পরিচ্ছেদঃ ২২৫: মুহাররম, শা'বান তথা অন্যান্য হারাম (পবিত্র) মাসে রোযা রাখার ফযীলত
১/১২৫৪। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মাহে রমযানের পর সর্বোত্তম রোযা, আল্লাহর মাস মুহাররম। আর ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায।” (মুসলিম)[1]
(225) بَابُ بَيَانِ فَضْلِ صَوْمِ الْمُحَرَّمِ وَشَعْبَانَ وَالْأَشْهُرِ الْحُرُمِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَال رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم«أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ: شَهْرُ اللهِ المُحَرَّمُ، وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعدَ الفَرِيضَةِ: صَلاَةُ اللَّيْلِ» . رواه مسلم
(225) Chapter: The Excellence of Observing Saum (Fasting) in the months of Muharram and Sha'ban and the Secred Months
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The best month for observing Saum (fasting) next after Ramadan is the month of Allah, the Muharram; and the best Salat (prayer) next after the prescribed Salat is Salat at night (Tahajjud prayers)."
[Muslim].
Commentary: Reference of the month to Allah is a sign of its distinction and auspiciousness like Baitullah, Naqatullah etc. Muharram is one of the sacred months and it is this month with which the Islamic year starts. The other three sacred months are Rajab, Dhul-Qa`dah, and Dhul-Hijjah. The Hadith points out that fasting in the month of Muharram is better than any other month of the year after Ramadan.
পরিচ্ছেদঃ ২২৫: মুহাররম, শা'বান তথা অন্যান্য হারাম (পবিত্র) মাসে রোযা রাখার ফযীলত
২/১২৫৫। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাস চাইতে বেশি নফল রোযা অন্য কোন মাসে রাখতেন না। নিঃসন্দেহে তিনি পূর্ণ শাবান মাস রোযা রাখতেন।’
অন্য বর্ণনায় আছে, ’অল্প কিছুদিন ছাড়া তিনি পূর্ণ শা’বান মাস রোযা রাখতেন।’ (বুখারী-মুসলিম) [1]
(225) بَابُ بَيَانِ فَضْلِ صَوْمِ الْمُحَرَّمِ وَشَعْبَانَ وَالْأَشْهُرِ الْحُرُمِ
عَن عَائِشَة رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ مِنْ شَهْرٍ أَكْثَرَ مِنْ شَعْبَانَ، فَإِنَّهُ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ . وفي رواية: كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ إِلاَّ قَلِيلاً . متفقٌ عَلَيْهِ
(225) Chapter: The Excellence of Observing Saum (Fasting) in the months of Muharram and Sha'ban and the Secred Months
'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
The Prophet (ﷺ) did not observe voluntary Saum (fasting) so frequently during any other month as he did during Sha'ban. He observed Saum throughout the month of Sha'ban.
Another narration is: He (ﷺ) observed Saum during the whole month of Sha'ban except a few days.
[Al- Bukhari and Muslim].
Commentary: We learn from another Hadith the reason why the Prophet (PBUH) kept greater number of Saum in the month of Sha`ban. He did so because deeds are presented before Allah during this month. For this reason, he liked that when his deeds were presented, he should be observing Saum (Nasa'i on the authority of Usamah (May Allah be pleased with him). In spite of this distinction of Sha`ban, Muslims have been ordered to observe Saum in the first fortnight only, and not in the second in order to maintain their energy and vitality for the obligatory Saum (i.e., Ramadan). The Prophet (PBUH) had greater spiritual strength and Saum did not cause him weakness due to this strength. Again, by virtue of this strength he would sometimes even observe Saum which is termed "Saum-alWisal'' (observing Saum continuous without a break in the evening). But he has forbidden his followers from such Saum.
পরিচ্ছেদঃ ২২৫: মুহাররম, শা'বান তথা অন্যান্য হারাম (পবিত্র) মাসে রোযা রাখার ফযীলত
৩/১২৫৬। মুজীবাহ আল-বাহিলিয়্যাহ (রহ.) হতে তার বাবা বা চাচার সূত্রে বর্ণিত, তার বাবা বা চাচা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হন। অতঃপর তিনি চলে যান এবং একবছর পর পুনরায় উপস্থিত হন। তার অবস্থা ও চেহারা-সুরাত সে সময় (অনেক) পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমাকে কি আপনি চিনতে পারছেন না? জবাবে তিনি বললেন, কে তুমি? তিনি বলেন, আমি হলাম সেই বাহিলী, আপনার নিকট প্রথম বছরে এসেছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার এ পরিবর্তন কিভাবে হল, তোমার চেহারা-সুরত না বেশ সুন্দর ছিল? বাহিলী উত্তর দেন, আপনার নিকট হতে বিদায় নেয়ার পর থেকে আমি প্রতি রাতে ব্যতীত আর কখনো খাদ্য গ্রহণ করিনি (প্রতিদিন রোযা রেখেছি)। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিজের জীবনকে তুমি কষ্ট দিয়েছ।
অতঃপর বললেন, রমজানে রোযা রাখো, এরপর প্রতি মাসে একদিন করে (রোযা রাখো)। বাহিলী বলল, আরও বেশি করে দিন, কারণ আমার ভিতর এর শক্তি আছে। জবাবে বললেন, ঠিক আছে, প্রতি মাসে দু’দিন করে। বাহিলী বলেন, আমি অধিক সামর্থ্য রাখি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তবে প্রতি মাসে তিনদিন করে। বাহিলী বলেন, আরও বেশী করুন। জবাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হারাম মাসগুলোয় (যিলক্বদ, যিলহাজ্জ, মুহাররাম ও রজব) রোযা রাখো ও ছেড়ে দাও, হারাম মাসগুলোয় রোযা রাখো ও ছেড়ে দাও, হারাম মাসগুলোয় রোযা রাখো ও ছেড়ে দাও। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর নিজের তিন আঙ্গুল দিয়ে তিনি ইশারা করেন, প্রথমে সেগুলোকে মিলিত করেন, তারপর ছেড়ে দেন (অর্থাৎ তিনদিন রোযা রাখো এবং তিনদিন খাও)।[1]
উল্লেখ্য কাহমাস হিলালী কর্তৃক বর্ণিত হাদীস হতে মারফূ‘ হিসেবে অনুরূপ ঘটনা সম্বলিত হাদীসটির একটি ভালো শাহেদ রয়েছে (কিন্তু ঘটনা এক নয়)। তবে زدني ... “যিদনী ... “ এ অংশ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত ছাড়া। কাহমাস হিলালী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসটি সহীহ্ বিধায় সেটিকে “সিলসিল্যাহ্ সহীহাহ্” গ্রন্থে (২৬২৩) উল্লেখ করা হয়েছে।
(225) بَابُ بَيَانِ فَضْلِ صَوْمِ الْمُحَرَّمِ وَشَعْبَانَ وَالْأَشْهُرِ الْحُرُمِ
وعن مجِيبَةَ البَاهِلِيَّةِ عَنْ أَبِيهَا أَوْ عمِّها، أَنَّهُ أَتى رَسولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، ثُمَّ انطَلَقَ فَأَتَاهُ بعدَ سَنَة، وَقَد تَغَيَّرتْ حَالهُ وَهَيْئَتُه، فَقَالَ: يا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَا تعْرِفُنِي ؟ قَالَ: «وَمَنْ أَنتَ ؟» قَالَ: أَنَا البَاهِلِيُّ الذي جِئتك عامَ الأَوَّلِ . قَالَ: «فَمَا غَيَّرَكَ، وقَدْ كُنتَ حَسَنَ الهَيئةِ ؟ » قَالَ: ما أَكلتُ طعاماً منذ فَارقْتُكَ إِلاَّ بلَيْلٍ . فَقَال رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم :«عَذّبْتَ نَفسَكَ»، ثُمَّ قَالَ: «صُمْ شَهرَ الصَّبرِ، ويوماً مِنْ كلِّ شَهر» قال: زِدْنـي، فإِنَّ بي قوَّةً، قَالَ: «صُمْ يَوميْنِ» قال: زِدْني، قال: «صُمْ ثلاثَةَ أَيَّامٍ» قالَ: زِدْني . قال: «صُمْ مِنَ الحُرُمِ وَاتْرُكْ، صُمْ مِنَ الحرُم وَاترُكْ، صُمْ مِنَ الحرُمِ وَاتْرُكُ» وقالَ بِأَصَابِعِهِ الثَّلاثِ فَضَمَّهَا، ثُمَّ أَرْسَلَهَا . رواه أبو داود . «و شهرُ الصَّبرِ»: رَمضانُ
(225) Chapter: The Excellence of Observing Saum (Fasting) in the months of Muharram and Sha'ban and the Secred Months
Reported Mujibah Al-Bahiliyah on the authority of her father or uncle that he visited the Messenger of Allah (ﷺ) once and then went to see him again after a year. His appearance had totally changed. He asked the Messenger of Allah (ﷺ) if he had recognized him. The Messenger of Allah (ﷺ) asked, "Who are you?" He replied:
"I am Al- Bahili who visited you last year." The Messenger of Allah (ﷺ) said, "You were quite handsome, what has changed your appearance so much?" He replied, "Since my departure from here, I have not eaten anything except at night." The Messenger of Allah (ﷺ) remarked, "You have put yourself to torture. Observe Saum (fasting) during the Month of Patience (i.e., Ramadan) and fast one day from each month." He submitted, "Permit me to observe more voluntary fasts because I have capacity to do so." The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Then observe fasts for two days in every month." He said, "Permit me to observe more." The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Observe fasts on three days in every month." He requested that he should be allowed to observe more fasts. The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Fast three days during the sacred months and omit fasting for three days alternately." He (ﷺ) joined his three fingers together and left them apart while repeating this sentence thrice.
[Abu Dawud].
Commentary: The name of Mujibah Bahiliyah's father was Abdullah bin Harith Al-Bahli, and if this incident relates to his uncle, his name is not well-known. In any case, he used to take meal at night only, that is, he used to observe Saum daily. Because of this routine, his health was greatly affected and the Prophet (PBUH) prohibited him from observing Saum daily and stressed that he should keep Saum thrice a month only, especially in the sacred months. With the formula of ten-fold reward, he could thus get reward of thirty days Saum in a month. This is how he would be reckoned as one who observes Saum throughout the year. People with weak health should not observe more than three Saum in a month. Those who are healthy, are allowed to observe more Saum, but it will be well if they do so in the style of Prophet Dawud, that is, on alternate days.