পরিচ্ছেদঃ ৩০২ : মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
১/১৬৬৬। উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মৃত ব্যক্তিকে তার কবরের মধ্যে তার জন্য মাতম করে কান্না করার দরুন শাস্তি দেওয়া হয়।’’ (বুখারী ও মুসলিম) অন্য এক বর্ণনায় আছে, যতক্ষণ তার জন্য মাতম করে কান্না করা হয়, [ততক্ষণ মৃত-ব্যক্তির আযাব হয়।] [1]
(302) بَابُ تَحْرِيْمِ النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ، وَلَطْمِ الْخَدِّ وَشَقِّ الْجَيْبِ وَنَتْفِ الشَّعْرِ وَحَلْقِهِ، وَالدُّعَاءِ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُوْرِ
عَنْ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم: المَيِّتُ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ . وَفِي روايةٍ : «مَا نِيحَ عَلَيْهِ» . متفق عليه
(302) Chapter: Prohibition of Bewailing the Deceased
'Umar bin Al-Khattab (May Allah be pleased with him) said:
The Prophet (ﷺ) said, "The deceased is tortured in his grave for bewailing over him."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: "Bewailing'' is wailing over the dead. It is weeping loudly for the deceased describing his noble qualities or the problems created by his death. Wailing causes trouble to the deceased if he willed his heirs to do so, or in his own life he behaved in the same manner and his family members were following his style of mourning at his death. But if the deceased had forbidden his relatives from wailing over his death and they do it despite his warning against doing so, then the deceased will not suffer any torment on their wailing because his intention and training have no connection with it. The Qur'anic injunction in this matter is absolutely clear: "No one laden with burdens can bear another's burden.'' (17:15)
পরিচ্ছেদঃ ৩০২ : মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
২/১৬৬৭। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সে আমাদের দলভুক্ত নয়, যে [শোকের সময়] গালে আঘাত করে, বুকের কাপড় ছিঁড়ে এবং জাহেলিয়াতের ডাকের ন্যায় ডাক ছাড়ে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
* [অর্থাৎ চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে মৃত ব্যক্তির বীরত্ব, দানশীলতা ও বিভিন্ন গুণ বর্ণনা করে, যেমন: ও আমার বাঘ! ও আমার চাঁদ! ও আমার রাজা! ইত্যাদি]
(302) بَابُ تَحْرِيْمِ النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ، وَلَطْمِ الْخَدِّ وَشَقِّ الْجَيْبِ وَنَتْفِ الشَّعْرِ وَحَلْقِهِ، وَالدُّعَاءِ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُوْرِ
وَعَنِ ابنِ مَسعُود رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ ضَرَبَ الخُدُودَ، وَشَقَّ الجُيُوبَ، وَدَعَا بِدَعْوَى الجَاهِلِيَّةِ» . متفق عليه
(302) Chapter: Prohibition of Bewailing the Deceased
Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who (on befalling a calamity) slaps his cheeks, tears his clothes and follows the ways and traditions of the Days of Ignorance is none of us."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: "He is none of us'' here signifies that he is not following the ways of Muslims. "The ways and traditions of the Days of Ignorance'' means here wailing, i.e., `Alas! my lion, my moon, my support, one whose death has rendered his children orphan etc., etc.' This is a grave sin and there is a stern warning that one who does it, is in danger of losing his Faith because by doing so one, in fact, expresses resentment against Allah's Command.
পরিচ্ছেদঃ ৩০২ : মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
৩/১৬৬৮। আবূ বুরদাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, [তাঁর পিতা] আবূ মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু যন্ত্রণায় কাতর হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আর [ঐ সময়] তাঁর মাথা তাঁর এক স্ত্রীর কোলে রাখা ছিল এবং সে চিৎকার করে কান্না করতে লাগল। তিনি [অজ্ঞান থাকার কারণে] তাকে বাধা দিতে পারলেন না। সুতরাং যখন তিনি চেতনা ফিরে পেলেন, তখন বলে উঠলেন, ’আমি সেই মহিলা থেকে সম্পর্কমুক্ত, যে মহিলা থেকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কমুক্ত হয়েছেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই মহিলা থেকে সম্পর্কমুক্ত হয়েছেন, যে শোকে উচ্চ স্বরে মাতম করে কান্না করে, মাথা মুণ্ডন করে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(302) بَابُ تَحْرِيْمِ النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ، وَلَطْمِ الْخَدِّ وَشَقِّ الْجَيْبِ وَنَتْفِ الشَّعْرِ وَحَلْقِهِ، وَالدُّعَاءِ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُوْرِ
وَعَنْ أَبِي بُرْدَةَ رضي الله عنه، قَالَ: وَجَعَ أَبُو مُوسَى رضي الله عنه، فَغُشِيَ عَلَيْهِ، وَرَأسُهُ فِي حِجْرِ امْرَأَةٍ مِنْ أَهْلِهِ، فَأَقْبَلَتْ تَصِيحُ بِرَنَّةٍ فَلَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يَرُدَّ عَلَيْهَا شَيْئاً، فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ: أَنَا بَرِيءٌ مِمَّنْ بَرِىءَ مِنْهُ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَرِيءٌ مِنَ الصَّالِقَةِ، وَالحَالِقَةِ، وَالشَّاقَّةِ . متفق عليه
(302) Chapter: Prohibition of Bewailing the Deceased
Abu Burdah (May Allah be pleased with him) reported:
(My father) Abu Musa got seriously ill and lost his consciousness. His head was in the lap of a woman of the family and she began to wail. When Abu Musa recovered his consciousness, he said: "I am innocent of those from whom Messenger of Allah (ﷺ) is innocent. Verily, the Messenger of Allah (ﷺ) declared himself free of (the responsibility) for a woman who wails, shaves her head and tears up her clothes."
[Al- Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith also tells us about the passion of the Companions to follow the saying and practice of the Prophet (PBUH)
পরিচ্ছেদঃ ৩০২ : মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
৪/১৬৬৯। মুগীরাহ ইবনে শু’বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছি যে, ’’যার জন্য মাতম করে কান্না করা হয়, তাকে কিয়ামতের দিনে তার জন্য মাতম করার দরুন শাস্তি দেওয়া হবে।’’ (বুখারী, মুসলিম) [1]
(302) بَابُ تَحْرِيْمِ النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ، وَلَطْمِ الْخَدِّ وَشَقِّ الْجَيْبِ وَنَتْفِ الشَّعْرِ وَحَلْقِهِ، وَالدُّعَاءِ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُوْرِ
وَعَنِ المُغِيرَةِ بنِ شُعبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : «مَنْ نِيحَ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ يُعَذَّبُ بِمَا نِيحَ عَلَيهِ يَومَ القِيَامَةِ» متفق عليه
(302) Chapter: Prohibition of Bewailing the Deceased
Al-Mughirah bin Shu'bah (May Allah be pleased with him) said:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "He who allows (others) to wail over his death, will be punished for it on the Day of Resurrection."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: The torment mentioned in this Hadith will be inflicted on the Day of Judgement upon that person who willed his heirs to wail on his death or who had brought up his family in such a manner that they were apt to wail about the death of their close relatives.
পরিচ্ছেদঃ ৩০২ : মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
৫/১৬৭০। উম্মে আত্বিআহ নুসাইবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’বায়আতের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে এই অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন যে, আমরা মৃত ব্যক্তির জন্য মাতম করব না।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(302) بَابُ تَحْرِيْمِ النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ، وَلَطْمِ الْخَدِّ وَشَقِّ الْجَيْبِ وَنَتْفِ الشَّعْرِ وَحَلْقِهِ، وَالدُّعَاءِ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُوْرِ
وَعَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ نُسَيْبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ : أَخَذَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عِندَ البَيْعَةِ أَنْ لاَ نَنُوحَ . متفق عليه
(302) Chapter: Prohibition of Bewailing the Deceased
Umm 'Atiyyah (May Allah be pleased with her) said:
At the time of giving the pledge of allegiance, the Messenger of Allah (ﷺ) took from us an oath that we would not wail.
[Al-Bukhari and Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ৩০২ : মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
৬/১৬৭১। নু’মান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু [একবার] অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁর বোন কান্না করতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন, ’ও [আমার] পাহাড় গো! ও আমার এই গো! ও আমার ওই গো!’ এভাবে তাঁর একাধিক গুণ বর্ণনা করতে লাগলেন। সুতরাং যখন তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন, তখন বললেন, ’তুমি যা কিছু বলেছ, সে সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছিল যে, তুমি ঐরূপ ছিলে নাকি?’ (বুখারী) [1]
(302) بَابُ تَحْرِيْمِ النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ، وَلَطْمِ الْخَدِّ وَشَقِّ الْجَيْبِ وَنَتْفِ الشَّعْرِ وَحَلْقِهِ، وَالدُّعَاءِ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُوْرِ
وَعَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: أُغْمِيَ عَلَى عَبدِ اللهِ بْنِ رَوَاحَةَ رضي الله عنه فَجَعَلَتْ أُخْتُهُ تَبْكِي، وَتَقُولُ : وَاجَبَلاهُ، وَاكَذَا، وَاكَذَا : تُعَدِّدُ عَلَيْهِ . فقالَ حِينَ أَفَاقَ : مَا قُلْتِ شَيْئاً إِلاَّ قِيلَ لِي أَنْتَ كَذَلِكَ ؟! . رواه البخاري
(302) Chapter: Prohibition of Bewailing the Deceased
An-Nu'man bin Bashir (May Allah be pleased with them) said:
When 'Abdullah bin Rawahah (May Allah be pleased with him) became unconscious, his sister began to weep and shout: "Alas! For the mountain among men. Alas! for such and such (mentioning his virtuous qualities)." When he recovered his consciousness, he said: "I was asked (disapprovingly, by the angels) about everything you said concerning me whether I am as you said."
[Al- Bukhari].
Commentary: We learn from this Hadith that one can be taken to task for bewailing somebody's death, especially for such qualities which are attributed to him by the mourners. Angels would rebuke and question him about the validity of the praise. Since the deceased did not possess those qualities, the wailing becomes a cause of reproach and reproof of the mourner.
পরিচ্ছেদঃ ৩০২ : মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
৭/১৬৭২। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সা’দ ইবনে উবাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার পীড়িত হলে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ, সা’দ ইবনে আবী অক্কাস এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদদের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট কুশল জিজ্ঞাসার জন্য গেলেন। যখন তিনি তাঁর নিকট উপস্থিত হলেন, তখন তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় পেলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ’’ও কি মারা গেছে?’’ লোকেরা জবাব দিল, ’হে আল্লাহর রাসূল! না [মারা যায়নি]।’ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেঁদে ফেললেন। সুতরাং লোকেরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কান্না করতে দেখল, তখন তারাও কাঁদতে লাগল। তিনি বললেন, ’’তোমরা কি শুনতে পাও না? নিঃসন্দেহে আল্লাহ চোখের অশ্রু ঝরাবার জন্য শাস্তি দেন না এবং আন্তরিক দুঃখ প্রকাশের জন্যও শাস্তি দেন না। কিন্তু তিনি তো এটার কারণে শাস্তি দেন অথবা দয়া করেন।’’ এই বলে তিনি নিজ জিভের প্রতি ইঙ্গিত করলেন। (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(302) بَابُ تَحْرِيْمِ النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ، وَلَطْمِ الْخَدِّ وَشَقِّ الْجَيْبِ وَنَتْفِ الشَّعْرِ وَحَلْقِهِ، وَالدُّعَاءِ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُوْرِ
وعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: اشْتَكَى سَعْدُ بنُ عُبَادَةَ شَكْوَى رَضِيَ اللهُ عَنهُ، فَأَتَاهُ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم، يَعُودُهُ مَعَ عَبدِ الرَّحمانِ بْنِ عَوفٍ، وَسَعْدِ بنِ أَبِي وَقَّاصٍ، وَعَبدِ اللهِ بنِ مَسعُود رضي الله عنه . فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ، وَجَدَهُ فِي غَشْيَةٍ فَقَالَ: «أَقَضَى ؟» قَالُوا : لاَ يَا رَسُولَ اللهِ ، فَبكَى رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا رَأَى القَوْمُ بُكَاءَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بَكَوْا، قَالَ: «أَلاَ تَسْمَعُونَ ؟ إِنَّ اللهَ لاَ يُعَذِّبُ بِدَمْعِ العَيْنِ، وَلاَ بِحُزْنِ القَلْبِ، وَلَكِنْ يُعَذِّبُ بِهَذَا - وَأَشَارَ إلَى لِسَانِهِ - أَو يَرْحَمُ» . متفق عليه
(302) Chapter: Prohibition of Bewailing the Deceased
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) visited Sa'd bin 'Ubadah during his illness. He was accompanied by 'Abdur-Rahman bin 'Auf, Sa'd bin Abu Waqqas and 'Abdullah bin Mas'ud (May Allah be pleased with them). When they entered his house, they found him unconscious. The Messenger of Allah asked, "Has he died?" They replied: "No, O Messenger of Allah." Hearing this the Messenger of Allah (ﷺ) began to weep. When his Companions saw this, they also began to weep too. He said, "Listen attentively: Allah does not punish for the shedding of tears or the grief of the heart, but takes to task or show mercy because of the utterances of this (and he pointed to his tongue)."
[Al- Bukhari and Muslim].
Commentary: We learn from this Hadith that grief and tears which occur involuntarily are not forbidden because they are quite natural, but if one starts crying and bewailing on such occasions, he will be sinful. The only permissible way of expressing one's grief in words is to say "Inna lillahi wa inna ilaihi raji`un'' which means "Truly! To Allah we belong and truly, to Him we shall return.'' (2:156).
To visit the sick is a meritorious act as well as a right of a Muslim upon another Muslim. Depending upon the occasion, one is also recommended to offer sincere advice and Islamic teachings.
পরিচ্ছেদঃ ৩০২ : মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
৮/১৬৭৩। আবূ মালেক আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মাতম-কারিণী মহিলা যদি মরণের পূর্বে তওবা না করে, তাহলে আলকাতরার পায়জামা এবং পাঁচড়ার জামা পরিহিতা অবস্থায় তাকে কিয়ামতের দিনে দাঁড় করানো হবে।’’ (মুসলিম) [1]
(302) بَابُ تَحْرِيْمِ النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ، وَلَطْمِ الْخَدِّ وَشَقِّ الْجَيْبِ وَنَتْفِ الشَّعْرِ وَحَلْقِهِ، وَالدُّعَاءِ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُوْرِ
وَعَن أَبِي مَالِكِ الأَشْعَرِي رَضِيَ اللهُ عَنهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «النَّائِحَةُ إِذَا لَمْ تَتُبْ قَبلَ مَوْتِهَا تُقَامُ يَومَ القِيَامَةِ وَعَلَيْهَا سِربَالٌ مِنْ قَطِرَانٍ، وَدِرْعٌ مِنْ جَرَبٍ» . رواه مسلم
(302) Chapter: Prohibition of Bewailing the Deceased
Abu Malik Al-Ash'ari (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "If the wailing woman does not repent before she dies, she will be made to stand on the Day of Resurrection wearing a garment of pitch and a garment of scabies (Allah knows the nature thereof)."
[Muslim].
Commentary: We learn from this Hadith that wailing is a major sin and if one does not make sincere repentance for it, Allah does not grant pardon for it, one will be made to suffer a torment of its own kind.
পরিচ্ছেদঃ ৩০২ : মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
৯/১৬৭৪। উসাইদ ইবনে আবূ উসাইদ তাবেয়ী, এমন এক মহিলা থেকে বর্ণনা করেন, যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বায়আতকারিণী মহিলাদের একজন ছিলেন। তিনি বলেন, ’আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব সৎকর্ম করতে ও তাতে তাঁর অবাধ্যতা না করতে আমাদের কাছে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, সে সবের মধ্যে এটিও ছিল যে, [শোকাহত হয়ে] আমরা চেহারা খামচাবো না, ধ্বংস ও সর্বনাশ কামনা করব না, বুকের কাপড় ছিঁড়ব না এবং মাথার চুল আলুথালু করব না।’ [আবূ দাঊদ হাসান সূত্রে] [1]
(302) بَابُ تَحْرِيْمِ النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ، وَلَطْمِ الْخَدِّ وَشَقِّ الْجَيْبِ وَنَتْفِ الشَّعْرِ وَحَلْقِهِ، وَالدُّعَاءِ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُوْرِ
وَعَنْ أُسَيدِ بنِ أَبِي أُسَيدٍ التَّابِعِيِّ، عَنِ امْرَأةٍ مِنَ المُبَايِعَاتِ، قَالَتْ :كَانَ فِيمَا أَخَذَ عَلَيْنَا رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي المَعْرُوفِ الَّذِي أَخَذَ عَلَيْنَا أَنْ لاَ نَعْصِيَهُ فِيهِ : أَنْ لاَ نَخْمِشَ وَجْهَاً، وَلاَ نَدْعُوَ وَيْلاً، وَلاَ نَشُقَّ جَيْباً، وَأَنْ لاَ نَنْشُرَ شَعْراً . رواه أبو داود بإسناد حسن
(302) Chapter: Prohibition of Bewailing the Deceased
Asid bin Abu Usaid reported:
A woman who had taken a pledge of allegiance at the hand of the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Among the matters in respect of which we gave the Messenger of Allah (ﷺ) the pledge not to disobey him in any Ma'ruf [i.e., all that Islam ordains (V:60:12)] was that we should not slap our faces, bewail, tear our clothes up and tear out our hair (in grief)."
[Abu Dawud].
পরিচ্ছেদঃ ৩০২ : মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
১০/১৬৭৫। আবূ মুসা আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যখনই কোনো মৃত্যুগামী ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করে। আর তার পাশে দাঁড়িয়ে রোদন-কারিণী রোদন করে এবং বলে, ’ও আমার পাহাড় গো! ও আমার সর্দার গো!’ অথবা অনুরূপ আরও কিছু বলে, তখনই সেই মৃতের জন্য দু’জন ফিরিশতা নিযুক্ত করা হয়, যারা তার বুকে ঘুষি মেরে বলতে থাকেন, ’তুই কি ঐ রকম ছিলি নাকি?’ (তিরমিযী হাসান] [1]
(302) بَابُ تَحْرِيْمِ النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ، وَلَطْمِ الْخَدِّ وَشَقِّ الْجَيْبِ وَنَتْفِ الشَّعْرِ وَحَلْقِهِ، وَالدُّعَاءِ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُوْرِ
وَعَنْ أَبِي مُوسَى رَضِيَ اللهُ عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَا مِنْ مَيِّتٍ يَمُوْتُ فَيَقُوْمُ بَاكِيهِمْ فَيَقُولُ : وَاجَبَلاَهُ، وَاسَيِّدَاهُ، أَو نَحْوَ ذَلِكَ إِلاَّ وُكِّلَ بِهِ مَلَكَانِ يَلْهَزَانِهِ : أَهَكَذَا كُنْتَ؟» . رواه الترمذي، وقال :[ حديث حسن ]
(302) Chapter: Prohibition of Bewailing the Deceased
Abu Musa (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "If anyone dies and the mourner gets up and says: 'Alas! For the mountain among men. Alas! For the chief ...' and such like, Allah will put two angels in charge of him who will beat on the breast and ask him (disapproving): 'Were you like that?' "
[At- Tirmidhi].
পরিচ্ছেদঃ ৩০২ : মৃত্যের জন্য মাতম করে কাঁদা, গাল চাপড়ানো, বুকের কাপড় ছিঁড়া, চুল ছেঁড়া, মাথা নেড়া করা ও সর্বনাশ ও ধ্বংস ডাকা নিষিদ্ধ
১১/১৬৭৬। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মানুষের মধ্যে দুটো আচরণ এমন পাওয়া যায়, যা তাদের ক্ষেত্রে কুফরীমূলক কর্ম; বংশে খোঁটা দেওয়া ও মৃতের জন্য মাতম করে কান্না করা।’’ (মুসলিম) [1]
(302) بَابُ تَحْرِيْمِ النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ، وَلَطْمِ الْخَدِّ وَشَقِّ الْجَيْبِ وَنَتْفِ الشَّعْرِ وَحَلْقِهِ، وَالدُّعَاءِ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُوْرِ
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «اثْنَتَانِ فِي النَّاسِ هُمَا بِهِمْ كُفْرٌ : الطَّعْنُ فِي النَّسَبِ، وَالنِّيَاحَةُ عَلَى المَيِّتِ». رواه مسلم
(302) Chapter: Prohibition of Bewailing the Deceased
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Two things are signs of disbelief on the part of those who indulge in them: Slandering one's lineage and wailing over the dead."
[Muslim].
Commentary: This Hadith has already been mentioned before [see the Hadith under Chapter 275]. Both the evils pointed out here are those sins which invite Allah's Wrath and will certainly take one out of the fold of Islam if one considers them lawful. Hence a person who practices them, revives the evils of the infidels. May Allah save us from such evils.