পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

মহান আল্লাহ বলেছেন,

﴿وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ﴾ [العنكبوت: ٤٥]

“অবশ্যই আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ।” (সূরা আনকাবূত ৪৫ আয়াত)

আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,

﴿فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ﴾ [البقرة: ١٥٢]

“তোমরা আমাকে স্মরণ কর; আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব।” (সূরা বাকারা ১৫২ আয়াত)

তিনি অন্যত্র বলেন,

﴿وَاذْكُرْ رَبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ وَلَا تَكُنْ مِنَ الْغَافِلِينَ﴾ [الاعراف: ٢٠٥]

“তোমার প্রতিপালককে মনে মনে সবিনয় ও সশঙ্কচিত্তে অনুচ্চস্বরে প্রত্যুষে ও সন্ধ্যায় স্মরণ কর এবং তুমি উদাসীনদের দলভুক্ত হয়ো না।” (সূরা আ’রাফ ২০৫ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেন,

﴿وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ﴾ [الجمعة: ١٠]

“আল্লাহকে অধিক-রূপে স্মরণ কর; যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (সূরা জুমআ ১০ আয়াত)

তিনি আরও বলেছেন,

﴿إِنَّ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ﴾ إِلَى قَوْله تَعَالَى: ﴿وَالذَّاكِرَاتِ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا﴾ [الاحزاب: ٣٥]

“নিশ্চয়ই আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) পুরুষ ও আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) নারী, ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, রোযা পালনকারী পুরুষ ও রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী (সংযমী) পুরুষ ও যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী (সংযমী) নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী নারী---এদের জন্য আল্লাহ ক্ষমা ও মহা প্রতিদান রেখেছেন।” (সূরা আহযাব ৩৫ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,

﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا اللَّهَ ذِكْرًا كَثِيرًا ٤١ وَسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا ٤٢ ﴾ [الاحزاب: ٤١، ٤٢]

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।” (সূরা আহযাব ৪১-৪২ আয়াত)

এ মর্মে আরও অনেক বিদিত আয়াত রয়েছে।


১/১৪১৬। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “দু’টি কলেমা (বাক্য) রয়েছে, যে দু’টি দয়াময় আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়, জবানে (উচ্চারণে) খুবই সহজ, আমলের পাল্লায় অত্যন্ত ভারী। তা হচ্ছে, ’সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহী, সুবহানাল্লাহিল আযীম।’ অর্থাৎ আমরা আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করেছি, মহান আল্লাহ অতীব পবিত্র।” (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «كَلِمَتَانِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ، ثَقِيلَتَانِ فِي المِيزَانِ، حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَانِ: سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللهِ العظيمِ» . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «كلمتان خفيفتان على اللسان، ثقيلتان في الميزان، حبيبتان الى الرحمان: سبحان الله وبحمده، سبحان الله العظيم» . متفق عليه

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Allah, the Exalted, says:
"And the remembering (praising) of (you by) Allah (in front of the angels) is greater indeed [than your remembering (praising) of Allah in prayers]'' (29:45)

"Therefore remember Me (by praying, glorifying). I will remember you.'' (2:152)

"And remember your Rubb by your tongue and within yourself, humbly and with fear and without loudness in words, in the mornings and in the afternoons, and be not of those who are neglectful.'' (7:205)

"And remember Allah much, that you may be successful.'' (62:10)

"Verily, the Muslims (those who submit to Allah in Islam) men and women... (up to)... And the men and the women who remember Allah much with their hearts and tongues. Allah has prepared for them forgiveness and a great reward (i.e., Jannah).'' (33:35)

"O you who believe! Remember Allah with much remembrance. And glorify His Praises morning and afternoon [the early morning (Fajr) and `Asr prayers].'' (33:41,42)


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "There are two statements that are light for the tongue to remember, heavy in the Scales and are dear to the Merciful: 'Subhan-Allahi wa bihamdihi, Subhan-Allahil-Azim [Glory be to Allah and His is the praise, (and) Allah, the Greatest is free from imperfection]'."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: This Hadith affirms that man's actions carry weight. On the Day of Judgement, his actions will be cast into the Balance. At that time Allah will endow these actions with weight, or according to some scholars, those records which register man's actions will be weighed. This is quite possible for the reason that Almighty Allah is Capable of weighing things without even their physical form. This discussion apart, when actions will be cast into the Balance, the formula mentioned in the Hadith, the utterance of which is very easy, will prove weighty. Every Muslim should make it a practice to repeat them frequently.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

২/১৪১৭। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আমার এই বাক্যমালা (সুবহানাল্লাহি অলহামদুলিল্লাহি অলা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অল্লাহু আকবার। (অর্থাৎ আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আল্লাহর যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ ছাড়া (সত্যিকার) কোনো ইলাহ নেই এবং আল্লাহ সব চাইতে মহান) পাঠ করা সেই সমস্ত বস্তু অপেক্ষা অধিক প্রিয়, যার উপর সূর্যোদয় হয়।” (মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْه رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لأَنْ أَقُولَ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالحَمْدُ للهِ، وَلاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أكْبَرُ، أَحَبُّ إلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ» . رواه مسلم

وعنه رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «لان اقول: سبحان الله، والحمد لله، ولا اله الا الله، والله اكبر، احب الي مما طلعت عليه الشمس» . رواه مسلم

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The uttering of the words: "Subhan-Allah (Allah is free from imperfection), Al-hamdu lillah (all praise is due to Allah), La ilaha illallah (there is no true god except Allah) and Allahu Akbar (Allah is the Greatest)' is dearer to me than anything over which the sun rises."

[Muslim].

Commentary: This Hadith hightlights the fact that the formulas which mention the Praise and Glory of Allah, His Majesty and Oneness are liked by the Prophet (PBUH) more than anything in the world, because this is one of the virtues which will survive and will be rewarded, while the world and all that it has will perish.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

৩/১৪১৮। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।’

অর্থাৎ এক অদ্বিতীয় আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো সত্য উপাস্য নেই। তাঁর কোনো শরীক নেই। (বিশাল) রাজ্যের তিনিই সার্বভৌম অধিপতি। তাঁরই যাবতীয় স্তুতিমালা এবং সমস্ত বস্তুর উপর তিনি ক্ষমতাবান।

যে ব্যক্তি এই দো’আটি দিনে একশবার পড়বে, তার দশটি গোলাম আজাদ করার সমান নেকী অর্জিত হবে, একশ’টি নেকী লিপিবদ্ধ করা হবে, তার একশ’টি গুনাহ মোচন করা হবে, উক্ত দিনের সন্ধ্যা অবধি তা তার জন্য শয়তান থেকে বাঁচার রক্ষামন্ত্র হবে এবং তার চেয়ে সেদিন কেউ উত্তম কাজ করতে পারবে না। কিন্তু যদি কেউ তার চেয়ে বেশী আমল করে তবে।”

তিনি আরও বলেছেন, “যে ব্যক্তি দিনে একশবার ’সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহ’ পড়বে তার গুনাহসমূহ মোচন করা হবে; যদিও তা সমুদ্রের ফেনা বরাবর হয়।” (বুখারী-মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَنْ قَالَ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَريكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ ؛ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، فِي يَوْمٍ مِئَةَ مَرَّةٍ كَانَتْ لَهُ عَدْلَ عَشْرِ رِقَابٍ وكُتِبَتْ لَهُ مِئَةُ حَسَنَةٍ، وَمُحِيَتْ عَنْهُ مِئَةُ سَيِّئَةٍ، وَكَانَتْ لَهُ حِرْزاً مِنَ الشَّيْطَانِ يَوْمَهُ ذَلِكَ حَتَّى يُمْسِي، وَلَمْ يَأتِ أَحَدٌ بِأَفْضَلَ مِمَّا جَاءَ بِهِ إِلاَّ رَجُلٌ عَمِلَ أَكْثَرَ مِنْهُ» . وَقَالَ: «مَنْ قَالَ سُبْحَانَ الله وَبِحَمْدِهِ، فِي يَوْمٍ مِئَةَ مَرَّةٍ، حُطَّتْ خَطَايَاهُ، وَإنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ البَحْرِ» . متفقٌ عَلَيْهِ

وعنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قال: «من قال لا اله الا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد ؛ وهو على كل شيء قدير، في يوم مىة مرة كانت له عدل عشر رقاب وكتبت له مىة حسنة، ومحيت عنه مىة سيىة، وكانت له حرزا من الشيطان يومه ذلك حتى يمسي، ولم يات احد بافضل مما جاء به الا رجل عمل اكثر منه» . وقال: «من قال سبحان الله وبحمده، في يوم مىة مرة، حطت خطاياه، وان كانت مثل زبد البحر» . متفق عليه

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who utters a hundred times in a day these words: 'La ilaha illallahu, wahdahu la sharika lahu, lahul-mulku wa lahul-hamdu, wa Huwa 'ala kulli sha'in Qadir (there is no true god except Allah. He is One and He has no partner with Him; His is the sovereignty and His is the praise, and He is Omnipotent),' he will have a reward equivalent to that for emancipating ten slaves, a hundred good deeds will be recorded to his credit, hundred of his sins will be blotted out from his scroll, and he will be safeguarded against the devil on that day till the evening; and no one will exceed him in doing more excellent good deeds except someone who has recited these words more often than him. And he who utters: 'Subhan-Allahi wa bihamdihi (Allah is free from imperfection and His is the praise)' one hundred times a day, his sins will be obliterated even if they are equal to the extent of the foam of the ocean."

[Al-Bukhari and Muslim].


Commentary: Here sins mean minor sins and those which do not relate to the rights of people. This point has already been elaborated in the preceding Ahadith.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

৪/১৪১৯। আবূ আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুলি শায়ইন ক্বাদীর’ দিনে দশবার পাঠ করবে, সে ব্যক্তি ইসমাইলের বংশধরের চারজন দাস মুক্ত করার সমান সওয়াব লাভ করবে।” (বুখারী-মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ أَبي أَيُّوبَ الأَنصَارِيِّ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ قَالَ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ ؛ وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، عَشْرَ مَرَّاتٍ . كَانَ كَمَنْ أَعْتَقَ أَرْبَعَةَ أَنْفُسٍ منْ وَلَدِ إسْمَاعِيلَ» . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن ابي ايوب الانصاري رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «من قال لا اله الا الله وحده لا شريك له، له الملك ؛ وله الحمد، وهو على كل شيء قدير، عشر مرات . كان كمن اعتق اربعة انفس من ولد اسماعيل» . متفق عليه

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Abu Ayyub Al-Ansari (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said: "He who utters ten times: 'La ilaha illallahu, wahdahu la sharika lahu, lahulmulku wa lahulhamdu, wa Huwa 'ala kulli sha'in Qadir (there is no true god except Allah. He is One and He has no partner with Him. His is the sovereignty and His is the praise, and He is Omnipotent),' he will have a reward equal to that for freeing four slaves from the progeny of Prophet Isma'il."

[Al- Bukhari and Muslim].


Commentary: "Slaves from the progeny of Isma`il'' is a simile for very precious slaves. That is, it has the same reward to which the emancipation of four very precious slaves is eligible.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

৫/১৪২০। আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, “ আমি কি তোমাকে আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় কথা কি তা জানাব? আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় কথা হল, ’সুবহানাল্লা-হি অবিহামদিহ’ (অর্থাৎ আল্লাহর সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি।)” (মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ أَبي ذَرٍّ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «أَلاَ أُخْبِرُكَ بِأَحَبِّ الكَلاَمِ إِلَى اللهِ ؟ إِنَّ أَحَبَّ الكَلاَمِ إِلَى اللهِ: سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ» . رواه مسلم

وعن ابي ذر رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : «الا اخبرك باحب الكلام الى الله ؟ ان احب الكلام الى الله: سبحان الله وبحمده» . رواه مسلم

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Abu Dharr (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said to me, "Shall I tell you the expression that is most loved by Allah?" It is 'Subhan-Allahi wa bihamdihi' (Allah is free from imperfection and His is the praise)'."

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

৬/১৪২১। আবূ মালেক আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “পবিত্রতা অর্ধেক ঈমান। আর ’আলহামদু লিল্লাহ’ (কিয়ামতে নেকীর) দাঁড়িপাল্লাকে ভরে দেবে এবং ’সুবহানাল্লাহ’ ও ’আলহামদু লিল্লাহ’ আসমান ও জমিনের মধ্যস্থিত শূন্যতা পূর্ণ করে দেয়।” (মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ أَبي مَالِكٍ الأَشعَرِي رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه : «الطُّهُورُ شَطْرُ الإِيمانِ، وَالحَمْدُ للهِ تَمْلأُ المِيزَانَ، وَسُبْحَانَ اللهِ وَالحَمْدُ للهِ تَمْلآنِ - أَوْ تَمْلأُ - مَا بَيْنَ السَّمَاوَاتِ وَالأرْضِ». رواه مسلم

وعن ابي مالك الاشعري رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه : «الطهور شطر الايمان، والحمد لله تملا الميزان، وسبحان الله والحمد لله تملان - او تملا - ما بين السماوات والارض». رواه مسلم

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Abu Malik Al-Ash'ari (may Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: "Purity is half of iman (faith). ‘Al-hamdu lillah (all praise and gratitude belong to Allah)’ fills the scales, and ‘subhan-Allah (how far is Allah from every imperfection) and ‘Al-hamdulillah (all praise and gratitude belong to Allah)’ fill that which is between heaven and earth."

[Muslim].

Commentary: "Tuhur'' is purification or Wudu', while "Tahur'' is water or something which is used for purification. According to some scholars, `Faith'' means Salat. This is also the sense in which it has been used in the Qur'an: "And Allah would never make your Faith to be lost (i.e., your prayers).'' [2:143]. Thus when Salat is the Faith, the purification is a prerequisite for Salat. Salat is not valid without purification. Some scholars are of the opinion that Faith here means Faith in general, as the Shari`ah defines it: To sincerely accept and believe in all that the Prophet (PBUH) came with, i.e., sincere acceptance of Allah and His Prophet (PBUH).

"Purification is half of the Faith'' means the acceptance that purification is the most important article of Faith. It is like the saying of the Prophet (PBUH) that "Hajj is `Arafah'', which means that `Arafat (the place where the pilgrims stay on the 9th day of Dhul-Hijjah) is the most important element of the Hajj. Thus, this Hadith stresses the importance and merits of purification and offers an inducement for it. It also mentions the eminence of the invocations mentioned in the Hadith by saying that if they are given a form, they will fill the space between the heavens and the earth. In other words, it is a description of the infinite vastness of the Mercy and Grace of Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

৭/১৪২২। সায়াদ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন বেদুঈন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সমীপে এসে নিবেদন করল, ’আমাকে একটি কথা শিখিয়ে দিন, আমি তা বলব।’ তিনি বললেন, “বল,

’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ, আল্লাহু আকবারু কাবীরা, অলহামদু লিল্লাহি কাসীরা, অসুবহানাল্লাহি রাব্বিল আ’লামীন, অলা হাউলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আযীযিল হাকীম।’

অর্থাৎ এক অদ্বিতীয় আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত সত্য উপাস্য নেই, তাঁর কোন অংশীদার নেই। আল্লাহ সর্বাধিক মহান, আল্লাহর অতীব প্রশংসা, বিশ্বচরাচরের পালনকর্তা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি। মহা পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া নাড়া-চড়া করার (পাপ ও অশুভ জিনিস থেকে বেচে থাকা এবং পুণ্যার্জন ও মঙ্গল সাধন করার) ক্ষমতা নেই।”

লোকটি বলল, ’এ সব কথাগুলি আমার প্রভুর জন্য হল, আমার জন্য কি?’ তিনি বললেন, “তুমি বল, ’আল্লা-হুম্মাগফিরলী অরহামনী অহদিনী অরযুক্বনী।’

অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর। আমার প্রতি দয়া কর। আমাকে সৎপথ প্রদর্শন কর ও আমাকে জীবিকা দাও।” (মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ سَعدِ بنِ أَبِي وَقَّاصٍ رضي الله عنه قَالَ: جَاءَ أَعْرَابيٌّ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: عَلِّمْنِي كَلاَماً أَقُولُهُ. قَالَ: «قُلْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَريكَ لَهُ، اللهُ أَكْبَرُ كَبِيراً، وَالحَمْدُ للهِ كَثيراً، وَسُبْحَانَ اللهِ رَبِّ العَالِمينَ، وَلاَ حَولَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ العَزِيزِ الحَكِيمِ» قَالَ: فَهَؤُلاَءِ لِرَبِّي، فَمَا لِي ؟ قَالَ: قُلْ: اَللهم اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَارْزُقْنِي» . رواه مسلم

وعن سعد بن ابي وقاص رضي الله عنه قال: جاء اعرابي الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقال: علمني كلاما اقوله. قال: «قل لا اله الا الله وحده لا شريك له، الله اكبر كبيرا، والحمد لله كثيرا، وسبحان الله رب العالمين، ولا حول ولا قوة الا بالله العزيز الحكيم» قال: فهولاء لربي، فما لي ؟ قال: قل: اللهم اغفر لي، وارحمني، واهدني، وارزقني» . رواه مسلم

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Sa'd bin Abu Waqqas (May Allah be pleased with him) reported:
A bedouin came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said to him, "Teach me a few words to recite frequently." He (ﷺ) said, "Say: "La ilaha illallahu wahdahu la sharika lahu; Allahu Akbar kabiran, wal-hamdu lillahi kathiran, wa subhan-Allahi Rabbil-'alamin; wa la hawla wa la quwwata illa billahil-'Azizil-Hakim (there is no true god except Allah the One and He has no partner with Him; Allah is the Greatest and greatness is for Him. All praise is due to Him. Allah, the Rubb of the worlds is free from imperfection; there is no might and power but that of Allah, the All-Powerful and the All-Wise.)"' The bedouin said: "All of these for my Rubb. But what is for me?" Thereupon he (Messenger of Allah (ﷺ)) said, "You should say: 'Allahummaghfir li, warhamni, wahdini, warzuqni (O Allah! Grant me pardon, have mercy upon me, direct me to righteousness and provide me subsistence)'."

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

৮/১৪২৩। সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায থেকে সালাম ফিরার পর ঘুরে বসতেন, তখন তিনবার ’ইস্তিগফার’ (ক্ষমা প্রার্থনা) করতেন আর পড়তেন, ’আল্লাহুম্মা আন্তাস সালামু অমিনকাস সালামু তাবারাকতা ইয়া যাল-জালালি অল-ইকরাম। অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময়, তোমার নিকট থেকেই শান্তি আসে। তুমি বরকতময় হে মহিমান্বিত ও মহানুভব।

এ হাদিসটির অন্যতম বর্ণনাকারী আওযায়ী (রহঃ)কে প্রশ্ন করা হল, ’ইস্তিগফার’ কিভাবে হবে? উত্তরে তিনি বললেন, বলবে, ’আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।’ (অর্থাৎ আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।) (মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ ثَوبَانَ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلاَتِهِ اسْتَغْفَرَ ثَلاثَاً، وَقَالَ: «اَللهم أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَاذَا الجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ». قِيلَ لِلأَوْزَاعِيِّ - وَهُوَ أَحَدُ رُوَاةِ الحَدِيثِ -: كَيْفَ الاِسْتِغْفَارُ ؟ قَالَ: يَقُولُ: أَسْتَغْفِرُ الله، أَسْتَغْفِرُ الله . رواه مسلم

وعن ثوبان رضي الله عنه قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اذا انصرف من صلاته استغفر ثلاثا، وقال: «اللهم انت السلام، ومنك السلام، تباركت ياذا الجلال والاكرام». قيل للاوزاعي - وهو احد رواة الحديث -: كيف الاستغفار ؟ قال: يقول: استغفر الله، استغفر الله . رواه مسلم

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Thauban (May Allah be pleased with him) reported:
Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) concluded his prayer, he would beg forgiveness from Allah thrice and then would recite: "Allahumma Antas- Salamu, wa minkas-salamu, tabarakta ya Dhal-Jalali wal-Ikram (O Allah, You are the Grantor of security, and security comes from You. You are Blessing, O You Who have majesty and nobility)!" (Imam) Al-Awza'i, one of the narrators of this Hadith, was asked: "How forgiveness is to be sought?" He answered: "The Messenger of Allah (ﷺ) used to say: 'Astaghfirullah! Astaghfirullah! (I beseech Allah for forgiveness, I beseech Allah for forgiveness)'."

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

৯/১৪২৪। মুগীরাহ ইবন শু’বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামাযান্তে সালাম ফিরতেন, তখন এই দো’আ পড়তেন:

’লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুলি শাইয়িন ক্বাদীর। আল্লা-হুম্মা লা মা-নিয়া লিমা আ’ত্বাইতা, অলা মু’ত্বিয়া লিমা মানা’তা অলা য়্যানফাউ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দ্।’

অর্থাৎ এক অদ্বিতীয় আল্লাহ ব্যতীত আর কোন সত্য উপাস্য নেই। তাঁর কোন শরীক নেই। (বিশাল) রাজ্যের তিনিই সার্বভৌম অধিপতি। তাঁরই যাবতীয় স্তুতিমালা এবং সমস্ত বস্তুর উপর তিনি ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি যা দান কর তা রোধ করার এবং যা রোধ কর তা দান করার সাধ্য কারো নেই। আর ধনবানের ধন তোমার আযাব থেকে মুক্তি পেতে কোন উপকারে আসবে না। (বুখারী-মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنِ المُغِيرَةِ بنِ شُعبَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا فَرَغَ مِنَ الصَّلاَةِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، اَللهم لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الجَدِّ مِنْكَ الجَدُّ» . متفقٌ عَلَيْهِ

وعن المغيرة بن شعبة رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كان اذا فرغ من الصلاة وسلم، قال: «لا اله الا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد، وهو على كل شيء قدير، اللهم لا مانع لما اعطيت، ولا معطي لما منعت، ولا ينفع ذا الجد منك الجد» . متفق عليه

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Al-Mughirah bin Shu'bah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) used to say at the conclusion of prayer: "La ilaha illallahu wahdahu la sharika lahu, lahul-mulku, wa lahul-hamdu, wa Huwa 'ala kulli shai'in Qadir. Allahumma la mani'a lima a'tayta, wa la mu'tiya lima mana'ta, wa la yanfa'u dhal-jaddi, minkal-jaddu (there is no true god except Allah. He is One and He has no partner with Him, His is the sovereignty and His is the praise, and He is Omnipotent. O Allah! None can deny that which You bestow and none can bestow that which You hold back; and the greatness of the great will be of no avail to them against You)."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: "Al-Jaddu'' means good luck and richness. That is, good fortune and prosperity will not be of any avail before Allah. What will really benefit a person before Him are Faith and virtuous deeds. The prayer quoted in this Hadith makes a special mention of His Oneness.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

১০/১৪২৫। আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি প্রতিটি নামাযের পশ্চাতে যখন সালাম ফিরতেন, তখন এই দো’আটি পড়তেন,

“লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুলি শাইয়িন ক্বাদীর। লা হাউলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অলা না’বুদু ইল্লা ইয়্যা-হু লাহুন্নি’মাতু অলাহুল ফাযবলু অলাহুস সানা-উল হাসান, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিস্বীনা লাহুদ্দ্বীনা অলাউ কারিহাল কা-ফিরূন।”

অর্থাৎ এক অদ্বিতীয় আল্লাহ ব্যতীত আর কোন সত্য উপাস্য নেই। তাঁর কোন শরীক নেই। (বিশাল) রাজ্যের তিনিই সার্বভৌম অধিপতি। তাঁরই যাবতীয় স্তুতিমালা এবং সমস্ত বস্তুর উপর তিনি ক্ষমতাবান। আল্লাহর প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার (নড়া-চড়ার) শক্তি নেই। আল্লাহ ব্যতীত কেউ সত্য উপাস্য নেই। তাঁর ছাড়া আমরা আর কারো ইবাদত করিনা, তাঁরই যাবতীয় সম্পদ, তাঁরই যাবতীয় অনুগ্রহ, এবং তাঁরই যাবতীয় সু-প্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমরা বিশুদ্ধ চিত্তে তাঁরই উপাসনা করি, যদিও কাফের দল তা অপছন্দ করে।

ইবনে যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত দো’আটি প্রত্যেক নামাযের পর পড়তেন। (মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ عَبدِ الله بنِ الزُّبَيْرِ رَضِيَ الله تَعَالَى عَنهُمَا أَنَّه كَانَ يَقُولُ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ، حِيْنَ يُسَلِّمُ: «لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَريكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ . لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ، لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إيَّاهُ، لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الحَسَنُ، لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الكَافِرُونَ». قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ: وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يُهَلِّلُ بِهِنَّ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ . رواه مسلم

وعن عبد الله بن الزبير رضي الله تعالى عنهما انه كان يقول دبر كل صلاة، حين يسلم: «لا اله الا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد، وهو على كل شيء قدير . لا حول ولا قوة الا بالله، لا اله الا الله، ولا نعبد الا اياه، له النعمة وله الفضل وله الثناء الحسن، لا اله الا الله مخلصين له الدين ولو كره الكافرون». قال ابن الزبير: وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يهلل بهن دبر كل صلاة . رواه مسلم

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


It has been reported that 'Abdullah bin Zubair (May Allah be pleased with them) used to recite after Taslim at the conclusion of every Salat (prayer):
"La ilaha illallahu wahdahu la sharika lahu, lahul- mulku, wa lahul-hamdu, wa Huwa 'ala kulli shai'in Qadir. La hawla wa la quwwata illa billah. La ilaha illallahu, wa la na'budu illa iyyahu, Lahun-ni'matu, wa lahul-fadlu, wa lahuth-thana'ul-hasan. La ilaha ilallahu, mukhlisina, lahud-dina, wa lau karihal-kafirun (there is no true god except Allah; He is One. To Him belongs the dominion and to Him is all praise, and He is Powerful over all things. There is no power and might except with (the help of) Allah. There is no God but Allah and we worship none except Him, to Him belongs the bounty and to Him belongs the grace, and to Him belongs all excellent praise; there is no deity but Allah. We reserve our devotion exclusively for Him though the disbelievers may detest it)." Ibn Az-Zubair said: The Messenger of Allah (ﷺ) used to celebrate Allah's Greatness in those terms after every Salat (prayer).

[Muslim].

Commentary: The invocation mentioned in this Hadith is ordained by the Prophet (PBUH) and was his practice. To recite Shahadah repeatedly after Salat and to offer benediction and salutations to the Prophet (PBUH) collectively is a self-invented formula and is not consonant with the practice of the Prophet (PBUH). It is, therefore, a heresy and will have no merit. Every Muslim has to follow only the preachings and practice of the Prophet (PBUH).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

১১/১৪২৬। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, একদা গরীব মুহাজির (সাহাবিগণ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! ধনীরাই তো উঁচু উঁচু মর্যাদা ও চিরস্থায়ী সম্পদের অধিকারী হয়ে গেল। তারা নামায পড়ছে, যেমন আমরা নামায পড়ছি, তারা রোযা রাখছে, যেমন আমরা রাখছি। কিন্তু তাদের উদ্বৃত্ত মাল আছে, ফলে তারা হজ্জ করছে, উমরাহ করছে, জিহাদ করছে ও সদকা করছে, (আর আমরা করতে পারছি না)।’ এ কথা শুনে তিনি বললেন, “আমি কি তোমাদেরকে এমন জিনিস শিখিয়ে দেব না, যার দ্বারা তোমরা তোমাদের অগ্রবর্তীদের মর্যাদা লাভ করবে, তোমাদের পরবর্তীদের থেকে অগ্রবর্তী থাকবে এবং তোমাদের মত কাজ যে করবে, সে ছাড়া অন্য কেউ তোমাদের চাইতে শ্রেষ্ঠতর হতে পারবে না?” তাঁরা বললেন, ’অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল! (আমাদেরকে তা শিখিয়ে দিন।)’ তিনি বললেন, “প্রত্যেক (ফরয) নামাযের পরে ৩৩ বার তাসবীহ, তাহমীদ ও তাকবীর পাঠ করবে।”

আবূ হুরাইরা থেকে বর্ণনাকারী আবূ সালেহ বলেন, ’কিভাবে পাঠ করতে হবে, তা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ’সুবহানাল্লাহ’, ’আল্লাহু আকবার’ ও ’আল-হামদু লিল্লাহ’ বলবে। যেন প্রত্যেকটি বাক্য ৩৩ বার করে হয়। (বুখারী-মুসলিম)[1]

মুসলিমের বর্ণনায় এ কথা বাড়তি আছে যে, অতঃপর গরীব মুহাজিরগণ পুনরায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, ’আমরা যে আমল করছি, সে আমল আমাদের ধনী ভাইয়েরা শোনার পর তারাও আমল শুরু করে দিয়েছে? (এখন তো তারা আবার আমাদের চেয়ে অগ্রবর্তী হয়ে যাবে।)’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “এ হল আল্লাহর অনুগ্রহ; তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন।”

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ فُقَراءَ المُهَاجِرِينَ أَتَوْا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالُوا: ذَهَبَ أَهْلُ الدُّثورِ بِالدَّرَجَاتِ العُلَى، وَالنَّعِيمِ المُقِيمِ، يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي، وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ، وَلَهُمْ فَضْلٌ مِنْ أَمْوَالٍ، يَحُجُّونَ، وَيَعْتَمِرُونَ، وَيُجَاهِدُونَ، وَيَتَصَدَّقُونَ . فَقَالَ: «أَلاَ أُعَلِّمُكُمْ شَيْئاً تُدْرِكُونَ بِهِ مَنْ سَبَقَكُمْ، وَتَسْبِقُونَ بِهِ مَنْ بَعْدَكُمْ، وَلاَ يَكُونُ أَحَدٌ أَفْضَلَ مِنْكُمْ إِلاَّ مَنْ صَنَعَ مِثْلَ مَا صَنَعْتُمْ؟» قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: تُسَبِّحُونَ، وَتَحْمَدُونَ، وَتُكَبِّرُونَ، خَلْفَ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاثاً وَثَلاثِينَ». قَالَ أَبُو صَالِحٍ الرَّاوِي عَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، لَمَّا سُئِلَ عَنْ كَيْفِيَّةِ ذِكْرِهِنَّ قَالَ: يَقُول: سُبْحَان اللهِ، وَالحَمْدُ للهِ، واللهُ أكْبَرُ، حَتَّى يَكُونَ مِنهُنَّ كُلُّهُنَّ ثَلاثاً وَثَلاثِينَ. متفقٌ عَلَيْهِ
وَزَادَ مُسلِمٌ فِي رِوَايَتِهِ: فَرَجَعَ فُقَرَاءُ المُهَاجِرِينَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالُوا: سَمِعَ إِخْوَانُنَا أَهْلُ الأَمْوَالِ بِمَا فَعَلْنَا فَفَعَلُوا مِثْلَهُ ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : ذَلِكَ فَضْلُ الله يُؤتِيهِ مَنْ يَشَاءُ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه: ان فقراء المهاجرين اتوا رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقالوا: ذهب اهل الدثور بالدرجات العلى، والنعيم المقيم، يصلون كما نصلي، ويصومون كما نصوم، ولهم فضل من اموال، يحجون، ويعتمرون، ويجاهدون، ويتصدقون . فقال: «الا اعلمكم شيىا تدركون به من سبقكم، وتسبقون به من بعدكم، ولا يكون احد افضل منكم الا من صنع مثل ما صنعتم؟» قالوا: بلى يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: تسبحون، وتحمدون، وتكبرون، خلف كل صلاة ثلاثا وثلاثين». قال ابو صالح الراوي عن ابي هريرة رضي الله عنه، لما سىل عن كيفية ذكرهن قال: يقول: سبحان الله، والحمد لله، والله اكبر، حتى يكون منهن كلهن ثلاثا وثلاثين. متفق عليه وزاد مسلم في روايته: فرجع فقراء المهاجرين الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فقالوا: سمع اخواننا اهل الاموال بما فعلنا ففعلوا مثله ؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم : ذلك فضل الله يوتيه من يشاء

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The poor Emigrants came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: "The wealthy have gone with the highest ranks and lasting bliss." He asked: "How is that?" They replied: "They offer Salat (prayer) as we offer it; they observe fast as we do; (and as they are wealthy) they perform Hajj and 'Umrah, and go for Jihad, and they spend in charity but we cannot, and they free the slaves but we are unable to do so." The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Shall I not teach you something with which you may overtake those who surpassed you and with which you will surpass those who will come after you? None will excel you unless he who does which you do." They said: "Yes, please do, O Messenger of Allah" He (ﷺ) said, "You should recite: Tasbih (Allah is free from imperfection), Takbir (Allah is Greatest), Tahmid (Praise be to Allah) thirty-three times after each Salat."

[Al-Bukhari and Muslim].

Abu Salih, the subnarrator of the Hadith said, when Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) was asked about the manner of reciting Tasbih, Tahmid and Takbir, he said, "Recite: "Subhan-Allah, wal-hamdulillah, wallahu Akbar', till all are recited thirty-three times.


Commentary: This Hadith has already been mentioned, but with a slightly different wording with reference to Sahih Muslim. The elaboration made by Abu Salih apparently seems to indicate that all the three words should be recited in combination while other religious scholars have shown preference for reciting them separately. The purpose is, however, attained in either way. There does arise one question here: Should one recite each of these words thirty-three times or in all for thirty-three times? The wording of the Hadith does not make this clear. Other Ahadith, (which will follow soon) make it clear that each of these words is to be recited for thirty-three times. This is how their aggregate will come to ninety-nine. The Hadith that follows makes this point lear.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

১২/১৪২৭। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক (ফরয) নামায বাদ ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদু লিল্লাহ ও ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং একশত পূর্ণ করতে ’লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকালাহু লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুলি শায়ইন ক্বাদীর’ পড়বে, তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে; যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয়। (মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْه، عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ سَبَّحَ اللهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثاً وَثَلاَثِينَ، وحَمِدَ اللهَ ثَلاثاً وَثَلاَثِينَ، وَكَبَّرَ الله ثَلاَثاً وَثَلاَثِينَ، وَقَالَ تَمَامَ المِئَةِ: لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، غُفِرَتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ البَحْرِ». رواه مسلم

وعنه، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «من سبح الله في دبر كل صلاة ثلاثا وثلاثين، وحمد الله ثلاثا وثلاثين، وكبر الله ثلاثا وثلاثين، وقال تمام المىة: لا اله الا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد، وهو على كل شيء قدير، غفرت خطاياه وان كانت مثل زبد البحر». رواه مسلم

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who recites after every prayer: Subhan-Allah (Allah is free from imperfection) thirty-three times; Al-hamdu lillah (praise be to Allah) thirty-three times; Allahu Akbar (Allah is Greatest) thirty-three times; and completes the hundred with: La ilaha illallahu, wahdahu la sharika lahu, lahul-mulku wa lahul-hamdu, wa Huwa 'ala kulli shai'in Qadir (there is no true god except Allah. He is One and He has no partner with Him. His is the sovereignty and His is the praise, and He is Omnipotent), will have all his sins pardoned even if they may be as large as the foam on the surface of the sea."

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

১৩/১৪২৮। কা’ব ইবনে উজরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নামাযান্তে কিছু বাক্য রয়েছে বা কিছু কর্ম রয়েছে, সেগুলি যে পড়বে বা (পাঠ) করবে, সে আদৌ ব্যর্থ হবে না। তা হচ্ছে প্রত্যেক ফরয নামায বাদ ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়া।” (মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ كَعْبِ بنِ عُجْرَةَ رضي الله عنه، عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مُعَقِّبَاتٌ لاَ يَخِيبُ قَائِلُهُنَّ ـ أَوْ فَاعِلُهُنَّ ـ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ مَكْتُوبَةٍ: ثَلاَثٌ وَثَلاَثُونَ تَسْبِيحَةً. وَثَلاَثٌ وثَلاَثُونَ تَحْمِيدَةً، وَأَرْبَعٌ وَثَلاَثُونَ تَكْبِيرَةً» . رواه مسلم

وعن كعب بن عجرة رضي الله عنه، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «معقبات لا يخيب قاىلهن ـ او فاعلهن ـ دبر كل صلاة مكتوبة: ثلاث وثلاثون تسبيحة. وثلاث وثلاثون تحميدة، واربع وثلاثون تكبيرة» . رواه مسلم

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Ka'b bin 'Ujrah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "There are some words, the reciters of which will never be disappointed. These are: Tasbih [saying 'Subhan-Allah' (Allah is free from imperfection)], thirty-three times, Tahmid [saying 'Al-hamdu lillah' (praise be to Allah)] thirty-three times and Takbir [saying 'Allahu Akbar' (Allah is Greatest)] thirty-four times; and these should be recited after the conclusion of every prescribed prayer."

[Muslim]

Commentary: "Muaqqibat'' means the words of Praise and Glorification of Allah which are recited after Salat. This Hadith says that the words "Allahu Akbar'' should be recited thirty-four times.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

১৪/১৪২৯। সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযসমূহের শেষাংশে এই দো’আ পড়ে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন,

’আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল বুখলি অ আঊযু বিকা মিনাল জুবনি অ আঊযু বিকা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরযালিল উমুরি অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিদ্দুন্য়্যা অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিল ক্বাবর।’

অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট কার্পণ্য ও ভীরুতা থেকে পানাহ চাচ্ছি, স্থবিরতার বয়সে কবলিত হওয়া থেকে আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আর দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের ফিতনা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। (বুখারী) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ سَعدِ بنِ أَبي وَقَّاصٍ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَعَوَّذُ دُبُرَ الصَّلَواتِ بِهؤُلاَءِ الكَلِمَاتِ: «اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الجُبْنِ وَالبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ العُمُرِ، وَأعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ القَبْرِ» . رواه البخاري

وعن سعد بن ابي وقاص رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كان يتعوذ دبر الصلوات بهولاء الكلمات: «اللهم اني اعوذ بك من الجبن والبخل، واعوذ بك من ان ارد الى ارذل العمر، واعوذ بك من فتنة الدنيا، واعوذ بك من فتنة القبر» . رواه البخاري

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Sa'd bin Abu Waqqas (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to seek (Allah's) protection after prayers in these words: "Alla-humma inni a'udhu bika minal-jubni wal- bukhl, wa a'udhu bika min an uradda ila ardhalil-'umur, wa a'udhu bika min fitnatid-dunya, wa a'udhu bika min fitnatil-qabr (O Allah, I seek refuge with You from cowardice, miserliness and from being sent back to a feeble age; and, seek refuge with You from the trials of this life and those of the grave)."

[Al- Bukhari].

Commentary: Some religious scholars are of the opinion that it is better to observe reciting this Du`a after concluding prayers, and that it is better to combine both. Some scholars say that the Prophet (PBUH) used to recite this Du`a just before Taslim, while he used to recite the Du`a mentioned earlier after Taslim.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

১৫/১৪৩০। মু’আয রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত ধরে বললেন, “হে মুআয! আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি।” অতঃপর তিনি বললেন, “হে মুআয! আমি তোমাকে অসিয়ত করছি যে, তুমি প্রত্যেক নামাযের শেষাংশে এ দো’আটি পড়া অবশ্যই ত্যাগ করবে না, ’আল্লা-হুম্মা আইন্নী আলা যিকরিকা ওয়াশুকরিকা অহুসনি ইবা-দাতিক।’

অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার যিকির (স্মরণ), শুকর (কৃতজ্ঞতা) এবং সুন্দর ইবাদত করতে সাহায্য দান কর।” (আবূ দাউদ, সহীহ সানাদ) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ مُعَاذٍ رضي الله عنه:أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، أَخَذَ بِيَدِهِ، وَقَالَ: «يَا مُعَاذُ، وَاللهِ إنِّي لأُحِبُّكَ» فَقَالَ: «أُوصِيكَ يَا مُعَاذُ لاَ تَدَعَنَّ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَة تَقُولُ: اَللهم أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ» . رواه أَبُو داود بإسناد صحيح

وعن معاذ رضي الله عنه:ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، اخذ بيده، وقال: «يا معاذ، والله اني لاحبك» فقال: «اوصيك يا معاذ لا تدعن في دبر كل صلاة تقول: اللهم اعني على ذكرك، وشكرك، وحسن عبادتك» . رواه ابو داود باسناد صحيح

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Mu'adh (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) took hold of my hand and said, "O Mu'adh! By Allah I love you, so I advise you to never forget to recite after every prayer: "Allahumma a'inni ala dhikrika, wa shukrika, wa husni 'ibadatika (O Allah, help me remember You, to be grateful to You, and to worship You in an excellent manner)."

[Abu Dawud].

Commentary: This Hadith stresses the fact that one should seek the Help of Allah for His remembrance, thanksgiving and worship, because one cannot do anything without His Help and Support. It also shows the superiority of Mu`adh (May Allah be pleased with him) and the Prophet's love for him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

১৬/১৪৩১। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ (নামাযের মধ্যে) তাশাহহুদ (অর্থাৎ আত্-তাহিয়্যাত) পড়বে, তখন সে এ চারটি জিনিস হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে; বলবে,

’আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন আযা-বি জাহান্নাম, অমিন আযা-বিল ক্বাব্র, অমিন ফিতনাতিল মাহয়্যা অলমামা-ত, অমিন শার্রি ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-ল।’

অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি জাহান্নাম ও কবরের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং কানা দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্ট থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” (মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «إِذَا تَشَهَّدَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْتَعِذْ بِاللهِ مِنْ أَرْبَعٍ، يَقُولُ: اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَمِنْ فِتْنَةِ المَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ المَسِيحِ الدَّجَّالِ» . رواه مسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «اذا تشهد احدكم فليستعذ بالله من اربع، يقول: اللهم اني اعوذ بك من عذاب جهنم، ومن عذاب القبر، ومن فتنة المحيا والممات، ومن شر فتنة المسيح الدجال» . رواه مسلم

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "When anyone of you has done his Tashahhud during Salat (prayer), he should seek refuge in Allah against four things and say: "Allahumma inni a'udhu bika min 'adhabi jahannam, wa min 'adhabil-qabr, wa min fitnatil-mahya wal-mamat, wa min sharri fitnatil-masihid-dajjal (O Allah! I seek refuge in You from the torment of Hell, from the torment of the grave, from the trials of life and death, and from the mischief of Al-Masih Ad-Dajjal (Antichrist)."

[Muslim].

Commentary: "Trials of life'' means ordeals which one has to face in life and which can harm his Faith and body. "The trials of death'' means the troubles which one has to face before death. "Masih'' means Mumsuh-ul-`Ain, one who is squint. Ad-Dajjal (deceiver, impostor) refers to that man with a squint who will appear before the Day of Judgement. This is why he is called Al-Masih Ad-Dajjal. He will make claim of godhood and in order to test the Faith of people, Allah will get some supernatural works done from him. The pious ones would, however, recognizehim and will save themselves from his trap. This will be a great trial indeed and one must seek refuge with Allah from it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

১৭/১৪৩২। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামাযের জন্য দণ্ডায়মান হতেন, তখন তাশাহহুদ ও সালাম ফিরার মধ্যখানে শেষ বেলায় অর্থাৎ সালাম ফিরবার আগে) এই দো’আ পড়তেন, “আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা আখ্খারতু অমা আসরারতু অমা আ’লানতু অমা আসরাফতু অমা আন্তা আ’লামু বিহী মিন্নী, আন্তাল মুক্বাদ্দিমু অ আন্তাল মুআখখিরু লা ইলা-হা ইল্লা আন্ত্।”

অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মার্জনা কর, যে অপরাধ আমি পূর্বে করেছি এবং যা পরে করেছি, যা গোপনে করেছি এবং যা প্রকাশ্যে করেছি, যা অতিরিক্ত করেছি এবং যা তুমি আমার চাইতে অধিক জান। তুমি আদি, তুমিই অন্ত। তুমি ব্যতীত কেউ সত্য উপাস্য নেই। (মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ عَليٍّ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ يَكُونُ مِنْ آخِرِ مَا يَقُولُ بَيْنَ التَّشَهُّدِ وَالتَّسْلِيمِ: «اَللهم اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، وَمَا أَسْرَفْتُ، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ، وَأَنْتَ المُؤَخِّرُ، لاَ إِلٰهَ إِلاَّ أَنْتَ» . رواه مسلم

وعن علي رضي الله عنه، قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، اذا قام الى الصلاة يكون من اخر ما يقول بين التشهد والتسليم: «اللهم اغفر لي ما قدمت وما اخرت، وما اسررت وما اعلنت، وما اسرفت، وما انت اعلم به مني، انت المقدم، وانت الموخر، لا اله الا انت» . رواه مسلم

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


'Ali (May Allah be pleased with him) reported:
When the Messenger of Allah (ﷺ) was in Salat (prayer), he used to supplicate towards the end of prayer after Tashahhud and before the concluding salutations: "Allahum-maghfir li ma qaddamtu wa ma akh-khartu, wa ma asrartu, wa ma a'lantu, wa ma asraftu, wa ma Anta a'lamu bihi minni. Antal-Muqqadimu, wa Antal-Mu'akh-khiru. La ilaha illa Anta (O Allah! Forgive my former and latter sins, which I have done secretly and those which I have done openly, and that I have wronged others, and those defaults of mine about which You have better knowledge than I have. You Alone can send whomever You will to Jannah, and You Alone can send whomever You will to Hell-fire. None has the right to be worshipped but You."

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

১৮/১৪৩৩। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় (নামাযের) রুকু ও সিজদাতে এই তাসবীহটি অধিক মাত্রায় পড়তেন, ’সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা অবিহামদিক, আল্লাহুম্মাগফিরলী।’ অর্থাৎ হে আমাদের প্রভু আল্লাহ! তোমার প্রশংসা সহকারে তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি, হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর। (বুখারী ও মুসলিম) [1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُكْثِرُ أَنْ يَقُوْلَ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ: «سُبْحَانَكَ اَللهم رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اَللهم اغْفِرْ لِي». متفقٌ عَلَيْهِ

وعن عاىشة رضي الله عنها، قالت: كان النبي صلى الله عليه وسلم يكثر ان يقول في ركوعه وسجوده: «سبحانك اللهم ربنا وبحمدك، اللهم اغفر لي». متفق عليه

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
The Prophet (ﷺ) used to recite frequently in his bowing and prostration: "Subhanak- Allahumma, Rabbana wa bihamdika. Allahum-maghfir li (O Allah! You are free from imperfection and I begin with praising You. Forgive my sins)."

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

১৯/১৪৩৪। উক্ত রাবী (আয়েশা) রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় (নামাযের) রুকু ও সিজদাতে পড়তেন, ’সুববূহুন ক্বুদ্দূসুন রাব্বুল মালা-ইকাতি অর্রূহ।’ অর্থাৎ অতি নিরঞ্জন, অসীম পবিত্র ফেরেশতামন্ডলী ও জিবরীল (আঃ) এর প্রভু (আল্লাহ)। (মুসলিম)[1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنْها: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ: «سبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ المَلاَئِكَةِ وَالرُّوحِ» . رواه مسلم

وعنها: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كان يقول في ركوعه وسجوده: «سبوح قدوس رب الملاىكة والروح» . رواه مسلم

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to recite in his bowing and prostration: "Subbuhun Quddusun, Rabbul-mala'ikati war-ruh [You are the Most Glorious. The Most Holy. You the Rubb of the angels and of Jibril

[Muslim].

Commentary: "Subbuh'' and "Quddus'' are two attributive Names of Allah which denote His Perfect Purity and Uniqueness. "Ar-Ruh'' means Jibril (Gabriel). Although he, too, comes in the category of angels but his special mention is made here to emphasize his majesty and honour. In short, the recitation of the prayers mentioned in this Hadith is in keeping with the practice of the Prophet (PBUH).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah

পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান

২০/১৪৩৫। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রুকুতে তোমরা রবের বড়ত্ব বর্ণনা কর (অর্থাৎ ’সুবহানা রাব্বিয়্যাল আযীম’ পড়)। আর সিজদায় দো’আ করতে সচেষ্ট হও। কারণ, তোমাদের জন্য সে দো’আ কবূল হওয়ার উপযুক্ত।” (মুসলিম)[1]

(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ

وَعَنِ ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «فَأَمَّا الرُّكُوعُ فَعَظِّمُوا فِيهِ الرَّبَّ - عَزَّ وَجَلَّ -، وَأَمَّا السُّجُودُ فَاجْتَهِدُوا فِي الدُّعَاءِ، فَقَمِنٌ أَنْ يُسْتَجَابَ لَكُمْ» . رواه مسلم

وعن ابن عباس رضي الله عنهما: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قال: «فاما الركوع فعظموا فيه الرب - عز وجل -، واما السجود فاجتهدوا في الدعاء، فقمن ان يستجاب لكم» . رواه مسلم

(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah


Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: "Glorify your Lord in Ruku' (bowing posture) and exert yourself in supplication in prostration. Thus your supplications are liable to be accepted."

[Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১৫/ যিকির-আযকার প্রসঙ্গে (كتاب الأذكار) The Book of the Remembrance of Allah
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »