প্রশ্ন: যখন তোমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, যাদু-গ্রস্ত হওয়ার আগেই তা থেকে বাঁচার উপায় কি এবং যাদু-গ্রস্ত রোগীর চিকিৎসার পদ্ধতি কী?

উত্তর: বল, সকাল ও সন্ধ্যার যিকিরগুলো নিয়মিত পাঠ করা। বিশেষভাবে সকাল ও সন্ধ্যায় “বিসমিল্লাহিল্লাযি লা-য়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস-সামায়ী ওয়া হুওয়াস সামিউল আলীম” তিনবার পড়া। আরো পড়া: “আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাকা”। আর সন্তান ও পরিবারের সুরক্ষা হচ্ছে: “উ-ইযুকুম বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিনকুল্লি শায়তানিও ওয়া হাম্মাতিন ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মাতিন”। হাদীসে এরূপই এসেছে। সূরা ইখলাস, সূরা নাস ও ফালাক সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার, আাতুল কুরসি, রাতের বেলা সূরা বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পড়া এবং সকাল বেলা সাতটি খেজুর খাওয়া।

আর যাদু সংঘটিত হওয়ার পর চিকিৎসা হলো যাদুগ্রস্তের ওপর সরাসরি কুরআনুল কারীমের আয়াত, সুন্নাতে নববীতে উল্লেখিত দু‘আগুলো পাঠ করা, সিঙ্গা লাগানো এবং যাদু করার বস্তুগুলো স্পষ্ট হলে সেগুলো ধ্বংস করে ফেলা। ইনশা-আল্লাহ এতে যাদু বাতিল হবে এবং যাদু-গ্রস্ত সুস্থ হবে।