পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ ۞وَٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَلَا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡ‍ٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗا وَبِذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡجَارِ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡجَارِ ٱلۡجُنُبِ وَٱلصَّاحِبِ بِٱلۡجَنۢبِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡۗ ﴾ [النساء: ٣٦]

অর্থাৎ “তোমরা আল্লাহর উপাসনা কর ও কোন কিছুকে তাঁর অংশী করো না এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, আত্মীয় ও অনাত্মীয় প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার কর।” (সূরা নিসা ৩৬ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ ٱلَّذِي تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلۡأَرۡحَامَۚ ﴾ [النساء: ١]

অর্থাৎ “সেই আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচ্ঞা কর এবং জ্ঞাতি-বন্ধন ছিন্ন করাকে ভয় কর।” (সূরা নিসা ১ আয়াত)

তিনি অন্যত্র বলেন,

﴿ وَٱلَّذِينَ يَصِلُونَ مَآ أَمَرَ ٱللَّهُ بِهِۦٓ أَن يُوصَلَ ﴾ [الرعد: ٢١]

অর্থাৎ “আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে আদেশ করেছেন যারা তা অক্ষুণ্ণ রাখে।” (সূরা রা’দ ২১ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,

﴿ وَوَصَّيۡنَا ٱلۡإِنسَٰنَ بِوَٰلِدَيۡهِ حُسۡنٗاۖ ﴾ [العنكبوت: ٨]

অর্থাৎ “আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছি।” (সূরা আনকাবূত ৮ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ ۞وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعۡبُدُوٓاْ إِلَّآ إِيَّاهُ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنًاۚ إِمَّا يَبۡلُغَنَّ عِندَكَ ٱلۡكِبَرَ أَحَدُهُمَآ أَوۡ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَآ أُفّٖ وَلَا تَنۡهَرۡهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوۡلٗا كَرِيمٗا ٢٣ وَٱخۡفِضۡ لَهُمَا جَنَاحَ ٱلذُّلِّ مِنَ ٱلرَّحۡمَةِ وَقُل رَّبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ٢٤ ﴾ [الاسراء: ٢٣، ٢٤]

অর্থাৎ “তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তিনি ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করবে না এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে; তাদের এক জন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে বিরক্তিসূচক কিছু বলো না এবং তাদেরকে ভৎর্সনা করো না; বরং তাদের সাথে বলো সম্মানসূচক নরম কথা। অনুকম্পায় তাদের প্রতি বিনয়াবনত থেকো এবং বলো, ’হে আমার প্রতিপালক! তাদের উভয়ের প্রতি দয়া কর; যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছে’।” (সূরা বানী ইস্রাঈল ২৩-২৪ আয়াত)

তিনি অন্যত্র বলেন,

﴿ وَوَصَّيۡنَا ٱلۡإِنسَٰنَ بِوَٰلِدَيۡهِ حَمَلَتۡهُ أُمُّهُۥ وَهۡنًا عَلَىٰ وَهۡنٖ وَفِصَٰلُهُۥ فِي عَامَيۡنِ أَنِ ٱشۡكُرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيۡكَ إِلَيَّ ٱلۡمَصِيرُ ١٤ ﴾ [لقمان: ١٤]

অর্থাৎ “আমি তো মানুষকে তার পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। জননী কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে এবং তার স্তন্যপান ছাড়াতে দু’বছর অতিবাহিত হয়। সুতরাং তুমি আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও।” (সূরা লুকমান ১৪ আয়াত)


১/৩১৭। আবূ আব্দুর রাহমান আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, ’কোন্ আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়?’ তিনি বললেন, ’’যথা সময়ে নামায আদায় করা।’’ আমি বললাম, ’তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ’’পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করা।’’ আমি বললাম, ’তারপর কোনটি?’ তিনি বললেন, ’’আল্লাহর পথে জিহাদ করা।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن أَبي عَبدِ الرَّحمَانِ عَبدِ اللهِ بنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه، قَالَ : سَأَلتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم : أيُّ العَمَلِ أحَبُّ إِلَى اللهِ تَعَالَى ؟ قَالَ: «الصَّلاةُ عَلَى وَقْتِهَا»، قُلْتُ : ثُمَّ أيٌّ ؟ قَالَ: «بِرُّ الوَالِدَيْنِ»، قُلْتُ : ثُمَّ أيٌّ؟ قَالَ: «الجِهَادُ في سبيلِ الله». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ابي عبد الرحمان عبد الله بن مسعود رضي الله عنه، قال : سالت النبي صلى الله عليه وسلم : اي العمل احب الى الله تعالى ؟ قال: «الصلاة على وقتها»، قلت : ثم اي ؟ قال: «بر الوالدين»، قلت : ثم اي؟ قال: «الجهاد في سبيل الله». متفق عليه

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Allah, the Exalted, says:

"Worship Allah and join none with Him (in worship); and do good to parents, kinsfolk, orphans, Al-Masakin (the poor), the neighbour who is near of kin, the neighbour who is a stranger, the companion by your side, the wayfarer (you meet), and those (slaves) whom your right hands possess". (4:36)

"And fear Allah through Whom you demand (your mutual rights), and (do not cut the relations of) the wombs (kinship)". (4:1)

"And those who join that which Allah has commanded to be joined (i.e., they are good to their relatives and do not sever the bond of kinship)". (13:21)

"And we have enjoined on man to be good and dutiful to his parents". (29:8)

"And your Rubb has decreed that you worship none but Him. And that you be dutiful to your parents. If one of them or both of them attain old age in your life, say not to them a word of disrespect, nor shout at them but address them in terms of honour. And lower unto them the wing of submission and humility through mercy, and say: `My Rubb! Bestow on them Your Mercy as they did bring me up when I was young". (17:23,24)

"And We have enjoined on man (to be dutiful and good) to his parents. His mother bore him in weakness and hardship upon weakness and hardship, and his weaning is in two years- give thanks to Me and to your parents". (31:14)
-----

'Abdullah bin Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
I asked the Prophet (ﷺ) , "Which of the deeds is loved most by Allah?" Messenger of Allah (ﷺ) said, "Salat at its proper time." I asked, ''What next?" He (ﷺ) replied, ''Kindness to parents." I asked, ''What next?" He replied, ''Jihad in the way of Allah."

[Al-Bukhari and Muslim]

Commentary: Performance of Salat at the stated time means its performance in earliest prescribed or at least its regularity. One should not give preference to mundane affairs over it. Salat and Jihad are the two most meritorious duties of a Muslim. When nice treatment to parents is mentioned along with Salat and Jihad, it gives further importance to this injunction.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

২/৩১৮। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’কোন সন্তান (তার) পিতার ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না। কিন্তু সে যদি তার পিতাকে ক্রীতদাসরূপে পায় এবং তাকে কিনে মুক্ত করে দেয়। (তাহলে তা পরিশোধ হতে পারে।)’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لا يَجْزِي وَلَدٌ وَالِداً إلاَّ أنْ يَجِدَهُ مَمْلُوكاً، فَيَشْتَرِيهُ فَيُعْتِقَهُ»رواه مسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لا يجزي ولد والدا الا ان يجده مملوكا، فيشتريه فيعتقه»رواه مسلم

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "No son can repay (the kindness shown by his father) unless he finds him a slave and buys him and emancipates him".

[Muslim].

Commentary: This Hadith also brings out the eminence of parents and outstanding importance of their rights.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

৩/৩১৯। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহেমানের খাতির করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুণ্ণ রাখে। এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে, নচেৎ চুপ থাকে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَنهُ أَيضاً رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ باللهِ وَاليَومِ الآخِرِ، فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ باللهِ وَاليَومِ الآخِرِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ، وَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَومِ الآخِرِ، فَلْيَقُلْ خَيْراً أَوْ لِيَصْمُتْ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعنه ايضا رضي الله عنه : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «من كان يومن بالله واليوم الاخر، فليكرم ضيفه، ومن كان يومن بالله واليوم الاخر، فليصل رحمه، ومن كان يومن بالله واليوم الاخر، فليقل خيرا او ليصمت». متفق عليه

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who believes in Allah and the Last Day, let him be hospitable to his guest; and he who believes in Allah and the Last Day, let him maintain good the ties of blood relationship; and he who believes in Allah and the Last Day, must speak good or remain silent".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith is mentioned here to highlight the importance of kindness to relatives. It enjoins considerate treatment to relatives and stresses that one should maintain relationship with them at all costs. So much so that even if they misbehave and sever relations with him, one should make efforts to restore not only relationship with them but also their rights. This is what kindness to relatives really means. Islam has laid great stress on it. Relatives include both paternal and maternal relatives.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

৪/৩২০। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ সকল কিছুকে সৃষ্টি করলেন। অতঃপর যখন তিনি সৃষ্টি কাজ শেষ করলেন, তখন আত্মীয়তার সম্পর্ক উঠে বলল, ’(আমার এই দন্ডায়মান হওয়াটা) আপনার নিকট বিচ্ছিন্নতা থেকে আশ্রয়প্রার্থীর দন্ডায়মান হওয়া।’ তিনি (আল্লাহ) বললেন, ’হ্যাঁ তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তোমার সাথে যে সুসম্পর্ক রাখবে, আমিও তার সাথে সুসম্পর্ক রাখব। আর যে তোমার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করব।’ সে (রক্ত সম্পর্ক) বলল, ’অবশ্যই।’ আল্লাহ বললেন, ’তাহলে এ মর্যাদা তোমাকে দেওয়া হল।’’

অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তোমরা চাইলে (এ আয়াতটি) পড়ে নাও; ’ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সম্ভবতঃ তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং তোমাদের আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। ওরা তো তারা, যাদেরকে আল্লাহ অভিশপ্ত করে বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেন।’’ (সূরা মুহাম্মাদ ২২-২৩ আয়াত) (বুখারী ও মুসলিম) বুখারীর অন্য বর্ণনায় ভিন্ন শব্দ বর্ণিত হয়েছে। [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَنهُ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «إنَّ اللهَ تَعَالَى خَلَقَ الخَلْقَ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْهُمْ قَامَتِ الرَّحِمُ، فَقَالَتْ : هَذَا مَقَامُ العَائِذِ بِكَ مِنَ القَطِيعةِ، قَالَ : نَعَمْ، أمَا تَرْضَيْنَ أنْ أصِلَ مَنْ وَصَلَكِ، وَأقْطَعَ مَنْ قَطَعَكِ ؟ قَالَتْ : بَلَى، قَالَ : فَذَلِكَ لَكِ، ثُمَّ قَالَ رَسُول الله صلى الله عليه وسلم: «اقْرَؤُوا إنْ شِئْتمْ: ﴿ فهل عسيتم إن توليتم أن تفسدوا في الأرض وتقطعوا أرحامكم‏.‏ أولئك الذين لعنهم الله فأصمهم وأعمى أبصارهم٢٣ ﴾ [محمد: ٢٢، ٢٣] مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وفي رواية للبخاري : فَقَالَ الله تَعَالَى: مَنْ وَصَلَكِ، وَصَلْتُهُ، وَمَنْ قَطَعَكِ، قَطَعْتُهُ

وعنه، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «ان الله تعالى خلق الخلق حتى اذا فرغ منهم قامت الرحم، فقالت : هذا مقام العاىذ بك من القطيعة، قال : نعم، اما ترضين ان اصل من وصلك، واقطع من قطعك ؟ قالت : بلى، قال : فذلك لك، ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اقرووا ان شىتم: ﴿ فهل عسيتم ان توليتم ان تفسدوا في الارض وتقطعوا ارحامكم‏.‏ اولىك الذين لعنهم الله فاصمهم واعمى ابصارهم٢٣ ﴾ [محمد: ٢٢، ٢٣] متفق عليه وفي رواية للبخاري : فقال الله تعالى: من وصلك، وصلته، ومن قطعك، قطعته

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah created all the creatures and when He finished the task of His creation, Ar-Rahm (ties of relationship) said: '(O Allah) at this place I seek refuge with You against severing my ties.' Allah said: 'That I treat with kindness those who treat you with kindness and sever ties with those who sever ties with you.' It said: 'I am satisfied.' Allah said: 'Then this is yours". Then Messenger of Allah (ﷺ) said, "Recite this Ayah if you like: 'Would you then, if you were given the authority, do mischief in the land, and sever your ties of kinship? Such are they whom Allah has cursed, so that He has made them deaf and blinded their sight". (47:22,23).

[Al-Bukhari and Muslim].

The words in Al-Bukhari are: Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah (SWT) says: 'He who maintains good ties with you, I maintain good ties with him; and he who severs your ties, I sever ties with him".

Commentary: This Hadith also stresses the importance of proper treatment with relatives for the reason that this is a special means of attaining the nearness and Mercy of Allah. A conduct contrary to it, that is to say, devouring the rights of relatives and continuation of estrangement with them, is the cause of displeasure and Wrath of Allah


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

৫/৩২১। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, একটি লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমার কাছ থেকে সদ্ব্যবহার পাওয়ার বেশী হকদার কে?’ তিনি বললেন, ’’তোমার মা।’’ সে বলল, ’তারপর কে?’ তিনি বললেন, ’’তোমার মা।’’ সে বলল, ’তারপর কে?’ তিনি বললেন, ’’তোমার মা।’’ সে বলল, ’তারপর কে?’ তিনি বললেন, ’’তোমার বাপ।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’হে আল্লাহর রাসূল! সদ্ব্যবহার পাওয়ার বেশী হকদার কে?’ তিনি বললেন, ’’তোমার মা, তারপর তোমার মা, তারপর তোমার মা, তারপর তোমার বাপ, তারপর যে তোমার সবচেয়ে নিকটবর্তী।’’

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَنهُ رضي الله عنه، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: يَا رَسُولَ الله، مَنْ أحَقُّ النَّاسِ بِحُسْنِ صَحَابَتِي ؟ قَالَ: «أُمُّكَ»قَالَ : ثُمَّ مَنْ ؟ قَالَ: «أُمُّكَ»، قَالَ : ثُمَّ مَنْ ؟ قَالَ : «أُمُّكَ»، قَالَ : ثُمَّ مَنْ ؟ قَالَ: «أبُوكَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وفي رواية : يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، مَنْ أَحَقُّ بحُسْنِ الصُّحْبَةِ ؟ قَالَ: أُمُّكَ، ثُمَّ أُمُّكَ، ثُمَّ أُمُّكَ، ثُمَّ أَبَاكَ، ثُمَّ أدْنَاكَ أدْنَاكَ

والصَّحابة « بمعنى : الصُّحبةِ . وقوله : » ثُمَّ أباك « هَكَذا هو منصوب بفعلٍ محذوف،ٍ أي ثم برَّ أَباك
وفي رواية : » ثُمَّ أَبُوكَ « وهذا واضِح .

وعنه رضي الله عنه، قال: جاء رجل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: يا رسول الله، من احق الناس بحسن صحابتي ؟ قال: «امك»قال : ثم من ؟ قال: «امك»، قال : ثم من ؟ قال : «امك»، قال : ثم من ؟ قال: «ابوك». متفق عليه وفي رواية : يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، من احق بحسن الصحبة ؟ قال: امك، ثم امك، ثم امك، ثم اباك، ثم ادناك ادناك والصحابة « بمعنى : الصحبة . وقوله : » ثم اباك « هكذا هو منصوب بفعل محذوف، اي ثم بر اباك وفي رواية : » ثم ابوك « وهذا واضح .

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
A person came to Messenger of Allah (ﷺ) and asked, "Who among people is most deserving of my fine treatment?" He (ﷺ) said, "Your mother". He again asked, ''Who next?" "Your mother", the Prophet (ﷺ) replied again. He asked, "Who next?" He (the Prophet (ﷺ)) said again, "Your mother." He again asked, "Then who?" Thereupon he (ﷺ) said," Then your father."

In another narration: "O Messenger of Allah! Who is most deserving of my fine treatment?" He (ﷺ) said, "Your mother, then your mother, then your mother, then your father, then your nearest, then nearest".

[Al-Bukhari and Muslim].

[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith tells us that the rights of the mother are three times more important than that of the father for the reasons that:
1 She is weaker than the father.

2. The following three troubles are borne exclusively by the mother while the father does not share them with her:

a) She carries the baby in her womb for nine months,
b) The labor pain which she suffers.
c) Two years' period of suckling which disturbs her sleep at night and affects her health. She has also to be very cautious in her food for the welfare of the baby.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

৬/৩২২। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’তার নাক ধূলিধূসরিত হোক, অতঃপর তার নাক ধূলিধূসরিত হোক, অতঃপর তার নাক ধূলিধূসরিত হোক, যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে বৃদ্ধ অবস্থায় পেল; একজনকে অথবা দু’জনকেই। অতঃপর সে (তাদের খিদমত ক’রে) জান্নাত যেতে পারল না।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَنهُ، عَنِ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «رَغِمَ أَنفُ، ثُمَّ رَغِمَ أنْفُ، ثُمَّ رَغِمَ أنْفُ مَنْ أدْرَكَ أبَويهِ عِنْدَ الكِبَرِ، أَحَدهُما أَوْ كِليهمَا فَلَمْ يَدْخُلِ الجَنَّةَ». رواه مسلم

وعنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «رغم انف، ثم رغم انف، ثم رغم انف من ادرك ابويه عند الكبر، احدهما او كليهما فلم يدخل الجنة». رواه مسلم

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "May he be disgraced! May he be disgraced! May he be disgraced, whose parents, one or both, attain old age during his life time, and he does not enter Jannah (by rendering being dutiful to them)".

[Muslim].

Commentary: The word ``Ragham'' means soil. When a person's nose is soiled, it is a mark of his extreme humiliation. This metaphor carries a curse for an unfortunate person who does not win the pleasure of Allah by serving and obeying his parents. In fact, it is a malediction as well as a prediction of someone's inauspicious end.Service of parents is essential at every stage of their life - whether they are young or old. But this Hadith mentions their old age for the reason that in that period of their life they stand in greater need of care and service. It is a very callous offense to leave them at the mercy of circumstances when they are old, senile and depend on others for their needs. To neglect them at that stage is a major sin for which one deserves Hell-fire.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

৭/৩২৩। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকেই বর্ণিত, এক ব্যক্তি বলল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমার কিছু আত্মীয় আছে, আমি তাদের সাথে আত্মীয়তা বজায় রাখি, আর তারা ছিন্ন করে। আমি তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করি, আর তারা আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে। তারা কষ্ট দিলে আমি সহ্য করি, আর তারা আমার সাথে মূর্খের আচরণ করে।’ তিনি বললেন, ’’যদি তা-ই হয়, তাহলে তুমি যেন তাদের মুখে গরম ছাই নিক্ষেপ করছ (অর্থাৎ এ কাজে তারা গোনাহগার হয়।) এবং তোমার সাথে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্যকারী থাকবে; যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি এর উপর অনড় থাকবে।’’ (মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَنهُ رضي الله عنه : أَنَّ رَجُلاً قَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إنَّ لِي قَرَابةً أصِلُهُمْ وَيَقْطَعُوني، وَأُحْسِنُ إلَيْهِمْ وَيُسِيئُونَ إلَيَّ، وَأحْلَمُ عَنْهُمْ وَيَجْهَلُونَ عَلَيَّ، فَقَالَ: «لَئِنْ كُنْتَ كَمَا قُلْتَ، فَكأنَّمَا تُسِفُّهُمْ الْمَلَّ، وَلاَ يَزَالُ مَعَكَ مِنَ اللهِ ظَهِيرٌ عَلَيْهِمْ مَا دُمْتَ عَلَى ذَلِكَ». رواه مسلم

وتسِفُّهُمْ « بضم التاءِ وآسرِ السين المهملةِ وتشديد الفاءِ . » والمَلُّ « بفتحِ الميم ، وتشديد اللام وهوالرَّماد الحارُّ : أَيْ آأَنَّمَا تُطْعِمُهُمْ الرَّماد الحارَّ وهُو تَشبِيهٌ لِما يلْحَقُهمْ مِنَ الإِثم بِما يَلْحقُ آآِلَ الرَّمادِ مِنَ الإِثمِ، ولا شئَ على المُحْسِنِ إِلَيْهِمْ ، لَكِنْ يَنَالهُمْ إِثْمٌ عَظَيمٌ بَتَقْصيِرهِم في حَقِه ، وإِدخَالِهِمُ الأَذَى عَلَيْهِ، واللَّه أعلم.

وعنه رضي الله عنه : ان رجلا قال : يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، ان لي قرابة اصلهم ويقطعوني، واحسن اليهم ويسيىون الي، واحلم عنهم ويجهلون علي، فقال: «لىن كنت كما قلت، فكانما تسفهم المل، ولا يزال معك من الله ظهير عليهم ما دمت على ذلك». رواه مسلم وتسفهم « بضم التاء واسر السين المهملة وتشديد الفاء . » والمل « بفتح الميم ، وتشديد اللام وهوالرماد الحار : اي اانما تطعمهم الرماد الحار وهو تشبيه لما يلحقهم من الاثم بما يلحق اال الرماد من الاثم، ولا شى على المحسن اليهم ، لكن ينالهم اثم عظيم بتقصيرهم في حقه ، وادخالهم الاذى عليه، والله اعلم.

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
A man said to Messenger of Allah (ﷺ): "I have relatives with whom I try to keep the ties of relationship but they sever relations with me; and whom I treat kindly but they treat me badly, I am gentle with them but they are rough to me." He (ﷺ) replied, "If you are as you say, it is as if you are feeding them hot ashes, and you will be with a supporter against them from Allah as long as you continue to do so".

[Muslim].

Commentary: This Hadith has three important lessons:
First, the misbehaviour of one's relative is no justification for the misbehaviour of another, let alone the severing of relations on that account.

Second, the person who treats his relatives nicely in all events and circumstances is blessed by Allah Who will send from heaven helpers to support him.

Third, the consequence of denying compassion and kindness to relatives is as woeful as the eating of hot ashes.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

৮/৩২৪। আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’যে ব্যক্তি চায় যে, তার রুযী (জীবিকা) প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বৃদ্ধি হোক, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن أَنَسٍ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ : «مَن أحَبَّ أنْ يُبْسَطَ لَهُ فِي رِزْقِهِ، ويُنْسأَ لَهُ فِي أثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن انس رضي الله عنه : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال : «من احب ان يبسط له في رزقه، وينسا له في اثره، فليصل رحمه». متفق عليه

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who desires ample provisions and his life be prolonged, should maintain good ties with his blood relations".
[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: One who is benevolent and compassionate towards one's own relatives, stands to gain at least two definite advantages in this world besides the reward in the next. These two advantages are the increase in his subsistence and longevity of life.

Increase in subsistence means that Almighty Allah will increase the quantity of his worldly goods or his means of subsistence will be blessed by Him. Similar is the case of longevity of life. The life of such person is either actually increased (in terms of years) or his life is graced with the Blessings of Allah. Both interpretations are correct.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

৯/৩২৫। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, মদ্বীনার আনসারীগণের মধ্যে আবূ তালহা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু সবচেয়ে অধিক খেজুর বাগানের মালিক ছিলেন। মসজিদে নববীর নিকটবর্তী বায়রুহা নামক বাগানটি তাঁর কাছে অধিক প্রিয় ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বাগানে প্রবেশ করে সুপেয় পানি পান করতেন। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল; যার অর্থ, ’’তোমরা কখনও পুণ্য লাভ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস আল্লাহর পথে ব্যয় করেছ।’’ (আলে ইমরান ৯২আয়াত)

তখন আবূ তালহা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে বললেন, ’ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহ আপনার উপর (আয়াত) অবতীর্ণ করে বলেছেন, ’’তোমরা কখনও পুণ্য লাভ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমাদের প্রিয় জিনিস আল্লাহর পথে ব্যয় করেছ।’’ আর বায়রুহা বাগানটি আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয়। এটি আল্লাহর নামে সদকাহ করা হল। আমি এর কল্যাণ কামনা করি এবং তা আল্লাহর নিকট আমার জন্য জমা হয়ে থাকবে। কাজেই আপনি যাকে দান করা ভাল মনে করেন, তাকে দান করে দিন।’

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’আরে! এ হচ্ছে লাভজনক সম্পদ। এ হচ্ছে লাভজনক সম্পদ। তুমি যা বলেছ, তা শুনেছি। আমি মনে করি, তুমি তোমার আপন-জনদের মধ্যে তা বণ্টন করে দাও।’’ আবূ তালহা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, ’ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তাই করব।’ তারপর তিনি তাঁর আত্মীয়-স্বজন, আপন চাচার বংশধরদের মধ্যে তা বণ্টন করে দিলেন। (বুখারী-মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

عَن أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ : كَانَ أَبُو طَلْحَةَ رضي الله عنه أكْثَرَ الأنْصَار بالمَدِينَةِ مَالاً مِنْ نَخْل، وَكَانَ أَحَبُّ أمْوالِهِ إِلَيْه بَيْرُحَاء، وَكَانتْ مُسْتَقْبلَةَ المَسْجِدِ وَكَانَ رَسُول الله صلى الله عليه وسلم يَدْخُلُهَا وَيَشْرَبُ مِنْ مَاءٍ فِيهَا طَيِّب . قَالَ أنَسٌ : فَلَمَّا نَزَلَتْ هذِهِ الآيةُ: ﴿ لن تنالوا البر حتى تنفقوا مما تحبون﴾ [ال عمران: ٩٢] قام أَبُو طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ : يَا رَسُولَ الله، إنَّ الله تَعَالَى أنْزَلَ عَلَيْكَ : ﴿ لن تنالوا البر حتى تنفقوا مما تحبون﴾ وَإنَّ أَحَبَّ مَالِي إِلَيَّ بَيْرُحَاءُ، وَإنَّهَا صَدَقَةٌ للهِ تَعَالَى، أرْجُو بِرَّهَا، وَذُخْرَهَا عِنْدَ الله تَعَالَى، فَضَعْهَا يَا رَسُول الله حَيْثُ أرَاكَ الله، فَقَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم: بَخ ! ذلِكَ مَالٌ رَابحٌ، ذلِكَ مَالٌ رَابحٌ، وقَدْ سَمِعْتُ مَا قُلْتَ، وَإنِّي أرَى أنْ تَجْعَلَهَا في الأقْرَبينَ»، فَقَالَ أَبُو طَلْحَةَ : أفْعَلُ يَا رَسُولَ الله، فَقَسَّمَهَا أَبُو طَلْحَةَ في أقَارِبِهِ، وبَنِي عَمِّهِ . مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

عن انس رضي الله عنه، قال : كان ابو طلحة رضي الله عنه اكثر الانصار بالمدينة مالا من نخل، وكان احب امواله اليه بيرحاء، وكانت مستقبلة المسجد وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يدخلها ويشرب من ماء فيها طيب . قال انس : فلما نزلت هذه الاية: ﴿ لن تنالوا البر حتى تنفقوا مما تحبون﴾ [ال عمران: ٩٢] قام ابو طلحة الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال : يا رسول الله، ان الله تعالى انزل عليك : ﴿ لن تنالوا البر حتى تنفقوا مما تحبون﴾ وان احب مالي الي بيرحاء، وانها صدقة لله تعالى، ارجو برها، وذخرها عند الله تعالى، فضعها يا رسول الله حيث اراك الله، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: بخ ! ذلك مال رابح، ذلك مال رابح، وقد سمعت ما قلت، واني ارى ان تجعلها في الاقربين»، فقال ابو طلحة : افعل يا رسول الله، فقسمها ابو طلحة في اقاربه، وبني عمه . متفق عليه

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
Abu Talhah (May Allah be pleased with him) was the richest among the Ansar of Al-Madinah and possessed the largest property; and among his possessions what he loved most was his garden known as Bairuha' which was opposite the mosque, and Messenger of Allah (ﷺ) often visited it and drank from its fresh water. When this ayah was revealed: "By no means shall you attain Al-Birr (piety, righteousness - here it means Allah's reward, i.e., Jannah), unless you spend (in Allah's Cause) of that which you love," (3:92). Abu Talhah came to Messenger of Allah (ﷺ), and said: "Allah says in His Book: 'By no means shall you attain Al-Birr, unless you spend (in Allah's Cause) of that which you love,' and the dearest of my property is Bairuha' so I have given it as Sadaqah (charity) for Allah's sake, and I anticipate its reward with Him; so spend it, O Messenger of Allah, as Allah guides you". Messenger of Allah (ﷺ) said, "Well-done! That is profitable property. I have heard what you have said, but I think you should spend it on your nearest relatives." So Abu Talhah distributed it among his nearest relatives and cousins.

[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith has already been mentioned in the chapter which deals with the merits of spending of what one loves best in the way of Allah. It has been repeated here in support of benevolence to the relatives. Its repetition makes it clear that while spending in the way of Allah, one should always first of all consider his relatives and help those of them who deserve assistance. After fulfilling their needs, if anything remains then it can be given to others.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

১০/৩২৬। আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল ’আস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, এক ব্যক্তি আল্লাহর নবীর নিকট এসে বলল, ’আমি আপনার সঙ্গে আল্লাহ তা’আলার কাছে নেকী পাওয়ার উদ্দেশ্যে হিজরত এবং জিহাদের বায়’আত করছি।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তোমার পিতা-মাতার মধ্যে কি কেউ জীবিত আছে?’’ সে বলল, ’জী হ্যাঁ; বরং দু’জনই জীবিত রয়েছে।’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তুমি আল্লাহ তা’আলার কাছে নেকী পেতে চাও?’’ সে বলল, ’জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি তোমার পিতা-মাতার নিকট ফিরে যাও এবং উত্তমরূপে তাদের খিদমত কর।’’ (বুখারী, আর শব্দগুলি মুসলিমের) [1]

উভয়ের অন্য এক বর্ণনায় আছে, এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে জিহাদ করার অনুমতি চাইল। তিনি বললেন, ’’তোমার পিতা-মাতা কি জীবিত আছে?’’ সে বলল, ’জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ’’অতএব তুমি তাদের (সেবা করার) মাধ্যমে জিহাদ কর।’’

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ : أقبلَ رَجُلٌ إِلَى نَبيِّ الله صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ : أُبَايِعُكَ عَلَى الهِجْرَةِ وَالجِهَادِ أَبْتَغي الأَجْرَ مِنَ الله تَعَالَى . قَالَ: «فَهَلْ لَكَ مِنْ وَالِدَيْكَ أحَدٌ حَيٌّ؟» قَالَ : نَعَمْ، بَلْ كِلاهُمَا. قَالَ: «فَتَبْتَغي الأجْرَ مِنَ الله تَعَالَى؟» قَالَ : نَعَمْ. قَالَ: «فارْجِعْ إِلَى وَالِدَيْكَ، فَأحْسِنْ صُحْبَتَهُمَا». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ، وهذا لَفْظُ مسلِم .

وفي رواية لَهُمَا: جَاءَ رَجُلٌ فَاسْتَأذَنَهُ في الجِهَادِ، فقَالَ: أحَيٌّ وَالِداكَ ؟ قَالَ : نَعَمْ، قَالَ: فَفيهِمَا فَجَاهِدْ

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما، قال : اقبل رجل الى نبي الله صلى الله عليه وسلم، فقال : ابايعك على الهجرة والجهاد ابتغي الاجر من الله تعالى . قال: «فهل لك من والديك احد حي؟» قال : نعم، بل كلاهما. قال: «فتبتغي الاجر من الله تعالى؟» قال : نعم. قال: «فارجع الى والديك، فاحسن صحبتهما». متفق عليه، وهذا لفظ مسلم . وفي رواية لهما: جاء رجل فاستاذنه في الجهاد، فقال: احي والداك ؟ قال : نعم، قال: ففيهما فجاهد

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


'Abdullah bin 'Amr bin Al-'as (May Allah be pleased with them) reported:
A man came to the Prophet (ﷺ) of Allah and said, "I swear allegiance to you for emigration and Jihad, seeking reward from Allah." He (ﷺ) said, "Is any of your parents alive?" He said, "Yes, both of them are alive." He (ﷺ) then asked, "Do you want to seek reward from Allah?" He replied in the affirmative. Thereupon Messenger of Allah (ﷺ) said, "Go back to your parents and keep good company with them".

[Al-Bukhari and Muslim].

In another narration it is reported that a person came to Messenger of Allah (ﷺ) and sought his permission to participate in Jihad. The Prophet (ﷺ) asked, "Are your parents alive?" He replied in the affirmative. The Prophet a(ﷺ) said, "(You should) consider their service as Jihad."

Commentary: Under normal circumstances, Jihad is Fard Kifayah (collective duty -- which means that if some people observe it, the rest of the Muslims will be exempted from its obligation). In such circumstances permission of parents to participate in Jihad is necessary because their service is Fard-ul-`ain (individual duty -- an injunction or ordinance, the obligation of which extends to every Muslim in person), and the former cannot be preferred to the latter. This Hadith explains such a situation. In certain circumstances, however, Jihad becomes Fard-ul-`ain and in that case permission of the parents to take part in Jihad is not essential because then every Muslim is duty-bound to take part in it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

১১/৩২৭। আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল ’আস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’সেই ব্যক্তি সম্পর্ক বজায়কারী নয়, যে সম্পর্ক বজায় করার বিনিময়ে বজায় করে। বরং প্রকৃত সম্পর্ক বজায়কারী হল সেই ব্যক্তি, যে কেউ তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলে সে তা কায়েম করে।’’ (বুখারী) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَنه، عَنِ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «لَيْسَ الوَاصِلُ بِالمُكَافِئ، وَلكِنَّ الوَاصِلَ الَّذِي إِذَا قَطَعَتْ رَحِمُهُ وَصَلَهَا». رواه البخاري

وعنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «ليس الواصل بالمكافى، ولكن الواصل الذي اذا قطعت رحمه وصلها». رواه البخاري

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


'Abdullah bin 'Amr Al-'as (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "The person who perfectly maintains the ties of kinship is not the one who does it because he gets recompensed by his relatives (for being kind and good to them), but the one who truly maintains the bonds of kinship is the one who persists in doing so even though the latter has severed the ties of kinship with him".

[Al-Bukhari].

Commentary: This Hadith makes clear the essentials of kindness to relatives. Those kinsmen who respect and honour you, would obviously be treated by you fairly. It goes without saying that people usually reciprocate sentiments showed to them. But this is not maintaining the ties of kinship but kindness for kindness. On the opposite side, there is a kinsman who is rough and rude and is always bent upon severing relation with you, but you tolerate his excesses with patience and perseverance, return his harshness with politeness, maintain relationship with him in spite of all his efforts to break it, then what you are exercising is maintaining the ties of kinship. This is what Islam actually demands from a Muslim. But this is the excellence of Faith which one must try to attain. There is nothing remarkable in exchanging dry smiles.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

১২/৩২৮। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’জ্ঞাতিবন্ধন আরশে ঝুলন্ত আছে এবং সে বলছে, ’যে আমাকে অবিচ্ছিন্ন রাখবে, আল্লাহ তাঁর সম্পর্ক তার সাথে অবিচ্ছিন্ন রাখবেন। আর যে আমাকে বিচ্ছিন্ন করবে, আল্লাহ তাঁর সম্পর্ক তার সাথে বিচ্ছিন্ন করবেন।’’ (বুখারী, মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن عَائِشَةَ، قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «الرَّحِمُ مُعَلَّقَةٌ بِالعَرْشِ تَقُولُ : مَنْ وَصَلَنِي، وَصَلَهُ اللهُ، وَمَنْ قَطَعَنِي، قَطَعَهُ اللهُ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن عاىشة، قالت : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «الرحم معلقة بالعرش تقول : من وصلني، وصله الله، ومن قطعني، قطعه الله». متفق عليه

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "The bond of relationship is suspending from the Throne, and says: 'He who keeps good relations with me, Allah will keep connection with him, but whosoever severs relations with me, Allah will sever connection with him".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: The discourse on compassion to relatives mentioned in this Hadith is not impossible because Almighty Allah is Omnipotent and is thus Capable of doing what He likes. He can create perception, consciousness and power of speech in everything. An instance of it has already been mentioned in a Hadith quoted earlier.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

১৩/৩২৯। উম্মুল মু’মেনীন মায়মূনাহ বিনতিল হারেস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা কর্তৃক বর্ণিত, তিনি তাঁর একটি ক্রীতদাসীকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুমতি না নিয়েই মুক্ত করলেন। অতঃপর যখন ঐ দিন এসে পৌঁছল, যেদিন তাঁর কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যাওয়ার পালা, তখন মায়মূনাহ বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি যে আমার ক্রীতদাসীকে মুক্ত করে দিয়েছি, আপনি কি তা বুঝতে পেরেছেন?’ তিনি বললেন, ’’তুমি কি (সত্যই) এ কাজ করেছ?’’ মায়মূনা বললেন, ’জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ’’তুমি যদি ক্রীতদাসীটিকে তোমার মামাদেরকে দিতে, তাহলে তুমি বেশী সওয়াব পেতে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن أُمِّ الْمُؤمِنِينَ مَيمُونَةَ بِنتِ الحَارِثِ رَضِيَ اللهُ عَنهَا: أنَّهَا أعْتَقَتْ وَلِيدَةً وَلَمْ تَستَأذِنِ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُهَا الَّذِي يَدُورُ عَلَيْهَا فِيهِ، قَالَتْ: أشَعَرْتَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أنِّي أعتَقْتُ وَلِيدَتِي؟ قَالَ: «أَوَ فَعَلْتِ؟» قَالَتْ: نَعَمْ. قَالَ: « أما إنَّكِ لَوْ أعْطَيْتِهَا أخْوَالَكِ كَانَ أعْظَمَ لأََِجْرِكِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ام المومنين ميمونة بنت الحارث رضي الله عنها: انها اعتقت وليدة ولم تستاذن النبي صلى الله عليه وسلم، فلما كان يومها الذي يدور عليها فيه، قالت: اشعرت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، اني اعتقت وليدتي؟ قال: «او فعلت؟» قالت: نعم. قال: « اما انك لو اعطيتها اخوالك كان اعظم لاجرك». متفق عليه

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


It has been narrated that Maimuna bint Al-Harith (May Allah be pleased with her) had set free a slave-girl without the Prophet's permission. When her turn came (the Prophet (ﷺ) used to visit his wives in turns), she made mention of that to him saying, "Did you know I have set slave-girl free?" He said, "Have you, indeed?" She replied, "Yes". He (ﷺ) then remarked, "Had you given her to your maternal uncles, you would have your reward increased".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith brings out the following two points:
1) A woman is free to spend anything of her own property without the permission of her husband, but not of things owned by her husband.

2) To spend on the needy relatives is more meritorious than to set a slave free because to set a slave free is a Sadaqah (charity) only, while paying Sadaqah to a kinsman has a double merit as it carries the reward of Sadaqah as well as "maintaining the ties of kinship.''


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

১৪/৩৩০। আসমা বিন্‌তে আবূ বকর সিদ্দীক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে আমার অমুসলিম মা আমার কাছে এল। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম; বললাম, ’আমার মা (ইসলাম) অপছন্দ করা অবস্থায় (আমার সম্পদের লোভ রেখে) আমার নিকট এসেছে, আমি তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখব কি?’ তিনি বললেন, ’’হ্যাঁ, তুমি তোমার মায়ের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখ।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن أسماءَ بِنتِ أَبي بَكرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَتْ : قَدِمَتْ عَلَيَّ أُمِّي وَهِيَ مُشرِكَةٌ في عَهْدِ رسولِ الله صلى الله عليه وسلم، فاسْتَفْتَيْتُ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم، قُلْتُ : قَدِمَتْ عَلَيَّ أُمِّي وَهِيَ رَاغِبَةٌ، أفَأصِلُ أُمِّي ؟ قَالَ: «نَعَمْ، صِلِي أُمَّكِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن اسماء بنت ابي بكر الصديق رضي الله عنهما، قالت : قدمت علي امي وهي مشركة في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم، فاستفتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم، قلت : قدمت علي امي وهي راغبة، افاصل امي ؟ قال: «نعم، صلي امك». متفق عليه

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Asma' bint Abu Bakr As-Siddiq (May Allah be pleased with her) said:
My mother came to me while she was still a polytheist, so I asked Messenger of Allah (ﷺ), "My mother, who is ill-disposed to Islam, has come to visit me. Shall I maintain relations with her?" He (ﷺ) replied, "Yes, maintain relations with your mother".

[Al- Bukhari and Muslim].

Commentary: The woman mentioned in this Hadith had come from Makkah to Al-Madinah. What this Hadith signifies is that it is essential to be kind to parents even if they are Mushrikun (polytheists) and Kuffar (disbelievers). This has also been clearly ordained in the Noble Qur'an: ``... but behave with them in the world kindly". (31:15).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

১৫/৩৩১। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর স্ত্রী যায়নাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’হে মহিলাগণ! তোমরা সাদকাহ কর; যদিও তোমাদের অলংকার থেকে হয়।’’ যায়নাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা বলেন, সুতরাং আমি (আমার স্বামী) আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর নিকট এসে বললাম, ’আপনি গরীব মানুষ, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাদকাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

অতএব আপনি তাঁর নিকট গিয়ে এ কথা জেনে আসুন যে, (আমি যে, আপনার উপর ও আমার তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত এতীমদের উপর খরচ করি তা) আমার পক্ষ থেকে সাদকাহ হিসাবে যথেষ্ট হবে কি? নাকি আপনাদেরকে বাদ দিয়ে আমি অন্যকে দান করব?’ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, ’বরং তুমিই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জেনে এসো।’ সুতরাং আমি তাঁর নিকট গেলাম। দেখলাম, তাঁর দরজায় আরও একজন আনসারী মহিলা দাঁড়িয়ে আছে, তার প্রয়োজনও আমার প্রয়োজনের অনুরূপ।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ভাবগম্ভীরতা দান করা হয়েছিল। (তাঁকে সকলেই ভয় করত।) ইতোমধ্যে বিলাল রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-কে আমাদের পাশ দিয়ে যেতে দেখে বললাম, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে বলুন, ’দরজার কাছে দু’জন মহিলা আপনাকে জিজ্ঞাসা করছে যে, তারা যদি নিজ স্বামী ও তাদের তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত এতীমদের উপর খরচ করে, তাহলে তা সাদকাহ হিসাবে যথেষ্ট হবে কি? আর আমরা কে, সে কথা জানাবেন না।’

তিনি প্রবেশ করে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তারা কে?’’ বিলাল রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, ’এক আনসারী মহিলা ও যায়নাব।’ তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, ’’কোন্ যায়নাব?’’ বিলাল রাদিয়াল্লাহু ’আনহু উত্তর দিলেন, ’আব্দুল্লাহর স্ত্রী।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তাদের জন্য দু’টি সওয়াব রয়েছে, আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখার সওয়াব এবং সাদকাহ করার সওয়াব।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن زَينَبَ الثَّقَفِيَّةِ امرَأَةِ عَبدِ اللهِ بنِ مَسعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُ وَعَنهَا، قَالَتْ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «تَصَدَّقْنَ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ وَلَوْ مِنْ حُلِيِّكُنَّ»، قَالَتْ : فَرَجَعْتُ إِلَى عَبدِ اللهِ بنِ مَسعُودٍ، فَقُلتُ لَهُ : إنَّكَ رَجُلٌ خَفِيفُ ذَاتِ اليَدِ، وَإنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَدْ أمَرَنَا بِالصَّدَقَةِ فَأْتِهِ، فَاسأَلهُ، فإنْ كَانَ ذلِكَ يْجُزِئُُ عَنِّي وَإلاَّ صَرَفْتُهَا إِلَى غَيْرِكُمْ . فَقَالَ عَبدُ اللهِ : بَلِ ائْتِيهِ أنتِ، فانْطَلَقتُ، فَإذَا امْرأةٌ مِنَ الأنْصارِ بِبَابِ رسولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَاجَتي حَاجَتُها، وَكَانَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم قَدْ أُلْقِيَتْ عَلَيهِ المَهَابَةُ، فَخَرجَ عَلَيْنَا بِلاَلٌ، فَقُلْنَا لَهُ : ائْتِ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، فَأخْبِرْهُ أنَّ امْرَأتَيْنِ بِالبَابِ تَسألانِكَ : أُتُجْزِئُ الصَّدَقَةُ عَنْهُمَا عَلَى أزْواجِهمَا وَعَلَى أيْتَامٍ في حُجُورِهِما ؟، وَلاَ تُخْبِرْهُ مَنْ نَحْنُ، فَدَخلَ بِلاَلٌ عَلَى رَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم، فَسَأَلَهُ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَنْ هُمَا ؟»قَالَ : امْرَأةٌ مِنَ الأنْصَارِ وَزَيْنَبُ . فَقَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم: «أيُّ الزَّيَانِبِ هِيَ ؟»، قَالَ: امْرَأةُ عَبدِ الله، فَقَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم: «لَهُمَا أجْرَانِ : أجْرُ القَرَابَةِ وَأجْرُ الصَّدَقَةِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن زينب الثقفية امراة عبد الله بن مسعود رضي الله عنه وعنها، قالت : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «تصدقن يا معشر النساء ولو من حليكن»، قالت : فرجعت الى عبد الله بن مسعود، فقلت له : انك رجل خفيف ذات اليد، وان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قد امرنا بالصدقة فاته، فاساله، فان كان ذلك يجزى عني والا صرفتها الى غيركم . فقال عبد الله : بل اىتيه انت، فانطلقت، فاذا امراة من الانصار بباب رسول الله صلى الله عليه وسلم حاجتي حاجتها، وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم قد القيت عليه المهابة، فخرج علينا بلال، فقلنا له : اىت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، فاخبره ان امراتين بالباب تسالانك : اتجزى الصدقة عنهما على ازواجهما وعلى ايتام في حجورهما ؟، ولا تخبره من نحن، فدخل بلال على رسول الله صلى الله عليه وسلم، فساله، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «من هما ؟»قال : امراة من الانصار وزينب . فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اي الزيانب هي ؟»، قال: امراة عبد الله، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لهما اجران : اجر القرابة واجر الصدقة». متفق عليه

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Zainab Ath-Thaqafiyah (May Allah be pleased with her) the wife of 'Abdullah bin Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
When Messenger of Allah (ﷺ) told the women that they should give Sadaqah (charity), even if it should be some of their jewellery, I returned to 'Abdullah bin Mas'ud and said, "You are a man who does not possess much, and Messenger of Allah (ﷺ) has commanded us to give Sadaqah. So go and ask him if giving to you will serve the purpose; otherwise, I shall give it to someone else." He asked me that I should better go myself. I went and found a woman of the Ansar at the door of Messenger of Allah (ﷺ), waiting to ask a similar question as mine. The Prophet (ﷺ) was endowed with dignity, and so we could not go in. When Bilal (May Allah be pleased with him) came out to us, we said to him: "Go to Messenger of Allah (ﷺ) and tell him that there are two women at the door who have come to ask him whether it will serve them to give Sadaqah to their husbands and to orphans who are in their charge, but do not tell him who we are. Bilal (May Allah be pleased with him) went in and asked him, and Messenger of Allah (ﷺ) asked him who the women were. When he told him that they were a woman of the Ansar and Zainab, he asked him which Zainab it was, and when he was told it was the wife of 'Abdullah bin Mas'ud, he (ﷺ) said, "They will have a double reward, one for maintaining the ties of kinship and another for Sadaqah".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary:
1. We learn from this Hadith that a woman can also give Sadaqah and Zakat to her husband, provided he is poor. But its opposite is not permissible. That is to say, a husband cannot pay Zakat to his wife because he is responsible for her maintenance while wife is not obliged to do it for her husband. So, the principle deduced from it is that one who is bound to pay Zakat under the Shari`ah is not permitted to pay it to his dependents.

2. In case of need, a woman can go out of her house subject to the condition that she observes the restriction of the veil prescribed by the Shari`ah in this behalf.

3) Like men, women should also take, keen interest in religious matters. They should not feel shy of doing it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়নাব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

১৬/৩৩২। আবূ সুফিয়ান সাখর ইবনু হারব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে (রোম-সম্রাট) হিরাক্লিয়াসের ঘটনা সম্পর্কিত দীর্ঘ হাদীসে বর্ণিত, হিরাক্লিয়াস আবূ সুফিয়ানকে বললেন, ’তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তোমাদেরকে কী নির্দেশ দেন?’ আবূ সুফিয়ান বলেন, আমি বললাম, ’তিনি বলেন, ’’তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর এবং তার সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করো না এবং তোমাদের বাপ-দাদার ভ্রান্ত পথ পরিত্যাগ কর।’’ আর তিনি আমাদেরকে নামায পড়ার, সত্যবাদিতার, চারিত্রিক পবিত্রতার এবং আত্মীয়তা বজায় রাখার আদেশ দেন।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن أَبي سُفيَانَ صَخرِ بنِ حَربٍ رضي الله عنه في حَديثِهِ الطويل في قِصَّةِ هِرَقْلَ: أنَّ هِرَقْلَ قَالَ لأَبِي سُفْيَانَ: فَمَاذَا يَأمُرُكُمْ بِهِ؟ يَعْنِي النَّبيّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: قُلْتُ: يَقُولُ: « اعْبُدُوا اللهَ وَحْدَهُ، وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيئاً، واتْرُكُوا مَا يَقُولُ آبَاؤُكُمْ، وَيَأمُرُنَا بِالصَّلاةِ، وَالصِّدْقِ، والعَفَافِ، والصِّلَةِ»مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ابي سفيان صخر بن حرب رضي الله عنه في حديثه الطويل في قصة هرقل: ان هرقل قال لابي سفيان: فماذا يامركم به؟ يعني النبي صلى الله عليه وسلم، قال: قلت: يقول: « اعبدوا الله وحده، ولا تشركوا به شيىا، واتركوا ما يقول اباوكم، ويامرنا بالصلاة، والصدق، والعفاف، والصلة»متفق عليه

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Abu Sufyan Sakhr bin Harb (May Allah be pleased with him) mentioned Heraclius in a long Hadith and said:
Heraclius asked me, "What does this Prophet (ﷺ) teach you?" I said, "He orders us to worship Allah Alone and not to associate a thing with Him in worship, to discard what our ancestors said, to perform the Salat (prayer), speak the truth, and maintain the ties of kinship".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Besides Tauhid (Oneness of Allah), this Hadith enjoins punctuality in Salat and excellence of character. In all the forms of worship, Salat is the most important, and the best in the nobility of character is righteousness. After professing faith in Tauhid and belief that Muhammad (PBUH) is the last Prophet of Allah, a Muslim should be punctual in Salat and make himself a model of excellent character.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

১৭/৩৩৩। আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমরা অদূর ভবিষ্যতে এমন এক এলাকা জয় করবে, যেখানে ক্বীরাত্ব (এক দ্বীনারের ২০ ভাগের একভাগ স্বর্ণমুদ্রা) উল্লেখ করা হয়।’’ অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’তোমরা অচিরে মিসর জয় করবে এবং এটা এমন ভূখণ্ড যেখানে কীরাত্ব (শব্দ) সচরাচর বলা হয়। (সেখানে ঐ মুদ্রা প্রচলিত।) তোমরা তার অধিবাসীদের সাথে ভাল ব্যবহার করো। কেননা, তাদের প্রতি (আমাদের) দায়িত্ব (অধিকার ও মর্যাদা) এবং আত্মীয়তা রয়েছে।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’সুতরাং যখন তোমরা তা জয় করবে, তখন তার অধিবাসীর প্রতি সদ্ব্যবহার করো। কেননা, তাদের প্রতি (আমাদের) দায়িত্ব (অধিকার ও মর্যাদা) এবং আত্মীয়তা রয়েছে।’’ অথবা বললেন, ’’দায়িত্ব (অধিকার ও মর্যাদা) এবং বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে।’’ (মুসলিম)[1]


* উলামাগণ বলেন, তাদের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আত্মীয়তা এভাবে যে, ইসমাঈল এর মা হাজার (বা হাজেরা) তাদেরই বংশের ছিলেন। বৈবাহিক সম্পর্ক এভাবে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পুত্র ইব্রাহীমের মা মারিয়াহ তাদের বংশের ছিলেন।

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن أَبي ذَرٍّ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «إنَّكُمْ سَتَفْتَحُونَ أرْضاً يُذْكَرُ فِيهَا القِيرَاطُ» . وفي رِوَايَةٍ: «سَتَفْتَحُونَ مِصْرَ وَهِيَ أرْضٌ يُسَمَّى فِيهَا القِيراطُ، فَاسْتَوْصُوا بأهْلِهَا خَيْراً ؛ فَإنَّ لَهُمْ ذِمَّةً وَرَحِماً»وفي رواية: «فَإِذَا افتَتَحتُمُوهَا، فَأَحسِنُوا إِلَى أَهلِهَا ؛ فَإِنَّ لَهُم ذِمَّةً وَرَحِماً»، أَوْ قَالَ: «ذِمَّةً وصِهْراً». رواه مسلم

وعن ابي ذر رضي الله عنه، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «انكم ستفتحون ارضا يذكر فيها القيراط» . وفي رواية: «ستفتحون مصر وهي ارض يسمى فيها القيراط، فاستوصوا باهلها خيرا ؛ فان لهم ذمة ورحما»وفي رواية: «فاذا افتتحتموها، فاحسنوا الى اهلها ؛ فان لهم ذمة ورحما»، او قال: «ذمة وصهرا». رواه مسلم

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Abu Dharr (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "You will soon conquer a land where people deal with Qirat."

And according to another version: Messenger of Allah (ﷺ) said, "You will soon conquer Egypt where Al-Qirat is frequently mentioned. So when you conquer it, treat its inhabitants well. For there lies upon you the responsibility because of blood ties or relationship (with them)".

[Muslim].

Commentary: In this Hadith, the Prophet (PBUH) has urged his Companions to treat the Egyptians nicely for the reason of maintaining the ties of kinship and for the fact that Egypt was the country of his in-laws (Mariyah, themother of Ibrahim, and one of the Prophet's wives was from that place). This is why this Hadith has been included in the present chapter which deals with the subject of maintaining the ties of kinship. This Hadith is also a Prophecy of the Prophet (PBUH) due to the fact that the prophecy he had made came true. A short time after his death, Egypt became part of the Muslim empire.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

১৮/৩৩৪। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল যার অর্থ হল, ’’তুমি তোমার নিকট আত্মীয়বর্গকে সতর্ক কর।’’ (সূরা শুআরা ২১৪ আয়াত) তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরায়েশ (সম্প্রদায়)কে আহ্বান করলেন। সুতরাং তারা একত্রিত হল। অতঃপর তিনি সাধারণ ও বিশেষভাবে (সম্বোধন করে) বললেন, ’’হে বানী আব্দে শাম্‌স! হে বানী কা’ব ইবনুলুআই! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে বানী মুর্রাহ ইবনু কা’ব! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে বানী আব্দে মানাফ! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে বানী হাশেম! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে বানী আব্দিল মুত্তালিব! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।

হে ফাতেমা! তুমি নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। কারণ, আমি আল্লাহর নিকট তোমাদের (উপকার-অপকার) কিছুরই মালিক নই। তবে তোমাদের সাথে (আমার) যে আত্মীয়তা রয়েছে তা আমি (দুনিয়াতে) অবশ্যই আর্দ্র রাখব। (আখেরাতে আমার আনুগত্য ছাড়া আত্মীয়তা কোনো কাজে আসবে না।)’’ (মুসলিম) [1]


* উক্ত হাদীসে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করাকে আগুনের সাথে উপমা দেওয়া হয়েছে, যা পানি দিয়ে নিভাতে হয়। তাই আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখাকে তা আর্দ্র বা ভিজে রাখা বলা হয়েছে।

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : لَمَّا نَزَلَت هَذِهِ الآيَةُ : ﴿ وَأَنذِرۡ عَشِيرَتَكَ ٱلۡأَقۡرَبِينَ ٢١٤ ﴾ [الشعراء: ٢١٤] دَعَا رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم قُرَيْشاً، فَاجْتَمَعُوا فَعَمَّ وَخَصَّ، وَقالَ: «يَا بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، يا بَنِي كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ، أنقِذُوا أنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ، يَا بَنِي مُرَّةَ بنِ كَعْبٍ، أنْقِذُوا أنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ، يَا بَنِي عَبْدِ مَنَاف، أنْقِذُوا أنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ، يَا بَنِي هَاشِم، أَنقِذُوا أَنفُسَكُم مِنَ النَّار، يَا بَني عَبدِ الْمُطَّلِب، أَنقِذُوا أَنفُسَكُم مِنَ النَّار، يَا فَاطِمَةُ، أنْقِذِي نَفْسَكِ مِنَ النَّارِ . فَإنِّي لاَ أمْلِكُ لَكُمْ مِنَ اللهِ شَيئاً، غَيْرَ أنَّ لَكُمْ رَحِماً سَأبُلُّهَا بِبِلالِهَا». رواه مسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، قال : لما نزلت هذه الاية : ﴿ وانذر عشيرتك الاقربين ٢١٤ ﴾ [الشعراء: ٢١٤] دعا رسول الله صلى الله عليه وسلم قريشا، فاجتمعوا فعم وخص، وقال: «يا بني عبد شمس، يا بني كعب بن لوي، انقذوا انفسكم من النار، يا بني مرة بن كعب، انقذوا انفسكم من النار، يا بني عبد مناف، انقذوا انفسكم من النار، يا بني هاشم، انقذوا انفسكم من النار، يا بني عبد المطلب، انقذوا انفسكم من النار، يا فاطمة، انقذي نفسك من النار . فاني لا املك لكم من الله شيىا، غير ان لكم رحما سابلها ببلالها». رواه مسلم

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
When this Verse was revealed: "And warn your tribe (O Muhammad (ﷺ)) of near kindred". (26:214) Messenger of Allah (ﷺ) called the Quraish; when they gathered, he said to them: "O sons of 'Abd Shams; O sons of Ka'b bin Lu'ai, rescue yourselves from the Fire! O sons of Murrah bin Ka'b, rescue yourselves from the Fire! O sons of 'Abd Manaf, rescue yourselves from the Fire! O sons of 'Abdul-Muttalib, rescue yourselves from the Fire! O Fatimah, rescue yourself from the Fire, for I have no power (to protect you) from Allah in anything except that I would sustain relationship with you".

[Muslim].

Commentary:
1. This Hadith tells us that lineage in the Hereafter will not help anybody. So much so that even one's relationship with Messenger of Allah (PBUH) shall not carry any weight on that day. The only thing that will then help in salvation will be one's good deeds. People for whom the Prophet (PBUH) and pious men will intercede will be believers with some sins in their account and not the disbelievers devoid of Faith and good actions. Neither will anybody intercede for the infidels, nor will the infidels find salvation.

2. In preaching religion, priority must be given to one's own close relatives. They deserve it more than anyone else, and for this reason Divine injunctions should be first of all conveyed to them.

3. Even if a Muslim's relatives are pagans and polytheists, their rights of kinsmen and the demands of "maintaining the ties of kinship'' enjoined by Islam must be fulfilled. The first and foremost demand of their rights is that they should be invited to the right path so that they will be saved from Hell-fire.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

১৯/৩৩৫। আবূ আব্দুল্লাহ ’আমর ইবনু ’আস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গোপনে নয় প্রকাশ্যে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ’’অমুক গোত্রের লোকেরা (যারা আমার প্রতি ঈমান আনেনি তারা) আমার বন্ধু নয়। আমার বন্ধু তো আল্লাহ এবং নেক মু’মিনগণ। কিন্তু ওদের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, আমি (দুনিয়াতে) অবশ্যই তা আর্দ্র রাখব।’’ (বুখারী ও মুসলিম, শব্দ বুখারীর) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن أَبي عَبدِ اللهِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ : سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم جِهَاراً غَيْرَ سِرٍّ، يَقُولُ: «إنَّ آل بَني فُلاَنٍ لَيْسُوا بِأولِيَائِي، إِنَّمَا وَلِيِّيَ اللهُ وَصَالِحُ المُؤْمِنينَ، وَلَكِنْ لَهُمْ رَحِمٌ أبُلُّهَا بِبلاَلِهَا». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ، واللفظ للبخاري

وعن ابي عبد الله عمرو بن العاص رضي الله عنهما، قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم جهارا غير سر، يقول: «ان ال بني فلان ليسوا باولياىي، انما وليي الله وصالح المومنين، ولكن لهم رحم ابلها ببلالها». متفق عليه، واللفظ للبخاري

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Abu Abdullah 'Amr bin Al-'as (May Allah be pleased with them) said:
I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying openly not secretly, "The family of so-and-so (i.e., Abu Talib) are not my supporters. My supporter is Allah and the righteous believing people. But they (that family) have kinship (Rahm) with whom I will maintain good the ties of kinship".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Messenger of Allah (PBUH) had made it absolutely clear that although such persons were his near relatives, he did not have any affection and friendship with them because there cannot be any affection between a
pagan and a Muslim. Friendship and affection can only be for Allah and those who have faith in Him. One can accommodate the non-Muslim relatives to the extent permitted by "maintaining the ties of kinship'', provided they are not at war with the Muslims.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনুল আস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ৪০ : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এবং আত্মীয়তা অক্ষুণ্ণ রাখার গুরুত্ব

২০/৩৩৬। আবূ আইয়ূব খালেদ ইবনু যায়েদ আনসারী রাদিয়াল্লাহু ’’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, এক ব্যক্তি বলল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে এমন আমল বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সাথে কাউকে অংশীদার করবে না, নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দেবে এবং রক্ত সম্পর্ক বজায় রাখবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

بَابُ بِرِّ الْوَالِدَيْنِ وَصِلَةِ الأَرْحَامِ - (40)

وَعَن أَبي أَيُّوبٍ خَالِدِ بنِ زَيدٍ الأَنصَارِي رضي الله عنه : أنَّ رَجُلاً قَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أخْبِرْني بِعَمَلٍ يُدْخِلُني الجَنَّةَ، وَيُبَاعِدُني مِنَ النَّارِ . فَقَالَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم: «تَعْبُدُ الله، وَلاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيئاً، وَتُقِيمُ الصَّلاةَ، وتُؤتِي الزَّكَاةَ، وتَصِلُ الرَّحمَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ابي ايوب خالد بن زيد الانصاري رضي الله عنه : ان رجلا قال : يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، اخبرني بعمل يدخلني الجنة، ويباعدني من النار . فقال النبي صلى الله عليه وسلم: «تعبد الله، ولا تشرك به شيىا، وتقيم الصلاة، وتوتي الزكاة، وتصل الرحم». متفق عليه

(40) Chapter: Kind Treatment towards Parents and establishment of the ties of Blood Relationship


Abu Ayyub Khalid bin Zaid Al-Ansari (May Allah be pleased with him) reported:
A man came to Messenger of Allah (ﷺ) and said, "Direct me to a deed which will admit me to Jannah and take me away from the Fire". The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Worship Allah and associate no partner with Him, perform As-Salat, pay Zakat, and maintain the ties of kinship".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith indicates the actions which constitute the means to attain Jannah and salvation from Hell. Thus, it makes evident that Jannah cannot be achieved by wishful thinking. One cannot get it without Faith and good deeds. In the absence of these two factors, intercession of any person will be of no avail.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »