পরিচ্ছেদঃ ৪২ : পিতা-মাতার ও নিকটাত্মীয়ের বন্ধু, স্ত্রীর সখী এবং যাদের সম্মান করা কর্তব্য তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার মাহাত্ন্য

১/৩৪৬। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যার সাথে পিতার মৈত্রী সম্পর্ক ছিল, তা অক্ষুণ্ণ রাখা সবচেয়ে বড় পুণ্যের কাজ।’’

আব্দুল্লাহ ইবনু দ্বীনার আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন, এক বেদুঈন মক্কার পথে তাঁর সাথে মিলিত হল। অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনু উমার তাকে সালাম দিলেন এবং তিনি যে গাধার উপর সওয়ার ছিলেন তার উপর চাপিয়ে নিলেন। আর যে পাগড়ী তাঁর মাথায় ছিল, তিনি তা তাকে দিয়ে দিলেন। ইবনু দ্বীনার বলেন, আমরা বললাম, ’আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন, এরা তো বেদুঈন, এরা তো অল্পেই তুষ্ট হয় (ফলে এর সাথে এত কিছু করার কী প্রয়োজন)?’

আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, ’এর পিতা উমার ইবনু খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর বন্ধু ছিলেন। আর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’’পিতার বন্ধুর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা সবচেয়ে বড় নেকী।’’

অন্য এক বর্ণনায় ইবনু দ্বীনারের সূত্রে ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, ইবনু উমারের মক্কা যাওয়ার সময় তার সাথে একটি গাধা থাকত। তিনি যখন উটের উপরে চেপে বিরক্ত হয়ে পড়তেন, তখন (এক ঘেঁয়েমি কাটানোর জন্য) ঐ গাধার উপর চেপে বিশ্রাম নিতেন। তাঁর একটি পাগড়ী ছিল, তিনি তা মাথায় বাঁধতেন। একদিন তিনি গাধার উপর সওয়ার ছিলেন, এমতাবস্থায় এক বেদুঈন তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করল। তিনি বললেন, ’তুমি কি অমুকের পুত্র অমুক নও?’ সে বলল, ’অবশ্যই!’ অতঃপর তিনি তাকে গাধাটি দিয়ে বললেন, ’এর উপর আরোহন কর’ এবং তাকে পাগড়ীটি দিয়ে বললেন, ’এটি তোমার মাথায় বাঁধ।’

(এ দেখে) তাঁকে তাঁর কিছু সাথী-সঙ্গী বলল, ’আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন! আপনি এই বেদুঈনকে ঐ গাধাটি দিয়ে দিলেন, যার উপর চড়ে আপনি বিশ্রাম নিতেন এবং তাকে ঐ পাগড়ীটিও দিলেন, যেটি আপনি নিজ মাথায় বাঁধতেন?’ তিনি বললেন, ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’’পিতার মৃত্যুর পর তার বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা সবচেয়ে বড় নেকীর কাজ।’’ আর এর পিতা উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর বন্ধু ছিলেন। [1]

এ বর্ণনাগুলো সবই ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন।

(42) - بَابُ فَضْلِ بِرِّ أَصْدِقَاءِ الْأَبِ وَالْأُمِّ وَالْأَقَارِبِ وَالزَّوْجَةِ وَسَائِرِ مَنْ يُّنْدَبُ إِكْرَامُهُ

عَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: إنّ أبَرَّ البرِّ أنْ يَصِلَ الرَّجُلُ وُدَّ أبيهِ

وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ دِينَارٍ، عَن عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أنَّ رَجُلاً مِنَ الأعْرَابِ لَقِيَهُ بِطَرِيقِ مَكَّةَ، فَسَلَّمَ عَلَيهِ عَبدُ الله بْنُ عُمَرَ، وَحَمَلَهُ عَلَى حِمَارٍ كَانَ يَرْكَبُهُ، وَأعْطَاهُ عِمَامَةً كَانَتْ عَلَى رَأسِهِ، قَالَ ابنُ دِينَار : فَقُلْنَا لَهُ : أصْلَحَكَ الله، إنَّهُمُ الأعرَابُ وَهُمْ يَرْضَوْنَ باليَسير، فَقَالَ عبد الله بن عمر : إن أَبَا هَذَا كَانَ وُدّاً لِعُمَرَ بنِ الخطاب رضي الله عنه، وإنِّي سَمِعتُ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «إنَّ أبرَّ البِرِّ صِلَةُ الرَّجُلِ أهْلَ وُدِّ أبِيهِ

وفي رِوِايَةٍ عَنِ ابنِ دِينَارٍ، عَنِ ابنِ عُمَرَ : أنَّهُ كَانَ إِذَا خَرَجَ إِلَى مَكّةَ كَانَ لَهُ حِمَارٌ يَتَرَوَّحُ عَلَيهِ إِذَا مَلَّ رُكُوبَ الرَّاحِلةِ، وَعِمَامَةٌ يَشُدُّ بِهَا رَأسَهُ، فَبيْنَا هُوَ يَوماً عَلَى ذلِكَ الحِمَارِ إِذْ مَرَّ بِهِ أعْرابيٌّ، فَقَالَ : ألَسْتَ فُلاَنَ بْنَ فُلاَنٍ ؟ قَالَ : بَلَى . فَأعْطَاهُ الحِمَارَ، فَقَالَ : ارْكَبْ هَذَا، وَأعْطَاهُ العِمَامَةَ وَقالَ : اشْدُدْ بِهَا رَأسَكَ، فَقَالَ لَهُ بَعضُ أصْحَابِهِ : غَفَرَ الله لَكَ أعْطَيْتَ هَذَا الأعْرَابيَّ حِمَاراً كُنْتَ تَرَوَّحُ عَلَيهِ، وعِمَامةً كُنْتَ تَشُدُّ بِهَا رَأسَكَ ؟ فَقَالَ : إنِّي سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: إنَّ مِنْ أبَرِّ البِرِّ أنْ يَصِلَ الرَّجُلُ أهْلَ وُدِّ أبيهِ بَعْدَ أنْ يُولِّيَ وَإنَّ أبَاهُ كَانَ صَديقاً لعُمَرَ رضي الله عنه. رَوَى هذِهِ الرواياتِ كُلَّهَا مسلم

عن ابن عمر رضي الله عنهما : ان النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ان ابر البر ان يصل الرجل ود ابيه وعن عبد الله بن دينار، عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما : ان رجلا من الاعراب لقيه بطريق مكة، فسلم عليه عبد الله بن عمر، وحمله على حمار كان يركبه، واعطاه عمامة كانت على راسه، قال ابن دينار : فقلنا له : اصلحك الله، انهم الاعراب وهم يرضون باليسير، فقال عبد الله بن عمر : ان ابا هذا كان ودا لعمر بن الخطاب رضي الله عنه، واني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم، يقول: «ان ابر البر صلة الرجل اهل ود ابيه وفي رواية عن ابن دينار، عن ابن عمر : انه كان اذا خرج الى مكة كان له حمار يتروح عليه اذا مل ركوب الراحلة، وعمامة يشد بها راسه، فبينا هو يوما على ذلك الحمار اذ مر به اعرابي، فقال : الست فلان بن فلان ؟ قال : بلى . فاعطاه الحمار، فقال : اركب هذا، واعطاه العمامة وقال : اشدد بها راسك، فقال له بعض اصحابه : غفر الله لك اعطيت هذا الاعرابي حمارا كنت تروح عليه، وعمامة كنت تشد بها راسك ؟ فقال : اني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يقول: ان من ابر البر ان يصل الرجل اهل ود ابيه بعد ان يولي وان اباه كان صديقا لعمر رضي الله عنه. روى هذه الروايات كلها مسلم

(42) Chapter: Excellence in doing Good to the Friends of Parents and other Relatives


'Abdullah bin 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "The finest act of goodness is that a person should treat kindly the loved ones of his father".

'Abdullah bin Dinar reported:
'Abdullah bin 'Umar (May Allah be pleased with them) met a bedouin on his way to Makkah, he greeted him, offered him to mount the donkey he was riding and gave him the turban he was wearing on his head. Ibn Dinar said to him: "May Allah make you pious! Bedouins can be satisfied with anything you give them (i.e., what you have given the bedouin is too much). Upon this, 'Abdullah bin 'Umar said, the father of this man was one of 'Umar's friends whom he loved best, and I heard Messenger of Allah saying, "The finest act of goodness is the good treatment of someone whom one's father loves".

Another narration goes: When 'Abdullah bin 'Umar (May Allah be pleased with them) set out to Makkah, he kept a donkey with him to ride when he would get tired from the riding of the camel, and had a turban which he tied round his head. One day, as he was riding the donkey, a bedouin happened to pass by him. He ('Abdullah bin 'Umar) said, "Aren't you so-and-so?" The bedouin said, "Yes". He ('Abdullah bin 'Umar) gave him his donkey and his turban and said, "Ride this donkey, and tie this turban round your head". Some of his companions said, "May Allah forgive you, you gave to this bedouin the donkey which you enjoyed to ride for change, and the turban which you tied round your head".'Abdullah bin 'Umar said,"I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying, 'The finest act of goodness is the kind treatment of a person to the loved ones of his father after his death,' and the father of this person was a friend of 'Umar (May Allah be pleased with him).

[Muslim].

Commentary: This Hadith teaches that after the death of one's parents, one should maintain contact with their friends and treat them nicely. Besides being a great virtue it is warranted by the needs for showing compassion to relatives. To forget friends of one's parents and break contact with them is condemned by the Shari`ah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪২ : পিতা-মাতার ও নিকটাত্মীয়ের বন্ধু, স্ত্রীর সখী এবং যাদের সম্মান করা কর্তব্য তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার মাহাত্ন্য

২/৩৪৭। আবূ উসাইদ মালিক ইবনু রাবী’আহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, কোনো একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে বসা ছিলাম। এমন সময় বানী সালামা সম্প্রদায়ের জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিতা-মাতার মারা যাবার পরও আমার উপর তাদের প্রতি সদাচারণ করার দায়িত্ব আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তুমি তাদের জন্য দু’আ করবে, তাদের গুনাহের মাগফিরাত প্রার্থনা করবে, তাদের কৃত ওয়াদা পূর্ণ করবে, তাদের আত্মীয়-স্বজনের সাথে এ জন্যে উত্তম ব্যবহার করবে যে, এরা তাদেরই আত্মীয় এবং বন্ধু-বান্ধব এবং তাদেরকে সম্মান দেখাবে।[1]

(42) - بَابُ فَضْلِ بِرِّ أَصْدِقَاءِ الْأَبِ وَالْأُمِّ وَالْأَقَارِبِ وَالزَّوْجَةِ وَسَائِرِ مَنْ يُّنْدَبُ إِكْرَامُهُ

وعن أبي أُسَيْد - بضم الهمزة وفتح السين - مالكِ بنِ ربِيعَةَ السَّاعِدِيِّ رضي الله عنه قال : بَيْنا نَحْنُ جُلُوسٌ عِنْدَ رسول اللهِ صلى الله عليه وسلم إذ جاءَهُ رجُلٌ مِنْ بني سَلَمة فقالَ : يارسولَ اللهِ هَلْ بقى مِن بِرِّ أَبويَّ شىءٌ أَبرُّهُمَا بِهِ بَعدَ مَوْتِهِمَا ؟ فقال: نَعَمْ، الصَّلاَة علَيْهِمَا، والاسْتِغْفَارُ لَهُما، وإِنْفاذُ عَهْدِهِما، وصِلةُ الرَّحِمِ التي لا تُوصَلُ إِلاَّ بِهِمَا، وإِكَرَامُ صَدِيقهما رواه أبو داود .

وعن ابي اسيد - بضم الهمزة وفتح السين - مالك بن ربيعة الساعدي رضي الله عنه قال : بينا نحن جلوس عند رسول الله صلى الله عليه وسلم اذ جاءه رجل من بني سلمة فقال : يارسول الله هل بقى من بر ابوي شىء ابرهما به بعد موتهما ؟ فقال: نعم، الصلاة عليهما، والاستغفار لهما، وانفاذ عهدهما، وصلة الرحم التي لا توصل الا بهما، واكرام صديقهما رواه ابو داود .

(42) Chapter: Excellence in doing Good to the Friends of Parents and other Relatives


Abu Usaid Malik bin Rabi'ah As-Sa'idi (May Allah be pleased with him) reported:
We were sitting with Messenger of Allah (ﷺ) when a man of Banu Salamah came to him and asked, "O Messenger of Allah! Is there any obedience to parents left that I can show to them after their death?" He (ﷺ) replied, "Yes, to pray for them, to supplicate for their forgiveness, to fulfill their promises after their death, to maintain the ties of kinship which cannot be maintained except through them, and honour their friends."

[Abu Dawud].

Commentary: We learn from this Hadith that one should consider the life of one's parents a blessing because their life provides one with an opportunity to serve them wholeheartedly, which is ordained by Allah. If one wants to be nice to them after their death, one should adopt the methods mentioned in this Hadith. It needs to be noted that it does not mention the ceremonies like recitation of the Noble Qur'an on the third, seventh and fortieth day after the death of a person, in vogue in our society. All these methods of conveying the reward of virtuous deeds or rites are wrong for the reason that they are neither helpful for the dead nor the living. What really benefits the dead as well as living, is prayer and begging forgiveness from Allah. In this Hadith, these have been regarded as acts of beneficence for the deceased parents. It clearly means that the children will be rewarded for the virtuous acts they do for their parents and the status of the deceased parents will also be elevated in the next world. The acceptance of the prayer in favour of the deceased parents is also confirmed from that Hadith also which tells that death brings to an end all the activities, except the following:

Firstly, an ongoing Sadaqah (Sadaqah Jariyah); like the digging of a well, the building of a mosque, etc.,
Secondly, knowledge which benefits Muslims;
Thirdly, prayers of virtuous offspring.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪২ : পিতা-মাতার ও নিকটাত্মীয়ের বন্ধু, স্ত্রীর সখী এবং যাদের সম্মান করা কর্তব্য তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার মাহাত্ন্য

৩/৩৪৮। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খাদীজা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার প্রতি আমার যতটা ঈর্ষা হতো, ততটা ঈর্ষা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অপর কোন স্ত্রীর প্রতি হতো না। অথচ আমি তাঁকে কখনো দেখিনি। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ সময় তাঁর কথা আলোচনা করতেন এবং যখনই তিনি ছাগল যবাই করতেন, তখনই তার বিভিন্ন অঙ্গ কেটে খাদীজার বান্ধবীদের জন্য উপহারস্বরূপ পাঠাতেন।

আমি তাঁকে মাঝে মধ্যে (রসিকতা ছলে) বলতাম, ’মনে হয় যেন দুনিয়াতে খাদীজা ছাড়া আর কোন মেয়েই নেই।’ তখন তিনি (তাঁর প্রশংসা করে) বলতেন, ’’সে এই রকম ছিল, ঐ রকম ছিল। আর তাঁর থেকেই আমার সন্তান-সন্তুতি।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বকরী যবাই করতেন, তখন খাদীজার বান্ধবীদের নিকট এতটা পরিমাণে মাংস পাঠাতেন, যা তাদের জন্য যথেষ্ট হত।’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বকরী যবাই করতেন, তখন বলতেন, ’’খাদীজার বান্ধবীদের নিকট এই মাংস পাঠিয়ে দাও।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহ বলেন, ’একদা খাদীজার বোন হালা বিনতে খুআইলিদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসার অনুমতি চাইল। তিনি খাদীজার অনুমতি চাওয়ার কথা স্মরণ করলেন, সুতরাং তিনি আনন্দবোধ করলেন এবং বললেন, ’’আল্লাহ! হালা বিনতে খুআইলিদ?’’

এ বর্ণনায় فَارتَاحَ (আনন্দবোধ করলেন) শব্দ এসেছে। আর হুমাইদীর ’আল-জাম’উ বাইনাস সহীহাইন’-এ এসেছে فَارتَاعَ শব্দ। অর্থাৎ তার প্রতি যত্ন নিলেন ও আগ্রহ প্রকাশ করলেন।[1]

(42) - بَابُ فَضْلِ بِرِّ أَصْدِقَاءِ الْأَبِ وَالْأُمِّ وَالْأَقَارِبِ وَالزَّوْجَةِ وَسَائِرِ مَنْ يُّنْدَبُ إِكْرَامُهُ

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ : مَا غِرْتُ عَلَى أحَدٍ مِنْ نِسَاءِ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَة رَضِيَ اللهُ عَنهَا، وَمَا رَأيْتُهَا قَطُّ، وَلَكِنْ كَانَ يُكْثِرُ ذِكْرَهَا، وَرُبَّمَا ذَبَحَ الشَّاةَ، ثُمَّ يقَطِّعُهَا أعْضَاء، ثُمَّ يَبْعثُهَا في صَدَائِقِ خَديجَةَ، فَرُبَّمَا قُلْتُ لَهُ : كَأنْ لَمْ يَكُنْ في الدُّنْيَا إلاَّ خَديجَةَ ‍! فَيَقُولُ: «إنَّهَا كَانَتْ وَكَانَتْ وَكَانَ لي مِنْهَا وَلَدٌ مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وفي رواية : وإنْ كَانَ لَيَذْبَحُ الشَّاءَ، فَيُهْدِي في خَلاَئِلِهَا مِنْهَا مَا يَسَعُهُنَّ .

وفي رواية:كَانَ إِذَا ذبح الشاة، يقولُ: أَرْسِلُوا بِهَا إِلَى أصْدِقَاءِ خَديجَةَ

وفي رواية : قَالَت : اسْتَأذَنتْ هَالَةُ بِنْتُ خُوَيْلِد أُخْتُ خَدِيجَةَ عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَعرَفَ اسْتِئذَانَ خَديجَةَ، فَارتَاحَ لِذَلِكَ، فَقَالَ: اَللهم هَالةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ

قولُهَا: «فَارتَاحَ» هُوَ بالحاء، وفي الجمعِ بَيْنَ الصحيحين للحُميدِي: «فَارتَاعَ» بالعينِ ومعناه : اِهتَمَّ بهِ

وعن عاىشة رضي الله عنها، قالت : ما غرت على احد من نساء النبي صلى الله عليه وسلم ما غرت على خديجة رضي الله عنها، وما رايتها قط، ولكن كان يكثر ذكرها، وربما ذبح الشاة، ثم يقطعها اعضاء، ثم يبعثها في صداىق خديجة، فربما قلت له : كان لم يكن في الدنيا الا خديجة ‍! فيقول: «انها كانت وكانت وكان لي منها ولد متفق عليه وفي رواية : وان كان ليذبح الشاء، فيهدي في خلاىلها منها ما يسعهن . وفي رواية:كان اذا ذبح الشاة، يقول: ارسلوا بها الى اصدقاء خديجة وفي رواية : قالت : استاذنت هالة بنت خويلد اخت خديجة على رسول الله صلى الله عليه وسلم، فعرف استىذان خديجة، فارتاح لذلك، فقال: اللهم هالة بنت خويلد قولها: «فارتاح» هو بالحاء، وفي الجمع بين الصحيحين للحميدي: «فارتاع» بالعين ومعناه : اهتم به

(42) Chapter: Excellence in doing Good to the Friends of Parents and other Relatives


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
I never felt jealous of any of the wives of the Prophet (ﷺ) as much as I did of Khadijah (May Allah be pleased with her), although I have never seen her, but the Prophet (ﷺ) used to mention her very often. Whenever he slaughtered a sheep, he would cut it into pieces and send them to the women friends of Khadijah (May Allah be pleased with her). When I sometimes said to him: "You treat Khadijah in such a way as if there is no woman on earth except her". He (ﷺ) would say, "Khadijah was such and such (commending her and speaking well of her), and I had children from her".

[Al-Bukhari and Muslim].

Another narration is: And if he (ﷺ) slaughtered a sheep, he would send meat to the friends of Khadijah (May Allah be pleased with her) as a present as much as would suffice them.

Another narration is: When a sheep was slaughtered, he (ﷺ) would say, "Send this meat to Khadijah's friends." Once, Halah bint Khuwailid (May Allah be pleased with her), sister of Khadijah (May Allah be pleased with her), sought permission of Messenger of Allah (ﷺ) to enter. He recognized and recalled to his mind the manner of Khadijah (May Allah be pleased with her) and was deeply moved. He said, "O Allah, she must be Halah bint Khuwailid".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith brings out the following five points:
1. A brief reference to the great qualities of Khadijah (May Allah be pleased with her).

2. The love that Messenger of Allah (PBUH) had for Khadijah (May Allah be pleased with her) because of her great qualities.

3. Reference to the kindness which Messenger of Allah (PBUH) continued to show to the women who were close to Khadijah (May Allah be pleased with her).

4. Expression of the sentiments which the remembrance of some deceased friend brings with it. These sentiments can be pleasing as well as painful.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪২ : পিতা-মাতার ও নিকটাত্মীয়ের বন্ধু, স্ত্রীর সখী এবং যাদের সম্মান করা কর্তব্য তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার মাহাত্ন্য

৪/৩৪৯। আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একদা আমি জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ বাজালী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর সাথে সফরে বের হলাম। (আমার চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও) তিনি আমার খিদমত করতেন। সুতরাং আমি তাঁকে বললাম, ’আপনি এমন করবেন না।’ তিনি বললেন, ’আমি আনসারগণকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (অনেক) কিছু করতে দেখেছি। তাই আমি শপথ করেছি যে, তাঁদের মধ্যে যাঁরই সঙ্গী হব, তাঁরই খিদমত করব।’ (মুসলিম) [1]

(42) - بَابُ فَضْلِ بِرِّ أَصْدِقَاءِ الْأَبِ وَالْأُمِّ وَالْأَقَارِبِ وَالزَّوْجَةِ وَسَائِرِ مَنْ يُّنْدَبُ إِكْرَامُهُ

وَعَن أَنَسِ بنِ مَالِكٍ رضي الله عنه، قَالَ : خَرَجتُ مَعَ جَرِيرِ بنِ عَبدِ اللهِ البَجَليّ رضي الله عنه في سَفَرٍ، فَكَانَ يَخْدُمُني، فَقُلْتُ لَهُ : لاَ تَفْعَل، فَقَالَ : إِنِّي قَدْ رَأيْتُ الأنْصَارَ تَصْنَعُ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم شَيئاً آلَيْتُ عَلَى نَفسِي أنْ لاَ أصْحَبَ أحَداً مِنْهُمْ إلاَّ خَدَمْتُهُ . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن انس بن مالك رضي الله عنه، قال : خرجت مع جرير بن عبد الله البجلي رضي الله عنه في سفر، فكان يخدمني، فقلت له : لا تفعل، فقال : اني قد رايت الانصار تصنع برسول الله صلى الله عليه وسلم شيىا اليت على نفسي ان لا اصحب احدا منهم الا خدمته . متفق عليه

(42) Chapter: Excellence in doing Good to the Friends of Parents and other Relatives


Anas bin Malik (May Allah be pleased with him) reported:
I set out along with Jarir bin 'Abdullah Al-Bajali (May Allah be pleased with him) on a journey and he served me. I said to him: "Don't do that." Thereupon, he said, "I have seen the Ansar doing this with Messenger of Allah (ﷺ), and I swore by Allah, whenever I accompany anyone of the Ansar, I would serve him".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary:
1. This Hadith gives a fair idea of the love that the Companions of the Prophet (PBUH) had for him. It was so profound that they regarded it a great honour to serve the servants of the Prophet (PBUH), even if they were younger in age.

2. It also tells of the hospitality of the Companions of the Prophet (PBUH). They neither felt any hesitation in showing respect to their youngers nor were they shy of serving them.

3. The Companions of Messenger of Allah (PBUH) had a friendly, fraternal and faithful relationship with one another and it was founded on a common bond in them - the gratitude for the Prophet (PBUH).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে