضي الله عنه، يَقُولُ: إنَّ نَاساً كَانُوا يُؤْخَذُونَ بِالوَحْيِ في عَهْدِ رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم، وَإنَّ الوَحْيَ قَدِ انْقَطَعَ، وإِنَّمَا نَأخُذُكُمُ الآنَ بما ظَهَرَ لَنَا مِنْ أعمَالِكُمْ، فَمَنْ أظْهَرَ لَنَا خَيْراً أمَّنَّاهُ وَقَرَّبْنَاهُ، وَلَيْسَ لَنَا مِنْ سَرِيرَتِهِ شَيْء، اللهُ يُحَاسِبُهُ فِي سَرِيرَتِهِ، وَمَنْ أظْهَرَ لَنَا سُوءاً لَمْ نَأمَنْهُ وَلَمْ نُصَدِّقْهُ وَإنْ قَالَ: إنَّ سَرِيرَتَهُ حَسَنَةٌ . رواه البخاري

وعن عبد الله بن عتبة بن مسعود، قال: سمعت عمر بن الخطاب رضي الله عنه، يقول: ان ناسا كانوا يوخذون بالوحي في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم، وان الوحي قد انقطع، وانما ناخذكم الان بما ظهر لنا من اعمالكم، فمن اظهر لنا خيرا امناه وقربناه، وليس لنا من سريرته شيء، الله يحاسبه في سريرته، ومن اظهر لنا سوءا لم نامنه ولم نصدقه وان قال: ان سريرته حسنة . رواه البخاري

(49) Chapter: Making Judgment of people keeping in view their evident actions and leaving their hidden Actions to Allah (swt)


'Abdullah bin 'Utbah bin Mas'ud reported:
I heard 'Umar bin Al- Khattab (May Allah be pleased with him) reported saying: "In the lifetime of Messenger of Allah (ﷺ) some people were called to account through Revelation. Now Revelation has discontinued and we shall judge you by your apparent acts. Whoever displays to us good, we shall grant him peace and security, and treat him as a near one. We have nothing to do with his insight. Allah will call him to account for that. But whosoever shows evil to us, we shall not grant him security nor shall we believe him, even if he professed that his intention is good."

[Al-Bukhari].

Commentary: This Hadith also proves that the injunctions go with the apparent acts of a person and not with will and intention. It also indicates that a good intention does not waive the Qisas and establishing the justice.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে