পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

১/১৮১৭। নাওয়াস ইবনে সামআন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তাতে তিনি একবার নিম্ন স্বরে এবং একবার উচ্চ স্বরে বাক ভঙ্গিমা অবলম্বন করলেন। শেষ পর্যন্ত আমরা [প্রভাবিত হয়ে] মনে মনে ভাবলাম যে, সে যেন সামনের এই খেজুর বাগানের মধ্যেই রয়েছে। তারপর আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম, তখন তিনি আমাদের উদ্বিগ্নতা দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ’’তোমাদের কি হয়েছে?’’

আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আপনি আজ সকালে দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এমন নিম্ন ও উচ্চ কণ্ঠে বর্ণনা করলেন, যার ফলে আমরা ধারণা করে বসি যে, সে যেন খেজুর বাগানের মধ্যেই রয়েছে।’ তিনি বললেন, ’’দাজ্জাল ছাড়া তোমাদের ব্যাপারে অন্যান্য জিনিসকে আমার আরও বেশী ভয় হয়। আমি তোমাদের মাঝে থাকাকালে দাজ্জাল যদি আত্মপ্রকাশ করে, তাহলে আমি স্বয়ং তোমাদের পক্ষ থেকে তার প্রতিরোধ করব। আর যদি তার আত্মপ্রকাশ হয় এবং আমি তোমাদের মাঝে না থাকি, তাহলে [তোমরা] প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ আত্মরক্ষা করবে। আর আল্লাহ স্বয়ং প্রতিটি মুসলিমের জন্য [আমার] প্রতিনিধিত্ব করবেন।

সে দাজ্জাল নব-যুবক হবে, তার মাথার কেশরাশি হবে খুব বেশি কোঁচকানো। তার একটি চোখ [আঙ্গুরের ন্যায়] ফোলা থাকবে। যেন সে আব্দুল উয্যা ইবনে ক্বাত্বানের মত দেখতে হবে। সুতরাং তোমাদের যে কেউ তাকে পাবে, সে যেন তার সামনে সূরা কাহ্ফের শুরুর [দশ পর্যন্ত] আয়াতগুলি পড়ে। সে শাম ও ইরাকের মধ্যবর্তী স্থানে আবির্ভূত হবে। আর তার ডাইনে-বামে [এদিকে ওদিকে] ফিতনা ছড়াবে। হে আল্লাহর বান্দারা। [ঐ সময়] তোমরা অবিচল থাকবে।’’

আমরা বললাম, ’পৃথিবীতে তার অবস্থান কতদিন থাকবে?’ তিনি বললেন, ’’চল্লিশ দিন পর্যন্ত। আর তার একটি দিন এক বছরের সমান দীর্ঘ হবে। একটি দিন হবে এক মাসের সমান লম্বা। একটা দিন এক সপ্তাহের সমান হবে এবং বাকি দিনগুলি প্রায় তোমাদের দিনগুলির সম পরিমাণ হবে।’’

আমরা বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! যেদিনটি এক বছরের সমান লম্বা হবে, তাতে আমাদের একদিনের [পাঁচ ওয়াক্তের] নামাযই কি যথেষ্ট হবে?’ তিনি বললেন, ’’তোমরা [দিন রাতের ২৪ ঘণ্টা হিসাবে] অনুমান করে নামায আদায় করতে থাকবে।’’

আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ভূপৃষ্ঠে তার দ্রুত গতির অবস্থা কিরূপ হবে? তিনি বললেন, তীব্র বায়ু তাড়িত মেঘের ন্যায় [দ্রুত বেগে ভ্রমণ করে অশান্তি ও বিপর্যয় ছড়াবে।] সুতরাং সে কিছু লোকের নিকট আসবে ও তাদেরকে তার দিকে আহ্বান জানাবে এবং তারা তার প্রতি ঈমান আনবে ও তার আদেশ পালন করবে। সে আকাশকে বৃষ্টি বর্ষণ করতে আদেশ করবে, আকাশ আদেশত্রুমে বৃষ্টি বর্ষণ করবে। আর জমিনকে [গাছ-পালা] উদ্গত করার নির্দেশ দেবে। জমিন তার নির্দেশত্রুমে তাই উদ্গত করবে।

সুতরাং [সে সব গাছ-পালা ভক্ষণ করে] সন্ধ্যায় তাদের গবাদি পশুদের কুঁজ [ও ঝুঁটি] অধিক উঁচু হবে ও তাদের পালানে অধিক পরিমাণে দুধ ভরে থাকবে। উদর পূর্ণ আহার জনিত তাদের পেট টান হয়ে থাকবে। অতঃপর দাজ্জাল [অন্য] লোকের নিকট যাবে ও তার দিকে [আসার জন্য] তাদেরকে আহ্বান জানাবে। তারা কিন্তু তার ডাকে সাড়া দেবে না। ফলে সে তাদের নিকট থেকে ফিরে যাবে। সে সময় তারা চরম দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয়ে পড়বে ও সর্বস্বান্ত হবে।

তারপর সে কোন প্রাচীন ধ্বংসস্তূপের নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় সেটাকে সম্বোধন করে বলবে, ’তুই তোর গচ্ছিত রত্নভাণ্ডার বের করে দে।’ তখন সেখানকার গুপ্ত রত্নভাণ্ডার মৌমাছিদের নিজ রাণী মৌমাছির অনুসরণ করার মতো [মাটি থেকে বেরিয়ে] তার পিছন ধরবে। তারপর এক পূর্ণ যুবককে ডেকে তাকে অস্ত্রাঘাতে দ্বিখণ্ডিত করে তীর নিক্ষেপের লক্ষ্যমাত্রার দূরত্বে নিক্ষেপ করে দেবে। তারপর তাকে ডাক দেবে। আর সে উজ্জ্বল সহাস্য-বদনে তার দিকে [অক্ষত শরীরে] এগিয়ে আসবে।

দাজ্জাল এরূপ কর্ম-কাণ্ডে মগ্ন থাকবে। ইত্যবসরে মহান আল্লাহ তা’আলা মসীহ ইবন মারয়্যাম আলাইহিস সালাম-কে পৃথিবীতে পাঠাবেন। তিনি দামেস্কের পূর্বে অবস্থিত শেবত মিনারের নিকট অর্স ও জাফরান মিশ্রিত রঙের দুই বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় দু’জন ফিরিশ্তার ডানাতে হাত রেখে অবতরণ করবেন। তিনি যখন মাথা নিচু করবেন, তখন মাথা থেকে বিন্দু বিন্দু পানি ঝরবে এবং যখন মাথা উঁচু করবেন, তখনও মতির আকারে তা গড়িয়ে পড়বে। যে কাফেরই তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসের নাগালে আসবে, সে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ হারাবে। তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস তাঁর দৃষ্টি যত দূর যাবে, তত দূর পৌঁছবে। অতঃপর তিনি দাজ্জালের সন্ধান চালাবেন। শেষ পর্যন্ত [জেরুজালেমের] ’লুদ’ প্রবেশ দ্বারে তাকে ধরে ফেলবেন এবং অনতিবিলম্বে তাকে হত্যা করে দেবেন।

তারপর ঈসা আলাইহিস সালাম এমন এক জনগোষ্ঠীর নিকট আসবেন, যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা দাজ্জালের চক্রান্ত ও ফিতনা থেকে মুক্ত রেখেছেন। তিনি তাদের চেহারায় হাত বোলাবেন [বিপদমুক্ত করবেন] এবং জান্নাতে তাদের মর্যাদাসমূহ সম্পর্কে তাদেরকে জানাবেন। এসব কাজে তিনি ব্যস্ত থাকবেন এমন সময় আল্লাহ তা’আলা তাঁর নিকট অহি পাঠাবেন যে, ’’আমি আমার কিছু বান্দার আবির্ভাব ঘটিয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে কারো লড়ার ক্ষমতা নেই। সুতরাং তুমি আমার প্রিয় বান্দাদের নিয়ে ’ত্বূর’ পর্বতে আশ্রয় নাও।’’

আল্লাহ তা’আলা য়্যা’জুজ-মা’জুজ জাতিকে পাঠাবেন। তারা প্রত্যেক উচ্চস্থান থেকে দ্রুত বেগে ছুটে যাবে। তাদের প্রথম দলটি ত্বাবারী হ্রদ পার হবার সময় তার সম্পূর্ণ পানি এমনভাবে পান করে ফেলবে যে, তাদের সর্বশেষ দলটি সেখান দিয়ে পার হবার সময় বলবে, এখানে এক সময় পানি ছিল। আল্লাহর নবী ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সাথীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়বেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত তাঁদের কাছে একটি গরুর মাথা, বর্তমানে তোমাদের একশ’টি স্বর্ণমুদ্রা অপেক্ষা অধিক উত্তম হবে। সুতরাং আল্লাহর নবী ঈসা আলাইহিস সালাম এবং তাঁর সঙ্গীগণ আল্লাহর কাছে দো’আ করবেন।

ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের [য়্যা’জূজ-মা’জূজ জাতির] ঘাড়সমূহে এক প্রকার কীট সৃষ্টি করে দেবেন। যার শিকারে পরিণত হয়ে তারা এক সঙ্গে সবাই মারা যাবে। তারপর আল্লাহ তা’আলার নবী ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সাথীগণ নিচে নেমে আসবেন। তারপর [এমন অবস্থা ঘটবে যে,] সেই অঞ্চল তাদের মৃতদেহ ও দুর্গন্ধে ভরে থাকবে; এক বিঘত জায়গাও তা থেকে খালি থাকবে না। সুতরাং ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সঙ্গীরা আল্লাহর কাছে দো’আ করবেন। ফলে তিনি বুখতী উটের ঘাড়ের ন্যায় বৃহদকায় এক প্রকার পাখি পাঠাবেন। তারা উক্ত লাশগুলিকে তুলে নিয়ে গিয়ে আল্লাহ যেখানে চাইবেন সেখানে নিয়ে গিয়ে নিক্ষেপ করবে।

তারপর আল্লাহ তা’আলা এমন প্রবল বৃষ্টি বর্ষণ করবেন যে, কোন ঘর ও শিবির বাদ পড়বে না। সুতরাং সমস্ত জমিন ধুয়ে মসৃণ পাথরের ন্যায় অথবা স্বচ্ছ কাঁচের ন্যায় পরিষ্কার হয়ে যাবে। তারপর জমিনকে আদেশ করা হবে যে, ’তুমি আপন ফল-মূল যথারীতি উৎপন্ন কর ও নিজ বরকত পুনরায় ফিরিয়ে আন।’ সুতরাং [বরকতের এত ছড়াছড়ি হবে যে,] একদল লোক একটি মাত্র ডালিম ফল ভক্ষণ করে পরিতৃপ্ত হবে এবং তার খোসার নীচে ছায়া অবলম্বন করবে। পশুর দুধে এত প্রাচুর্য প্রদান করা হবে যে, একটি মাত্র দুগ্ধবতী উটনী একটি সম্প্রদায়ের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি দুগ্ধবতী গাভী একটি গোত্রের জন্য যথেষ্ট হবে। আর একটি দুগ্ধবতী ছাগী কয়েকটি পরিবারের জন্য যথেষ্ট হবে।

তারা ঐ অবস্থায় থাকবে, এমন সময় আল্লাহ তা’আলা এক প্রকার পবিত্র বাতাস পাঠাবেন, যা তাদের বগলের নীচে দিয়ে প্রবাহিত হবে। ফলে প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জীবন হরণ করবে। তারপর স্রেফ দুর্বৃত্ত ও অসৎ মানুষজন বেঁচে থাকবে, যারা এই ধরার বুকে গাধার ন্যায় প্রকাশ্যে লোকচক্ষুর সামনে ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। সুতরাং এদের উপরেই সংঘটিত হবে মহাপ্রলয় [কিয়ামত]।’’ (মুসলিম) [1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

عَنِ النَّوَّاسِ بنِ سَمعَانَ رضي الله عنه قاَلَ : ذَكَرَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم الدَّجَّالَ ذَاتَ غَدَاةٍ، فَخَفَّضَ فِيهِ وَرَفَّعَ حَتَّى ظَنَنَّاهُ فِي طَائِفَةِ النَّخْلِ . فَلَمَّا رُحْنَا إلَيْهِ، عَرَفَ ذلِكَ فِينَا، فَقالَ : «مَا شَأنُكُمْ ؟» قُلْنَا : يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، ذَكَرْتَ الدَّجَّالَ الغَدَاةَ، فَخَفَّضْتَ فِيهِ وَرَفَّعْتَ، حَتَّى ظَنَنَّاهُ فِي طَائِفَةِ النَّخْلِ، فَقَالَ: «غَيْرُ الدَّجَّالِ أَخْوَفُنِي عَلَيْكُمْ، إِنْ يَخْرُجْ وَأَنَا فِيكُمْ، فَأَنَا حَجِيجُهُ دُونَكُمْ ؛ وَإِنْ يَخْرُجْ وَلَسْتُ فِيكُمْ، فَامْرُؤٌ حَجِيجُ نَفْسِهِ، وَاللهُ خَلِيفَتي عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ . إِنَّهُ شَابٌّ قَطَطٌ عَيْنُهُ طَافِيَةٌ، كَأَنّي أُشَبِّهُهُ بعَبْدِ العُزَّى بنِ قَطَنٍ، فَمَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ، فَلْيَقْرَأْ عَلَيْهِ فَوَاتِحَ سُورَةِ الكَهْفِ؛ إِنَّهُ خَارِجٌ خَلَّةً بَيْنَ الشَّامِ وَالعِرَاقِ، فَعَاثَ يَمِيناً وَعَاثَ شِمَالاً، يَا عِبَادَ اللهِ فَاثْبُتُوا» قُلْنَا : يَا رَسُولَ اللهِ، وَمَا لُبْثُهُ فِي الأَرْضِ ؟ قَالَ: «أَرْبَعُونَ يَوْماً : يَوْمٌ كَسَنَةٍ، وَيَوْمٌ كَشَهْرٍ، وَيَوْمٌ كَجُمْعَةٍ، وَسَائِرُ أَيَّامِهِ كَأَيَّامِكُمْ» قُلْنَا : يَا رَسُولَ اللهِ، فَذَلِكَ اليَوْمُ الَّذِي كَسَنَةٍ أَتَكْفِينَا فِيهِ صَلاَةُ يَوْمٍ ؟ قَالَ: «لاَ، اقْدُرُوا لَهُ قَدْرَهُ» . قُلْنَا : يَا رَسُولَ اللهِ، وَمَا إِسْرَاعُهُ فِي الأَرْضِ ؟ قَالَ: «كَالغَيْثِ اسْتَدْبَرَتْهُ الرِّيحُ، فَيَأْتِي عَلَى القَوْمِ، فَيدْعُوهُم فَيُؤمِنُونَ بِهِ وَيَسْتَجِيبُونَ لَهُ، فَيَأمُرُ السَّمَاءَ فَتُمْطِرُ، وَالأَرْضَ فَتُنْبِتُ، فَتَرُوحُ عَلَيْهِمْ سَارِحَتُهُمْ أَطْوَلَ مَا كَانَتْ ذُرىً وَأَسْبَغَهُ ضُرُوعاً، وَأَمَدَّهُ خَوَاصِرَ، ثُمَّ يَأتِي القَوْمَ فَيَدْعُوهُمْ، فَيَرُدُّونَ عَلَيْهِ قَولَهُ، فَيَنْصَرفُ عَنْهُمْ، فَيُصْبِحُونَ مُمْحِلِينَ لَيْسَ بِأَيْدِيهِمْ شَيْءٌ مِنْ أَمْوَالِهِمْ، وَيَمُرُّ بِالخَرِبَةِ فَيَقُولُ لَهَا : أَخْرِجِي كُنُوزَكِ، فَتَتْبَعُهُ كُنُوزُهَا كَيَعَاسِيبِ النَّحْلِ، ثُمَّ يَدْعُو رَجُلاً مُمْتَلِئاً شَبَاباً فَيَضْرِبُهُ بِالسَّيْفِ، فَيَقْطَعُهُ جِزْلَتَيْنِ رَمْيَةَ الغَرَضِ، ثُمَّ يَدْعُوهُ، فَيُقْبِلُ، وَيَتَهَلَّلُ وَجْهُهُ يَضْحَكُ، فَبَيْنَمَا هُوَ كَذلِكَ إذْ بَعَثَ اللهُ تَعَالَى المَسِيحَ ابْنَ مَرْيَمَ عليه السلام، فَيَنْزِلُ عِنْدَ المَنَارَةِ البَيْضَاءِ شَرْقِيَّ دِمَشقَ بَيْنَ مَهْرُودَتَيْنِ، وَاضِعاً كَفَّيْهِ عَلَى أَجْنِحَةِ مَلَكَيْنِ، إِذَا طَأطَأَ رَأسَهُ قَطَرَ، وَإِذَا رَفَعَهُ تَحَدَّرَ مِنهُ جُمَانٌ كَاللُّؤْلُؤ، فَلاَ يَحِلُّ لِكَافِرٍ يَجِدُ رِيحَ نَفَسِهِ إلاَّ مَاتَ، وَنَفَسُهُ يَنْتَهِي إِلَى حَيثُ يَنْتَهِي طَرْفُهُ، فَيَطْلُبُهُ حَتَّى يُدْرِكَهُ بِبَابِ لُدٍّ فَيَقْتُلُهُ، ثُمَّ يَأتِي عِيسَى عليه السلام، قَوماً قَدْ عَصَمَهُمُ اللهُ مِنهُ، فَيَمْسَحُ عَنْ وُجُوهِهِمْ وَيُحَدِّثُهُمْ بِدَرَجَاتِهِمْ فِي الجَنَّةِ، فَبَيْنَمَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ أَوْحَى اللهُ تَعَالَى إِلَى عِيسَى عليه السلام : أَنِّي قَدْ أَخْرَجْتُ عِبَاداً لِي لاَ يَدَانِ لأَحَدٍ بِقِتَالِهِمْ، فَحَرِّزْ عِبَادِي إِلَى الطُّورِ . وَيَبْعَثُ اللهُ يَأجُوجَ وَمَأجُوجَ وَهُمْ مِنْ كُلِّ حَدَبٍ يَنْسِلُونَ، فَيَمُرُّ أَوَائِلُهُمْ عَلَى بُحَيرَةِ طَبَرِيَّةَ فَيَشْرَبُونَ مَا فِيهَا، وَيَمُرُّ آخِرُهُمْ فَيَقُولُونَ : لَقَدْ كَانَ بِهَذِهِ مَرَّةً مَاءٌ، وَيُحْصَرُ نَبيُّ اللهِ عِيسَى عليه السلام وَأَصْحَابُهُ حَتَّى يَكُونَ رَأْسُ الثَّوْرِ لأَحَدِهِمْ خَيْراً مِنْ مِئَةِ دينَارٍ لأَحَدِكُمُ اليَوْمَ، فَيَرْغَبُ نَبِيُّ اللهِ عِيسَى عليه السلام وَأَصْحَابُهُ إِلَى اللهِ تَعَالَى، فَيُرْسِلُ اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِمُ النَّغَفَ فِي رِقَابِهِمْ، فَيُصْبِحُونَ فَرْسَى كَمَوْتِ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ، ثُمَّ يَهْبِطُ نَبِيُّ اللهِ عِيسَى عليه السلام، وَأَصْحَابُهُ إِلَى الأَرْضِ، فَلاَ يَجِدُونَ فِي الأَرْضِ مَوْضِعَ شِبْرٍ إِلاَّ مَلأَهُ زَهَمُهُمْ وَنَتَنُهُمْ، فَيَرْغَبُ نَبِيُّ اللهِ عِيسَى عليه السلام وَأَصْحَابُهُ إِلَى اللهِ تَعَالَى، فَيُرْسِلُ اللهُ تَعَالَى طَيْراً كَأَعْنَاقِ البُخْتِ، فَتَحْمِلُهُمْ، فَتَطْرَحُهُمْ حَيثُ شَاءَ اللهُ، ثُمَّ يُرْسِلُ اللهُ ـ عَزَّ وَجَلَّ ـ مَطَراً لاَ يُكِنُّ مِنهُ بَيْتُ مَدَرٍ وَلاَ وَبَرٍ، فَيَغْسِلُ الأَرْضَ حَتَّى يَتْرُكَهَا كَالزَّلَقَةِ، ثُمَّ يُقَالُ لِلأَرْضِ : أَنْبِتي ثَمَرتَكِ، وَرُدِّي بَرَكَتَكِ، فَيَوْمَئِذٍ تَأكُلُ العِصَابَةُ مِنَ الرُّمَّانَةِ، وَيَسْتَظِلُّونَ بِقَحْفِهَا، وَيُبَارَكُ فِي الرِّسْلِ حَتَّى أَنَّ اللّقْحَةَ مِنَ الإِبِلِ لَتَكْفِي الفِئَامَ مِنَ النَّاسِ ؛ وَاللِّقْحَةَ مِنَ البَقَرِ لَتَكْفِي القَبِيلَةَ مِنَ النَّاسِ، وَاللِّقْحَةَ مِنَ الغَنَمِ لَتَكْفِي الفَخِذَ مِنَ النَّاسِ ؛ فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ بَعَثَ اللهُ تَعَالَى رِيْحاً طَيِّبَةً فَتَأخُذُهُمْ تَحْتَ آبَاطِهِمْ فَتَقْبِضُ رُوْحَ كُلِّ مُؤْمِنٍ وَكُلِّ مُسْلِمٍ ؛ وَيَبْقَى شِرَارُ النَّاسِ يَتَهَارَجُونَ فِيهَا تَهَارُجَ الحُمُرِ، فَعَلَيْهِمْ تَقُومُ السَّاعَةُ» . رواه مسلم

عن النواس بن سمعان رضي الله عنه قال : ذكر رسول الله صلى الله عليه وسلم الدجال ذات غداة، فخفض فيه ورفع حتى ظنناه في طاىفة النخل . فلما رحنا اليه، عرف ذلك فينا، فقال : «ما شانكم ؟» قلنا : يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، ذكرت الدجال الغداة، فخفضت فيه ورفعت، حتى ظنناه في طاىفة النخل، فقال: «غير الدجال اخوفني عليكم، ان يخرج وانا فيكم، فانا حجيجه دونكم ؛ وان يخرج ولست فيكم، فامرو حجيج نفسه، والله خليفتي على كل مسلم . انه شاب قطط عينه طافية، كاني اشبهه بعبد العزى بن قطن، فمن ادركه منكم، فليقرا عليه فواتح سورة الكهف؛ انه خارج خلة بين الشام والعراق، فعاث يمينا وعاث شمالا، يا عباد الله فاثبتوا» قلنا : يا رسول الله، وما لبثه في الارض ؟ قال: «اربعون يوما : يوم كسنة، ويوم كشهر، ويوم كجمعة، وساىر ايامه كايامكم» قلنا : يا رسول الله، فذلك اليوم الذي كسنة اتكفينا فيه صلاة يوم ؟ قال: «لا، اقدروا له قدره» . قلنا : يا رسول الله، وما اسراعه في الارض ؟ قال: «كالغيث استدبرته الريح، فياتي على القوم، فيدعوهم فيومنون به ويستجيبون له، فيامر السماء فتمطر، والارض فتنبت، فتروح عليهم سارحتهم اطول ما كانت ذرى واسبغه ضروعا، وامده خواصر، ثم ياتي القوم فيدعوهم، فيردون عليه قوله، فينصرف عنهم، فيصبحون ممحلين ليس بايديهم شيء من اموالهم، ويمر بالخربة فيقول لها : اخرجي كنوزك، فتتبعه كنوزها كيعاسيب النحل، ثم يدعو رجلا ممتلىا شبابا فيضربه بالسيف، فيقطعه جزلتين رمية الغرض، ثم يدعوه، فيقبل، ويتهلل وجهه يضحك، فبينما هو كذلك اذ بعث الله تعالى المسيح ابن مريم عليه السلام، فينزل عند المنارة البيضاء شرقي دمشق بين مهرودتين، واضعا كفيه على اجنحة ملكين، اذا طاطا راسه قطر، واذا رفعه تحدر منه جمان كاللولو، فلا يحل لكافر يجد ريح نفسه الا مات، ونفسه ينتهي الى حيث ينتهي طرفه، فيطلبه حتى يدركه بباب لد فيقتله، ثم ياتي عيسى عليه السلام، قوما قد عصمهم الله منه، فيمسح عن وجوههم ويحدثهم بدرجاتهم في الجنة، فبينما هو كذلك اذ اوحى الله تعالى الى عيسى عليه السلام : اني قد اخرجت عبادا لي لا يدان لاحد بقتالهم، فحرز عبادي الى الطور . ويبعث الله ياجوج وماجوج وهم من كل حدب ينسلون، فيمر اواىلهم على بحيرة طبرية فيشربون ما فيها، ويمر اخرهم فيقولون : لقد كان بهذه مرة ماء، ويحصر نبي الله عيسى عليه السلام واصحابه حتى يكون راس الثور لاحدهم خيرا من مىة دينار لاحدكم اليوم، فيرغب نبي الله عيسى عليه السلام واصحابه الى الله تعالى، فيرسل الله تعالى عليهم النغف في رقابهم، فيصبحون فرسى كموت نفس واحدة، ثم يهبط نبي الله عيسى عليه السلام، واصحابه الى الارض، فلا يجدون في الارض موضع شبر الا ملاه زهمهم ونتنهم، فيرغب نبي الله عيسى عليه السلام واصحابه الى الله تعالى، فيرسل الله تعالى طيرا كاعناق البخت، فتحملهم، فتطرحهم حيث شاء الله، ثم يرسل الله ـ عز وجل ـ مطرا لا يكن منه بيت مدر ولا وبر، فيغسل الارض حتى يتركها كالزلقة، ثم يقال للارض : انبتي ثمرتك، وردي بركتك، فيومىذ تاكل العصابة من الرمانة، ويستظلون بقحفها، ويبارك في الرسل حتى ان اللقحة من الابل لتكفي الفىام من الناس ؛ واللقحة من البقر لتكفي القبيلة من الناس، واللقحة من الغنم لتكفي الفخذ من الناس ؛ فبينما هم كذلك اذ بعث الله تعالى ريحا طيبة فتاخذهم تحت اباطهم فتقبض روح كل مومن وكل مسلم ؛ ويبقى شرار الناس يتهارجون فيها تهارج الحمر، فعليهم تقوم الساعة» . رواه مسلم

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


An-Nawwas bin Sam`an (May Allah be pleased with him) reported:
One morning the Messenger of Allah (ﷺ) made a mention of Dajjal, and he described him to be insignificant and at the same time described him so significant that we thought he was on the date-palm trees (i.e., nearby). When we went to him (the Prophet (ﷺ)) in the evening, he perceived the sign of fear on our faces. He said, "What is the matter with you?'' We said: "O Messenger of Allah, you talked about Dajjal this morning raising your voice and lowering it until we thought he was hiding in the palm-trees grove: He said: "Something other than Dajjal make worry about you. If he appears while I am with you, I will defend you against him. But if he appears after I die, then everyone of you is his own defender. Allah is the One Who remains after me to guide every Muslim. Dajjal will be a young man with very curly hair with one eye protruding (with which he cannot see). I compare (his appearance) to that of Al-`Uzza bin Qatan. He who amongst you survives to see him, should recite over him the opening Ayat of Surat Al-Kahf (i.e., Surat 18: Verses 1-8). He will appear on the way between Syria and Iraq and will spread mischief right and left. O slaves of Allah! Remain adhered to the truth.'' We asked: "O Messenger of Allah! How long will he stay on the earth?'' He said, "For forty days. One day will be like a year, one day like a month, one day like a week and the rest of the days will be like your days.'' We said: "O Messenger of Allah! Will one day's Salat (prayer) suffice for the Salat of that day which will be equal to one year?'' Thereupon he said, "No, but you must make an estimate of time and then offer Salat.'' We said: "O Messenger of Allah! How quickly will he walk upon the earth?'' Thereupon he said, "Like cloud driven by the wind (i.e., very quickly). He will come to the people and call them to his obedience and they will affirm their faith in him and respond to him. He will then give command to the sky and it will send its rain upon the earth and he will then send his command to the earth and it will grow vegetation. Then in the evening their pasturing animals will come to them with their humps very high and their udders full of milk and their flanks stretched. He will then come to another people and invite them, but they will reject him and he will leave them, in barren lands and without any goods and chattels! He would then walk through the waste land and say to it: `Bring forth your treasures', and the treasures will come out and follow him like swarms of bees. He will then call a person brimming with youth and strike him with the sword and cut him into two pieces and make these pieces lie at a distance, which is generally between the archer and his target. He will then call that young man and he will come forward, laughing, with his face gleaming out of joy; and it will be at this very time that Allah will send `Isa (Jesus), son of Maryam (Mary) who will descend at the white minaret in the eastern side of Damascus, wearing two garments lightly dyed and placing his hands on the wings of two angels. When he will lower his head, there would fall drops of water from his head, and when he will raise it up, drops like pearls would scatter from it. Every disbeliever who will find his (i.e., `Isa's) smell will die and his smell will reach as far as he will be able to see. He will then search for Dajjal until he will catch hold of him at the gate of Ludd (village near Jerusalem), and will kill him. Then the people, whom Allah will have protected, will come to `Isa son of Maryam, and he will wipe their faces and will inform them of their ranks in Jannah, and it will be under such conditions that Allah will reveal to `Isa these words: `I have brought forth from amongst my slaves such people against whom none will be able to fight, so take these people safely to the mountain.' And then Allah will send Ya'juj and Ma'juj (Gog and Magog people) and they will sworn down from every slope. The first of them will pass the Lake Tabariyah (near the Dead Sea in Palestine) and drink all its water. And when the last of them will pass, he will say: `There was once water there.' Prophet `Isa (ﷺ) and his companions will then be so much hard-pressed that the head of an ox will be dearer to them than one hundred dinar, and `Isa along with his companions, will make supplication to Allah, Who will send insects which will attack their (Ya'juj and Ma'juj people) neck until they all will perish like a single person. Prophet, `¦sa and his companions will then come down and they will not find in the earth as much space as a single span which would not be filled with their corpses and their stench.
Prophet `Isa and his companions will then again beseech Allah, Who will send birds whose necks will be like those of Bactrian camels, and they will carry them and throw them where Allah will desire. Then Allah will send down rain which will spare no house in the city or in the countryside. It would wash away the earth until it appears like a mirror. Then the earth will be told to bring forth its fruit and restore its blessings; and as a result of this, there will grow such a big pomegranate that a group of people will eat from it and seek shelter under its skin. Milk will be so blessed that the milk of one she-camel will suffice for a large company and the cow will give so much milk, that it will suffice for a whole tribe. The sheep will give so much milk that the whole family will be able to drink out of that, and at that time Allah will send a pleasant wind which will soothe people even under their armpits, and will take the life of every Muslim and true believer, and only the wicked will survive. They will commit adultery in public like asses and the Resurrection Day will be held.''


[Muslim].

Commentary: In the above statement we find details about the signs of the Day of Resurrection, the appearance of Dajjal (Antichrist), the coming of Prophet `Isa - son of Maryam, and the appearance of Gog and Magog people. We also find all the important events which will happen during these times. Here, we also note the havoc of Dajjal and the destruction of Gog and Magog people. Then finally the killing of them by the efforts of Prophet `Isa and his prayers.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

২/১৮১৮। রিবঈ ইবনে হিরাশ (রহ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ মাসঊদ আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সঙ্গে আমি হুযাইফা ইবনে ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর নিকট গেলাম। আবূ মাসঊদ তাঁকে বললেন, ’দাজ্জাল সম্পর্কে যা আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছেন, তা আমাকে বর্ণনা করুন।’ তিনি বলতে লাগলেন, ’দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। তার সঙ্গে থাকবে পানি ও আগুন। যাকে লোক পানি মনে করবে, বাস্তবে তা দগ্ধকারী আগুন এবং লোকে যাকে আগুন বলে মনে করবে, তা বাস্তবে সুমিষ্ট শীতল পানি হবে। অতএব তোমাদের মধ্যে যে কেউ তাকে [দেখতে] পাবে, সে যেন তাতে পতিত হয় যাকে আগুন মনে করে। কেননা, তা বাস্তবে মিষ্ট উত্তম পানি।’ আবূ মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এ হাদিসটি আমিও [স্বয়ং] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। (বুখারী-মুসলিম) [1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ رِبعِيِّ بنِ حِرَاشٍ، قَالَ: اِنْطَلَقْتُ مَعَ أَبِيْ مَسعُودٍ الأَنصَارِي إِلَى حُذَيفَةَ بنِ اليَمَانِ ، فَقَالَ لَهُ أَبُو مَسْعُودٍ : حَدِّثْنِي مَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فِي الدَّجَّالِ، قَالَ: «إِنَّ الدَّجَّالَ يَخْرُجُ، وَإِنَّ مَعَهُ مَاءً وَنَاراً، فَأَمَّا الَّذِي يَرَاهُ النَّاسُ مَاءً فَنَارٌ تُحْرِقُ، وَأَمَّا الَّذِي يَرَاهُ النَّاسُ نَاراً، فَمَاءٌ بَارِدٌ عَذْبٌ . فَمَنْ أَدْرَكَهُ مِنْكُمْ، فَلْيَقَعْ فِي الَّذي يَراهُ نَاراً، فَإِنَّهُ مَاءٌ عَذْبٌ طَيِّبٌ» فقال أبو مسعود: وَأنَا قَدْ سَمِعْتُهُ . متفق عليه

وعن ربعي بن حراش، قال: انطلقت مع ابي مسعود الانصاري الى حذيفة بن اليمان ، فقال له ابو مسعود : حدثني ما سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم، في الدجال، قال: «ان الدجال يخرج، وان معه ماء ونارا، فاما الذي يراه الناس ماء فنار تحرق، واما الذي يراه الناس نارا، فماء بارد عذب . فمن ادركه منكم، فليقع في الذي يراه نارا، فانه ماء عذب طيب» فقال ابو مسعود: وانا قد سمعته . متفق عليه

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Rib'i bin Hirash (May Allah be pleased with him) said:
I accompanied Abu Mas'ud Al-Ansari to Hudaifah bin Al-Yaman (May Allah be pleased with them). Abu Mas'ud said to him: "Tell us what you heard from the Messenger of Allah (ﷺ) about Dajjal (the Antichrist)." Hudaifah said: He (ﷺ) said, "Dajjal will appear, and with him will be water and fire. That which people consider to be water will in fact be a burning fire, and that which people will consider to be fire will in fact be cool and sweet water. He who from amongst you happens to face him, should jump into that which he sees as fire for that will be nice and sweet water." Abu Mas'ud said: "I have also heard this from the Messenger of Allah (ﷺ)."

[Al-Bukhari and Muslim]


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

৩/১৮১৯। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ’আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আমার উম্মতের মধ্যে দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে এবং সে চল্লিশ পর্যন্ত অবস্থান করবে। আমি জানি না চল্লিশ দিন, চল্লিশ মাস, না চল্লিশ বছর। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা ঈসা ইবনে মারয়্যাম -কে পাঠাবেন। তিনি তাকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করবেন। অতঃপর লোকেরা [দীর্ঘ] সাত বছর ব্যাপী [এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে] কাল উদযাপন করবে, যাতে দুজনের পারস্পরিক কোন প্রকার শত্রুতা থাকবে না। তারপর মহান আল্লাহ শাম দেশ থেকে শীতল বায়ু চালু করবেন যা জমিনের বুকে এমন কোন ব্যক্তিকে জীবিত ছাড়বে না, যার অন্তরে অণু পরিমাণ মঙ্গল অথবা ঈমান থাকবে।

এমনকি তোমাদের কেউ যদি পর্বত-গর্ভে প্রবেশ করে, তাহলে সেখানেও প্রবেশ করে তার জীবন নাশ করবে। [তারপর ভূপৃষ্ঠে] দুর্বৃত্ত প্রকৃতির লোক থেকে যাবে, যারা কাম-প্রবৃত্তি চরিতার্থের ব্যাপারে ক্ষিপ্ত গতিমান পাখির মত হবে, একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুতা ও রক্তপাত করার ক্ষেত্রে হিংস্র পশুর ন্যায় হবে। যারা কখনো ভাল কাজের আদেশ করবে না এবং কোন মন্দ কাজে বাধা দেবে না। শয়তান তাদের সামনে মানবরূপ ধারণ করে আত্মপ্রকাশ করবে ও বলবে, ’তোমরা আমার আহবানে সাড়া দেবে না?’ তারা বলবে, ’আমাদেরকে আপনি কি আদেশ করছেন?’ সে তখন তাদেরকে মূর্তি পূজার আদেশ দেবে।

আর এসব কর্মকাণ্ডে তাদের জীবিকা সচ্ছল হবে এবং জীবন সুখের হবে। অতঃপর শিঙ্গায় [প্রলয় বীণায়] ফুঁৎকার দেওয়া হবে। যে ব্যক্তিই সে শব্দ শুনবে, সেই তার ঘাড়ের একদিক কাত করে দেবে ও অপর দিক উঁচু করে দেবে। সর্বাগ্রে এমন এক ব্যক্তি তা শুনতে পাবে, যে তার উটের [জন্য পানি রাখার] হওয লেপায় ব্যস্ত থাকবে। সে শিঙ্গার শব্দ শোনামাত্র অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যাবে। তার সাথে সাথে তার আশে-পাশের লোকরাও অজ্ঞান হয়ে [ধরাশায়ী হয়ে] যাবে। অতঃপর আল্লাহ শিশিরের ন্যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পাঠাবেন। যার ফলে পুনরায় মানবদেহ [উদ্ভিদের ন্যায়] গজিয়ে উঠবে।

তারপর যখন দ্বিতীয়বার শিঙ্গা বাজানো হবে, তখন তারা উঠে দেখতে থাকবে। তাদেরকে বলা হবে, ’হে লোক সকল! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের দিকে এগিয়ে এসো।’ [অন্য দিকে ফিরিশতাদেরকে হুকুম করা হবে যে,] ’তোমরা ওদেরকে থামাও। ওদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ তারপর বলা হবে, ’ওদের মধ্য থেকে জাহান্নামে প্রেরিতব্য দল বের করে নাও।’ জিজ্ঞাসা করা হবে, ’কত থেকে কত?’ বলা হবে, ’প্রতি হাজারে নয়শ’ নিরানব্বই জন।’ বস্তুতঃ এ দিনটি এত ভয়ংকর হবে যে, শিশুকে বৃদ্ধ বানিয়ে দেবে এবং এ দিনেই [মহান আল্লাহ নিজ] পায়ের গোছা অনাবৃত করবেন।’’ (মুসলিম)[1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قاَلَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «يَخْرُجُ الدَّجَّالُ فِي أُمَّتِي فَيَمْكُثُ أَرْبَعِينَ، لاَ أَدْرِي أَرْبَعِينَ يَوماً أَو أَرْبَعِينَ شَهْراً، أَو أَرْبَعِينَ عَاماً، فَيَبْعَثُ اللهُ تَعالَى عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، فَيَطْلُبُهُ فَيُهْلِكُهُ، ثُمَّ يَمْكُثُ النَّاسُ سَبْعَ سِنِينَ لَيسَ بَينَ اثْنَينِ عَدَاوةٌ، ثُمَّ يُرْسِلُ اللهُ ـ عَزَّ وَجَلَّ ـ، رِيحاً بَارِدَةً مِنْ قِبَلِ الشَّامِ، فَلاَ يَبْقَى عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ أَحَدٌ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ خَيرٍ أَو إِيمَانٍ إِلاَّ قَبَضَتْهُ، حَتَّى لَو أَنَّ أَحَدَكُمْ دَخَلَ فِي كَبِدِ جَبَلٍ، لَدَخَلَتْهُ عَلَيهِ حَتَّى تَقْبِضَهُ، فَيَبْقَى شِرَارُ النَّاسِ فِي خِفَّةِ الطَّيْرِ، وَأَحْلاَمِ السِّبَاعِ، لاَ يَعْرِفُونَ مَعْرُوفاً، وَلاَ يُنْكِرُونَ مُنْكَراً، فَيَتَمَثَّلُ لَهُمُ الشَّيْطَانُ، فيَقُولُ : أَلاَ تَسْتَجِيبُونَ ؟ فَيَقُولُونَ : فَمَا تَأمُرُنَا ؟ فَيَأمُرُهُمْ بِعِبَادَةِ الأَوْثَانِ، وَهُمْ فِي ذَلِكَ دَارٌّ رِزْقُهُمْ، حَسَنٌ عَيشُهُمْ، ثُمَّ يُنْفَخُ في الصُّورِ، فَلاَ يَسْمَعُهُ أَحَدٌ إِلاَّ أصْغَى لِيتاً وَرَفَعَ لِيتاً، وَأوَّلُ مَنْ يَسْمَعُهُ رَجُلٌ يَلُوطُ حَوْضَ إِبِلِهِ فَيُصْعَقُ وَيُصْعَقُ النَّاسُ حَولَهُ، ثُمَّ يُرْسِلُ اللهُ - أَو قَالَ: يُنْزِلُ اللهُ - مَطَراً كَأَنَّهُ الطَّلُّ أَوِ الظِّلُّ، فَتَنْبُتُ مِنهُ أَجْسَادُ النَّاسِ، ثُمَّ يُنْفَخُ فِيهِ أُخْرَى فَإِذَا هُمْ قِيَامٌ يَنْظُرُونَ، ثُمَّ يُقَالُ : يَا أَيُّهَا النَّاسُ هَلُمَّ إلَى رَبِّكُمْ، وَقِفُوهُمْ إِنَّهُمْ مَسْئُولُونَ، ثُمَّ يُقَالُ : أَخْرِجُوا بَعْثَ النَّارِ فَيُقَالُ : مِنْ كَمْ ؟ فَيُقَالُ : مِنْ كُلِّ أَلْفٍ تِسْعَمِئَةٍ وَتِسْعَةً وَتِسْعِينَ؛ فَذَلِكَ يَومٌ يَجْعَلُ الوِلْدَانَ شِيباً، وَذَلِكَ يَومَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ». رواه مسلم

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «يخرج الدجال في امتي فيمكث اربعين، لا ادري اربعين يوما او اربعين شهرا، او اربعين عاما، فيبعث الله تعالى عيسى ابن مريم، فيطلبه فيهلكه، ثم يمكث الناس سبع سنين ليس بين اثنين عداوة، ثم يرسل الله ـ عز وجل ـ، ريحا باردة من قبل الشام، فلا يبقى على وجه الارض احد في قلبه مثقال ذرة من خير او ايمان الا قبضته، حتى لو ان احدكم دخل في كبد جبل، لدخلته عليه حتى تقبضه، فيبقى شرار الناس في خفة الطير، واحلام السباع، لا يعرفون معروفا، ولا ينكرون منكرا، فيتمثل لهم الشيطان، فيقول : الا تستجيبون ؟ فيقولون : فما تامرنا ؟ فيامرهم بعبادة الاوثان، وهم في ذلك دار رزقهم، حسن عيشهم، ثم ينفخ في الصور، فلا يسمعه احد الا اصغى ليتا ورفع ليتا، واول من يسمعه رجل يلوط حوض ابله فيصعق ويصعق الناس حوله، ثم يرسل الله - او قال: ينزل الله - مطرا كانه الطل او الظل، فتنبت منه اجساد الناس، ثم ينفخ فيه اخرى فاذا هم قيام ينظرون، ثم يقال : يا ايها الناس هلم الى ربكم، وقفوهم انهم مسىولون، ثم يقال : اخرجوا بعث النار فيقال : من كم ؟ فيقال : من كل الف تسعمىة وتسعة وتسعين؛ فذلك يوم يجعل الولدان شيبا، وذلك يوم يكشف عن ساق». رواه مسلم

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


'Abdullah bin 'Amr bin Al-'As (May Allah be pleased with them) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Dajjal (the Antichrist) will appear in my Ummah and he will stay in the world for forty. I do not know whether this will be forty days or forty months or forty years. Allah will then send (Prophet) 'Isa (Jesus), son of Maryam (Mary). 'Isa will pursue him and slaughter him. Then people will survive for seven years (i.e., after the demise of 'Isa) in the state that there will be no rancour between two persons. Then Allah will send a cool breeze from the side of Ash-Sham. None will remain upon the face of the earth having the smallest particle of good or Faith in him but he will die, so much so that even if someone amongst you will enter the innermost part of a mountain, this breeze will reach that place also and will cause him to die. Only the wicked people will survive and they will be as fast as birds (i.e., to commit evil) and as ferocious towards one another as wild beasts. They will never appreciate the good, nor condemn evil. Then Shaitan (Satan) will come to them in the garb of a man and will say: 'Will you not obey me?' They will say: 'What do you order us to do?' He will command them to worship idols. They will have abundance of sustenance and will lead comfortable lives. Then the Trumpet will be blown. Every one hearing it, will turn his neck towards it and will raise it. The first one to hear that Trumpet will be a man who will be busy repairing the basin for his camels. He will become unconscious. Allah will send, or will cause to send, rain which will be like dew and there will grow out of it (like wild growth) the bodies of the people. Then the second Trumpet will be blown and they will stand up and begin to look around. Then it will be said: 'O people! Go to your Rubb.' Then there will be a command: 'Make them stand there.' After it they will be called to account. Then it will be said: 'Separate from them the share of the Fire.' It will be asked: 'How much?' It will be said: 'Nine hundred and ninety-nine out of every thousand.' That will be the Day which will make children hoary-headed men because of its terror and that will be the Day when the Shin will be uncovered."

[Muslim].

Commentary: The question arises as to what is the meaning of the phrase - the Shin will be uncovered - at this place? Some people say that it refers to the calamities and troubles of the Day of Judgement. But according to a reliable narration, it refers to an act of Allah of uncovering His Shin in a way which befits His Majesty. As believers, we must confirm Allah's all Qualities which He has stated in the Qur'an or mentioned through His Messenger (PBUH) without changing them or ignoring them completely or twisting their meanings or giving resemblance to any of the created things. What is meant by the uncovering of the Shin of Allah is something we can neither understand nor describe. We can only believe in it without understanding the real explanation of it, in the same way we believe in the Eye or Ear of Allah. We should believe in all these things as mentioned in the Qur'an and Hadith without trying to go into the explanation. This is the view of Ahlus-Sunnah wal-Jama`ah to which we should stick. (See Tafsir Ahsan-ul-Bayan)

Then all the Muslims will prostrate before Him. However, those people who used to pray and prostrate before Him in their worldly lives only for showing off or for gaining good reputation, will not be able to prostrate before Him on this occasion. Their spines will become stiff like a wooden board and it would become impossible for them to bend. (Sahih Al-Bukhari, Tafsir Surat An-Nur and Al-Qalam).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

৪/১৮২০। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মক্কা ও মদিনা ব্যতীত অন্য সব শহরেই দাজ্জাল প্রবেশ করবে। মক্কা ও মদিনার গিরিপথে ফিরিশতারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে উক্ত শহরদ্বয়ের প্রহরায় রত থাকবেন। দাজ্জাল [মদিনার নিকটস্থ] বালুময় লোনা জমিতে অবতরণ করবে। সে সময় মদিনা তিনবার কেঁপে উঠবে। মহান আল্লাহ সেখান থেকে প্রত্যেক কাফের ও মুনাফিককে বের করে দেবেন।’’ (মুসলিম)[1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «لَيسَ مِنْ بَلَدٍ إِلاَّ سَيَطَؤُهُ الدَّجَّالُ إِلاَّ مَكَّةَ وَالمَدِينَةَ ؛ وَلَيْسَ نَقْبٌ مِنْ أَنْقَابِهِمَا إِلاَّ عَلَيْهِ المَلاَئِكَةُ صَافِّينَ تَحْرُسُهُمَا، فَيَنْزِلُ بالسَّبَخَةِ، فَتَرْجُفُ المَدِينَةُ ثَلاَثَ رَجَفَاتٍ، يُخْرِجُ اللهُ مِنْهَا كُلَّ كَافِرٍ وَمُنَافِقٍ» . رواه مسلم

وعن انس رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ليس من بلد الا سيطوه الدجال الا مكة والمدينة ؛ وليس نقب من انقابهما الا عليه الملاىكة صافين تحرسهما، فينزل بالسبخة، فترجف المدينة ثلاث رجفات، يخرج الله منها كل كافر ومنافق» . رواه مسلم

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Anas bin Malik (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "There will be no land which will not be trampled by Dajjal (the Antichrist) but Makkah and Al-Madinah; and there will be no passage leading to them which will not be guarded by the angels, arranged in rows. Dajjal will appear in a barren place adjacent to Al- Madinah and the city will be shaken three times. Allah will expel from it every disbeliever and hypocrite."

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

৫/১৮২১। উক্ত রাবী (আনাস) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আসফাহান [ইরানের একটি প্রসিদ্ধ শহরে]র সত্তর হাজার ইয়াহুদী দাজ্জালের অনুসরণ করবে; তাদের কাঁধে থাকবে ত্বাইলেসী রুমাল।’’ (মুসলিম) [1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «يَتْبَعُ الدَّجَّالَ مِنْ يَهُودِ أَصْبَهَانَ سَبْعُونَ أَلْفاً عَلَيْهِم الطَّيَالِسَةُ» . رواه مسلم

وعنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «يتبع الدجال من يهود اصبهان سبعون الفا عليهم الطيالسة» . رواه مسلم

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Anas (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Dajjal (the Antichrist) will be followed by seventy thousand Jews of Isfahan and will be dressed in robes of green coloured satin."

[Muslim].

Commentary: Isfahan is a city in Persia (Iran). Tailasan green sheet (is the dress of the Sheikhs of the non-Arab nations)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

৬/১৮২২। উম্মে শারীক রাদিয়াল্লাহু আনহা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, ’’অবশ্যই লোকেরা দাজ্জালের ভয়ে ভীত হয়ে পালিয়ে গিয়ে পর্বতে আশ্রয় গ্রহণ করবে।’’ (মুসলিম)[1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ أُمِّ شَرِيكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا : أَنَّهَا سَمِعَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ : «لَيَنْفِرَنَّ النَّاسُ مِنَ الدَّجَّالِ فِي الجِبَالِ» . رواه مسلم

وعن ام شريك رضي الله عنها : انها سمعت النبي صلى الله عليه وسلم، يقول : «لينفرن الناس من الدجال في الجبال» . رواه مسلم

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Umm Sharik (May Allah be pleased with her) reported:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "People will run away from Dajjal (the Antichrist) seeking shelter in the mountains."

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু শারীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

৭/১৮২৩। ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’’আদমের জন্মলগ্ন থেকে নিয়ে কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত দাজ্জালের [ফিতনা-ফ্যাসাদ] অপেক্ষা অন্য কোন বিষয় [বড় বিপজ্জনক] হবে না।’’ (মুসলিম) [1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ عِمرَانَ بنِ حُصَينٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : «مَا بَيْنَ خَلْقِ آدَمَ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ أَمْرٌ أَكْبَرُ مِنَ الدَّجَّالِ» . رواه مسلم

وعن عمران بن حصين رضي الله عنهما، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : «ما بين خلق ادم الى قيام الساعة امر اكبر من الدجال» . رواه مسلم

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


'Imran bin Hussain (May Allah be pleased with them) reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "Between time of the creation of Adam and the Resurrection Day, there is nothing greater than the mischief of Dajjal (the Antichrist)."

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

৮/১৮২৪। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’দাজ্জালের আবির্ভাব হলে মুমীনদের মধ্য থেকে একজন মুমিন তার দিকে অগ্রসর হবে। তখন [পথিমধ্যে] দাজ্জালের সশস্ত্র প্রহরীদের সাথে তার দেখা হবে। তারা তাকে জিজ্ঞাসা করবে, ’কোন্ দিকে যাবার ইচ্ছা করছ?’ সে উত্তরে বলবে, ’যে ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটেছে, তার কাছে যেতে চাচ্ছি।’ তারা তাকে বলবে, ’তুমি কি আমাদের প্রভুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর না?’ সে উত্তর দেবে, ’আমাদের প্রভু [আল্লাহ তো] গুপ্ত নন যে, [অন্য কাউকে প্রভু বানিয়ে মানতে লাগব]।’ [এরূপ শুনে] তারা বলবে, ’একে হত্যা করে দাও।’ তখন তারা নিজেদের মধ্যে একে অপরকে বলবে, ’তোমাদের প্রভু কি তোমাদেরকে নিষেধ করেননি যে, তোমরা তার বিনা অনুমতিতে কাউকে হত্যা করবে না?’

ফলে তারা ঐ মুমীনকে ধরে দাজ্জালের কাছে নিয়ে যাবে। যখন মুমিন দাজ্জালকে দেখতে পাবে, তখন সে [স্বতঃস্ফূর্তভাবে] বলে উঠবে, ’হে লোক সকল! এই সেই দাজ্জাল, যার সম্পর্কে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলোচনা করতেন।’ তখন দাজ্জাল তার জন্য আদেশ দেবে যে, ’ওকে উপুড় করে শোয়ানো হোক।’ তারপর বলবে, ’ওকে ধরে ওর মুখে-মাথায় প্রচন্ডভাবে আঘাত কর।’ সুতরাং তাকে মেরে মেরে তার পেট ও পিঠ চওড়া করে দেওয়া হবে। তখন সে [দাজ্জাল] প্রশ্ন করবে, ’তুমি আমার প্রতি বিশ্বাস রাখ?’ সে উত্তর দেবে, ’তুই তো মহা মিথ্যাবাদী মসীহ।’ সুতরাং তার সম্পর্কে আবার আদেশ দেওয়া হবে, ফলে তার মাথার সিঁথির উপর করাত রেখে তাকে দ্বিখন্ড করে দেওয়া হবে; এমনকি তার পা-দুটোকে আলাদা করে দেওয়া হবে। তারপর দাজ্জাল তার দেহ খন্ডদ্বয়ের মাঝখানে হাঁটতে থাকবে এবং বলবে, ’উঠ।’

সুতরাং সে [মুমীন] উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে! দাজ্জাল আবার তাকে প্রশ্ন করবে, ’তুমি কি আমার প্রতি ঈমান আনছ?’ সে জবাব দেবে, ’তোর সম্পর্কে তো আমার ধারণা আরও দৃঢ় হয়ে গেল।’ তারপর মুমিন বলবে, ’হে লোক সকল! আমার পরে ও অন্য কারো সাথে এরূপ [নির্মম] আচরণ করতে পারবে না।’ সুতরাং দাজ্জাল তাকে যবেহ করার মানসে ধরবে। কিন্তু আল্লাহ তার ঘাড় থেকে কণ্ঠাস্থি পর্যন্ত তামায় পরিণত করে দেবেন। ফলে দাজ্জাল তাকে যবেহ করার কোন উপায় খুঁজে পাবে না। তারপর তার হাত-পা ধরে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। তখন লোকে ধারণা করবে যে, সে তাকে আগুনে নিক্ষেপ করল। কিন্তু [বাস্তবে] তাকে জান্নাতে নিক্ষেপ করা হবে।’’ অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’বিশ্বচরাচরের পালনকর্তার নিকট ঐ ব্যক্তিই সবার চেয়ে বড় শহীদ।’’ [মুসলিম, ইমাম বুখারী অনুরূপ অর্থে এর কিছু অংশ বর্ণনা করেছেন।] [1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ رضي الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «يَخْرُجُ الدَّجَّالُ فَيَتَوجَّهُ قِبَلَهُ رَجُلٌ مِنَ المُؤمِنِينَ فَيَتَلَقَّاهُ المَسَالِحُ : مَسَالِحُ الدَّجَّال . فَيقُولُونَ لَهُ : إِلَى أَيْنَ تَعْمِدُ ؟ فَيَقُولُ : أَعْمِدُ إِلَى هَذَا الَّذِي خَرَجَ . فَيَقُولُونَ لَهُ : أَوَمَا تُؤْمِنُ بِرَبِّنَا ؟ فَيَقُولُ : مَا بِرَبِّنَا خَفَاءٌ ! فَيَقُولُونَ : اقْتُلُوهُ . فَيقُولُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ : أَلَيْسَ قَدْ نَهَاكُمْ رَبُّكُمْ أَنْ تَقْتُلُوا أَحَداً دُونَهُ ؟ فَيَنْطَلِقُونَ بِهِ إِلَى الدَّجَّالِ، فَإِذَا رَآهُ المُؤْمِنُ قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ هَذَا الدَّجَّالَ الَّذِي ذَكَرَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم ؛ فَيَأمُرُ الدَّجَّالُ بِهِ فَيُشَبَّحُ ؛ فَيَقُولُ : خُذُوهُ وَشُجُّوهُ . فَيُوسَعُ ظَهْرُهُ وَبَطْنُهُ ضَرْباً، فَيَقُولُ : أَوَمَا تُؤْمِنُ بِي ؟ فَيَقُولُ : أَنْتَ المَسِيحُ الكَذَّابُ ! فَيُؤْمَرُ بِهِ، فَيُؤْشَرُ بِالمنْشَارِ مِنْ مَفْرِقِهِ حَتَّى يُفَرِّقَ بَيْنَ رِجْلَيْهِ . ثُمَّ يَمْشِي الدَّجَّالُ بَيْنَ القِطْعَتَيْنِ ثُمَّ يَقُولُ لَهُ : قُمْ، فَيَسْتَوِي قَائِماً . ثُمَّ يَقُولُ لَهُ : أَتُؤْمِنُ بِي ؟ فَيَقُولُ : مَا ازْدَدْتُ فِيكَ إِلاَّ بَصِيرَةً . ثُمَّ يَقُولُ : يَا أَيُّهَا النَّاسُ إنَّهُ لاَ يَفْعَلُ بَعْدِي بِأَحَدٍ مِنَ النَّاسِ ؛ فَيَأخُذُهُ الدَّجَّالُ لِيَذْبَحَهُ، فَيَجْعَلُ اللهُ مِا بَيْنَ رَقَبَتِهِ إلَى تَرْقُوَتِهِ نُحَاساً، فَلاَ يَسْتَطِيعُ إِلَيهِ سَبِيلاً، فَيَأخُذُهُ بِيَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ فَيَقْذِفُ بِهِ، فَيَحْسَبُ النَّاسُ أَنَّهُ قَذَفَهُ إلَى النَّارِ، وَإِنَّمَا أُلْقِيَ فِي الجَنَّةِ» . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم :«هَذَا أَعْظَمُ النَّاس شَهَادَةً عِندَ رَبِّ العَالَمِينَ» . رواه مسلم . وروى البخاري بعضه بمعناه .

وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «يخرج الدجال فيتوجه قبله رجل من المومنين فيتلقاه المسالح : مسالح الدجال . فيقولون له : الى اين تعمد ؟ فيقول : اعمد الى هذا الذي خرج . فيقولون له : اوما تومن بربنا ؟ فيقول : ما بربنا خفاء ! فيقولون : اقتلوه . فيقول بعضهم لبعض : اليس قد نهاكم ربكم ان تقتلوا احدا دونه ؟ فينطلقون به الى الدجال، فاذا راه المومن قال: يا ايها الناس، ان هذا الدجال الذي ذكر رسول الله صلى الله عليه وسلم ؛ فيامر الدجال به فيشبح ؛ فيقول : خذوه وشجوه . فيوسع ظهره وبطنه ضربا، فيقول : اوما تومن بي ؟ فيقول : انت المسيح الكذاب ! فيومر به، فيوشر بالمنشار من مفرقه حتى يفرق بين رجليه . ثم يمشي الدجال بين القطعتين ثم يقول له : قم، فيستوي قاىما . ثم يقول له : اتومن بي ؟ فيقول : ما ازددت فيك الا بصيرة . ثم يقول : يا ايها الناس انه لا يفعل بعدي باحد من الناس ؛ فياخذه الدجال ليذبحه، فيجعل الله ما بين رقبته الى ترقوته نحاسا، فلا يستطيع اليه سبيلا، فياخذه بيديه ورجليه فيقذف به، فيحسب الناس انه قذفه الى النار، وانما القي في الجنة» . فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم :«هذا اعظم الناس شهادة عند رب العالمين» . رواه مسلم . وروى البخاري بعضه بمعناه .

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "Dajjal (the Antichrist) will come forth and a person from amongst the believers will go towards him and the armed watchmen of Dajjal will meet him and they will say to him: 'Where do you intend to go?' He will say: 'I intend to go to this one who has appeared.' They will say to him: 'Don't you believe in our lord (meaning Dajjal)?' He will say: 'There (i.e., we know Him to be Allah, Alone, without any partners) is nothing hidden about our Rubb.' Some of them will say: 'Let us kill him', but some others will say: 'Has your lord (Dajjal) not forbidden you to kill anyone without his consent?' So they will take him to Dajjal. When the believer will see him, he will say: 'O people! This is Dajjal about whom the Messenger of Allah (ﷺ) has informed us.' Dajjal will have him laid on his stomach and have his head. He will be struck on his back and on his stomach. Dajjal will ask him: 'Don't you believe in me?' He will say: 'You are the false Messiah.' He will then give his order to have him sawn with a saw into two from the parting of his hair up to his legs. After that Dajjal will walk between the two halves and will say to him: 'Stand up', and he will stand on his feet. He will then say to him: 'Don't you believe in me?' The person will say: 'It has added to my insight that you are Dajjal'. He will add: 'O people! He will not be able to behave with anyone amongst people in such a manner after me.' Dajjal will try to kill him. The space between his neck and collarbone will turn into copper and he will find no way to kill him. So he will catch hold of him by his hand and feet and throw him into (what appears to be the fire). The people will think that he has been thrown into the fire whereas he will be thrown into Jannah." The Messenger of Allah (ﷺ) added, "He will be the most eminent amongst the people with regard to martyrdom near the Rubb of the worlds."

[Muslim]

Commentary: In this narration we find the description of a believer's steadfastness and forbearance and his final martyrdom while facing the wickedness and temptation of the mischief of Dajjal, i.e., Antichrist.
Here, we find that the part of his neck will turn into copper which could either happen in reality or, according to another interpretation, that he (Dajjal) will not be able to kill him. Allah knows better, as Allah can do whatever He likes, or it may just be a statement like a parable or a simile and some people think that this refers to the fact that Dajjal will not be able to cut his neck. But it is better to consider it in terms of reality


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

৯/১৮২৫। মুগীরা ইবনে শু’বা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দাজ্জাল সম্পর্কে যত জিজ্ঞাসা করেছি, তার চেয়ে বেশি আর কেউ করেনি। তিনি আমাকে বললেন, ’’ও তোমার কি ক্ষতি করবে?’’ আমি বললাম, ’লোকেরা বলে যে, তার সাথে রুটির পাহাড় ও পানির নহর থাকবে।’ তিনি বললেন, ’’আল্লাহর কাছে তা অতি সহজ।’’ (বুখারী-মুসলিম)[1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنِ الْمُغِيرَةِ بنِ شُعبَةَ رضي الله عنه قَالَ: مَا سَأَلَ أَحَدٌ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَن الدَّجَّالِ أَكْثَرَ مِمَّا سَأَلْتُهُ ؛ وَإِنَّهُ قَالَ لِي : «مَا يَضُرُّكَ؟» قُلْتُ : إِنَّهُمْ يَقُولُونَ : إِنَّ مَعَهُ جَبَلَ خُبْزٍ وَنَهَرَ مَاءٍ . قَالَ: «هُوَ أَهْوَنُ عَلَى اللهِ مِنْ ذَلكَ» . متفق عليه

وعن المغيرة بن شعبة رضي الله عنه قال: ما سال احد رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الدجال اكثر مما سالته ؛ وانه قال لي : «ما يضرك؟» قلت : انهم يقولون : ان معه جبل خبز ونهر ماء . قال: «هو اهون على الله من ذلك» . متفق عليه

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Al-Mughirah bin Shu'bah (May Allah be pleased with him) said:
No one asked the Messenger of Allah (ﷺ) more about Dajjal than I asked him. He said to me, "He will not harm you." I said: "O Messenger of Allah, it is reported that he will have with him a mountain of bread and a river full of water." Thereupon he said, "He (Dajjal) is far too worthless and insignificant near Allah (to let him deceive the believers)."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: The last part of the Hadith means that, although Dajjal will have great resources and methods of misleading people, the true believers will not be deceived by his tricks; on the contrary, they will increase in Faith (as what the Prophet (PBUH) said about Dajjal is true).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

১০/১৮২৬। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’এমন কোন নবী নেই, যিনি নিজ উম্মতকে মহা-মিথ্যাবাদী কানা [দাজ্জাল] সম্পর্কে সতর্ক করেননি। কিন্তু [মনে রাখবে,] সে [এক চোখের] কানা হবে। আর নিশ্চয় তোমাদের মহামহিমান্বিত প্রতিপালক কানা নন। তার কপালে ’কাফ-ফা-রা’ [কাফের] শব্দ লেখা থাকবে।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ وَقَدْ أَنْذَرَ أُمَّتَهُ الأَعْوَرَ الكَذَّابَ، أَلاَ إِنَّهُ أَعْوَرُ، وَإِنَّ رَبَّكُمْ ـ عَزَّ وَجَلَّ ـ لَيْسَ بِأَعْوَرَ، مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ ك ف ر» . متفق عليه

وعن انس رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ما من نبي الا وقد انذر امته الاعور الكذاب، الا انه اعور، وان ربكم ـ عز وجل ـ ليس باعور، مكتوب بين عينيه ك ف ر» . متفق عليه

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Anas (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "There has not been a Prophet who has not warned his Ummah of that one-eyed liar (Dajjal). Behold, he is blind in one eye and your Rubb (Allah) is not blind. On his forehead are the letters: (K.F.R.) (meaning Kafir- disbeliever)."

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

১১/১৮২৭। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’শোন! তোমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে আমি কি এমন কথা বলব না, যা কোন নবীই তাঁর জাতিকে বলেননি? তা হল এই যে, সে হবে কানা। আর সে নিজের সাথে নিয়ে আসবে জান্নাত ও জাহান্নামের মত কিছু। যাকে সে জান্নাত বলবে, বাস্তবে সেটাই জাহান্নাম হবে।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ حَدِيثاً عَنِ الدَّجَّالِ مَا حَدَّثَ بِهِ نَبِيٌّ قَومَهُ ! إِنَّهُ أَعوَرُ، وَإِنَّهُ يَجِيءُ مَعَهُ بِمِثالِ الجنَّةِ وَالنَّارِ، فَالَّتِي يَقُولُ إِنَّهَا الجَنَّةُ هِيَ النَّارُ» . متفقٌ عليهِ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «الا احدثكم حديثا عن الدجال ما حدث به نبي قومه ! انه اعور، وانه يجيء معه بمثال الجنة والنار، فالتي يقول انها الجنة هي النار» . متفق عليه

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Let me tell you something about Dajjal (the Antichrist) which no Prophet had told his people. He is blind (in one eye) and will bring with him something like Jannah and Hell; but what he calls Jannah will be in fact Hell."

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

১২/১৮২৮। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের সামনে দাজ্জাল সংক্রান্ত আলোচনা করে বললেন, ’’নিশ্চয় আল্লাহ কানা নন। সাবধান! মসীহ দাজ্জালের ডান চোখ কানা এবং তার চোখটি যেন [গুচ্ছ থেকে] ভেসে ওঠা আঙ্গুর।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

* [অর্থাৎ অন্য চোখটির তুলনায় এ চোখটি বাইরে বেরিয়ে থাকবে।]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ الدَّجَّالَ بَيْنَ ظَهْرَانَي النَّاسِ، فَقَالَ: «إنَّ اللهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ، أَلاَ إِنَّ المَسِيحَ الدَّجَّالَ أَعْوَرُ العَيْنِ اليُمْنَى، كَأنَّ عَيْنَهُ عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ». متفق عليه

وعن ابن عمر رضي الله عنهما : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم ذكر الدجال بين ظهراني الناس، فقال: «ان الله ليس باعور، الا ان المسيح الدجال اعور العين اليمنى، كان عينه عنبة طافية». متفق عليه

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


'Abdullah bin 'Umar (May Allah be pleased with them) said:
One day the Messenger of Allah (ﷺ) mentioned Al-Masih Dajjal (the Antichrist) in the presence of the people and said, "Verily, Allah is not one-eyed but Al-Masih Ad-Dajjal is blind in the right eye which looks like a swollen grape."

[Al-Bukhari and Muslim]


Commentary: All these narrations about the mischief of Dajjal are correct and have been narrated through reliable narrators, and all scholars agree on their being true. They have been reported by Al-Bukhari and Muslim, whose narrations are unanimously accepted by the `Ulama'.
The second coming of the Prophet 'Isa (Jesus) from the heavens is proved on the basis of such reliable and true narrations that none can contradict them. Before the Day of Resurrection all these things will happen, and it is essential to believe in them.
Dajjal would be a descendant of the Jews, and he will be called Dajjal because of his mischief. The meaning of Dajjal is `one who greatly resorts to fraud and deception'.
Allah will also give him some extraordinary powers to test the belief of the Muslims. Dajjal will claim to be the lord of the world. A large portion of the Jews will be with him. He has also been named as Al-Masih Ad-Dajjal in some narrations. Jesus, son of Mary (Peace be upon them) will have the honour of killing him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

১৩/১৮২৯। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ’’কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যে পর্যন্ত মুসলিমরা ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে। এমনকি ইহুদী পাথর ও গাছের আড়ালে আত্মগোপন করলে পাথর ও গাছ বলবে ’হে মুসলিম! আমার পিছনে ইহুদী রয়েছে। এসো, ওকে হত্যা কর।’ কিন্তু গারক্বাদ গাছ [এরূপ বলবে] না। কেননা এটা ইহুদীদের গাছ।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يُقَاتِلَ المُسْلِمُونَ اليَهُودَ، حَتَّى يَخْتَبِئَ اليَهُودِيُّ مِنْ وَرَاء الحَجَرِ وَالشَّجَرِ . فَيَقُولُ الحَجَرُ وَالشَّجَرُ : يَا مُسْلِمُ هَذَا يَهُودِيٌّ خَلْفِي تَعَالَ فَاقْتُلْهُ ؛ إِلاَّ الغَرْقَدَ فَإِنَّهُ مِنْ شَجَرِ اليَهُودِ». متفق عليه

وعن ابي هريرة رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «لا تقوم الساعة حتى يقاتل المسلمون اليهود، حتى يختبى اليهودي من وراء الحجر والشجر . فيقول الحجر والشجر : يا مسلم هذا يهودي خلفي تعال فاقتله ؛ الا الغرقد فانه من شجر اليهود». متفق عليه

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah(ﷺ) said, "The Last Hour will not come until the Muslims fight against the Jews, until a Jew will hide himself behind a stone or a tree, and the stone or the tree will say: 'O Muslim, there is a Jew behind me. Come and kill him,' but Al-Gharqad tree will not say so, for it is the tree of the Jews."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Gharqad is a thorny plant which is well-known in the area of Palestine. Allah can bestow the power of speech to whatever thing He likes. When Allah wills, He will give mastery to the Muslims. He will help them even by means of plants and stones which will assist the Muslims against the Jews by informing them about the whereabouts of the Jews.

The Jews have predominance over the Muslims in spite of the fact that they are a minority. But according to this true narration, the situation will definitely change before the Day of Resurrection, and the Muslims will dominate the Jews. Allah is the Master and Rubb of everything


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

১৪/১৮৩০। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন আছে! ততক্ষণ পর্যন্ত দুনিয়া বিনাশ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না কোন ব্যক্তি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম-কালে উক্ত কবরের উপর গড়াগড়ি দেবে আর বলবে, ’হায়! হায়! যদি আমি এই কবর-বাসীর স্থানে হতাম!’ এরূপ উক্তি সে দ্বীন রক্ষার মানসে বলবে না, বরং তা বলবে পার্থিব বালা-মুসীবতে অতিষ্ঠ হওয়ার কারণে।’’ (বুখারী-মুসলিম)[1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْه رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ تَذْهَبُ الدُّنْيَا حَتَّى يَمُرَّ الرَّجُلُ عَلَى القَبْرِ، فَيَتَمَرَّغَ عَلَيْهِ وَيَقُولُ : يَالَيْتَنِي كُنْتُ مَكَانَ صَاحِبِ هَذَا القَبْرِ، وَلَيْسَ بِهِ الدِّينُ، مَا بِهِ إِلاَّ البَلاَءُ» . متفق عليه

وعنه رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «والذي نفسي بيده لا تذهب الدنيا حتى يمر الرجل على القبر، فيتمرغ عليه ويقول : ياليتني كنت مكان صاحب هذا القبر، وليس به الدين، ما به الا البلاء» . متفق عليه

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "By Him in Whose Hand my soul is, the world will not come to an end until a man passes by a grave and will lie over it saying, 'Would that I were in this grave (i.e., dead)!' Not he will say so because of religious reasons but because of widespread mischief and severe trials of this world."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: There would be such disasters and agony in the world that people will prefer death to life under such conditions. This situation will arise before the Day of Resurrection, and the Day of Judgement will dawn on such wicked people.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

১৫/১৮৩১। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’ততদিন পর্যন্ত মহাপ্রলয় সংঘটিত হবে না, যতদিন পর্যন্ত ফুরাত নদী [তার গর্ভস্থ] একটি সোনার পাহাড় বের না করে দেবে; যা নিয়ে যুদ্ধ চলবে। তাতে নিরানব্বই শতাংশ মানুষ নিহত হবে! তাদের প্রত্যেকেই বলবে যে, ’সম্ভবত: আমি বেঁচে যাব।’’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’অদূর ভবিষ্যতে ফুরাত নদী তার গর্ভস্থ স্বর্ণের খনি বের করে দেবে। সুতরাং সে সময় যে সেখানে উপস্থিত হবে, সে যেন তা থেকে কিছুই গ্রহণ না করে।’’ (বুখারী-মুসলিম)[1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْهُ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَحْسِرَ الفُرَاتُ عَنْ جَبَلٍ مِنْ ذَهَبٍ يُقْتَتَلُ عَلَيْهِ، فَيُقْتَلُ مِنْ كُلِّ مِئَةٍ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ، فَيَقُولُ كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ : لَعَلِّي أَنْ أَكُونَ أَنَا أَنْجُو». وَفي رواية : «يُوشِكُ أَنْ يَحْسِرَ الفُرَاتُ عَنْ كَنْزٍ مِنْ ذَهَبٍ، فَمَنْ حَضَرَهُ فَلاَ يَأخُذْ مِنْهُ شَيْئاً». متفق عليه

وعنه رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا تقوم الساعة حتى يحسر الفرات عن جبل من ذهب يقتتل عليه، فيقتل من كل مىة تسعة وتسعون، فيقول كل رجل منهم : لعلي ان اكون انا انجو». وفي رواية : «يوشك ان يحسر الفرات عن كنز من ذهب، فمن حضره فلا ياخذ منه شيىا». متفق عليه

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The Hour will not come to pass before the River Euphrates dries up to unveil the mountain of gold, for which people will fight. Ninety-nine out of one hundred will die (in the fighting) and every man amongst them will say: 'Perhaps I may be the only one to remain alive."'

Another narration is: "The time is near when the River Euphrates will dry up to unveil a treasure of gold. Whosoever may be alive at that time, should not take anything of it."

[Al-Bukhari and Muslim]


Commentary: The word "Yahsir" means unveil or uncover, i.e., the river will dry up and gold will be discovered underneath its bottom when Allah would like to do so. This will also surely take place before the Day of Judgement. When this incident will take place, only those people would remain safe who will be free from worldly greed and will not try to get this gold.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

১৬/১৮৩২। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’’মদিনার অবস্থা উত্তম থাকা সত্ত্বেও তার অধিবাসীরা মদিনা ত্যাগ করে চলে যাবে। [সে সময়] সেখানে কেবল বন্য হিংস্র পশু-পক্ষীতে ভরে যাবে। সব শেষে যাদের উপর কিয়ামত সংঘটিত হবে, তারা মুযাইনাহ গোত্রীয় দু’জন রাখাল, যারা নিজেদের ছাগলের পাল হাঁকাতে হাঁকাতে মদিনা অভিমুখে নিয়ে যাবে। তারা মদিনাকে হিংস্র জীব-জন্তুতে ঠাসা অবস্থায় পাবে। তারপর যখন তারা [মদিনার উপকণ্ঠে অবস্থিত] ’সানিয়্যাতুল্ অদা’ নামক স্থানে পৌঁছবে, তখন তারা মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে যাবে।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : «يَتْرُكُونَ المَدِينَةَ عَلَى خَيْرِ مَا كَانَتْ، لاَ يَغْشَاهَا إِلاَّ العَوَافِي يُرِيدُ ـ عَوَافِي السِّبَاعِ وَالطَّيرِ ـ وَآخِرُ مَنْ يُحْشَرُ رَاعِيَانِ مِنْ مُزَيْنَةَ يُرِيدَانِ المَدِينَةَ يَنْعِقَانِ بِغَنَمِهِمَا فَيَجِدَانِهَا وُحُوشاً، حَتَّى إِذَا بَلَغَا ثَنِيَّةَ الوَدَاعِ خَرَّا عَلَى وُجُوهِهمَا» . متفق عليه

وعنه، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : «يتركون المدينة على خير ما كانت، لا يغشاها الا العوافي يريد ـ عوافي السباع والطير ـ واخر من يحشر راعيان من مزينة يريدان المدينة ينعقان بغنمهما فيجدانها وحوشا، حتى اذا بلغا ثنية الوداع خرا على وجوههما» . متفق عليه

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "People will desert Al-Madinah in spite of it being in better condition except for wild beasts and birds. The Last Hour will happen upon two shepherds of the tribe of Muzainah. They will enter Al-Madinah driving their sheep but will find it full of wild beasts and would turn away. When they will arrive at the hill named Thaniyyat-ul-Wada' they will fall on their faces."

[Al- Bukhari and Muslim].

Commentary: According to some scholars like Al-Qadi `Iyad, this prophecy has already been fulfilled, when the caliphate was shifted from Al-Madinah to Syria and Mesopotamia, although Al-Madinah was superior to these places in every way, worldly or otherwise, scholars were in abundance and the people were well off. However, others say that the prophecy has not been fulfilled yet, and that it will be fulfilled shortly before the Day of Judgement; they hold this view because the conditions described in the narration have not taken place. This second view seems to be more correct.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

১৭/১৮৩৩। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’শেষ যুগে তোমাদের একজন খলীফা হবে, যে দু’ হাতে করে ধন-সম্পদ দান করবে এবং গুনবেও না।’’ (মুসলিম) [1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «يَكُونُ خَلِيفَةٌ مِنْ خُلَفَائِكُمْ فِي آخِرِ الزَّمَانِ يَحْثُو المَالَ وَلاَ يَعُدُّهُ» . رواه مسلم

وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه: ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: «يكون خليفة من خلفاىكم في اخر الزمان يحثو المال ولا يعده» . رواه مسلم

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) said:
The Prophet (ﷺ) said, "From your caliphs there will be one in the Last Days who will distribute wealth without counting it."

[Muslim].

Commentary: Here the abundance of wealth during the time of a caliph has been prophesied. This also refers to the last days of the world.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

১৮/১৮৩৪। আবূ মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’লোকদের উপর এমন একটি সময় অবশ্যই আসবে, যখন মানুষ সোনার যাকাত নিয়ে ঘোরাঘুরি করবে; কিন্তু সে এমন কাউকে পাবে না যে, তার নিকট হতে তা গ্রহণ করবে। আর দেখা যাবে যে, পুরুষের সংখ্যা কম ও মহিলার সংখ্যা বেশী হওয়ার দরুন একটি পুরুষের দায়িত্বে চল্লিশ-জন মহিলা হবে, যারা তার আশ্রিতা হয়ে থাকবে।’’ (মুসলিম) [1]

* [ব্যাপক যুদ্ধ ও ধ্বংসকারিতার কারণে অধিকমাত্রায় পুরুষ মারা যাবার ফলে এরূপ হবে কিংবা এমনিতেই পুরুষ অপেক্ষা নারীর জন্মহার বৃদ্ধি পাবে।]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «لَيَأتِيَنَّ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَطُوفُ الرَّجُلُ فِيهِ بِالصَّدَقَةِ مِنَ الذَّهَبِ فَلاَ يَجِدُ أَحَداً يَأخُذُهَا مِنهُ، وَيُرَى الرَّجُلُ الوَاحِدُ يَتْبَعُهُ أَرْبَعُونَ امْرَأَةً يَلُذْنَ بِهِ مِنْ قِلَّةِ الرِّجَالِ وَكَثْرَةِ النِّسَاءِ» . رواه مسلم

وعن ابي موسى الاشعري رضي الله عنه: ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: «لياتين على الناس زمان يطوف الرجل فيه بالصدقة من الذهب فلا يجد احدا ياخذها منه، ويرى الرجل الواحد يتبعه اربعون امراة يلذن به من قلة الرجال وكثرة النساء» . رواه مسلم

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Abu Musa Al-Ash'ari (May Allah be pleased with him) said:
The Prophet (ﷺ) said, "A time will come when a man will go about with alms from his gold and will not find anyone to receive it. One man will be seen being followed by forty women dependant upon him on account of the scarcity of men and excess of women."

[Muslim].

Commentary: This Hadith also reveals one of the prophecies of the Prophet (PBUH) which have not been fulfilled yet. One of them is that wealth will be abundant and females will greatly exceed the males in number. This may happen due to wars, when more males will be killed, or the birth rate of females may exceed that of the males.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

১৯/১৮৩৫। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’[প্রাচীনকালে] একটি লোক অন্য ব্যক্তির কাছ হতে কিছু জায়গা ক্রয় করল। ক্রেতা ঐ জায়গায় [প্রোথিত] একটি কলসী পেল, যাতে স্বর্ণ ছিল। জায়গার ক্রেতা বিক্রেতাকে বলল, ’তোমার স্বর্ণ নিয়ে নাও। আমি তো তোমার জায়গা খরিদ করেছি, স্বর্ণ তো খরিদ করিনি।’ জায়গার বিক্রেতা বলল, ’আমি তোমাকে জায়গা এবং তাতে যা কিছু আছে সবই বিক্রি করেছি।’ অতঃপর তারা উভয়েই এক ব্যক্তির নিকট বিচার প্রার্থী হল। বিচারক ব্যক্তি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, ’তোমাদের সন্তান আছে কি?’ তাদের একজন বলল, ’আমার একটি ছেলে আছে।’ অপরজন বলল, ’আমার একটি মেয়ে আছে।’ বিচারক বললেন, ’তোমরা ছেলেটির সাথে মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দাও এবং ঐ স্বর্ণ থেকে তাদের জন্য খরচ কর এবং দান কর।’’ বুখারী-মুসলিম)[1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «اِشْتَرَى رَجُلٌ مِنْ رَجُلٍ عَقَاراً، فَوَجَدَ الَّذِيْ اشْتَرَى العَقَارَ فِي عَقَارِهِ جَرَّةً فِيهَا ذَهَبٌ، فَقَالَ لَهُ الَّذِي اشْتَرَى العَقَارَ : خُذْ ذَهَبَكَ، إنَّمَا اشْتَرَيْتُ مِنْكَ الأَرْضَ وَلَمْ أَشْتَرِ الذَّهَبَ، وَقَالَ الَّذِي لَهُ الأَرْضُ : إِنَّمَا بِعْتُكَ الأَرْضَ وَمَا فِيهَا، فَتَحَاكَمَا إِلَى رَجُلٍ، فَقَالَ الَّذِي تَحَاكَمَا إِلَيْهِ : أَلَكُمَا وَلَدٌ ؟ قَالَ أَحَدُهُمَا : لِي غُلاَمٌ، وَقَالَ الآخَرُ : لِي جَارِيَةٌ، قَالَ: أَنْكِحَا الغُلاَمَ الجَارِيَةَ، وَأَنْفِقَا عَلَى أَنْفُسِهمَا مِنْهُ وَتَصَدَّقَا» . متفق عليه

وعن ابي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «اشترى رجل من رجل عقارا، فوجد الذي اشترى العقار في عقاره جرة فيها ذهب، فقال له الذي اشترى العقار : خذ ذهبك، انما اشتريت منك الارض ولم اشتر الذهب، وقال الذي له الارض : انما بعتك الارض وما فيها، فتحاكما الى رجل، فقال الذي تحاكما اليه : الكما ولد ؟ قال احدهما : لي غلام، وقال الاخر : لي جارية، قال: انكحا الغلام الجارية، وانفقا على انفسهما منه وتصدقا» . متفق عليه

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "A man bought a piece of land from another man, and the buyer found a jar filled with gold in the land. The buyer said to the seller: 'Take your gold, as I bought only the land from you and not the gold.' The owner of the land said: 'I sold you the land with everything in it.' So both of them took their case before a third man who asked: 'Have you any children?' One of them said: 'I have a boy.' The other said, 'I have a girl.' The man said: 'Marry the girl to the boy and spend the money on them; and whatever remains give it in charity."'

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This is the story of some people from the past, in which exemplary honesty, piety and the will to abstain from the doubtful property has been described. But as far as the law of Shari`ah is concerned, it appears that in the transaction of land, any buried treasure will not be included in the sale. It will be considered quite separately and apart from the sale of the land. If the previous owner says that the treasure belongs to him and he forgot to take it out, then it will be considered as his property and not the property of the buyer of the land. But if he shows ignorance about it, then it will be considered under the title of "Rikaz". In such a case, one-fifth of it goes to the
public treasury and the rest to the owner of the land. Rikaz refers to any buried treasure which is discovered in any land.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values

পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে

২০/১৮৩৬। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, ’’দু’জন মহিলার সাথে তাদের দু’টি ছেলে ছিল। একদা একটি নেকড়ে বাঘ এসে তাদের মধ্যে একজনের ছেলেকে নিয়ে গেল। একজন মহিলা তার সঙ্গিনীকে বলল, ’বাঘে তোমার ছেলেকেই নিয়ে গেছে।’ অপরজন বলল, ’তোমার ছেলেকেই বাঘে নিয়ে গেছে।’ সুতরাং তারা দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর নিকট বিচার প্রার্থিনী হল। তিনি [অবশিষ্ট ছেলেটি] বড় মহিলাটির ছেলে বলে ফায়সালা করে দিলেন। অতঃপর তারা দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর পুত্র সুলায়মান আলাইহিস সালাম-এর নিকট বের হয়ে গিয়ে উভয়েই আনুপূর্বিক ঘটনাটি বর্ণনা করল। তখন তিনি বললেন, ’আমাকে একটি চাকু দাও। আমি একে দু টুকরো করে দু’জনের মধ্যে ভাগ করে দেব।’ তখন ছোট মহিলাটি বলল, ’আপনি এরূপ করবেন না। আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। ছেলেটি ওরই।’ তখন তিনি ছেলেটি ছোট মহিলার [নিশ্চিত জেনে] ফায়সালা দিলেন।’’ (বুখারী-মুসলিম)[1]

(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا

وَعنه: أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «كَانَتِ امْرَأَتَانِ مَعَهُمَا ابْنَاهُمَا، جَاءَ الذِّئْبُ فَذَهَبَ بِابْنِ إِحْدَاهُمَا . فَقَالَتْ لِصَاحِبَتِهَا : إِنَّمَا ذَهَبَ بِابْنِكِ، وَقَالَتِ الأُخْرَى : إِنَّمَا ذَهَبَ بِابْنِكِ، فَتَحَاكَمَا إِلَى دَاوُدَ عليه السلام فَقَضَى بِهِ لِلْكُبْرَى، فَخَرَجَتَا عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ عليه السلام فَأَخْبَرَتَاهُ . فَقَالَ: ائْتُونِي بِالسِّكِّينِ أَشُقُّهُ بَيْنَهُمَا . فَقَالَتِ الصُّغْرَى : لاَ تَفْعَلْ ! رَحِمَكَ اللهُ، هُوَ ابْنُهَا . فَقَضَى بِهِ لِلصُّغْرَى» . متفق عليه

وعنه: انه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «كانت امراتان معهما ابناهما، جاء الذىب فذهب بابن احداهما . فقالت لصاحبتها : انما ذهب بابنك، وقالت الاخرى : انما ذهب بابنك، فتحاكما الى داود عليه السلام فقضى به للكبرى، فخرجتا على سليمان بن داود عليه السلام فاخبرتاه . فقال: اىتوني بالسكين اشقه بينهما . فقالت الصغرى : لا تفعل ! رحمك الله، هو ابنها . فقضى به للصغرى» . متفق عليه

(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "There were two women, each had her child with her. A wolf came and took away the child of one of them. One woman said to her companion: 'The wolf has taken your son.' The other said: 'It has taken your son.' So both of them took the dispute to Prophet Dawud (David) (ﷺ) who judged that the boy should be given to the older lady. Then they went to Prophet Sulaiman (Solomon) (ﷺ) son of Dawud and put the case before him. Prophet Sulaiman said: 'Give me a knife so that I may cut the child into two and give one half to each of you.' The younger woman said: 'Do not do so; may Allah bless you! He is her child.' On that Prophet Sulaiman decided the case in favour of the younger woman."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Prophet Sulaiman (Solomon) (PBUH) went to the depth of the matter by wisdom bestowed by Allah and the power of decision using a device or a trick as a method of discovering the truth. He used this trick to discover the truth and not to evade it. Such a trick is not forbidden in the law and there is no doubt in its being permitted. However, those tricks which are used to avoid the law are a great sin for which the Jews are well-known. May Allah save us from such things.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ (كتاب المنثورات والملح) The Book of Miscellaneous ahadith of Significant Values
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »