কায়েদা: আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করো

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿وَإِن مِّن شَيۡءٍ إِلَّا عِندَنَا خَزَآئِنُهُ٢١﴾ [الحجر: ٢١]

“আর প্রতিটি বস্তুরই ভাণ্ডারসমূহ রয়েছে আমার কাছে।” [সূরা আল-হিজর, আয়াত: ২১]

এ আয়াতে সব জিনিসের ভাণ্ডার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার কাছে সব জিনিসের ভাণ্ডার রয়েছে এবং যার কাছে সে ভাণ্ডারের চাবি একমাত্র তার কাছেই সব কিছু চাওয়া হয়। তিনি ব্যতীত অন্য কারো চাইলে সে কিছুই দিতে সক্ষম হবে না।

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿وَأَنَّ إِلَىٰ رَبِّكَ ٱلۡمُنتَهَىٰ٤٢﴾ [النجم : ٤٢]

“আর নিশ্চয় তোমার রবের নিকটই হলো শেষ গন্তব্য।” [সূরা আন-নাজম, আয়াত: ৪২] এখানে মহাভাণ্ডারের কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর তা হলো, প্রতিটি অভীষ্ট লক্ষ্যের যদি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু না থাকে তাহলে তার সাথে মিলিত হওয়া বেহুদা ও সম্পর্কহীন কাজ। কেননা সেটি তার শেষ গন্তব্য নয়। যার কাছে সব কিছুর শেষ গন্তব্য একমাত্র তার কাছেই সব কিছুর শেষ গন্তব্য হওয়া উচিত। তাঁর সৃষ্টি, ইচ্ছা, হিকমত ও ইলমের কাছে সবকিছুর গন্তব্য। তিনি সব লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের লক্ষ্য। আর প্রত্যেক প্রিয়বস্তুকে কোন উদ্দেশ্যে ভালো না বাসলে তখন তার ভালোবাসা যন্ত্রনা ও আযাব হয়ে দাঁড়ায়। উদ্দেশ্য বিহীন কাজ শ্রমকে বিনষ্ট ও বাতিল করে দেয়। আর প্রত্যেক অন্তর যা আল্লাহর সাথে মিলিত হয় না তা দুর্ভাগা ও তার সুখ-সৌভাগ্য ও সফলতা থেকে আড়ালকৃত।

সুতরাং নিম্নোক্ত আয়াতে আল্লাহর কাছে সব কিছু চাওয়া একত্রিত হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿وَإِن مِّن شَيۡءٍ إِلَّا عِندَنَا خَزَآئِنُهُ٢١﴾ [الحجر: ٢١]

“আর প্রতিটি বস্তুরই ভাণ্ডারসমূহ রয়েছে আমার কাছে।” [সূরা আল-হিজর, আয়াত: ২১] আবার এ আয়াতে বান্দার জন্য যা কিছু চাওয়া তার সব কিছু একত্রিত হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿وَأَنَّ إِلَىٰ رَبِّكَ ٱلۡمُنتَهَىٰ٤٢﴾ [النجم : ٤٢]

“আর নিশ্চয় তোমার রবের নিকটই হলো শেষ গন্তব্য।” [সূরা আন-নাজম, আয়াত: ৪২] সুতরাং আল্লাহ ব্যতীত বান্দার জন্য কোনো লক্ষ্যস্থল নেই যেখানে সে কিছু চাইতে পারে এবং তিনি ব্যতীত কোন গন্তব্যও নেই যার কাছে তার শেষ গন্তব্য হবে।

এ সব কিছুতে রয়েছে তাওহীদের এক মহারহস্য। আর তা হলো, আল্লাহর কাছে না পৌঁছা পর্যন্ত অন্তর স্থির হয় নাও শান্ত-শিষ্টও হয় না। তিনি ব্যতীত অন্যের জন্য যা কিছুই ভালোবাসা ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য করা হয় তা তাদের জন্য হয়ে থাকে।

অন্যদিকে প্রিয় গন্তব্য একমাত্র একজনের দিকেই হতে হয় যার কাছে শেষ গন্তব্য। আর শেষ গন্তব্য দুজনের কাছে হওয়া অসম্ভব। যেমনিভাবে সৃষ্টির শুরু দুজনের থেকে হওয়াও অসম্ভব ছিলো। সুতরাং যার শেষ ভালোবাসা, অভীক্ষা, আশা-আকাঙ্খা ও আনুগত্য তিনি ব্যতীত অন্যের জন্য হবে তার সব আমল বাতিল হয়ে যাবে এবং তাঁর থেকে তা দূরীভুত হয়ে যাবে। আর যার ভালোবাসা, আগ্রহ, ইচ্ছা, আকাঙ্খার গন্তব্য একমাত্র আল্লাহর জন্য হবে সে ব্যক্তি চিরকালের জন্য তাঁর নি‘আমত, (তাঁর সাক্ষাতের) স্বাদ, আনন্দ ও সুখ-সৌভাগ্য লাভে ধন্য হবে।