পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿ وَٱخۡفِضۡ جَنَاحَكَ لِمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٢١٥ ﴾ [الشعراء: ٢١٥]
অর্থাৎ “মু’মিনদের জন্য তুমি তোমার বাহুকে অবনমিত রাখ।” (সূরা হিজর ৮৮ আয়াত)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿ وَٱصۡبِرۡ نَفۡسَكَ مَعَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ رَبَّهُم بِٱلۡغَدَوٰةِ وَٱلۡعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجۡهَهُۥۖ وَلَا تَعۡدُ عَيۡنَاكَ عَنۡهُمۡ تُرِيدُ زِينَةَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ ﴾ [الكهف: ٢٨]
অর্থাৎ “তুমি নিজেকে তাদেরই সংসর্গে রাখ যারা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের রবকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আহ্বান করে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করে তাদের দিক হতে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না।” (সূরা কাহফ ২৮ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ فَأَمَّا ٱلۡيَتِيمَ فَلَا تَقۡهَرۡ ٩ وَأَمَّا ٱلسَّآئِلَ فَلَا تَنۡهَرۡ ١٠ ﴾ [الضحا: ٩، ١٠]
অর্থাৎ “অতএব তুমি পিতৃহীনের প্রতি কঠোর হয়ো না এবং ভিক্ষুককে ধমক দিয়ো না।” (সূরা যুহা ৯-১০ আয়াত)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿ أَرَءَيۡتَ ٱلَّذِي يُكَذِّبُ بِٱلدِّينِ ١ فَذَٰلِكَ ٱلَّذِي يَدُعُّ ٱلۡيَتِيمَ ٢ وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ ٱلۡمِسۡكِينِ ٣ ﴾ [الماعون: ١، ٣]
অর্থাৎ “তুমি কি দেখেছ তাকে, যে (দ্বীন বা) কর্মফলকে মিথ্যা মনে করে থাকে? সে তো ঐ ব্যক্তি, যে পিতৃহীনকে রূঢ়ভাবে তাড়িয়ে দেয়। এবং সে অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানে উৎসাহ প্রদান করে না।” (সূরা মাউন ১-৩ আয়াত)
১/২৬৫। সা’দ ইবনু আবী অক্কাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা ছ’জন লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। ইতোমধ্যে মুশরিকরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলল, ’এদেরকে (আপনার মজলিস থেকে) তাড়িয়ে দিন, যেন এরা আমাদের ব্যাপারে দুঃসাহসী হতে না পারে।’ (সা’দ বলেন,) আমি, ইবনু মাসউদ, হুযাইল গোত্রের এক ব্যক্তি, বিলাল এবং আরও দু’জন ছিলেন, যাদের নাম আমি করছি না। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্তরে আল্লাহ যা ইচ্ছা করলেন তাই ঘটল। সুতরাং তিনি মনে মনে (তাঁদেরকে তাড়ানোর) কথা ভাবলেন। যার জন্য আল্লাহ এই আয়াত অবতীর্ণ করলেন, ’’যারা তাদের প্রতিপালককে প্রাতে ও সন্ধ্যায় তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ডাকে, তাদেরকে তুমি বিতাড়িত করো না।’’ সূরা আন’আম ৫২ আয়াত, মুসলিম) [1]
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وَعَن سَعدِ بنِ أَبي وَقَّاصٍ رضي الله عنه، قَالَ : كُنَّا مَعَ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم سِتَّةَ نَفَرٍ، فَقَالَ المُشْرِكُونَ لِلنَّبيِّ صلى الله عليه وسلم : اُطْرُدْ هَؤُلاَءِ لاَ يَجْتَرِئُونَ عَلَيْنَا، وَكُنْتُ أنَا وَابْنُ مَسْعُودٍ وَرَجُلٌ مِنْ هُذَيْلٍ وَبِلالٌ وَرَجُلاَنِ لَسْتُ أُسَمِّيهِمَا، فَوَقَعَ في نَفسِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا شَاءَ اللهُ أنْ يَقَعَ فَحَدَّثَ نَفسَهُ، فَأنْزَلَ اللهُ تَعَالَى : ﴿ وَلَا تَطۡرُدِ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ رَبَّهُم بِٱلۡغَدَوٰةِ وَٱلۡعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجهه﴾ [الانعام: ٥٢] رواه مسلم
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
Allah, the Exalted, says:
"And lower your wings for the believers (be courteous to the fellow-believers)". (15:88)
"And keep yourself (O Muhammad (PBUH)) patiently with those who call on their Rubb (i.e., your
companions who remember their Rubb with glorification, praising in prayers, and other righteous deeds)
morning and afternoon, seeking His Face, and let not your eyes overlook them, desiring the pomp and glitter
of the life of the world.'' (18:28)
"Therefore, treat not the orphan with oppression. And repulse not the beggar.'' (93:9,10)
"Have you seen him who denies the Recompense? That is he who repulses the orphan (harshly). And urges
not the feeding of Al-Miskin (the poor)". (107:1-3)
-----
Sa'd bin Abu Waqqas (May Allah be pleased with him) reported:
Six of us were with the Prophet (ﷺ) when the infidels said to him: "Drive these ones away, lest they should begin to venture against us". The six were, myself, Ibn Mas'ud, a man of the Hudhail tribe, Bilal and two other men whose names I don't know. Messenger of Allah (ﷺ) thought what Allah wished him to think, and Allah revealed: "And turn not away those who invoke their Rubb, morning and afternoon seeking His Face." (6:52)
[Muslim].
Commentary: This Hadith tells us that those people alone have value in the sight of Allah who are equipped with Faith and good deeds, no matter how humble they are in the eyes of people because of their poverty and indigence. Those who are deprived of Faith and good conduct have absolutely no value in His sight even if they hold a high status in this world. This Hadith also exhorts the believers that criterion for respect and honour should also be Faith, not the lineage or wealth.
পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
২/২৬৬। বায়আতে রিযওয়ানে অংশগ্রহণকারীদের একজন (সাহাবী) আবূ হুবাইরাহ ’আইয ইবনু ’আমর মুযানী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, (হুদাইবিয়ার সন্ধি ও বায়’আতের পর) আবূ সুফিয়ান (কাফের অবস্থায়) সালমান, সুহাইব ও বিলালের নিকট এল। সেখানে আরো কিছু সাহাবা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা (আবূ সুফিয়ানের প্রতি ইঙ্গিত করে) বললেন, ’আল্লাহর তরবারিগুলো আল্লাহর শত্রুর হক আদায় করেনি।’ (এ কথা শুনে) আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, ’তোমরা এ কথা কুরাইশের বয়োবৃদ্ধ ও তাদের নেতার সম্পর্কে বলছ?’
অতঃপর আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলেন এবং (এর) সংবাদ দিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’হে আবূ বকর! সম্ভবতঃ তুমি তাদেরকে (অর্থাৎ সালমান, সুহাইব ও বেলালকে) অসন্তুষ্ট করেছ। তুমি যদি তাদেরকে অসন্তুষ্ট করে থাক, তাহলে তুমি আসলে তোমার প্রতিপালককে অসন্তুষ্ট করেছ।’’ সুতরাং আবূ বকর তাঁদের নিকট এসে বললেন, ’ভাইয়েরা! আমি কি তোমাদেরকে অসন্তুষ্ট করেছি?’ তাঁরা বললেন, ’না। আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুক প্রিয় ভাইজান!’ (মুসলিম) [1]
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وعن أَبي هُبيْرةَ عائِذِ بن عمْرو المزَنِيِّ وَهُوَ مِنْ أَهْلِ بيْعةِ الرِّضوانِ رضي اللَّه عنه، أَنَّ أَبا سُفْيَانَ أَتَىعَلَى سلْمَانَ وصُهَيْب وبلالٍ في نفَرٍ فقالوا : ما أَخَذَتْ سُيُوفُ اللَّه مِنْ عدُوِّ اللَّه مَأْخَذَهَا ، فقال أَبُو بَكْرٍ رضياللَّه عنه : أَتَقُولُونَ هَذَا لِشَيْخِ قُريْشٍ وَسيِّدِهِمْ؟ فَأَتَى النَّبِيَّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم ، فَأَخْبرهُ فقال : يا أَبا بَكْرلَعلَّكَ أَغْضَبتَهُم ؟ لَئِنْ آُنْتَ أَغْضَبْتَهُمْ لَقَدْ أَغْضَبتَ رَبَّكَ ؟ فأَتَاهُمْ فقال : يا إِخْوتَاهُ آغْضَبْتُكُمْ ؟ قالوا : لا ، يغْفِرُاللَّه لَكَ يا أُخَيَّ . رواه مسلم .قولُهُ » مَأْخَذَهَا « أَيْ : لَمْ تَسْتَوفِ حقَّهَا مِنْهُ . وقولُهُ : » ياأُخيَّ « رُوِي بفتحِ الهمزةِ وآسر الخاءِ وتخفيفِالياءِ ، ورُوِي بضم الهمزة وفتحِ الخاءِ وتشديد الياءِ.
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
'Aidh bin 'Amr Al-Muzani (May Allah be pleased with him) reported:
Abu Sufyan passed by Salman, Suhaib and Bilal and some other Companions (May Allah be pleased with them). They said to him: "Did not the swords of Allah exact their due from the foes of Allah?" Abu Bakr (May Allah be pleased with him) said to them: "Do you speak like this to the chief of the Quraish and their master?" Then he went to the Prophet (ﷺ) and related this to him. He (ﷺ) said, "Abu Bakr, perhaps you have angered them. If so, you have angered your Rubb". Abu Bakr (May Allah be pleased with him) went back to them and said: "Brothers, did I offend you?" They replied: "No. May Allah forgive you, brother".
[Muslim].
Commentary: This Hadith enjoins the Muslims to treat one another with affection and kindness and keep their hearts free from ill-feeling and malice. If someone inadvertently says to another anything that hurts the latter's feelings, he must immediately apologize to him.
পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
৩/২৬৭। সাহ্ল ইবনু সা’দ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আমি ও এতীমের তত্ত্বাবধানকারী জান্নাতে এভাবে (পাশাপাশি) থাকব।’’ এ কথা বলার সময় তিনি (তাঁর) তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুল মিলিয়ে উভয়ের মাঝে একটু ফাঁক রেখে ইশারা করে দেখালেন। (বুখারী) [1]
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وعن سهلِ بن سعدٍ رضي اللَّه عنه قال : قال رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : »أَنَا وآافلُ الْيتِيمِ فيالجنَّةِ هَكَذَا « وأَشَار بِالسَّبَّابَةِ وَالْوُسْطَى ، وفَرَّجَ بَيْنَهُمَا « . رواه البخاري.و » آَافِلُ الْيتِيم « : الْقَائِمُ بِأُمُورِهِ .
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
Sahl bin Sa'd (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "I will be like this in Jannah with the person who takes care of an orphan". Messenger of Allah (ﷺ) raised his forefinger and middle finger by way of illustration.
Commentary: It will be indeed a great honour to be close to the Prophet (PBUH) in Jannah. This honour will be given to those who are kind to the orphans. The Prophet (PBUH) has regarded it the `best house' in which an orphan is treated with kindness. He declared the worst home in which an orphan child is not treated with affection.
[Al- Bukhari].
পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
৪/২৬৮। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’নিজের অথবা অপরের অনাথ (এতীমের) তত্ত্বাবধায়ক; আমি এবং সে জান্নাতে এ দু’টির মত (পাশাপাশি) বাস করব।’’ বর্ণনাকারী আনাস ইবনু মালেক রাদিয়াল্লাহু ’আনহু তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলের দিকে ইঙ্গিত করলেন। (মুসলিম) [1]
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وعن أَبي هريرة رضي اللَّه عنه قال : قال رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : »آَافِل الْيتيمِ لَهُ أَوْ لِغَيرِهِ. أَنَا وهُوَ آهَاتَيْنِ في الجَنَّةِ « وَأَشَارَ الرَّاوي وهُو مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ بِالسَّبَّابةِ والْوُسْطى . رواه مسلم .وقوله صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : » الْيَتِيمُ لَه أَوْ لِغَيرهِ « معناهُ : قَرِيبهُ ، أَوْ الأَجنَبِيُّ مِنْه،ُ فَالْقرِيبُ مِثلُ أَنْ تَكْفُلَهأُمُّه أَوْ جدُّهُ أَو أخُوهُ أَوْ غَيْرُهُمْ مِنْ قَرَابتِهِ ، واللَّه أَعْلَم .
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who takes care of an orphan, whether he is his relative or a stranger, will be in Jannah with me like these two". The narrator, Malik bin Anas raised his forefinger and middle finger for illustration.
[Muslim]
Commentary: The Islamic system of welfare and economic security is not restricted to relatives only. It includes every orphan and needy. If Muslims put this system into practice, there will be no need for insurance - a system which is based on usury. May Allah enable the Muslims to adopt the teachings of Islam so that they will be relieved of the curse of the system of usury.
পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
৫/২৬৯। উক্ত সাহাবী (আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু) থেকেই বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মিসকীন সে নয়, যাকে একটি খেজুর এবং দু’টি খেজুর এবং এক গ্রাস বা’ দুগ্রাস (অন্ন) ফিরিয়ে দেয়। বরং মিসকীন তো ঐ ব্যক্তি, যে (অভাব থাকা সত্ত্বেও) চাওয়া থেকে দূরে থাকে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’মিসকীন সে নয়, যে এক অথবা দু টুকরা খেজুর কিংবা এক অথবা দু মুঠো খানা পেয়ে বিদায় হয়ে যায়। কিন্তু মিসকীন হল সেই ব্যক্তি, যে প্রয়োজন মোতাবেক যথেষ্ট রুযীর মালিক নয় এবং সাধারণতঃ লোকে তাকে অভাবী বলে চিনতেও পারে না; যাতে তাকে দান করা যায়। আর সে নিজে উঠে লোকের কাছে চায়ও না।’’ (অর্থাৎ পেটে ক্ষুধা রেখে মুখে লাজ করে।)
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وَعَنهُ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لَيْسَ المِسْكينُ الَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَةُ وَالتَّمْرَتَانِ، وَلا اللُّقْمَةُ وَاللُّقْمَتَانِ إِنَّمَا المِسكِينُ الَّذِي يَتَعَفَّفُ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
وَفي رِوَايَةٍ في الصَّحِيحَينِ: «لَيْسَ المِسكِينُ الَّذِي يَطُوفُ عَلَى النَّاسِ تَرُدُّهُ اللُّقْمَةُ واللُّقْمَتانِ، وَالتَّمْرَةُ والتَّمْرَتَانِ، وَلَكِنَّ المِسْكِينَ الَّذِي لاَ يَجِدُ غنىً يُغْنِيه، وَلاَ يُفْطَنُ بِهِ فَيُتَصَدَّقَ عَلَيهِ، وَلاَ يَقُومُ فَيَسْأَلُ النَّاسَ».
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "A Miskin (needy) is not the one who can be turned away with a date-fruit or two, or a morsel or two. The true Miskin is one who, despite his poverty, abstains from begging".
[Al- Bukhari and Muslim].
In another narration Messenger of Allah (ﷺ) said, " A Miskin is not the one who goes round begging from people and who can be turned away with a morsel or two, or a date-fruit or two. A true Miskin is he who does not find enough to suffice him, does not disclose his poverty so that he might be given alms, and does not stand up to beg".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith throws light on a very important problem relating to beggars who go door to door
begging. They are, in fact, not poor because they accumulate a lot of wealth through small amounts which they collect every day. The real needy and poor are those who are not well-to-do, but their appearance and dress hide their poverty. Their self-respect does not permit them to make a request for help. The real purport of this Hadith is that it is the latter category of poor people, with a sense of self-respect, who should be given preference in financial help over the professional beggars because it is they who are really poor.
পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
৬/২৭০। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’বিধবা ও মিসকীনদের অভাব দূর করায় চেষ্টারত ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য।’’ (হাদীসের বর্ণনাকারী বলেন,) আমি ধারণা করছি যে, তিনি এ কথাও বললেন, ’’সে ঐ নফল নামায আদায়কারীর মত যে ক্লান্ত হয় না এবং ঐ রোযা পালনকারীর মত যে রোযা ছাড়ে না।’’ (বুখারী) [1]
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وَعَنهُ، عَنِ النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «السَّاعِي عَلَى الأَرْمَلَةِ وَالمِسْكِينِ، كَالمُجَاهِدِ في سَبيلِ اللهِ»وَأحسَبُهُ قَالَ: «وَكالقَائِمِ الَّذِي لاَ يَفْتُرُ، وَكَالصَّائِمِ الَّذِي لاَ يُفْطِرُ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "One who strives to help the widows and the poor is like the one who fights in the way of Allah." The narrator said: I think that he (ﷺ) added also: "I shall regard him as the one who stands up (for prayer) without rest and as the one who observes fasts continuously".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: Here the words `widow' and `poor' have been mentioned for example only while they cover the
whole range of indigent, invalid and needy people. Efforts for their care, support and welfare has been regarded equivalent to Jihad. Islam has done full justice in supporting the helpless individuals and the entire poor class of the society by elevating the status of those who undertake this noble task to the level of Mujahidun. It makes it clear that worship is not restricted to prayers and fasting only but also covers every good deed. Thus, those who are always mindful of the weak and the poor and constantly strive for their welfare are engaged in perpetual worship.
পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
৭/২৭১। উক্ত রাবী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতেই বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’সবচেয়ে নিকৃষ্ট খাবার ঐ অলীমার খাবার, যাতে যে (স্বয়ং) আসে তাকে (অর্থাৎ মিসকীনকে) বাধা দেওয়া হয় এবং যাকে আহ্বান করা হয় সে (অর্থাৎ ধনী) আসতে অস্বীকার করে। আর যে ব্যক্তি দাওয়াত গ্রহণ করল না, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করল।’’ (মুসলিম) [1]
বুখারী-মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে যে, আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলতেন, ’অলীমার খাবার নিকৃষ্টতম খাবার, যাতে বিত্তশালীদেরকে ডাকা হয় এবং দরিদ্রদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وَعَنهُ، عَنِ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الوَلِيمَةِ، يُمْنَعُهَا مَنْ يَأتِيهَا، وَيُدْعَى إِلَيْهَا مَنْ يَأْبَاهَا، وَمَنْ لَمْ يُجِبِ الدَّعْوَةَ فَقَدْ عَصَى اللهَ وَرَسُولَهُ». رواه مسلم
وَفي رِوَايَةٍ في الصَّحِيحَينِ : عَنْ أَبِي هُرَيرَةَ مِن قَولِهِ : «بئْسَ الطَّعَامُ طَعَامُ الوَلِيمَةِ يُدْعَى إِلَيْهَا الأغْنِيَاءُ ويُتْرَكُ الفُقَراءُ».
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "The worst food is the food of the marriage banquet from which those are left out who would like to come; and to which those are invited who refuse to come. He who rejects an invitation disobeys Allah and His Messenger".
[Muslim].
In another narration Messenger of Allah (ﷺ) said, "The worst food is the food of the marriage banquet to which the rich are invited and from which the poor are left out".
[Muslim].
Commentary: Our rich class has made Walimah (marriage banquet given by the bridegroom) a highly luxurious affair and a means of displaying wealth and richness. This excessive exaggeration of a simple feast has brought in its wake many religious, moral and social evils. In its present form, it is sheer extravagance and wastage which are satanic acts and those who do it are brothers of Satan. It is such a big loss and serious threat that if our rich class is left with any sense of religion, it should immediately abandon this extravagance which is escalating day by day. Its moral disadvantage is that one invites in this function only men of his own status and not the the poor, whereas the fact is that it is the latter who deserve to be invited because of their need, and not the former. Good manners also warrant that the needy should be given priority over the affluent. Its social disadvantage is that display of wealth on such occasions creates a sense of deprivation in the poor segments of society while what Islam teaches is the uplift, material and moral help, consolation and encouragement and respectable treatment of the poor. Instead of holding sumptuous feasts on Walimah, if the Muslims shift to one or two simple food items and invite the poor along with their friends and relatives, they not only save themselves from all the three evils mentioned above, but also prevent themselves from the accountability in the Hereafter; otherwise they will suffer loss in both the worlds.
This Hadith exhorts the Muslims to participate in the Walimah ceremony but it is the kind of feast which is simple and in accordance with the teachings of Islam.
পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
৮/২৭২। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’যে ব্যক্তি দু’টি কন্যার লালন-পালন তাদের সাবালিকা হওয়া অবধি করবে, কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দু’টি আঙ্গুলের মত পাশাপাশি আসব।’’ অতঃপর তিনি তাঁর আঙ্গুলগুলি মিলিত করে (দেখালেন)। (মুসলিম) [1]
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وعن أَنس رضي اللَّه عنه عن النبي صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قال : » مَنْ عَالَ جَارِيتَيْنِ حَتَّى تَبْلُغَا جَاءَيَومَ القِيامَةِ أَنَا وَهُو آَهَاتَيْنِ « وَضَمَّ أَصَابِعَهُ . رواه مسلم .«جَارِيَتَيْنِ « أَيْ : بِنْتَيْنِ .
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
Anas (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever supports two girls till they attain maturity, he and I will come on the Day of Resurrection like this". Messenger of Allah (ﷺ) joined his fingers illustrating this.
[Muslim].
Commentary: In the pre-Islamic era, Arabs were greatly dejected and showed resentment on the birth of a daughter, which in fact reflected the status of women in society, In order to give them their rightful place in the society, Islam taught its followers to recognize their legitimate rights. Among the injunctions which were issued in this behalf, the most important was that their proper upbringing, education and training were made a means to attain Jannah so that people did not only feel joy over the birth of sons but also felt pleasure on the birth of daughters. In this respect, Islam is the first religion which has not only ensured protection of their rights but also made full arrangements fortheir respect and prestige in society. For instance, they have been prohibited from having close contacts with men and for this purpose restriction of the veil has been imposed on them. Islam has emancipated them from the obligation of earning their own livelihood so that they are safe from the malicious eyes of evil-minded, and secure from the sexual lust of men, the way it is happening with women who are working side by side with men in the West. But it is a curse indeed that due to intellectual immaturity and evil trends, this freedom of women, which has disgraced and robbed them of the virtues of a chaste life, is liked by many people and they are trying that Muslim women should also imitate the style of western women. To the people of such crooked thinking, the Islamic teachings, which ensure the honour and chastity of women, appear to be the yoke of slavery and they want to release women from it.
পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
৯/২৭৩। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মহিলা তার দু’টি মেয়ে সঙ্গে নিয়ে আমার নিকট ভিক্ষা চাইল। অতঃপর সে আমার নিকট একটি খুরমা ব্যতীত কিছুই পেল না। সুতরাং আমি তা তাকে দিয়ে দিলাম। মহিলাটি তার দু’মেয়েকে খুরমাটি ভাগ করে দিল এবং সে নিজে তা থেকে কিছুই খেল না, অতঃপর সে উঠে বের হয়ে গেল। ইতোমধ্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন। আমি তাঁকে বিষয়টি জানালাম। তখন তিনি বললেন, ’’যাকে এই কন্যা সন্তান দিয়ে কোনো পরীক্ষায় ফেলা হয়, তারপর যদি সে তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করে, তাহলে এ কন্যারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে অন্তরাল হবে।’’ (বুখারী, মুসলিম) [1]
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ : دَخَلَتْ عَلَيَّ امْرَأةٌ وَمَعَهَا ابنَتَانِ لَهَا تَسْأَلُ، فَلَمْ تَجِدْ عِنْدِي شَيئاً غَيْرَ تَمْرَةٍ وَاحدَةٍ، فَأعْطَيْتُهَا إيَّاهَا فَقَسَمَتْهَا بَيْنَ ابْنَتَيْها ولَمْ تَأكُلْ مِنْهَا، ثُمَّ قَامَتْ فَخَرجَتْ، فَدَخَلَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَينَا، فَأخْبَرْتُهُ فَقَالَ: «مَنِ ابْتُليَ مِنْ هذِهِ البَنَاتِ بِشَيءٍ فَأحْسَنَ إلَيْهِنَّ، كُنَّ لَهُ سِتراً مِنَ النَّارِ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
A woman came to me with her two daughters. She asked me (for charity) but she found nothing with me except one date-fruit, so I gave it to her. She accepted it and then divided it between her two daughters and herself ate nothing out of that. She then got up and went out. When Messenger of Allah (ﷺ) came in, and I narrated to him the story, he said, "He who is involved (in the responsibility) of (bringing up) daughters, and he is benevolent towards them, they would become protection for him against Hell-fire".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith also tells us about the great merit and reward of kind treatment with daughters.
পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
১০/২৭৪। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মিসকীন মহিলা তার দু’টি কন্যাকে (কোলে) বহন করে আমার কাছে এল। আমি তাকে তিনটি খুরমা দিলাম। অতঃপর সে তার কন্যা দু’টিকে একটি একটি করে খুরমা দিল এবং সে নিজে খাবার জন্য একটি খুরমা মুখ-পর্যন্ত তুলল। কিন্তু তার কন্যা দু’টি সেটিও খেতে চাইল। সুতরাং মহিলাটি যে খেজুরটি নিজে খেতে ইচ্ছা করেছিল, সেটিকে দু’ভাগে ভাগ করে তাদের মধ্যে বণ্টন করে দিল। সুতরাং তার (এ) অবস্থা আমাকে মুগ্ধ করল। তাই আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট মহিলাটির ঘটনা বর্ণনা করলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তার জন্য তার এ কাজের বিনিময়ে জান্নাত ওয়াজেব করে দিয়েছেন অথবা তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দিয়েছেন।’’ (মুসলিম) [1]
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ : جَاءَتني مِسْكينةٌ تَحْمِلُ ابْنَتَيْنِ لَهَا، فَأطْعَمْتُها ثَلاَثَ تَمرَات، فَأعْطَتْ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا تَمْرَةً وَرَفَعتْ إِلَى فِيها تَمْرَةً لِتَأكُلها، فَاسْتَطعَمَتهَا ابْنَتَاهَا، فَشَقَّتِ التَّمْرَةَ الَّتي كَانَتْ تُريدُ أنْ تَأكُلَهَا بَيْنَهُمَا، فَأعجَبَنِي شَأنُهَا، فَذَكَرْتُ الَّذِي صَنَعَتْ لِرَسُولِ الله صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: «إنَّ الله قَدْ أوْجَبَ لَهَا بِهَا الجَنَّةَ، أَوْ أعتَقَهَا بِهَا مِنَ النَّارِ». رواه مسلم
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
A poor woman came to me carrying her two daughters. I gave her three date-fruits. She gave a date to each of them and then she took up one date-fruit and brought that to her mouth to eat, but her daughters asked her that also. She then divided between them the date-fruit that she intended to eat. This (kind) treatment of her impressed me and I mentioned that to Messenger of Allah (ﷺ) who said, 'Verily, Allah has assured Jannah for her, because of (this act) of her," or said, "He (SWT) has rescued her from Hell- Fire".
[Muslim].
Commentary: Besides great merit of the upbringing of daughters, this Hadith also tells us that if a wife has secured general permission from her husband about Sadaqah (alms and charity) she can offer Sadaqah, and its reward will be given to both of them. The former will be entitled to it for paying it, while the latter will be eligible to it for giving his consent to it.
পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
১১/২৭৫। আবূ শুরাইহ্ খুওয়াইলিদ ইবনু ’আমর খুযা’য়ী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’হে আল্লাহ! আমি লোকদেরকে দুই শ্রেণীর দুর্বল মানুষের অধিকার সম্বন্ধে পাপাচারিতার ভীতিপ্রদর্শন করছি; এতীম ও নারী।’’ (নাসায়ী, উত্তম সূত্রে) [1]
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وَعَنْ أَبِي شُرَيحٍ خُوَيْلِدِ بنِ عَمرٍو الخُزَاعِيِّ رضي الله عنه، قَالَ : قَالَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم: «اَللهم إنِّي أُحَرِّجُ حَقَّ الضَّعِيفَينِ : اليَتِيم وَالمَرْأةِ».حديث حسن رواه النسائي بإسناد جيد
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
Abu Shuraih Khuwailid bin 'Amr Al-Khuza'i (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "O Allah, I declare inviolable the rights of two weak ones: the orphans and women".
[An- Nasa'i].
Commentary: The poor are generally treated callously in human society. Women and orphans are regular victims of this cruelty. They are deprived of their share in property to which they are entitled under the Islamic law. In some cases their properties are usurped and they are maltreated at the hands of usurpers. The Prophet (PBUH) has
threatened them with serious consequences to prevent the Muslims from committing such injustice. The attitude of Muslims and the teachings of Islam in this matter are two different things. How can Islam be blamed for the attitude of Muslims? It is time Muslims should understand that Islam is getting a bad name because of their bad conduct. As a result of this they are committing a double crime. On the one hand, they are guilty of usurping others of their legitimate rights and perpetrating cruelties, and on the other, disgracing their religion. In other words, rather thanpreaching Islam they are creating obstacles in the way of people joining the fold of Islam. May Allah grant us guidance to follow the right path. Amin!
পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
১২/২৭৬। মুসআব ইবনু সা’দ ইবনু আবী অক্কাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু (তাঁর পিতা) সা’দ ধারণা করলেন যে, তার চেয়ে নিম্নশ্রেণীর লোকের উপর তাঁর মর্যাদা রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তোমাদেরকে দুর্বলদের কারণেই সাহায্য করা হয় এবং রুযী দেওয়া হয়।[1] (বুখারী মুরসাল সূত্রে, যেহেতু মুসআব ইবনু সাদ তাবেঈ। তবে হাফেয আবূ বকর বারক্বানী তাঁর সহীহ গ্রন্থে ’মুস’আব নিজ পিতা হতে’ মুত্তাসিল সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وَعَن مُصعَبِ بنِ سَعدِ بنِ أَبي وَقَّاصٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا، قَالَ: رَأى سَعدٌ أنَّ لَهُ فَضْلاً عَلَى مَنْ دُونَهُ، فَقَالَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم: «هَلْ تُنْصَرُونَ وتُرْزَقُونَ إلاَّ بِضُعَفَائِكُمْ». رواه البخاري هكذا مُرسلاً، فَإِنَّ مُصعَبَ بنَ سَعدَ تَابِعِيٌّ، وَرَوَاهُ الحَافِظ أَبُو بَكرٍ البَرقَاني في صَحِيحِهِ مُتَّصِلاً عَن مُصعَبٍ، عَنْ أَبِيهِ رضي الله عنه
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
Mus'ab bin Sa'd bin Abu Waqqas (May Allah be pleased with them) reported:
Sa'd considered himself better than his inferiors, so the Prophet (ﷺ) said to him, "You are given help and provision because of your weak ones".
[Al-Bukhari].
Commentary: This Hadith exhorts the resourceful people not to look down upon the poor and resourceless people of the society and not to consider themselves superior to others. They should learn to respect the weak and cooperate with them because may be Almighty, Allah, is providing them because of the poor.
পরিচ্ছেদঃ ৩৩: অনাথ-এতীম, কন্যা-সন্তান ও সমস্ত দুর্বল ও দরিদ্রের সঙ্গে নম্রতা, তাদের প্রতি দয়া ও তাদের সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করার গুরুত্ব
১৩/২৭৭। আবূ দারদা উআইমির রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’’আমার জন্য তোমরা দুর্বলদেরকে খুঁজে আনো, কেননা তোমাদের দুর্বলদের কারণেই তোমাদেরকে সাহায্য করা হয় এবং রুযী দেওয়া হয়।’’ (আবূ দাউদ, উত্তম সূত্রে) [1]
بَابُ مُلَاطَفَةِ الْيَتِيْمِ وَالْبَنَاتِ وَسَائِرِ الضَّعْفَةِ وَالْمَسَاكِيْنَ وَالتَّوَاضُعِ مَعَهُمْ وَخَفْضِ الْجَنَاحِ لَهُمْ - (33)
وَعَنْ أَبِي الدَّردَاءِ عُوَيمِرٍ رضي الله عنه، قَالَ : سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «ابْغُونِي الضُّعَفَاءَ، فَإنَّمَا تُنْصَرُونَ وتُرْزَقُونَ، بِضُعَفَائِكُمْ». رواه أَبُو داود بإسناد جيد
(33) Chapter: Benevolent Treatment towards Orphans, Girls, the Weak, the Poor and the Humble Persons
Abud-Darda (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Seek among your weak ones, for you are given provision and help only because of the weak amongst you."
[Abu Dawud].
Commentary: This Hadith mentions the reason for the acceptance of the invocations of the weak and poor. Since their hearts are free from the worldly vices and are gifted with greater sincerity and fear of Allah, their prayers are more acceptable to Him. This point has been mentioned more explicitly in Nasa'i which says: "Almighty Allah helps the Ummah because of the prayers, worship and devotion of its weak people". (Aun-ul-Ma`bud, Vol. No. 2, chapter Al-Jihad). The words which occur in most of the manuscripts of Riyad-us-Saliheen are (Abghow fi ad-duafa') and the translation quoted here follows these words. But in the manuscripts of Abu Dawud, the word (fi) does not figure in the text. In one manuscript, however, we find the words (Abghow fi ad-duafa') which means "For me search Muslims who are weak so that I find reason to support you with their prayers".