পরিচ্ছেদঃ ৩৯. সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়ানো (সাঈ) হজ্জের অন্যতম রুকন, এ ছাড়া হজ্জ শুদ্ধ হয় না
২৯৪৯। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... হিশাম ইবনু উরওয়া (রহঃ) থেকে তার পিতা সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে বললাম, আমি মনে করি কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাঈ না করলে তার কোন ক্ষতি হবে না। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন কেন? আমি বললাম, কেননা আল্লাহ তা-আলা বলেছেনঃ সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম... এ দুটোর তাওয়াফ করলে কোন ক্ষতি নেই (সূরা বাকারাঃ ১৫৮)। তখন আয়িশা (রাঃ) বললেন, কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ না করলে আল্লাহ তার হাজ্জ (হজ্জ) ও উমরা পূর্ণ করেন না।
তুমি যা বলেছ যদি তাই হতো তবে আয়াতটি এভাবে হতোঃ “ঐ দুই পাহাড়ের মাঝে না দৌড়ালে কোন অসুবিধা নেই।” তুমি কি জান ব্যাপারটি কী? ব্যাপার তো ছিল এই যে, আনসারগণ জাহেলী যুগে দুটি প্রতিমার নামে সমূদ্রের তীরে ইহরাম বাঁধত। একটির নাম ইসাফ, অপরটির নাম নায়েলা। তারা এসে সাফা-মারওয়া সাঈ করত। অতঃপর মাথা কামাতো। ইসলামের আবির্ভাবের পর তারা জাহেলী যুগে যা করত, সে কারণে সাফা-মাওয়ার মাঝে সাঈ করা খারাপ মনে করল। তাই আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেনঃ "সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম,এ দুটোর তাওয়াফ করলে কোন ক্ষতি নেই" অতঃপর লোকেরা সাঈ করে।
باب بَيَانِ أَنَّ السَّعْىَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رُكْنٌ لاَ يَصِحُّ الْحَجُّ إِلاَّ بِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَ قُلْتُ لَهَا إِنِّي لأَظُنُّ رَجُلاً لَوْ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مَا ضَرَّهُ . قَالَتْ لِمَ قُلْتُ لأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . فَقَالَتْ مَا أَتَمَّ اللَّهُ حَجَّ امْرِئٍ وَلاَ عُمْرَتَهُ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَلَوْ كَانَ كَمَا تَقُولُ لَكَانَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا . وَهَلْ تَدْرِي فِيمَا كَانَ ذَاكَ إِنَّمَا كَانَ ذَاكَ أَنَّ الأَنْصَارَ كَانُوا يُهِلُّونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ لِصَنَمَيْنِ عَلَى شَطِّ الْبَحْرِ يُقَالُ لَهُمَا إِسَافٌ وَنَائِلَةٌ . ثُمَّ يَجِيئُونَ فَيَطُوفُونَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ يَحْلِقُونَ . فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ كَرِهُوا أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَهُمَا لِلَّذِي كَانُوا يَصْنَعُونَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَالَتْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ) إِلَى آخِرِهَا - قَالَتْ - فَطَافُوا .
Hisham b. 'Urwa reported on the authority of his father who narrated from 'A'isha. He said to 'A'isha:
I think if a person does not run between al- Safa' and al-Marwa, It does not do any harm to him (so far as Hajj is concerned). She said: Why (do you think so)? I said: For Allah says:" Verily al-Safa' and al-Marwa are among the Signs of Allah" (ii. 158) (to the end of the verse), whereupon she said: Allah does not complete the Hajj of a person or his Umra if he does not observe Sa'i between al-Safa' and al-marwa; and if it were so as you state, then (the wording would have been (fala janah an la yatufu biha) [" There is no harm for him if he does not circumambulate between them']. Do you know in what context (this verse was revealed)? (It was revealed in this context) that the Ansar in the Days of Ignorance pronounced the Talbiya for two idols. (fixedl on the bank of the river which were called Isaf and Na'ila. The people went there, and then circumambulated between al-Safa' and al-Marwa and then got their heads shaved. With the advent of Islam they (the Muslims) did not like to circumambulate between them as they used to do during the Days of Ignorance. It was on account of this that Allah. the Exalted and Majestic, revealed:" Verily al-Safe and al-Marwa are among the Signs of Allah" to the end of the verse. She said: Then people began to observe Sa'i.
পরিচ্ছেদঃ ৩৯. সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়ানো (সাঈ) হজ্জের অন্যতম রুকন, এ ছাড়া হজ্জ শুদ্ধ হয় না
২৯৫০। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে বললাম, আমি যদি সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ না করি তবে এতে আমার জন্য কোন দোষ মনে করি না। তিনি বললেন, কেন? আমি বললাম, কেননা মহামহিম আল্লাহ বলেনঃ “সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম......।” তখন আয়িশা (রাঃ) বললেন, তুমি যেরূপ বলছ, যদি তাই হতো, তবে আয়াতের বক্তব্য এরূপ হতোঃ “ঐ দুই পাহাড়ের মাঝে না দৌড়ালে কোন দোষ নেই।”
এ আয়াত আনসারদের সম্পর্কে নাযিল করা হয়। জাহেলী যুগে তারা যখন ইহরাম বাঁধত- তা বাঁধত মানাত দেবীর নামে। তাই তারা মনে করত যে, সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করা তাদের জন্য ঠিক নয়। তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে (বিদায়) হজ্জে এসে তাঁর নিকট এই বিষয়ে উল্লেখ করলে আল্লাহ উপরোক্ত আয়াত নাযিল করেন। অতএব আমার জীবনের শপথ! যে সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ না করে- আল্লাহ তার হাজ্জ (হজ্জ) পূর্ণ করবেন না।
باب بَيَانِ أَنَّ السَّعْىَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رُكْنٌ لاَ يَصِحُّ الْحَجُّ إِلاَّ بِهِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، أَخْبَرَنِي أَبِي قَالَ، قُلْتُ لِعَائِشَةَ مَا أَرَى عَلَىَّ جُنَاحًا أَنْ لاَ أَتَطَوَّفَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ . قَالَتْ لِمَ قُلْتُ لأَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ) الآيَةَ . فَقَالَتْ لَوْ كَانَ كَمَا تَقُولُ لَكَانَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا . إِنَّمَا أُنْزِلَ هَذَا فِي أُنَاسٍ مِنَ الأَنْصَارِ كَانُوا إِذَا أَهَلُّوا أَهَلُّوا لِمَنَاةَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَلاَ يَحِلُّ لَهُمْ أَنْ يَطَّوَّفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَلَمَّا قَدِمُوا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لِلْحَجِّ ذَكَرُوا ذَلِكَ لَهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ فَلَعَمْرِي مَا أَتَمَّ اللَّهُ حَجَّ مَنْ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ .
Hisham b. 'Urwa narrated on the authority of his father who reported:
I said to 'A'isha: I do not see any harm to me if I do not circumambulate betweez al-Safa' and al-Marwa. She said: On what ground do you say so? (I said: ) Since Allah, the Exalted and Majestic, says:" Verily al-Safa' and al-Marwa are among the Signs of Allah." It (your assertion) were (correct), it would have been said like this:" There is no harm for him, that he should not circumambulate between them." It (this verse) has been revealed about the people of Ansar. Whenever they pronounced the Talbiya, they pronounced it in the name of al-Manat during the Days of Ignorance; so they (thought) that it was not permissible for them (for the Muslims) to circumambulate between and al-Marwa. When they (the Muslims) came with Allah's Apostle (may peace he upon him) for Hajj, they mentioned it to him. So Allah, the Exalted and Majestic, revealed this verse. By my life, Allah will not complete the Hajj of one who has not circumambulated between al-Safa and al-Marwa.
পরিচ্ছেদঃ ৩৯. সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়ানো (সাঈ) হজ্জের অন্যতম রুকন, এ ছাড়া হজ্জ শুদ্ধ হয় না
২৯৫১। আমরুন নাকিদ ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ... উরওয়া ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনা আয়িশা (রাঃ) কে বললাম, কোন ব্যক্তি সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ না করলে এতে আমি দোষের কিছু দেখি না এবং আমি নিজেও এতদুভয়ের মাঝে সাঈ বর্জন করায় কিছু মনে করি না। আয়িশা (রাঃ) বললেন, হে বোনপূত্র! তুমি যা বলেছ তা মন্দ বলেছ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সাফা-মারওয়ার মাঝে) তাওয়াফ (সাঈ) করেছেন এবং মুসলিমরাও তাওয়াফ করেছ। অতএব তা সুন্নাত। যে সব লোক (জাহিলি যুগে) মেশাল্লাল এ অবস্থিত মানাত দেবীর নামে ইহরাম বাঁধত, তারা সাফা ও মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ করত না। ইসলামের আবির্ভাবের পর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তখন আল্লাহ তা,আলা নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেনঃ “সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কেউ কাবা ঘরের হাজ্জ (হজ্জ) কিংবা উমরা পালন করে, এ দুটির মধ্যে প্রদক্ষিণ করলে কোন পাপ নেই (সূরা বাকারাঃ ১৫৮)। তুমি যা বলেছ, ব্যাপারটি যদি তদ্রুপ হতো তবে বলা হতো, “এই দুটির মধ্যে প্রদক্ষিণ না করলে তার কোন পাপ নেই।”
ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন, এ প্রসঙ্গটি আমি আবূ বকর ইবনু আবদুর রহমান ইবনু হারিস ইবনু হিশামের কাছে উল্লেখ করলাম। তিনি তাতে বিস্মিত হলেন এবং বললেন, এর নামই জ্ঞান। তিনি আরও বললেন, জ্ঞানবান সমাজের অনেক লোককে বলতে শুনেছি- সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ বর্জনকারী আরবের অধিবাসীরা বলত এই দুই পাথরের মাঝে তাওয়াফ করা জাহিলী যুগের কাজা আর আনসার সম্প্রদায়ের লোকেরা বলত, আমাদেরকে বায়তুল্লাহ তাওয়াফের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফের নির্দেশ দেয়া হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেন, “সাফা-মারওয়া আল্লাহর নির্দশনসমূহের অন্যতম।” আবূ বকর ইবনু আব্দুর রহমান বলেন, আমিও মনে করি যে, উল্লেখিত সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে।
باب بَيَانِ أَنَّ السَّعْىَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رُكْنٌ لاَ يَصِحُّ الْحَجُّ إِلاَّ بِهِ
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، - قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَا أَرَى عَلَى أَحَدٍ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ شَيْئًا وَمَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَطُوفَ بَيْنَهُمَا . قَالَتْ بِئْسَ مَا قُلْتَ يَا ابْنَ أُخْتِي طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَطَافَ الْمُسْلِمُونَ فَكَانَتْ سُنَّةً وَإِنَّمَا كَانَ مَنْ أَهَلَّ لِمَنَاةَ الطَّاغِيَةِ الَّتِي بِالْمُشَلَّلِ لاَ يَطُوفُونَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَلَمَّا كَانَ الإِسْلاَمُ سَأَلْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا) وَلَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولُ لَكَانَتْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لأَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ . وَقَالَ إِنَّ هَذَا الْعِلْمُ . وَلَقَدْ سَمِعْتُ رِجَالاً مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُونَ إِنَّمَا كَانَ مَنْ لاَ يَطُوفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مِنَ الْعَرَبِ يَقُولُونَ إِنَّ طَوَافَنَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَجَرَيْنِ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ . وَقَالَ آخَرُونَ مِنَ الأَنْصَارِ إِنَّمَا أُمِرْنَا بِالطَّوَافِ بِالْبَيْتِ وَلَمْ نُؤْمَرْ بِهِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ) . قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَأُرَاهَا قَدْ نَزَلَتْ فِي هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ .
'Urwa b. Zabair reported:
I said to 'A'isha, the wife of Allah's Apostle (ﷺ): I do not see any (fault) in one who does not circumambl" te between al-Safa' and al-Marwa, and I do not mind if I do not circumambulate between them, whereupon she said: O, the son of my sister, what you say is wrong. Allah's Messenger (ﷺ) observed Sa'i and so did the Muslims. So it is a Sunnah (of the Prophet). And it was a common practice (with the pagan Arabs) that those who pronounced Talbiya for the wretched al-Manat, situated at Mushalla, did not observe Sa'i between al-Safa' and al-Marwa. With the advent of Islam, we asked Allah's Apostle (ﷺ) about this practice, and (it was on this occasion) that Allah, the Exalted and Majestic, revealed this verse:" Verily al-Safa' and al-Marwa are among the Signs of Allah" ; so he who performed Hajj or 'Umra it is no sin on him if he circumambulates them. And if it were as you state, (then the wording would have been):" There is no harm for him, that he should not circumambulate round them." Zuhri said: I made a mention of that to Abu Bakr b. 'Abd al- Rahman b. al-Harith b. Hisham; he was impressed by that and said: This is what is called knowledge. And I have heard many a scholar saying: Many of the Arabs who did not circumambulate between al-Safa' and al-Marwa caid: Our circumambulation between these two hills is an act of ignorance; whereas others among the Ansar said: We have been commanded to circumambulate the House, and not Commanded to run between al-Safa' and al-Marwa. So Allah, the Exalted and Majestic, revealed thia verse:" Verily al-Safa' and al-Marwa are among the Signs of Allah." Abu Bakr b. 'Abd al-Rahman said: I think that this (verse) has been revealed for such and such (persons).
পরিচ্ছেদঃ ৩৯. সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়ানো (সাঈ) হজ্জের অন্যতম রুকন, এ ছাড়া হজ্জ শুদ্ধ হয় না
২৯৫২। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ... উরওয়া ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম ...... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এই বর্ণনায় আছে, তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফকে খারাপ মনে করি। তখন আল্লাহ তা-আলা নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করেনঃ “সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমূহের অন্যতম। সূতরাং যে কেউ বায়তুল্লাহর হাজ্জ (হজ্জ) কিংবা উমরা পালন করে, এ দুটির মাঝে তাওয়াফ করলে তার কোন দোষ নেই।” আয়িশা (রাঃ) বলেন, তিনি এতদুভয়ের মাঝে তাওয়াফ করাকে বিধিবদ্ধ করেছেন। অতএব এতদুভয়ের মাঝে তাওয়াফ বর্জন করারঅধিকার কারো নেই।
باب بَيَانِ أَنَّ السَّعْىَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رُكْنٌ لاَ يَصِحُّ الْحَجُّ إِلاَّ بِهِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُجَيْنُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ أَنَّهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِهِ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَلَمَّا سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَتَحَرَّجُ أَنْ نَطُوفَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا) قَالَتْ عَائِشَةُ قَدْ سَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الطَّوَافَ بَيْنَهُمَا فَلَيْسَ لأَحَدٍ أَنْ يَتْرُكَ الطَّوَافَ بِهِمَا.
'Urwa b. Zubair reported:
I asked 'A'isha (Allah be pleased with her) ; the rest of the hadith is the same. And in this hadith (these words are also found):" When they (the Companions of the Holy Prophet) asked Allah's Messenger (ﷺ) about this, they said: Messenger of Allah, we felt reluctant to circumambulate between al-Safa' and al-Marwa. Then Allah, the Exalted and Majestic, revealed this verse:" Verily al-Safa' and al-Marwa are among the Signs of. Allah so he who perform Hajj or Umra it is no sin on him if he should circumambulate between them. 'A'isha (Allah be pleased with her) said: Allah's Messenger (ﷺ) laid down this Sa'i between them as Sunnah (of the Holy Prophet). So it is not advisable for anyone to abandon this Sa'i between them.
পরিচ্ছেদঃ ৩৯. সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়ানো (সাঈ) হজ্জের অন্যতম রুকন, এ ছাড়া হজ্জ শুদ্ধ হয় না
২৯৫৩। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... উরওয়া ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আয়িশা (রাঃ) তাকে অবহিত করেছেন যে, আনসার সম্প্রদায় ও গাসসান গোত্রের নিয়ম ছিল, তারা ইসলাম গ্রহনের পুর্বে মানাত দেবীর জন্য ইহরাম বাঁধত। অতএব তারা সাফা-মারওয়ার মাঝে সাঈ করাকে পাপ মনে করতা এটা তাদের পূর্বপুরুষদের রিতী যে, তাদের কোন ব্যক্তি মানাত দেবীর জন্য ইহরাম বাঁধলে সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ করত না। তারা ইসলাম গ্রহণের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। তখন এই প্রসঙ্গে মহামহিম আল্লাহ নাযিল করেনঃ “সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। অতএব যে কেউ বায়তুল্লাহ হাজ্জ (হজ্জ) অথবা উমরা পালন করে, এতদুভয়ের মাঝে তাওয়াফ করলে তার কোন দোষ নেই এবং স্বতঃস্ফুর্তভাবে সৎকাজ করলে আল্লাহ পুরস্কারদাতা ও সর্বজ্ঞ (সূরা বাকারাঃ ১৫৮)।
باب بَيَانِ أَنَّ السَّعْىَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رُكْنٌ لاَ يَصِحُّ الْحَجُّ إِلاَّ بِهِ
وَحَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ الأَنْصَارَ كَانُوا قَبْلَ أَنْ يُسْلِمُوا هُمْ وَغَسَّانُ يُهِلُّونَ لِمَنَاةَ فَتَحَرَّجُوا أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَكَانَ ذَلِكَ سُنَّةً فِي آبَائِهِمْ مَنْ أَحْرَمَ لِمَنَاةَ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ وَإِنَّهُمْ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ حِينَ أَسْلَمُوا فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي ذَلِكَ ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا وَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ)
'Urwa b. Zabair narrated on the authority of 'A'isha (Allah be pleased with her) who informed him that the Ansar and the people of the tribe of Ghassan before embracing Islam pronounced Talbiya for Manat, and so they avoided circumambulating between al-Safa' and al-Marwa, and it was a common practice with their forefather, that he who put on Ihram for Manat did not circumambulate between al-Safa' and al-Marwa. And when they embraced Islam, they asked Allah's Messenger (ﷺ) about it, and then Allah, the Exalted and Majestic, revealed this verse:
" Verily al-Safa' and al-Marwa are among the Signs of Allah" ; so he who performs Hajj or Umra, for him there is no harm if he should circumambulate between them, and he who does good spontaneously-surely Allah is Bountiful in rewarding and Knowing.
পরিচ্ছেদঃ ৩৯. সাফা-মারওয়ার মাঝে দৌড়ানো (সাঈ) হজ্জের অন্যতম রুকন, এ ছাড়া হজ্জ শুদ্ধ হয় না
২৯৫৪। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসারগণ সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফকে খারাপ কাজ মনে করত। অতএব এই প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয়ঃ “সাফা-মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন সমুহের অন্যতম। অতএব যে কোন ব্যক্তি বায়তুল্লাহর হাজ্জ (হজ্জ) অথবা উমরা পালন করে এতদুভয়ের মাঝে তাওয়াফ করলে, তার কোন দোষ নেই......।”
باب بَيَانِ أَنَّ السَّعْىَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ رُكْنٌ لاَ يَصِحُّ الْحَجُّ إِلاَّ بِهِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَتِ الأَنْصَارُ يَكْرَهُونَ أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ حَتَّى نَزَلَتْ ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا)
Anas (Allah be pleased with him) reported that the Ansar felt reluctant that they should circumambulate between al-Safa' and al-Marwa until it was revealed:
" Verily al-Safa' and al-Marwa are among the Signs of Allah" ; so whoever performs Hajj or 'Umra, for him there is no harm that he should circumambulate between them.