পরিচ্ছেদঃ ২৫৩: আল্লাহর প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য

মহান আল্লাহ বলেছেন,

﴿ أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ ٦٢ الَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ ٦٣ لَهُمُ الْبُشْرَىٰ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ ۚ لَا تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ ٦٤ ﴾ (يونس : ٦٢، ٦٤)

“মনে রেখো যে, আল্লাহর বন্ধুদের না কোন আশংকা আছে আর না তারা বিষণ্ণ হবে। তারা হচ্ছে সেই লোক যারা ঈমান এনে তাক্বওয়া অবলম্বন করে থাকে। তাদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে পার্থিব জীবনে এবং পরকালেও; আল্লাহর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তন নেই; এটাই হচ্ছে বিরাট সফলতা।” (সূরা ইউনুস ৬২-৬৪ আয়াত)

আরও বলেন,

﴿ وَهُزِّي إِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا ٢٥ فَكُلِي وَاشْرَبِي﴾ (مريم: ٢٥، ٢٦)

“তুমি তোমার দিকে খেজুর গাছের কাণ্ড হিলিয়ে দাও; ওটা তোমার সামনে সদ্যপক্ব তাজা খেজুর ফেলতে থাকবে। সুতরাং আহার কর, পান কর---।” (সূরা মারয়্যাম ২৫-২৬ আয়াত)

তিনি আরও বলেছেন,

﴿ لَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِنْدَهَا رِزْقًا ۖ قَالَ يَا مَرْيَمُ أَنَّىٰ لَكِ هَٰذَا ۖ قَالَتْ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ ۖ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ ٣٧ ﴾ (ال عمران: ٣٧)

“যখনই যাকারিয়া মিহরাবে (কক্ষে) তার সঙ্গে দেখা করতে যেত, তখনই তার নিকট খাদ্য-সামগ্রী দেখতে পেত। সে বলত, ’হে মারয়্যাম! এসব তুমি কোথা থেকে পেলে?’ সে বলত, ’তা আল্লাহর কাছ থেকে। নিশ্চয় আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পর্যাপ্ত জীবিকা দান করে থাকেন।” (সূরা আলে ইমরান ৩৭ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,

﴿وَإِذِ اعْتَزَلْتُمُوهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ إِلَّا اللَّهَ فَأْوُوا إِلَى الْكَهْفِ يَنْشُرْ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ رَحْمَتِهِ وَيُهَيِّئْ لَكُمْ مِنْ أَمْرِكُمْ مِرْفَقًا ١٦ وَتَرَى الشَّمْسَ إِذَا طَلَعَتْ تَزَاوَرُ عَنْ كَهْفِهِمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَتْ تَقْرِضُهُمْ ذَاتَ الشِّمَالِ ١٧ ﴾ (الكهف: ١٦، ١٧)

“তোমরা যখন তাদের ও তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের উপাসনা করে তাদের সংস্পর্শ হতে বিচ্ছিন্ন হলে তখন তোমরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ কর; তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য তাঁর দয়া বিস্তার করবেন এবং তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজকর্মকে ফলপ্রসূ করবার ব্যবস্থা করবেন। তুমি দেখলে দেখতে, সূর্য উদয়কালে তাদের গুহার ডান দিকে হেলে অতিক্রম করছে এবং অস্তকালে তাদেরকে অতিক্রম করছে বাম পাশ দিয়ে---।” (সূরা কাহাফ ১৬-১৭ আয়াত)


১/১৫১১। আবূ মুহাম্মদ আব্দুর রহমান ইবনে আবূ বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, ’আসহাবে সুফ্ফাহ’ (তৎকালীন মসজিদে নববীতে একটি ছাউনিবিশিষ্ট ঘর ছিল। সেখানে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তত্ত্বাবধানে কিছু সাহাবী আশ্রয় গ্রহণ করতেন ও বসবাস করতেন। তাঁরা) গরীব মানুষ ছিলেন। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যার কাছে দু’জনের আহার আছে সে যেন (তাদের মধ্য থেকে) তৃতীয় জনকে সাথে নিয়ে যায়। আর যার নিকট চারজনের আহারের অবস্থা আছে, সে যেন পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ জনকে সাথে নিয়ে যায়।”

আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে এলে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশজনকে সাথে নিয়ে গেলেন। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহর ঘরেই রাতের আহার করেন এবং এশার নামায পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। এশার নামাযের পর তিনি পুনরায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরে ফিরে আসেন এবং আল্লাহর ইচ্ছামত রাতের কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি বাড়ি ফিরলে তাঁর স্ত্রী তাঁকে বললেন, ’বাইরে কিসে আপনাকে আটকে রেখেছিল?’ তিনি বললেন, ’তুমি এখনো তাঁদেরকে খাবার দাওনি?’ স্ত্রী বললেন, ’আপনি না আসা পর্যন্ত তাঁরা খেতে রাজি হলেন না। তাঁদের সামনে খাবার দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা তা খাননি।’

আব্দুর রহমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, (পিতার তিরস্কারের ভয়ে) আমি লুকিয়ে গেলাম। তিনি (রাগান্বিত হয়ে) বলে উঠলেন, ’ওরে মূর্খ!’ অতঃপর নাক কাটা ইত্যাদি বলে গালাগালি করলেন এবং (মেহমানদের উদ্দেশ্যে) বললেন, ’আপনারা স্বচ্ছন্দে খান, আল্লাহর কসম! আমি মোটেই খাব না।’

আব্দুর রহমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ’আল্লাহর কসম! আমরা লুকমা (খাদ্য-গ্রাস) উঠিয়ে নিতেই নীচ থেকে তা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছিল।’ তিনি বলেন, ’সকলেই পেট ভরে খেলেন। অথচ পূর্বের চেয়ে বেশি খাবার রয়ে গেল।’ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু খাবারের দিকে তাকিয়ে স্ত্রীকে বললেন, ’হে বনু ফিরাসের বোন! এ কি?’ তিনি বললেন, ’আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এ তো পূর্বের চেয়ে তিনগুণ বেশি!’ সুতরাং আবূ বাক্ রাদিয়াল্লাহু আনহু ও তা থেকে আহার করলেন এবং বললেন, ’আমার (খাব না বলে) সে কসম শয়তানের পক্ষ থেকেই হয়েছিল।’ তারপর তিনি আরও খেলেন এবং অতিরিক্ত খাবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে নিয়ে গেলেন। ভোর পর্যন্ত সে খাবার তাঁর নিকটেই ছিল।

এদিকে আমাদের এবং অন্য একটি গোত্রের মাঝে যে চুক্তি ছিল তার সময়সীমা পূর্ণ হয়ে যায়। (এবং তারা মদিনায় আসে।) অতঃপর আমরা তাদেরকে তাদের বারো জনের নেতৃত্বে ভাগ করে দিই। প্রত্যেকের সাথেই কিছু কিছু লোক ছিল। তবে প্রত্যেকের সাথে কতজন ছিল তা আল্লাহই বেশি জানেন। তারা সকলেই সেই খাদ্য আহার করে।

অন্য বর্ণনায় আছে, আবূ বকর ’খাবেন না’ বলে কসম করলেন, তা দেখে তাঁর স্ত্রীও ’খাবেন না’ বলে কসম করলেন। আর তা দেখে মেহমানরাও তিনি সঙ্গে না খেলে ’খাবেন না’ বলে কসম করলেন! আবূ বকর বললেন, ’এ সব (কসম) শয়তানের পক্ষ থেকে।’ সুতরাং তিনি খাবার আনতে বলে নিজে খেলেন এবং মেহমানরাও খেলেন। তাঁরা যখনই লুকমা (খাদ্য-গ্রাস) উঠিয়ে খাচ্ছিলেন, তখনই নীচ থেকে তা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছিল। আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু (স্ত্রীকে) বললেন, ’হে বনু ফিরাসের বোন! এ কি?’ স্ত্রী বললেন, ’আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এখন এ তো খেতে শুরু করার আগের চেয়ে অধিক বেশি!’ সুতরাং সকলেই খেলেন এবং অতিরিক্ত খাবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে পাঠিয়ে দিলেন। আব্দুর রহমান বলেন, ’তিনি তা হতে খেলেন।’

অন্য এক বর্ণনায় আছে, আবূ বকর আব্দুর রহমানকে বললেন, ’তোমার মেহমান নাও। (তুমি তাদের খাতির কর) আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যাচ্ছি। আমার ফিরে আসার আগে আগেই তুমি (খাইয়ে) তাঁদের খাতির সম্পন্ন করো।’ সুতরাং আব্দুর রহমান তাঁর নিকট যে খাবার ছিল, তা নিয়ে তাঁদের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, ’আপনারা খান।’ কিন্তু মেহমানরা বললেন, ’আমাদের বাড়ি-ওয়ালা কোথায়?’ তিনি বললেন, ’আপনারা খান।’ তাঁরা বললেন, ’আমাদের বাড়ি-ওয়ালা না আসা পর্যন্ত আমরা খাব না।’ আব্দুর রহমান বললেন, ’আপনারা আমাদের তরফ থেকে মেহমান-নেওয়াযী গ্রহণ করুন। কারণ তিনি এসে যদি দেখেন যে, আপনারা খাননি, তাহলে অবশ্যই আমরা তাঁর নিকট থেকে (বড় ভৎর্সনা) পাব।’ কিন্তু তাঁরা (খেতে) অস্বীকার করলেন।

(আব্দুর রহমান বলেন,) তখন আমি বুঝে নিলাম যে, তিনি আমার উপর খাপ্পা হবেন। অতঃপর তিনি এলে আমি তাঁর নিকট থেকে সরে গেলাম। তিনি বললেন, ’ কি করেছ তোমরা?’ তাঁরা তাঁকে ব্যাপারটা খুলে বললেন। অতঃপর তিনি ডাক দিলেন, ’আব্দুর রহমান!’ আব্দুর রহমান নিরুত্তর থাকলেন। তিনি আবার ডাক দিলেন, ’আব্দুর রহমান?’ কিন্তু তখনও তিনি নীরব থাকলেন। তারপর আবার বললেন, ’এ বেওকুফ! আমি তোমাকে কসম দিচ্ছি, যদি তুমি আমার ডাক শুনতে পাচ্ছ, তাহলে এসে যাও।’

(আব্দুর রহমান বলেন,) তখন আমি (বাধ্য হয়ে) বের হয়ে এলাম। বললাম, ’আপনি আপনার মেহমানদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন, (আমি তাঁদেরকে খেতে দিয়েছিলাম কি না?)’ তাঁরা বললেন, ’ও সত্যই বলেছে। ও আমাদের কাছে খাবার নিয়ে এসেছিল। (আমরাই আপনার অপেক্ষায় খাইনি।)’ আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ’তোমরা আমার অপেক্ষা করে বসে আছ। কিন্তু আল্লাহর কসম! আজ রাতে আমি আহার করব না।’ তাঁরা বললেন, ’আল্লাহর কসম! আপনি না খাওয়া পর্যন্ত আমরাও খাব না।’ তিনি বললেন, ’ধিক্কার তোমাদের প্রতি! তোমাদের কি হয়েছে যে, আমাদের পক্ষ থেকে মেহমান-নেওয়াযী গ্রহণ করবে না?’ (অতঃপর আব্দুর রহমানের উদ্দেশ্য বললেন,) ’নিয়ে এস তোমার খাবার।’ তিনি খাবার নিয়ে এলে আবূ বকর তাতে হাত রেখে বললেন, ’বিস্মিল্লাহ। প্রথম (রাগের অবস্থায় কসম) ছিল শয়তানের পক্ষ থেকে।’ সুতরাং তিনি খেলেন এবং মেহমানরাও আহার করলেন। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(253) بَابُ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ وَفَضْلِهِمْ

وَعَنْ أَبي مُحَمَّدٍ عَبدِ الرَّحْمَانِ بنِ أَبي بَكرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا: أَنَّ أَصْحَابَ الصُّفّةِ كَانُوا أُنَاساً فُقَرَاءَ وَأَنَّ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَرَّةً: «مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ اثْنَيْنِ، فَلْيَذْهَبْ بثَالِثٍ، وَمنْ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامُ أَرْبَعَةٍ، فَلْيَذْهَبْ بِخَامِسٍ بِسَادِسٍ» أَوْ كَمَا قَالَ، وَأَنَّ أَبَا بَكرٍ رضي الله عنه، جَاءَ بِثَلاَثَةٍ، وَانْطَلَقَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بعَشَرَةٍ، وَأَنَّ أَبَا بَكرٍ تَعَشَّى عِنْدَ النَّبِيّ، ثُمَّ لَبِثَ حَتَّى صَلَّى العِشَاءَ، ثُمَّ رَجَعَ، فَجَاءَ بَعْدَ مَا مَضَى مِنَ اللَّيْلِ مَا شَاءَ اللهُ . قَالَتِ امْرَأتُهُ: مَا حَبَسَكَ عَنْ أَضْيَافِكَ ؟ قَالَ: أَوَمَا عَشَّيْتِهمْ ؟ قَالَتْ: أَبَوْا حَتَّى تَجِيءَ وَقَدْ عَرَضُوا عَلَيْهِمْ، قَالَ: فَذَهَبتُ أَنَا فَاخْتَبَأْتُ، فَقالَ: يَا غُنْثَرُ، فَجَدَّعَ وَسَبَّ، وَقَالَ: كُلُوا لاَ هَنِيئاً وَاللهِ لاَ أَطْعَمُهُ أَبَداً، قَالَ: وَايْمُ اللهِ مَا كُنَّا نَأخُذُ مِنْ لُقْمَةٍ إِلاَّ رَبَا مِنْ أَسفَلِهَا أَكْثَرَ مِنهَا حَتَّى شَبِعُوا، وَصَارَتْ أَكْثَرَ مِمَّا كَانَتْ قَبلَ ذَلِكَ، فَنَظَرَ إِلَيهَا أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ لاِمرَأَتِهِ: يَا أُخْتَ بَنِي فِرَاسٍ مَا هَذَا ؟ قَالَتْ: لاَ وَقُرَّةِ عَينِيْ لَهِيَ الآنَ أَكثَرُ مِنهَا قَبلَ ذَلِكَ بِثَلاَثِ مَرَّاتٍ ! فَأَكَلَ مِنهَا أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ: إنَّمَا كَانَ ذَلِكَ مِنَ الشَّيطَانِ، يَعنِيْ: يَمِينَهُ . ثُمَّ أَكَلَ مِنهَا لُقْمَةً، ثُمَّ حَمَلَهَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَصْبَحَتْ عِنْدَهُ. وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمٍ عَهْدٌ، فَمَضَى الأَجَلُ، فَتَفَرَّقْنَا اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلاً، مَعَ كُلِّ رَجُلٍ مِنْهُمْ أُنَاسٌ، اللهُ أَعْلَمُ كَمْ مَعَ كُلِّ رَجُلٍ فَأَكَلُوا مِنْهَا أَجْمَعُونَ .
وَفِي رِوَايةٍ: فَحَلَفَ أَبُو بَكْرٍ لاَ يَطْعَمُهُ، فَحَلَفَتِ المَرْأَةُ لاَ تَطْعَمُهُ، فَحَلَفَ الضَّيْفُ . - أَو الأَضْيَافُ - أَنْ لاَ يَطْعَمُهُ أَوْ يَطْعَمُوهُ حَتَّى يَطْعَمَهُ . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: هَذِهِ مِنَ الشَّيْطَانِ ! فَدَعَا بِالطَّعَامِ فَأكَلَ وَأَكَلُوا، فَجَعَلُوا لاَ يَرْفَعُونَ لُقْمَةً إِلاَّ رَبَتْ مِنْ أَسْفَلِهَا أَكْثَرُ مِنْهَا، فَقَالَ: يَا أُخْتَ بَني فِرَاسٍ، مَا هَذَا ؟ فَقَالَتْ: وَقُرَّةِ عَيْنِي إنَّهَا الآنَ لأَكْثَرُ مِنْهَا قَبْلَ أنْ نَأكُلَ، فَأكَلُوا، وَبَعَثَ بِهَا إِلَى النَّبيِّ، فَذَكَرَ أنَّهُ أكَلَ مِنْهَا .
وَفِي رِوايَةٍ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ قَالَ لِعَبْدِ الرَّحْمَانِ: دُونَكَ أَضْيَافَكَ، فَإِنِّي مُنْطَلِقٌ إِلَى النَّبيِّ، فَافْرُغْ مِنْ قِرَاهُم قَبْلَ أَنْ أَجِيءَ، فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمانِ، فَأَتَاهُمْ بِمَا عِنْدَهُ، فَقَالَ: اِطْعَمُوا ؛ فَقَالُوا: أَينَ رَبُّ مَنْزِلِنا ؟ قَالَ: اِطْعَمُوا، قَالُوا: مَا نحنُ بِآكِلِينَ حَتَّى يَجِيءَ رَبُّ مَنْزِلِنَا، قَالَ: اقْبَلُوا عَنَّا قِرَاكُمْ، فَإِنَّهُ إِنْ جَاءَ وَلَمْ تَطْعَمُوا، لَنَلْقَيَنَّ مِنْهُ فَأبَوْا، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ يَجِدُ عَلَيَّ، فَلَمَّا جَاءَ تَنَحَّيْتُ عَنْهُ، فَقَالَ: مَا صَنَعْتُمْ ؟ فَأَخْبَرُوهُ، فَقَالَ: يَا عَبْدَ الرَّحمانِ، فَسَكَتُّ: ثُمَّ قَالَ: يَا عَبْدَ الرَّحْمانِ، فَسَكَتُّ، فَقَالَ: يَا غُنْثَرُ أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ إِنْ كُنْتَ تَسْمَعُ صَوتِي لَمَا جِئْتَ ! فَخَرَجْتُ، فَقُلْتُ: سَلْ أَضْيَافَكَ، فَقَالُوا: صَدَقَ، أَتَانَا بِهِ، فَقَالَ: إِنَّمَا انْتَظَرْتُمُونِي وَاللهِ لاَ أَطْعَمُهُ اللَّيْلَةَ . فَقَالَ الآخَرُونَ: وَاللهِ لاَ نَطْعَمُهُ حَتَّى تَطْعَمَهُ فَقَالَ: وَيْلَكُمْ مَا لَكُمْ لاَ تَقْبَلُونَ عَنَّا قِرَاكُمْ ؟ هَاتِ طَعَامَكَ، فَجَاءَ بِهِ، فَوَضَعَ يَدَهُ فَقَالَ: بِسْمِ اللهِ، الأُولَى مِنَ الشَّيْطَانِ، فَأَكَلَ وَأَكَلُوا. متفق عَلَيْهِ

وعن ابي محمد عبد الرحمان بن ابي بكر الصديق رضي الله عنهما: ان اصحاب الصفة كانوا اناسا فقراء وان النبي صلى الله عليه وسلم قال مرة: «من كان عنده طعام اثنين، فليذهب بثالث، ومن كان عنده طعام اربعة، فليذهب بخامس بسادس» او كما قال، وان ابا بكر رضي الله عنه، جاء بثلاثة، وانطلق النبي صلى الله عليه وسلم بعشرة، وان ابا بكر تعشى عند النبي، ثم لبث حتى صلى العشاء، ثم رجع، فجاء بعد ما مضى من الليل ما شاء الله . قالت امراته: ما حبسك عن اضيافك ؟ قال: اوما عشيتهم ؟ قالت: ابوا حتى تجيء وقد عرضوا عليهم، قال: فذهبت انا فاختبات، فقال: يا غنثر، فجدع وسب، وقال: كلوا لا هنيىا والله لا اطعمه ابدا، قال: وايم الله ما كنا ناخذ من لقمة الا ربا من اسفلها اكثر منها حتى شبعوا، وصارت اكثر مما كانت قبل ذلك، فنظر اليها ابو بكر فقال لامراته: يا اخت بني فراس ما هذا ؟ قالت: لا وقرة عيني لهي الان اكثر منها قبل ذلك بثلاث مرات ! فاكل منها ابو بكر وقال: انما كان ذلك من الشيطان، يعني: يمينه . ثم اكل منها لقمة، ثم حملها الى النبي صلى الله عليه وسلم فاصبحت عنده. وكان بيننا وبين قوم عهد، فمضى الاجل، فتفرقنا اثني عشر رجلا، مع كل رجل منهم اناس، الله اعلم كم مع كل رجل فاكلوا منها اجمعون . وفي رواية: فحلف ابو بكر لا يطعمه، فحلفت المراة لا تطعمه، فحلف الضيف . - او الاضياف - ان لا يطعمه او يطعموه حتى يطعمه . فقال ابو بكر: هذه من الشيطان ! فدعا بالطعام فاكل واكلوا، فجعلوا لا يرفعون لقمة الا ربت من اسفلها اكثر منها، فقال: يا اخت بني فراس، ما هذا ؟ فقالت: وقرة عيني انها الان لاكثر منها قبل ان ناكل، فاكلوا، وبعث بها الى النبي، فذكر انه اكل منها . وفي رواية: ان ابا بكر قال لعبد الرحمان: دونك اضيافك، فاني منطلق الى النبي، فافرغ من قراهم قبل ان اجيء، فانطلق عبد الرحمان، فاتاهم بما عنده، فقال: اطعموا ؛ فقالوا: اين رب منزلنا ؟ قال: اطعموا، قالوا: ما نحن باكلين حتى يجيء رب منزلنا، قال: اقبلوا عنا قراكم، فانه ان جاء ولم تطعموا، لنلقين منه فابوا، فعرفت انه يجد علي، فلما جاء تنحيت عنه، فقال: ما صنعتم ؟ فاخبروه، فقال: يا عبد الرحمان، فسكت: ثم قال: يا عبد الرحمان، فسكت، فقال: يا غنثر اقسمت عليك ان كنت تسمع صوتي لما جىت ! فخرجت، فقلت: سل اضيافك، فقالوا: صدق، اتانا به، فقال: انما انتظرتموني والله لا اطعمه الليلة . فقال الاخرون: والله لا نطعمه حتى تطعمه فقال: ويلكم ما لكم لا تقبلون عنا قراكم ؟ هات طعامك، فجاء به، فوضع يده فقال: بسم الله، الاولى من الشيطان، فاكل واكلوا. متفق عليه

(253) Chapter: Superiority of Auliya' and their Marvels


Allah, the Exalted, says:
"No doubt! Verily, the Auliya' of Allah [i.e., those who believe in the Oneness of Allah and fear Allah much (abstain from all kinds of sins and evil deeds which He has forbidden), and love Allah much (perform all kinds of good deeds which He has ordained)], no fear shall come upon them nor shall they grieve. Those who believed (in the Oneness of Allah - Islamic Monotheism), and used to fear Allah much (by abstaining from evil deeds and sins and by doing righteous deeds). For them are glad tidings, in the life of the present world (i.e., through a righteous dream seen by the person himself or shown to others), and in the Hereafter. No change can there be in the Words of Allah. This is indeed the supreme success.'' (10: 62-64)

"And shake the trunk of date-palm towards you, it will let fall fresh ripe-dates upon you. So eat and drink.'' (19: 25,26)

"Every time he (Zakariya) entered Al-Mihrab to (visit) her, he found her supplied with sustenance. He said: `O Maryam (Mary)! From where have you got this?' She said, `This is from Allah.' Verily, Allah provides sustenance to whom He wills, without limit.'' (3:37)

"(The young men said to one another): `And when you withdraw from them, and that which they worship, except Allah, then seek refuge in the Cave; your Rubb will open a way for you from His Mercy and will make easy for you your affair (i.e., will give you what you will need of provision, dwelling). And you might have seen the sun, when it rose, declining to the right from their Cave, and when it set, turning away from them to the left...'' (18:16,17)


'Abdur-Rahman bin Abu Bakr (May Allah be pleased with them) reported:
The Companions of As-Suffah were poor people. The Prophet (ﷺ) said, "Whoever has food enough for two people, should take a third one (from among them), and whoever has food enough for four persons, should take a fifth or sixth (or said something similar)." Abu Bakr (May Allah be pleased with him) took three people with him while Messenger of Allah (ﷺ) took ten. Abu Bakr (May Allah be pleased with him) took his supper with the Prophet (ﷺ) and stayed there till he offered the 'Isha' prayers. After a part of the night had passed, he returned to his house. His wife said to him: "What has detained you from your guests?" He said: "Have you not served supper to them?" She said: "They refused to take supper until you come." [Abdur-Rahman (Abu Bakr's son) or the servants] presented the meal to them but they refused to eat. I (the narrator) hid myself out of fear. Abu Bakr (May Allah be pleased with him) (my father) rebuked me. Then he said to them: "Please eat. By Allah! I will never eat the meal." 'Abdur-Rahman added: Whenever we took a morsel of the meal, the meal grew from underneath more than that morsel we had till everybody ate to his satisfaction; yet the remaining food was more than what was in the beginning. On seeing this, Abu Bakr (May Allah be pleased with him) called his wife and said: "O sister of Banu Firas! What is this?" She said: "O pleasure of my eyes! The food has increased thrice in quantity." Then Abu Bakr (May Allah be pleased with him) started eating. He said: "My oath not to take the meal was because of Satan." He took a morsel handful from it and carried the rest to the Prophet (ﷺ). That food remained with him. In those days there was a treaty between us and the pagans and when the period of that treaty elapsed, he (ﷺ) divided us into twelve groups and every group was headed by a man. Allah knows how many men were under the command of each leader. Anyhow, all of them ate of that meal.

[Al-Bukhari and Muslim].

There are some more narrations in both Al-Bukhari and Muslim with very minor differences in wordings and in details.


Commentary: We learn the following points from this Hadith:
1. It is permissible to take students of religious schools home for meals, as was the practice in certain areas in the past.

2. A father can admonish his children for disciplinary purposes.

3. If a better situation develops, one can break his vow and go for the new and better choice. It is, however, necessary to expiate for breaking the vow.

4. This Hadith affirms miracles. This is evident from the fact that a small quantity of food was so blessed by Allah that all the members of the family, guests, the Prophet (PBUH) and twelve "Arif'' (leader) along with their companions took that food. (Gist of the text of Hadith from Fath Al-Bari, Kitab Al-Manaq.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৬/ (প্রার্থনামূলক) দো‘আসমূহ (كتاب الدعوات) The Book of Du'a (Supplications)

পরিচ্ছেদঃ ২৫৩: আল্লাহর প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য

২/১৫১২। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির মধ্যে অনেক ’মুহাদ্দাস’ লোক ছিল। যদি আমার উম্মতের মধ্যে কেউ ’মুহাদ্দাস’ থাকে, তাহলে সে হল উমার।” (বুখারী) [1]

ইমাম মুসলিমও আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেছেন। উক্ত দুই গ্রন্থের বর্ণনায় আছে, ইবনে অহাব বলেন, ’মুহাদ্দাস’ হলেন তাঁরা, যাঁদের মনে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) ইলহাম (ভালো-মন্দের জ্ঞান প্রক্ষেপ) করা হয়।

(253) بَابُ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ وَفَضْلِهِمْ

وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لَقَدْ كَانَ فِيمَا قَبْلَكُمْ مِنَ الأُمَمِ نَاسٌ مُحَدَّثُوْنَ، فَإنْ يَكُ فِي أُمَّتِي أَحَدٌ فَإِنَّهُ عُمَرُ» . رواه البخاري ورواه مسلم من رواية عائشة . وفي روايتهما قَالَ ابن وهب: «مُحَدَّثُونَ» أَيْ مُلْهَمُونَ .

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لقد كان فيما قبلكم من الامم ناس محدثون، فان يك في امتي احد فانه عمر» . رواه البخاري ورواه مسلم من رواية عاىشة . وفي روايتهما قال ابن وهب: «محدثون» اي ملهمون .

(253) Chapter: Superiority of Auliya' and their Marvels


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "There were Muhaddithun (the recipients of Divine inspiration) among the nations before you. If there is any of such Muhaddith among my followers, he must be 'Umar."

[Al- Bukhari].

In Muslim, this Hadith is narrated by 'Aishah (May Allah be pleased with her), and in both these narrations Ibn Wahb has said that the meaning of Muhaddithun is recipients of Divine inspiration.

Commentary: "Mulhamun'' [persons endowed with inspiration]; in other words, things are put in their hearts by Allah, it was done in the case of the mother of Prophet Musa. It was put in her mind by Allah that if she felt any fear, she should then trust the child to the sea. Maryam (Mary) also used to receive inspiration, which is also a form of marvel. This Hadith evidently shows the distinction of `Umar (May Allah be pleased with him).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৬/ (প্রার্থনামূলক) দো‘আসমূহ (كتاب الدعوات) The Book of Du'a (Supplications)

পরিচ্ছেদঃ ২৫৩: আল্লাহর প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য

৩/১৫১৩। জাবের ইবনু সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, কুফাবাসীরা উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে সায়াদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলল, ’সে ভালভাবে নামায পড়তে জানে না।’ কাজেই তিনি তাঁকে ডেকে পাঠালেন এবং (যখন তিনি উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর কাছে হাযির হলেন, তখন) তিনি তাঁকে বললেন, ’হে ইসহাকের পিতা! ওরা বলছে যে, তুমি উত্তম-ভাবে নামায আদায় কর না।’ জবাবে তিনি বললেন, ’যাই হোক, আল্লাহর কসম! আমি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নামাযের মত নামায পড়াই, তা থেকে (একটুও) কম করি না।

যোহর ও আসরের দুই নামাযের প্রথম দু’ রাকআতে দীর্ঘক্ষণ কিয়াম করি এবং দ্বিতীয় দু-রাকআতকে সংক্ষিপ্ত করি।’ উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু (এ কথা শুনে বললেন,) ’ইসহাকের পিতা! তোমার সম্পর্কে ঐ ধারণাই ছিল।’ পরে তিনি তাঁর সঙ্গে একজন বা কয়েকজন লোক কূফা নগরীতে প্রেরণ করলেন। যাতে করে কূফা নগরীর প্রতিটি মসজিদে গিয়ে সায়াদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সুতরাং প্রত্যেক মসজিদেই তাঁর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে লাগল এবং সকলেই তাঁর প্রশংসা করল। শেষ পর্যন্ত যখন তারা বনু আব্সার মসজিদে উপনীত হল।

তখন সেখানে আবূ সা’দাহ উসামাহ ইবনে ক্বাতাদাহ নামক এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলতে লাগল, ’যখন আপনারা আমাদেরকে জিজ্ঞাসাই করলেন, তখন (প্রকাশ করে দিচ্ছি শুনুন,) সায়াদ সেনা বাহিনীর সঙ্গে (জিহাদে) যান না, নায্যভাবে (কোন জিনিস) বণ্টন করেন না এবং ইনসাফের সাথে বিচার করেন না।’ সায়াদ তখন (জবাবে) বলে উঠলেন, ’আল্লাহর কসম! আমি অবশ্যই তিনটি বদ্দুআ করব: হে আল্লাহ! যদি তোমার বান্দা মিথ্যাবাদী হয়, রিয়া (লোক প্রদর্শন হেতু) ও খ্যাতির জন্য এভাবে দণ্ডায়মান হয়ে থাকে, তাহলে তুমি ওর আয়ু দীর্ঘ করে দাও এবং ওর দরিদ্রতা বাড়িয়ে দাও এবং ওকে ফিতনার কবলে ফেল।’ (বাস্তবিক তার অবস্থা ঐরূপই হয়েছিল।) সুতরাং যখন তাকে (কুশল) জিজ্ঞাসা করা হত, তখন উত্তরে বলত, ’অত্যন্ত বৃদ্ধ হয়ে পড়েছি এবং ফিতনায় পতিত হয়েছি; সা’দের বদ্দুআ আমাকে লেগে গেছে।’

জাবের ইবনে সামুরাহ থেকে বর্ণনাকারী আব্দুল মালেক ইবন উমাইর বলেন, ’আমি পরে তাকে দেখেছি যে, সে অত্যন্ত বার্ধক্যের কারণে তার চোখের ভ্রূগুলি চোখের উপরে লটকে পড়েছে আর রাস্তায় রাস্তায় দাসীদেরকে উত্যক্ত করত ও আঙ্গুল বা চোখ দ্বারা তাদেরকে ইশারা করত।’ (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(253) بَابُ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ وَفَضْلِهِمْ

وَعَنْ جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: شَكَا أَهْلُ الكُوفَةِ سَعْداً يَعنِي: ابنَ أَبي وَقَّاصٍ رضي الله عنه، إِلَى عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رضي الله عنه فَعَزَلَهُ، وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ عَمَّاراً، فَشَكَوا حَتَّى ذَكَرُوا أَنَّهُ لاَ يُحْسِنُ يُصَلِّي، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: يَا أَبَا إسْحَاقَ، إنَّ هَؤُلاَءِ يَزْعُمُونَ أَنَّكَ لاَ تُحْسِنُ تُصَلِّي، فَقَالَ: أَمَّا أَنَا وَاللهِ فَإنِّي كُنْتُ أُصَلِّي بِهِمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، لاَ أَخْرِمُ عَنْها، أُصَلِّي صَلاَتَي العِشَاءِ فَأَرْكُدُ فِي الأُولَيَيْنِ، وَأُخِفُّ فِي الأُخْرَيَيْنِ . قَالَ: ذَلِكَ الظَّنُّ بِكَ يَا أَبَا إِسْحَاقَ، وَأَرْسَلَ مَعَهُ رَجُلاً - أَوْ رِجَالاً - إِلَى الكُوفَةِ يَسْأَلُ عَنْهُ أَهْلَ الكُوفَةِ، فَلَمْ يَدَعْ مَسْجِداً إِلاَّ سَأَلَ عَنْهُ، وَيُثْنُونَ مَعْرُوفاً، حَتَّى دَخَلَ مَسْجِداً لِبَنِي عَبْسٍ، فَقَامَ رَجُلٌ مِنْهُمْ، يُقَالُ لَهُ أُسَامَةُ بْنُ قَتَادَةَ، يُكَنَّى أَبَا سَعْدَةَ، فَقَالَ: أَمَا إِذْ نَشَدْتَنَا فَإِنَّ سَعْداً كَانَ لاَ يَسِيرُ بِالسَّرِيَّةِ وَلاَ يَقْسِمُ بِالسَّوِيَّةِ، وَلاَ يَعْدِلُ فِي القَضِيَّةِ . قَالَ سَعْدٌ: أَمَا وَاللهِ لأَدْعُوَنَّ بِثَلاَثٍ: اَللهم إِنْ كَانَ عَبْدُكَ هَذَا كَاذِباً، قَامَ رِيَاءً، وَسُمْعَةً، فَأَطِلْ عُمُرَهُ، وَأَطِلْ فَقْرَهُ، وَعَرِّضْهُ لِلْفِتَنِ . وَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ إِذَا سُئِلَ يَقُوْلُ: شَيْخٌ كَبيرٌ مَفْتُونٌ، أَصَابَتْنِي دَعْوَةُ سَعدٍ رضي الله عنه . قَالَ عَبدُ المَلِكِ بنُ عُمَيْرٍ الرَّاوِي عَن جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ: فَأَنَا رَأَيْتُهُ بَعْدُ قَدْ سَقَطَ حَاجِبَاهُ عَلَى عَيْنَيْهِ مِنَ الكِبَرِ، وَإِنَّهُ لَيَتَعَرَّضُ لِلْجَوارِي فِي الطُّرُقِ فَيَغْمِزُهُنَّ . متفق عَلَيْهِ

وعن جابر بن سمرة رضي الله عنهما، قال: شكا اهل الكوفة سعدا يعني: ابن ابي وقاص رضي الله عنه، الى عمر بن الخطاب رضي الله عنه فعزله، واستعمل عليهم عمارا، فشكوا حتى ذكروا انه لا يحسن يصلي، فارسل اليه، فقال: يا ابا اسحاق، ان هولاء يزعمون انك لا تحسن تصلي، فقال: اما انا والله فاني كنت اصلي بهم صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم، لا اخرم عنها، اصلي صلاتي العشاء فاركد في الاوليين، واخف في الاخريين . قال: ذلك الظن بك يا ابا اسحاق، وارسل معه رجلا - او رجالا - الى الكوفة يسال عنه اهل الكوفة، فلم يدع مسجدا الا سال عنه، ويثنون معروفا، حتى دخل مسجدا لبني عبس، فقام رجل منهم، يقال له اسامة بن قتادة، يكنى ابا سعدة، فقال: اما اذ نشدتنا فان سعدا كان لا يسير بالسرية ولا يقسم بالسوية، ولا يعدل في القضية . قال سعد: اما والله لادعون بثلاث: اللهم ان كان عبدك هذا كاذبا، قام رياء، وسمعة، فاطل عمره، واطل فقره، وعرضه للفتن . وكان بعد ذلك اذا سىل يقول: شيخ كبير مفتون، اصابتني دعوة سعد رضي الله عنه . قال عبد الملك بن عمير الراوي عن جابر بن سمرة: فانا رايته بعد قد سقط حاجباه على عينيه من الكبر، وانه ليتعرض للجواري في الطرق فيغمزهن . متفق عليه

(253) Chapter: Superiority of Auliya' and their Marvels


Jabir bin Samurah (May Allah be pleased with them) said:
The inhabitants of Kufah complained to 'Umar (May Allah be pleased with him) against Sa'd bin Abu Waqqas (May Allah be pleased with him) and 'Umar (May Allah be pleased with him) appointed 'Ammar (May Allah be pleased with him) as Governor of Kufah in his place. Their complaint was that he did not even conduct As-Salat (the prayers) properly. 'Umar (May Allah be pleased with him) sent for Sa'd and said to him: "O Abu Ishaq, the people claim that you do not offer the Salat properly." Sa'd replied: "By Allah! I observe Salat according to the Salat of the Messenger of Allah (ﷺ), and I make no decrease in it. I prolong Qiyam (standing) in the first two Rak'ah in Maghrib and 'Isha' prayers and shorten in the last ones." 'Umar (May Allah be pleased with him) said: "This is what I thought of you, O Abu Ishaq!" Then he sent with him a man (or some men) to Kufah to investigate the matter about him (from the people of Kufah). The inquiry was conducted in every mosque and all the people in these mosques praised him; but in the mosque of the Banu 'Abs, a man, with the name of Usamah bin Qatadah and surname Abu Sa'dah, stood up and said, "Sa'd bin Abu Waqqas did not participate in Jihad and he did not distribute the spoils equitably and did not judge justly." On this Sa'd said: "I shall make three supplications in respect of him: O Allah! If this slave of Yours is a liar and seeker of notoriety, please prolong his life and lengthen his period of adversity and afflict him with trials." (And so did it happen.) Thereafter, when the man was asked about his condition he would say, "I am an old man afflicted with trials and overtaken by the curses of Sa'd."

'Abdul-Malik bin 'Umair (a subnarrator) said: I saw this man with eyebrows hung over his eyes as a result of his old age and he walked aimlessly, following young girls and winking at them.

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith brings out the following four points:
1. The distinction of Sa`d bin Abu Waqqas (May Allah be pleased with him) and the fact that his prayers were granted by Allah.

2. The principle that if inquiry is conducted against anybody, one should inquire the opinion of the righteous and worthy people about the person against whom complaint is made.

3. Government officials can be dismissed in the interest of public good, as `Umar (May Allah be pleased with him) dismissed Sa`d bin Abu Waqqas although the complaints made against him were false, but `Umar thought it wise to dismiss him so that no one amongst his subject would show hatred towards him.

4. This Hadith also proves the correctness of marvels. The acceptance of the prayer of Sa`d bin Abu Waqqas is an instance of it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৬/ (প্রার্থনামূলক) দো‘আসমূহ (كتاب الدعوات) The Book of Du'a (Supplications)

পরিচ্ছেদঃ ২৫৩: আল্লাহর প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য

৪/১৫১৪। উরওয়াহ ইবন যুবাইর (রহ.) হতে বর্ণিত, সাঈদ ইবনে যায়দ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বিরুদ্ধে আরওয়া বিনতে আওস নামক এক মহিলা মারওয়ান ইবনে হাকামের নিকটে মোকাদ্দামা পেশ করল; সে দাবি জানাল যে, ’সাঈদ আমার কিছু জমি আত্মসাৎ করেছেন।’ সাঈদ বললেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে (এ বিষয়ে ধমক) শোনার পরও কি আমি তার কিছু জমি দাবিয়ে নিতে পারি?’

মারওয়ান বললেন, ’আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কি (ধমক) শুনেছেন?’ তিনি বললেন, ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, “যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো এক বিঘত জমি দাবিয়ে নেবে, (কিয়ামতের দিনে) সাত তবক জমিন তার গলায় লটকে দেওয়া হবে।” এ কথা শুনে মারওয়ান বললেন, ’এরপর আমি আপনার কাছে কোন প্রমাণ তলব করব না।’ সুতরাং সাঈদ (বাদী পক্ষীয়) মহিলার প্রতি বদ্দুআ করে বললেন, ’হে আল্লাহ! এ মহিলা যদি মিথ্যাবাদী হয়, তাহলে ওর চক্ষু অন্ধ করে দাও এবং ওকে ওর জমিতেই মৃত্যু দাও।’

বর্ণনাকারী বলেন, ’মহিলাটির মৃত্যুর পূর্বে দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে গিয়েছিল এবং একবার সে নিজ জমিতে চলছিল। হঠাৎ একটি গর্তে পড়ে মারা গেল।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

মুহাম্মদ ইবন যায়দ ইবন আব্দুল্লাহ ইবন উমার কর্তৃক মুসলিমের অনুরূপ এক বর্ণনায় আছে, তিনি তাকে দেখেছেন, সে অন্ধ অবস্থায় দেওয়াল হাতড়ে বেড়াত। বলত, ’আমাকে সাঈদের বদ্দুআ লেগে গেছে।’ আর সে যে জায়গার ব্যাপারে সাঈদের বিরুদ্ধে মিথ্যা নালিশ করেছিল, সেই জায়গার এক কুঁয়াতে পড়ে গিয়ে সেটাই তার কবর হয়ে গেছে!

(253) بَابُ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ وَفَضْلِهِمْ

وَعَنْ عُروَةَ بنِ الزُّبَيرِرَضِيَ اللهُ عَنْه: أَنَّ سَعِيدَ بنَ زَيدِ بنِ عَمرِو بنِ نُفَيلٍ رَضِيَ اللهُ عَنْه، خَاصَمَتْهُ أَرْوَى بِنْتُ أَوْسٍ إِلَى مَرْوَانَ بْنِ الحَكَمِ، وَادَّعَتْ أَنَّهُ أَخَذَ شَيْئاً مِنْ أَرْضِهَا، فَقَالَ سَعِيدٌ: أَنَا كُنْتُ آخُذُ شَيئاً مِنْ أَرْضِهَا بَعْدَ الَّذِي سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم !؟ قَالَ: مَاذَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ؟ قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ: «مَنْ أَخَذَ شِبْراً مِنَ الأَرْضِ ظُلْماً، طُوِّقَهُ إِلَى سَبْعِ أَرْضِينَ» فَقَالَ لَهُ مَرْوَانُ: لاَ أَسْألُكَ بَيِّنَةً بَعْدَ هَذَا، فَقَالَ سَعِيدٌ: اَللهم إنْ كَانَتْ كَاذِبَةً، فَأَعْمِ بَصَرَها، وَاقْتُلْهَا فِي أَرْضِهَا، قَالَ: فَمَا مَاتَتْ حَتَّى ذَهَبَ بَصَرُهَا، وَبَيْنَمَا هِيَ تَمْشِي فِي أَرْضِهَا إِذْ وَقَعَتْ فِي حُفْرَةٍ فَماتَتْ . متفق عَلَيْهِ
وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ عَن مُحَمَّدِ بنِ زَيدِ بنِ عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ رضي الله عنه بِمَعْنَاهُ، وَأَنَّهُ رَآهَا عَمْيَاءَ تَلْتَمِسُ الجُدُرَ تَقُوْلُ: أَصَابَتْنِي دَعْوَةُ سَعِيدٍ، وَأنَّهَا مَرَّتْ عَلَى بِئرٍ فِي الدَّارِ الَّتي خَاصَمَتْهُ فِيهَا، فَوَقَعَتْ فِيهَا، وكانتْ قَبْرَها .

وعن عروة بن الزبيررضي الله عنه: ان سعيد بن زيد بن عمرو بن نفيل رضي الله عنه، خاصمته اروى بنت اوس الى مروان بن الحكم، وادعت انه اخذ شيىا من ارضها، فقال سعيد: انا كنت اخذ شيىا من ارضها بعد الذي سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم !؟ قال: ماذا سمعت من رسول الله صلى الله عليه وسلم ؟ قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يقول: «من اخذ شبرا من الارض ظلما، طوقه الى سبع ارضين» فقال له مروان: لا اسالك بينة بعد هذا، فقال سعيد: اللهم ان كانت كاذبة، فاعم بصرها، واقتلها في ارضها، قال: فما ماتت حتى ذهب بصرها، وبينما هي تمشي في ارضها اذ وقعت في حفرة فماتت . متفق عليه وفي رواية لمسلم عن محمد بن زيد بن عبد الله بن عمر رضي الله عنه بمعناه، وانه راها عمياء تلتمس الجدر تقول: اصابتني دعوة سعيد، وانها مرت على بىر في الدار التي خاصمته فيها، فوقعت فيها، وكانت قبرها .

(253) Chapter: Superiority of Auliya' and their Marvels


'Urwah bin Az-Zubair (May Allah be pleased with him) reported:
Arwa bint Aus brought a suit against Sa'id bin Zaid bin 'Amr bin Nufail (May Allah be pleased with him). She complained to Marwan bin Al-Hakam that he had wrongfully taken possession of a portion of her land. Sa'id said: "How can I take a portion out of her land while I have heard a denunciation from the Messenger of Allah (ﷺ)." Marwan asked him: "What did you hear from the Messenger of Allah?" He said, "I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, 'He who takes a span of land unjustly will be made to wear seven earths round his neck on the Day of Ressurection'." Marwan said to him: "I don't seek proof from you after this." Sa'id supplicated: "O Allah! If she is a liar, deprive her of her eye sight and cause her to die in her land." 'Urwah said: "She did not die till she became blind. While she was walking in her land (concerning which the dispute arose) she fell down into a pit and died."

[Al-Bukhari and Muslim].

In another narration of Muslim, Muhammad bin Zaid bin 'Abdullah bin 'Umar said that he had seen Arwa blind, feeling for on the walls with her hand and saying: "I am ruined by the curse of Sa'id." Later she fell in a well in the same disputed land and died.

Commentary: Sa`id bin Zaid was an eminent Companion of the Prophet (PBUH) and had the honour of being one from the group of Al-`Ashratul-Mubashsharuna bil-Jannah Marwan bin Al-Hakam (May Allah be pleased with him) was governor of Al-Madinah during the caliphate of Mu`awiyah, and the incident quoted in this Hadith relates to that particular period. After Mu`awiyah bin Yazid, he remained caliph for some months. This Hadith brings into prominence the following points:

1. The distinction of Sa`id bin Zaid and the marvel which came about with the acceptance of his prayer by Allah.
2. One should always save oneself from the curse of the pious people because the punishment can occur in this very life.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৬/ (প্রার্থনামূলক) দো‘আসমূহ (كتاب الدعوات) The Book of Du'a (Supplications)

পরিচ্ছেদঃ ২৫৩: আল্লাহর প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য

৫/১৫১৫। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, উহুদের যুদ্ধ যখন সংঘটিত হয়। রাতে আমাকে আমার পিতা ডেকে বললেন, ’আমার মনে হয় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহচরবৃন্দের মধ্যে যারা সর্বপ্রথম শহীদ হবেন, আমিও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত। আর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর, তোমাকে ছাড়া ধরা-পৃষ্ঠে প্রিয়তম আর কাউকে ছেড়ে যাচ্ছি না। আমার উপর ঋণ আছে, তা পরিশোধ করে দেবে। তোমার বোনদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে।’ সুতরাং যখন আমরা ভোরে উঠলাম, তখন দেখলাম যে, সর্বপ্রথম উনিই শাহাদত বরণ করেছেন। আমি তাঁর সাথে আর এক ব্যক্তিকে সমাধিস্থ করলাম। তারপর অন্যজনকে তাঁর সঙ্গে একই কবরে দাফন করাতে আমার মনে শান্তি হল না। সুতরাং ছয়মাস পর আমি তাঁকে কবর হতে বের করলাম। (দেখা গেল) তার কান ব্যতীত (তার দেহ) সেদিনকার মত অবিকল ছিল, যেদিন তাকে কবরে রাখা হয়েছিল। অতঃপর আমি তাকে একটি আলাদা কবরে দাফন করলাম। (বুখারী) [1]

(253) بَابُ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ وَفَضْلِهِمْ

وَعَنْ جَابِرِ بنِ عَبدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: لَمَّا حَضَرَتْ أُحُدٌ دعَانِي أَبي مِنَ اللَّيلِ فَقَالَ: مَا أُرَاني إِلاَّ مَقْتُولاً فِي أَوَّلِ مَنْ يُقْتَلُ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ، وَإِنِّي لاَ أَتْرُكُ بَعْدِي أَعَزَّ عَلَيَّ مِنْكَ غَيْرَ نَفْسِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَإِنَّ عَلَيَّ دَيْناً فَاقْضِ، وَاسْتَوْصِ بِأَخَوَاتِكَ خَيْراً، فَأَصْبَحْنَا، فَكَانَ أَوَّلَ قَتِيلٍ، وَدَفَنْتُ مَعَهُ آخَرَ فِي قَبْرِهِ، ثُمَّ لَمْ تَطِبْ نَفْسِي أَنْ أَتْرُكَهُ مَعَ آخَرَ، فَاسْتَخْرَجْتُهُ بَعْدَ سِتَّةِ أَشْهُرٍ، فَإِذَا هُوَ كَيَوْمِ وَضَعْتُهُ غَيْرَ أُذنِهِ، فَجَعَلْتُهُ فِي قَبْرٍ عَلَى حِدَةٍ . رواه البخاري

وعن جابر بن عبد الله رضي الله عنهما، قال: لما حضرت احد دعاني ابي من الليل فقال: ما اراني الا مقتولا في اول من يقتل من اصحاب النبي، واني لا اترك بعدي اعز علي منك غير نفس رسول الله صلى الله عليه وسلم، وان علي دينا فاقض، واستوص باخواتك خيرا، فاصبحنا، فكان اول قتيل، ودفنت معه اخر في قبره، ثم لم تطب نفسي ان اتركه مع اخر، فاستخرجته بعد ستة اشهر، فاذا هو كيوم وضعته غير اذنه، فجعلته في قبر على حدة . رواه البخاري

(253) Chapter: Superiority of Auliya' and their Marvels


abir bin 'Abdullah (May Allah be pleased with them) said:
My father called me on the evening before (the battle of) Uhud and said: "I perceive that I shall be among the first from among the Companions of the Prophet (ﷺ) to be martyred, and after him you are the dearest to me. I am under the burden of debt. Pay it and treat your sisters well." Next morning he was among the first to be killed, so I buried him along with another in the same grave. Thereafter, I did not like that I should leave him with another in the grave. So I dug up his corpse after six months and he was in the same condition in which he was on the day when I buried him, except that there was a scratch on his ear. Then I buried him in a separate grave.

[Al- Bukhari].

Commentary: This Hadith highlights the following five points:

1. The Companions' love for the Prophet (PBUH) exceeded everything else, even one's own life and children.

2. The Companions' ardent desire for martyrdom.

3. The sixth sense of Jabir's father that he would be honoured with martyrdom.

4. The miracle that his dead body remained intact and did not decompose even after the period of six months.

5. The justification to exhume a dead body, in case of need. This permission is subject to the condition that much time has not passed since the burial of the deceased.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৬/ (প্রার্থনামূলক) দো‘আসমূহ (كتاب الدعوات) The Book of Du'a (Supplications)

পরিচ্ছেদঃ ২৫৩: আল্লাহর প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য

৬/১৫১৬। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীর মধ্য থেকে দু’জন সাহাবী অন্ধকার রাতে তাঁর নিকট হতে বাইরে গমন করেন। আর তাঁদের আগে আগে প্রদীপের ন্যায় কোন আলো বিদ্যমান ছিল। পরে যখন তাঁরা একে অপর থেকে আলাদা হয়ে গেলেন, তখনও প্রত্যেকের সঙ্গে আলো ছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁরা প্রত্যেকে নিজ নিজ গৃহে পৌঁছে গেলেন। (এটিকে বুখারী কয়েকটি সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কোন কোন বর্ণনায়, ঐ দুই সাহাবীর নাম ছিল, উসাইদ ইবনে হুযাইর ও আব্বাদ ইবনে বিশর। রাদিয়াল্লাহু আনহুমা।) [1]

(253) بَابُ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ وَفَضْلِهِمْ

وَعَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه:أَنَّ رَجُلَينِ مِنْ أَصحَابِ النَّبِيِّ، خَرَجَا مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ، فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ وَمَعَهُمَا مِثْلُ المِصْبَاحَيْنِ بَيْنَ أَيْديهِمَا. فَلَمَّا افْتَرَقَا، صَارَ مَعَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا وَاحِدٌ حَتَّى أَتَى أَهْلَهُ. رواهُ البُخاري مِنْ طُرُقٍ؛ وفي بَعْضِهَا أنَّ الرَّجُلَيْنِ أُسَيْدُ بنُ حُضير، وَعَبّادُ بنُ بِشْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا.

وعن انس رضي الله عنه:ان رجلين من اصحاب النبي، خرجا من عند النبي، في ليلة مظلمة ومعهما مثل المصباحين بين ايديهما. فلما افترقا، صار مع كل واحد منهما واحد حتى اتى اهله. رواه البخاري من طرق؛ وفي بعضها ان الرجلين اسيد بن حضير، وعباد بن بشر رضي الله عنهما.

(253) Chapter: Superiority of Auliya' and their Marvels


Anas (May Allah be pleased with him) reported:
Two Companions of the Prophet (ﷺ) left his home in a very dark night with something like lights in front of them; when they separated, each of them had one light in front of him till they arrived home.

[Al- Bukhari].

Other narrations reported in Al-Bukhari say that the two men were Usaid bin Hudhair and 'Abbad bin Bishr (May Allah be pleased with them).

Commentary: What was akin to light? Some people say it was their walking sticks which gave a shining effect in darkness and showed them their way. Some say that it was the light of the Prophethood. Thus, it was a marvel of the Companions and a miracle of the Prophet (PBUH).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৬/ (প্রার্থনামূলক) দো‘আসমূহ (كتاب الدعوات) The Book of Du'a (Supplications)

পরিচ্ছেদঃ ২৫৩: আল্লাহর প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য

৭/১৫১৭। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মুশরিকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য) আসেম ইবনে সাবেত আনসারীর নেতৃত্বে একটি গুপ্তচরের দল কোথাও পাঠালেন। যেতে যেতে তাঁরা উসফান ও মক্কার মধ্যবর্তী হাদ্আহ নামক স্থানে পৌঁছলে হুযায়ল গোত্রের একটি শাখা বানী লিহইয়ানের নিকট তাঁদের আগমনের কথা জানিয়ে দেওয়া হল। এ সংবাদ পাওয়ার পর তারা প্রায় একশজন তীরন্দাজ সমভিব্যাহারে তাঁদের প্রতি ধাওয়া করল। দলটি তাদের (মুসলিম গোয়েন্দা দলের) পদচিহ্ন অনুসরণ করতে লাগল।

আসেম ও তাঁর সাথীগণ বুঝতে পেরে একটি (উঁচু) জায়গায় (পাহাড়ে) আশ্রয় নিলেন। এবার শত্রুদল তাঁদেরকে ঘিরে ফেলল এবং বলল, ’নেমে এসে আত্মসমর্পণ কর, তোমাদের জন্য (নিরাপত্তার) প্রতিশ্রুতি রইল; তোমাদের কাউকে আমরা হত্যা করব না।’ আসেম ইবন সাবেত বললেন, ’আমি কোন কাফেরের প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্ত হয়ে এখান থেকে অবতরণ করব না। হে আল্লাহ! আমাদের এ সংবাদ তোমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পৌঁছিয়ে দাও।’

অতঃপর তারা মুসলিম গোয়েন্দা-দলের প্রতি তীর বর্ষণ করতে শুরু করল। তারা আসেমকে শহীদ করে দিল। আর তাঁদের মধ্যে তিনজন তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নেমে এলেন। তাঁরা হলেন, খুবাইব, যায়দ ইবন দাসিনাহ ও অন্য একজন (আব্দুল্লাহ ইবন ত্বারিক)। অতঃপর তারা তাঁদেরকে কাবু করে ফেলার পর নিজেদের ধনুকের তার খুলে তার দ্বারা তাঁদেরকে বেঁধে ফেলল। এ দেখে তাঁদের সাথে তৃতীয় সাহাবী (আব্দুল্লাহ) বললেন, ’এটা প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা। আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের সাথে যাব না। ঐ শহীদগণই আমার আদর্শ।’ কিন্তু তারা তাঁকে তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য বহু টানা-হেঁচড়া এবং বহু চেষ্টা করল। কিন্তু তিনি তাদের সঙ্গে যেতে অস্বীকার করলেন।

অবশেষে কাফেরগণ তাঁকে শহীদ করে দিল এবং খুবাইব ও যায়দ ইবন দাসিনাকে বদর যুদ্ধের পরে মক্কার বাজারে গিয়ে বিক্রি করে দিল। বনী হারেস ইবন আমের ইবন নাওফাল ইবন আব্দে মানাফ গোত্রের লোকেরা খুবাইবকে ক্রয় করে নিলো। আর খুবাইব বদর যুদ্ধের দিন হারেসকে হত্যা করেছিলেন। তাই তিনি তাদের নিকট বেশ কিছুদিন বন্দী অবস্থায় কাটালেন। অবশেষে তারা তাঁকে হত্যা করার ব্যাপারে একমত হল।

একদা তিনি নাভির নীচের লোম পরিষ্কার করার জন্য হারেসের কোন এক কন্যার নিকট থেকে একখানা ক্ষুর চাইলেন। সে তাঁকে তা দিল। সে অন্যমনস্ক থাকলে তার একটি শিশু বাচ্চা (খেলতে খেলতে) তাঁর নিকট চলে গেল। অতঃপর সে খুবাইবকে দেখল যে, তিনি বাচ্চাটাকে নিজের উরুর উপর বসিয়ে রেখেছেন এবং ক্ষুরটি তাঁর হাতে রয়েছে। এতে সে ভীষণভাবে ঘাবড়ে গেল। খুবাইব তা বুঝতে পেরে বললেন, ’একে হত্যা করে ফেলব ভেবে তুমি কি ভয় পাচ্ছ? আমি তা করব না।’

(পরবর্তী কালে মুসলিম হওয়ার পর) হারেসের উক্ত কন্যা বর্ণনা করেন যে, ’আল্লাহর কসম! আমি খুবাইব অপেক্ষা উত্তম বন্দী আর কখনও দেখিনি। আল্লাহর কসম! আমি তাঁকে একদিন আঙ্গুরের থোকা থেকে আঙ্গুর খেতে দেখেছি। অথচ তখন মক্কায় কোন ফলই ছিল না। অধিকন্তু তিনি তখন লোহার শিকলে আবদ্ধ ছিলেন। এ আঙ্গুর তাঁর জন্য আল্লাহর তরফ থেকে প্রদত্ত রিয্ক ছাড়া আর কিছুই নয়।’

অতঃপর তাঁকে হত্যা করার জন্য যখন হারামের বাইরে নিয়ে গেল, তখন তিনি তাদেরকে বললেন, ’আমাকে দু’ রাকআত নামায আদায় করার সুযোগ দাও।’ সুতরাং তারা তাঁকে ছেড়ে দিল এবং তিনি দু’ রাকআত নামায আদায় করলেন। (নামায শেষে তিনি তাদেরকে) বললেন, ’আমি মৃত্যুর ভয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছি, তোমরা যদি এ কথা মনে না করতে, তাহলে আমি (নামাযকে) আরও দীর্ঘায়িত করতাম।’ অতঃপর তিনি বললেন, ’হে আল্লাহ! তাদেরকে এক এক করে গুণে রাখ, তাদেরকে বিক্ষিপ্তভাবে ধ্বংস কর এবং তাদের মধ্যে কাউকেও বাকী রেখো না।

তারপর তিনি আবৃত্তি করলেন,

যেহেতু আমি মুসলিম হিসাবে মৃত্যুবরণ করছি তাই আমার কোন পরোয়া নেই

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কোন পার্শে আমি লুটিয়ে পড়ি।

আমি যেহেতু আল্লাহর পথেই মৃত্যুবরণ করছি,

আর তিনি ইচ্ছা করলে আমার ছিন্নভিন্ন প্রতিটি অঙ্গে বরকত দান করতে পারেন।’

খুবাইবই প্রথম ছিলেন, যিনি প্রত্যেক সেই মুসলিমের জন্য (নিহত হওয়ার পূর্বে দুই রাকআত) নামায সুন্নত করে যান, যাকে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয়।

এদিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবিবর্গকে সেই দিনই তাঁদের খবর জানালেন, যেদিন তাঁদেরকে হত্যা করা হয়।

অপর দিকে কুরাইশের কিছু লোক আসেম ইবন সাবেতের খুন হওয়া শুনে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাঁর মৃতদেহ থেকে পরিচিত কোন অংশ নিয়ে আসার জন্য লোক পাঠিয়ে দিল। আর তিনি বদর যুদ্ধের দিন তাদের একজন বড় নেতাকে হত্যা করেছিলেন। তখন আল্লাহ মেঘের মত এক ঝাঁক মৌমাছি পাঠিয়ে দিলেন; যা তাদের প্রেরিত লোকদের হাত থেকে আসেমের লাশকে রক্ষা করল। সুতরাং তারা তাঁর দেহ থেকে কোন অংশ কেটে নিতে সক্ষম হল না। (বুখারী)[1]

এ পরিচ্ছেদে আরও অন্যান্য বহু সহীহ হাদিস রয়েছে, যার কিছু এই কিতাবের যথাস্থানে উল্লিখিত হয়েছে। যেমন সেই কিশোরের হাদিস, যে একজন পাদ্রী ও জাদুকরের কাছে যাতায়াত করত, জুরাইজের হাদিস, গুহার মুখে পাথর চাপা পড়া তিন গুহা-বন্দীর হাদিস, সেই সৎলোকের হাদিস, যিনি মেঘ থেকে আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন, ’অমুকের বাগানে পানি বর্ষণ কর’ ইত্যাদি। এ পরিচ্ছেদের দলীল প্রচুর ও প্রসিদ্ধ। আর আল্লাহই তওফীকদাতা।

(253) بَابُ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ وَفَضْلِهِمْ

وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: بَعَثَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَشْرَةَ رَهْطٍ عَيْناً سَرِيَّة، وَأَمَّرَ عَلَيْهَا عَاصِمَ بنَ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيَّ، فَانْطَلَقُوا حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالهَدْأَةِ ؛ بَيْنَ عُسْفَانَ وَمَكَّةَ ؛ ذُكِرُوا لِحَيٍّ مِنْ هُذَيْل يُقالُ لَهُمْ: بَنُو لِحيَانَ، فَنَفَرُوا لَهُمْ بِقَرِيبٍ مِنْ مِئَةِ رَجُلٍ رَامٍ، فَاقْتَصُّوا آثَارَهُمْ، فَلَمَّا أَحَسَّ بِهِمْ عَاصِمٌ وَأَصْحَابُهُ، لَجَأُوْا إِلَى مَوْضِعٍ، فَأَحَاطَ بِهِمُ القَوْمُ، فَقَالُوا: انْزِلُوا فَأَعْطُوا بِأَيْدِيكُمْ وَلَكُمُ العَهْدُ وَالمِيثَاقُ أَنْ لاَ نَقْتُلَ مِنْكُمْ أَحَداً . فَقَالَ عَاصِمُ بنُ ثَابِتٍ رضي الله عنه: أَيُّهَا القَوْمُ، أَمَّا أَنَا، فَلاَ أَنْزِلُ عَلَى ذِمَّةِ كَافِرٍ: اَللهم أَخْبِرْ عَنَّا نَبِيَّكَ، فَرَمَوهُمْ بِالنّبْلِ فَقَتلُوا عَاصِماً، وَنَزَلَ إِلَيْهِمْ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ عَلَى العَهْدِ وَالمِيثاقِ، مِنْهُمْ خُبَيْبٌ، وَزَيدُ بنُ الدَّثِنَةِ وَرَجُلٌ آخَرُ. فَلَمَّا اسْتَمْكَنُوا مِنْهُمْ أَطْلَقُوا أَوْتَارَ قِسِيِّهِمْ، فَرَبطُوهُمْ بِهَا . قَالَ الرَّجُلُ الثَّالِثُ: هَذَا أَوَّلُ الغَدْرِ وَاللهِ لاَ أَصْحَبُكُمْ إنَّ لِي بِهَؤُلاَءِ أُسْوَةً، يُرِيدُ القَتْلَى، فَجَرُّوهُ وعَالَجُوهُ، فَأَبَى أَنْ يَصْحَبَهُمْ، فَقَتَلُوهُ، وَانْطَلَقُوا بِخُبَيبٍ، وَزَيْدِ بنِ الدَّثِنَةِ، حَتَّى بَاعُوهُمَا بِمَكَّةَ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ ؛ فَابْتَاعَ بَنُو الحارِثِ بنِ عامِرِ بنِ نَوْفَلِ بنِ عبدِ مَنَافٍ خُبيباً، وَكَانَ خُبَيْبٌ هُوَ قَتَلَ الحَارِثَ يَوْمَ بَدْرٍ . فَلِبثَ خُبَيْبٌ عِنْدَهُمْ أَسِيراً حَتَّى أَجْمَعُوا عَلَى قَتْلِهِ، فاسْتَعَارَ مِنْ بَعْضِ بَنَاتِ الحَارثِ مُوسَى يَسْتَحِدُّ بِهَا فَأَعَارَتْهُ، فَدَرَجَ بُنَيٌّ لَهَا وَهِيَ غَافِلَةٌ حَتَّى أَتَاهُ، فَوَجَدَتهُ مُجْلِسَهُ عَلَى فَخْذِهِ وَالمُوسَى بِيَدِهِ، فَفَزِعَتْ فَزْعَةً عَرَفَهَا خُبَيْبٌ . فَقَالَ: أَتَخَشَيْنَ أَنْ أَقْتُلَهُ مَا كُنْتُ لأَفْعَلَ ذَلِكَ ! قَالَتْ: وَاللهِ مَا رَأيْتُ أَسِيراً خَيراً مِنْ خُبَيْبٍ، فَوَاللهِ لَقَدْ وَجَدْتُهُ يَوْماً يَأكُلُ قِطْفاً مِنْ عِنَبٍ فِي يَدِهِ وَإِنَّهُ لَمُوثَقٌ بِالحَدِيدِ وَمَا بِمَكَّةَ مِنْ ثَمَرَةٍ، وَكَانَتْ تَقُولُ: إِنَّهُ لَرِزْقٌ رَزَقَهُ اللهُ خُبَيْباً . فَلَمَّا خَرَجُوا بِهِ مِنَ الحَرَمِ لِيَقْتُلُوهُ فِي الحِلِّ، قَالَ لَهُمْ خُبَيْبٌ: دَعُونِي أُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ، فَتَرَكُوهُ، فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ فَقَالَ: وَاللهِ لَوْلاَ أَنْ تَحْسَبُوا أَنَّ مَا بِي جَزَعٌ لَزِدْتُ: اَللهم أَحْصِهِمْ عَدَداً، وَاقْتُلهُمْ بِدَدَاً، وَلاَ تُبْقِ مِنْهُمْ أَحَداً . وَقَالَ:
فَلَسْتُ أُبَالِي حِيْنَ أُقْتَلُ مُسْلِماً * عَلَى أيِّ جَنْبٍ كَانَ للهِ مَصْرَعِي
وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الإِلَهِ وَإِنْ يَشَأْ * يُبَارِكْ عَلَى أَوْصَالِ شِلْوٍ مُمَزَّعِ
وَكَانَ خُبَيبٌ هُوَ سَنَّ لِكُلِّ مُسْلِمٍ قُتِلَ صَبْراً الصَّلاَةَ . وَأَخْبَرَ - يَعنِي: النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم - أَصْحَابَهُ يَوْمَ أُصِيبُوا خَبَرَهُمْ، وَبَعَثَ نَاسٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى عَاصِمِ بنِ ثَابِتٍ رضي الله عنه حِيْنَ حُدِّثُوا أَنَّهُ قُتِلَ أَنْ يُؤْتَوا بِشَيءٍ مِنْهُ يُعْرَفُ، وكَانَ قَتَلَ رَجُلاً مِنْ عُظَمَائِهِمْ، فَبَعَثَ اللهُ لِعَاصِمٍ مِثْلَ الظُّلَّةِ مِنَ الدَّبْرِ فَحَمَتْهُ مِنْ رُسُلِهِمْ، فَلَمْ يَقْدِرُوا أَنْ يَقْطَعُوا مِنْهُ شَيْئاً . رواه البخاري

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عشرة رهط عينا سرية، وامر عليها عاصم بن ثابت الانصاري، فانطلقوا حتى اذا كانوا بالهداة ؛ بين عسفان ومكة ؛ ذكروا لحي من هذيل يقال لهم: بنو لحيان، فنفروا لهم بقريب من مىة رجل رام، فاقتصوا اثارهم، فلما احس بهم عاصم واصحابه، لجاوا الى موضع، فاحاط بهم القوم، فقالوا: انزلوا فاعطوا بايديكم ولكم العهد والميثاق ان لا نقتل منكم احدا . فقال عاصم بن ثابت رضي الله عنه: ايها القوم، اما انا، فلا انزل على ذمة كافر: اللهم اخبر عنا نبيك، فرموهم بالنبل فقتلوا عاصما، ونزل اليهم ثلاثة نفر على العهد والميثاق، منهم خبيب، وزيد بن الدثنة ورجل اخر. فلما استمكنوا منهم اطلقوا اوتار قسيهم، فربطوهم بها . قال الرجل الثالث: هذا اول الغدر والله لا اصحبكم ان لي بهولاء اسوة، يريد القتلى، فجروه وعالجوه، فابى ان يصحبهم، فقتلوه، وانطلقوا بخبيب، وزيد بن الدثنة، حتى باعوهما بمكة بعد وقعة بدر ؛ فابتاع بنو الحارث بن عامر بن نوفل بن عبد مناف خبيبا، وكان خبيب هو قتل الحارث يوم بدر . فلبث خبيب عندهم اسيرا حتى اجمعوا على قتله، فاستعار من بعض بنات الحارث موسى يستحد بها فاعارته، فدرج بني لها وهي غافلة حتى اتاه، فوجدته مجلسه على فخذه والموسى بيده، ففزعت فزعة عرفها خبيب . فقال: اتخشين ان اقتله ما كنت لافعل ذلك ! قالت: والله ما رايت اسيرا خيرا من خبيب، فوالله لقد وجدته يوما ياكل قطفا من عنب في يده وانه لموثق بالحديد وما بمكة من ثمرة، وكانت تقول: انه لرزق رزقه الله خبيبا . فلما خرجوا به من الحرم ليقتلوه في الحل، قال لهم خبيب: دعوني اصلي ركعتين، فتركوه، فركع ركعتين فقال: والله لولا ان تحسبوا ان ما بي جزع لزدت: اللهم احصهم عددا، واقتلهم بددا، ولا تبق منهم احدا . وقال: فلست ابالي حين اقتل مسلما * على اي جنب كان لله مصرعي وذلك في ذات الاله وان يشا * يبارك على اوصال شلو ممزع وكان خبيب هو سن لكل مسلم قتل صبرا الصلاة . واخبر - يعني: النبي صلى الله عليه وسلم - اصحابه يوم اصيبوا خبرهم، وبعث ناس من قريش الى عاصم بن ثابت رضي الله عنه حين حدثوا انه قتل ان يوتوا بشيء منه يعرف، وكان قتل رجلا من عظماىهم، فبعث الله لعاصم مثل الظلة من الدبر فحمته من رسلهم، فلم يقدروا ان يقطعوا منه شيىا . رواه البخاري

(253) Chapter: Superiority of Auliya' and their Marvels


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) sent an espionage mission of ten men under the leadership of 'Asim bin Thabit Al-Ansari (May Allah be pleased with him). They proceeded till they reached Al-Had'ah, a place between 'Usfan and Makkah and the news of their arrival reached a section of the tribe of Hudhail, called Banu Lihyan. About one hundred men, who were all archers, hurried to follow their tracks. When 'A sim and his companions came to know of their pursuers, they took refuge in a safe place. The infidels encircled them and said to them: "Come down and surrender, and we promise and guarantee you that we will not kill anyone of you." 'Asim bin Thabit (May Allah be pleased with him) said: "By Allah! I will not come down to be under the protection of disbelievers. O Allah! convey this news to our Prophet (ﷺ)." Then the infidels shot arrows at them till they killed 'Asim. Three men came down relying on their promise and covenant. They were Khubaib, Zaid bin Ad-Dathinah and another man. When the disbelievers captured them, they tied them up with the strings of their bows. The third of the captives said: "This is the beginning of first betrayal. By Allah! I will not go with you. I have a good example in these (martyrs)." So they dragged him and tried to compel him to accompany them, but he refused. At last they killed him. They took Khubaib and Zaid bin Ad- Dathina with them and sold them as slaves in Makkah. This incident took place after the battle of Badr.

Khubaib was bought by the sons of Al-Harith bin 'Amir bin Naufal bin 'Abd Manaf. It was Khubaib who had killed Al-Harith in the battle of Badr. Khubaib remained a prisoner with those people for a few days till the sons of Al-Harith resolved to kill him.

When Khubaib (May Allah be pleased with him) got wind of this plot, he borrowed a razor from one of Al- Harith's daughters in order to remove his pubic hair. Her little son crawled towards Khubaib because of her carelessness. Later on, she saw her son on his thigh and the razor was in his hand. She got scared so much that Khubaib noticed the agitation on her face and said: "Are you afraid that I will kill him? No, I will never do that." She later remarked (after Al-Khubaib got martyred): "By Allah! I never saw a prisoner better than Khubaib." She added: "By Allah! I saw him once eating of a bunch of grapes in his hand while he was chained and there was no such fruit at that time in Makkah. Probably it was a boon which Allah bestowed upon Khubaib."

When they took him out of the Haram of Makkah to kill him outside its boundaries, Khubaib requested them to let him offer two Rak'ah of voluntary prayer. They allowed him and he offered two Rak'ah prayer. Then he said: "Had I not apprehended that you would think that I was afraid of death, I would have prolonged the prayer. O Allah! Count their number; slay them one by one and spare not one of them." He then recited these poetic verses:

'I do not care how they kill me as long as I get martyred in the Cause of Allah as a Muslim. I received my death for Allah's sake. If Allah so desires, He will bless, the amputated limbs of the torn body.'

Then the son of Al-Harith killed him. It was Khubaib who set the tradition for any Muslim sentenced to death in captivity to offer two Rak'ah of voluntary prayer. On that day the Messenger of Allah (ﷺ) informed his Companions of the martyrdom of Khubaib. Later on, when some disbelievers from Quraish were informed that 'Asim had been martyred, they sent some people to fetch a significant part of his body to ascertain his death. (This was because) 'Asim had killed one of their chiefs. So Allah sent a swarm of wasps, resembling a shady cloud, to hover over the body of 'Asim and to shield him from their messengers, and thus they could not cut off anything from his body.

[Al- Bukhari].

Commentary: "Raht'' means a group or party. Some people say it consisted of six persons - `Asim bin Thabit, Marthad bin Abu Marthad, Khubaib bin `Adi, Zaid bin Ad-Dathina, `Abdullah bin Tariq and Khalid bin Bukair (May Allah be pleased with him) Some say that it comprised ten persons. Allah knows better.
The incident reported in this Hadith has many miracles and marvels. For instance, according to his prayer, the news of his assassination was conveyed by Allah through Wahy to the Prophet (PBUH) on the very day when he was martyred and he (PBUH) informed his Companions about it.
Second, Allah provided Khubaib with grapes when they were out of season during his imprisonment.
Third, Allah sent wasps for the safety of `Asim's corpse.
Fourth, his enemies met with the evil end which he had imprecated for them.

This Hadith brings forth the following six points:
1. If one's enemy shows strictness and oppression, then he should not accept the offer of protection from them even if he is killed as a result of this. One can, however, try to save his life if he sees some signs of leniency in the enemy's attitude.

2. The matchless perseverance and steadfastness of the Companions of the Prophet (PBUH) and their patience on the tyrannies perpetrated on them by their enemies.

3. Even in the worst of circumstances, the Companion of the Prophet (PBUH) (i.e., Khubaib) maintained the best standard of morality and did not harm the enemy's child in any way.

4. If the enemy is bent upon killing, then it is permissible to request them for permission to offer two Rak`ah of voluntary Salat because this act of Khubaib (May Allah be pleased with him) was upheld by the Prophet (PBUH).

5. It is lawful to imprecate for oppressors and disbelievers. There are many Ahadith on the validity of marvels and miracles which have been mentioned in the present book in different chapters. The following instances can be quoted in this respect:

1. The incident of the boy who used to visit a priest and a magician. (See the Chapter on Patience).
2. The story of Juraij (which occurs in the Chapter on Sincerity).
3. The story of the men of the cave, the entrance of which was closed with a huge stone. (The Chapter on Generosity).
4. The story of the man who had heard the voice from the clouds ordering them to shower rain on a particular garden (the Chapter on Generosity).

Many other incidents also come in this category which are supported by evidence and are well-known. Allah is Capable of doing everything.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৬/ (প্রার্থনামূলক) দো‘আসমূহ (كتاب الدعوات) The Book of Du'a (Supplications)

পরিচ্ছেদঃ ২৫৩: আল্লাহর প্রিয় বন্ধুদের কারামত (অলৌকিক কর্মকাণ্ড) এবং তাঁদের মাহাত্ম্য

৮/১৫১৮। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যখনই কোন বিষয়ে আমি উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বলতে শুনতাম, ’আমার মনে হয়, এটা এই হবে’ তখনই (দেখতাম) বাস্তবে তাই হত; যা তিনি ধারণা করতেন!” (বুখারী)[1]

(253) بَابُ كَرَامَاتِ الْأَوْلِيَاءِ وَفَضْلِهِمْ

وعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: مَا سَمِعْتُ عُمَرَ رضي الله عنه يَقُوْلُ لِشَيءٍ قَطُّ: إِنِّي لأَظُنُّهُ كَذَا، إِلاَّ كَانَ كَمَا يَظُنُّ . رواه البخاري

وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قال: ما سمعت عمر رضي الله عنه يقول لشيء قط: اني لاظنه كذا، الا كان كما يظن . رواه البخاري

(253) Chapter: Superiority of Auliya' and their Marvels


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
I never heard 'Umar (May Allah be pleased with him) relating anything that he conceived it to be so-and-so, but that it proved to be as he had conceived it."

[Al-Bukhari].

Commentary: This Hadith tells us about the distinction of `Umar (May Allah be pleased with him) and confirms the marvels which Allah manifested through him. Almighty Allah had endowed him with abundant sagacity and intelligence. For this reason, the Prophet (PBUH) stated that if there would ever be a man in his Ummah who will be gifted with inspiration, this man would be `Umar (May Allah be pleased with him).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৬/ (প্রার্থনামূলক) দো‘আসমূহ (كتاب الدعوات) The Book of Du'a (Supplications)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে