পরিচ্ছেদঃ ২৫: আমানত আদায় করার গুরুত্ব
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿ ۞إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُكُمۡ أَن تُؤَدُّواْ ٱلۡأَمَٰنَٰتِ إِلَىٰٓ أَهۡلِهَا ﴾ [النساء: ٥٨]
অর্থাৎ “আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করবে।” (সূরা নিসা ৫৮ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ إِنَّا عَرَضۡنَا ٱلۡأَمَانَةَ عَلَى ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَٱلۡجِبَالِ فَأَبَيۡنَ أَن يَحۡمِلۡنَهَا وأَشۡفَقۡنَ مِنۡهَا وَحَمَلَهَا ٱلۡإِنسَٰنُۖ إِنَّهُۥ كَانَ ظَلُومٗا جَهُولٗا ٧٢ ﴾ [الاحزاب: ٧٢]
অর্থাৎ “নিশ্চয়ই আমি আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালার প্রতি এ আমানত অর্পণ করতে চেয়েছিলাম। ওরা ভয়ে বহন করতে অস্বীকার করল; কিন্তু মানুষ তা বহন করল। নিশ্চয় সে অতিশয় যালেম ও অতিশয় অজ্ঞ।” (সূরা আহযাব ৭২ আয়াত)
হাদীসসমূহঃ
১/২০৪। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি; (১) কথা বললে মিথ্যা বলে। (২) ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে এবং (৩) তার কাছে আমানত রাখা হলে তার খিয়ানত করে।’’[1]
মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, ’’যদিও সে রোযা রাখে এবং নামায পড়ে ও ধারণা করে যে, সে মুসলিম (তবু সে মুনাফিক)।’’
بَابُ الْأَمْرِ بِأَدَاءِ الْأَمَانَةِ (25)
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «آيةُ المُنافقِ ثلاثٌ : إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعدَ أخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ وفي رواية: وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أنَّهُ مُسْلِمٌ
(25) Chapter: Discharging the Trusts
Abu Hurairah (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "There are three signs of a hypocrite: When he speaks, he lies; when he makes a promise, he breaks it; and when he is trusted, he betrays his trust."
[Al-Bukhari and Muslim].
Another narration adds the words: 'Even if he observes fasts, performs Salat and asserts that he is a Muslim".
পরিচ্ছেদঃ ২৫: আমানত আদায় করার গুরুত্ব
২/২০৫। হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট দু’টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। একটি তো আমি প্রত্যক্ষ করেছি এবং দ্বিতীয়টির জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। তিনি আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আমানত মানুষের অন্তরের অন্তঃস্তলে অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তারপর তারা কুরআন থেকে জ্ঞানার্জন করেছে। তারপর তারা নবীর হাদীস থেকেও জ্ঞানার্জন করেছে। এরপর আমাদেরকে আমানত তুলে নেওয়া সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, ’’মানুষ এক ঘুম ঘুমানোর পর তার অন্তর থেকে আমানত তুলে নেওয়া হবে। তখন একটি বিন্দুর মত তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। পুনরায় মানুষ এক ঘুম ঘুমাবে।
আবারো তার অন্তর থেকে আমানত উঠিয়ে নেওয়া হবে। তখন জ্বলন্ত আগুন গড়িয়ে তোমার পায়ে পড়লে যেমন একটা ফোস্কা পড়ে কালো দাগ দেখতে পাওয়া যায় তার মত চিহ্ন থাকবে। তুমি তাকে ফোলা দেখবে; কিন্তু বাস্তবে তাতে কিছুই থাকবে না।’’ অতঃপর (উদাহরণস্বরূপ) তিনি একটি কাঁকর নিয়ে নিজ পায়ে গড়িয়ে দিলেন। (তারপর বলতে লাগলেন,) ’’সে সময় লোকেরা বেচা-কেনা করবে কিন্তু প্রায় কেউই আমানত আদায় করবে না। এমনকি লোকে বলাবলি করবে যে, অমুক বংশে একজন আমানতদার লোক আছে। এমনকি (দুনিয়াদার) ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করা হবে, সে কতই না অদম্য! সে কতই না বিচক্ষণ! সে কতই না বুদ্ধিমান! অথচ তার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও থাকবে না।’’
(হুযাইফা বলেন,) ইতোপূর্বে আমার উপর এমন যুগ অতিবাহিত হয়ে গেছে, যখন কারো সাথে বেচাকেনা করতে কোন পরোয়া করতাম না। কারণ সে মুসলিম হলে তার দ্বীন তাকে আমার (খিয়ানত থেকে) বিরত রাখবে। আর খ্রিষ্টান অথবা ইয়াহূদী হলে তার শাসকই আমার হক ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা হচ্ছে এই যে, আমি অমুক অমুক ছাড়া বেচা-কেনা করতে প্রস্তুত নই।[1]
بَابُ الْأَمْرِ بِأَدَاءِ الْأَمَانَةِ (25)
وَعَن حُذَيفَةَ بنِ اليَمَانِ رضي الله عنه، قَالَ: حَدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم حَدِيثَينِ قَدْ رأيْتُ أحَدَهُمَا وأنا أنتظرُ الآخَر : حَدَّثَنَا أَنَّ الأمَانَةَ نَزلَت في جَذرِ قُلُوبِ الرِّجَالِ، ثُمَّ نَزَلَ القُرآنُ فَعَلِمُوا مِنَ القرآن، وَعَلِمُوا مِنَ السُّنَّةِ، ثُمَّ حَدَّثَنَا عَن رَفعِ الأمَانَةِ، فَقَالَ: «يَنَامُ الرَّجُلُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبهِ، فَيَظَلُّ أثَرُهَا مِثلَ الوَكْتِ، ثُمَّ يَنَامُ النَّومَةَ فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبهِ، فَيَظَلُّ أثَرُهَا مِثلَ أَثَرِ المَجْلِ، كَجَمْرٍ دَحْرَجْتَهُ عَلَى رِجْلِكَ فَنَفِطَ، فَتَرَاهُ مُنْتَبراً وَلَيسَ فِيهِ شَيءٌ» ثُمَّ أخَذَ حَصَاةً فَدَحْرَجَهُ عَلَى رِجْلِهِ «فَيُصْبحُ النَّاسُ يَتَبَايعُونَ، فَلا يَكَادُ أحدٌ يُؤَدّي الأَمَانَةَ حَتَّى يُقَالَ : إنَّ في بَني فُلان رَجُلاً أميناً، حَتَّى يُقَالَ لِلرَّجُلِ : مَا أجْلَدَهُ ! مَا أَظْرَفَهُ ! مَا أعْقَلَهُ ! وَمَا في قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّة مِن خَرْدَل مِنْ إيمَان».وَلَقدْ أتَى عَلَيَّ زَمَانٌ وَمَا أُبَالِي أيُّكُمْ بَايَعْتُ : لَئن كَانَ مُسْلِماً لَيَرُدَّنَّهُ عليَّ دِينهُ، وَإنْ كَانَ نَصْرانِيّاً أَوْ يَهُودِياً لَيَرُدَّنَّهُ عَلَيَّ سَاعِيهِ، وَأَمَّا اليَوْمَ فَمَا كُنْتُ أُبَايعُ مِنْكُمْ إلاَّ فُلاناً وَفُلاناً». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
(25) Chapter: Discharging the Trusts
Hudhaifah bin Al-Yaman (May Allah bepleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) foretold to us two Ahadith. I have seen one (being fulfilled), and I am waiting for the other. He (ﷺ) told us, "Amanah (the trust) descended in the innermost (root) of the hearts of men (that is, it was in their heart innately, by Fitrah, or pure human nature). Then the Qur'an was revealed and they learnt from the Quran and they learned from the Sunnah." Then the (Prophet (ﷺ)) told us about the removal of Amanah. He said, "The man would have some sleep, and Amanah would be taken away from his heart leaving the impression of a faint mark. He would again sleep, and Amanah would be taken away from his heart leaving an impression of a blister, as if you rolled down an ember on your foot and it was vesicled. He would see a swelling having nothing in it." He (the Prophet (ﷺ)) then took up a pebble and rolled it over his foot and said, "The people would enter into transactions with one another and hardly a person would be left who would return (things) entrusted to him (and there would look like an honest person) till it would be said: 'In such and such tribe there is a trustworthy man.' And they would also say about a person: 'How prudent he is! How handsome he is and how intelligent he is!' whereas in his heart there would be no grain of Faith." Hudhaifah bin Al-Yaman (May Allah bepleased with him) added: I had a time when I did not care with whom amongst you I did business, I entered into a transaction, for if he were a Muslim, his Faith would compel him to discharge his obligation to me; and if he were a Christian or a Jew, his guardian (surety) would compel him to discharge his obligation to me. But today I would not enter into a transaction except with so-and-so.
[Al-Bukh ri and Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ২৫: আমানত আদায় করার গুরুত্ব
৩/২০৬। হুযাইফাহ ও আবূ হুরাইরাহ (রাদিয়াল্লাহু ’আনহুমা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’বরকতময় মহান আল্লাহ (কিয়ামতের দিন) সকল মানুষকে একত্রিত করবেন। অতঃপর মু’মিনগণ উঠে দাঁড়াবে; এমনকি জান্নাতও তাদের নিকটবর্তী করে দেওয়া হবে। (যার কারণে তাদের জান্নাত যাওয়ার ইচ্ছা প্রবল হয়ে যাবে)। সুতরাং তারা আদম (আঃ) র নিকট আসবে। অতঃপর বলবে, ’হে আমাদের পিতা! আমাদের জন্য (আল্লাহর কাছে) জান্নাত খুলে দেওয়ার আবেদন করুন।’ তিনি বলবেন, ’(তোমরা কি জান না যে,) একমাত্র তোমাদের পিতার ভুলই তোমাদেরকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করেছে? সুতরাং আমি এর যোগ্য নই। তোমরা আমার ছেলে ইব্রাহীম খলীলুল্লাহর নিকট যাও।’’
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’অতঃপর তারা ইব্রাহীম (আঃ) এর নিকট যাবে।’’ ইব্রাহীম (আঃ) বলবেন, ’আমি এর উপযুক্ত নই। আমি আল্লাহর খলীল (বন্ধু) ছিলাম বটে, কিন্তু আমি এত উচ্চ মর্যাদার অধিকারী নই। (অতএব) তোমরা মূসার নিকট যাও, যার সঙ্গে আল্লাহ সরাসরি কথা বলেছেন।’ ফলে তারা মূসা (আঃ) এর নিকট যাবে। কিন্তু তিনি বলবেন, ’আমি এর যোগ্য নই। তোমরা আল্লাহর কালেমা ও তাঁর রূহ ঈসার নিকট যাও।’ কিন্তু ঈসা (আঃ) ও বলবেন, ’আমি এর উপযুক্ত নই।’ অতঃপর তারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসবে। সুতরাং তিনি দাঁড়াবেন।
অতঃপর তাঁকে (দরজা খোলার) অনুমতি দেওয়া হবে। আর আমানত ও আত্মীয়তার বন্ধনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সুতরাং উভয়ে পুল সিরাত্বের দু’দিকে ডানে ও বামে দাঁড়িয়ে যাবে। অতঃপর তোমাদের প্রথম দল বিদ্যুতের মত গতিতে (অতি দ্রুতবেগে) পুল পার হয়ে যাবে। আমি (আবূ হুরাইরাহ) বললাম, ’আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক! বিদ্যুতের মত গতিতে পার হওয়ার অর্থ কী?’ তিনি বললেন, ’’তুমি কি দেখনি যে, বিদ্যুত কিভাবে চোখের পলকে যায় ও আসে?’’
অতঃপর (দ্বিতীয় দল) বাতাসের মত গতিতে (পার হবে)। তারপর (পরবর্তী দল) পাখী উড়ার মত এবং মানুষের দৌড়ের মত গতিতে। তাদেরকে তাদের নিজ নিজ আমল (সিরাত্ব) পার করাবে। আর তোমাদের নবী পুল-সিরাতের উপর দাঁড়িয়ে থাকবেন। তিনি বলবেন, ’’হে প্রভু! বাঁচাও, বাঁচাও!’’ শেষ পর্যন্ত বান্দাদের আমলসমূহ অক্ষম হয়ে পড়বে। এমনকি কোন কোন ব্যক্তি পাছা ছেঁচড়াতে ছেঁচড়াতে (সিরাত্ব) পার হবে। আর সিরাত্বের দুই পাশে আঁকড়া ঝুলে থাকবে। যাকে ধরার জন্য সে আদিষ্ট তাকে ধরে নেবে। অতঃপর (কিছু লোক) জখম হলেও বেঁচে যাবে। আর কিছু লোককে মুখ থুবড়ে জাহান্নামে ফেলা হবে। সেই সত্তার কসম, যার হাতে আবূ হুরাইরার প্রাণ আছে! নিশ্চয় জাহান্নামের গভীরতা সত্তর বছরের (দূরত্বের পথ)।[1]
بَابُ الْأَمْرِ بِأَدَاءِ الْأَمَانَةِ (25)
وَعَن حُذَيفَةَ وَأبي هُرَيرَةَ رَضِيَ الله عَنهُمَا، قَالاَ : قَالَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم: «يَجمَعُ اللهُ تبَارَكَ وَتَعَالَى النَّاسَ فَيَقُومُ المُؤمِنُونَ حَتَّى تُزْلَفَ لَهُمُ الجَنَّةُ، فَيَأتُونَ آدَمَ صَلَواتُ اللهِ عَلَيهِ، فَيقُولُونَ : يَا أَبَانَا اسْتَفْتِحْ لَنَا الجَنَّةَ، فَيقُولُ : وَهَلْ أخْرَجَكُمْ مِنَ الجَنَّةِ إلاَّ خَطيئَةُ أبيكُمْ ! لَسْتُ بِصَاحِبِ ذلِكَ، اذْهَبُوا إِلَى ابْنِي إِبْراهيمَ خَلِيل اللهِ . قَالَ : فَيَأتُونَ إبرَاهِيمَ فَيَقُولُ إبراهيم : لَسْتُ بِصَاحِبِ ذلِكَ إِنَّمَا كُنْتُ خَليلاً مِنْ وَرَاءَ وَرَاءَ، اعْمَدُوا إِلَى مُوسَى الَّذِي كَلَّمَهُ الله تَكليماً. فَيَأتُونَ مُوسَى، فَيَقُولُ : لستُ بِصَاحِبِ ذلِكَ، اذْهَبُوا إِلَى عِيسى كلمةِ اللهِ ورُوحه، فيقول عيسى : لستُ بصَاحبِ ذلِكَ، فَيَأتُونَ مُحَمَّداً صلى الله عليه وسلم فَيَقُومُ فَيُؤذَنُ لَهُ، وتُرْسَلُ الأَمَانَةُ وَالرَّحِمُ فَيَقُومانِ جَنْبَتَي الصِّرَاطِ يَمِيناً وَشِمَالاً فَيَمُرُّ أوَّلُكُمْ كَالبَرْقِ» قُلْتُ : بأبي وَأمِّي، أيُّ شَيءٍ كَمَرِّ البَرقِ ؟ قَالَ: «ألَمْ تَرَوا كَيْفَ يمُرُّ وَيَرْجِعُ في طَرْفَةِ عَيْن، ثُمَّ كَمَرّ الرِّيحِ، ثُمَّ كَمَرِّ الطَّيْرِ، وَشَدِّ الرِّجَال تَجْري بهمْ أعْمَالُهُمْ، وَنَبيُّكُمْ قَائِمٌ عَلَى الصِّراطِ، يَقُولُ : رَبِّ سَلِّمْ سَلِّمْ، حَتَّى تَعْجِزَ أعْمَالُ العِبَادِ، حَتَّى يَجِيء الرَّجُلُ لا يَسْتَطِيعُ السَّيْرَ إلاَّ زَحْفاً، وَفي حَافَتي الصِّراطِ كَلاَلِيبُ معَلَّقَةٌ مَأمُورَةٌ بِأخْذِ مَنْ أُمِرَتْ بِهِ، فَمَخْدُوشٌ نَاجٍ، وَمُكَرْدَسٌ في النَّارِ».وَالَّذِي نَفْسُ أَبي هُرَيْرَةَ بِيَدِهِ، إنَّ قَعْرَ جَهَنَّمَ لَسَبْعُونَ خَرِيفاً. رواه مسلم
(25) Chapter: Discharging the Trusts
Hudhaifah and Abu Hurairah (May Allah be pleased with them) reported that they heard Messenger of Allah (ﷺ) saying, "Allah will assemble mankind, and the believers will stand till Jannah will be brought near them. They will then go to Adam (ﷺ) and say, `O our father, ask (Allah (SWT), that Jannah may be opened for us, but he will reply:
`There was nothing that put you out of Jannah except your father's sin. I am not the one to do that, go to my son Ibrahim (Abraham), the beloved man of Allah.' Then Ibrahim (ﷺ) when approached, will say: `I am not the one to do that, for I was only a friend; and that is not a lofty status but ask Musa (Moses) to whom Allah spoke.' They will then go to Musa (ﷺ) but he will say: `I am not the one to do that; go to `Isa (Jesus), Allah's Word and spirit.' `Isa (ﷺ) will say: `I am not the one to do that.' So they will come to me; and I will stand and be given permission. Amanah and ties of relationship will be sent forth and will stand on the sides of the Sirat (that is, the Bridge set over Hell-fire) right and left, and the first of you will pass like lightning.'' I said (that is Abu Hurairah (May Allah be pleased with him)" :I ransom you with my father and mother, what is like the movement of lightning?'' The Messenger of Allah replied, "Have you not seen how the lightning goes and returns in the twinkling of an eye? Next (group will pass) like the passing of the breeze, next like the passing of a bird, and the next with the speed of a running man, according to the quality of their deeds. (During all this time) your Prophet (ﷺ) will remain standing on the Bridge saying: `O my Rubb, keep (them) safe, keep (them) safe,' till men's deeds are so weak that a man comes who will be able only to crawl. On both sides of the Bridge pronged flesh hooks, placed under command will be hung and will seize those about whom they receive command, some people being lacerated and escaping and others being thrown violently into Hell.'' Abu Hurairah added: By Him in Whose Hand Abu Hurairah's soul is, the pit of Jahannam (Hell) is seventy years in depth.
[Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ২৫: আমানত আদায় করার গুরুত্ব
৪/২০৭। আবূ খুবাইব আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাদ্বিয়াল্লাহু ’’আনহুমা) বলেন, যখন আমার পিতা যুবাইর) ’জামাল’ যুদ্ধের দিন দাঁড়ালেন, তখন তিনি আমাকে ডাকলেন। সুতরাং আমি তাঁর পাশে দাঁড়ালাম। অতঃপর তিনি বললেন, ’হে বৎস! আজকের দিন যারা খুন হবে সে অত্যাচারী হবে অথবা অত্যাচারিত। আমার ধারণা যে, আমি আজকে অত্যাচারিত হয়ে খুন হয়ে যাব। আর আমার সবচেয়ে বড় চিন্তা আমার ঋণের। (হে আমার পুত্র!) তুমি কি ধারণা করছ যে, আমার ঋণ আমার কিছু সম্পদ অবশিষ্ট রাখবে (অর্থাৎ ঋণ পরিশোধ করার পর কিছু মাল বেচে যাবে)?’ অতঃপর তিনি বললেন, ’হে আমার পুত্র! তুমি আমার সম্পদ বেচে আমার ঋণ পরিশোধ করে দিও।’ আর তিনি এক তৃতীয়াংশ সম্পদ অসিয়ত করলেন এবং এক তৃতীয়াংশের এক তৃতীয়াংশ তাঁর অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর ছেলেদের জন্য অসিয়ত করলেন। তিনি বললেন, ’যদি ঋণ পরিশোধ করার পর আমার কিছু সম্পদ বেঁচে যায়, তাহলে তার এক তৃতীয়াংশ তোমার ছেলেদের জন্য।’
(হাদীসের এক রাবী) হিশাম বলেন, আব্দুল্লাহর কিছু ছেলে যুবাইরের কিছু ছেলে খুবাইব ও আববাদের সমবয়স্ক ছিল। সে সময় তাঁর নয়টি ছেলে ও নয়টি মেয়ে ছিল। আব্দুল্লাহ বলেন, অতঃপর তিনি (যুবাইর) তাঁর ঋণের ব্যাপারে আমাকে অসিয়ত করতে থাকলেন এবং বললেন, ’হে বৎস! যদি তুমি ঋণ পরিশোধ করতে অপারগ হয়ে যাও, তাহলে তুমি এ ব্যাপারে আমার মওলার সাহায্য নিও।’ তিনি (আব্দুল্লাহ) বলেন, আল্লাহর কসম! তাঁর উদ্দেশ্য আমি বুঝতে পারলাম না। পরিশেষে আমি বললাম, ’আব্বাজান! আপনার মওলা কে?’ তিনি বললেন, ’আল্লাহ।’ আব্দুল্লাহ বলেন, অতঃপর আল্লাহর কসম! আমি তাঁর ঋণের ব্যাপারে যখনই কোন অসুবিধায় পড়েছি তখনই বলেছি, ’হে যুবাইরের মওলা! তুমি তাঁর পক্ষ থেকে তাঁর ঋণ আদায় করে দাও।’ সুতরাং আল্লাহ তা আদায় করে দিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ বলেন, (সেই যুদ্ধে) যুবাইর খুন হয়ে গেলেন এবং তিনি (নগদ) একটি দ্বীনার ও দিরহামও ছেড়ে গেলেন না। কেবল জমি-জায়গা ছেড়ে গেলেন; তার মধ্যে একটি জমি ’গাবাহ’ ছিল আর এগারোটি ঘর ছিল মদ্বীনায়, দু’টি বাসরায়, একটি কুফায় এবং একটি মিসরে। তিনি বলেন, আমার পিতার ঋণ এইভাবে হয়েছিল যে, কোনো লোক তাঁর কাছে আমানত রাখার জন্য মাল নিয়ে আসত। অতঃপর যুবাইর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলতেন, ’না, (আমানত হিসাবে নয়) বরং তা আমার কাছে ঋণ হিসাবে থাকবে। কেননা, আমি তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।’ (কারণ আমানত নষ্ট হলে তা আদায় করা জরুরী নয়, কিন্তু ঋণ আদায় করা সর্বাবস্থায় জরুরী)।
তিনি কখনও গভর্নর হননি, না কদাচ তিনি ট্যাক্স, খাজনা বা অন্য কোন অর্থ আদায় করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। (যাতে তাঁর মাল সংগ্রহে কোন সন্দেহ থাকতে পারে।) অবশ্য তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর, উমর ও উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের সঙ্গে জিহাদে অংশ নিয়েছিলেন (এবং তাতে গনীমত হিসাবে যা পেয়েছিলেন সে কথা ভিন্ন)।
আব্দুল্লাহ বলেন, একদা আমি তাঁর ঋণ হিসাব করলাম, তো (সর্বমোট) ২২ লাখ পেলাম। অতঃপর হাকীম ইবনু হিযাম আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। হাকীম বললেন, ’হে ভাতিজা! আমার ভাই (যুবাইর)এর উপর কত ঋণ আছে?’ আমি তা গোপন করলাম এবং বললাম, ’এক লাখ।’ পুনরায় হাকীম বললেন, ’আল্লাহর কসম! আমার মনে হয় না যে, তোমাদের সম্পদ এই ঋণ পরিশোধে যথেষ্ট হবে।’ আব্দুল্লাহ বললেন, ’ কী রায় আপনার যদি ২২ লাখ হয়?’ তিনি বললেন, ’আমার মনে হয় না যে, তোমরা এ পরিশোধ করার ক্ষমতা রাখো। সুতরাং তোমরা যদি কিছু পরিশোধে অসমর্থ হয়ে পড়, তাহলে আমার সহযোগিতা নিও।’
যুবাইর এক লাখ সত্তর হাজারের বিনিময়ে ’গাবাহ’ কিনেছিলেন। অতঃপর আব্দুল্লাহ সেটি ১৬ লাখের বিনিময়ে বিক্রি করলেন। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন যে, ’যুবাইরের উপর যার ঋণ আছে সে আমার সঙ্গে ’গাবাহ’তে সাক্ষাৎ করুক।’ (ঘোষণা শুনে) আব্দুল্লাহ ইবনু জা’ফর তাঁর নিকট এলেন। যুবাইরকে দেওয়া তাঁর ৪ লাখ ঋণ ছিল। তিনি আব্দুল্লাহকে বললেন, ’তোমরা যদি চাও, তবে এ ঋণ তোমাদের জন্য মওকুফ করে দেব?’ আব্দুল্লাহ বললেন, ’না।’ তিনি বললেন, ’যদি তোমরা চাও যে, ঋণ (এখন আদায় না করে) পরে আদায় করবে, তাহলে তাও করতে পার।’ আব্দুল্লাহ বললেন, ’না।’ তিনি বললেন, ’তাহলে তুমি আমাকে এই জমির এক অংশ দিয়ে দাও।’ আব্দুল্লাহ বললেন, ’এখান থেকে এখান পর্যন্ত তোমার রইল।’
অতঃপর আব্দুল্লাহ ঐ জমি (ও বাড়ি)র কিছু অংশ বিক্রি করে তাঁর (পিতার) ঋণ পরিপূর্ণরূপে পরিশোধ করে দিলেন। আর ঐ ’গাবাহ’র সাড়ে চার ভাগ বাকী থাকল। অতঃপর তিনি মুআবিয়াহর কাছে এলেন এমতাবস্থায় যে, তাঁর কাছে ’আমর ইবনু উসমান, মুনযির ইবনু যুবাইর এবং ইবনু যাম’আহ উপস্থিত ছিলেন। মু’আবিয়াহ তাঁকে বললেন, ’গাবাহর কত দাম হয়েছে?’ তিনি বললেন, ’প্রত্যেক ভাগের এক লাখ।’ তিনি বললেন, ’কয়টি ভাগ বাকী রয়ে গেছে?’ তিনি বললেন, ’সাড়ে চার ভাগ।’ মুনযির ইবনু যুবাইর বললেন, ’আমি তার মধ্যে একটি ভাগ এক লাখে নিয়ে নিলাম।’ ’আমর ইবনু উসমান বললেন, ’আমিও এক ভাগ এক লাখে নিয়ে নিলাম।’ ইবনু যাম’আহ বললেন, ’আমিও এক ভাগ এক লাখে নিয়ে নিলাম।’ অবশেষে মু’আবিয়াহ বললেন, ’আর কত ভাগ বাকী থাকল?’ তিনি বললেন, ’দেড় ভাগ।’ তিনি বললেন, ’আমি দেড় লাখে তা নিয়ে নিলাম।’
আব্দুল্লাহ বলেন, ’আব্দুল্লাহ ইবনু জা’ফর তাঁর ভাগটি মু’আবিয়ার কাছে ছয় লাখে বিক্রি করলেন।’
অতঃপর যখন ইবনু যুবাইর ঋণ পরিশোধ করে শেষ করলেন, তখন যুবাইরের ছেলেরা বলল, ’(এবার) তুমি আমাদের মধ্যে আমাদের মীরাস বণ্টন করে দাও।’ তিনি বললেন, ’আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের মধ্যে (তা) বণ্টন করব না, যতক্ষণ না আমি চার বছর হজ্জের মৌসমে ঘোষণা করব যে, যুবাইরের উপর যার ঋণ আছে সে আমাদের কাছে আসুক, আমরা তা পরিশোধ করে দেব।’ অতঃপর তিনি প্রত্যেক বছর (হজ্জের) মৌসমে ঘোষণা করতে থাকলেন। অবশেষে যখন চার বছর পার হয়ে গেল, তখন তিনি তাদের মধ্যে (মীরাস) বণ্টন করে দিলেন এবং এক তৃতীয়াংশ মাল (যাদেরকে দেওয়ার অসিয়ত ছিল তাদেরকে তা) দিয়ে দিলেন। আর যুবাইরের চারটি স্ত্রী ছিল। প্রত্যেক স্ত্রীর ভাগে পড়ল বারো লাখ ক’রে। তাঁর সর্বমোট পরিত্যক্ত সম্পদ ছিল পাঁচ কোটি দু’লাখ।[1]
بَابُ الْأَمْرِ بِأَدَاءِ الْأَمَانَةِ (25)
وعَنْ أَبِي خُبَيبٍ عَبدِ اللهِ بنِ الزُّبَيرِ رَضِيَ الله عَنهُمَا، قَالَ : لَمَّا وَقفَ الزُّبَيْرُ يَوْمَ الجَمَل دَعَانِي فَقُمْتُ إِلَى جَنْبه، فَقَالَ : يَا بُنَيَّ، إنَّهُ لاَ يُقْتَلُ اليَومَ إلاَّ ظَالِمٌ أَوْ مَظْلُومٌ، وَإنِّي لا أراني إلاَّ سَأُقْتَلُ اليوم مظلوماً، وإنَّ مِنْ أكبرَ هَمِّي لَدَيْنِي، أفَتَرَى دَيْننا يُبقي من مالِنا شَيئاً ؟ ثُمَّ قَالَ : يَا بُنَيَّ، بعْ مَا لَنَا وَاقْضِ دَيْنِي، وَأوْصَى بِالثُّلُثِ وَثُلُثِهِ لِبَنِيهِ، يعني لبني عبد الله بن الزبير ثُلُثُ الثُّلُث . قَالَ : فَإنْ فَضَلَ مِنْ مَالِنَا بَعْدَ قَضَاءِ الدَّينِ شَيء فَثُلُثُه لِبَنِيكَ . قَالَ هِشَام : وَكَانَ بَعْضُ وَلَدِ عَبْدِ اللهِ قَدْ وَازى بَعْضَ بَنِي الزُّبَيْرِ خُبيبٍ وَعَبَّادٍ، وَلهُ يَوْمَئذٍ تِسْعَةُ بَنينَ وَتِسْعُ بَنَات . قَالَ عَبدُ الله : فَجَعلَ يُوصينِي بدَيْنِهِ وَيَقُولُ : يَا بُنَيَّ، إنْ عَجَزْتَ عَن شَيْءٍ مِنْهُ فَاسْتَعِنْ عَلَيهِ بِمَوْلاَيَ . قَالَ : فَوَاللهِ مَا دَرَيْتُ مَا أرَادَ حَتَّى قُلْتُ : يَا أبَتِ مَنْ مَوْلاَكَ ؟ قَالَ : الله . قَالَ : فَوَاللهِ مَا وَقَعْتُ في كُرْبةٍ مِنْ دَيْنِهِ إلاَّ قُلْتُ : يَا مَوْلَى الزُّبَيْرِ اقْضِ عَنْهُ دَيْنَهُ فَيَقْضِيَهُ . قَالَ : فَقُتِلَ الزُّبَيْرُ وَلَم يَدَعْ دِينَاراً وَلا دِرْهماً إلاَّ أرَضِينَ، مِنْهَا الغَابَةُ وإحْدَى عَشْرَةَ دَاراً بالمَدِينَةِ، وَدَارَيْنِ بالبَصْرَةِ، ودَاراً بالكُوفَةِ، ودَاراً بمِصْرَ . قَالَ : وَإِنَّمَا كَانَ دَيْنُهُ الَّذِي كَانَ عَلَيهِ أنَّ الرَّجُلَ كَانَ يَأتِيهِ بالمال، فَيَسْتَودِعُهُ إيَّاهُ، فَيَقُولُ الزُّبَيْرُ : لا، وَلَكِنْ هُوَ سَلَفٌ إنِّي أخْشَى عَلَيهِ الضَّيْعَةَ. وَمَا وَليَ إمَارَةً قَطُّ وَلا جِبَايَةً ولا خراجاً وَلاَ شَيئاً إلاَّ أنْ يَكُونَ في غَزْوٍ مَعَ رسولِ الله صلى الله عليه وسلم أَوْ مَعَ أَبي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَان رضي الله عنهم، قَالَ عَبدُ الله: فَحَسَبْتُ مَا كَانَ عَلَيهِ مِن الدَّيْنِ فَوَجَدْتُهُ ألْفيْ ألْفٍ وَمئَتَي ألْف ! فَلَقِيَ حَكِيمُ بنُ حِزَام عَبْدَ الله بْنَ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ : يَا ابْنَ أخِي، كَمْ عَلَى أخي مِنَ الدَّيْنِ ؟ فَكَتَمْتُهُ وَقُلْتُ : مِئَةُ ألْف . فَقَالَ حَكيمٌ : واللهِ مَا أرَى أمْوَالَكُمْ تَسَعُ هذِهِ . فَقَالَ عَبْدُ اللهِ : أرَأيْتُكَ إنْ كَانَتْ ألْفَي ألف وَمئَتَيْ ألْف ؟ قَالَ : مَا أرَاكُمْ تُطيقُونَ هَذَا، فَإنْ عَجَزْتُمْ عَنْ شَيءٍ مِنْهُ فَاسْتَعِينُوا بي، قَالَ : وَكَانَ الزُّبَيرُ قَد اشْتَرَى الغَابَةَ بِسَبْعِينَ ومئة ألف، فَبَاعَهَا عَبدُ اللهِ بِألْفِ ألْف وَسِتّمِئَةِ ألْف، ثُمَّ قَامَ فَقَالَ : مَنْ كَانَ لَهُ عَلَى الزُّبَيرِ شَيْء فَلْيُوافِنَا بِالغَابَةِ، فَأتَاهُ عَبدُ اللهِ بنُ جَعفَر، وَكَانَ لَهُ عَلَى الزُّبَيرِ أرْبَعمئةِ ألْف، فَقَالَ لعَبدِ الله : إنْ شِئْتُمْ تَرَكْتُهَا لَكمْ ؟ قَالَ عَبدُ الله : لا، قَالَ : فَإنْ شِئتُمْ جَعَلْتُمُوهَا فِيمَا تُؤَخِّرُونَ إنْ إخَّرْتُمْ، فَقَالَ عَبدُ الله : لا، قَالَ : فَاقْطَعُوا لِي قطْعَةً، قَالَ عَبدُ الله : لَكَ مِنْ هاهُنَا إِلَى هَاهُنَا . فَبَاعَ عَبدُ اللهِ مِنهَا فَقَضَى عَنْهُ دَينَه وَأوْفَاهُ، وَبَقِيَ مِنْهَا أرْبَعَةُ أسْهُم وَنِصْفٌ، فَقَدِمَ عَلَى مُعَاوِيَة وَعنْدَهُ عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ، وَالمُنْذِرُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَابْنُ زَمْعَةَ، فَقَالَ لَهُ مُعَاويَةُ : كَمْ قُوِّمَتِ الغَابَةُ ؟ قَالَ : كُلُّ سَهْم بمئَة ألف، قَالَ : كَمْ بَقِيَ مِنْهَا ؟ قَالَ: أرْبَعَةُ أسْهُم وَنصْفٌ، فَقَالَ المُنْذِرُ بْنُ الزُّبَيرِ : قَدْ أخَذْتُ مِنْهَا سَهماً بِمئَةِ ألفٍ، قَالَ عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ : قَدْ أخَذْتُ مِنْهَا سَهْماً بمئَةِ ألْفٍ . وَقالَ ابْنُ زَمْعَةَ : قَدْ أخَذْتُ سَهْماً بِمئَةِ ألْفٍ، فَقَالَ مُعَاويَةُ : كَمْ بَقِيَ مِنْهَا ؟ قَالَ : سَهْمٌ ونصْفُ سَهْم، قَالَ : قَدْ أخَذْتُهُ بخَمْسِينَ وَمئَةِ ألْف . قَالَ : وَبَاعَ عَبدُ الله بْنُ جَعفَر نَصيبهُ مِنْ مُعَاوِيَةَ بِسِتِّمِئَةِ ألْفٍ، فَلَمَّا فَرَغَ ابْنُ الزُّبَيرِ مِنْ قَضَاءِ دَيْنِهِ، قَالَ بَنُو الزُّبَيرِ : اقسمْ بَينَنَا ميراثَنا، قَالَ : وَاللهِ لا أقْسِمُ بَيْنَكُمْ حَتَّى أنَادِي بالمَوْسم أرْبَعَ سنينَ : ألا مَنْ كَانَ لَهُ عَلَى الزُّبَيرِ دَيْنٌ فَلْيَأتِنَا فَلْنَقْضِهِ . فَجَعَلَ كُلّ سَنَةٍ يُنَادِي في المَوْسِمِ، فَلَمَّا مَضَى أرْبَعُ سنينَ قَسَمَ بيْنَهُمْ وَدَفَعَ الثُّلُثَ . وَكَانَ للزُّبَيْرِ أرْبَعُ نِسْوَةٍ، فَأصَابَ كُلَّ امرَأةٍ ألْفُ ألف وَمِئَتَا ألْف، فَجَميعُ مَالِه خَمْسُونَ ألفَ ألْفٍ وَمِئَتَا ألْفٍ . رواه البخاري
(25) Chapter: Discharging the Trusts
Abu Khubaib 'Abdullah bin Az-Zubair (May Allah bepleased with them) reported:
When Az-Zubair, got ready to fight in the battle of Al- Jamal, he called me and said: "My son, whoever is killed today will be either a wrongdoer or a wronged one. I expect that I shall be the the wronged one today. I am much worried about my debt. Do you think that anything will be left over from our property after the payment of my debt? My son, sell our property and pay off my debt." Az-Zubair then willed one-third of that portion to his sons; namely 'Abdullah's sons. He said, "One-third of the one-third. If any property is left after the payment of debts, one-third (of the one-third of what is left is to be given to your sons." (Hisham, a subnarrator added: "Some of the sons of 'Abdullah were equal in age to the sons of Az-Zubair, e.g., Khubaib and Abbad. 'Abdullah had nine sons and nine daughters at that time)". (The narrator 'Abdullah added:) He kept on instructing me about his debts and then said: "My son, should you find yourself unable to pay any portion of my debt then beseech my Master for His help." By Allah, I did not understand what he meant and asked: "Father, who is your Master?" He said: "Allah." By Allah! Whenever I faced a difficulty in discharging any portion of his debt; I would pray: "O Master of Zubair, discharge his debt," and He discharged it. Zubair was martyred. He left no money, but he left certain lands, one of them in Al-Ghabah, eleven houses in Al-Madinah, two in Basrah, one in Kufah and one in Egypt. The cause of his indebtedness was that a person would come to him asking him to keep some money of his in trust for him. Zubair would refuse to accept it as a trust, fearing it might be lost, but would take it as a loan. He never accepted a governorship, or revenue office, or any public office. He fought along with Messenger of Allah (ﷺ) and Abu Bakr, 'Umar and 'Uthman (May Allah be pleased with them).
'Abdullah added: I prepared a statement of his debts and they amounted to two million and two hundred thousand! Hakim bin Hizam met me and asked me: "Nephew, how much is due from my brother as debt?" I kept it as secret and said: "A hundred thousand." Hakim said: "By Allah! I do not think your assets are sufficient for the payment of these debts." I said: "What would you think if the amount were two million and two hundred thousand?" He said: "I do not think that you would be able to clear off the debts. If you find it difficult let me know."
Az-Zubair (May Allah bepleased with him) had purchased the land in Al-Ghabah for a hundred and seventy thousand. 'Abdullah sold it for a million and six hundred thousand, and declared that whosoever had a claim against Az-Zubair (May Allah bepleased with him) should see him in Al-Ghabah. 'Abdullah bin Ja'far (May Allah bepleased with him) came to him and said: "Az- Zubair (May Allah bepleased with him) owed me four hundred thousand, but I would remit the debt if you wish." 'Abdullah (May Allah bepleased with him) said: "No." Ibn Ja'far said: ''If you would desire for postponement I would postpone the recovery of it." 'Abdullah said: "No." Ibn Ja'far then said: "In that case, measure out a plot for me." 'Abdullah marked out a plot. Thus he sold the land and discharged his father's debt. There remained out of the land four and a half shares. He then visited Mu'awiyah who had with him at the time 'Amr bin 'Uthman, Al-Mundhir bin Az-Zubair and Ibn Zam'ah (May Allah bepleased with them). Mu'awiyah (May Allah bepleased with him) said: "What price did you put on the land in Al-Ghabah?" He said: "One hundred thousand for a each share. Mu'awiyah inquired: "How much of it is left?" 'Abdullah said: "Four and a half shares." Al-Mundhir bin Az-Zubair said: "I will buy one share for a hundred thousand". 'Amr bin 'Uthman said: "I will buy one share for a hundred thousand". Ibn Zam'ah said: "I will buy one share for a hundred thousand." Then Mu'awiyah asked: "How much of it is now left?" 'Abdullah said: "One and a half share. Mu'awiyah said: "I will take it for one hundred and fifty thousand." Later 'Abdullah bin Ja'far sold his share to Mu'awiyah for six hundred thousand.
When 'Abdullah bin Az-Zubair (May Allah bepleased with him) finished the debts, the heirs of Az-Zubair (May Allah bepleased with him) asked him to distribute the inheritance among them. He said: "I will not do that until I announce during four successive Hajj seasons: 'Let he who has a claim against Az-Zubair come forward and we shall discharge it."' He made this declaration on four Hajj seasons and then distributed the inheritance among the heirs of Az-Zubair (May Allah bepleased with him) according to his will. Az- Zubair (May Allah bepleased with him) had four wives. Each of them received a million and two hundred thousand. Thus Az-Zubair's total property was amounted to fifty million and two hundred thousand.
[Al-Bukhari]