পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱصۡبِرُواْ وَصَابِرُواْ ﴾ [ال عمران: ٢٠٠]
অর্থাৎ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং ধৈর্য ধারণে প্রতিযোগিতা কর।” (সূরা আলে ইমরান ২০০ আয়াত)
তিনি আরও বলেন,
﴿وَلَنَبۡلُوَنَّكُم بِشَيۡءٖ مِّنَ ٱلۡخَوۡفِ وَٱلۡجُوعِ وَنَقۡصٖ مِّنَ ٱلۡأَمۡوَٰلِ وَٱلۡأَنفُسِ وَٱلثَّمَرَٰتِۗ وَبَشِّرِ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٥٥﴾ [البقرة: ١٥٥]
অর্থাৎ “নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা এবং কিছু ধনপ্রাণ এবং ফলের (ফসলের) নোকসান দ্বারা পরীক্ষা করব; আর তুমি ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও।” (সূরা বাকারাহ ১৫৫ আয়াত)
তিনি আরও বলেন,
﴿ إِنَّمَا يُوَفَّى ٱلصَّٰبِرُونَ أَجۡرَهُم بِغَيۡرِ حِسَابٖ﴾ [الزمر: ١٠]
অর্থাৎ “ধৈর্যশীলদেরকে তো অপরিমিত পুরস্কার দেওয়া হবে।” (সূরা যুমার ১০ আয়াত)
তিনি অন্যত্র বলেন,
﴿ وَلَمَن صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذَٰلِكَ لَمِنۡ عَزۡمِ ٱلۡأُمُورِ ٤٣ ﴾ [الشورا: ٤٣]
অর্থাৎ “অবশ্যই যে ধৈর্য ধারণ করে এবং ক্ষমা করে, নিশ্চয় তা দৃঢ়-সংকল্পের কাজ।” (সূরা শুরা ৪৩ আয়াত)
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱسۡتَعِينُواْ بِٱلصَّبۡرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٥٣ ﴾ [البقرة: ١٥٣]
অর্থাৎ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন।” (সূরা বাকারাহ ১৫৩ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ وَلَنَبۡلُوَنَّكُمۡ حَتَّىٰ نَعۡلَمَ ٱلۡمُجَٰهِدِينَ مِنكُمۡ وَٱلصَّٰبِرِينَ وَنَبۡلُوَاْ أَخۡبَارَكُمۡ ٣١ ﴾ [محمد: ٣١]
অর্থাৎ “আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব যতক্ষণ না আমি তোমাদের মধ্যে মুজাহিদ ও ধৈর্যশীলদেরকে জেনে নই এবং আমি তোমাদের অবস্থা পরীক্ষা করি।” (সূরা মুহাম্মাদ ৩১ আয়াত)
আয়াতসমূহে ধৈর্যের আদেশ এবং তার মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে তার সংখ্যা অনেক ও প্রসিদ্ধ।
১/২৬। আবূ মালিক হারিস ইবনু ’আসেম আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’পবিত্রতা অর্ধেক ঈমান। আর ’আলহামদু লিল্লাহ’ (কিয়ামতে নেকীর) দাঁড়িপাল্লাকে ভরে দেবে এবং ’সুবহানাল্লাহ’ ও ’আলহামদু লিল্লাহ’ আসমান ও যমীনের মধ্যস্থিত শূন্যতা পূর্ণ করে দেয়। নামায হচ্ছে জ্যোতি। সাদকাহ হচ্ছে প্রমাণ। ধৈর্য হল আলো। আর কুরআন তোমার স্বপক্ষে অথবা বিপক্ষে দলীল। প্রত্যেক ব্যক্তি সকাল সকাল সবকর্মে বের হয় এবং তার আত্মার ব্যবসা করে। অতঃপর সে তাকে (শাস্তি থেকে) মুক্ত করে অথবা তাকে (আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত ক’রে) বিনাশ করে।’’[1]
(3) - باب الصبر
وعن أبي مَالِكٍ الْحَارِثِ بْنِ عَاصِم الأشْعريِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : »الطُّهُورُ شَطْرُ الإِيمَان ، وَالْحَمْدُ للَّه تَمْلأَ الْميزانَ وسُبْحَانَ االله والحَمْدُ للَّه تَمْلآنِ أَوْ تَمْلأ مَا بَيْنَ السَّموَاتوَالأَرْضِ وَالصَّلاَةِ نورٌ ، والصَّدَقَةُ بُرْهَانٌ ، وَالصَّبْرُ ضِيَاءٌ ، والْقُرْآنُ حُجَّةُ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ . آُلُّ النَّاس يَغْدُو،فَبِائِعٌ نَفْسَهُ فمُعْتِقُها ، أَوْ مُوبِقُهَا« رواه مسلم .
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Allah, the Exalted, says:
"O you who believe! Endure and be more patient..". (3:200)
"And certainly, We shall test you with something of fear, hunger, loss of wealth, lives and fruits, but give glad
tidings to As-Sabirun (the patient)". (2:155)
"Only those who are patient shall receive their reward in full, without reckoning.'' (39:10)
"And verily, whosoever shows patience and forgives, that would truly be from the things recommended by
Allah.'' (42:43)
"Seek help in patience and As-Salat (the prayer). Truly, Allah is with As-Sabirun (the patient).'' (2:153)
"And surely, We shall try you till We test those who strive hard (for the Cause of Allah) and As-Sabirun (the patient)'' (47:31)
There are numerous Verses of the Noble Qur'an inculcating patience and extolling it.
-----------
Abu Malik Al-Harith bin Asim Al-Ash'ar (May Allah be pleased with him) reported that:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: "Wudu' is half of Salah; the utterance of (Al-hamdu lillah - all praise belongs to Allah) fills the Scales of good actions; the utterance of (Subhan Allah wa Al-hamdu lillah) (Allah is far removed from every imperfection and all praise belongs to Allah) fills the space between the heavens and the earth, and Salat (prayer) is light; and charity is the proof of Faith; and endurance is light, and the Qur'an is a plea in your favour or against you. Every person departs; he either ransoms it or puts it into perdition".
[Muslim].
------------
Commentary:
1. Piety in all forms is meritorious. And Faith means Faith in its perfect form. Some people are of the opinion that
here Faith means Salat. Purification is essential for Salat and this is the reason it is regarded as half of Salat.
2. Excellence of the remembrance of Allah.
3. Inducement for concentration on Salat because it is a light which provides guidance to a Muslim at every step and
prevents him from obscenity and unlawful actions.
4. Sadaqah signifies a Muslim's sincerity and devotion.
5. The praiseworthiness of patience. It is a strong weapon of a Muslim which provides him with steadfastness.
6. The Qur'an is a means of salvation as well as destruction for a Muslim. If one acts upon its orders, it becomes a
means of his salvation; if he shuns them, it ruins him.
7. One should not leave oneself idle but keep it busy - busy in some noble work, otherwise it would tend to evil
which will eventually ruin him.
8. One should spend this transitory earthly life in the obedience of Allah.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
২/২৭। আবূ সায়ীদ সা’দ ইবনু মালিক ইবনু সিনান খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত যে কিছু আনসারী আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কিছু চাইলেন। তিনি তাদেরকে দিলেন। পুনরায় তারা দাবী করল। ফলে তিনি (আবার) তাদেরকে দিলেন। এমনকি যা কিছু তাঁর কাছে ছিল তা সব নিঃশেষ হয়ে গেল। অতঃপর যখন তিনি সমস্ত জিনিস নিজ হাতে দান করে দিলেন, তখন তিনি বললেন, ’’আমার কাছে যা কিছু (মাল) আসে তা আমি তোমাদেরকে না দিয়ে কখনই জমা করে রাখব না। (কিন্তু তোমরা একটি কথা মনে রাখবে) যে ব্যক্তি চাওয়া থেকে পবিত্র থাকার চেষ্টা করবে, আল্লাহ তাকে পবিত্র রাখবেন। আর যে ব্যক্তি (চাওয়া থেকে) অমুখাপেক্ষিতা অবলম্বন করবে, আল্লাহ তাকে অমুখাপেক্ষী করবেন। যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করবে আল্লাহ তাকে ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা প্রদান করবেন। আর কোন ব্যক্তিকে এমন কোন দান দেওয়া হয়নি, যা ধৈর্য অপেক্ষা উত্তম ও বিস্তর হতে পারে।[1]
(3) - باب الصبر
وَعَنْ أبي سَعيدٍ بْن مَالِك بْن سِنَانٍ الخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّ نَاساً مِنَ الأنصَارِ سَأَلُوا رَسُولَ االلهصَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم فأَعْطاهُم ، ثُمَّ سَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ ، حَتَّى نَفِد مَا عِنْدَهُ ، فَقَالَ لَهُمْ حِينَ أَنَفَقَ آُلَّ شَيْءٍ بِيَدِهِ: » مَا يَكُنْ مِنْ خَيْرٍ فَلَنْ أدَّخِرَهُ عَنْكُمْ ، وَمَنْ يسْتعْفِفْ يُعِفَّهُ االله وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ ، وَمَنْ يَتَصَبَّرْ يُصَبِّرْهُاللَّهُ . وَمَا أُعْطِىَ أَحَدٌ عَطَاءً خَيْراً وَأَوْسَعَ مِنَ الصَّبْرِ « مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported that:
Certain people of the Ansar asked the Messenger of Allah (ﷺ) and he gave them; then they again asked him and he gave them until all what he possessed was exhausted. Then the Prophet (ﷺ) said, "Whatever wealth I have, I will not withhold from you. Whosoever would be chaste and modest; Allah will keep him chaste and modest and whosoever would seek self-sufficiency, Allah will make him self-sufficient; and whosoever would be patient, Allah will give him patience, and no one is granted a gift better and more comprehensive than patience".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: Besides describing generosity, kindness, munificence and nobility of the Prophet (PBUH), he has been ordained by Allah to adopt patience, contentment and self-respect and to avoid anyone's favour.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
৩/২৮। আবূ ইয়াহয়া সুহাইব ইবনু সিনান রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজে তার জন্য মঙ্গল রয়েছে। এটা মু’মিন ব্যতীত অন্য কারো জন্য নয়। সুতরাং তার সুখ এলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফলে এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর দুঃখ পৌঁছলে সে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়।’’[1]
(3) - باب الصبر
وَعَنْ أبي يَحْيَى صُهَيْبِ بْنِ سِنَانٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ االله صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : »عَجَباًلأمْرِ الْمُؤْمِنِ إِنَّ أَمْرَهُ آُلَّهُ لَهُ خَيْرٌ ، وَلَيْسَ ذَلِكَ لأِحَدٍ إِلاَّ للْمُؤْمِن : إِنْ أَصَابَتْهُ سَرَّاءُ شَكَرَ فَكَانَ خَيْراً لَهُ ، وَإِنْأَصَابَتْهُ ضَرَّاءُ صَبَرَ فَكَانَ خيْراً لَهُ « رواه مسلم
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Abu Yahya Suhaib bin Sinan (May Allah be pleased with him) reported that:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "How wonderful is the case of a believer; there is good for him in everything and this applies only to a believer. If prosperity attends him, he expresses gratitude to Allah and that is good for him; and if adversity befalls him, he endures it patiently and that is better for him".
[Muslim].
Commentary: A Muslim is required to behave in poverty and prosperity, affluence and hardship, in the manner stated in this Hadith. It means that to forget Allah in prosperity, rather than being thankful to Him for His Favour is defiance of His Orders. Similarly, it is unbecoming of a Muslim that in troubles and turmoil, rather being patient, he tends to weeping and crying, grousing and grieving against the Will of Allah.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
৪/২৯। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লেন এবং তাকে কষ্ট ঘিরে ফেলল, তখন (তাঁর কন্যা) ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু ’আনহা বললেন, ’হায়! আব্বাজানের কষ্ট!’ তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা শুনে বললেন, ’’আজকের দিনের পর তোমার পিতার কোনো কষ্ট হবে না।’’ অতঃপর যখন তিনি মারা গেলেন, তখন ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু ’আনহা বললেন, ’হায় আব্বাজান! প্রভু যখন তাঁকে আহ্বান করলেন, তখন তিনি তাঁর ডাকে সাড়া দিলেন। হায় আব্বাজান! জান্নাতুল ফিরদাউস তাঁর বাসস্থান। হায় আব্বাজান! আমরা জিবরীলকে আপনার মৃত্যু-সংবাদ দেব।’ অতঃপর যখন তাঁকে সমাধিস্থ করা হল, তখন ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু ’আনহা (সাহাবাদেরকে) বললেন, ’আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর মাটি ফেলতে কি তোমাদেরকে ভাল লাগল?[1]
(3) - باب الصبر
وعنْ أَنسٍ رضِيَ االله عنْهُ قَالَ : لمَّا ثقُلَ النَّبِيُّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم جَعَلَ يتغشَّاهُ الكرْبُ فقَالتْ فاطِمَةُرَضِيَ االله عنْهَا : واآَرْبَ أبَتَاهُ ، فَقَالَ : » ليْسَ عَلَى أبيك آرْبٌ بعْدَ اليَوْمِ « فلمَّا مَاتَ قالَتْ : يَا أبتَاهُ أَجَابَربّاً دعَاهُ ، يا أبتَاهُ جنَّةُ الفِرْدَوْسِ مأوَاهُ ، يَا أَبَتَاهُ إِلَى جبْريلَ نْنعَاهُ ، فلَمَّا دُفنَ قالتْ فاطِمَةُ رَضِيَ االله عَنهَا :أطَابتْ أنفسُكُمْ أَنْ تَحْثُوا عَلَى رسُول االله صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم التُّرابَ ؟ روَاهُ البُخاريُّ
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Anas (May Allah be pleased with him) reported:
When the last illness of Messenger of Allah (ﷺ) made him unconscious, Fatimah (May Allah be pleased with her) exclaimed: "Ah, the distress of my dear father." He (ﷺ) said, "There will be no distress for your father after today". When he died she said: "My father, Allah has called you back and you have responded to His Call. O father! Garden of Firdaus is your abode. O father! We announce to Jibril your death." When he was buried, she said: "Are you satisfied now that you put earth over (the grave of) Messenger of Allah (ﷺ)?"
[Al- Bukhari]
Commentary: This Hadith shows that it is permissible to express the trouble and restlessness which one feels at the
time of death. Similarly, expression of pain and grief in a natural way in the event of someone's death is also permissible. To remember the virtues of the deceased is also permitted but it is to be free from wailing and moaning,
lamentation and crying, and tearing off clothes, etc. The last words of Fatimah (May Allah be pleased with her) are
also a way of expressing grief and sadness and not a criticism on the burial of the Prophet (PBUH) because such
criticism is prohibited by Shari`ah and no one is exempted from it.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
৫/৩০। আবূ যায়েদ উসামাহ ইবনু যাইদ ইবনু হারেসাহ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্বাধীনকৃত দাস এবং তাঁর প্রিয়পাত্র তথা প্রিয়পাত্রের পুত্র থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা তাঁর নিকট সংবাদ পাঠালেন যে, ’আমার ছেলের মর মর অবস্থা, তাই আপনি আমাদের এখানে আসুন।’ ’তিনি সালাম দিয়ে সংবাদ পাঠালেন যে, ’’আল্লাহ তা’আলা যা নিয়েছেন, তা তাঁরই এবং যা দিয়েছেন তাও তাঁরই। আর তাঁর কাছে প্রতিটি জিনিসের এক নির্দিষ্ট সময় আছে।” অতএব সে যেন ধৈর্য ধারণ করে এবং সওয়াবের আশা রাখে।’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা পুনরায় কসম দিয়ে বলে পাঠালেন যে, তিনি যেন অবশ্যই আসেন।
ফলে তিনি সা’দ ইবনু ’উবাদাহ, মু’আয ইবনু জাবাল, উবাই ইবনু কা’ব, যাইদ ইবনু সাবেত রাদিয়াল্লাহু ’আনহু এবং আরো কিছু লোকের সঙ্গে সেখানে গেলেন। শিশুটিকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তুলে দেওয়া হল। তিনি তাকে নিজ কোলে বসালেন। সে সময় তার প্রাণ ধুকধুক্ করছিল। (তার এই অবস্থা দেখে) তাঁর চক্ষুদ্বয় থেকে অশ্রু প্রবাহিত হতে লাগল। সা’দ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! একি?’ তিনি বললেন, ’’এ হচ্ছে দয়া, যা আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দাদের অন্তরে রেখে দিয়েছেন।’’
অন্য একটি বর্ণনায় আছে, ’’যে সব বান্দার অন্তরে তিনি চান তাদের অন্তরে রেখে দিয়েছেন। আর আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে কেবল মাত্র দয়ালুদের প্রতই দয়া করেন।’’[1]
(3) - باب الصبر
وعنْ أبي زيْد أُسامَة بن زيد حَارثَةَ موْلَى رسُول االله صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم وحبَّهِ وابْنِ حبِّهِ رضـِيَ االلهعنهُمَا ، قالَ : أَرْسلَتْ بنْتُ النَّبِيِّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : إنَّ ابْنِي قَدِ احتُضِرَ فاشْهدْنَا ، فأَرسَلَ يقْرِئُ السَّلامَويَقُول : » إن للَّه مَا أَخَذَ ، ولهُ مَا أعْطَى ، وآُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بأجَلٍ مُسمَّى ، فلتصْبِر ولتحْتسبْ « فأرسَلَتْإِليْهِ تُقْسمُ عَلَيْهِ ليأْتينَّها. فَقَامَ وَمَعَهُ سَعْدُ بْنُ عُبادَة،َ وَمُعَاذُ ابْنُ جَبَلٍ ، وَأُبَيُّ بْنَ آَعْبٍ ، وَزَيْدُ بْنِ ثاَبِتٍ ،وَرِجَالٌ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ ، فَرُفِعَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم الصبيُّ ، فأقعَدَهُ في حِجْرِهِ ونَفْسُهُتَقعْقعُ ، فَفَاضتْ عَيْناهُ ، فقالَ سعْدٌ : يَا رسُولَ االله مَا هَذَا ؟ فقالَ: » هَذِهِ رَحْمةٌ جعلَهَا اللَّهُ تعَلَى في قُلُوبِعِبَادِهِ « وفي روِايةٍ : » في قُلُوبِ منْ شَاءَ مِنْ عِبَادِهِ وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللَّهُ منْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ « مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ .وَمَعْنَى » تَقَعْقَعُ « : تَتحَرَّكُ وتَضْطَربُ .
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Usamah bin Zaid (May Allah be pleased with them) narrated:
The daughter of the Prophet (ﷺ) sent for him as her child was dying, but the Prophet (ﷺ) returned the messenger and sent her good wishes saying, "Whatever Allah takes away or gives, belongs to Him, and everything with Him has a limited fixed term (in this world), and so she should be patient and anticipate Allah's reward." She again sent for him adjuring him for the sake of Allah to come. The Messenger of Allah, accompanied with Sa'd bin 'Ubadah, Mu'adh bin Jabal, Ubayy bin Ka'b, Zaid bin Thabit and some other men went to see her. The child was lifted up to the Messenger of Allah while his breath was disturbed in his chest. On seeing that, the eyes of the Prophet (ﷺ) streamed with tears. Sa'd said, "O Messenger of Allah! What is this?" He replied, "It is compassion which Allah has placed in the hearts of His slaves, Allah is Compassionate only to those among His slaves who are compassionate (to others)".
Another version says: Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah shows compassion only to those among His slaves who are compassionate".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary:
1. Gathering of all the relatives is not necessary at the time of someone's death. However, their participation in the
funeral prayer is Mustahab Fard Kifayah (a desirable collective duty upon all Muslims; but which is sufficient or
equivalent to all having performed it if it is performed by only some of them).
2. The desire of the relatives that at the time of someone's death some pious people should be present is quite
genuine so that the agonizing process of death is made easy by their prayers.
3. It is lawful that a trustworthy person is made to take an oath and it is essential for the trustee to fulfill it as it
increases the mutual trust and love.
4. To shed tears on someone's death, and to advice the relatives of the deceased for patience and accountability are permissible acts.
5. Expression of kindness and love is a gift from Allah and means to gain His Compassion, while deprivation from it
is callousness.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
৬/৩১। সুহাইব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমাদের পূর্ব যুগে একজন বাদশাহ ছিল এবং তাঁর (উপদেষ্টা) এক জাদুকর ছিল। জাদুকর বার্ধক্যে উপনীত হলে বাদশাহকে বলল যে, ’আমি বৃদ্ধ হয়ে গেলাম তাই আপনি আমার নিকট একটি বালক পাঠিয়ে দিন, যাতে আমি তাকে জাদু-বিদ্যা শিক্ষা দিতে পারি।’ ফলে বাদশাহ তার কাছে একটি বালক পাঠাতে আরম্ভ করল, যাকে সে জাদু শিক্ষা দিত। তার যাতায়াত পথে এক পাদ্রী বাস করত। যখনই বালকটি জাদুকরের কাছে যেত, তখনই পাদ্রীর নিকটে কিছুক্ষণের জন্য বসত, তাঁর কথা তাকে ভাল লাগত। ফলে সে যখনই জাদুকরের নিকট যেত, তখনই যাওয়ার সময় সে পাদ্রীর কাছে বসত। যখন সে পাদ্রীর কাছে আসত জাদুকর তাকে (তার বিলম্বের কারণে) মারত। ফলে সে পাদ্রীর নিকটে এর অভিযোগ করল। পাদ্রী বলল, ’যখন তোমার ভয় হবে যে, জাদুকর তোমাকে মারধর করবে, তখন তুমি বলবে, আমার বাড়ির লোক আমাকে (কোন কাজে) আটকে দিয়েছিল। আর যখন বাড়ির লোকে মারবে বলে আশঙ্কা হবে, তখন তুমি বলবে যে, জাদুকর আমাকে (কোন কাজে) আটকে দিয়েছিল।’
সুতরাং সে এভাবেই দিনপাত করতে থাকল। একদিন বালকটি তার চলার পথে একটি বিরাট (হিংস্র) জন্তু দেখতে পেল। ঐ (জন্তু)টি লোকের পথ অবরোধ করে রেখেছিল। বালকটি (মনে মনে) বলল, ’আজ আমি জানতে পারব যে, জাদুকর শ্রেষ্ঠ না পাদ্রী?’ অতঃপর সে একটি পাথর নিয়ে বলল, ’হে আল্লাহ! যদি পাদ্রীর বিষয়টি তোমার নিকটে জাদুকরের বিষয় থেকে পছন্দনীয় হয়, তাহলে তুমি এই পাথর দ্বারা এই জন্তুটিকে মেরে ফেল। যাতে (রাস্তা নিরাপদ হয়) এবং লোকেরা চলাফিরা করতে পারে।’ (এই দো’আ করে) সে জন্তুটাকে পাথর ছুঁড়ল এবং তাকে হত্যা করে দিল। এর পর লোকেরা চলাফিরা করতে লাগল। বালকটি পাদ্রীর নিকটে এসে ঘটনাটি বর্ণনা করল। পাদ্রী তাকে বলল, ’বৎস! তুমি আজ আমার চেয়ে উত্তম। তোমার (ঈমান ও একীনের) ব্যাপার দেখে আমি অনুভব করছি যে, শীঘ্রই তোমাকে পরীক্ষায় ফেলা হবে। সুতরাং যখন তুমি পরীক্ষার সম্মুখীন হবে, তখন তুমি আমার রহস্য প্রকাশ করে দিও না।’
আর বালকটি (আল্লাহর ইচ্ছায়) জন্মান্ধত্ব ও কুষ্ঠরোগ ভাল করত এবং অন্যান্য সমস্ত রোগের চিকিৎসা করত। (এমতাবস্থায়) বাদশাহর জনৈক নিকটী অন্ধ হয়ে গেল। যখন সে বালকটির কথা শুনল, তখন প্রচুর উপঢৌকন নিয়ে তার কাছে এল এবং তাকে বলল যে, ’তুমি যদি আমাকে ভাল করতে পার, তাহলে এ সমস্ত উপঢৌকন তোমার।’ সে বলল, ’আমি তো কাউকে আরোগ্য দিতে পারি না, আল্লাহ তা’আলাই আরোগ্য দান করে থাকেন। যদি তুমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন কর, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দো’আ করব, ফলে তিনি তোমাকে অন্ধত্বমুক্ত করবেন।’ সুতরাং সে তার প্রতি ঈমান আনল। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাকে আরোগ্য দান করলেন। তারপর সে পূর্বেকার অভ্যাস অনুযায়ী বাদশাহর কাছে গিয়ে বসল। বাদশাহ তাকে বলল, ’কে তোমাকে চোখ ফিরিয়ে দিল?’ সে বলল, ’আমার প্রভু!’ সে বলল, ’আমি ব্যতীত তোমার অন্য কেউ প্রভু আছে?’ সে বলল, ’আমার প্রভু ও আপনার প্রভু হচ্ছেন আল্লাহ।’ বাদশাহ তাকে গ্রেপ্তার করল এবং তাকে ততক্ষণ পর্যন্ত শাস্তি দিতে থাকল, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ঐ (চিকিৎসক) বালকের কথা বলে দিল। অতএব তাকে (বাদশার নিকটে) নিয়ে আসা হল। বাদশাহ তাকে বলল, ’বৎস! তোমার কৃতিত্ব ঐ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে যে, তুমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে আরোগ্য দান করছ এবং আরো অনেক কিছু করছ।’ বালকটি বলল, ’আমি কাউকে আরোগ্য দান করি না, আরোগ্য দানকারী হচ্ছেন একমাত্র মহান আল্লাহ।’ বাদশাহ তাকেও গ্রেপ্তার করে ততক্ষণ পর্যন্ত শাস্তি দিতে থাকল, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ঐ পাদ্রীর কথা বলে দিল।
অতঃপর পাদ্রীকেও (তার কাছে) নিয়ে আসা হল। পাদ্রীকে বলা হল যে, ’তুমি নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যাও।’ কিন্তু সে অস্বীকার করল। ফলে তার মাথার সিঁথিতে করাত রাখা হল। করাতটি তাকে (চিরে) দ্বিখন্ডিত করে দিল; এমনকি তার দুই ধার (মাটিতে) পড়ে গেল। তারপর বাদশাহর নিকটীকে নিয়ে আসা হল এবং তাকে বলা হল যে, ’তোমার ধর্ম পরিত্যাগ কর।’ কিন্তু সেও (বাদশার কথা) প্রত্যাখান করল। ফলে তার মাথার সিঁথিতে করাত রাখা হল। তা দিয়ে তাকে (চিরে) দ্বিখন্ডিত করে দিল; এমনকি তার দুই ধার (মাটিতে) পড়ে গেল। তারপর বালকটিকে নিয়ে আসা হল। অতঃপর তাকে বলা হল যে, ’তুমি ধর্ম থেকে ফিরে এস।’ কিন্তু সেও অসম্মতি জানাল। সুতরাং বাদশাহ তাকে তার কিছু বিশেষ লোকের হাতে সঁপে দিয়ে বলল যে, ’একে অমুক পাহাড়ে নিয়ে যাও, তার উপরে তাকে আরোহণ করাও। অতঃপর যখন তোমরা তার চূড়ায় পৌঁছবে (তখন তাকে ধর্ম-ত্যাগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর) যদি সে নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যায়, তাহলে ভাল। নচেৎ তাকে ওখান থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দাও।’ সুতরাং তারা তাকে নিয়ে গিয়ে পাহাড়ের উপর আরোহণ করল। বালকটি আল্লাহর কাছে দো’আ করল, ’হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য তাদের মুকাবেলায় যে ভাবেই চাও যথেষ্ট হয়ে যাও।’ সুতরাং পাহাড় কেঁপে উঠল এবং তারা সকলেই নীচে পড়ে গেল।
বালকটি হেঁটে বাদশার কাছে উপস্থিত হল। বাদশাহ তাকে জিজ্ঞাসা করল, ’তোমার সঙ্গীদের কি হল?’ বালকটি বলল, ’আল্লাহ তা’আলা তাদের মোকাবেলায় আমার জন্য যথেষ্ট হয়েছেন।’
বাদশাহ আবার তাকে তার কিছু বিশেষ লোকের হাতে সঁপে দিয়ে বলল যে, ’একে নিয়ে তোমরা নৌকায় চড় এবং সমুদ্রের মধ্যস্থলে গিয়ে তাকে ধর্মের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর! যদি সে স্বধর্ম থেকে ফিরে আসে, তাহলে ঠিক আছে। নচেৎ তাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ কর।’ সুতরাং তারা তাকে নিয়ে গেল। অতঃপর বালকটি (নৌকায় চড়ে) দো’আ করল, ’হে আল্লাহ! তুমি এদের মোকাবেলায় যেভাবে চাও আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাও।’ সুতরাং নৌকা উল্টে গেল এবং তারা সকলেই পানিতে ডুবে গেল।
তারপর বালকটি হেঁটে বাদশাহর কাছে এল। বাদশাহ বলল, ’তোমার সঙ্গীদের কী হল?’ বালকটি বলল, ’আল্লাহ তা’আলা তাদের মোকাবেলায় আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে গেছেন।’ পুনরায় বালকটি বাদশাহকে বলল যে, ’আপনি আমাকে সে পর্যন্ত হত্যা করতে পারবেন না, যে পর্যন্ত না আপনি আমার নির্দেশিত পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।’ বাদশাহ বলল, ’তা কী?’ সে বলল, ’আপনি একটি মাঠে লোকজন একত্রিত করুন এবং গাছের গুড়িতে আমাকে ঝুলিয়ে দিন। অতঃপর আমার তূণ থেকে একটি তীর নিয়ে তা ধনুকের মাঝে রাখুন, তারপর বলুন, ’’বিসমিল্লাহি রাব্বিল গুলাম!’’ (অর্থাৎ এই বালকের প্রতিপালক আল্লাহর নামে মারছি।) অতঃপর আমাকে তীর মারুন। এভাবে করলে আপনি আমাকে হত্যা করতে সফল হবেন।’
সুতরাং (বালকটির নির্দেশানুযায়ী) বাদশাহ একটি মাঠে লোকজন একত্রিত করল এবং গাছের গুঁড়িতে তাকে ঝুলিয়ে দিল। অতঃপর তার তূণ থেকে একটি তীর নিয়ে তা ধনুকের মাঝে রেখে বলল, ’বিসমিল্লাহি রাব্বিল গুলাম!’ (অর্থাৎ এই বালকের প্রতিপালক আল্লাহর নামে মারছি।) অতঃপর তাকে তীর মারল। তীরটি তার কান ও মাথার মধ্যবর্তী স্থানে (কানমুতোয়) লাগল। বালকটি তার কানমুতোয় হাত রেখে মারা গেল। অতঃপর লোকেরা (বালকটির অলোকিকতা দেখে) বলল যে, ’আমরা এ বালকটির প্রভুর উপর ঈমান আনলাম।’ বাদশার কাছে এসে বলা হল যে, ’আপনি যার ভয় করছিলেন তাই ঘটে গেছে, লোকেরা (আল্লাহর প্রতি) ঈমান এনেছে।’ সুতরাং সে পথের দুয়ারে গর্ত খুঁড়ার আদেশ দিল। ফলে তা খুঁড়া হল এবং তাতে আগুন জ্বালানো হল। বাদশাহ আদেশ করল যে, ’যে দ্বীন থেকে না ফিরবে তাকে এই আগুনে নিক্ষেপ কর’ অথবা তাকে বলা হল যে, ’তুমি আগুনে প্রবেশ কর।’ তারা তাই করল। শেষ পর্যন্ত একটি স্ত্রীলোক এল। তার সঙ্গে তার একটি শিশু ছিল। সে তাতে পতিত হতে কুণ্ঠিত হলে তার বালকটি বলল, ’আম্মা! তুমি সবর কর। কেননা, তুমি সত্যের উপরে আছ।’’[1]
(3) - باب الصبر
وَعَنْ صُهَيْبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قَالَ : » آَانَ مَلِكٌ فيِمَنْ آَانَ قبْلَكُم،ْ وَآَانَ لَهُسَاحِرٌ ، فَلَمَّا آَبِرَ قَالَ لِلْمَلِك : إِنِّي قَدْ آَبِرْتُ فَابعَثْ إِلَيَّ غُلاَماً أُعَلِّمْهُ السِّحْرَ ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ غُلاَماً يعَلِّمُهُ ، وَآَانَفي طَريقِهِ إِذَا سَلَكَ رَاهِب،ٌ فَقَعَدَ إِلَيْهِ وَسَمِعَ آَلاَمهُ فأَعْجَبهُ ، وَآَانَ إِذَا أَتَى السَّاحِرَ مَرَّ بالرَّاهِب وَقَعَدَ إِلَيْه ،فَإِذَا أَتَى السَّاحِرَ ضَرَبَهُ ، فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى الرَّاهِبِ فقال : إِذَا خَشِيتَ السَّاحِر فَقُلْ : حبَسَنِي أَهْلي ، وَإِذَا خَشِيتَأَهْلَكَ فَقُلْ: حَبَسَنِي السَّاحرُ .فَبيْنَمَا هُو عَلَى ذَلِكَ إذْ أتَى عَلَى دابَّةٍ عظِيمَة قدْ حَبَسَت النَّاس فقال : اليوْمَ أعْلَمُ السَّاحِرُ أفْضَل أم الرَّاهبُأفْضلَ ؟ فأخَذَ حجَراً فقالَ : اللهُمَّ إنْ آان أمْرُ الرَّاهب أحَبَّ إلَيْكَ مِنْ أَمْرِ السَّاحِرِ فاقتُلْ هَذِهِ الدَّابَّة حتَّى يمْضِيَالنَّاسُ ، فرَماها فقتَلَها ومَضى النَّاس،ُ فأتَى الرَّاهب فأخبَرهُ . فقال لهُ الرَّاهبُ : أىْ بُنيَّ أَنْتَ اليوْمَ أفْضلُ منِّي، قدْ بلَغَ مِنْ أمْركَ مَا أَرَى ، وإِنَّكَ ستُبْتَلَى ، فإنِ ابْتُليتَ فَلاَ تدُلَّ عليَّ ، وآانَ الغُلامُ يبْرئُ الأآْمةَ والأبرصَ ،ويدَاوي النَّاس مِنْ سائِرِ الأدوَاءِ . فَسَمعَ جلِيسٌ للملِكِ آانَ قدْ عمِى،َ فأتَاهُ بهداياَ آثيرَةٍ فقال : ما ههُنَا لكأجْمَعُ إنْ أنْتَ شفَيْتني ، فقال إنِّي لا أشفِي أحَدا،ً إِنَّمَا يشْفِي االله تعَالى، فإنْ آمنْتَ بِاللَّهِ تعَالَى دعوْتُ االلهفشَفاكَ ، فآمَنَ باللَّه تعَالى فشفَاهُ اللَّهُ تَعَالَى ، فأتَى المَلِكَ فجَلَس إليْهِ آما آانَ يجْلِسُ فقالَ لَهُ المَلكُ : منْ ردَّعلَيْك بصَرك؟ قال : ربِّي . قَالَ: ولكَ ربٌّ غيْرِي ؟، قَالَ : رَبِّي وربُّكَ االله ، فأَخَذَهُ فلَمْ يزلْ يُعذِّبُهُ حتَّى دلَّ عَلَىالغُلاَمِ فجئَ بِالغُلاَمِ ، فقال لهُ المَلكُ : أىْ بُنَيَّ قدْ بَلَغَ منْ سِحْرِك مَا تبْرئُ الأآمَهَ والأبرَصَ وتَفْعلُ وَتفْعَلُ فقالَ: إِنَّي لا أشْفي أَحَداً ، إنَّما يشْفي االله تَعَالَى، فأخَذَهُ فَلَمْ يزَلْ يعذِّبُهُ حتَّى دلَّ عَلَى الرَّاهبِ ، فجِئ بالرَّاهِبِ فقيللَهُ : ارجَعْ عنْ دِينك،َ فأبَى ، فدَعا بالمنْشَار فوُضِع المنْشَارُ في مفْرقِ رأْسِه،ِ فشقَّهُ حتَّى وقَعَ شقَّاهُ ، ثُمَّ جِئبجَلِيسِ المَلكِ فقِلَ لَهُ : ارجِعْ عنْ دينِكَ فأبَى ، فوُضِعَ المنْشَارُ في مفْرِقِ رَأسِهِ ، فشقَّهُ به حتَّى وقَع شقَّاهُ ،ثُمَّ جئ بالغُلامِ فقِيل لَهُ : ارجِعْ عنْ دينِكَ ، فأبَى ، فدَفعَهُ إِلَى نَفَرٍ منْ أصْحابِهِ فقال : اذهبُوا بِهِ إِلَى جبَلِ آَذَاوآذَا فاصعدُوا بِهِ الجبلَ ، فـإذَا بلغتُمْ ذروتهُ فإنْ رجعَ عنْ دينِهِ وإِلاَّ فاطرَحوهُ فذهبُوا به فصعدُوا بهِ الجَبَلفقال : اللَّهُمَّ اآفنِيهمْ بمَا شئْت ، فرجَف بِهمُ الجَبَلُ فسَقطُوا ، وجَاءَ يمْشي إِلَى المَلِكِ ، فقالَ لَهُ المَلكُ : مافَعَلَ أَصحَابكَ ؟ فقالَ : آفانيهِمُ االله تعالَى ، فدفعَهُ إِلَى نَفَرَ منْ أصْحَابِهِ فقال : اذهبُوا بِهِ فاحملُوه في قُرقُوروَتَوسَّطُوا بِهِ البحْرَ ، فإنْ رَجَعَ عنْ دينِهِ وإلاَّ فَاقْذفُوهُ ، فذَهبُوا بِهِ فقال : اللَّهُمَّ اآفنِيهمْ بمَا شِئْت ، فانكَفَأَتْبِهِمُ السَّفينةُ فغرِقوا ، وجَاءَ يمْشِي إِلَى المَلِك . فقالَ لَهُ الملِكُ : ما فَعَلَ أَصحَابكَ ؟ فقال : آفانِيهمُ االله تعالَى .فقالَ للمَلِكِ إنَّك لسْتَ بقَاتِلِي حتَّى تفْعلَ ما آمُركَ بِهِ . قال : ما هُوَ ؟ قال : تجْمَعُ النَّاس في صَعيدٍ واحدٍ ،وتصلُبُني عَلَى جذْعٍ ، ثُمَّ خُذ سهْماً مِنْ آنَانتِي ، ثُمَّ ضعِ السَّهْمِ في آَبدِ القَوْسِ ثُمَّ قُل : بسْمِ اللَّهِ ربِّ الغُلاَمِ ثُمَّارمِنِي ، فإنَّكَ إذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ قَتَلْتنِي . فجَمَع النَّاس في صَعيدٍ واحِدٍ ، وصلَبَهُ عَلَى جذْعٍ ، ثُمَّ أَخَذَ سهْماً منْآنَانَتِهِ ، ثُمَّ وضَعَ السَّهمَ في آبِدِ القَوْس،ِ ثُمَّ قَالَ : بِسْم اللَّهِ رَبِّ الغُلامِ ، ثُمَّ رمَاهُ فَوقَعَ السَّهمُ في صُدْغِهِ ،فَوضَعَ يدَهُ في صُدْغِهِ فمَاتَ . فقَالَ النَّاسُ : آمَنَّا بِرَبِّ الغُلاَمِ ، فَأُتِىَ المَلكُ فَقِيلُ لَهُ : أَرَأَيْت ما آُنْت تحْذَر قَدْوَاللَّه نَزَلَ بِك حَذرُكَ . قدْ آمنَ النَّاسُ . فأَمَرَ بِالأخدُودِ بأفْوَاهِ السِّكك فخُدَّتَ وَأضْرِمَ فِيها النيرانُ وقالَ : مَنْ لَمْيرْجَعْ عنْ دينِهِ فأقْحمُوهُ فِيهَا أوْ قيلَ لَهُ : اقْتَحمْ ، ففعَلُوا حتَّى جَاءتِ امرَأَةٌ ومعَهَا صَبِيٌّ لهَا ، فَتقَاعَسَت أنْتَقعَ فِيهَا ، فقال لَهَا الغُلاَمُ : يا أمَّاهْ اصبِرِي فَإِنَّكَ عَلَي الحَقِّ « روَاهُ مُسْلَمٌ .«ذرْوةُ الجَبلِ « : أعْلاهُ ، وَهي بكَسْر الذَّال المعْجمَة وضمها و » القُرْقورُ « بضَمِّ القَافَيْن : نوْعٌ منْ السُّفُنو » الصَّعِيدُ « هُنا : الأرضُ البارزَةُ و »الأخْدُودُ«: الشُّقوقُ في الأرْضِ آالنَّهْرِ الصَّغيرِ و » أُضرِمَ « أوقدَ »وانكفَأَت« أي : انقلبَتْ و » تقاعسَت « توقَّفتْ وجبُنتْ .
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Suhaib (May Allah be pleased with him) reported that the Messenger of Allah (ﷺ) said, "There lived a king before you and he had a court magician. As he (the magician) grew old, he said to the king:
'I have grown old, so send me a young boy in order to teach him magic.' The king sent him a young boy to serve the purpose. And on his way (to the magician) the young boy met a monk to whom he listened to and liked it. It became his habit that on his way to the magician, he would meet the monk and sit there and would come to the magician (late). The magician used to beat him because of this delay. He complained about this to the monk who said to him: 'When you feel afraid of the magician, say: Members of my family detained me. And when you fear your family, say: The magician detained me.' It so happened that there came a huge beast and it blocked the way of the people, and the young boy said: 'I will know today whether the magician or the monk is better.' He picked up a stone and said: 'O Allah, if the way of the monk is dearer to You than the way of the magician, bring about death to the animal so that the people be able to move about freely.' He threw that stone at it and killed it and the people began to move about freely. He then came to the monk and told him the story. The monk said: 'Son, today you are superior to me. You have come to a stage where I feel that you would be soon put to a trial, and in case you are put to a trial, do not reveal me.' That young boy began to heal those born blind and the lepers and he, in fact, began to cure people from all kinds of illnesses. When a courtier of the king who had gone blind heard about him, he came to him with numerous gifts and said, 'If you cure me, all these things will be yours.' He said, 'I myself do not cure anyone. It is Allah, the Exalted, Alone Who cures; and if you affirm faith in Allah, I shall also supplicate to Allah to cure you.' This courtier affirmed his faith in Allah and Allah cured him. He came to the king and sat by his side as he used to sit before. The king said to him, 'Who restored your eyesight?' He said, 'My Rubb.' Thereupon he said, 'Do you have another lord besides me?' He said, 'My Rubb and your Rubb is Allah.' So the king kept torturing him untill he revealed the young boy. The young boy was thus summoned and the king said to him, 'O boy, it has been conveyed to me that you have become so much proficient in your magic that you cure the blind and the lepers and you do such and such.' Thereupon he said, 'I do not cure anyone; it is Allah Alone Who cures,' and the king took hold of him and began to torture him until he revealed of the monk. The monk was summoned and it was said to him: 'You should turn back from your religion.' But he refused. The king sent for a saw, placed it in the middle of his head and cut him into two parts that fell down. Then the courtier of the king was brought forward and it was said to him: 'Turn back from your religion.' He, too, refused, and the saw was placed in the midst of his head and he was torn into two parts. Then the boy was sent for and it was said to him: 'Turn back from your religion.' He refused. The king then handed him over to a group of his courtiers, and said to them: 'Take him to such and such mountain; make him climb up that mountain and when you reach its peak ask him to renounce his Faith. If he refuses to do so, push him to his death.' So they took him and made him climb up the mountain and he said: 'O Allah, save me from them in any way you like,' and the mountain began to shake and they all fell down (dead) and that young boy came walking to the king. The king said to him, 'What happened to your companions?' He said, 'Allah has saved me from them.' He again handed him to some of his courtiers and said: 'Take him and carry him in a boat and when you reach the middle of the sea, ask him to renounce his religion. If he does not renounce his religion throw him (into the water).' So they took him and he said: 'O Allah, save me from them.' The boat turned upside down and they all drowned except the young boy who came walking to the king. The king said to him, 'What happened to your companions?' He said, 'Allah has saved me from them,' and he said to the king: 'You cannot kill me until you do what I command you to do.' The king asked, 'What is that?' He said, 'Gather all people in one place and tie me up to the trunk of a tree, then take an arrow from my quiver and say: With the Name of Allah, the Rubb of the boy; then shoot me. If you do that you will be able to kill me.' 'The king called the people in an open field and tied the young boy to the trunk of a tree. He took out an arrow from his quiver, fixed in the bow and said, 'With the Name of Allah, the Rubb of the young boy,' he then shot the arrow and it hit the boy's temple. The young boy placed his hand upon the temple where the arrow had hit him and died. The people then said: 'We believe in the Rubb of this young boy.' The king was told: 'Do you see what you were afraid of, by Allah it has taken place; all people have believed.' The king then commanded that trenches be dug and fire lit in them, and said: 'He who would not turn back from his (the young boy's) religion, throw him in the fire' or 'he would be ordered to jump into it.' They did so till a woman came with her child. She felt hesitant in jumping into the fire. The child said to her: 'O mother! Endure (this ordeal) for you are on the Right Path".
[Muslim].
Commentary:
1. The most important lesson of this Hadith is that whatever difficulties one has to face on the path of Deen, he should endure it with patience and determination; and if interest of the Deen requires, one should sacrifice his life for it.
2. The wonders displayed by righteous people are true. When Allah's Will and Wisdom requires, He manifests these wonders through His slaves.
3. It is a proof of the truth of the Qur'an that it has retold the great historical event like Ashab-ul-Ukhdud which, buried in the dust of ages, had long been forgotten.
4. It is not possible to explain and interpret the Qur'an without the help of Ahadith. The event of Ashsb-ul-Ukhdud mentioned in the Qur'an is an instance in point. It is the Hadith that has brought into light the details of the event and clarified its ambiguity.
5. Such incidents are a source of strength for the faith of true believers.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
৭/৩২। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। সে একটি কবরের পাশে বসে কাঁদছিল। তিনি বললেন, ’’তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং ধৈর্য ধারণ কর।’’ সে বলল, ’আপনি আমার নিকট হতে দূরে সরে যান। কারণ, আমি যে বিপদে পড়েছি আপনি তাতে পড়েননি।’ সে তাঁকে চিনতে পারেনি (তাই সে চরম শোকে তাঁকে অসঙ্গত কথা বলে ফেলল)। অতঃপর তাকে বলা হল যে, ’তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন।’ সুতরাং (এ কথা শুনে) সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুয়ারের কাছে এল। সেখানে সে দারোয়ানদেরকে পেল না। অতঃপর সে (সরাসরি প্রবেশ করে) বলল, ’আমি আপনাকে চিনতে পারিনি।’ তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’আঘাতের শুরুতে সবর করাটাই হল প্রকৃত সবর।’’[1]
মুসলিমের একটি বর্ণনায় আছে, সে (মহিলাটি) তার মৃত শিশুর জন্য কাঁদছিল।
(3) - باب الصبر
وَعَنْ أَنَسٍ رَضِي اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : مَرَّ النَّبِيُّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم بِامْرَأَةٍ تَبْكِي عِنْدَ قَبْرٍ فَقَال : »اتَّقِي االلهوَاصْبِرِي « فَقَالَتْ : إِلَيْكَ عَنِّي ، فَإِنِّكَ لَمْ تُصَبْ بمُصِيبتى، وَلَمْ تعْرفْهُ ، فَقيلَ لَها : إِنَّه النَّبِيُّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِوسَلَّم ، فَأَتتْ بَابَ النَّبِّي صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم ، فلَمْ تَجِد عِنْدَهُ بَوَّابينَ ، فَقالتْ : لَمْ أَعْرِفْكَ ، فقالَ : » إِنَّماالصَّبْرُ عِنْدَ الصَّدْمَةِ الأولَى « متفقٌ عليه.وفي رواية لمُسْلمٍ : » تَبْكِي عَلَى صَبيٍّ لَهَا «
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Anas (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) passed by a woman who was crying over a grave and said, "Fear Allah and be patient." She said, "Away from me! My calamity has not befallen you and you are not aware of it." The woman was later told that it was the Prophet (ﷺ) (who had advised her). She came to his door where she found no doorkeeper. She said, "(I am sorry) I did not know you." Messenger of Allah (ﷺ) said, "Patience is (becoming) only at the first (stroke) of grief".
[Al-Bukhari and Muslim].
Another narration in Muslim says: The woman was crying over her son.
Commentary: This Hadith indicates the excellence of the Prophet's character. The woman whom he advised to
have patience did not behave properly, but the Prophet (PBUH) was neither annoyed nor did he reproach her. When she appeared before him for the second time, he again repeated his advice for patience. This Hadith has a great lesson for those who call people to the Right Path. Our scholars and preachers should follow this excellent example.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
৮/৩৩। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’আমার মু’মিন বান্দার জন্য আমার নিকট জান্নাত ব্যতীত অন্য কোন পুরস্কার নেই, যখন আমি তার দুনিয়ার প্রিয়তম কাউকে কেড়ে নই এবং সে সওয়াবের নিয়তে সবর করে।’’[1]
(3) - باب الصبر
وَعَنْ أبي هَرَيرَةَ رَضي اللَّه عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قالَ : » يَقولُ اللَّهُ تَعَالَى: مَا لِعَبْدِيالمُؤْمِنِ عِنْدِي جَزَاءٌ إِذَا قَبضْتُ صَفِيَّهُ مِنْ أَهْلِ الدُّنْيَا ثُمَّ احْتَسَبهُ إِلاَّ الجَنَّة « رواه البخاري
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah, the Exalted, says: 'I have no reward other than Jannah for a believing slave of Mine who remains patient for My sake when I take away his beloved one from among the inhabitants of the world".
[Al- Bukhari].
Commentary: Child, wife and parents, etc., are the dearest people to everyone. It is a great sign of Faith to accept
their death as the Will of Allah, to bear their loss with patience. Wailing and saying nonsense things show weakness
of Faith. The reward of patience on such tragedies is Jannah while the result of impatience is displeasure of Allah.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
৯/৩৪। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্লেগ রোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি তাঁকে বললেন যে, ’’এটা আযাব; আল্লাহ তা’আলা যার প্রতি ইচ্ছা করেন এটা প্রেরণ করেন। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা একে মু’মিনদের জন্য রহমত বানিয়ে দিলেন। ফলে (এখন) যে ব্যক্তি প্লেগ রোগে আক্রান্ত হবে এবং সে নিজ দেশে ধৈর্য সহকারে নেকীর নিয়তে অবস্থান করবে, সে জানবে যে, তাকে তাইই পৌঁছবে যা আল্লাহ তা’আলা তার জন্য লিখে দিয়েছেন, তাহলে সে ব্যক্তির জন্য শহীদের মত পুরস্কার রয়েছে।” [1]
(3) - باب الصبر
وعَنْ عائشَةَ رضي اللَّهُ عنها أنَهَا سَأَلَتْ رسولَ اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم عَن الطَّاعونِ ، فَأَخبَرَهَا أَنَهُ آَانَعَذَاباً يَبْعَثُهُ اللَّه تعالى عَلَى منْ يَشَاءُ ، فَجَعَلَهُ اللَّهُ تعالَى رحْمةً للْمُؤْمنِينَ ، فَلَيْسَ مِنْ عَبْدٍ يَقَعُ في الطَّاعُونفَيَمْكُثُ في بلَدِهِ صَابِراً مُحْتَسِباً يَعْلَمُ أَنَّهُ لاَ يُصِيبُهُ إِلاَّ مَا آَتَبَ اللَّهُ لَهُ إِلاَّ آَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ الشَّهِيدِ « رواهالبخاري
(3) Chapter: Patience and Perseverance
'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
I asked the Messenger of Allah (ﷺ) about pestilence and he said, "It is a punishment which Allah sends upon whomsoever He wills, but Allah has made it as a mercy to the believers. Anyone who remains in a town which is plagued with pestilence maintaining patience expecting the reward from Allah, and knowing that nothing will befall him other than what Allah has foreordained for him, he would receive a reward of Shaheed".
[Al-Bukhari].
Commentary: To endure patiently in a city where one resides when it is affected by plague or such other epidemics, and not to flee from it, elevates a Muslim to the level of Shahadah in the way of Allah, as is the case in certain other circumstances, like death by drowning or in maternity, etc. This order is based on the consideration that the epidemic should not spread to other cities. On the other hand, residents of other cities are ordered to refrain from visiting the affected city. The Hadith clearly shows that it does not go against faith in Allah to take steps necessary for prevention and cure. Similarly, patience in the event of sickness is a proof of one's perfect faith in the Will of Allah.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
১০/৩৫। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বর্ণনা করেন যে, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ’’আল্লাহ তা’আলা বলেন, যখন আমি আমার বান্দাকে তার প্রিয়তম দুটি জিনিস দ্বারা (অর্থাৎ চক্ষু থেকে বঞ্চিত করে) পরীক্ষা করি এবং সে সবর করে আমি তাকে এ দু’টির বিনিময়ে জান্নাত প্রদান করব।’’[1]
(3) - باب الصبر
وعَنْ أَنسٍ رضي اللَّه عنه قال : سَمِعْتُ رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم يقولُ : » إنَّ اللَّه عَزَّ وجَلَّ قَالَ: إِذَا ابْتَلَيْتُ عَبدِي بحبيبتَيْهِ فَصبَرَ عَوَّضْتُهُ مِنْهُمَا الْجنَّةَ « يُريدُ عينيْه ، رواه البخاريُّ .
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Anas (May Allah be pleased with him) said:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "Allah, the Glorious and Exalted said: 'When I afflict my slave in his two dear things (i.e., his eyes), and he endures patiently, I shall compensate him for them with Jannah.".
[Al-Bukhari].
Commentary: Blindness is the greatest deprivation in the world and Allah grants its reward according to His Pleasure. For this reason patience in this case is highly meritorious. Its reward is Jannah provided the blind is enormously rich in Faith.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
১১/৩৬। আত্বা ইবনু আবী রাবাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু আমাকে বললেন, ’আমি কি তোমাকে একটি জান্নাতী মহিলা দেখাব না!’ আমি বললাম, ’হ্যাঁ!’ তিনি বললেন, ’এই কৃষ্ণকায় মহিলাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে বলল যে, আমার মৃগী রোগ আছে, আর সে কারণে আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য দো’আ করুন।’ তিনি বললেন, ’’তুমি যদি চাও তাহলে সবর কর; এর বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাত রয়েছে। আর যদি চাও তাহলে আমি তোমার রোগ নিরাময়ের জন্য আল্লাহ তা’আলার নিকটে দো’আ করব।’’ স্ত্রীলোকটি বলল, ’আমি সবর করব।’ অতঃপর সে বলল, ’(রোগ উঠার সময়) আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়, সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে দো’আ করুন, যেন আমার দেহ থেকে কাপড় সরে না যায়।’ ফলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য দো’আ করলেন।[1]
(3) - باب الصبر
وعنْ عطاءِ بْن أَبي رَباحٍ قالَ : قالَ لِي ابْنُ عبَّاسٍ رضي اللَّهُ عنهُمَا ألا أريكَ امْرَأَةً مِن أَهْلِ الجَنَّة ؟فَقُلت : بلَى ، قَالَ : هذِهِ المْرأَةُ السوْداءُ أَتَتِ النبيَّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم فقالَتْ : إِنِّي أُصْرَعُ ، وإِنِّي أَتكَشَّفُ ،فَادْعُ اللَّه تعالى لِي قَالَ : » إِن شئْتِ صَبَرْتِ ولكِ الْجنَّة،ُ وإِنْ شِئْتِ دعَوْتُ اللَّه تَعالَى أَنْ يُعافِيَكِ « فقَالتْ :أَصْبرُ ، فَقالت : إِنِّي أَتَكشَّفُ ، فَادْعُ اللَّه أَنْ لا أَتكشَّفَ ، فَدَعَا لَهَا . متَّفقٌ عليْهِ
(3) Chapter: Patience and Perseverance
'Ata' bin Abu Rabah reported:
Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) asked him whether he would like that he should show him a woman who is from the people Jannah. When he replied that he certainly would, he said, "This black woman, who came to the Prophet (ﷺ) and said, 'I suffer from epilepsy and during fits my body is exposed, so make supplication to Allah for me.' He (ﷺ) replied: 'If you wish you endure it patiently and you be rewarded with Jannah, or if you wish, I shall make supplication to Allah to cure you?' She said, 'I shall endure it.' Then she added: 'But my body is exposed, so pray to Allah that it may not happen.' He (Prophet (ﷺ)) then supplicated for her".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: While continuing medical treatment, one should not ignore his prayer to Allah because both have
importance and utility of their own.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
১২/৩৭। ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমি যেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নবীদের মধ্যে কোন এক নবীর ঘটনা বর্ণনা করতে দেখছি; (আলাইহিমুস সালাতু অসসালাম) যাঁকে তাঁর স্বজাতি প্রহার করে রক্তাক্ত করে দিয়েছে। আর তিনি নিজ চেহারা থেকে রক্ত পরিষ্কার করছেন আর বলছেন, ’’হে আল্লাহ! তুমি আমার জাতিকে ক্ষমা করে দাও। কেননা, তারা জ্ঞানহীন।”[1]
(3) - باب الصبر
وعنْ أَبي عبْدِ الرَّحْمنِ عبْدِ اللَّه بنِ مسْعُودٍ رضيَ اللَّه عنه قَال : آَأَنِّي أَنْظُرُ إِلى رسولِ اللَّه صَلّى االلهُعَلَيْهِ وسَلَّم يحْكيِ نَبيّاً من الأَنْبِياءِ ، صلواتُ اللَّهِ وسَلاَمُهُ عَليْهم ، ضَرَبُهُ قَوْمُهُ فَأَدْمـوْهُ وهُو يمْسحُ الدَّم عنْوجْهِهِ ، يقُولُ : » اللَّهمَّ اغْفِرْ لِقَوْمي فإِنَّهُمْ لا يعْلمُونَ « متفقٌ عَلَيْه
(3) Chapter: Patience and Perseverance
'Abdullah bin Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
I can still recall as if I am seeing the Messenger of Allah (ﷺ) resembling one of the Prophets whose people scourged him and shed his blood, while he wiped blood from his face, he said: "O Allah! Forgive my people, because they certainly do not know".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: It mentions the refined character and compassion of the Prophets which has an important lesson for those who preach righteousness. They should be always prepared to face hardships involved in inviting people to the right path and, instead of retaliation, forgive their audience and pray for their guidance. These noble qualities are extremely important for those who are devoted to preach religion.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
১৩/৩৮। আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু ও আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মুসলিমকে যে কোনো ক্লান্তি, অসুখ, চিন্তা, শোক এমন কি (তার পায়ে) কাঁটাও লাগে, আল্লাহ তা’আলা এর মাধ্যমে তার গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।’’[1]
(3) - باب الصبر
37وَعنْ أَبي سَعيدٍ وأَبي هُرَيْرة رضي اللَّه عَنْهُمَا عن النَّبيِّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قَالَ : »مَا يُصِيبُ الْمُسْلِمَمِنْ نَصَبٍ وَلاَ وَصَبٍ وَلاَ هَمٍّ وَلاَ حَزَن وَلاَ أَذًى وَلاَ غمٍّ ، حتَّى الشَّوْآَةُ يُشَاآُها إِلاَّ آفَّر اللَّه بهَا مِنْ خطَايَاه «متفقٌ عليه .و » الْوَصَب « : الْمرضُ
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Abu Sa'id and Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported that the Prophet (ﷺ) said:
"Never a believer is stricken with a discomfort, an illness, an anxiety, a grief or mental worry or even the pricking of a thorn but Allah will expiate his sins on account of his patience".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith mentions the special Grace and Mercy of Allah for the Muslims. It relates how Allah
turns the hardships and troubles suffered by a Muslim into a means of expiation for his sins. But this is only possible if the believer exercises patience. However, if he starts wailing instead of showing patience then beside suffering hardships, he would be deprived of the reward which lies in bearing them patiently. Thus, he shall have to take the burden of additional sins also.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
১৪/৩৯। ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে উপস্থিত হলাম। সে সময় তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনার যে প্রচণ্ড জ্বর!’ তিনি বললেন, ’’হ্যাঁ! তোমাদের দু’জনের সমান আমার জ্বর আসে।’’ আমি বললাম, ’তার জন্যই কি আপনার পুরস্কারও দ্বিগুণ?’ তিনি বললেন, ’’হ্যাঁ! ব্যাপার তা-ই। (অনুরূপ) যে কোন মুসলিমকে কোন কষ্ট পৌঁছে, কাঁটা লাগে অথবা তার চেয়েও কঠিন কষ্ট হয়, আল্লাহ তা’আলা এর কারণে তার পাপসমূহকে মোচন করে দেন এবং তার পাপসমূহকে এভাবে ঝরিয়ে দেওয়া হয়; যেভাবে গাছ তার পাতা ঝরিয়ে দেয়।’’[1]
(3) - باب الصبر
وعن ابْن مسْعُود رضي اللَّه عنه قَالَ : دَخلْتُ عَلى النَبيِّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم وَهُو يُوعَكُ فَقُلْتُ يا رسُولَاللَّه إِنَّكَ تُوعكُ وَعْكاً شَدِيداً قال : » أَجَلْ إِنِّي أُوعَكُ آَمَا يُوعَكُ رَجُلانِ مِنْكُم« قُلْتُ : ذلك أَنَّ لَكَ أَجْريْن ؟ قال: » أَجَلْ ذَلك آَذَلك مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُصِيبُهُ أَذًى ، شوْآَةٌ فَمَا فوْقَهَا إلاَّ آَفَّر اللَّه بهَا سيئاته ، وَحطَّتْ عنْهُ ذُنُوبُهُآَمَا تَحُطُّ الشَّجرةُ وَرقَهَا « متفقٌ عليه.وَ » الْوَعْكُ « : مَغْثُ الحمَّى ، وقيل : الْحُمى
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
I visited the Prophet (ﷺ) when he was suffering fever. I said, "You seem to be suffering greatly, O Messenger of Allah." The Prophet (ﷺ) replied, "Yes, I suffer as much as two persons." I said, "Is that because you have a double reward?" He replied that that was so and then said, "No Muslim is afflicted by a harm, be it the pricking of a thorn or something more (painful than that), but Allah thereby causes his sins to fall away just as a tree sheds its leaves".
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: Prophets have to face more than ordinary troubles and for that reason their reward to bear them is
also increased. Thus, the excess of hardships and grief is a sign of perfect Faith and not a sign of Allah's displeasure.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
১৫/৪০। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ যার মঙ্গল চান, তাকে দুঃখ-কষ্টে ফেলেন।’’[1]
(3) - باب الصبر
وعنْ أَبي هُرَيرة رضيَ اللَّهُ عنه قال : قال رسولُ اللَّهِ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : » مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْراً يُصِبْمِنْهُ « : رواه البخاري .وضَبطُوا » يُصِب « : بفَتْحِ الصَّادِ وآَسْرِهَا
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported that:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: "He whom Allah intends good, He makes him to suffer from some affliction".
[Al- Bukhari].
Commentary: Troubles of this world like grief, calamity, disease, poverty, loss of life and property, etc., have a
benign aspect for a Muslim in the sense that on account of them he turns towards Allah and begs mercy and
compassion from Him because of which his sins are forgiven. Thus, in these troubles there is a blessing for him in
the Hereafter
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
১৬/৪১। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমাদের মধ্যে কেউ কোনো বিপদে পড়ার কারণে যেন মরার আকাঙ্ক্ষা না করে। আর যদি করতেই হয়, তাহলে সে যেন বলে, ’হে আল্লাহ! তুমি আমাকে জীবিত রাখ; যে পর্যন্ত জীবিত থাকাটা আমার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর আমাকে মরণ দাও; যদি মরণ আমার জন্য মঙ্গলময় হয়।’’[1]
(3) - باب الصبر
وعن أنس رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " لا يتمنين أحدكم الموت لضر أصابه، فإن كان لابد فاعلاً فليقل: اللهم أحيني ما كانت الحياة خيراً لي وتوفني إذا كانت الوفاة خيراً لي" (متفق عليه) .
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Anas (May Allah be pleased with him) reported that:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Let not one of you wish for death because of a misfortune which befalls him. If he cannot help doing so, he should say: 'O Allah, keep me alive as long as You know that life is better for me, and make me die when death is better for me".
[Al- Bukhari and Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
১৭/৪২। খাব্বাব ইবনু আরাত্ত্ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অভিযোগ করলাম (এমতাবস্থায়) যে, তিনি কা’বা ঘরের ছায়ায় একটি চাদরে ঠেস দিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আমরা বললাম যে, ’আপনি কি আমাদের জন্য (আল্লাহর কাছে) সাহায্য চাইবেন না? আপনি কি আমাদের জন্য দো’আ করবেন না?’ তিনি বললেন, ’’(তোমাদের জানা উচিত যে,) তোমাদের পূর্বেকার (মু’মিন) লোকেদের এই অবস্থা ছিল যে, একটি মানুষকে ধরে আনা হত, তার জন্য গর্ত খুঁড়ে তাকে তার মধ্যে (পুঁতে) রাখা হত। অতঃপর তার মাথার উপর করাত চালিয়ে তাকে দু’খণ্ড করে দেওয়া হত এবং দেহের মাংসের নিচে হাড় পর্যন্ত লোহার চিরুনী চালিয়ে শাস্তি দেওয়া হত। কিন্তু এই (কঠোর পরীক্ষা) তাকে তার দ্বীন থেকে ফেরাতে পারত না। আল্লাহর কসম! আল্লাহ নিশ্চয় এই ব্যাপারটিকে (দ্বীন ইসলামকে) এমন সুসম্পন্ন করবেন যে, একজন আরোহী সান’আ’ থেকে হাযরামাউত একাই সফর করবে; কিন্তু সে (রাস্তায়) আল্লাহ এবং নিজ ছাগলের উপর নেকড়ের আক্রমণ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করবে না। কিন্তু তোমরা তাড়াহুড়ো করছ।’’[1]
একটি বর্ণনায় আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাদরকে বালিশ বানিয়ে বিশ্রাম করছিলেন এবং আমরা মুশরিকদের দিক থেকে নানা যাতনা পেয়েছিলাম।
(3) - باب الصبر
وعن أبي عبد الله خباب بن الأرت رضي الله عنه قال: شكونا إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو متوسد بردة له في ظل الكعبة، فقلنا : ألا تستنصر لنا ألا تدعو لنا؟ فقال: قد كان من قبلكم يؤخذ الرجل فيحفر له في الأرض فيجعل فيها ثم يؤتى بالمنشار فيوضع على رأسه فيجعل نصفين، ويمشط بأمشاط من الحديد ما دون لحمه وعظمه، ما يصده ذلك عن دينه، والله ليتمن الله هذا الأمر حتى يسير الراكب من صنعاء إلى حضرموت لا يخاف إلا الله والذئب على غنمه، ولكنكم تستعجلون" (رواه البخاري).
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Khabbab bin Al-Aratt (May Allah be pleased with him) reported:
We complained to the Messenger of Allah (ﷺ) regarding the persecution inflicted upon us by the disbelievers while he was lying in the shade of the Ka'bah, having made a pillow of his cloak. We submitted: "Why do you not supplicate for our prevalence (over the opponents)?". He (ﷺ) replied, "Among those people before you, a man would be seized and held in a pit dug for him in the ground and he would be sawed into two halves from his head, and his flesh torn away from his bones with an iron comb; but, in spite of this, he would not wean away from his Faith. By Allah, Allah will bring this matter to its consummation until a rider will travel from San'a' to Hadramout fearing none except Allah, and except the wolf for his sheep, but you are in too much of a hurry".
[Al-Bukhari].
Another narration is: He (ﷺ) had placed his cloak under his head and we had been tortured by the polytheists.
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
১৮/৪৩। ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, হুনাইন যুদ্ধের গনিমতের মাল বণ্টনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু লোককে (তাদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য) প্রাধান্য দিলেন (অর্থাৎ অন্য লোকের তুলনায় তাদেরকে বেশী মাল দিলেন)। সুতরাং তিনি আক্বরা’ ইবনু হাবেসকে একশত উঁট দিলেন এবং ’উয়াইনা ইবনু হিসনকেও তারই মত দিলেন। অনুরূপ আরবের আরো কিছু সম্ভ্রান্ত মানুষকেও সেদিন (মাল) বণ্টনে প্রাধান্য দিলেন। (এ দেখে) একটি লোক বলল, ’আল্লাহর কসম! এই বণ্টনে ইনসাফ করা হয়নি এবং এতে আল্লাহর সন্তোষ লাভের ইচ্ছা রাখা হয়নি!’ আমি (ইবনু মাসউদ) বললাম, ’আল্লাহর কসম! নিশ্চয় আমি এই সংবাদ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেব।’ অতএব আমি তাঁর কাছে এসে সেই সংবাদ দিলাম যা সে বলল। ফলে তাঁর চেহারা পরিবর্তিত হয়ে এমনকি লালবর্ণ হয়ে গেল। অতঃপর তিনি বললেন, ’’যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ইনসাফ না করেন, তাহলে আর কে ইনসাফ করবে?’’ অতঃপর তিনি বললেন, ’’আল্লাহ মূসাকে রহম করুন, তাঁকে এর চেয়ে বেশী কষ্ট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ধৈর্য ধারণ করেছিলেন।’’ অবশেষে আমি (মনে মনে) বললাম যে, ’আমি এর পরে কোন কথা তাঁর কাছে পৌঁছাব না।’[1]
(3) - باب الصبر
وعن ابن مسعود رضي الله عنه قال : لما كان يوم حنين آثر رسول الله صلى الله عليه وسلم ناساً في القسمة، فأعطى الأقرع بن حابس مائة من الإبل، وأعطى عيينة بن حصن مثل ذلك، وأعطى ناساً من أشراف العرب وآثرهم يومئذ في القسمة. فقال رجل: والله إن هذه قسمة ما عدل فيها، وما أريد فيها وجه الله، فقلت : والله لأخبرن رسول الله صلى الله عليه وسلم ، فأتيته فأخبرته بما قال: فتغير وجههه حتى كان كالصرف . ثم قال " فمن يعدل إذا لم يعدل الله ورسوله؟ ثم قال: يرحم الله موسى قد أوذي بأكثر من هذا فصبر". فقلت: لا جرم لا أرفع إليه بعدها حديثاً. (متفق عليه) .
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
After the battle of Hunain, Messenger of Allah (ﷺ) favoured some people in the distribution of spoils (for consolation). He gave Al-Aqra' bin Habis and 'Uyainah bin Hisn a hundred camels each and showed favour also to some more honourable persons among the Arabs. Someone said: "This division is not based on justice and it was not intended to win the Pleasure of Allah." I said to myself: "By Allah! I will inform Messenger of Allah (ﷺ) of this." I went to him and informed him. His face became red and he said, "Who will do justice if Allah and His Messenger do not?" Then he said, "May Allah have mercy on (Prophet) Musa (Moses); he was caused more distress than this but he remained patient." Having heard this I said to myself: "I shall never convey anything of this kind to him in future".
[Al-Bukhari and Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
১৯/৪৪। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যখন আল্লাহ তাঁর বান্দার মঙ্গল চান, তখন তিনি তাকে তাড়াতাড়ি দুনিয়াতে (পাপের) শাস্তি দিয়ে দেন। আর যখন আল্লাহ তাঁর বান্দার অমঙ্গল চান, তখন তিনি তাকে (শাস্তিদানে) বিরত থাকেন। পরিশেষে কিয়ামতের দিন তাকে পুরোপুরি শাস্তি দেবেন।’’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, ’’বড় পরীক্ষার বড় প্রতিদান রয়েছে। আল্লাহ তা’আলা যখন কোনো জাতিকে ভালবাসেন, তখন তার পরীক্ষা নেন। ফলে তাতে যে সন্তুষ্ট (ধৈর্য) প্রকাশ করবে, তার জন্য (আল্লাহর) সন্তুষ্টি রয়েছে। আর যে (আল্লাহর পরীক্ষায়) অসন্তুষ্ট হবে, তার জন্য রয়েছে আল্লাহর অসন্তুষ্টি।’’[1]
(3) - باب الصبر
وعن أنس رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم :"إذا أراد الله بعبده خيراً عجل له العقوبة في الدنيا، وإذا أراد الله بعبده الشر أمسك عنه بذنبه حتى يوافي به يوم القيامة".
وقال النبي صلى الله عليه وسلم : "إن عظم الجزاء مع عظم البلاء، وإن الله تعالى إذا أحب قوماً ابتلاهم، فمن رضي فله الرضى، ومن سخط فله السخط" (رواه الترمذي وقال : حديث حسن).
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Anas (May Allah be pleased with him) reported that:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "When Allah intends good for His slave, He punishes him in this world, but when He intends an evil for His slave, He does not hasten to take him to task but calls him to account on the Day of Resurrection."
[At-Tirmidhi].
পরিচ্ছেদঃ ৩: সবর (ধৈর্যের) বিবরণ
২০/৪৫। আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ ত্বালহা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু-এর এক ছেলে অসুস্থ ছিল। আবূ ত্বালহা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু যখন কোন কাজে বাইরে চলে গেলেন তখন ছেলেটি মারা গেল। যখন তিনি বাড়ি ফিরে এলেন তখন জিজ্ঞাসা করলেন যে, ’আমার ছেলে কেমন আছে?’ ছেলেটির মা উম্মে সুলাইম রাদিয়াল্লাহু আনহ বললেন, ’সে পূর্বের চেয়ে আরামে আছে।’ অতঃপর তিনি তাঁর সামনে রাতের খাবার হাজির করলেন। তিনি তা খেলেন। অতঃপর তার সঙ্গে যৌন-মিলন করলেন। আবূ ত্বালহা যখন এসব থেকে অবকাশপ্রাপ্ত হলেন, তখন স্ত্রী বললেন যে, ’(আপনার বাইরে চলে যাওয়ার পর শিশুটি মারা গেছে।) সুতরাং শিশুটিকে এখন দাফন করুন।’ সকাল হলে আবূ ত্বালহা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে হাজির হয়ে সমস্ত ঘটনা খুলে বললেন।
তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, ’’তোমরা কি আজ রাতে মিলন করেছ?’’ তিনি বললেন, ’জী হ্যাঁ।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’হে আল্লাহ! তুমি এ দুজনের জন্য বরকত দাও?’’ অতএব (তাঁর দো’আর ফলে নির্দিষ্ট সময়ে উম্মে সুলাইম) একটি পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। (আনাস বলেন,) আমাকে আবূ ত্বালহা বললেন, ’তুমি একে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে নিয়ে যাও।’ আর তার সঙ্গে কিছু খেজুরও পাঠালেন। তিনি বললেন, ’তার সঙ্গে কি কিছু আছে?’ আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, ’জী হ্যাঁ! কিছু খেজুর আছে।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেগুলো নিলেন এবং তা চিবালেন। অতঃপর তাঁর মুখ থেকে বের করে শিশুটির মুখে রেখে দিলেন। আর তার নাম ’আব্দুল্লাহ’ রাখলেন। (বুখারী-মুসলিম)
বুখারীর আর এক বর্ণনায় আছে, ইবনু উয়াইনাহ বলেন যে, জনৈক আনসারী বলেছেন, ’আমি এই আব্দুল্লাহর নয়টি ছেলে দেখেছি, তারা সকলেই কুরআনের হাফেয ছিলেন।’
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে যে, আবূ ত্বালহার একটি ছেলে, যে উম্মে সুলাইমের গর্ভ থেকে হয়েছিল, সে মারা গেল। সুতরাং তিনি (উম্মে সুলাইম) তাঁর বাড়ির লোককে বললেন, ’তোমরা আবূ ত্বালহাকে তাঁর পুত্রের ব্যাপারে কিছু বলো না। আমি স্বয়ং তাঁকে এ কথা বলব।’ সুতরাং তিনি এলেন এবং (স্ত্রী তাঁর সামনে রাতের খাবার রাখলেন। তিনি পানাহার করলেন। এ দিকে স্ত্রী আগের তুলনায় বেশী সাজসজ্জা করে তাঁর কাছে এলেন এবং তিনি তাঁর সঙ্গে মিলন করলেন। অতঃপর তিনি যখন দেখলেন যে, তিনি (স্বামী) খুবই পরিতৃপ্ত হয়ে গেছেন এবং যৌন-সম্ভোগ করে নিয়েছেন, তখন বললেন, ’হে আবূ ত্বালহা! আচ্ছা আপনি বলুন! যদি কোন সম্প্রদায় কোন পরিবারকে কোন জিনিস (সাময়িকভাবে) ধার দেয়, অতঃপর তারা তাদের ধার দেওয়া জিনিস ফিরিয়ে নিতে চায়, তাহলে কি তাদের জন্য তা না দেওয়ার অধিকার আছে?’ তিনি জবাব দিলেন, ’না।’ অতঃপর স্ত্রী বললেন, ’আপনি নিজ পুত্রের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে প্রতিদান পাওয়ার আশা রাখুন। (অর্থাৎ আপনার পুত্রও আল্লাহর দেওয়া আমানত ছিল, তিনি তাঁর আমানত ফিরিয়ে নিয়েছেন।)’
আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, (এ কথা শুনে) তিনি রাগান্বিত হলেন। অতঃপর তিনি বললেন, ’তুমি আমাকে কিছু না বলে এমনি ছেড়ে রাখলে, অবশেষে আমি সহবাস করে যখন অপবিত্র হয়ে গেলাম, তখন তুমি আমার ছেলের মৃত্যুর সংবাদ দিলে!’ এরপর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে হাজির হয়ে যা কিছু ঘটেছে তা বর্ণনা করলেন। তা শুনে তিনি দো’আ করলেন, ’হে আল্লাহ! তাদের দু’জনের জন্য এই রাতে বরকত দাও।’ সুতরাং (এই দো’আর ফলে) তিনি গর্ভবতী হলেন।
আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সফরে ছিলেন। উম্মে সুলাইম ও (তাঁর স্বামী আবূ ত্বালহা) তাঁর সঙ্গে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অভ্যাস ছিল যে, যখন তিনি সফর থেকে মদ্বীনায় আসতেন তখন তিনি রাতে আসতেন না। যখন এই কাফেলা মদ্বীনার নিকটবর্তী হল, তখন উম্মে সুলাইমের প্রসব-বেদনা উঠল। সুতরাং আবূ ত্বালহা তাঁর খিদমতের জন্য থেমে গেলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মদ্বীনায়) চলে গেলেন।’ আনাস বলেন, ’আবূ ত্বালহা বললেন, ’’হে প্রভু! তুমি জান যে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদ্বীনা থেকে বাইরে যান, তখন আমি তাঁর সঙ্গে যেতে ভালবাসি এবং তিনি মদ্বীনায় প্রবেশ করেন, তখন আমি তাঁর সঙ্গে প্রবেশ করতে ভালবাসি এবং তুমি দেখছ যে, (আমার স্ত্রীর) জন্য আমি থেমে গেলাম।’’
উম্মে সুলাইম বললেন, ’হে আবূ ত্বালহা! আমি পূর্বে যে বেদনা অনুভব করছিলাম এখন তা অনুভব করছি না, তাই চলুন।’ সুতরাং আমরা সেখান থেকে চলতে আরম্ভ করলাম। যখন তাঁরা দু’জনে মদ্বীনা পৌঁছলেন, তখন আবার প্রসব বেদনা শুরু হল। অবশেষে তিনি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। আমার মা আমাকে বললেন, ’যে পর্যন্ত তুমি একে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে না নিয়ে যাবে, সে পর্যন্ত কেউ যেন একে দুধ পান না করায়।’ ফলে আমি সকাল হতেই তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমত নিয়ে গেলাম। অতঃপর আনাস রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বাকী হাদীস বর্ণনা করলেন।[1]
(3) - باب الصبر
وعن أنس رضي الله عنه قال: كان ابن لأبي طلحة رضي الله عنه يشتكي، فخرج أبو طلحة، فقبض الصبي، فلما رجع أبو طلحة قال: ما فعل ابني؟ قالت أم سليم وهى أم الصبي : هو أسكن ما كان، فقربت إليه العشاء فتعشى، ثم أصاب منها، فلما فرغ قالت: واروا الصبي، فلما أصبح أبو طلحة أتى رسول الله صلى الله عليه وسلم فأخبره، فقال: "أعرستم الليلة ؟" قال: نعم ، قال: "اللهم بارك لهما، فولدت غلاماً، فقال لي أبو طلحة: احمله حتى تأتى به النبي صلى الله عليه وسلم، وبعث معه بتمرات، فقال: "أمعه شيء؟" قال: نعم، تمرات فأخذها النبي صلى الله عليه وسلم فمضغها ، ثم أخذها من فيه فجعلها في فيّ الصبي ، ثم حنكه وسماه عبد الله. (متفق عليه) .
وفى رواية لمسلم: مات ابن لأبي طلحة بن أم سليم ، فقالت لأهلها لا تحدثوا أبا طلحة بابنه حتى أكون أنا أحدثه، فجاء فقربت إليه عشاءً فأكل وشرب، ثم تصنعت له أحسن ما كانت تصنع قبل ذلك، فوقع بها، فلما أن رأت أنه قد شبع وأصاب منها قالت: يا أبا طلحة، أرأيت لو أن قوماً أعاروا عاريتهم أهل بيت فطلبوا عاريتهم، ألهم أن يمنعوهم؟ قال: لا، فقالت : فاحتسب ابنك. قال: فغضب، ثم قال: تركتني حتى إذا تلطخت أخبرتني بابني؟! فانطلق حتى أتى رسول الله صلى الله عليه وسلم فأخبره بما كان ، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم. "بارك الله في ليلتكما" قال: فحملت، قال وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم في سفر وهي معه، وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أتى المدينة من سفر لا يطرقها طروقاً فدنوا من المدينة، فضربها المخاض، فاحتبس عليها أبو طلحة، وانطلق رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: يقول أبو طلحة: إنك لتعلم يارب أنه يعجبني أن أخرج مع رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا خرج، وأدخل معه إذا دخل، وقد احتبست بما ترى، تقول أم سليم: يا أبا طلحة ما أجد الذى كنت أجد، انطلق، فانطلقنا، وضربها المخاض حين قدما فولدت غلاماً. فقالت لي أمي : يا أنس لا يرضعه أحد حتى تغدو به على رسول الله صلى الله عليه وسلم، فلما أصبح احتملته فانطلقت به إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم. وذكر تمام الحديث.
(3) Chapter: Patience and Perseverance
Anas (May Allah be pleased with him) reported:
One of the sons of Abu Talhah (May Allah be pleased with him) was ailing. Abu Talhah went out and the boy died in his absence. When he came back, he inquired, "How is the boy?". Umm Sulaim, the mother of the boy, replied, "Better than before". Then she placed his evening meal before him and he ate it; and thereafter slept with her. At last, she said to him: "Arrange for the burial of the boy". In the morning, Abu Talhah went to Messenger of Allah (ﷺ) and informed him of the event. He enquired, "Did you sleep together last night?" Abu Talhah replied in the affirmative, on which the Prophet (ﷺ) supplicated, "O Allah bless them." Thereafter, she gave birth to a boy. Abu Talhah said to me: "Take up the boy and carry him to the Prophet (ﷺ)"; and he sent some dates with him. The Prophet (ﷺ) enquired, "Is there anything with him?" He said; "Yes, some dates". The Prophet (ﷺ) took a date, chewed it and put it in the mouth of the baby and rubbed the chewed date around the baby's gum and named him 'Abdullah.
[Al-Bukhari and Muslim].
The narration in Bukhari adds: Ibn 'Uyainah relates that a man from the Ansar told him that he had seen nine sons of this 'Abdullah, every one of whom had committed the Noble Qur'an to memory.
The narration of Muslim says: The son of Abu Talhah (May Allah be pleased with him) who was born of Umm Sulaim died. She (Umm Sulaim) said to the members of the family: "Do not tell Abu Talhah about his son until I mention it to him myself." Abu Talhah came (home) and she gave him supper. He ate and drank. She then beautified herself the best way she ever did and he slept with her. When she saw that he was satisfied after sexual intercourse with her, she said, "O Abu Talhah! If some people borrow something from another family and then (the members of the family) ask for its return, would they refuse to give it back to them." He said, "No". She said, "Then hope reward for your son". Abu Talhah got angry, and said; "You left me uninformed until I stained myself (with sexual intercourse) and then you told me about my son. "He went to Messenger of Allah (ﷺ) and informed him about the matter. Thereupon Messenger of Allah (ﷺ) said, "May Allah bless the night you spent together!" He (the narrator) said: She conceived. (One day) Messenger of Allah (ﷺ) was in the course of a journey and she was along with him. When Messenger of Allah (ﷺ) used to come back to Al-Madinah from a journey, he would not enter it (during the night). When the people came near Al- Madinah, she felt labour pains. He (Abu Talhah) remained with her and Messenger of Allah (ﷺ) proceeded on. Abu Talhah said: "O Rubb, You know that I love to go along with Messenger of Allah (ﷺ) when he goes out and enter along with him when he enters, and I have been detained as You see." Umm Sulaim then said: "O Abu Talhah, I do not feel (so much pain) as I was feeling earlier, so we better proceed on. So we proceeded on and she felt the labour of delivery as they reached (Al-Madinah). She gave birth to a male child. My mother said to me: "O Anas, none should suckle him until you go to Messenger of Allah (ﷺ) tomorrow morning." The next morning I carried the baby with me to Messenger of Allah (ﷺ), and narrated the rest of the story.
[Al-Bukhari and Muslim].