লগইন করুন
রমযান সম্পর্কে এমন কতক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যা কিছু মানুষের নিকট আজও অস্পষ্ট। আমি সেগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
এক- একজন মুসলিমের ওপর ওয়াজিব হলো, ঈমান ও সাওয়াবের আশায় সাওম পালন করা। কাউকে দেখানো বা শোনানোর উদ্দেশ্যে সাওম পালন করবে না। আর নিজ এলাকা, পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের অনুকরণে সাওম পালন করবে না, বরং সাওম এ কারণে পালন করবে যে, আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর সাওম পালন করা ফরয করেছেন এবং সাওম পালন করার কারণে আল্লাহ তা‘আলা তাকে মহা বিনিময় ও সাওয়াব দেবেন। অনুরূপভাবে কিয়ামুল-লাইল একজন মুসলিম ঈমান ও সাওয়াবের আশায় করবে, পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে করবে না। সিয়াম ও কিয়ামুল-লাইলের এ মহান উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ صَامَ رَمَضَانَ، إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»
“যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সাওয়াবের আশায় রমযান মাসের সাওম পালন করবে, তার অতীত জীবনের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে”।[1]
তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরও বলেন,
«مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»
“যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সাওয়াবের আশায় কদরের রাতের কিয়াম করবে, তার অতীতের গুণাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে”।[2]
[2] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৭