প্রশ্ন: যদি তোমাকে বলা হয়, কবরের আযাব ও তার শান্তি কি কুরআন ও সুন্নাহে প্রমাণিত?

উত্তর: বল, হ্যাঁ, আল্লাহ তা`আলা ফির`আউন সম্প্রদায় সম্পর্কে বলেছেন:

﴿ٱلنَّارُ يُعۡرَضُونَ عَلَيۡهَا غُدُوّٗا وَعَشِيّٗاۚ وَيَوۡمَ تَقُومُ ٱلسَّاعَةُ أَدۡخِلُوٓاْ ءَالَ فِرۡعَوۡنَ أَشَدَّ ٱلۡعَذَابِ ٤٦﴾ [غافر: ٤٦]

“সকাল-সন্ধ্যায় তাদেরকে আগুনের কাছে উপস্থিত করা হয়। আর যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হবে (সেদিন ঘোষণা করা হবে), ফিরআউনের অনুসারীদেরকে কঠোরতম আযাবে প্রবেশ করাও”। [সূরা গাফির, আয়াত: ৪৬]

অপর আয়াতে বলেন,

﴿وَلَوۡ تَرَىٰٓ إِذۡ يَتَوَفَّى ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ يَضۡرِبُونَ وُجُوهَهُمۡ وَأَدۡبَٰرَهُمۡ وَذُوقُواْ عَذَابَ ٱلۡحَرِيقِ ٥٠﴾ [الانفال: ٥٠]

“আর যদি তুমি দেখতে, যখন ফিরিশতারা কাফিরদের প্রাণ হরণ করছিল, তাদের চেহারায় ও পশ্চাতে আঘাত করছিল, আর (বলছিল) ‘তোমরা জ্বলন্ত আগুনের আযাব আস্বাদন কর”। [সূরা আনফাল, আয়াত: ৫০]

﴿يُثَبِّتُ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱلۡقَوۡلِ ٱلثَّابِتِ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِۖ ٢٧﴾ [ابراهيم: ٢٧]

অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ ঈমানদারদেরকে দুনিয়াতে ও আখিরাতে সুদৃঢ় বাণীর ওপর অবিচল রাখেন”। [সূরা ইবরাহীম, আয়াত: ২৭]

আর বারা‘ ইবন আযিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটি দীর্ঘ কুদসী হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, তাতে বলা হয়, “অতঃপর আসমান থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা দিবে, আমার বান্দা সত্য বলেছে। অতএব তাকে জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাতের পোশাক পরিয়ে দাও এবং তার জন্য একটি দরজা জান্নাতের দিকে খুলে দাও। ফলে তার নিকট জান্নাতের সুবাতাস ও সুঘ্রাণ আসতে থাকবে এবং তার কবরকে তার জন্য চোখের দৃষ্টি পর্যন্ত প্রশস্ত করা হবে।” আর কাফিরের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে বলেন, “অতঃপর তার রূহকে তার শরীরে ফেরত দেওয়া হবে এবং তার নিকট দু’জন ফিরিশতা আসবে এবং তাকে বসাবে। অতঃপর তাকে প্রশ্ন করবে, তোমার রব কে? ফলে সে বলবে, হাহা হাহা আমি জানি না। অতঃপর তারা তাকে বলবেন, তোমার দীন কি? সে বলেব, হাহা হাহা আমি জানি না। অতঃপর তারা তাকে বলবেন, এই যে লোকটিকে তোমাদের মধ্যে প্রেরণ করা হয়েছিল তিনি কে? সে বলবে, হাহা হাহা আমি জানি না। অতঃপর আসমান থেকে এক ঘোষক ঘোষণা দেবে যে, সে মিথ্যা বলেছে। অতএব তার জন্য জাহান্নামের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জাহান্নামের পোশাক পরিয়ে দাও এবং তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটি দরজা খুলে দাও। ফলে জাহান্নামের গরম বাতাস ও বিষ-বাষ্প তার কাছে আসতে থাকবে এবং তার কবরকে তার ওপর এত সংকীর্ণ করা হয় যে, তার এক পাশের হাঁড় অপর পাশের হাঁড়ে প্রবেশ করবে”। অপর বর্ণনায় বৃদ্ধি করা সহ এভাবে আছে যে, “অতঃপর তার জন্য নিযুক্ত করা হয় অন্ধ ও বধির ফিরিশতাকে। তার সাথে থাকবে লোহার হাতুড়ি, যদি তা দ্বারা পাহাড়কে আঘাত করা হয়, তবে সেটিও মাটিতে পরিণত হয়ে যাবে। আর সে তা দিয়ে তাকে এমন একটি আঘাত করবে, যা জিন ও মানুষ ব্যতীত পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যকার সবাই শুনতে পায়। আবু দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ জন্যই প্রত্যেক সালাতে আমাদেরকে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাইতে আদেশ করা হয়েছে।