পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿مَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنۡ حَمِيمٖ وَلَا شَفِيعٖ يُطَاعُ ﴾ [غافر: ١٨]

অর্থাৎ “সীমালংঘনকারীদের জন্য অন্তরঙ্গ কোন বন্ধু নেই এবং এমন কোন সুপারিশকারীও নেই যার সুপারিশ গ্রাহ্য করা হবে।” (সূরা মুমিন ১৮ আয়াত)

﴿ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِن نَّصِيرٖ ﴾ [الحج: ٧١]

অর্থাৎ “যালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই।” (সূরা হাজ্জ ৭১ আয়াত)

হাদীসসমূহ:

এই পরিচ্ছেদে আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর (১১৩নং) হাদীসটিও উল্লেখ্য, যেটি ’মুজাহাদাহ’ পরিচ্ছেদের শেষে বর্ণিত হয়েছে।

১/২০৮। জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’তোমরা অত্যাচার করা থেকে বাঁচো, কেননা অত্যাচার কিয়ামতের দিন অন্ধকার স্বরূপ। (অর্থাৎ অত্যাচারী সেদিন আলো পাবে না)। আর তোমরা কৃপণতা থেকে দূরে থাকো। কেননা, কৃপণতা পূর্ববর্তী লোকেদেরকে ধ্বংস করেছে। এ কৃপণতা তাদেরকে নিজেদের রক্তপাত করার এবং হারামকে হালাল জানার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছে।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَن جَابِرٍ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «اتَّقُوا الظُّلْمَ ؛ فَإنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ القِيَامَةِ . وَاتَّقُوا الشُّحَّ ؛ فَإِنَّ الشُّحَّ أهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ . حَمَلَهُمْ عَلَى أنْ سَفَكُوا دِمَاءهُمْ، وَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمَهُمْ». رواه مسلم

وعن جابر رضي الله عنه : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «اتقوا الظلم ؛ فان الظلم ظلمات يوم القيامة . واتقوا الشح ؛ فان الشح اهلك من كان قبلكم . حملهم على ان سفكوا دماءهم، واستحلوا محارمهم». رواه مسلم

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Jabir bin 'Abdullah (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Beware of injustice, for oppression will be darkness on the Day of Resurrection; and beware of stinginess because it doomed those who were before you. It incited them to shed blood and treat the unlawful as lawful."

[Muslim]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

২/২০৯। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’কিয়ামতের দিন প্রত্যেক হকদারের হক অবশ্যই আদায় করা হবে। এমন কি শিংবিহীন ছাগলকে শিংযুক্ত ছাগলের নিকট থেকে বদলা দেওয়া হবে।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم قَالَ: «لَتُؤَدَّنَّ الحُقُوقُ إِلَى أهْلِهَا يَومَ القِيَامَةِ، حَتَّى يُقَادَ للشَّاةِ الجَلْحَاءِ مِنَ الشَّاةِ القَرْنَاءِ». رواه مسلمُ، إنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بأعْوَرَ وإنَّهُ أعْوَر

وعن ابي هريرة رضي الله عنه : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «لتودن الحقوق الى اهلها يوم القيامة، حتى يقاد للشاة الجلحاء من الشاة القرناء». رواه مسلم، ان ربكم ليس باعور وانه اعور

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Abu Hurairah (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "On the Resurrection Day, the rights will be paid to those to whom they are due so much so that a hornless sheep will be retaliated for by punishing the horned sheep which broke its horns".

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

৩/২১০। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমরা বিদায়ী হজ্জ্বের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করেছিলাম। এমতবস্থায় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন। আর আমরা জানতাম না যে, বিদায়ী হজ্জ কী? পরিশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রশংসা করলেন। অতঃপর কানা দাজ্জালের কথা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, ’’আল্লাহ যে নবীই পাঠিয়েছেন, তিনি নিজ জাতিকে তার ব্যাপারে ভয় দেখিয়েছেন। নূহ ও তাঁর পরে আগমনকারী নবীগণ তার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন করেছেন। যদি সে তোমাদের মধ্যে বের হয়, তবে তার অবস্থা তোমাদের কাছে গোপন থাকবে না।

তোমাদের কাছে এ কথা গোপন নয় যে, তোমাদের প্রভু কানা নয়, আর দাজ্জাল কানা হবে। তার ডান চোখ কানা হবে, তার চোখটি যেন (গুচ্ছ থেকে) ভেসে ওঠা আঙ্গুর। সতর্ক হয়ে যাও, নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি তোমাদের রক্ত ও মাল হারাম করে দিয়েছেন। যেমন তোমাদের এদিন হারাম তোমাদের এই শহরে, তোমাদের এই মাসে। শোনো! আমি কি (আল্লাহর পয়গাম) পৌঁছে দিয়েছি?’’ সাহাবীগণ বললেন, ’হ্যাঁ।’ অতঃপর তিনি তিনবার বললেন, ’’হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক। (অতঃপর বললেন,) তোমাদের জন্য বিনাশ অথবা আফশোস। দেখো, তোমরা আমার পর এমন কাফের হয়ে যেও না যে, তোমরা একে অপরের গর্দান মারবে।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنهُمَا، قَالَ : كُنَّا نَتَحَدَّثُ عَنْ حَجَّةِ الوَدَاعِ، والنَّبيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أظْهُرِنَا، وَلا نَدْرِي مَا حَجَّةُ الوَدَاعِ حَتَّى حَمِدَ اللهَ رَسُول الله صلى الله عليه وسلم وَأثْنَى عَلَيهِ ثُمَّ ذَكَرَ المَسْيحَ الدَّجَّال فَأطْنَبَ في ذِكْرِهِ، وَقَالَ: «مَا بَعَثَ اللهُ مِنْ نَبيٍّ إلاَّ أنْذَرَهُ أُمَّتَهُ، أنْذَرَهُ نُوحٌ وَالنَّبِيُّونَ مِنْ بَعْدِهِ، وَإِنَّهُ إنْ يَخْرُجْ فِيكُمْ فَما خَفِيَ عَليْكُمْ مِنْ شَأنِه فَلَيْسَ يَخْفَى عَليْك ُ عَيْنِ اليُمْنَى، كَأنَّ عَيْنَهُ عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ . ألا إنَّ الله حَرَّمَ عَلَيْكُمْ دِمَاءكُمْ وَأمْوَالَكُمْ كحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، في بَلَدِكُم هَذَا، في شَهْرِكُمْ هَذَا، ألا هَلْ بَلّغْتُ ؟»قالُوا : نَعَمْ، قَالَ: «اَللهم اشْهَدْ» ثلاثاً« وَيْلَكُمْ - أَوْ وَيْحَكُمْ - انْظُروا : لا تَرْجعُوا بَعْدِي كُفّاراً يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ». رواه البخاري، وروى مسلم بعضه

وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قال : كنا نتحدث عن حجة الوداع، والنبي صلى الله عليه وسلم بين اظهرنا، ولا ندري ما حجة الوداع حتى حمد الله رسول الله صلى الله عليه وسلم واثنى عليه ثم ذكر المسيح الدجال فاطنب في ذكره، وقال: «ما بعث الله من نبي الا انذره امته، انذره نوح والنبيون من بعده، وانه ان يخرج فيكم فما خفي عليكم من شانه فليس يخفى عليك عين اليمنى، كان عينه عنبة طافية . الا ان الله حرم عليكم دماءكم واموالكم كحرمة يومكم هذا، في بلدكم هذا، في شهركم هذا، الا هل بلغت ؟»قالوا : نعم، قال: «اللهم اشهد» ثلاثا« ويلكم - او ويحكم - انظروا : لا ترجعوا بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض». رواه البخاري، وروى مسلم بعضه

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Ibn `Umar (May Allah bepleased with them) reported:
We were talking about the Farewell Pilgrimage without knowing what was it when Messenger of Allah (ﷺ) was also present. He (ﷺ) stood up and recited the Praise and Glorification of Allah. He then gave a detailed account of Ad-Dajjal and said, 'Every Prophet sent by Allah had warned his people against his mischief. Nuh (ﷺ) )warned his nation and so did all the Prophets after him. If he (i.e., Ad-Dajjal) appears among you, his condition will not remain hidden from you. Your Rubb is not one-eyed, but Ad-Dajjal is. His right eye is protruding like a swollen grape. Listen, Allah has made your blood, and your properties as inviolable as of this day of yours (i.e., the Day of Sacrifice), in this city of yours (i.e., Makkah), in this month of yours (i.e., Dhul -Hijjah). Listen, have I conveyed Allah's Message to you?'' The people replied in affirmative. There upon he said, "O Allah, bear witness.'' And he repeated it thrice. He (ﷺ) concluded: "Do not revert after me as infidels killing one another".


[Al-Bukhari].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

৪/২১১। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’যে ব্যক্তি কারো জমি এক বিঘত পরিমাণ অন্যায়ভাবে দখল করে নেবে, (কিয়ামতের দিন) সাত তবক (স্তর) যমীন তার গলায় লটকে দেওয়া হবে।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ الله عَنهَا : أَنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ ظَلَمَ قَيدَ شِبْرٍ مِنَ الأرْضِ، طُوِّقَهُ مِنْ سَبْعِ أرَضِينَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن عاىشة رضي الله عنها : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «من ظلم قيد شبر من الارض، طوقه من سبع ارضين». متفق عليه

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


'Aishah (May Allah bepleased with her) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Whoever usurps unlawfully even a hand span of land a collar measuring seven times (this) land will be placed around his neck on the Day of Resurrection".

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

৫/২১২। আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা অত্যাচারীকে অবকাশ দেন। অতঃপর যখন তিনি তাকে পাকড়াও করেন, তখন তাকে ছাড়েন না।’’ তারপর তিনি এই আয়াত পড়লেন---যার অর্থ, ’’তোমার প্রতিপালকের পাকড়াও এরূপই হয়ে থাকে। যখন তিনি অত্যাচারী জনপদকে পাকড়াও করে থাকেন। নিশ্চয়ই তাঁর পাকড়াও কঠিন যন্ত্রণাদায়ক।’’ সূরা হূদ ১০২ আয়াত, বুখারী-মুসলিম)[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَنْ أَبِي مُوسَى رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم: «إنَّ الله لَيُمْلِي لِلظَّالِمِ، فَإِذَا أخَذَهُ لَمْ يُفْلِتْهُ»، ثُمَّ قَرَأَ: وكذلك أخذ ربك إذا أخذ القرى وهي ظالمة إن أخذه أليم شديد [هود: ١٠٢] مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ابي موسى رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان الله ليملي للظالم، فاذا اخذه لم يفلته»، ثم قرا: وكذلك اخذ ربك اذا اخذ القرى وهي ظالمة ان اخذه اليم شديد [هود: ١٠٢] متفق عليه

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Abu Musa (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Verily, Allah gives respite to the oppressor. But when He seizes him, He does not let him escape." Then he (ﷺ)) recited, "Such is the Seizure of your Rubb when He seizes the (population of) towns while they are doing wrong. Verily, His Seizure is painful (and) severe". (11:102).

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

৬/২১৩। মু’আয রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে (ইয়ামানের শাসকরূপে) পাঠাবার সময় বলেছিলেন, ’’তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছ। সুতরাং তুমি তাদেরকে ’আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল’ এ কথার সাক্ষ্যদানের প্রতি দাওয়াত দেবে। যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে, আল্লাহ তাদের উপর প্রতি দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন।

তারা যদি এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে যে, আল্লাহ তাদের সম্পদের ওপর সাদকাহ (যাকাত) ফরয করেছেন। তাদের মধ্যে যারা সম্পদশালী তাদের থেকে যাকাত উসূল করে যারা দরিদ্র তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে। যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তুমি (যাকাত নেওয়ার সময়) তাদের উৎকৃষ্ট মাল নেওয়া থেকে দূরে থাকবে। আর অত্যাচারিতের বদ-দো’আ থেকে বাঁচবে। কারণ তার বদ-দো’আ এবং আল্লাহর মাঝে কোন পর্দা নেই (অর্থাৎ শীঘ্র কবুল হয়ে যায়)।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَن مُعَاذٍ رضي الله عنه، قَالَ : بَعَثَنِي رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: «إنَّكَ تَأتِي قَوْماً مِنْ أهلِ الكِتَابِ فَادْعُهُمْ إِلَى شَهَادَةِ أنْ لا إِلٰهَ إلاَّ الله، وَأنِّي رسولُ الله، فَإنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذلِكَ، فَأعْلِمْهُمْ أنَّ اللهَ قَدِ افْتَرضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَواتٍ في كُلِّ يَوْمٍ وَلَيلَةٍ، فَإِنْ هُمْ أطَاعُوا لِذَلِكَ، فَأعْلِمْهُمْ أنَّ اللهَ قَدِ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً تُؤخَذُ مِنْ أغْنِيَائِهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ، فَإنْ هُمْ أطَاعُوا لِذَلِكَ، فَإِيَّاكَ وَكَرَائِمَ أمْوَالِهِمْ، وَاتَّقِ دَعْوَةَ المَظْلُومِ ؛ فإِنَّهُ لَيْسَ بَيْنَها وَبَيْنَ اللهِ حِجَابٌ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن معاذ رضي الله عنه، قال : بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: «انك تاتي قوما من اهل الكتاب فادعهم الى شهادة ان لا اله الا الله، واني رسول الله، فان هم اطاعوا لذلك، فاعلمهم ان الله قد افترض عليهم خمس صلوات في كل يوم وليلة، فان هم اطاعوا لذلك، فاعلمهم ان الله قد افترض عليهم صدقة توخذ من اغنياىهم فترد على فقراىهم، فان هم اطاعوا لذلك، فاياك وكراىم اموالهم، واتق دعوة المظلوم ؛ فانه ليس بينها وبين الله حجاب». متفق عليه

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Mu'adh (May Allah bepleased with him) reported that Messenger of Allah (ﷺ) sent me (as a governor of Yemen) and instructed me thus:
"You will go to the people of the Book. First call them to testify that 'there is no true god except Allah, that I am (Muhammad (ﷺ)) the Messenger of Allah.' If they obey you, tell them that Allah has enjoined upon them five Salat (prayers) during the day and night; and if they obey you, inform them that Allah has made Zakat obligatory upon them; that it should be collected from their rich and distributed among their poor; and if they obey you refrain from picking up (as a share of Zakat) the best of their wealth. Beware of the supplication of the oppressed, for there is no barrier between it and Allah".

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

৭/২১৪। আবূ হুমাইদ আব্দুর রহমান ইবনু সা’দ সায়েদী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয্দ গোত্রের ইবনুলুতবিয়্যাহ নামক এক ব্যক্তিকে যাকাত আদায় করার কাজে কর্মচারী নিয়োগ করলেন। সে ব্যক্তি (আদায়কৃত মালসহ) ফিরে এসে বলল, ’এটা আপনাদের (বায়তুল মালের), আর এটা আমাকে উপহার স্বরূপ দেওয়া হয়েছে।’

এ কথা শুনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে উঠে দন্ডায়মান হয়ে আল্লাহর প্রশংসা ও স্তুতি বর্ণনা করে বললেন, ’’অতঃপর বলি যে, আল্লাহ আমাকে যে সকল কর্মের অধিকারী করেছেন তার মধ্য হতে কোনও কর্মের তোমাদের কাউকে কর্মচারী নিয়োগ করলে সে ফিরে এসে বলে কি না, ’এটা আপনাদের, আর এটা উপহার স্বরূপ আমাকে দেওয়া হয়েছে!’ যদি সে সত্যবাদী হয়, তবে তার বাপ-মায়ের ঘরে বসে থেকে দেখে না কেন, তাকে কোন উপহার দেওয়া হচ্ছে কি না? আল্লাহর কসম; তোমাদের মধ্যে যে কেউ কোন জিনিস অনধিকার গ্রহণ করবে, সে কিয়ামতের দিন তা নিজ ঘাড়ে বহন করা অবস্থায় আল্লাহ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ করবে। অতএব আমি যেন অবশ্যই চিনতে না পারি যে, তোমাদের মধ্য হতে কেউ নিজ ঘাড়ে চিঁহিঁ-রববিশিষ্ট উঁট, অথবা হাম্বা-রববিশিষ্ট গাই, অথবা ম্যা-ম্যা-রববিশিষ্ট ছাগল বহন করা অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেছ।’’

আবূ হুমাইদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উভয় হাতকে উপর দিকে এতটা তুললেন যে, তাঁর উভয় বগলের শুভ্রতা দেখা গেল। অতঃপর তিনবার বললেন, ’’হে আল্লাহ! আমি কি পৌঁছে দিলাম?’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَنْ أَبِي حُمَيدٍ عَبدِ الرَّحمَانِ بنِ سَعدٍ السَّاعِدِي رضي الله عنه، قَالَ : اِسْتَعْمَلَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً مِنَ الأزْدِ يُقَالُ لَهُ : ابْنُ اللُّتْبِيَّةِ عَلَى الصَّدَقَةِ، فَلَمَّا قَدِمَ، قَالَ : هَذَا لَكُمْ، وَهَذَا أُهْدِيَ إِلَيَّ، فَقَامَ رسولُ الله صلى الله عليه وسلم عَلَى المِنْبَرِ فَحَمِدَ الله وَأثْنَى عَلَيهِ، ثُمَّ قَالَ: «أمَّا بَعدُ، فَإِنِّي أسْتَعْمِلُ الرَّجُلَ منْكُمْ عَلَى العَمَلِ مِمَّا وَلاَّنِي اللهُ، فَيَأتِي فَيَقُولُ : هَذَا لَكُمْ وَهَذا هَدِيَّةٌ أُهْدِيتْ إلَيَّ، أفَلا جَلَسَ في بيت أبِيهِ أَوْ أُمِّهِ حَتَّى تَأتِيَهُ هَدِيَّتُهُ إنْ كَانَ صَادِقاً، واللهِ لا يَأخُذُ أحَدٌ مِنْكُمْ شَيئاً بِغَيرِ حَقِّهِ إلاَّ لَقِيَ الله تَعَالَى، يَحْمِلُهُ يَوْمَ القِيَامَةِ، فَلا أعْرِفَنَّ أحَداً مِنْكُمْ لَقِيَ اللهَ يَحْمِلُ بَعيراً لَهُ رُغَاءٌ، أَوْ بَقَرَةً لَهَا خُوَارٌ، أَوْ شَاةً تَيْعَرُ» ثُمَّ رفع يديهِ حَتَّى رُؤِيَ بَيَاضُ إبْطَيْهِ، فَقَالَ: «اَللهم هَلْ بَلَّغْتُ» ثلاثاً. مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ابي حميد عبد الرحمان بن سعد الساعدي رضي الله عنه، قال : استعمل النبي صلى الله عليه وسلم رجلا من الازد يقال له : ابن اللتبية على الصدقة، فلما قدم، قال : هذا لكم، وهذا اهدي الي، فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم على المنبر فحمد الله واثنى عليه، ثم قال: «اما بعد، فاني استعمل الرجل منكم على العمل مما ولاني الله، فياتي فيقول : هذا لكم وهذا هدية اهديت الي، افلا جلس في بيت ابيه او امه حتى تاتيه هديته ان كان صادقا، والله لا ياخذ احد منكم شيىا بغير حقه الا لقي الله تعالى، يحمله يوم القيامة، فلا اعرفن احدا منكم لقي الله يحمل بعيرا له رغاء، او بقرة لها خوار، او شاة تيعر» ثم رفع يديه حتى روي بياض ابطيه، فقال: «اللهم هل بلغت» ثلاثا. متفق عليه

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Abu Humaid bin Sa'd As-Sa'idi (May Allah bepleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) employed a man from the tribe of Al-Azd named Ibn Lutbiyyah as collector of Zakat. When the employee returned (with the collections) he said: "(O Prophet (ﷺ)!) This is for you and this is mine because it was presented to me as gift." Messenger of Allah (ﷺ) rose to the pulpit and praised Allah and extolled Him. Then he said, "I employ a man to do a job and he comes and says: 'This is for you and this has been presented to me as gift'? Why did he not remain in the house of his father or the house of his mother and see whether gifts will be given to him or not? By Allah in Whose Hand is the life of Muhammad, if any one of you took anything wrongfully, he will bring it on the Day of Resurrection, carrying it on (his back), I will not recognize anyone of you, on the Day of Resurrection with a grunting camel, or a bellowing cow, or a bleating ewe." Then he raised his hands till we could see the whiteness of his armpits. Then he said thrice, ''O Allah ! have I conveyed (Your Commandments)".

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

৮/২১৫। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি তার (কোন মুসলিম) ভাইয়ের উপর তার সম্ভ্রম অথবা কোন বিষয়ে যুলুম করেছে, সে যেন আজই (দুনিয়াতে) তার কাছে (ক্ষমা চেয়ে) হালাল করে নেয়, ঐ দিন আসার পূর্বে যেদিন দ্বীনার ও দিরহাম কিছুই থাকবে না। তার যদি কোন নেক আমল থাকে, তবে তার যুলুমের পরিমাণ অনুযায়ী তা হতে নিয়ে নেওয়া হবে। আর যদি তার নেকী না থেকে, তবে তার (মযলূম) সঙ্গীর পাপরাশি নিয়ে তার (যালেমের) উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ كَانَتْ عِنْدَهُ مَظْلمَةٌ لأَخِيه، مِنْ عِرضِهِ أَوْ مِنْ شَيْءٍ، فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ اليَوْمَ قبْلَ أنْ لاَ يَكُونَ دِينَار وَلاَ دِرْهَمٌ ؛ إنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلمَتِهِ، وَإنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيهِ». رواه البخاري

وعن ابي هريرة رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «من كانت عنده مظلمة لاخيه، من عرضه او من شيء، فليتحلله منه اليوم قبل ان لا يكون دينار ولا درهم ؛ ان كان له عمل صالح اخذ منه بقدر مظلمته، وان لم يكن له حسنات اخذ من سيىات صاحبه فحمل عليه». رواه البخاري

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Abu Hurairah (May Allah bepleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "He who has done a wrong affecting his brother's honour or anything else, let him ask his forgiveness today before the time (i.e., the Day of Resurrection) when he will have neither a dinar nor a dirham. If he has done some good deeds, a portion equal to his wrong doings will be subtracted from them; but if he has no good deeds, he will be burdened with the evil deeds of the one he had wronged in the same proportion".

[Al-Bukhari].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

৯/২১৬। আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’প্রকৃত মুসলিম সেই, যার জিভ ও হাত থেকে সকল মুসলিম নিরাপদ থাকে। আর প্রকৃত মুহাজির (দ্বীনের খাতিরে স্বদেশ ত্যাগকারী) সেই, যে আল্লাহ যে সব কাজ করতে নিষেধ করেছেন, তা ত্যাগ করে।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَن عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ الله عَنهُمَا، عَنِ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «المُسْلِمُ منْ سَلِمَ المُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ، وَالمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ مَا نَهَى اللهُ عَنْهُ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «المسلم من سلم المسلمون من لسانه ويده، والمهاجر من هجر ما نهى الله عنه». متفق عليه

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


'Abdullah bin 'Amr bin Al-'as (May Allah bepleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "A Muslim is the one from whose tongue and hands the Muslims are safe; and a Muhajir (Emigrant) is the one who refrains from what Allah has forbidden".

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

১০/২১৭। আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামানের জন্য একটি লোক নিযুক্ত ছিল। তাকে কিরকিরাহ বলা হত। সে মারা গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’সে জাহান্নামী।’’ অতঃপর (এ কথা শুনে) সাহাবীগণ তাকে দেখতে গেলেন (ব্যাপার কী?) সুতরাং তাঁরা একটি আংরাখা (বুক-খোলা লম্বা ও ঢিলা জামা) পেলেন, সেটি সে (গনীমতের মাল থেকে) চুরি করে নিয়েছিল।[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَنهُ رضي الله عنه، قَالَ : كَانَ عَلَى ثَقَل النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ كِرْكِرَةُ، فَمَاتَ، فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عليه وسلم: «هُوَ في النَّارِ»فَذَهَبُوا يَنْظُرُونَ إِلَيْه، فَوَجَدُوا عَبَاءةً قَدْ غَلَّهَا . رواه البخاري

وعنه رضي الله عنه، قال : كان على ثقل النبي صلى الله عليه وسلم رجل يقال له كركرة، فمات، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «هو في النار»فذهبوا ينظرون اليه، فوجدوا عباءة قد غلها . رواه البخاري

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


'Abdullah bin 'Amr bin Al-'as (May Allah bepleased with them) reported:
A man named Kirkirah, who was in charge of the personal effects of Messenger of Allah (ﷺ) passed away and the Prophet (ﷺ) said, "He is in the (Hell) Fire." Some people went to his house looking for its cause and found there a cloak that he had stolen. [Al-Bukhari]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

১১/২১৮। আবূ বকরাহ নুফাই ইবনুল হারেস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’নিশ্চয় যামানা (কাল) নিজের ঐ অবস্থায় ফিরে এল যেদিন আল্লাহ তা’আলা আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। (অর্থাৎ দুনিয়া সৃষ্টি করার সময় যেরূপ বছর ও মাসগুলো ছিল, এখন পুনর্বার সে পুরাতন অবস্থায় ফিরে এল এবং আরবের মুশরিকরা যে নিজেদের মন মত মাসগুলোকে আগে-পিছে করেছিল তা এখন থেকে শেষ করে দেওয়া হল।) বছরে বারটি মাস; তার মধ্যে চারটি হারাম (সম্মানীয়) মাস। তিনটি পরস্পরঃ যুল ক্বা’দাহ, যুলহিজ্জাহ ও মুহাররাম। আর (চতুর্থ হল) মুদ্বার গোত্রের রজব; যা জুমাদা ও শা’বান এর মধ্যে রয়েছে। এটা কোন্ মাস?’’ আমরা বললাম, ’আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সর্বাধিক জ্ঞাত।’

অতঃপর তিনি কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়তো তার নাম ব্যতীত অন্য নাম বলবেন। তিনি বললেন, ’’এটা যুল-হিজ্জাহ নয় কি?’’ আমরা বললাম, ’অবশ্যই।’ অতঃপর তিনি বললেন, ’’এটা কোন্ শহর?’’ আমরা বললাম, ’আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সর্বাধিক জ্ঞাত।’ অতঃপর তিনি কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়তো তার নাম ব্যতীত অন্য নাম বলবেন। তিনি বললেন, ’’এ শহর (মক্কা) নয় কি?’’ আমরা বললাম, ’অবশ্যই।’ তিনি বললেন, ’’আজ কোন্ দিন?’’ আমরা বললাম, ’আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সর্বাধিক জ্ঞাত।’ অতঃপর তিনি চুপ থাকলেন। আমরা ভাবলাম, তিনি হয়তো এর অন্য নাম বলবেন।

অতঃপর তিনি বললেন, ’’এটা কি কুরবানীর দিন নয়?’’ আমরা বললাম, ’অবশ্যই।’ অতঃপর তিনি বললেন, ’’নিশ্চয় তোমাদের রক্ত, তোমাদের মাল এবং তোমাদের সম্ভ্রম তোমাদের (আপসের মধ্যে) এ রকমই হারাম (ও সম্মানীয়) যেমন তোমাদের এ দিনের সম্মান তোমাদের এ শহরে এবং তোমাদের এ মাসে রয়েছে। শীঘ্রই তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সাথে মিলিত হবে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে তোমাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। সুতরাং তোমরা আমার পর এমন কাফের হয়ে যেও না যে, তোমরা এক অপরের গর্দান মারবে। শোনো! উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিতকে (এ সব কথা) পৌঁছে দেয়। কারণ, যাকে পৌঁছাবে সে শ্রোতার চেয়ে অধিক স্মৃতিধর হতে পারে।’’ অবশেষে তিনি বললেন, ’’সতর্ক হয়ে যাও! আমি কি পৌঁছে দিলাম?’’ আমরা বললাম, ’হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ’’হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থাক।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ نُفَيْعِ بنِ الحَارِثِ رضي الله عنه عَنِ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: « إنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرضَ: السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرَاً، مِنْهَا أرْبَعَةٌ حُرُمٌ: ثَلاثٌ مُتَوالِياتٌ: ذُو القَعْدَة، وذُو الحِجَّةِ، وَالمُحَرَّمُ، وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشعْبَانَ، أيُّ شَهْر هَذَا ؟» قُلْنَا : اللهُ وَرَسُولُهُ أعْلَمُ، فَسَكَتَ حَتَّى ظَننَّا أنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، قَالَ: «ألَيْسَ ذَا الحِجَّةِ ؟» قُلْنَا : بَلَى . قَالَ: «فَأيُّ بَلَد هَذَا ؟»قُلْنَا : اللهُ ورَسُولُهُ أعْلَمُ، فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيرِ اسْمِهِ . قَالَ: «ألَيْسَ البَلْدَةَ ؟»قُلْنَا : بَلَى . قَالَ: «فَأيُّ يَوْم هَذَا ؟»قُلْنَا : اللهُ ورَسُولُهُ أعْلَمُ، فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بغَيرِ اسْمِهِ . قَالَ: «ألَيسَ يَوْمَ النَّحْرِ ؟»قُلْنَا : بَلَى . قَالَ: «فَإنَّ دِمَاءكُمْ وَأمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ عليكم حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا في بَلَدِكُمْ هَذَا في شَهْرِكُمْ هَذَا، وَسَتَلْقُونَ رَبَّكُمْ فَيَسْألُكُمْ عَنْ أعْمَالِكُمْ، ألا فَلا تَرْجعوا بعدي كُفّاراً يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْض، ألا لَيُبَلِّغ الشَّاهِدُ الغَائِبَ، فَلَعَلَّ بَعْضَ مَنْ يَبْلُغُهُ أنْ يَكُونَ أوْعَى لَهُ مِنْ بَعْض مَنْ سَمِعَهُ»، ثُمَّ قَالَ : «إلاَّ هَلْ بَلَّغْتُ، ألاَ هَلْ بَلَّغْتُ ؟» قُلْنَا : نَعَمْ . قَالَ: «اَللهمّ اشْهَدْ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

وعن ابي بكرة نفيع بن الحارث رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: « ان الزمان قد استدار كهيىته يوم خلق الله السماوات والارض: السنة اثنا عشر شهرا، منها اربعة حرم: ثلاث متواليات: ذو القعدة، وذو الحجة، والمحرم، ورجب مضر الذي بين جمادى وشعبان، اي شهر هذا ؟» قلنا : الله ورسوله اعلم، فسكت حتى ظننا انه سيسميه بغير اسمه، قال: «اليس ذا الحجة ؟» قلنا : بلى . قال: «فاي بلد هذا ؟»قلنا : الله ورسوله اعلم، فسكت حتى ظننا انه سيسميه بغير اسمه . قال: «اليس البلدة ؟»قلنا : بلى . قال: «فاي يوم هذا ؟»قلنا : الله ورسوله اعلم، فسكت حتى ظننا انه سيسميه بغير اسمه . قال: «اليس يوم النحر ؟»قلنا : بلى . قال: «فان دماءكم واموالكم واعراضكم عليكم حرام، كحرمة يومكم هذا في بلدكم هذا في شهركم هذا، وستلقون ربكم فيسالكم عن اعمالكم، الا فلا ترجعوا بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض، الا ليبلغ الشاهد الغاىب، فلعل بعض من يبلغه ان يكون اوعى له من بعض من سمعه»، ثم قال : «الا هل بلغت، الا هل بلغت ؟» قلنا : نعم . قال: «اللهم اشهد». متفق عليه

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Abu Bakrah (May Allah bepleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Time has completed its cycle and has come to the state of the day when Allah created the heavens and the earth. The year consists of twelve months of which four are inviolable; three of them consecutive - Dhul-Qa'dah, Dhul-Hijjah and Muharram and Rajab, the month of Mudar (tribe), which comes between Jumada and Sha'ban. What month is this?" We said, "Allah and His Messenger (ﷺ) know better". The Prophet (ﷺ) remained silent for some time until we thought that he would give it a name other than its real name. Then asked, "Is it not (the month of) Dhul-Hijjah?". We replied in the affirmative. He asked, "Which city is this?". We replied: "Allah and His Messenger know better". He remained silent until we thought that he would give it another name. He (ﷺ) asked, "Is it not Al-Baldah (Makkah)?" We said: "Yes". He (ﷺ) asked, "What day is this?". We said: "Allah and His Messenger know better." He (ﷺ) remained silent until we thought that he would give it another name. He asked, "Is it not the day of An-Nahr (the sacrifice)?". We replied in the affirmative. Thereupon he said, "Your blood, your property and your honour are inviolable to you all like the inviolablity of this day of yours, in this city of yours and in this month of yours. You will soon meet your Rubb and He will ask you about your deeds. So do not turn to disbelief after me by striking the necks of one another. Behold! Let him who is present here convey (this message ) to him who is absent; for many a person to whom a message is conveyed has more retentive memory than the one who hears it." He (ﷺ) again said, "Have I conveyed the message to you? Behold! Have I conveyed the Commandments (of Allah) to you." We submitted: "Yes". He then said, "O Allah, bear witness (to this)".

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

১২/২১৯। আবূ উমামাহ ইয়াস ইবনু সা’লাবা হারেসী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি (মিথ্যা) কসম খেয়ে কোন মুসলিমর হক মেরে নেবে, তার জন্য আল্লাহ তা’আলা জাহান্নাম ওয়াজেব এবং জান্নাত হারাম করে দেবেন।’’ একটি লোক বলল, ’যদি তা নগণ্য জিনিস হয় হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ’’যদিও তা পিল্লু গাছের একটি ডালও হয়।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ إِيَاسِ بنِ ثَعلَبَةَ الحَارِثِي رضي الله عنه : أنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنِ اقْتَطَعَ حَقَّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ بِيَمِينِهِ، فَقدْ أوْجَبَ اللهُ لَهُ النَّارَ، وَحَرَّمَ عَلَيهِ الجَنَّةَ»فَقَالَ رَجُلٌ : وإنْ كَانَ شَيْئاً يَسيراً يَا رَسُول الله ؟ فَقَالَ: «وإنْ قَضيباً مِنْ أرَاك». رواه مسلم

وعن ابي امامة اياس بن ثعلبة الحارثي رضي الله عنه : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «من اقتطع حق امرى مسلم بيمينه، فقد اوجب الله له النار، وحرم عليه الجنة»فقال رجل : وان كان شيىا يسيرا يا رسول الله ؟ فقال: «وان قضيبا من اراك». رواه مسلم

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Abu Umamah (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah decrees the (Hell) Fire and debars Jannah for the one who usurps the rights of a believer by taking a false oath." One man asked: "O Messenger of Allah! Even if it should be for an insignificant thing?" He said, "Even if it be a stick of the Arak tree (i.e., the tree from which Miswak sticks are taken)".

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

১৩/২২০। আদী ইবনু আমীরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ’’আমরা তোমাদের মধ্যে যাকে কোন কাজে নিযুক্ত করি, অতঃপর সে আমাদের কাছে সূঁচ অথবা তার চেয়ে বেশী (কিম্বা কম কিছু) লুকিয়ে নেয়, তো এটা খিয়ানত ও চুরি করা হয়। কিয়ামতের দিন সে তা সঙ্গে নিয়ে হাজির হবে।’’ এ কথা শুনে আনসারদের মধ্যে একজন কৃষ্ণকায় মানুষ উঠে দাঁড়ালেন, যেন আমি তাকে (এখন) দেখছি। তিনি বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি (যে কাজের দায়িত্ব আমার উপর অর্পণ করেছিলেন) তা আমার কাছ থেকে ফিরিয়ে নেন।’ তিনি বললেন, ’’তোমার কি হয়েছে?’’ সে বলল, ’আমি আপনাকে এ রকম কথা বলতে শুনলাম।’ তিনি বললেন, ’’আমি এখনো বলছি যে, যাকে আমরা কোন কাজে নিযুক্ত করি, সে যেন অল্প-বেশী (সমস্ত মাল) আমার কাছে নিয়ে আসে। অতঃপর তা হতে তাকে যতটা দেওয়া হবে, তাইই সে গ্রহণ করবে এবং যা হতে তাকে বিরত রাখা হবে, সে তা থেকে বিরত থাকবে।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وَعَن عَدِيّ بنِ عَميْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : سمعت رَسُول الله صلى الله عليه وسلم، يقول: «مَنِ اسْتَعْمَلْنَاهُ مِنْكُمْ عَلَى عَمَل، فَكَتَمَنَا مِخْيَطاً فَمَا فَوْقَهُ، كَانَ غُلُولاً يَأتِي به يَومَ القِيَامَةِ»فَقَامَ إليه رَجُلٌ أسْوَدُ مِنَ الأنْصَارِ، كَأنِّي أنْظُرُ إِلَيْهِ، فَقَالَ : يَا رَسُول الله، اقْبَلْ عَنِّي عَمَلَكَ، قَالَ: «وَمَا لَكَ ؟»قَالَ: سَمِعْتكَ تَقُولُ كَذَا وكَذَا، قَالَ: «وَأَنَا أقُولُه الآنَ : مَنِ اسْتَعْمَلْنَاهُ عَلَى عَمَلٍ فَلْيَجِيءْ بِقَلِيلِهِ وَكَثِيرِهِ، فَمَا أُوتِيَ مِنْهُ أخَذَ، وَمَا نُهِيَ عَنْهُ انْتَهَى». رواه مسلم

وعن عدي بن عميرة رضي الله عنه، قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم، يقول: «من استعملناه منكم على عمل، فكتمنا مخيطا فما فوقه، كان غلولا ياتي به يوم القيامة»فقام اليه رجل اسود من الانصار، كاني انظر اليه، فقال : يا رسول الله، اقبل عني عملك، قال: «وما لك ؟»قال: سمعتك تقول كذا وكذا، قال: «وانا اقوله الان : من استعملناه على عمل فليجيء بقليله وكثيره، فما اوتي منه اخذ، وما نهي عنه انتهى». رواه مسلم

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


'Adi bin 'Umairah (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Whosoever among you is appointed by us to a position and he conceals from us even a needle or less, it will amount to misappropriation and he will be called upon to restore it on the Day of Resurrection". ('Adi bin 'Umairah added:) A black man from the Ansar stood up - I can see him still - and said: "O Messenger of Allah, take back from me your assignment." He (the Prophet (ﷺ)) said, "What has happened to you?" The man replied: "I have heard you saying such and such." He (ﷺ) said, "I say that even now: Whosoever from you is appointed by us to a position, he should render an account of everything, big or small, and whatever he is given therefrom, he should take and he should desist from taking what is unlawful".

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

১৪/২২১। উমার ইবনু খাত্ত্বাব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, যখন খাইবারের যুদ্ধ হল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিছু সাহাবী এসে বললেন, ’অমুক অমুক শহীদ হয়েছে।’ অতঃপর তাঁরা একটি লোকের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন এবং বললেন, ’অমুক শহীদ।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’কখনোই না। সে (গনীমতের) মাল থেকে একটি চাদর অথবা আংরাখা (বুক-খোলা লম্বা ও ঢিলা জামা) চুরি করেছিল, সে জন্য আমি তাকে জাহান্নামে দেখলাম।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وعن عمر بن الخطاب رضي اللَّهُ عنه قال : لمَّا آان يوْمُ خيْبرَ أَقْبل نَفرٌ مِنْ أَصْحابِ النَّبِيِّ صَلّى االلهُعَلَيْهِ وسَلَّم فَقَالُوا : فُلانٌ شَهِيدٌ ، وفُلانٌ شهِيدٌ ، حتَّى مَرُّوا علَى رَجُلٍ فقالوا : فلانٌ شهِيد . فقال النَّبِيُّ صَلّىااللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : » آلاَّ إِنِّي رَأَيْتُهُ فِي النَّارِ فِي بُرْدَةٍ غَلَّها أَوْ عبَاءَةٍ « رواه مسلم

وعن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال : لما اان يوم خيبر اقبل نفر من اصحاب النبي صلى االلهعليه وسلم فقالوا : فلان شهيد ، وفلان شهيد ، حتى مروا على رجل فقالوا : فلان شهيد . فقال النبي صلىاالله عليه وسلم : » الا اني رايته في النار في بردة غلها او عباءة « رواه مسلم

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


216. `Umar bin Al-Khattab (May Allah bepleased with him) reported: On the day (of the battle) of Khaibar, some Companions of the Prophet (PBUH) came and remarked: "So-and-so is a martyr and so-and-so is a martyr". When they came to a man about whom they said: "So-and-so is a martyr,'' the Prophet (PBUH) declared, "No. I have seen him in Hell for a mantle (or cloak) which he has stolen".
[Muslim].

Commentary:
1. This Hadith tells us that the rights of people will not be forgiven even by martyrdom.
2. Misappropriation in the national exchequer is a horrible sin.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

১৫/২২২। আবূ ক্বাতাদাহ হারেস ইবনু রিবয়ী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সাহাবীদের) মাঝে দাঁড়ালেন। অতঃপর তাঁদের জন্য বর্ণনা করলেন যে, ’’আল্লাহর পথে জিহাদ এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা সর্বোত্তম আমল।’’ এ শুনে একটি লোক দাঁড়িয়ে বলল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বলুন, যদি আমাকে আল্লাহর পথে হত্যা করে দেওয়া হয়, তবে কি আমার পাপরাশি মোচন করে দেওয়া হবে?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ’’হ্যাঁ। যদি তুমি আল্লাহর পথে ধৈর্যশীল ও নেকীর কামনাকারী হয়ে (শত্রুর দিকে) অগ্রগামী হয়ে এবং পিছপা না হয়ে খুন হও, তাহলে।’’

পুনরায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তুমি কি যেন বললে?’’ সে বলল, ’আপনি বলুন, যদি আল্লাহর পথে আমাকে হত্যা করা হয়, তবে কি আমার পাপরাশি মোচন করে দেওয়া হবে?’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’হ্যাঁ। যদি তুমি আল্লাহর পথে ধৈর্যশীল ও নেকীর কামনাকারী হয়ে (শত্রুর দিকে) অগ্রগামী হয়ে এবং পিছপা না হয়ে (খুন হও, তাহলে)। কিন্তু ঋণ (ক্ষমা হবে না)। কেননা জিবরীল আলাইহিস সালাম আমাকে এ কথা বললেন।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وعن أَبي قَتَادَةَ الْحارثِ بنِ ربعي رضي اللَّه عنه عن رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم أَنَّهُ قَام فِيهم،ْفذَآَرَ لَهُمْ أَنَّ الْجِهادَ فِي سبِيلِ اللَّه ، وَالإِيمانَ بِاللَّه أَفْضلُ الأَعْمال،ِ فَقَامَ رَجلٌ فقال: يا رسول اللَّه أَرَأَيْت إِنْقُتِلْتُ فِي سَبِيلِ اللَّه ، تُكَفِّرُ عنِي خَطَايَاىَ؟ فقال لَهُ رسولُ اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : » نعَمْ إِنْ قُتِلْتَ فِيسَبِيلِ اللَّه وأَنْتَ صَابر مُحْتَسِبٌ ، مُقْبِلٌ غيْرَ مُدْبرٍ « ثُمَّ قال رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : » آيْف قُلْتَ ؟« قال : أَرَأَيْتَ إِنْ قُتِلْتُ فِي سَبِيل اللَّه ، أَتُكَفرُ عني خَطَاياي ؟ فقال رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : »نَعمْوأَنْت صابِرٌ مُحْتَسِبٌ ، مُقبِلٌ غَيْرَ مُدْبِرٍ ، إِلاَّ الدَّيْن فَإِنَّ جِبْرِيلَ قال لِي ذلِكَ « رواه مسلم .

وعن ابي قتادة الحارث بن ربعي رضي الله عنه عن رسول الله صلى االله عليه وسلم انه قام فيهم،فذار لهم ان الجهاد في سبيل الله ، والايمان بالله افضل الاعمال، فقام رجل فقال: يا رسول الله ارايت انقتلت في سبيل الله ، تكفر عني خطاياى؟ فقال له رسول الله صلى االله عليه وسلم : » نعم ان قتلت فيسبيل الله وانت صابر محتسب ، مقبل غير مدبر « ثم قال رسول الله صلى االله عليه وسلم : » ايف قلت ؟« قال : ارايت ان قتلت في سبيل الله ، اتكفر عني خطاياي ؟ فقال رسول الله صلى االله عليه وسلم : »نعموانت صابر محتسب ، مقبل غير مدبر ، الا الدين فان جبريل قال لي ذلك « رواه مسلم .

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Abu Qatadah Al-Harith bin Rib`i (May Allah bepleased with him) reported: Messenger of Allah (PBUH) said,"Faith in Allah and striving in His Cause (Jihad) are the deeds of highest merit.'' A man stood up said: "O Messengerof Allah! Tell me if I am killed in the Cause of Allah, will all my sins be forgiven?'' He (PBUH) replied, "Yes, if youare killed in the Cause of Allah while you are patient, hopeful of your reward and marching forward not retreating."Then the Prophet (PBUH) said to him, "Repeat what you have said.'' The man said: "Tell me if I am killed in theCause of Allah, will all my sins be remitted?". He replied, "Yes, if you are martyred while you are patient, hopefulof your reward and march forward without retreating, unless, if you owe any debt, that will not be remitted. AngelJibril told me that".

[Muslim].

Commentary: This Hadith also shows the importance of rights of people and repayment of loan which will not bepardoned in any case. It is, therefore, essential that every Muslim should exercise utmost care to fulfill hisobligations in these matters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

১৬/২২৩। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তোমরা কি জান, নিঃস্ব কে?’’ তাঁরা বললেন, ’আমাদের মধ্যে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি, যার কাছে কোন দিরহাম এবং কোনো আসবাব-পত্র নেই।’ তিনি বললেন, ’’আমার উম্মতের মধ্যে (আসল) নিঃস্ব তো সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাতের (নেকী) নিয়ে হাযির হবে। (কিন্তু এর সাথে সাথে সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে। কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে, কারো (অবৈধরূপে) মাল ভক্ষণ করেছে। কারো রক্তপাত করেছে এবং কাউকে মেরেছে। অতঃপর এ (অত্যাচারিত) কে তার নেকী দেওয়া হবে, এ (অত্যাচারিত) কে তার নেকী দেওয়া হবে। পরিশেষে যদি তার নেকীরাশি অন্যান্যদের দাবী পূরণ করার পূর্বেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদের পাপরাশি নিয়ে তার উপর নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وعن أَبي هريرة رضي اللَّه عنه ، أَن رسولَ اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قال : »أَتَدْرُون من الْمُفْلِسُ ؟«قالُوا : الْمُفْلسُ فِينَا مَنْ لا دِرْهَمَ لَهُ وَلا مَتَاعَ . فقال : » إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَأْتِي يَوْمَ الْقيامةِ بِصَلاةٍوَصِيَامٍ وزَآَاةٍ ، ويأْتِي وقَدْ شَتَمَ هذا ، وقذَف هذَا وَأَآَلَ مالَ هَذَا، وسفَكَ دَم هذَا ، وَضَرَبَ هذا ، فيُعْطَى هذَامِنْ حسَنَاتِهِ ، وهَذا مِن حسَنَاتِهِ ، فَإِنْ فَنِيَتْ حسناته قَبْلَ أَنْ يقْضِيَ مَا عَلَيْهِ ، أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرحَتْ علَيْه، ثُمَّ طُرِح في النَّارِ« رواه مسلم .

وعن ابي هريرة رضي الله عنه ، ان رسول الله صلى االله عليه وسلم قال : »اتدرون من المفلس ؟«قالوا : المفلس فينا من لا درهم له ولا متاع . فقال : » ان المفلس من امتي من ياتي يوم القيامة بصلاةوصيام وزااة ، وياتي وقد شتم هذا ، وقذف هذا واال مال هذا، وسفك دم هذا ، وضرب هذا ، فيعطى هذامن حسناته ، وهذا من حسناته ، فان فنيت حسناته قبل ان يقضي ما عليه ، اخذ من خطاياهم فطرحت عليه، ثم طرح في النار« رواه مسلم .

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Abu Hurairah (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (PBUH) said, "Do you know whois the bankrupt?'' They said: "The bankrupt among us is one who has neither money with him nor any property". Hesaid, "The real bankrupt of my Ummah would be he who would come on the Day of Resurrection with Salat, Saumand Sadaqah (charity), (but he will find himself bankrupt on that day as he will have exhausted the good deeds) because he reviled others, brought calumny against others, unlawfully devoured the wealth of others, shed the bloodof others and beat others; so his good deeds would be credited to the account of those (who suffered at his hand). Ifhis good deeds fall short to clear the account, their sins would be entered in his account and he would be thrown inthe (Hell) Fire".

[Muslim].
Commentary: This Hadith tells us that a Muslim has to take strict care in the performance of obligations likeprescribed Salat (prayers), Zakat, etc, but he has to take similar care in his dealings, manners and morals. Salvationlies in the proper fulfillment of all these requirements. Fulfillment of one at the cost of the other will not besufficient for salvation.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

১৭/২২৪। উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’আমি তো একজন মানুষ। আর তোমরা (বিবাদ করে) ফায়সালার জন্য আমার নিকট আসো। হয়তো তোমাদের কেউ কেউ অন্যের তুলনায় অধিক বাকপটু। আর আমি তার কথার ভিত্তিতে তার পক্ষে ফায়সালা করি। সুতরাং আমি যদি কাউকে তার (মুসলিম) ভায়ের হক তার জন্য ফায়সালা করে দিই, তাহলে আসলে আমি তার জন্য আগুনের টুকরা কেটে দিই।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وعن أُمِّ سَلَمةَ رضي اللَّه عنها ، أَن رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قال : » إِنَّمَا أَنَا بشَرٌ ، وَإِنَّكُمْتَخْتَصِمُونَ إِلَيَّ ، وَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَلْحنَ بحُجَّتِهِ مِنْ بَعْض ، فأَقْضِي لَهُ بِنحْو ما أَسْمَعُ فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُبحَقِّ أَخِيهِ فَإِنَّمَا أَقْطَعُ لَهُ قِطْعَةً مِنَ النَّارِ « متفق عليه . »أَلْحَنَ « أَيْ : أَعْلَم .

وعن ام سلمة رضي الله عنها ، ان رسول الله صلى االله عليه وسلم قال : » انما انا بشر ، وانكمتختصمون الي ، ولعل بعضكم ان يكون الحن بحجته من بعض ، فاقضي له بنحو ما اسمع فمن قضيت لهبحق اخيه فانما اقطع له قطعة من النار « متفق عليه . »الحن « اي : اعلم .

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Umm Salamah (May Allah bepleased with her) reported:
Messenger of Allah (PBUH) said, "Verily, I am onlya human and the claimants bring to me (their disputes); perhaps some of them are more eloquent than others. I judgeaccording to what I hear from them). So, he whom I, by my judgment, (give the undue share) out of the right of aMuslim, I in fact give him a portion of (Hell) Fire".

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary:

1. The Prophet (PBUH) has explained through this Hadith that he, too, was a man like others and was thus liable tojudging by what he hears by the facile tongue, cleverness and eloquence of people. But it does not detract from hisinnocence as a Prophet because it has no concern with his duty as a preacher and Prophet, the responsibility ofprotection of which has been accepted by Allah.

2. A judge (Qadi) should decide on the case which comes before him in the light of arguments presented to him bythe litigants. He should not make decision according to speculation but go by the arguments which are in his opinion more convincing.

3. The decision of the Qadi will be evidently enforced, but it will not make the lawful as unlawful or vice versa. Thatis to say, it will not be enforced intrinsically, as is believed by some people. If somebody succeeds in winning acase, it will be invalid and the one who secures it will suffer its consequences in the Hell-fire.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

১৮/২২৫। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মু’মিন ব্যক্তি তার দ্বীনের প্রশস্ততায় থাকে; যতক্ষণ না সে অবৈধ রক্তপাতে লিপ্ত হয়।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وعن ابنِ عمرَ رضي اللَّه عنهما قال قال رسولُ اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : » لَنْ يَزَالَ الْمُؤمِنُ فِيفُسْحَةٍ مِنْ دِينِهِ مَالَمْ يُصِبْ دَماً حَراماً « رواه البخاري .

وعن ابن عمر رضي الله عنهما قال قال رسول الله صلى االله عليه وسلم : » لن يزال المومن فيفسحة من دينه مالم يصب دما حراما « رواه البخاري .

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Ibn `Umar (May Allah bepleased with them) reported:
Messenger of Allah (PBUH) said, "A believer continuesto guard his Faith (and thus hopes for Allah's Mercy) so long as he does not shed blood unjustly".
[Al-Bukhari].

Commentary: This Hadith has two meanings. Firstly, so long as a Muslim does not kill another Muslim withoutvalid reason, he remains, by the Grace of Allah, capable of acting upon the Deen. That is to say, he is more hopefulof the Mercy of Allah, and deserves it also, as long as he does not commit murder. When he kills an innocentperson, the gate of Allah's Compassion is closed on him. Ibn Al-Arabi interpretted this Hadith as follows:

A Muslim will still have ample chance for accomplishing good deeds to face evil deeds until he sheds blood. Or, he has the chance of forgiveness until he sheds blood. (M.R.M.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ২৬: অন্যায়-অত্যাচার করা হারাম এবং অন্যায়ভাবে নেওয়া জিনিস ফেরৎ দেওয়া জরুরী

১৯/২২৬। হামযাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর স্ত্রী খাওলাহ বিনতে আমের আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ’’কিছু লোক আল্লাহর মাল নাহক ব্যয়-বণ্টন করবে। সুতরাং তাদের জন্য কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’’[1]

بَابُ تَحْرِيْمِ الظُّلْمِ وَالْأَمْرِ بِرَدِّ الْمَظَالِمِ - (26)

وعن خَوْلَةَ بِنْتِ عامِرٍ الأَنْصَارِيَّةِ ، وَهِيَ امْرَأَةُ حمْزَةَ رضي اللَّهُ عنه وعنها ، قالت : سمِعْتُ رسولَاللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم يَقُولُ : » إِنَّ رِجَالاً يَتَخَوَّضُونَ فِي مالِ اللَّهِ بِغَيْرِ حَـقٍّ فَلهُمُ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامةِ «رواه البخاري .

وعن خولة بنت عامر الانصارية ، وهي امراة حمزة رضي الله عنه وعنها ، قالت : سمعت رسولالله صلى االله عليه وسلم يقول : » ان رجالا يتخوضون في مال الله بغير حـق فلهم النار يوم القيامة «رواه البخاري .

(26) Chapter: Unlawfulness of Oppression and Restoring Others Rights


Khaulah bint 'Thamir (May Allah bepleased with her) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Many people misappropriate (acquire wrongfully) Allah's Property (meaning Muslims' property). These people will be cast in Hell on the Day of Resurrection".

[Al- Bukhari].

Commentary: Misappropriation in national exchequer and its use for vested rather than public interest is a major
sin which is punishable, if the delinquent does not sincerely beg pardon for it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে