কেউ ফাসিক কিন্তু শক্তিশালী। আর কেউ সৎ তবে দুর্বল। উভয়ের মধ্যে কে নের্তৃত্বের উপযুক্ত?

এ জন্য কতিপয় ইমামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো, কেউ ফাসিক কিন্তু শক্তিশালী। আর কেউ সৎ তবে দুর্বল। উভয়ের মধ্যে কে নের্তৃত্বের উপযুক্ত?

তারা জবাব দিলেন: শক্তিশালী ফাসিক উপযুক্ত। কেননা তার ফাসিকী নিজের উপরই বর্তাবে এবং মুসলিমদের স্বার্থে তার শক্তি ব্যয় হবে। অপর পক্ষে এ সৎ ব্যক্তির সততা তার নিজের জন্য, তার দুর্বলতা মুসলিমদের ক্ষতি বয়ে আনবে। তাই যদিও শক্তিশালী শাসকের মাঝে ফাসিকী থাকে, তবু তার কথা শ্রবণ করতে হয় ও তার অনুগত থাকতে হয়। যদি সে বাড়াবাড়ি ও অত্যাচার করে সে ক্ষেত্রে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

أطع وإن أخذ مالك وضرب ظهرك

যদিও তোমার ধনসম্পদ হরণ করে এবং তুমি প্রহৃত হও তবুও তুমি তার অনুগত থাকো।[1] কেননা ফাসিকীর দিক বিবেচনায় তার আনুগত্যের মাধ্যমে মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষাই প্রাধান্য পাবে। শাসকের আনুগত্য করা তার অবাধ্য কাজের চেয়ে কল্যাণকর। শাসকের বিরোধিতা করা তার আনুগত্যের চেয়ে বেশি মারাত্নক। কেননা তার বিরোধিতার কারণে রক্তপাত ঘটা, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়াসহ ঐক্য বিনষ্ট হতে পারে।

>
[1]. ছ্বহীহ মুসলিম হা/১৮৪৭।