শাসক ও নেতাদের বিরোধিতাকারীদের অবস্থা যা ইতিহাসের বর্ণনায় পাওয়া যায়

সাজ্জাযের প্ররোচনায় উসমান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর আনুগত্য থেকে জনগণ দূরে সরে যায় এবং তার দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আমীরুল মু’মিনিন (মুসলিমদের শাসক) উসমান রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে তারা হত্যা করে। আমীরুল মু’মিনিন (মুসলিমদের শাসক) এর বিরোধিতা এবং তাকে হত্যার কারণে মু’মিনদের কি অবনতি ঘটেছিল?

ক্রমাগত অবনতি ও ফিতনা ফাসাদের মধ্যে দিয়ে মুসলিমরা কষ্ট ভোগ করে আসছে।

অনুরূপ অন্যান্য নেতাদের আনুগত্যের মাধ্যমে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। যদি শাসক আংশিক ফাসাদে (বিশৃঙ্খলায়) লিপ্ত থাকে, তাহলে তার বিরোধিতা করার চেয়ে এটা অনেক সহজতর বলে গণ্য হবে।

এ কারণে শাসক ইসলাম ত্যাগ না করলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অনুগত থাকা আবশ্যক করে দেন যদিও সে ফাসিক অথবা অত্যাচারী হয়।

বৃহত্তর বিশৃঙ্খলা রুখে দেয়ার জন্য আংশিক বিশৃঙ্খলার উপর ধৈর্য ধারণ করতে হয়। বড় ধরণের ক্ষতিকে প্রতিহত করা জন্য সাধারণ ক্ষতি মেনে নেয়া ভাল। নেতার বিরোধিতায় মারাত্নক বিশৃঙ্খলা সংঘটিত হওয়ার চেয়ে জনগণের ধৈর্য ধারণ করা ভাল।