পরিচ্ছেদঃ ২৬৬ : কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
بَابُ جَوَازِ لَعْنِ بَعْضِ أَصْحَابِ الْمَعَاصِيْ غَيْرَ الْمُعَيَّنِيْنِ
পরিচ্ছেদ - ২৬৫ : অনির্দিষ্ট-রূপে পাপিষ্ঠদেরকে অভিসম্পাত করা বৈধ
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿أَلَا لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ﴾ [هود: ١٨]
অর্থাৎ সাবধান! অত্যাচারীদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ। (সূরা হূদ ১৮ আয়াত)
অন্যত্র তিনি বলেন,
﴿فَأَذَّنَ مُؤَذِّنٌ بَيْنَهُمْ أَنْ لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ﴾ [الاعراف: ٤٤]
অর্থাৎ অতঃপর জনৈক ঘোষণাকারী তাদের নিকট ঘোষণা করবে, অত্যাচারীদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। (সূরা আ’রাফ ৪৪ আয়াত)
সহীহ হাদিসসমূহে প্রমাণিত যে,
أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «لَعنَ اللهُ الوَاصِلَةَ وَالمُسْتَوْصِلَةَ».
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সেই নারীর উপর আল্লাহর অভিশাপ, যে অপরের মাথায় নকল চুল জুড়ে দেয়। আর সেই নারীর উপরেও, যে অন্য নারীর দ্বারা [নিজ মাথায়] নকল চুল সংযুক্ত করায়।’’
وَأنَّهُ قَالَ: «لَعَنَ اللهُ آكِلَ الرِّبَا».
তিনি বলেন, ’’আল্লাহ সুদখোরকে অভিশাপ করুন [অথবা করেছেন]।’’
وأنَّهُ لَعَنَ المُصَوِّرِينَ.
তিনি ছবি নির্মাতাকে অভিশাপ করেছেন।
وأنَّهُ قَالَ: «لَعَنَ اللهُ مَنْ غيَّرَ مَنَارَ الأَرْضِ». أيْ حُدُودَهَا.
তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি জমি জায়গার সীমা-চিহ্ন পরিবর্তন করে, আল্লাহ তাকে অভিশাপ করুন [অথবা করেছেন]।
وأنَّهُ قَالَ: «لَعَنَ اللهُ السَّارِقَ يَسْرِقُ البَيْضَةَ».
তিনি বলেন, ’’আল্লাহ চোরকে অভিশাপ করুন [অথবা করেছেন], যে চোর ডিম চুরি করে।’’
وأنَّهُ قَالَ: «لَعَنَ اللهُ مَنْ لَعَنَ وَالِدَيهِ».
তিনি বলেন, ’’যে নিজ মাতা-পিতাকে অভিশাপ ও ভৎর্সনা করে তাকেও আল্লাহ অভিসম্পাত করুন [অথবা করেছেন]।’’
وَلَعَنَ اللهُ من ذَبَحَ لِغَيْرِ اللهِ .
’’এবং সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ অভিশাপ করুন [অথবা করেছেন], যে গায়রুল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু যবেহ করে।’’
وَأنَّه قَالَ: «مَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثاً أَوْ آوَى مُحْدِثاً فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالمَلاَئِكَة والنَّاسِ أجْمَعينَ».
তিনি বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি মদিনায় কোন প্রকার বিদআত [আবিষ্কার] করে অথবা কোন বিদআতী লোককে আশ্রয় দেয়, তার উপর আল্লাহ, তাঁর ফিরিশ্তামন্ডলী এবং সমস্ত মানুষের অভিশাপ।’’
وأنَّه قَالَ: « اَللهم الْعَنْ رِعْلاً، وَذَكْوَانَ، وعُصَيَّةَ : عَصَوُا اللهَ وَرَسُولَهُ». وهذِهِ ثَلاَثُ قَبَائِلَ مِنَ العَرَبِ .
তিনি এভাবে [বদ্দু’আ] করে বলেছেন, ’’হে আল্লাহ! রি’ল, যাকওয়ান ও উসাইয়াহ গোত্রসমূহের উপর অভিশাপ কর। কেননা, তারা আল্লাহ ও তদীয় রসূলের অবাধ্যতা করেছে।’’ আর এ তিনটিই ছিল আরবের এক একটি গোত্রের নাম।
وَأنَّهُ قَالَ: «لَعَنَ اللهُ اليَهُودَ اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ».
তিনি বলেন, ’’আল্লাহ ইয়াহূদীদেরকে অভিসম্পাত করুন [অথবা করেছেন], তারা তাদের পয়গম্বরদের সমাধিসমূহকে উপাসনালয়ে পরিণত করেছে।’’
وَأَنَّهُ لَعَنَ المُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بالنِّسَاءِ وَالمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ.
তিনি সেই সকল পুরুষকেও অভিশাপ করেছেন, যারা নারীদের সাদৃশ্য ও আকৃতি গ্রহণ করে। তেমনি সেই সব নারীদেরকেও অভিশাপ করেছেন, যারা পুরুষদের সাদৃশ্য ও আকৃতি অবলম্বন করে থাকে।
উক্ত বাণীসমূহ বিশুদ্ধ হাদীসে সন্নিবিষ্ট হয়েছে। তার মধ্যে কিছু হাদিস সহীহ বুখারী ও মুসলিম উভয় গ্রন্থে উল্লিখিত হয়েছে। আর কিছু হাদিস তার মধ্যে কোন একটিতে উদ্ধৃত হয়েছে। আমি এখানে তার প্রতি সংক্ষিপ্তভাবে আভাস দিয়েছি মাত্র। উক্ত হাদিসগুলির অধিকাংশই এই গ্রন্থের বিভিন্ন পরিচ্ছেদে উল্লেখ করব ইন-শা আল্লাহ।
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوا فَقَدِ احْتَمَلُوا بُهْتَانًا وَإِثْمًا مُبِينًا﴾ [الاحزاب : ٥٨]
অর্থাৎ যারা বিনা অপরাধে ঈমানদার পুরুষ ও নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে। (সূরা আহযাব ৫৮ আয়াত)
১/১৫৬৭। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী [আল্লাহর অবাধ্যাচরণ] এবং তার সাথে লড়াই ঝগড়া করা কুফরি।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(266) بَابُ تَحْرِيْمِ سَبِّ الْمُسْلِمِ بِغَيْرِ حَقٍّ
وَثَبت في الصَّحيحِ أن رسُول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قال : » لعَنَ اللَّه الوَاصِلَةَ والمُسْتَوصِلةَ « وأنَّهُ قال:» لعَنَ اللَّه آآِلَ الرِّبا « وأنَّهُ لَعَنَ المُصَوِّرين ، وأنَّه قال : » لعنَ اللَّه مَنْ غَيَّر منارَ الأرْض « أيْ : حُدُودها ،وأنَّهُ قال : »لَعنَ اللَّه السَّارِقَ يَسرِقُ البيضَة « وأنهُ قال : »لَعنَ اللَّه مَنْ لعن والِديْهِ « » وَلَعَنَ اللَّه مَنْ ذبحلِغيْرِ اللَّه « وأنهُ قال : » منْ أحْدَثَ فِيها حدثاً أوْ آوى محدِثاً ، فَعليّهِ لَعْنَةُ اللَّهِ والملائِكَةِ والنَّاسِ أجْمعِينَ «وأنَّهُ قالَ : » اللَّهُمَّ العنْ رِعْلا،ً وذَآوانَ وَعُصيَّةَ ، عصَوا اللَّه ورَسُولَهُ « وَهذِهِ ثلاثُ قبائِل مِنَ العَرَبِ وأنَّهقال : »لَعنَ اللَّه اليهودَ اتخَذُوا قُبورَ أنبيَائِهم مسَاجِدَ « وأنَّهُ » لَعن المُتشبهِينَ مِنَ الرِّجالِ بِالنِّساءِ ،والمتشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بالرِّجالِ « .وَجَميعُ هذِهِ الألفاظِ في الصحيحِ ، بعْضُهَا في صحيحي البخاري ومسلمٍ ، وبعْضُها في أحدِهِمَا ، وإنَّماقَصدْتُ الاختصَار بِالإشارةِ إليْهَا ، وسأذآرُ مُعظَمَهَا في أبوابها مِنْ هذا الكتاب ، إن شاءَ اللَّه تعالى .
وَعَنِ ابنِ مَسعُود رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : «سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتالُهُ كُفْرٌ». متفق عَلَيْهِ
(266) Chapter: Prohibition of Reviling a Muslim without any cause
Allah, the Exalted, says:
"No doubt! the Curse of Allah is on the Zalimun (polytheists, wrongdoers, oppressors).'' (11:18)
"Then a crier will proclaim between them: `The Curse of Allah is on the Zalimun (polytheists and wrongdoers).''' (7:44)
It has been authentically reported that the Messenger of Allah said, "Curse of Allah is upon those women who wear false hair, and those women who prepare such.'' And he (PBUH) said, "Curse of Allah is upon the one who eats Riba (usury).'' And he also cursed the painters of pictures of living objects. And he (PBUH) said, "Curse of Allah is upon him who make changes in land boundaries (to deprive others).'' He (PBUH) also said, "Curse of Allah is upon the thief who steals (even) an egg.'' He also said, "Curse of Allah is upon the one who curses his parents.'' And: "Curse of Allah is upon the one who sacrifices an animal for other than Allah.'' And he (PBUH) said, "Who invents heresies in religion here (Al-Madinah), and upon those who supported him, is the Curse of Allah and the angels and all the people.'' And he (PBUH) said, "O Allah! Curse be upon Ri`l, Dhakwan and Usaiyyah, the three tribes of Arab who are disobedient to Allah and His Messenger.'' He also said, "Curse of Allah is upon the Jews who turned the graves of their Prophets into places of worship.'' And he (PBUH) cursed those men who imitate women and those women who imitate men. All these Ahadith are authentic, and are reported by Al-Bukhari or Muslim or by them both. These Ahadith will be cited under their respective chapters, In sha' Allah.
Allah, the Exalted, says:
"And those who annoy believing men and women undeservedly, bear on themselves the crime of slander and plain sin.'' (33:58)
Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Reviling a Muslim is Fusuq (disobedience of Allah) and killing him is (tantamount to) disbelief."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: "Killing him is (tantamount) to disbelief'' means that in terms of sin and prohibition, it is akin to Kufr. This Hadith makes the severity of this crime abundantly clear.
পরিচ্ছেদঃ ২৬৬ : কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
২/১৫৬৮। আবূ যার্র রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তিনি এ কথা বলতে শুনেছেন যে, ’’যখন কোন মানুষ অন্য মানুষের প্রতি ’ফাসেক’ অথবা ’কাফের’ বলে অপবাদ দেয়, তখনই তা তার উপরেই বর্তায়; যদি তার প্রতিপক্ষ তা না হয়।’’ (বুখারী) [1]
(266) بَابُ تَحْرِيْمِ سَبِّ الْمُسْلِمِ بِغَيْرِ حَقٍّ
وَعَنْ أَبي ذَرٍّ رضي الله عنه: أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ : «لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلاً بِالفِسْقِ أَوِ الكُفْرِ، إِلاَّ ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كذَلِكَ» . رواه البخاري
(266) Chapter: Prohibition of Reviling a Muslim without any cause
Abu Dharr (May Allah be pleased with him) reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "When any Muslim accuses another Muslim of sin or of disbelief, the reproach rebounds upon the one who utters it, if the other person is not deserving of it."
[Al- Bukhari].
Commentary: What this Hadith stresses is that one should never say about a Muslim that he is sinful (Fasiq) or disbeliever (Kafir) when he is not so. The reason is that in that case, one who says it, will be held Fasiq or Kafir. One should, therefore, strictly refrain from uttering such statements.
পরিচ্ছেদঃ ২৬৬ : কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
৩/১৫৬৯। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আপোষে গালাগালিতে রত দু’জন ব্যক্তি যে সব কুবাক্য উচ্চারণ করে, সে সব তাদের মধ্যে সূচনাকারীর উপরে বর্তায়; যতক্ষণ না অত্যাচারিত ব্যক্তি [প্রতিশোধ গ্রহণে] সীমা অতিক্রম করে।’’ (মুসলিম) [1]
(266) بَابُ تَحْرِيْمِ سَبِّ الْمُسْلِمِ بِغَيْرِ حَقٍّ
وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «المُتَسَابَّانِ مَا قَالاَ فَعَلَى البَادِي مِنهُمَا حَتَّى يَعْتَدِي المَظْلُومُ». رواه مسلم
(266) Chapter: Prohibition of Reviling a Muslim without any cause
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "When two persons indulge in abusing each other, the beginner will be the sinner so long as the oppressed does not transgress the limits."
[Muslim].
Commentary: This Hadith tells us that if a Muslim abuses another and says unfair things about him and in return the recipient also abuses him and says unfair things to the same extent, then the entire burden of sin of abusing would lie with the person who initiated the quarrel. But if the one who is wronged, exceeds the limits in revenge, then he will also be guilty to the degree of his excess. Thus, this Hadith shows that although revenge is permissible in Islam, it is better to forgive and bear the excess with patience. The reason behind this is that in revenge, one usually exceeds the limits and becomes an aggressor. Allah says: "And verily, whosoever shows patience and forgives, that would truly be from the things recommended by Allah.'' (42:43).
পরিচ্ছেদঃ ২৬৬ : কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
৪/১৫৭০। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মদ পান করেছে এমন এক ব্যক্তিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাজির করা হল। তিনি আদেশ দিলেন, ’ওকে তোমরা মার।’ আবূ হুরাইরা বলেন, [তাঁর আদেশ অনুযায়ী আমরা তাকে মারতে আরম্ভ করলাম।] আমাদের কেউ তাকে হাত দ্বারা মারতে লাগল, কেউ আপন জুতা দ্বারা, কেউ নিজ কাপড় দ্বারা। অতঃপর যখন সে ফিরে যেতে লাগল, তখন কিছু লোক বলে উঠল, ’আল্লাহ তোমাকে লাঞ্ছিত করুক।’ তা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’এরূপ বলো না এবং ওর বিরুদ্ধে শয়তানকে সহযোগিতা করো না।’’ (বুখারী) [1]
(266) بَابُ تَحْرِيْمِ سَبِّ الْمُسْلِمِ بِغَيْرِ حَقٍّ
وَعَنْهُ، قَالَ: أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرَجُلٍ قَدْ شرِبَ قَالَ: «اِضرِبُوهُ». قَالَ أَبُو هُرَيرَةَ رضي الله عنه : فَمِنَّا الضَّارِبُ بيَدِهِ، وَالضَّارِبُ بِنَعْلِهِ، وَالضَّارِبُ بِثَوْبِهِ . فَلَمَّا انْصَرَفَ، قَالَ بَعْضُ القَوْمِ : أَخْزَاكَ اللهُ ! قَالَ: «لا تَقُولُوا هَذَا، لاَ تُعِينُوا عَلَيْهِ الشَّيْطَان» . رواه البخاري
(266) Chapter: Prohibition of Reviling a Muslim without any cause
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
A drunkard was brought to the Prophet (ﷺ). He said, "Give him a beating." Then some beat him with their hands, some with their shoes, and some with (a folded) piece of cloth. When he left, someone said to him: "May Allah disgrace you!" The Prophet (ﷺ) said, "Do not help Satan overcome him by uttering such words."
[Al- Bukhari].
Commentary: We learn from this Hadith that imprecation against a sinner helps Satan because he is avowed to disgrace and humiliate Muslims before Allah. When a Muslim curses another Muslim and imprecates for hishumiliation and disgrace, he in fact tries to accomplish the mission of Satan because in doing so Satan will have achieved his objective. Therefore, one should not curse a fellow Muslim even if he or she is a sinner. In fact, one should pray to Allah for his or her guidance.
পরিচ্ছেদঃ ২৬৬ : কোন মুসলিমকে অন্যায়ভাবে গালি-গালাজ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
৫/১৫৭১। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি নিজ মালিকানাধীন দাসের উপর ব্যভিচারের অপবাদ দেবে, কিয়ামতের দিন তার উপর হদ [দণ্ডবিধি] প্রয়োগ করা হবে। তবে সে যা বলেছে, দাস যদি তাই হয় [তাহলে ভিন্ন কথা।]’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(266) بَابُ تَحْرِيْمِ سَبِّ الْمُسْلِمِ بِغَيْرِ حَقٍّ
وَعَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ : «مَنْ قَذَفَ مَمْلُوكَهُ بِالزِّنَى يُقَامُ عَلَيْهِ الحَدُّ يَومَ القِيَامَةِ، إِلاَّ أَنْ يَكُونَ كَمَا قَالَ». متفق عَلَيْهِ
(266) Chapter: Prohibition of Reviling a Muslim without any cause
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "He who accuses his slave of Zina will receive the punishment (Hadd) of slander on the Day of Resurrection, unless the accusation of Zina was true."
[Al- Bukhari and Muslim].
Commentary: On the Day of Judgement, the masters of slaves and slave-girls will be exposed to Hadd-ul-Qadfi (Hadd for accusing someone of adultery) for the reason that they perpetrate all kinds of oppressions on their captives and their grievances are not redressed. On the Day of Judgement, when Almighty Allah dispenses justice without any prejudice and favour, He will also do full justice to this oppressed class and those masters, who somehow escaped the punishment on this account in this world. Thus, this Hadith has a stern warning for those masters who are carried away by their might and authority and perpetrate oppression on their servants and slaves.