পরিচ্ছেদঃ ১৪: ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ طه ١ مَآ أَنزَلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡقُرۡءَانَ لِتَشۡقَىٰٓ ٢ ﴾ [طه: ١، ٢]

অর্থাৎ “ত্বা-হা-। তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিনি।” (সূরা ত্বাহা ১-২ আয়াত)

তিনি আরো বলেন,

﴿ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ ﴾ [البقرة: ١٨٥]

অর্থাৎ “আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কঠিনতা তাঁর কাম্য নয়।” (সূরা বাক্বারাহ ১৮৫ আয়াত)


১/১৪৬। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহ থেকে বর্ণিত, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট গেলেন, তখন এক মহিলা তাঁর কাছে (বসে) ছিল। তিনি বললেন, ’’এটি কে?’’ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহ বললেন, ’অমুক মহিলা, যে প্রচুর নামায পড়ে।’ তিনি বললেন, ’’থামো! তোমরা সাধ্যমত আমল কর। আল্লাহর কসম! আল্লাহ ক্লান্ত হন না, যতক্ষণ না তোমরা ক্লান্ত হয়ে পড়।’’ আর সেই আমল তাঁর নিকট প্রিয়তম ছিল, যেটা তার আমলকারী লাগাতার করে থাকে।[1]

’আল্লাহ ক্লান্ত হন না’- এ কথার অর্থ এই যে, তিনি সওয়াব দিতে ক্লান্ত হন না। অর্থাৎ তিনি তোমাদেরকে সওয়াব ও তোমাদের আমলের প্রতিদান দেওয়া বন্ধ করেন না এবং তোমাদের সাথে ক্লান্তের মত ব্যবহার করেন না; যে পর্যন্ত না তোমরা নিজেরাই ক্লান্ত হয়ে আমল ত্যাগ করে বস। সুতরাং তোমাদের উচিত, তোমরা সেই আমল গ্রহণ করবে, যা একটানা করে যেতে সক্ষম হবে। যাতে তাঁর সওয়াব ও তাঁর অনুগ্রহ তোমাদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন থাকে।

(14) - باب في الاقتصاد في العبادة

- وعن عائشة رضي الله عنها أن النبي صلى الله عليه وسلم دخل عليها وعندها امرأة قال‏:‏ من هذه‏؟‏ قالت‏:‏ هذه فلانة تذكر من صلاتها قال‏:‏ ‏ "‏ مه عليكم بما تطيقون، فوالله لا يمل الله حتى تملوا‏"‏ وكان أحب الدين إليه ما داوم صاحبه عليه‏.‏ ‏(‏‏‏متفق عليه‏‏‏)‏ ‏.‏

- وعن عاىشة رضي الله عنها ان النبي صلى الله عليه وسلم دخل عليها وعندها امراة قال‏:‏ من هذه‏؟‏ قالت‏:‏ هذه فلانة تذكر من صلاتها قال‏:‏ ‏ "‏ مه عليكم بما تطيقون، فوالله لا يمل الله حتى تملوا‏"‏ وكان احب الدين اليه ما داوم صاحبه عليه‏.‏ ‏(‏‏‏متفق عليه‏‏‏)‏ ‏.‏

(14) Chapter: Moderation in Worship


Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
The Prophet (ﷺ) came in when a woman was sitting beside me. He asked me, "Who is she?" I said: "She is the one whose performance of Salat (prayer) has become the talk of the town." Addressing her, he (ﷺ) said, "(What is this!) You are required to take upon yourselves only what you can carry out easily. By Allah, Allah does not withhold His Mercy and forgiveness of you until you neglect and give up (good works). Allah likes the deeds best which a worshipper can carry out constantly".

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ১৪: ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

২/১৪৭। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন যে, তিন ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের বাসায় এলেন। তাঁরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। অতঃপর যখন তাঁদেরকে এর সংবাদ দেওয়া হল তখন তাঁরা যেন তা অল্প মনে করলেন এবং বললেন, ’আমাদের সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তুলনা কোথায়? তাঁর তো আগের ও পরের সমস্ত গোনাহ মোচন করে দেওয়া হয়েছে। (সেহেতু আমাদের তাঁর চেয়ে বেশী ইবাদত করা প্রয়োজন)।’ সুতরাং তাঁদের মধ্যে একজন বললেন, ’আমি সারা জীবন রাতভর নামায পড়ব।’

দ্বিতীয়জন বললেন, ’আমি সারা জীবন রোযা রাখব, কখনো রোযা ছাড়ব না।’ তৃতীয়জন বললেন, ’আমি নারী থেকে দূরে থাকব, জীবনভর বিয়েই করব না।’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের নিকট এলেন এবং বললেন, ’’তোমরা এই এই কথা বলেছ? শোনো! আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের চেয়ে বেশী আল্লাহকে ভয় করি, তার ভয় অন্তরে তোমাদের চেয়ে বেশী রাখি। কিন্তু আমি (নফল) রোযা রাখি এবং রোযা ছেড়েও দিই, নামায পড়ি এবং নিদ্রাও যাই। আর নারীদের বিয়েও করি। সুতরাং যে আমার সুন্নত হতে মুখ ফিরিয়ে নিবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’’[1]

(14) - باب في الاقتصاد في العبادة

وعن أنس رضي الله عنه قال‏:‏ جاء ثلاثة رهط إلى بيوت أزواج النبي صلى الله عليه وسلم، يسألون عن عبادة النبي صلى الله عليه وسلم، فلما أخبروا كأنهم تقالوها وقالوا‏:‏ أين نحن من النبي صلى الله عليه وسلم قد غفر الله له تقدم من ذنبه وما تأخر‏.‏ قال أحدهم‏:‏ أما أنا فأصلي الليل أبداً وقال الآخر‏:‏ وأنا أصوم الدهر أبداً ولا أفطر، وقال الآخر‏:‏ وأنا أعتزل النساء فلا أتزوج أبداً، فجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم إليهم فقال‏:‏ ‏ "‏أنتم الذين قلتم كذا وكذا‏؟‏‏!‏ أما والله إني لأخشاكم لله وأتقاكم له لكني أصوم وأفطر، وأصلي وأرقد، وأتزوج النساء، فمن رغب عن سنتي فليس مني‏"‏ ‏(‏‏‏متفق عليه‏‏‏)‏ ‏.‏

وعن انس رضي الله عنه قال‏:‏ جاء ثلاثة رهط الى بيوت ازواج النبي صلى الله عليه وسلم، يسالون عن عبادة النبي صلى الله عليه وسلم، فلما اخبروا كانهم تقالوها وقالوا‏:‏ اين نحن من النبي صلى الله عليه وسلم قد غفر الله له تقدم من ذنبه وما تاخر‏.‏ قال احدهم‏:‏ اما انا فاصلي الليل ابدا وقال الاخر‏:‏ وانا اصوم الدهر ابدا ولا افطر، وقال الاخر‏:‏ وانا اعتزل النساء فلا اتزوج ابدا، فجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم اليهم فقال‏:‏ ‏ "‏انتم الذين قلتم كذا وكذا‏؟‏‏!‏ اما والله اني لاخشاكم لله واتقاكم له لكني اصوم وافطر، واصلي وارقد، واتزوج النساء، فمن رغب عن سنتي فليس مني‏"‏ ‏(‏‏‏متفق عليه‏‏‏)‏ ‏.‏

(14) Chapter: Moderation in Worship


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
Three men came to the houses of the wives of the Prophet (ﷺ) to inquire about the worship of the Prophet (ﷺ). When they were informed, they considered their worship insignificant and said: "Where are we in comparison with the Prophet (ﷺ) while Allah has forgiven his past sins and future sins". One of them said: "As for me, I shall offer Salat all night long." Another said: "I shall observe Saum (fasting) continuously and shall not break it". Another said: "I shall abstain from women and shall never marry". The Prophet (ﷺ) came to them and said, "Are you the people who said such and such things? By Allah, I fear Allah more than you do, and I am most obedient and dutiful among you to Him, but still I observe fast and break it; perform Salat and sleep at night and take wives. So whoever turns away from my Sunnah does not belong to me".

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ১৪: ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

৩/১৪৮। ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’দ্বীনের ব্যাপারে নিজের পক্ষ থেকে কঠোরতা অবলম্বনকারীরা ধ্বংস হয়ে গেল। (অথবা ধ্বংস হোক।)’’ এ কথা তিনি তিনবার বললেন।[1]

(14) - باب في الاقتصاد في العبادة

وعن ابن مسعود رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ ‏"‏هلك المتنطعون‏"‏ قالها ثلاثاً ‏"‏ ‏(‏‏‏رواه مسلم‏‏‏)‏

وعن ابن مسعود رضي الله عنه ان النبي صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ ‏"‏هلك المتنطعون‏"‏ قالها ثلاثا ‏"‏ ‏(‏‏‏رواه مسلم‏‏‏)‏

(14) Chapter: Moderation in Worship


Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "Ruined are those who insist on hardship in matters of the Faith." He repeated this three times.

[Muslim]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ১৪: ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

৪/১৪৯। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’নিশ্চয় দ্বীন সহজ। যে ব্যক্তি অহেতুক দ্বীনকে কঠিন বানাবে, তার উপর দ্বীন জয়ী হয়ে যাবে। (অর্থাৎ মানুষ পরাজিত হয়ে আমল ছেড়ে দিবে।) সুতরাং তোমরা সোজা পথে থাক এবং (ইবাদতে) মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। তোমরা সুসংবাদ নাও। আর সকাল-সন্ধ্যা ও রাতের কিছু অংশে ইবাদত করার মাধ্যমে সাহায্য নাও।’’[1]

বুখারীর অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’তোমরা সরল পথে থাকো, মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর, সকাল-সন্ধ্যায় চল (ইবাদত কর) এবং রাতের কিছু অংশে। আর তোমরা মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর, মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর, তাহলেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাবে।’’

অর্থাৎ অবসর সময়ে উদ্যমশীল মনে আল্লাহর ইবাদত কর; যে সময়ে ইবাদত করে তৃপ্তি পাওয়া যায় এবং তা মনে ভারী বা বিরক্তিকর না হয়। আর তাহলেই অভীষ্টলাভ করতে পারবে। যেমন বুদ্ধিমান মুসাফির উক্ত সময়ে সফর করে এবং যথাসময়ে সে ও তার সওয়ারী বিশ্রাম গ্রহণ করে। (না ধীরে চলে এবং না তাড়াহুড়া করে।) ফলে সে বিনা কষ্টে যথা সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যায়।

(14) - باب في الاقتصاد في العبادة

عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ ‏ "‏ إن الدين يسر، ولن يشاد الدين إلا غلبه، فسددوا وقاربوا وأبشروا، واستعينوا بالغدوة والروحة وشيء من الدلجة‏"‏ ‏(‏‏‏رواه البخاري‏‏‏)‏‏.‏
وفي رواية له ‏:‏ ‏ ‏سددوا وقاربوا واغدوا وروحوا، وشيء من الدلجة، القصد القصد تبلغوا‏ ‏‏.‏

عن ابي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ ‏ "‏ ان الدين يسر، ولن يشاد الدين الا غلبه، فسددوا وقاربوا وابشروا، واستعينوا بالغدوة والروحة وشيء من الدلجة‏"‏ ‏(‏‏‏رواه البخاري‏‏‏)‏‏.‏ وفي رواية له ‏:‏ ‏ ‏سددوا وقاربوا واغدوا وروحوا، وشيء من الدلجة، القصد القصد تبلغوا‏ ‏‏.‏

(14) Chapter: Moderation in Worship


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "The religion (of Islam) is easy, and whoever makes the religion a rigour, it will overpower him. So, follow a middle course (in worship); if you can't do this, do something near to it and give glad tidings and seek help (of Allah) at morn and at dusk and some part of night".

[Al-Bukhari]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ১৪: ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

৫/১৫০। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করলেন। হঠাৎ দেখলেন যে, একটি দড়ি দুই স্তম্ভের মাঝে লম্বা করে বাঁধা রয়েছে। তারপর তিনি বললেন, ’’এই দড়িটা কি (জন্য)’’? লোকেরা বলল, ’এটি যয়নাবের দড়ি। যখন তিনি (নামায পড়তে পড়তে) ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তখন এটার সঙ্গে ঝুলে যান!’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’এটিকে খুলে ফেল। তোমাদের মধ্যে (যে নামায পড়বে) তার উচিত, সে যেন মনে স্ফূর্তি থাকাকালে নামায পড়ে। তারপর সে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়বে, তখন সে যেন শুয়ে যায়।’’[1]

(14) - باب في الاقتصاد في العبادة

وعن أنس رضي الله عنه قال‏:‏ دخل النبي صلى الله عليه وسلم المسجد فإذا حبل ممدود بين الساريتين فقال‏:‏ ‏"‏ما هذا الحبل‏"‏ قالوا ‏:‏ هذا حبل لزينب، فإذا فترت تعلقت به‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ حلوه، ليصل أحدكم نشاطه فإذا فتر فليرقد‏"‏ ‏(‏‏‏متفق عليه‏‏‏)‏ ‏.‏

وعن انس رضي الله عنه قال‏:‏ دخل النبي صلى الله عليه وسلم المسجد فاذا حبل ممدود بين الساريتين فقال‏:‏ ‏"‏ما هذا الحبل‏"‏ قالوا ‏:‏ هذا حبل لزينب، فاذا فترت تعلقت به‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ حلوه، ليصل احدكم نشاطه فاذا فتر فليرقد‏"‏ ‏(‏‏‏متفق عليه‏‏‏)‏ ‏.‏

(14) Chapter: Moderation in Worship


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) came into the mosque and noticed a rope stretched between two poles. He enquired, "What is this rope for?" He was told: "This is Zainab's rope. When during her voluntary prayer, she begins to feel tired, she grasps it for support". The Prophet (ﷺ) said, "Untie it. You should perform prayers so long as you feel active. When you feel tired, you should go to sleep".

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ১৪: ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

৬/১৫১। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন নামায পড়া অবস্থায় তোমাদের কারো তন্দ্রা আসবে, তখন তাকে ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত, যতক্ষণ না তার ঘুম চলে যাবে। কারণ, তোমাদের কেউ যদি তন্দ্রা অবস্থায় নামায পড়ে, তাহলে সে অনুভব করতে পারবে না যে, সম্ভবতঃ সে ক্ষমা প্রার্থনা করতে গিয়ে প্রকৃতপক্ষে নিজেকে গালি দিচ্ছে।[1]

(14) - باب في الاقتصاد في العبادة

وعن عائشة رضي الله عنها أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ ‏ "‏ إذا نعس أحدكم وهو يصلي، فليرقد حتى يذهب عنه النوم، فإن أحدكم إذا صلى وهو ناعس لا يدري لعله يذهب ويستغفر فيسب نفسه‏"‏ ‏(‏‏‏متفق عليه‏‏‏)‏ ‏.‏

وعن عاىشة رضي الله عنها ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ ‏ "‏ اذا نعس احدكم وهو يصلي، فليرقد حتى يذهب عنه النوم، فان احدكم اذا صلى وهو ناعس لا يدري لعله يذهب ويستغفر فيسب نفسه‏"‏ ‏(‏‏‏متفق عليه‏‏‏)‏ ‏.‏

(14) Chapter: Moderation in Worship


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "When one of you feels drowsy during prayer, let him lie down till drowsiness goes away from him, because when one of you performs prayers while feeling sleepy, he does not know whether he seeks forgiveness or abuses himself".

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ১৪: ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

৭/১৫২। আবূ আব্দুল্লাহ জাবের ইবনু সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন যে, ’আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে নামায পড়তাম। সুতরাং তাঁর নামাযও মধ্যম হত এবং তাঁর খুৎবাও মধ্যম হত।’[1]

(14) - باب في الاقتصاد في العبادة

وعن أبي عبد الله جابر بن سمرة رضي الله عنهما قال‏:‏ ‏ "‏كنت أصلى مع النبي صلى الله عليه وسلم الصلوات، فكانت صلاته قصداً وخطبته قصداً‏"‏ ‏(‏‏‏رواه مسلم‏‏‏)‏‏.‏

وعن ابي عبد الله جابر بن سمرة رضي الله عنهما قال‏:‏ ‏ "‏كنت اصلى مع النبي صلى الله عليه وسلم الصلوات، فكانت صلاته قصدا وخطبته قصدا‏"‏ ‏(‏‏‏رواه مسلم‏‏‏)‏‏.‏

(14) Chapter: Moderation in Worship


Jabir bin Samurah (May Allah be pleased with him) reported:
I used to perform prayer with the Prophet (ﷺ) and his Salat was of a moderate length and his Khutbah too was moderate in length.

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ১৪: ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

৮/১৫৩। আবূ জুহাইফা ওয়াহব ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (হিজরতের পর মদ্বীনায়) সালমান ও আবূ দারদার মাঝে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করলেন। অতঃপর সালমান (একদিন তাঁর দ্বীনী ভাই) আবূ দারদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে (তাঁর বাড়ী) গেলেন। তিনি (আবূ দারদার স্ত্রী উম্মে দারদাকে দেখলেন, তিনি মলিন কাপড় পরে আছেন। সুতরাং তিনি তাঁকে বললেন, ’তোমার এ অবস্থা কেন?’ তিনি বললেন, ’তোমার ভাই আবূ দারদার দুনিয়ার কোনো প্রয়োজনই নেই।’ (ইতোমধ্যে) আবূ দারদাও এসে গেলেন এবং তিনি তাঁর জন্য খাবার তৈরী করলেন। অতঃপর তাঁকে বললেন, ’তুমি খাও। কেননা, আমি রোযা রেখেছি।’ তিনি বললেন, ’যতক্ষণ না তুমি খাবে, আমি খাব না।’ সুতরাং আবূ দারদাও (নফল রোযা ভেঙ্গে দিয়ে তাঁর সঙ্গে) খেলেন।

অতঃপর যখন রাত এল, তখন (শুরু রাতেই) আবূ দারদা নফল নামায পড়তে গেলেন। সালমান তাঁকে বললেন, ’(এখন) শুয়ে যাও।’ সুতরাং তিনি শুয়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর আবার তিনি (বিছানা থেকে) উঠে নফল নামায পড়তে গেলেন। আবার সালমান বললেন, ’শুয়ে যাও।’ অতঃপর যখন রাতের শেষাংশ এসে পৌঁছল, তখন তিনি বললেন, ’এবার উঠে নফল নামায পড়।’ সুতরাং তাঁরা দু’জনে একত্রে নামায পড়লেন। অতঃপর সালমান তাঁকে বললেন, ’নিশ্চয় তোমার উপর তোমার প্রভুর অধিকার রয়েছে। তোমার প্রতি তোমার আত্মারও অধিকার আছে এবং তোমার প্রতি তোমার পরিবারেরও অধিকার রয়েছে। অতএব তুমি প্রত্যেক অধিকারীকে তার অধিকার প্রদান কর।’ অতঃপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁকে সমস্ত ঘটনা শুনালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’সালমান ঠিকই বলেছে।’’[1]

(14) - باب في الاقتصاد في العبادة

وعن أبي جحيفة وهب بن عبد الله رضي الله عنه قال‏:‏ آخى النبي صلى الله عليه وسلم بين سلمان وأبى الدرداء ، فزار سلمان أبا الدرداء، فرأى أم الدرداء متبذلة فقال‏:‏ ما شأنك قالت‏:‏ أخوك أبو الدرداء ليس له حاجة في الدنيا، فجاء أبو الدراداء فصنع له طعاماً، فقال له‏:‏ كل فإنى صائم، قال‏:‏ ما أنا بآكل حتى تأكل، فأكل، فلما كان الليل ذهب أبو الدرداء يقوم فقال له‏:‏ نم، فنام، ثم ذهب يقوم فقال له ‏:‏ نم، فلما كان من آخر الليل قال سلمان‏:‏ قم الآن‏:‏ فصليا جميعاً، فقال له سلمان‏:‏ إن لربك عليك حقاً، وإن لنفسك عليك حقاً، ولأهلك عليك حقاً، فأعط كل ذى حق حقه، فأتى النبي صلى الله عليه وسلم فذكر ذلك له، فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏صدق سلمان‏"‏ ‏(‏‏‏رواه البخاري‏‏‏)‏‏.‏

وعن ابي جحيفة وهب بن عبد الله رضي الله عنه قال‏:‏ اخى النبي صلى الله عليه وسلم بين سلمان وابى الدرداء ، فزار سلمان ابا الدرداء، فراى ام الدرداء متبذلة فقال‏:‏ ما شانك قالت‏:‏ اخوك ابو الدرداء ليس له حاجة في الدنيا، فجاء ابو الدراداء فصنع له طعاما، فقال له‏:‏ كل فانى صاىم، قال‏:‏ ما انا باكل حتى تاكل، فاكل، فلما كان الليل ذهب ابو الدرداء يقوم فقال له‏:‏ نم، فنام، ثم ذهب يقوم فقال له ‏:‏ نم، فلما كان من اخر الليل قال سلمان‏:‏ قم الان‏:‏ فصليا جميعا، فقال له سلمان‏:‏ ان لربك عليك حقا، وان لنفسك عليك حقا، ولاهلك عليك حقا، فاعط كل ذى حق حقه، فاتى النبي صلى الله عليه وسلم فذكر ذلك له، فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏صدق سلمان‏"‏ ‏(‏‏‏رواه البخاري‏‏‏)‏‏.‏

(14) Chapter: Moderation in Worship


Abu Juhaifah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) made a bond of brotherhood between Salman and Abud-Darda'. Salman paid a visit to Abud-Darda' and found Umm Darda' (his wife) dressed in shabby clothes and asked her why she was in that state. She replied: "Your brother Abud-Darda' is not interested in (the luxuries of) this world. In the meantime Abud-Darda' came in and prepared a meal for Salman. Salman requested Abud-Darda' to eat (with him) but Abud-Darda' said: "I am fasting." Salman said: "I am not going to eat unless you eat." So, Abud-Darda' ate (with Salman). When it was night and (a part of the night passed), Abud-Darda' got up (to offer the night prayer) but Salman asked him to sleep and Abud-Darda' slept. After some time Abud-Darda' again got up but Salman asked him to sleep. When it was the last hours of the night, Salman asked him to get up and both of them offered (Tahajjud) prayer. Then Salman told Abud-Darda': "You owe a duty to your Rubb, you owe a duty to your body; you owe a duty to your family; so you should give to every one his due. Abud-Darda' came to the Prophet (ﷺ) and reported the whole story. Prophet (ﷺ) said, "Salman is right".

[Al- Bukhari].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ১৪: ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

৯/১৫৪। আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনু ’আস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমার ব্যাপারে সংবাদ দেওয়া হল যে, আমি বলছি, ’আল্লাহর কসম! আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন দিনে রোযা রাখব এবং রাতে নফল নামায পড়ব।’ সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ’’তুমি এ কথা বলছ?’’ আমি তাঁকে বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! নিঃসন্দেহে আমি এ কথা বলেছি, আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক।’ তিনি বললেন, ’’তুমি এর সাধ্য রাখ না। অতএব তুমি রোযা রাখ এবং (কখনো) ছেড়েও দাও। অনুরূপ (রাতের কিছু অংশে) ঘুমাও এবং (কিছু অংশে) নফল নামায পড় ও মাসে তিন দিন রোযা রাখ। কারণ, নেকীর প্রতিদান দশগুণ রয়েছে। তোমার এই রোযা জীবনভর রোযা রাখার মত হয়ে যাবে।’’ আমি বললাম, ’আমি এর অধিক করার শক্তি রাখি।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি একদিন রোযা রাখ, আর দু’দিন রোযা ত্যাগ কর।’’ আমি বললাম, ’আমি এর বেশী করার শক্তি রাখি।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে একদিন রোযা রাখ, আর একদিন রোযা ছাড়। এ হল দাঊদ ’আলাইহিস সালাম-এর রোযা। আর এ হল ভারসাম্যপূর্ণ রোযা।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, ’’এটা সর্বোত্তম রোযা।’’ কিন্তু আমি বললাম, ’আমি এর চেয়ে বেশী (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) রাখার ক্ষমতা রাখি।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’এর চেয়ে উত্তম রোযা আর নেই।’’ (আব্দুল্লাহ বলেন,) ’যদি আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ অনুযায়ী (প্রত্যেক মাসে) তিন দিন রোযা রাখার পদ্ধতি গ্রহণ করতাম, তাহলে তা আমার নিকট আমার পরিবার ও সম্পদ অপেক্ষা প্রিয় হত।’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন,) ’’আমি কি এই সংবাদ পাইনি যে, তুমি দিনে রোযা রাখছ এবং রাতে নফল নামায পড়ছ?’’ আমি বললাম, ’সম্পূর্ণ সত্য, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ’’পুনরায় এ কাজ করো না। তুমি রোযাও রাখ এবং (কখনো) ছেড়েও দাও। নিদ্রাও যাও এবং নামাযও পড়। কারণ তোমার উপর তোমার দেহের অধিকার আছে। তোমার উপর তোমার চক্ষুদ্বয়ের অধিকার আছে। তোমার উপর তোমার স্ত্রীর অধিকার আছে এবং তোমার উপর তোমার অতিথির অধিকার আছে। তোমার জন্য প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোযা রাখা যথেষ্ট। কেননা, প্রত্যেক নেকীর পরিবর্তে তোমার জন্য দশটি নেকী রয়েছে আর এটা জীবনভর রোযা রাখার মত।’’ কিন্তু আমি কঠোরতা অবলম্বন করলাম। যার ফলে আমার উপর কঠিন করে দেওয়া হল। আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি সামর্থ্য রাখি।’ তিনি বললেন, ’’তুমি আল্লাহর নবী দাউদ ’আলাইহিস সালাম-এর রোযা রাখ এবং তার চেয়ে বেশী করো না।’’ আমি বললাম, ’দাউদের রোযা কেমন ছিল?’ তিনি বললেন, ’’অর্ধেক জীবন।’’ অতঃপর আব্দুল্লাহ বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর বলতেন, ’হায়! যদি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুমতি গ্রহণ করতাম (তাহলে কতই না ভাল হত)!’

আর এক বর্ণনায় আছে, (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন,) ’’আমি সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি সর্বদা রোযা রাখছ এবং প্রত্যহ রাতে কুরআন (খতম) পড়ছ।’’ আমি বললাম, ’(সংবাদ) সত্যই, হে আল্লাহর রাসূল! কিন্তু এতে আমার উদ্দেশ্য ভাল ছাড়া অন্য কিছু নয়।’ তিনি বললেন, ’’তুমি আল্লাহর নবী দাউদের রোযা রাখ। কারণ, তিনি লোকের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ইবাদতগুযার ছিলেন। আর প্রত্যেক মাসে (একবার কুরআন খতম) পড়।’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর নবী! আমি এর অধিক করার শক্তি রাখি।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি কুড়ি দিনে (কুরআন খতম) পড়।’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর নবী! আমি এর থেকে বেশী করার সামর্থ্য রাখি।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি প্রত্যেক দশদিনে (কুরআন খতম) পড়।’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর নবী! আমি এর চেয়েও বেশী ক্ষমতা রাখি।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে তুমি প্রত্যেক সাতদিনে (খতম) পড় এবং এর বেশী করো না (অর্থাৎ এর চাইতে কম সময়ে কুরআন খতম করো না।)’’ কিন্তু আমি কঠোরতা অবলম্বন করলাম। যার ফলে আমার উপর কঠিন করে দেওয়া হল। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছিলেন, ’’তুমি জান না, সম্ভবতঃ তোমার বয়স সুদীর্ঘ হবে।’’ আব্দুল্লাহ বলেন, সুতরাং আমি ঐ বয়সে পৌঁছে গেলাম, যার কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছিলেন। অবশেষে আমি যখন বৃদ্ধ হয়ে গেলাম, তখন আমি আকাঙ্ক্ষা করলাম, হায়! যদি আমি আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুমতি গ্রহণ করে নিতাম।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন,) ’’আর তোমার উপর তোমার সন্তানের অধিকার আছে---।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’তার কোন রোযা নেই (অর্থাৎ রোযা বিফল যাবে) সে সর্বদা রোযা রাখে।’’ এ কথা তিনবার বললেন।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’আল্লাহর নিকট প্রিয়তম রোযা হচ্ছে দাউদ ’আলাইহিস সালাম-এর রোযা এবং আল্লাহর নিকট প্রিয়তম নামায হচ্ছে দাউদ ’আলাইহিস সালাম-এর নামায। তিনি মধ্য রাতে শুতেন এবং তার তৃতীয় অংশে নামায পড়তেন এবং তার ষষ্ঠ অংশে ঘুমাতেন। তিনি একদিন রোযা রাখতেন ও একদিন রোযা ছাড়তেন। আর যখন শত্রুর সামনা-সামনি হতেন তখন (রণভূমি হতে) পলায়ন করতেন না।’’

আরোও এক বর্ণনায় আছে, (আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর) বলেন, আমার পিতা আমার বিবাহ এক উচ্চ বংশের মহিলার সঙ্গে দিয়েছিলেন। তিনি পুত্রবধুর প্রতি খুবই লক্ষ্য রাখতেন। তিনি তাকে তার স্বামী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। সে বলত, ’এত ভালো লোক যে, সে কদাচ আমার বিছানায় পা রাখেনি এবং যখন থেকে আমি তার কাছে এসেছি, সে কোনদিন আবৃত জিনিস স্পর্শ করেনি (অর্থাৎ মিলনের ইচ্ছাও ব্যক্ত করেনি।)’ যখন এই আচরণ অতি লম্বা হয়ে গেল, তখন তিনি (আব্দুল্লাহর পিতা) এ কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালেন। অতঃপর তিনি বললেন, ’’তাকে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বল।’’ সুতরাং পরবর্তীতে আমি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। অতঃপর তিনি বললেন, ’’তুমি কিভাবে রোযা রাখ?’’ আমি বললাম, ’প্রত্যেক দিন।’ তিনি বললেন, ’’কিভাবে কুরআন খতম কর?’’ আমি বললাম, ’প্রত্যেক রাতে।’ অতঃপর তিনি ঐ কথাগুলি বর্ণনা করলেন, যা পূর্বে গত হয়েছে। তিনি (আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর) তাঁর পরিবারের কাউকে (কুরআনের) ঐ সপ্তম অংশ পড়ে শুনাতেন, যা তিনি (রাতের নফল নামাযে) পড়তেন। দিনের বেলায় তিনি তা পুনঃ পড়ে নিতেন, যাতে তার তার উপর সহজ হয়। আর যখন তিনি শক্তিমান হতে চাইতেন তখন কয়েকদিন রোযা ভাঙ্গতেন আর গুণে রাখতেন, তারপর সে দিনগুলোর অনুপাতে রোযা রাখতেন, যাতে করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যে অবস্থার উপর ছেড়েছেন সে অবস্থার ব্যতিক্রম হয় এমন অপছন্দনীয় কাজ সংঘটিত না হয়। এ বর্ণনাগুলো সবই সহীহ বর্ণনা; যার বেশিরভাগই বুখারী ও মুসলিমে এসেছে অথবা এ দুটির একটিতে আছে।[1]

(14) - باب في الاقتصاد في العبادة

وعن أبي محمد عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما قال‏:‏ أخبر النبي صلى الله عليه وسلم أني أقول‏:‏ والله لأصومن النهار، ولأقومن الليل ماعشت، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ أنت الذي تقول ذلك‏؟‏ فقلت له‏:‏ قد قلته بأبى أنت وأمى يا رسول الله‏.‏ قال‏:‏‏"‏فإنك لا تستطيع ذلك؛ فصم وأفطر، ونم وقم، وصم من الشهر ثلاثة أيام فإن الحسنة بعشر أمثالها، وذلك مثل صيام الدهر‏"‏ قلت‏:‏ فإنى أطيق أفضل من ذلك قال‏:‏ فصم يوما وأفطر يومين، قلت‏:‏ فإنى أطيق أفضل من ذلك، قال‏:‏ ‏"‏فصم يوماً وأفطر يوماً، فذلك صيام داود صلى الله عليه وسلم، وهو أعدل الصيام‏"‏‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏وهو أفضل الصيام‏"‏ فقلت ‏:‏ فإني أطيق أفضل من ذلك‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم‏:‏ ‏"‏ لا أفضل من ذلك‏"‏ ولأن أكون قبلت الثلاثة الأيام التي قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أحب إلي من أهلي وما لي‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏ألم أخبر أنك تصوم النهار وتقوم الليل‏؟‏‏"‏ قلت ‏:‏ بلى يا رسول الله قال‏:‏ ‏"‏فلا تفعل‏:‏ صم وأفطر ، ونم وقم فإن لجسدك عليك حقاً، وإن لعينيك عليك حقاً، وإن لزوجك عليك حقاً، وإن لزورك عليك حقاً، وإن بحسبك أن تصوم في كل شهر ثلاثة أيام ، فإن لك بكل حسنة عشر أمثالها، فإن ذلك صيام الدهر‏"‏ فشددت فشدد علي، قلت‏:‏ يا رسول الله إني أجد قوة، قال‏:‏ ‏"‏صم صيام نبي الله داود ولا تزد عليه‏"‏ قلت‏:‏ وما كان صيام داود‏؟‏ قال‏:‏ ‏"‏نصف الدهر‏"‏ فكان عبد الله يقول بعدما كبر‏:‏ يا ليتني قبلت رخصة رسول الله صلى الله عليه وسلم‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏ ألم أخبر أنك تصوم الدهر، وتقرأ القرآن كل ليلةٍ‏؟‏‍‍‍‍‍‍‏"‏ فقلت‏:‏ بلى يا رسول الله، ولم أرد بذلك إلا الخير قال‏:‏ ‏"‏فصم صوم نبي الله داود، فإنه كان أعبد الناس، واقرأِ القرآن كل شهرٍ‏"‏ قلت‏:‏ يا نبي الله إني أطيق أفضل من ذلك‏؟‏ قال‏:‏ ‏"‏فاقرأه في كل عشرين‏"‏ قلت‏:‏ يا نبي الله إني أطيق أفضل من ذلك‏؟‏ قال‏:‏ ‏"‏فاقرأه في كل عشر‏"‏ قلت يا نبي الله إني أطيق أفضل من ذلك‏؟‏ قال‏:‏ ‏"‏فاقرأه في كل سبع ولا تزد على ذلك‏"‏‏.‏ فشددت فشدد علي ، وقال لي النبي صلى الله عليه وسلم‏:‏ ‏"‏إنك لا تدري لعلك يطول بك عمر‏"‏ قال‏:‏ فصرت إلى الذي قال لي النبي صلى الله عليه وسلم، فلما كبرت وددت أني كنت قبلت رخصة نبي الله صلى الله عليه وسلم‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏ وإن لولدك عليك حقاً‏"‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏ لا صام من صام الأبد‏"‏ ثلاثاً‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏أحب الصيام إلى الله تعالى صيام داود، وأحب الصلاة إلى الله تعالى صلاة داود‏:‏ كان ينام نصف الليل، ويقوم ثلثه، وينام سدسه، وكان يصوم يوما ويفطر يوماً، ولا يفر إذا لاقى‏"‏‏.‏ وفي رواية‏:‏ أنكحني أبي امرأة ذات حسب، وكان يتعاهد كنته-أي ‏:‏ امرأة ولده- فيسألها عن بعلها، فتقول له ‏:‏ نعم الرجل من رجل لم ييطأ لنا فراشاً ولم يفتش لنا كنفاً منذ أتيناه‏.‏ فلما طال ذلك عليه ذكر ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم‏.‏ فقال‏:‏ ‏"‏القنى به‏"‏ فلقيته بعد ذلك فقال‏:‏ ‏"‏كيف تصوم‏؟‏‏"‏ قلت كل يوم، قال‏:‏ ‏"‏وكيف تختم‏؟‏‏"‏ قلت‏:‏ كل ليلةٍ، وذكر نحون ما سبق ، وكان يقرأ على بعض أهله السبع الذي يقرؤه، يعرضه من النهار ليكون أخف عليه بالليل، وإذا أراد أن يتقوى أفطر أياماً وأحصى وصام مثلهن كراهية أن يترك شيئاً فارق عليه النبي صلى الله عليه وسلم‏.‏ كل هذه الروايات صحيحة معظمها في الصحيحين وقليل منها في أحدهما‏.‏ ‏.‏

وعن ابي محمد عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما قال‏:‏ اخبر النبي صلى الله عليه وسلم اني اقول‏:‏ والله لاصومن النهار، ولاقومن الليل ماعشت، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ انت الذي تقول ذلك‏؟‏ فقلت له‏:‏ قد قلته بابى انت وامى يا رسول الله‏.‏ قال‏:‏‏"‏فانك لا تستطيع ذلك؛ فصم وافطر، ونم وقم، وصم من الشهر ثلاثة ايام فان الحسنة بعشر امثالها، وذلك مثل صيام الدهر‏"‏ قلت‏:‏ فانى اطيق افضل من ذلك قال‏:‏ فصم يوما وافطر يومين، قلت‏:‏ فانى اطيق افضل من ذلك، قال‏:‏ ‏"‏فصم يوما وافطر يوما، فذلك صيام داود صلى الله عليه وسلم، وهو اعدل الصيام‏"‏‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏وهو افضل الصيام‏"‏ فقلت ‏:‏ فاني اطيق افضل من ذلك‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم‏:‏ ‏"‏ لا افضل من ذلك‏"‏ ولان اكون قبلت الثلاثة الايام التي قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احب الي من اهلي وما لي‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏الم اخبر انك تصوم النهار وتقوم الليل‏؟‏‏"‏ قلت ‏:‏ بلى يا رسول الله قال‏:‏ ‏"‏فلا تفعل‏:‏ صم وافطر ، ونم وقم فان لجسدك عليك حقا، وان لعينيك عليك حقا، وان لزوجك عليك حقا، وان لزورك عليك حقا، وان بحسبك ان تصوم في كل شهر ثلاثة ايام ، فان لك بكل حسنة عشر امثالها، فان ذلك صيام الدهر‏"‏ فشددت فشدد علي، قلت‏:‏ يا رسول الله اني اجد قوة، قال‏:‏ ‏"‏صم صيام نبي الله داود ولا تزد عليه‏"‏ قلت‏:‏ وما كان صيام داود‏؟‏ قال‏:‏ ‏"‏نصف الدهر‏"‏ فكان عبد الله يقول بعدما كبر‏:‏ يا ليتني قبلت رخصة رسول الله صلى الله عليه وسلم‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏ الم اخبر انك تصوم الدهر، وتقرا القران كل ليلة‏؟‏‍‍‍‍‍‍‏"‏ فقلت‏:‏ بلى يا رسول الله، ولم ارد بذلك الا الخير قال‏:‏ ‏"‏فصم صوم نبي الله داود، فانه كان اعبد الناس، واقرا القران كل شهر‏"‏ قلت‏:‏ يا نبي الله اني اطيق افضل من ذلك‏؟‏ قال‏:‏ ‏"‏فاقراه في كل عشرين‏"‏ قلت‏:‏ يا نبي الله اني اطيق افضل من ذلك‏؟‏ قال‏:‏ ‏"‏فاقراه في كل عشر‏"‏ قلت يا نبي الله اني اطيق افضل من ذلك‏؟‏ قال‏:‏ ‏"‏فاقراه في كل سبع ولا تزد على ذلك‏"‏‏.‏ فشددت فشدد علي ، وقال لي النبي صلى الله عليه وسلم‏:‏ ‏"‏انك لا تدري لعلك يطول بك عمر‏"‏ قال‏:‏ فصرت الى الذي قال لي النبي صلى الله عليه وسلم، فلما كبرت وددت اني كنت قبلت رخصة نبي الله صلى الله عليه وسلم‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏ وان لولدك عليك حقا‏"‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏ لا صام من صام الابد‏"‏ ثلاثا‏.‏ وفي رواية‏:‏ ‏"‏احب الصيام الى الله تعالى صيام داود، واحب الصلاة الى الله تعالى صلاة داود‏:‏ كان ينام نصف الليل، ويقوم ثلثه، وينام سدسه، وكان يصوم يوما ويفطر يوما، ولا يفر اذا لاقى‏"‏‏.‏ وفي رواية‏:‏ انكحني ابي امراة ذات حسب، وكان يتعاهد كنته-اي ‏:‏ امراة ولده- فيسالها عن بعلها، فتقول له ‏:‏ نعم الرجل من رجل لم ييطا لنا فراشا ولم يفتش لنا كنفا منذ اتيناه‏.‏ فلما طال ذلك عليه ذكر ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم‏.‏ فقال‏:‏ ‏"‏القنى به‏"‏ فلقيته بعد ذلك فقال‏:‏ ‏"‏كيف تصوم‏؟‏‏"‏ قلت كل يوم، قال‏:‏ ‏"‏وكيف تختم‏؟‏‏"‏ قلت‏:‏ كل ليلة، وذكر نحون ما سبق ، وكان يقرا على بعض اهله السبع الذي يقروه، يعرضه من النهار ليكون اخف عليه بالليل، واذا اراد ان يتقوى افطر اياما واحصى وصام مثلهن كراهية ان يترك شيىا فارق عليه النبي صلى الله عليه وسلم‏.‏ كل هذه الروايات صحيحة معظمها في الصحيحين وقليل منها في احدهما‏.‏ ‏.‏

(14) Chapter: Moderation in Worship


'Abdullah bin 'Amr bin Al-'as (May Allah be pleased with them) reported:
The Prophet (ﷺ) was informed that I said that I would perform prayers the whole night and observe fasting every day as long as I live. Messenger of Allah (ﷺ) said, "Is it you who said this?" I said to him, "O Messenger of Allah! I ransom you with my parents, it is I who said that." Messenger of Allah (ﷺ) said, "You will not be able to do that. Observe fast and break it; sleep and get up for prayer, and observe fast for three days during the month; for every good is multiplied ten times and that will be equal to fasting the whole year." I said, "O Messenger of Allah! I can do more than that." He said, "Observe fast one day and leave off the next two days." I said, "O Messenger of Allah! I have strength to do more than that." Messenger of Allah (ﷺ) said, "Observe fast every other day, and that is the fasting of Dawud (ﷺ) and that is the most moderate fasting".

According to another narration: Messenger of Allah (ﷺ) said, "That is the best fasting." I said, "But I am capable of doing more than this". Thereupon, Messenger of Allah (ﷺ) said, "There is nothing better than this." 'Abdullah bin 'Amr (May Allah be pleased with them) said (when he grew old): "Had I accepted the three days (fasting during every month) as the Messenger of Allah had said, it would have been dearer to me than my family and my property".

In another narration 'Abdullah is reported to have said: Messenger of Allah (ﷺ) said to me, "O 'Abdullah! Have I not been informed that you observe fast during the day and offer prayer all the night." I replied, "Yes, O Messenger of Allah!" Messenger of Allah (ﷺ) said, "Don't do that. Observe fast for few days and then leave off for few days, perform prayers and also sleep at night, as your body has a right upon you, and your eyes have a right upon you; and your wife has a right upon you; your visitors have a right upon you. It is sufficient for you to observe fast three days in a month, as the reward of good deeds is multiplied ten times, so it will be like fasting the whole year." I insisted (on fasting) and so I was given a hard instruction. I said, "O Messenger of Allah! I have strength." Messenger of Allah (ﷺ) said, "Observe fast like the fasting of Prophet Dawud (ﷺ); and do not fast more than that." I said: "How was the fasting of Prophet Dawud?" He (ﷺ) said, "Half of the year (i.e., he used to fast on every alternate day)."

Afterwards when 'Abdullah (May Allah be pleased with him) grew old, he used to say: "Would that I had availed myself of the concession granted to me by Messenger of Allah."

In another narration 'Abdullah is reported to have said: Messenger of Allah (ﷺ) said, "I have been informed that you observe fast continuously and recite (the whole of the Qur'an) every night." I said, "Messenger of Allah! It is right, but I covet thereby nothing but good," whereupon he (ﷺ) said, "Then observe fasts like the fasting of Prophet Dawud (ﷺ) as he was the most ardent worshipper of Allah; recite the Qur'an once every month." I said, "O Prophet of Allah! I am capable of doing more than that." He said, "Then recite it (the complete Qur'an) in every twenty days." I said, "O Prophet of Allah I am capable of reciting more than that." He said, "Then recite it once in every ten days." I said, "O Prophet of Allah! I am capable of reciting more than that." He said, "Then recite it once in every seven days, but not recite more than that." The Prophet of Allah also said to me, "You do not know, you may have a longer life". When I grew old I wished I had availed myself of the concession (granted to me by) the Prophet of Allah.

In another narration 'Abdullah is reported to have said: Messenger of Allah (ﷺ) said, "The best fasting with Allah is that of (Prophet) Dawud, and the best prayer with Allah is that of Dawud (ﷺ) for he would sleep half of the night and stand for prayer for the third of it and (then) would sleep sixth part of it; he observed fast one day and leave off the other. He would not flee on meeting the enemy".

In another narration 'Abdullah is reported to have said: My father helped me marry a noble woman and he used to inquire of his daughter-in-law regarding her husband. She would say: "He is, indeed, a fine man. Since I have come to him, he has neither stepped on my bed nor he has had sexual intercourse with me". When this state of affairs lasted for some time, my father mentioned the matter to Messenger of Allah (ﷺ) who directed my father saying, "Send him to me". I went to him accordingly. He asked me, "How often do you observe fast?" I replied; "Daily". He asked me, "How long do you take in reading the Noble Qur'an completely." I said, "Once every night". Then he narrated the whole story. He (in his old age) would recite one seventh of his nightly recitation to some members of his family during the day to lighten his task at night. Whenever he wished to have a relief from his fast on alternate days, he would give up fasting for a few days and make up deficiency later by observing the number of fasts he had missed. He would not give up the number of fasts altogether because he did not like to abandon what he had settled with Messenger of Allah (ﷺ).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ১৪: ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

১০/১৫৫। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একজন লেখক আবূ রিব’য়ী হান্‌যালাহ ইবনু রাবী’ আল-উসাইদী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একদা আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললেন, ’হে হানযালাহ! তুমি কেমন আছ?’ আমি বললাম, ’হানাযালাহ মুনাফিক হয়ে গেছে!’ তিনি (আশ্চর্য হয়ে) বললেন, ’সুবহানাল্লাহ! এ কি কথা বলছ?’ আমি বললাম, ’(কথা এই যে, যখন) আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে থাকি, তিনি আমাদের সামনে এমন ভঙ্গিমায় জান্নাত ও জাহান্নামের আলোচনা করেন, যেন আমরা তা স্বচক্ষে দেখছি। অতঃপর যখন আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট থেকে বের হয়ে আসি, তখন স্ত্রী সন্তান-সন্ততি ও অন্যান্য (পার্থিব) কারবারে ব্যস্ত হয়ে অনেক কিছু ভুলে যাই।’ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, ’আল্লাহর কসম! আমাদেরও তো এই অবস্থা হয়।’ সুতরাং আমি ও আবূ বকর গিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে হাজির হলাম।

অতঃপর আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! হানযালাহ মুনাফিক হয়ে গেছে।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’সে কি কথা?’’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যখন আপনার নিকটে থাকি, তখন আপনি আমাদেরকে জান্নাত-জাহান্নামের কথা এমনভাবে শুনান; যেমন নাকি আমরা তা প্রত্যক্ষভাবে দেখছি। অতঃপর আমরা যখন আপনার নিকট থেকে বের হয়ে যাই এবং স্ত্রী সন্তান-সন্ততি ও কারবারে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, তখন অনেক কথা ভুলে যাই। (এ কথা শুনে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! যদি তোমরা সর্বদা এই অবস্থায় থাকতে, যে অবস্থাতে তোমরা আমার নিকটে থাক এবং সর্বদা আল্লাহর স্মরণে মগ্ন থাকতে, তাহলে ফিরিশ্তাগণ তোমাদের বিছানায় ও তোমাদের পথে তোমাদের সঙ্গে মুসাফাহা করতেন। কিন্তু ওহে হানযালাহ! (সর্বদা মানুষের এক অবস্থা থাকে না।) কিছু সময় (ইবাদতের জন্য) ও কিছু সময় (সাংসারিক কাজের জন্য)।’’ তিনি এ কথা তিনবার বললেন।[1]

(14) - باب في الاقتصاد في العبادة

وعن أبي ربعي حنظلة بن الربيع الأسيدى الكاتب أحد كتاب رسول الله صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ لقيني أبو بكر رضي الله عنه فقال‏:‏ كيف أنت يا حنظلة‏؟‏ قلت‏:‏ نافق حنظلة‏؟‏ قلت‏:‏ نافق حنظلة ‍‍‏(‏ قال‏:‏ سبحان الله ما تقول‏؟‏ ‏(‏ قلت‏:‏ نكون عند رسول الله صلى الله عليه وسلم يذكرنا بالجنة والنار كأنا رأي عين، فإذا خرجنا من عند رسول الله صلى الله عليه وسلم عافسنا الأزواج والأولاد والضيعات نسينا كثيراً‏.‏ قال أبو بكر رضي الله عنه ‏:‏ فوالله إنا لنلقى مثل هذا، فانطلقت أنا وأبو بكر حتى دخلنا على رسول الله صلى الله عليه وسلم‏.‏ فقلت‏:‏ نافق حنظلة يا رسول الله ‏(‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏"‏وما ذاك‏؟‏‏"‏ قلت‏:‏ يا رسول الله نكون عندك تذكرنا بالنار والجنة كأنا رأي العين، فإذا خرجنا من عندك عافسنا الأزواج والأولاد والضيعات نسينا كثيراً‏.‏ فقال رسول الله 0‏:‏ ‏"‏والذي نفسي بيده لو تدومون على ما تكونون عندي وفي الذكر لصافحتكم الملائكة على فرشكم وفي طرقكم، ولكن يا حنظلة ساعة وساعة‏"‏ ثلاث مرات، ‏(‏‏‏رواه مسلم‏‏‏)‏‏.‏

وعن ابي ربعي حنظلة بن الربيع الاسيدى الكاتب احد كتاب رسول الله صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ لقيني ابو بكر رضي الله عنه فقال‏:‏ كيف انت يا حنظلة‏؟‏ قلت‏:‏ نافق حنظلة‏؟‏ قلت‏:‏ نافق حنظلة ‍‍‏(‏ قال‏:‏ سبحان الله ما تقول‏؟‏ ‏(‏ قلت‏:‏ نكون عند رسول الله صلى الله عليه وسلم يذكرنا بالجنة والنار كانا راي عين، فاذا خرجنا من عند رسول الله صلى الله عليه وسلم عافسنا الازواج والاولاد والضيعات نسينا كثيرا‏.‏ قال ابو بكر رضي الله عنه ‏:‏ فوالله انا لنلقى مثل هذا، فانطلقت انا وابو بكر حتى دخلنا على رسول الله صلى الله عليه وسلم‏.‏ فقلت‏:‏ نافق حنظلة يا رسول الله ‏(‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏"‏وما ذاك‏؟‏‏"‏ قلت‏:‏ يا رسول الله نكون عندك تذكرنا بالنار والجنة كانا راي العين، فاذا خرجنا من عندك عافسنا الازواج والاولاد والضيعات نسينا كثيرا‏.‏ فقال رسول الله 0‏:‏ ‏"‏والذي نفسي بيده لو تدومون على ما تكونون عندي وفي الذكر لصافحتكم الملاىكة على فرشكم وفي طرقكم، ولكن يا حنظلة ساعة وساعة‏"‏ ثلاث مرات، ‏(‏‏‏رواه مسلم‏‏‏)‏‏.‏

(14) Chapter: Moderation in Worship


Hanzalah Al-Usayyidi (May Allah be pleased with him) who was one of the scribes of Messenger of Allah (ﷺ), reported:
I met Abu Bakr (May Allah be pleased with him) he said: "How are you O Hanzalah?" I said, "Hanzalah has become a hypocrite". He said, "Far removed is Allah from every imperfection, what are you saying?" I said, "When we are in the company of Messenger of Allah (ﷺ) and he reminds us of Hell-fire and Jannah, we feel as if we are seeing them with our very eyes, and when we are away from Messenger of Allah (ﷺ), we attend to our wives, our children, our business, most of these things (pertaining to life hereafter) slip out of our minds." Abu Bakr (May Allah be pleased with him) said, "By Allah, I also experience the same thing". So Abu Bakr (May Allah be pleased with him) and I went to Messenger of Allah (ﷺ) and I said to him, "O Messenger of Allah (ﷺ), Hanzalah has turned hypocrite." Thereupon Messenger of Allah (ﷺ) said, "What has happened to you?" I said, "O Messenger of Allah, when we are in your company, and are reminded of Hell-fire and Jannah, we feel as if we are seeing them with our own eyes, but when we go away from you and attend to our wives, children and business, much of these things go out of our minds." Thereupon Messenger of Allah (ﷺ) said, "By Him in Whose Hand is my life if your state of mind remains the same as it is in my presence and you are always busy in remembrance (of Allah), the angels will shake hands with you in your beds and in your roads; but Hanzalah, time should be devoted (to the worldly affairs) and time should be devoted (to prayer)". He (the Prophet (ﷺ)) said this thrice.

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany

পরিচ্ছেদঃ ১৪: ইবাদতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন

১১/১৫৬। ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, কোন এক সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুৎবাহ দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি দেখলেন যে, একটি লোক (রোদে) দাঁড়িয়ে আছে। অতঃপর তিনি তাঁর সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। লোকেরা বলল, ’আবূ ইসরাঈল। ও নযর মেনেছে যে, ও রোদে দাঁড়িয়ে থাকবে, বসবে না, ছায়া গ্রহণ করবে না, কথা বলবে না এবং রোযা রাখবে।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তোমরা ওকে আদেশ কর, ও যেন কথা বলে, ছায়া গ্রহণ করে, বসে এবং রোযা পুরা করে।’’[1]

(14) - باب في الاقتصاد في العبادة

- وعن ابن عباس رضي الله عنهما قال‏:‏ بينما النبي صلى الله عليه وسلم يخطب إذا هو برجل قائم، فسأل عنه فقالوا‏:‏ أبو إسرائيل نذر أن يقوم في الشمس ولا يقعد، ولا يستظل ولا يتكلم، ويصوم، فقال النبي صلى الله عليه وسلم‏:‏ ‏ "‏مروه فليتكلم وليستظل وليقعد وليتم صومه‏"‏ ‏(‏‏‏رواه البخاري‏‏‏)‏‏.‏

- وعن ابن عباس رضي الله عنهما قال‏:‏ بينما النبي صلى الله عليه وسلم يخطب اذا هو برجل قاىم، فسال عنه فقالوا‏:‏ ابو اسراىيل نذر ان يقوم في الشمس ولا يقعد، ولا يستظل ولا يتكلم، ويصوم، فقال النبي صلى الله عليه وسلم‏:‏ ‏ "‏مروه فليتكلم وليستظل وليقعد وليتم صومه‏"‏ ‏(‏‏‏رواه البخاري‏‏‏)‏‏.‏

(14) Chapter: Moderation in Worship


Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) reported:
While the Prophet (ﷺ) was delivering Khutbah (religious talk), he noticed a man who was standing, so he asked about him and was told that he was Abu Israel who had taken a vow to remain standing and not sit, or go into the shade, or speak while observing fasting. Thereupon Messenger of Allah (ﷺ) said, "Tell him to speak, to go into the shade, to sit and to complete his fast".

[Al- Bukhari].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
বিবিধ (كتاب المقدمات) The Book of Miscellany
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে