পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ وَلَمَّا رَءَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلۡأَحۡزَابَ قَالُواْ هَٰذَا مَا وَعَدَنَا ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَصَدَقَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥۚ وَمَا زَادَهُمۡ إِلَّآ إِيمَٰنٗا وَتَسۡلِيمٗا ٢٢ ﴾ [الاحزاب: ٢٢]
অর্থাৎ “বিশ্বাসীরা যখন শত্রুবাহিনীকে দেখল তখন ওরা বলে উঠল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তো আমাদেরকে এই প্রতিশ্রুতই দিয়েছেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সত্যই বলেছিলেন। এতে তো তাদের বিশ্বাস ও আনুগত্যই বৃদ্ধি পেল।” (সূরা আহযাব ২২ আয়াত)
তিনি অন্যত্রে বলেন,
﴿ ٱلَّذِينَ قَالَ لَهُمُ ٱلنَّاسُ إِنَّ ٱلنَّاسَ قَدۡ جَمَعُواْ لَكُمۡ فَٱخۡشَوۡهُمۡ فَزَادَهُمۡ إِيمَٰنٗا وَقَالُواْ حَسۡبُنَا ٱللَّهُ وَنِعۡمَ ٱلۡوَكِيلُ ١٧٣ فَٱنقَلَبُواْ بِنِعۡمَةٖ مِّنَ ٱللَّهِ وَفَضۡلٖ لَّمۡ يَمۡسَسۡهُمۡ سُوٓءٞ وَٱتَّبَعُواْ رِضۡوَٰنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ ذُو فَضۡلٍ عَظِيمٍ ١٧٤ ﴾ [ال عمران: ١٧٣، ١٧٤]
অর্থাৎ “যাদেরকে লোকেরা বলেছিল যে, তোমাদের বিরুদ্ধে লোক জমায়েত হয়েছে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় কর। কিন্তু এ (কথা) তাদের বিশ্বাস দৃঢ়তর করেছিল এবং তারা বলেছিল, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম কর্মবিধায়ক। তারপর তারা আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহসহ ফিরে এসেছিল, কোন অনিষ্ট তাদেরকে স্পর্শ করেনি এবং আল্লাহ যাতে সন্তুষ্ট হন তারা তারই অনুসরণ করেছিল। আর আল্লাহ মহা অনুগ্রহশীল।” (সূরা আলে ইমরান ১৭৩-১৭৪ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ وَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱلۡحَيِّ ٱلَّذِي لَا يَمُوتُ ﴾ [الفرقان: ٥٧]
অর্থাৎ “তুমি তাঁর উপর নির্ভর কর যিনি চিরঞ্জীব, যাঁর মৃত্যু নেই।” (সূরা ফুরক্বান ৫৮আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿وَعَلَى ٱللَّهِ فَلۡيَتَوَكَّلِ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ﴾ [ابراهيم: ١١]
অর্থাৎ “মু’মিনদের উচিত, কেবল আল্লাহর উপরই নির্ভর করা।” (সূরা ইব্রাহীম ১১ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ فَإِذَا عَزَمۡتَ فَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِۚ ﴾ [ال عمران: ١٥٩]
অর্থাৎ “তুমি কোন সংকল্প গ্রহণ করলে আল্লাহর প্রতি নির্ভর কর। (নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর উপর নির্ভরশীলদেরকে ভালবাসেন।)” (সূরা আলে ইমরান ১৫৯ আয়াত)
আরো আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَن يَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِ فَهُوَ حَسۡبُهُۥٓ﴾ [الطلاق: ٣]
অর্থাৎ “যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর নির্ভর করবে তার জন্য তিনই যথেষ্ট হবেন।” (সূরা ত্বালাক ৩ আয়াত)
﴿ إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ ٱللَّهُ وَجِلَتۡ قُلُوبُهُمۡ وَإِذَا تُلِيَتۡ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتُهُۥ زَادَتۡهُمۡ إِيمَٰنٗا وَعَلَىٰ رَبِّهِمۡ يَتَوَكَّلُونَ ٢ ﴾ [الانفال: ٢]
অর্থাৎ “বিশ্বাসী (মু’মিন) তো তারাই যাদের হৃদয় আল্লাহকে স্মরণ করার সময় ভীত হয় এবং যখন তাঁর আয়াত তাদের নিকট পাঠ করা হয়, তখন তা তাদের বিশ্বাস (ঈমান) বৃদ্ধি করে এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপরই ভরসা রাখে।”
একীন (দৃঢ়প্রত্যয়) ও তাওয়াক্কুল (আল্লাহর উপর ভরসা)র গুরুত্ব সম্বন্ধে আরো অনেক আয়াত রয়েছে। এ মর্মের হাদীসসমূহ নিম্নরূপঃ
১/৭৫। ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’আমার কাছে সকল উম্মত পেশ করা হল। আমি দেখলাম, কোন নবীর সাথে কতিপয় (৩ থেকে ৭ জন অনুসারী) লোক রয়েছে। কোন নবীর সাথে এক অথবা দুইজন লোক রয়েছে। কোন নবীকে দেখলাম তাঁর সাথে কেউ নেই। ইতোমধ্যে বিরাট একটি জামাআত আমার সামনে পেশ করা হল। আমি মনে করলাম, এটই আমার উম্মত। কিন্তু আমাকে বলা হল যে, ’এটি হল মূসা ও তাঁর উম্মতের জামাআত। কিন্তু আপনি অন্য দিগন্তে তাকান।’ অতঃপর তাকাতেই আরও একটি বিরাট জামাআত দেখতে পেলাম। আমাকে বলা হল যে, ’এটি হল আপনার উম্মত। আর তাদের সঙ্গে রয়েছে এমন ৭০ হাজার লোক, যারা বিনা হিসাব ও বিনা আযাবে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে।’’
এ কথা বলে তিনি উঠে নিজ বাসায় প্রবেশ করলেন। এদিকে লোকেরা ঐ বেহেশ্তী লোকদের ব্যাপারে বিভিন্ন আলোচনা শুরু করে দিল, যারা বিনা হিসাব ও আযাবে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে। কেউ কেউ বলল, ’সম্ভবতঃ ঐ লোকেরা হল তারা, যারা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবা।’ কিছু লোক বলল, ’বরং সম্ভবতঃ ওরা হল তারা, যারা ইসলামে জন্মগ্রহণ করেছে এবং আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করেনি।’ আরো অনেকে অনেক কিছু বলল। কিছু পরে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট বের হয়ে এসে বললেন, ’’তোমরা কি ব্যাপারে আলোচনা করছ?’’ তারা ব্যাপার খুলে বললে তিনি বললেন, ’’ওরা হল তারা, যারা ঝাড়ফুঁক করে না,[1] ঝাড়ফুঁক চায় না এবং কোন জিনিসকে অশুভ লক্ষণ মনে করে না, বরং তারা কেবল আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখে।’’
এ কথা শুনে উক্কাশাহ ইবনু মিহসান উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন, ’(হে আল্লাহর রাসূল!) আপনি আমার জন্য দো’আ করুন, যেন আল্লাহ আমাকে তাদের দলভুক্ত করে দেন!’ তিনি বললেন, ’’তুমি তাদের মধ্যে একজন।’’ অতঃপর আর এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলল, ’আপনি আমার জন্যও দো’আ করুন, যেন আল্লাহ আমাকেও তাদের দলভুক্ত করে দেন।’ তিনি বললেন, ’’উক্কাশাহ (এ ব্যাপারে) তোমার অগ্রগমন করেছে।’’[2]
[2] সহীহুল বুখারী ৫৭০৫, ৩৪১০, ৫৭৫২, ৬৪৭২, ৬৫৪১, ২২০, তিরমিযী ২৪৪৬, আহমাদ ২৪৪৪
(7) - باب اليقين والتوكل
فالأول عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : عرضت علي الأمم، فرأيت النبي ومعه الرهيط، والنبي ومعه الرجل والرجلان، والنبي وليس معه أحد إذ رفع لي سواد عظيم فظننت أنهم أمتي، فقيل لى : هذا موسى وقومه، ولكن انظر إلى الأفق، فنظرت فإذا سواد عظيم، فقيل لى، انظر إلى الأفق الآخر، فإذا سواد عظيم، فقيل لي: هذه أمتك، ومعهم سبعون ألفاً يدخلون الجنة بغير حساب ولا عذاب" ثم نهض فدخل منزله، فخاض الناس في أولئك الذين يدخلون الجنة بغير حساب ولا عذاب، فقال بعضهم: فلعلهم الذين صحبوا رسول الله صلى الله عليه وسلم ، وقال بعضهم: فلعلهم الذين ولدوا في الإسلام، فلم يشركوا بالله شيئاً- وذكروا أشياء- فخرج عليهم رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: "ما الذي تخوضون فيه؟" فأخبروه فقال: "هم الذين لا يرقون ، ولا يسترقون ولا يتطيرون، وعلى ربهم يتوكلون" فقام عكاشة بن محصن فقال: ادع الله أن يجعلني منهم، فقال: "أنت منهم" ثم قام رجل آخر فقال: ادع الله أن يجعلني منهم فقال: "سبقك بها عكاشة" . (متفق عليه) .
(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah
Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "I was shown the past nations. I saw a Prophet who had a very small group (less than ten in total) with him, another Prophet who was accompanied by only one or two men and some did not have even one. Suddenly I was shown a huge crowd and I thought that they were my Ummah, but I was told: 'This is Musa (Moses) and his people, but look towards the other side.' I looked and beheld a great assemblage. I was told: 'These are your people and amongst them there are seventy thousand who shall enter Jannah without being taken to account or torment". Then the Prophet (ﷺ) stood up and went into his apartment, and the Companions began to guess who may be those people who would enter Jannah without any accounting or torment. Some said: "Probably, they are the ones who kept company with Messenger of Allah (ﷺ)". Others said: "Probably, they are the ones who have been born as Muslims and have never associated anyone with Allah in worship". Then Messenger of Allah (ﷺ) came out and asked, "What are you discussing?" So they told him. He then said, "They are those who do not make Ruqyah (blowing over themselves after reciting the Qur'an or some prayers and supplications the Prophet (ﷺ) used to say) nor seek it, nor perceive omens (i.e., they are not pessimistic) but keep trust in their Rubb (Allah)." On this 'Ukashah bin Mihsan stood up and asked: "Pray to Allah to make me one of them." The Prophet (ﷺ) said, "You are one of them." Then another man stood up and asked the same thing. The Prophet (ﷺ) answered, "'Ukashah has surpassed you".
[Al-Bukhari and Mulsim].
পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা
২/৭৬। ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, ’আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু অবিকা আ-মানতু অআলাইকা তাওয়াক্কালতু অইলাইকা আনাবতু অবিকা খা-স্বামতু। আল্লাহুম্মা আউযু বইয্যাতিকা লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা আন তুদ্বিল্লানী, আন্তাল হাইয়্যুল্লাযী লা য়্যামূত, অলজিন্নু অলইন্সু য়্যামূতূন।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি নিজকে তোমার নিকট সমর্পণ করলাম, তোমার প্রতি ঈমান আনলাম, তোমারই উপর ভরসা করলাম। হে আল্লাহ! তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম, তোমারই ক্ষমতায় (শত্রুর বিরুদ্ধে) বিবাদ করলাম। হে আল্লাহ! তোমার ইয্যতের অসীলায় আমি আশ্রয় চাচ্ছি---তুমি ছাড়া কেউ (সত্য) উপাস্য নেই---তুমি আমাকে পথভ্রষ্ট করো না। তুমি সেই চিরঞ্জীব, যে কখনো মরবে না এবং দানব ও মানবজাতি মৃত্যুবরণ করবে।[1]
(7) - باب اليقين والتوكل
الثاني: عن ابن عباس رضي الله عنهما أيضاً أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقول: "اللهم لك أسلمت وبك آمنت، وعليك توكلت، وإليك أنبت ، وبك خاصمت. اللهم أعوذ بعزتك، لا إله إلا أنت أن تضلني، أنت الحي الذي لا تموت، والجن والإنس يموتون" (متفق عليه) . (وهذا لفظ مسلم، واختصره البخاري).
(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah
Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) reported that the Messenger of Allah (ﷺ) used to supplicate:
"O Allah! To You I have submitted, and in You do I believe, and in You I put my trust, to You do I turn, and for You I argued. O Allah, I seek refuge with You through Your Power; there is none worthy of worship except You Alone; that You safeguard me against going astray. You are the Ever Living, the One Who sustains and protects all that exists; the One Who never dies, whereas human beings and jinn will all die".
[Al- Bukhari and Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা
৩/৭৭। ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতেই বর্ণিত, তিনি বলেন যে, ’’হাসবুনাল্লাহু অনি’মাল অকীল’’ কথাটি ইব্রাহীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলেছিলেন, যখন তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটি তখন বলেছিলেন যখন লোকেরা বলেছিল যে, ’(কাফের) লোকেরা তোমাদের মুকাবিলার জন্য সমবেত হয়েছে; ফলে তোমরা তাদেরকে ভয় কর।’ কিন্তু এ কথা তাদের ঈমানকে বাড়িয়ে দিল এবং তারা বলল, ’’হাসবুনাল্লাহ্ অনি’মাল অকীল।’’ অর্থাৎ আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনই উত্তম কর্মবিধায়ক। (বুখারী)
অন্য এক বর্ণনায় ইবনু আব্বাস বলেন, আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার সময় ইব্রাহীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শেষ কথা ছিল, ’’হাসবিয়াল্লাহ্ অনি’মাল অকীল।’’[1]
(7) - باب اليقين والتوكل
الثالث: عن ابن عباس رضي الله عنهما أيضاً قال: "حسبنا الله ونعم الوكيل، قالها إبراهيم صلى الله عليه وسلم حين ألقي في النار، وقالها محمد صلى الله عليه وسلم حين قالوا: إن الناس قد جمعوا لكم فاخشوهم فزادهم إيمانا وقالوا: حسبنا الله ونعم الوكيل: (رواه البخاري).
(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah
Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) said:
When (Prophet) Ibrahim (Abraham) was thrown into the fire, he said: "Allah (Alone) is sufficient for us, and, He is the Best Disposer of affairs." So did Messenger of Allah Muhammad (ﷺ) when he was told: "A great army of the pagans had gathered against him, so fear them". But this (warning) only increased him and the Muslims in Faith and they said: "Allah (Alone) is sufficient for us, and He is the Best Disposer of affairs (for us)".
[Al-Bukhari]
পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা
৪/৭৮। আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’জান্নাতে এমন লোক প্রবেশ করবে, যাদের অন্তর হবে পাখীর অন্তরের মত।’’ [1]
* কারো নিকট এর অর্থ হল এই যে, তারা পাখীর মত আল্লাহর উপর নির্ভরশীল হবে। আর অনেকের নিকট এর অর্থ এই যে, (পাখীর অন্তরের মত) তাদের অন্তর নরম হবে।
(7) - باب اليقين والتوكل
الرابع: عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: "يدخل الجنة أقوام أفئدتهم مثل أفئدة الطير" (رواه مسلم).
(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "A group of people (both men and women) whose hearts will be like the hearts of birds, will enter Jannah".
[Muslim].
It has been interpreted that such people are those who put their trust in Allah; another interpretation is that these people are tender- hearted.
পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা
৫/৭৯। জাবের রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে নাজদের (বর্তমানে রিয়াদ অঞ্চল) দিকে জিহাদে রওনা হলেন। যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বাড়ী) ফিরতে লাগলেন, তখন তিনিও তাঁর সঙ্গে ফিরলেন। (রাস্তায়) প্রচুর কাঁটাগাছ ভরা এক উপত্যকায় তাঁদের দুপুরের বিশ্রাম নেওয়ার সময় হল। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বিশ্রামের জন্য) নেমে পড়লেন এবং (সাহাবীগণও) গাছের ছায়ার খোঁজে তাঁরা বিক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি বাবলার গাছের নীচে অবতরণ করলেন এবং তাতে স্বীয় তরবারি ঝুলিয়ে দিলেন, আর আমরা অল্পক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে গেলাম।
অতঃপর হঠাৎ (আমরা শুনলাম যে,) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ডাকছেন। সেখানে দেখলাম যে, একজন বেদুঈন তাঁর কাছে রয়েছে। তিনি বললেন, ’’আমার ঘুমের অবস্থায় এই ব্যক্তি আমার তরবারি খুলে আমার উপর ধরে আছে। অতঃপর আমি যখন জাগলাম, তখন তরবারিখানি তার হাতে খুলা অবস্থায় দেখলাম। (তারপর) সে আমাকে বলল, ’আমা হতে তোমাকে (আজ)কে বাঁচাবে?’ আমি বললাম, ’আল্লাহ!’ এ কথা আমি তিনবার বললাম।’’ তিনি তাকে কোন শাস্তি দিলেন না। অতঃপর তিনি বসে গেলেন। (অথবা সে বসে গেল।) (বুখারী ও মুসলিম)
অন্য এক বর্ণনায় আছে জাবের বলেন যে, আমরা ’যাতুর রিক্বা’তে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। অতঃপর (ফিরার সময়) যখন আমরা ঘন ছায়াবিশিষ্ট একটি গাছের কাছে এলাম, তখন তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য ছেড়ে দিলাম। (তিনি বিশ্রাম করতে লাগলেন।) ইতিমধ্যে একজন মুশরিক এল। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরবারি গাছে ঝুলানো ছিল। তারপর সে তা (খাপ থেকে) বের করে বলল, ’তুমি আমাকে ভয় করছ?’ তিনি বললেন, ’’না।’’ সে বলল, ’তোমাকে আমার হাত থেকে কে বাঁচাবে?’ তিনি বললেন, ’’আল্লাহ।’’
আবূ বকর ইসমাঈলীর ’সহীহ’ গ্রন্থের বর্ণনায় আছে, সে বলল, ’আমার হাত থেকে তোমাকে কে বাঁচাবে?’ তিনি বললেন, ’’আল্লাহ।’’ বর্ণনাকারী বলেন, তারপর তার হাত থেকে তরবারিটি পড়ে গেল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরবারিখানি তুলে নিয়ে বললেন, ’’(এবার) তোমাকে আমার হাত থেকে কে বাঁচাবে?’’ সে বলল, ’তুমি উত্তম তরবারিধারক হয়ে যাও।’ অতঃপর তিনি বললেন, ’’তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছ যে, আল্লাহ ছাড়া কেউ (সত্য) উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল?’’ সে বলল, ’না। কিন্তু আমি তোমার কাছে অঙ্গীকার করছি যে, তোমার বিরুদ্ধে কখনো লড়বো না। আর আমি সেই সম্প্রদায়েরও সাথী হবো না, যারা তোমার বিরুদ্ধে লড়বে।’ সুতরাং তিনি তার পথ ছেড়ে দিলেন। অতঃপর সে তার সঙ্গীদের নিকট এসে বলল, ’আমি তোমাদের নিকটে সর্বোত্তম মানুষের কাছ থেকে এলাম।’[1]
(7) - باب اليقين والتوكل
الخامس: عن جابر رضي الله عنه أنه غزا مع النبي صلى الله عليه وسلم قبل نجد، فلما قفل رسول الله صلى الله عليه وسلم قفل معهم، فأدركتهم القائلة في واد كثير العضاه، فنزل رسول الله صلى الله عليه وسلم، وتفرق الناس يستظلون بالشجر، ونزل رسول الله صلى الله عليه وسلم تحت سمرة، فعلق بها سيفه، ونمنا نومة، فإذا رسول الله صلى الله عليه وسلم يدعونا، وإذا عنده أعرابي فقال: "إن هذا اختراط علي سيفي وأنا نائم، فاسيقظت وهو في يده صلتا، قال: من يمنعك منى؟ قلت: الله-ثلاثا" ولم يعاقبه وجلس. (متفق عليه) .
وفي رواية : قال جابر: كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم بذات الرقاع: فإذا أتينا على شجرة ظليلة تركناها لرسول الله صلى الله عليه وسلم، فجاء رجل من المشركين، وسيف رسول الله صلى الله عليه وسلم معلق بالشجرة، فاخترطه فقال : تخافني؟ قال: لا قال : فمن يمنعك مني ؟ قال: الله .
وفي رواية أبي بكر الإسماعيلى في صحيحه: قال: من يمنعك مني؟ قال : الله قال: فسقط السيف من يده، فأخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم السيف فقال: من يمنعك مني؟ فقال كن خير آخذ، فقال تشهد أن لا إله إلا الله ، وأني رسول الله؟ قال: لا، ولكني أعاهدك أن لا أقاتلك ولا أكون مع قوم يقاتلونك، فخلى سبيله، فأتى أصحابه فقال: جئتكم من عند خير الناس.
(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah
Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
I went in an expedition along with the Prophet (ﷺ) in the direction of Najd. When Messenger of Allah (ﷺ) returned, I also returned with him. Then the mid-day sleep overtook us in a valley full of prickly shrubs. Messenger of Allah (ﷺ) got down and the people scattered around seeking shade under the trees. Messenger of Allah (ﷺ) hang up his sword on the branch of a tree. We were enjoying a sleep when Messenger of Allah (ﷺ) called us, and lo! There was a desert Arab bedouin near him. He (ﷺ) said, "This man brandished my sword over me while I was asleep. I woke up and saw it in his hand unsheathed. He asked: `Who will protect you from me?' I replied: 'Allah' - thrice". He did not punish him and sat down.
[Al-Bukhari and Muslim].
In another narration, Jabir (May Allah be pleased with him) said: We accompanied Messenger of Allah (ﷺ) in the campaign of Dhat-ur-Riqa`. We left Messenger of Allah (ﷺ) to take rest under a shady tree. One of the polytheists came to him. The sword of Messenger of Allah (ﷺ) was hanging on a tree. He drew it and said: "Are you afraid of me?'' Messenger of Allah (ﷺ) said, "No". Then he said: "Who will then protect you from me?'' Messenger of Allah (ﷺ) replied, "Allah".
And in a narration of Abu Bakr Al-Isma`ili, the polytheist asked: "Who will protect you from me?'' Messenger of Allah (ﷺ) replied, "Allah.'' As soon as he said this, the sword fell down from his hand and Messenger of Allah (ﷺ) catching the sword, asked him, "Who will protect you from me.'' He said, "Please forgive me.'' Messenger of Allah (ﷺ) said, "On condition you testify that there is none worthy of worship but Allah and that I am His Messenger.'' He said, "No, but I promise you that I shall not fight against you, nor shall I be with those who fight with you". The Prophet (ﷺ) let him go. He then went back to his companions and said: "I have come to you from one of the best of mankind".
পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা
৬/৮০। উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ’’যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি যথাযোগ্য ভরসা রাখ, তবে তিনি তোমাদেরকে সেই মত রুযী দান করবেন যেমন পাখীদেরকে দান করে থাকেন। তারা সকালে ক্ষুধার্ত হয়ে (বাসা থেকে) বের হয় এবং সন্ধ্যায় উদর পূর্ণ করে (বাসায়) ফিরে।’’[1]
(7) - باب اليقين والتوكل
السادس: عن عمر رضي الله عنه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : "لو أنكم تتوكلون على الله حق توكله لرزقكم كما يرزق الطير ، تغدو خماصاً وتروح بطاناً" (رواه الترمذي ، وقال حديث حسن ).
(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah
'Umar (May Allah be pleased with him) said:
I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying: "If you all depend on Allah with due reliance, He would certainly give you provision as He gives it to birds who go forth hungry in the morning and return with full belly at dusk".
[At-Tirmidhi].
পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা
৭/৮১। বারা ইবনু আযেব থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’হে অমুক! তুমি যখন বিছানায় শোবে, তখন (এই দো’আ) পড়, যার অর্থ, হে আল্লাহ! আমি আমার আত্মা তোমাকে সঁপে দিলাম, আমার চেহারা তোমার দিকে ফিরিয়ে দিলাম, আমার ব্যাপার তোমাকে সঁপে দিলাম এবং আমার পিঠ তোমার দিকে লাগিয়ে দিলাম; তোমার (জান্নাতের) আগ্রহে ও (জাহান্নামের) ভয়ে। তুমি ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল ও পরিত্রাণস্থল নেই। আমি সেই কিতাবের প্রতি ঈমান আনলাম যেটি তুমি অবতীর্ণ করেছ এবং সেই রাসূলের প্রতি যাঁকে তুমি পাঠিয়েছ। (অবশেষে তিনি বলেন,) অতঃপর তুমি যদি সেই রাতে মৃত্যুবরণ কর, তাহলে তুমি ইসলামের উপর মৃত্যুবরণ করবে। আর যদি তুমি সকালে ওঠ তবে, তুমি (এর) উপকার পাবে।[1]
বারা ইবনু আযেব থেকেই বুখারী ও মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন যে, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’যখন তুমি (রাতে শোবার জন্য) বিছানায় যাবে, তখন তুমি নামাযের মত ওযূ কর। তারপর ডানপাশে শুয়ে যাও এবং (উপরোক্ত দো’আ) পড়।’’ পুনরায় তিনি বললেন, ’’তুমি উপরোক্ত দো’আটি তোমার শেষ কথা কর।’’ (অর্থাৎ এই দো’আ পড়ার পর অন্য দো’আ পড়বে না বা কোন কথা বলবে না)।
(7) - باب اليقين والتوكل
السابع: عن أبي عمارة البراء بن عازب رضي الله عنهما قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " يا فلان إذا أويت إلى فراشك فقل: اللهم أسلمت نفسي إليك، ووجهت وجهي إليك: وفوضت أمري إليك ، وألجأت ظهري إليك، رغبة ورهبة إليك، لا ملجأ ولا منجى منك إلا إليك ، آمنت بكتابك الذي أنزلت، ونبيك الذي أرسلت؛ فإنك إن مت من ليلتك مت على الفطرة، وإن أصبحت أصبت خيراً" (متفق عليه) .
(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah
Al-Bara' bin 'Azib (May Allah be pleased with them) said:
Messenger of Allah (ﷺ) asked me to recite whenever I go to bed: "Allahumma aslamtu nafsi ilaika, wa wajjahtu wajhi ilaika, wa fawwadtu amri ilaika, wal-ja'tu zahri ilaika, raghbatan wa rahbatan ilaika, la malja wa la manja minka illa ilaika. Amantu bikitabikal-ladhi anzalta, wa nabiyyikal-ladhi arsalta (O Allah! I have submitted myself to You, I have turned my face to You, entrusted my affairs to You; and committed my back to You out of desire for You and fear of You; expecting Your reward and fearing Your punishment). There is no refuge and no place of safety from You but with You. I believe in the Book You have revealed and in the Prophet You have sent." Messenger of Allah (ﷺ) said that if anyone recited these words and died that night, he would die in the true religion. In case he remains alive till morning, he will obtain good.
[Al-Bukhari and Muslim].
In another narration: He reported Messenger of Allah (ﷺ) as saying: "If you go to bed, perform the Salat Wudu', lie down on your right side and say [the above Du'a (supplication)] and let these words be your last".
পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা
৮/৮২। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি মুশরিকদের পায়ের দিকে তাকালাম যখন আমরা (সওর) গুহায় (লুকিয়ে) ছিলাম এবং তারা আমাদের মাথার উপরে ছিল। অতঃপর আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! যদি তাদের মধ্যে কেউ তার পায়ের নীচে তাকায়, তবে সে আমাদেরকে দেখে ফেলবে।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’হে আবূ বকর! সে দু’জন সম্পর্কে তোমার কী ধারণা, যাদের তৃতীয়জন আল্লাহ।’’[1]
(7) - باب اليقين والتوكل
الثامن: عن أبي بكر الصديق رضي الله عنه عن عبد الله بن عثمان بن عامر بن عمر بن كعب بن سعد بن تيم بن مرة بن كعب بن لؤي بن غالب القرشي التيمي رضي الله عنه - وهو وأبوه وأمه صحابة، رضي الله عنهم- قال: نظرت إلى أقدام المشركين ونحن في الغار وهم على رؤوسنا فقلت يارسول الله لو أن أحدهم نظر تحت قدمية لأبصرنا. فقال: " ما ظنك يا أبا بكر باثنين الله ثالثهما" (متفق عليه) .
(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah
Abu Bakr As-Siddiq (May Allah bepleased with him) said:
When Messenger of Allah (ﷺ) and I were in the cave of Thaur and I saw the feet of the polytheists who were above us at the mouth of the cave (on the eve of the Emigration), I submitted: "O Messenger of Allah! If one of them were to look down below his feet, he would see us". He (ﷺ) said, "O Abu Bakr! What do you think of two whose third is Allah".
[Al-Bukhari and Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা
৯/৮৩। উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বাড়ি থেকে বের হতেন, তখন (এই দো’আ) বলতেন---যার অর্থ, আল্লাহর নাম নিয়ে (বের হলাম), আমি আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আমি ভ্রষ্ট হই বা আমাকে ভ্রষ্ট করা হয়, আমার পদস্খলন হয় বা পদস্খলন করানো হয়, আমি অত্যাচারী হই অথবা অত্যাচারিত হই অথবা আমি মূর্খামি করি অথবা আমার প্রতি মূর্খামি করা হয়---এসব থেকে। [1]
(7) - باب اليقين والتوكل
عَن أمِّ سَلَمَةَ رَضِي الله عَنها : أَنَّ النَّبيّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا خَرَجَ مِنْ بَيتِهِ، قَالَ: «بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلتُ عَلَى اللهِ، اَللهم إِنِّي أعُوذُ بِكَ أنْ أضِلَّ أَوْ أُضَلَّ، أَوْ أَزِلَّ أَوْ أُزَلَّ، أَوْ أظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ، أَوْ أجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ»حديثٌ صحيح، رواه أبو داود والترمذي وغيرهما بأسانيد صحيحةٍ . قَالَ الترمذي: «حديث حسن صحيح»وهذا لفظ أبي داود
(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah
Umm Salamah (May Allah be pleased with her) reported:
Whenever the Prophet (ﷺ) stepped out of his house, he would say, "Bismillah, tawakkaltu 'alallah. Allahumma inni a'udhu bika an adilla aw udalla, aw azilla aw uzalla, aw azlima aw uzlama, aw ajhala aw yujhala 'alayya". "[I go forth. (I begin with the Name of Allah, I trust in Allah; O Allah! I seek refuge in You from leaving or being led astray, or against slipping or being caused to slip; or doing injustice or being done injustice; or doing wrong or having wrong done to me)]".
[Abu Dawud and At-Tirmidhi reported it. According to At-Tirmidhi, this Hadith is classified as Hasan Sahih. Its wording is from Abu Dawud].
পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা
১০/৮৪। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’যে ব্যক্তি সবীয় গৃহ থেকে বের হওয়ার সময় বলে, ’বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, অলা হাওলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’ (অর্থাৎ আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপ থেকে ফিরা এবং পুণ্য করা সম্ভব নয়।) তাকে বলা হয়, ’তোমাকে সঠিক পথ দেওয়া হল, তোমাকে যথেষ্টতা দান করা হল এবং তোমাকে বাঁচিয়ে নেওয়া হল।’ আর শয়তান তার নিকট থেকে দূরে সরে যায়।’’ (আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ প্রমুখ)
তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। আবূ দাউদ এই শব্দগুলি বাড়তি বর্ণনা করেছেন, ’’ফলে শয়তান অন্য শয়তানকে বলে যে, ’ঐ ব্যক্তির উপর তোমার কিরূপে কর্তৃত্ব চলবে, যাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করা হয়েছে, যাকে যথেষ্টতা দান করা হয়েছে এবং যাকে (সকল অমঙ্গল) থেকে বাঁচানো হয়েছে?’[1]
(7) - باب اليقين والتوكل
عن أنس رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : "من قال-يعني إذا خرج من بيته-: بسم الله توكلت على الله، ولا حول ولا قوة إلا بالله ، يقال له: هديت وكفيت ووقيت، وتنحى عنه الشيطان". رواه أبو داود والترمذي، والنسائي وغيرهم. وقال الترمذي: حديث حسن، زاد أبو داود: "فيقول :-يعني الشيطان-لشيطان آخر: كيف لك برجل قد هدي وكفي ووقيّ ؟
(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah
Umm Salamah (May Allah be pleased with her) reported:
Whenever the Prophet (ﷺ) stepped out of his house, he would say, "Bismillah, tawakkaltu 'alallah. Allahumma inni a'udhu bika an adilla aw udalla, aw azilla aw uzalla, aw azlima aw uzlama, aw ajhala aw yujhala 'alayya". "[I go forth. (I begin with the Name of Allah, I trust in Allah; O Allah! I seek refuge in You from leaving or being led astray, or against slipping or being caused to slip; or doing injustice or being done injustice; or doing wrong or having wrong done to me)]".
[Abu Dawud and At-Tirmidhi reported it. According to At-Tirmidhi, this Hadith is classified as Hasan Grade: Sahih. Its wording is from Abu Dawud].
পরিচ্ছেদঃ ৭: দৃঢ়-প্রত্যয় ও (আল্লাহর প্রতি) ভরসা
১১/৮৫। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে দুই ভাই ছিল। তাদের মধ্যে একজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে (দ্বীন শিক্ষার জন্য) আসত এবং আর একজন হাতের কোন কাজ করে উপার্জন করত। অতঃপর উপার্জনশীল (ভাইটা) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তার (শিক্ষার্থী) ভাইয়ের (কাজ না করার) অভিযোগ করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’সম্ভবতঃ তোমাকে তার কারণেই রুযী দেওয়া হচ্ছে।’’[1]
(7) - باب اليقين والتوكل
وعن أنس رضي الله عنه قال: كان أخوان على عهد النبي صلى الله عليه وسلم، وكان أحدهما يأتي النبي صلى الله عليه وسلم ، والآخر يحترف، فشكا المحترف آخاه للنبي صلى الله عليه وسلم فقال : "لعلك ترزق به" (رواه الترمذي بإسناد صحيح على شرط مسلم).
(7) Chapter: Firm Belief and Perfect Reliance on Allah
Anas (May Allah be pleased with him) reported:
There were two brothers in the days of the Prophet (ﷺ). One of them used to attend the Prophet's circle (to acquire knowledge) and the other used to earn their living). Once the latter complained to the Prophet (ﷺ) against the former (for not earning his living). He (ﷺ) replied, "Perhaps you are being provided because of him".
[At- Tirmidhi].