পরিচ্ছেদঃ ২২. ইহরাম বাঁধার সময়

১৭৭০। সাঈদ ইবনু যুবায়র (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনু ’’আব্বাস (রাযি.)-কে বললাম, হে আবুল ’আব্বাস! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইহরাম বাঁধার মুহুর্ত বিষয়ে যে মতভেদ করছেন তাতে আমি স্তম্ভিত। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বলেন, আমি এই বিষয়ে অন্যদের চেয়ে অধিক অবগত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু একবারই হজ (হজ্জ) করেছেন, আর এটাই তাদের মতভেদের মূল উৎস।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজের (হজ্জের) উদ্দেশ্যে রাওয়ানা হলেন। তিনি যুল-হুলাইফাতে তাঁর মসজিদে দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন এবং ঐ বসাবস্থায় দু’রাক’আত শেষ করেই নিজের জন্য হজ (হজ্জ) ওয়াজিব করে নিয়ে ’তালবিয়া’ পাঠ করলেন। সুতরাং এখানে কিছু লোক তাঁকে ’তালবিয়া’ পড়তে শুনে তারা তাই স্মরণ রেখেছে। অতঃপর তিনি আরোহণ করলেন এবং উষ্ট্রী তাঁকে পিঠে তুলে নিতে দাঁড়ানোর সময়ও তিনি ’তালবিয়া’ পড়লেন। সুতরাং আরো কিছু লোক এখানে তাঁকে ’তালবিয়া’ পড়তে শুনলো।

বস্তুতঃ লোকজন পৃথক পৃথকভাবে দলে দলে আসছিল। আর তারা তখন তাঁকে ’তালবিয়া’ পাঠ করতে শুনলো যখন তিনি উষ্ট্রীর পিঠে আরোহিত অবস্থায় ’তালবিয়া’ পড়লেন। ফলে তারা এ কথাই বললো যে, উষ্ট্রী তাঁকে তার পিঠে তুলার সময় তিনি ’তালবিয়া’ পড়েছেন।’ এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্মুখে অগ্রসর হলেন। এবার তিনি ’আল-বায়দার’ উচ্চভূমিতে চড়লেন এবং এখানেও ’তালবিয়া’ পাঠ পড়লেন। কিছু লোক তাঁকে এখানে ’তালবিয়া’ পড়তে শুনে তারা বললো, তিনি তখনই ইহরাম বেঁধে ’তালবিয়া’ পড়েছেন এবং পরে উষ্ট্রীর পিঠে ও ’আল-বায়দার’ উচ্চভূমিতে, সর্বত্র সর্বাবস্থায় ’তালবিয়া’ পড়েছিলেন। অতঃপর সাঈদ ইবনু যুবায়র (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি ইবনু আব্বাসের বর্ণনানুযায়ী কাজ করে, সে যেন দু’রাক’আত সালাত শেষে স্বীয় মুসাল্লাতেই ইহরাম বাঁধে।[1]

দুর্বল : যখন সুনান তিরমিযী (৮২৫/১৩৫) সংক্ষিপ্তভাবে এ শব্দে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক সালাতের পর ’তালবিয়া’ পড়তেন।’ অনুরূপ যঈফ সুনান নাসায়ী (২৭৫৪/১৭৫)

بَابٌ فِي وَقْتِ الْإِحْرَامِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي خُصَيْفُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَزَرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ: يَا أَبَا الْعَبَّاسِ، عَجِبْتُ لِاخْتِلَافِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي إِهْلَالِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَوْجَبَ، فَقَالَ: " إِنِّي لَأَعْلَمُ النَّاسِ بِذَلِكَ إِنَّهَا إِنَّمَا كَانَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةً وَاحِدَةً، فَمِنْ هُنَاكَ اخْتَلَفُوا، خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاجًّا فَلَمَّا صَلَّى فِي مَسْجِدِهِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْهِ أَوْجَبَ فِي مَجْلِسِهِ، فَأَهَلَّ بِالْحَجِّ حِينَ فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ، فَسَمِعَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ فَحَفِظْتُهُ عَنْهُ، ثُمَّ رَكِبَ فَلَمَّا اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ أَهَلَّ، وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ، وَذَلِكَ أَنَّ النَّاسَ إِنَّمَا كَانُوا يَأْتُونَ أَرْسَالًا، فَسَمِعُوهُ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ يُهِلُّ، فَقَالُوا: إِنَّمَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ، ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا عَلَا عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ، وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ، فَقَالُوا: إِنَّمَا أَهَلَّ حِينَ عَلَا عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ، وَايْمُ اللَّهِ لَقَدْ أَوْجَبَ فِي مُصَلَّاهُ، وَأَهَلَّ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ، وَأَهَلَّ حِينَ عَلَا عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ ". قَالَ سَعِيدٌ: فَمَنْ أَخَذَ بِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَهَلَّ فِي مُصَلَّاهُ إِذَا فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ
ضعيف

حدثنا محمد بن منصور، حدثنا يعقوب يعني ابن ابراهيم، حدثنا ابي، عن ابن اسحاق، قال: حدثني خصيف بن عبد الرحمن الجزري، عن سعيد بن جبير، قال: قلت لعبد الله بن عباس: يا ابا العباس، عجبت لاختلاف اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم في اهلال رسول الله صلى الله عليه وسلم حين اوجب، فقال: " اني لاعلم الناس بذلك انها انما كانت من رسول الله صلى الله عليه وسلم حجة واحدة، فمن هناك اختلفوا، خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم حاجا فلما صلى في مسجده بذي الحليفة ركعتيه اوجب في مجلسه، فاهل بالحج حين فرغ من ركعتيه، فسمع ذلك منه اقوام فحفظته عنه، ثم ركب فلما استقلت به ناقته اهل، وادرك ذلك منه اقوام، وذلك ان الناس انما كانوا ياتون ارسالا، فسمعوه حين استقلت به ناقته يهل، فقالوا: انما اهل رسول الله صلى الله عليه وسلم حين استقلت به ناقته، ثم مضى رسول الله صلى الله عليه وسلم، فلما علا على شرف البيداء اهل، وادرك ذلك منه اقوام، فقالوا: انما اهل حين علا على شرف البيداء، وايم الله لقد اوجب في مصلاه، واهل حين استقلت به ناقته، واهل حين علا على شرف البيداء ". قال سعيد: فمن اخذ بقول عبد الله بن عباس اهل في مصلاه اذا فرغ من ركعتيه ضعيف


Narrated Abdullah ibn Abbas:

Sa'id ibn Jubayr said: I said to Abdullah ibn Abbas: AbulAbbas, I am surprised to see the difference of opinion amongst the companions of the Apostle (ﷺ) about the wearing of ihram by the Messenger of Allah (ﷺ) when he made it obligatory.

He replied: I am aware of it more than the people. The Messenger of Allah (ﷺ) performed only one hajj. Hence the people differed among themselves. The Messenger of Allah (ﷺ) came out (from Medina) with the intention of performing hajj. When he offered two rak'ahs of prayer in the mosque at Dhul-Hulayfah, he made it obligatory by wearing it.

At the same meeting, he raised his voice in the talbiyah for hajj, when he finished his two rak'ahs. Some people heard it and I retained it from him. He then rode (on the she-camel), and when it (the she-camel) stood up, with him on its back, he raised his voice in the talbiyah and some people heard it at that moment. This is because the people were coming in groups, so they heard him raising his voice calling the talbiyah when his she-camel stood up with him on its back, and they thought that the Messenger of Allah (ﷺ) had raised his voice in the talbiyah when his she-camel stood up with him on its back.

The Messenger of Allah (ﷺ) proceeded further; when he ascended the height of al-Bayda' he raised his voice in the talbiyah. Some people heard it at that moment. They thought that he had raised his voice in the talbiyah when he ascended the height of al-Bayda'. I swear by Allah, he raised his voice in the talbiyah at the place where he prayed, and he raised his voice in the talbiyah when his she-camel stood up with him on its back, and he raised his voice in the talbiyah when he ascended the height of al-Bayda'.

Sa'id (ibn Jubayr) said; He who follows the view of Ibn Abbas raises his voice in talbiyah (and ihram) at the place of is prayer after he finishes two rak'ahs of his prayer.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৫/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب المناسك) 5/ The Rites of Hajj (Kitab Al-Manasik Wa'l-Hajj)

পরিচ্ছেদঃ ২২. ইহরাম বাঁধার সময়

১৭৭১। ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, এই হচ্ছে তোমাদের ’বায়দা’ যেখানে তোমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে অনুমানে কথা বলছো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুলহুলাইফার মাসজিদ থেকেই ইহরাম বেঁধেছেন।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي وَقْتِ الْإِحْرَامِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: بَيْدَاؤُكُمْ هَذِهِ الَّتِي تَكْذِبُونَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَّا مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ يَعْنِي مَسْجِدَ ذِي الْحُلَيْفَةِ
صحيح

حدثنا القعنبي، عن مالك، عن موسى بن عقبة، عن سالم بن عبد الله، عن ابيه، قال: بيداوكم هذه التي تكذبون على رسول الله صلى الله عليه وسلم فيها ما اهل رسول الله صلى الله عليه وسلم، الا من عند المسجد يعني مسجد ذي الحليفة صحيح


Ibn `Umar said this is your al-Baida’ about which you ascribe falsehood to the Messenger of Allah (SWAS). He did not raise his voice in talbiyah but from the masjid, i.e. the mosque of Dhu al-Hulaifah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৫/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب المناسك) 5/ The Rites of Hajj (Kitab Al-Manasik Wa'l-Hajj)

পরিচ্ছেদঃ ২২. ইহরাম বাঁধার সময়

১৭৭২। ’উবাইদ ইবনু জুরাইজ (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। একদা তিনি ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাযি.)-কে বলেন, হে আবূ ’আব্দুর রহমান! আমি আপনাকে এমন চারটি আমল করতে দেখি, যা আপনার অন্য কোনো সাথীকে করতে দেখি না। তিনি বললেন, হে ইবনু জুরাইজ! সেগুলো কি? তিনি বললেন, আপনি দুই রুকনে ইয়ামেনী ছাড়া অন্য কোনো রুকন স্পর্শ করেন না। আপনি সিবতী চামড়ার জুতা পরেন। আপনি হলুদ রঙ ব্যবহার করেন এবং আপনি মক্কাতে থাকাবস্থায় লোকজন যিলহজ (হজ্জ) মাসের চাঁদ দেখে ইহরমা বাঁধে, কিন্তু আপনি ’তারবিয়ার দিন’ না আসা পর্যন্ত ইহরাম বাঁধেন না।

অতঃপর এর জবাবে ’আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাযি.) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দুই রুকুনে ইয়ামেনী ছাড়া অন্য কোনো রুকুন স্পর্শ করতে দেখিনি। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পশমহীন জুতা পরতে দেখেছি, তিনি সেটা পরা অবস্থায় উযুও করতেন। সুতরাং আমি তা পরতে পছন্দ করি। হলুদ রং- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হলদে রং ব্যবহার করতে দেখেছি। কাজেই আমি তা পছন্দ করি। আর ইহরাম বাঁধা- আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর সওয়ারী সফরের উদ্দেশ্যে না দাঁড়ানো পর্যন্ত ইহরাম বাঁধতে দেখিনি।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي وَقْتِ الْإِحْرَامِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ، أَنَّهُ، قَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، رَأَيْتُكَ تَصْنَعُ أَرْبَعًا لَمْ أَرَ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِكَ يَصْنَعُهَا، قَالَ: مَا هُنَّ يَا ابْنَ جُرَيْجٍ، قَالَ: رَأَيْتُكَ لَا تَمَسُّ مِنَ الأَرْكَانِ إِلَّا الْيَمَانِيَّيْنِ، وَرَأَيْتُكَ تَلْبَسُ النِّعَالَ السِّبْتِيَّةَ، وَرَأَيْتُكَ تَصْبُغُ بِالصُّفْرَةِ، وَرَأَيْتُكَ إِذَا كُنْتَ بِمَكَّةَ أَهَلَّ النَّاسُ إِذَا رَأَوُا الْهِلَالَ، وَلَمْ تُهِلَّ أَنْتَ حَتَّى كَانَ يَوْمَ التَّرْوِيَةِ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: أَمَّا الْأَرْكَانُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمَسُّ إِلَّا الْيَمَانِيَّيْنِ، وَأَمَّا النِّعَالُ السِّبْتِيَّةُ فَإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلْبَسُ النِّعَالَ الَّتِي لَيْسَ فِيهَا شَعْرٌ وَيَتَوَضَّأُ فِيهَا، فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَلْبَسَهَا، وَأَمَّا الصُّفْرَةُ فَإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْبُغُ بِهَا، فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَصْبُغَ بِهَا، وَأَمَّا الْإِهْلَالُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُهِلُّ حَتَّى تَنْبَعِثَ بِهِ رَاحِلَتُهُ
صحيح

حدثنا القعنبي، عن مالك، عن سعيد بن ابي سعيد المقبري، عن عبيد بن جريج، انه، قال لعبد الله بن عمر: يا ابا عبد الرحمن، رايتك تصنع اربعا لم ار احدا من اصحابك يصنعها، قال: ما هن يا ابن جريج، قال: رايتك لا تمس من الاركان الا اليمانيين، ورايتك تلبس النعال السبتية، ورايتك تصبغ بالصفرة، ورايتك اذا كنت بمكة اهل الناس اذا راوا الهلال، ولم تهل انت حتى كان يوم التروية، فقال عبد الله بن عمر: اما الاركان فاني لم ار رسول الله صلى الله عليه وسلم يمس الا اليمانيين، واما النعال السبتية فاني رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم يلبس النعال التي ليس فيها شعر ويتوضا فيها، فانا احب ان البسها، واما الصفرة فاني رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم يصبغ بها، فانا احب ان اصبغ بها، واما الاهلال فاني لم ار رسول الله صلى الله عليه وسلم يهل حتى تنبعث به راحلته صحيح


Ubayd ibn Jurayj said to Abdullah ibn Umar:
AbuAbdurRahman, I saw you doing things which I did not see being done by your companions.

He asked: What are they, Ibn Jurayj? He replied: I saw you touching only the two Yamani corners; and I saw you wearing shoes having no hair; I saw you dyeing in yellow colour; and I saw you wearing ihram on the eighth of Dhul-Hijjah, whereas the people had worn ihram when they sighted the moon.

Abdullah ibn Umar replied: As regards the corners, I have not seen the Messenger of Allah (ﷺ) touching anything (in the Ka'bah) but the two Yamani corners. As for the tanned leather shoes, I have seen the Messenger of Allah (ﷺ) wearing tanned leather shoes, and he would wear them after ablution. Therefore I like to wear them. As regards wearing yellow, I have seen the Messenger of Allah (ﷺ) wearing yellow, so I like to wear with it. As regards shouting the talbiyah, I have seen the Messenger of Allah (ﷺ) raising his voice in talbiyah when his she-camel stood up with him on its back.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৫/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب المناسك) 5/ The Rites of Hajj (Kitab Al-Manasik Wa'l-Hajj)

পরিচ্ছেদঃ ২২. ইহরাম বাঁধার সময়

১৭৭৩। আনাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় যুহরের চার রাক’আত সালাত আদায় করেন এবং যুলহুলাইফায় পৌঁছে ’আসরের সালাত আদায় করেন দুই রাক’আত। তিনি সেখানেই রাত যাপন করেন এবং সকালে সওয়ারীতে চড়ে সফর শুরু করার সময় ’তালবিয়া’ পাঠ করেন।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي وَقْتِ الْإِحْرَامِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا، وَصَلَّى الْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ بَاتَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ حَتَّى أَصْبَحَ، فَلَمَّا رَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَاسْتَوَتْ بِهِ أَهَلَّ
صحيح

حدثنا احمد بن حنبل، حدثنا محمد بن بكر، حدثنا ابن جريج، عن محمد بن المنكدر، عن انس، قال: صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم الظهر بالمدينة اربعا، وصلى العصر بذي الحليفة ركعتين، ثم بات بذي الحليفة حتى اصبح، فلما ركب راحلته واستوت به اهل صحيح


Anas said :
Messenger of Allah (SWAS) prayed four rak’ahs at Madinah and prayed two rak’ahs of afternoon prayer at Dhu-al Hulaifah. He then passed the night at Dhu-al Hulaifah till the morning came. When he rode on his mount and it stood up on its back, he raised his voice in talbiyah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৫/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب المناسك) 5/ The Rites of Hajj (Kitab Al-Manasik Wa'l-Hajj)

পরিচ্ছেদঃ ২২. ইহরাম বাঁধার সময়

১৭৭৪। আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মদীনায়) যুহরের সালাত আদায় করে সওয়ারীতে চড়েন। অতঃপর তিনি আল-বায়দায় উচ্চভূমিতে আরোহণের সময় ’তালবিয়া’ পাঠ করেন।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي وَقْتِ الْإِحْرَامِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ، ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ فَلَمَّا عَلَا عَلَى جَبَلِ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ
صحيح

حدثنا احمد بن حنبل، حدثنا روح، حدثنا اشعث، عن الحسن، عن انس بن مالك، ان النبي الله عليه وسلم صلى الظهر، ثم ركب راحلته فلما علا على جبل البيداء اهل صحيح


Narrated Anas ibn Malik:

The Prophet (ﷺ) offered the noon prayer, and then rode on his mount. When he came to the hill of al-Bayda', he raised his voice in talbiyah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৫/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب المناسك) 5/ The Rites of Hajj (Kitab Al-Manasik Wa'l-Hajj)

পরিচ্ছেদঃ ২২. ইহরাম বাঁধার সময়

১৭৭৫। সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাযি.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আল-ফুর’আ নামক স্থানের দিকে যেতেন তখন সওয়ারীর পিঠে চড়া মাত্রই তালবিয়া পড়তেন। তিনি যখন উহুদের পথে রওয়ানা হতেন, তখন আল-বায়দা পর্বতে উঠার সময় তালবিয়া পড়তেন।[1]

দুর্বল।

بَابٌ فِي وَقْتِ الْإِحْرَامِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ يَعْنِي ابْنَ جَرِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ:، سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، قَالَتْ: قَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ: كَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَخَذَ طَرِيقَ الْفُرْعِ أَهَلَّ إِذَا اسْتَقَلَّتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، وَإِذَا أَخَذَ طَرِيقَ أُحُدٍ أَهَلَّ إِذَا أَشْرَفَ عَلَى جَبَلِ الْبَيْدَاءِ
ضعيف

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا وهب يعني ابن جرير، قال: حدثنا ابي، قال:، سمعت محمد بن اسحاق، يحدث عن ابي الزناد، عن عاىشة بنت سعد بن ابي وقاص، قالت: قال سعد بن ابي وقاص: كان نبي الله صلى الله عليه وسلم اذا اخذ طريق الفرع اهل اذا استقلت به راحلته، واذا اخذ طريق احد اهل اذا اشرف على جبل البيداء ضعيف


Narrated Sa'd ibn Abi Waqqas:

When the Prophet of Allah (peace be upon him0 undertook his journey by the way of al-Far', he shouted talbiyah when his mount stood up with him on its back. But when he travelled by the way of Uhud, he raised his voice in Talbiyah when he ascended the hill of al-Bayda'.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
৫/ হাজ্জ (হজ্জ/হজ) (كتاب المناسك) 5/ The Rites of Hajj (Kitab Al-Manasik Wa'l-Hajj)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে