উসূলে ফিক্বহ (ফিক্বহের মূলনীতি) খবরসমূহ (الأخبار) শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) ১ টি

হাদীছের التحمل-(গ্রহণ করা) ও الأداء (বর্ণনা করা) দু’টি দিক রয়েছে।

التحمل (গ্রহণ করা): হাদীছ অন্যের কাছ থেকে গ্রহণ করাকে التحمل বলে।

الأداء (বর্ণনা করা): হাদীছ অন্যের নিকট পৌঁছে দেয়াকে الأداء বলে।

হাদীছ অন্যের কাছে বর্ণনা করার কিছু ছীগাহ বা শব্দরূপ রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হলো:

১. حدثنى (আমাকে বর্ণনা করেছেন): এটি ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার্য যাকে শাইখ নিজে হাদীছ পড়ে শুনিয়েছেন।

২. أخبرني: এটি ব্যবহার্য যাকে শাইখ হাদীছ পড়ে শুনিয়েছেন অথবা তিনি নিজেই হাদীছটি শাইখকে পড়ে শুনিয়েছেন (শাইখ তাতে সম্মতি দিয়েছেন)।

৩. أخبرني إجازة ، أو أجاز لي (অনুমতি সূত্রে আমাকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন অথবা আমাকে অনুমতি দিয়েছেন): এটি ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার্য যিনি শাইখ থেকে হাদীছ অনুমতি সূত্রে বর্ণনা করেন। পঠন-পাঠনের সূত্রে নয়।

الإجازة (অনুমতি): শাইখ যে হাদীছ বর্ণনা করেন, ছাত্রকে ঐ হাদীছ বর্ণনা করার অনুমতি প্রদানই الإجازة। যদিও এটি পঠন-পাঠনের পন্থায় না হয়।

৪. العنعنة : عن (হতে) শব্দে হাদীছ বর্ণনা করাকে العنعنة বলে। এ ধরণের হাদীছের হুকুম হলো মুত্তাছিল হিসাবে গণ্য হওয়া। তবে তাদলিছ করার মাধ্যমে যিনি পরিচিত তাঁর বর্ণনা ব্যতীত। এক্ষেত্রে স্পষ্ট ভাবে হাদীছ শ্রবণের বিষয়টি বর্ণনা না করা পর্যন্ত এগুলোকে মুত্তাছিল হাদীছের হুকুম দেয়া হবে না।

হাদীস ও তার রাবী সম্পর্কে মুসতালাউল হাদীছে অনেক প্রকারের আলোচনা রয়েছে। আমরা যতটুকু ইঙ্গিত করলাম, এক্ষেত্রে এতটুকুই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।